My vampire lover comes again part 17

#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_17

—“শুনো কালকে অফিসের মধ্যে তোমার প্রথম কাজ হলো তোমার মালিক কে এই ওষুধ টা খাওয়ানো।

বক্সটা নিজের মাথার হেন্ডেল থেকে একটা চকলেট জাতীয় গোল আকারের নরম তুলতুলে কেন্ডি বল বের করে ইরিন এর হাত এ দিলো। ইরিন কেন্ডিটা দেখে বলে।

—“ওয়াও কেন্ডিটা ত খুব জোস লাগছে একটু টেস্ট করে দেখি।
সে বলটা মুখে নিবে তার আগেই বক্সটা ইরিনকে নাড়া দে। যাতে হাত থেকে বক্সটা পড়ে যায়। ঠিক সেরকমই হলো। বলটা পড়ে যেতেই ইরিন বাচ্চাদের মতো মুখ করে বক্সের দিকে তাকায়।

বক্স ডোন্ট কেয়ার ভাব করে বলে—“বাঁচিয়েছি বুঝছো এটা খাইলে চিরন্তন সত্য কথা বলতে থাকতে।

ইরিন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে—“মানে? চিরকাল কিসের সত্য বলবো!

বক্সটা —“এই বলের কাজ হলো যে এই বলটা একফার খাবে সে চিরকালব্যাপী সত্য কথা বলবে।

ইরিন বক্সটার কথা শুনে চোখ ঘুরিয়ে বলে—“তুই আর তোর কেন্ডি বল তোর কাছেই রাখ।

বক্সটা নিজেকে ঝাকুনি দিয়ে বলতে শুরু করে—“শুনো কালকে অফিসে অনুষ্ঠান। তাই কালকেই একটা সুবর্ণ সুযোগ পাবে তলোয়ার সাথে ভীরপিশাচ কে খুঁজার।

ইরিন মুখ গোমড়া করে বসে বলে—“হুর ভালো লাগে না কি সব করাছিস। সর আমি ঘুমাবো।

বক্সটা বুঝতে পারছে ইরিন এর থেকে এসব আজগুবি কাহিনি একদমই ভালো লাগছে না। তাই সেও ড্রয়ারের উপর শুয়ে পড়লো।

ইরিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তার পাশের রুমেই লামিয়া ঘুমে আছে। লামিয়া তার সাথেই একি ফ্লাটে থাকছে।

ইরিন লামিয়ার সাথে সন্ধ্যায় নাস্তা করার সময় তার আঙ্কেল-আন্টির কথা জানতে পারে। মানে লামিয়ার বাবা-মার কথা। লামিয়ার যখন বয়স চৌদ্দ বছর তখন তার বাবা-মা বিজনেস এর প্রজেক্ট সামলাতে বুনসেফ হিল নামক এক পাহাড়ি জায়গায় যায়। সেখানে কাজ শেষ করে ফিরার পথেই দুইজন গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা যায়।

ঐসময় লামিয়া তাদের সাথে যায় নি। সে তার দাদীর সাথে বাসায় ছিলো। দাদীই তাকে বড় করলো দেখলো ভাল-মন্দ শিখালো এমনকি তার অলৌকিক ক্ষমতা প্রয়োগ করার বিভিন্ন ধাপ শিখালো। কখন,,কিভাবে,কোথায়,,কার সাথে বা কার সামনে এই শক্তির ব্যবহার করবে। লামিয়া সেই শক্তিতে খুব দক্ষতা অর্জন করে। পাশাপাশি স্টাডি কমপ্লিট করে তার বাবার বিজনেস দেখাশুনা করে।

ইরিন সব কথা শুনে আচমকা জিগ্গেস করে—“সিরাত আইমিন আমাদের অফিসের বস এর সাথে তোর পরিচয় কিভাবে হলো? জানার ভঙ্গিতে সে কৌতূহলী লামিয়ার দিকে স্থীর দৃষ্টি দেই।

লামিয়া মুচকি হেসে বলে—“সিরাত এর সাথে বেশি না দুই দিন এর পরিচয়। তার সাথে আমার ডিল ফাইনাল করার জন্যে মিটিং ছিল। সে আমার থেকে বেশি কিছু জানতে চাই নি শুধু জানতে চেয়েছিলো…..গালে হাত দিয়ে ভাবতে থাকে।

ইরিন—“কি জানতে চেয়েছিলো? ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো।

লামিয়া ভেবে বলে—“ওহ্ মনে পড়ছে। সে শুধু আমার বাবা-মার কথা জানতে চেয়েছিলো। এর বেশি কিছু আর জানতে চাইনি।

ইরিন শুনে সন্দেহের সুরে বলে—“স্ট্রেরেন্জ।

লামিয়া উঠে ইরিন এর বাসা থেকে চলে যেতে চাইতেই ইরিন তাকে থামিয়ে দেই। তার হাত ধরে বলতে লাগে।

—“আজ তুই আমার বাসায় থেকে যাহ। কালকে ফাংশন এর পরের দিন অফিসে ছুটি। সো একসাথে তোর বাসায় যাবো আর প্রিয় দাদিজান এর সাথে দেখা করবো। মুচকি হেসে লামিয়ার সাথে কোলাকুলি করলো।

লামিয়াও রাজি হয়ে যায়। সে দুদিন ইরিনের সাথে সময় কাটাবে বলে ঠিক করে নিলো।

প্রায় মাঝরাত……

ইরিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সে ঘুমের দেশেই তার প্রথম ধাপের দৃশ্য দেখতে পেলো। সে তার রহস্যের খুব কাছেই চলে আসে। তার পাশে ছিলো বড় ধারালো সেই আয়নার তলোয়ার। এরই বিপরীত পাশে জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে সেই ভীড়পিশাচরাজ। সে তলোয়ার টাকে এক নজর দেখে মানুষরুপী পিশাচটার কাছে যায়। খুব কাছে এসে ইরিন থেমে যায়। তার নাকে যেনো এক সুগন্ধিময় পারফিউম এর সুবাস আসছে।

সে পারফিউমটা ভালোভাবে নিশ্বেসে নিয়ে বিরবির করে বলে—“এই পারফিউম তো সিরাত ইউজ করে….তার মানে কি? উনি…..

ইরিন ধীর পায়ে মানুষটার সামনে যায়। সেই মানুষটার পিছে ইরিন এসে দাঁড়ালো। মানুষটা সামনের দিকে মুখ করে রাখায় ইরিন তার মুখখানি দেখতে পারছিলো না।

ইরিন তার কাছে এসে ঘাড়ে হাত রেখে পিছে ফিরাতেই অবাক হয় মানুষটা অন্য কেউ সিরাত নয়। পিশাচরুপী মানুষটা মনে মনে শয়তানি খুশি হলো। সে ইরিন এর আড়ালে বাঁকা হেসে বলে।

—“আ….আপনি কে? আর আমার স্বপ্নে আপনি কিভাবে এলেন? এটা ত সম্ভব না। ইরিন ভয়ে একপা পিছিয়ে যায়।

মানুষটা মুচকি হেসে বলে—“ডোন্ট ওয়ারি মাই প্রিন্সেস আমিই হলাম তোমার সেই ভীড়পিশাচরাজ। যার জন্যে তুমি এতো দূর পেড়িয়ে এলে। আমার কাছে আসবে না তুমি?………এই বলে সে ইরিন এর দিকে ধীর পায়ে আগাতে থাকে।

ইরিন ভাবলেশনহীন হয়ে পড়ে যেনো তার সামনে ঘোর অন্ধকার ছুড়িয়ে যাচ্ছে। সে এক নিশ্বাসে বলে উঠে—“একদম কাছে আসবেন না। আপনি আমার পিশাচরাজ হতেই পারেন না। আমার পিশাচরাজ শুধু একজন সে হলো শ্রেয়। শুনলেন আপনি সে হলো শ্রেয়ওওও।

একপ্রকার চিৎকার দিয়ে সে পিশাচরুপী জানোয়ার কে তার স্বপ্ন থেকে বিদায় করে দে। সে খেয়াল করলো আশেপাশে সে পিশাচ আর নেই। সে পাশে তাকিয়ে দেখে তলোয়ারটাও উধাও হয়ে গেলো। সে হুট করে সেখানে হতাশ হয়ে বসে পড়লো। নিজের মাথা চেপে বলতে লাগে।

—“হচ্ছে টা কি কাকে বিশ্বাস করবো যা দেখতেছি তাকে নাকি যা হচ্ছে বা হবে সেটাকে? নরম কমল হয়ে যে জীবনটা কঠিন হচ্ছে। আমার কি কোনো অতীত আছে? কেনো বার বার এমন লাগে যেনো আমার কোনো অতীত সামনে আছে। যা আমি দেখছি না তবুও সে আমায় প্রতিনিয়ত দেখছে। কে হবে সে? কেই বা ছিলো সে সময় আমার পাশে আমার রক্ষাকবচ হয়ে।

ইরিন এর চোখ দিয়ে টপটপ জল পড়তে লাগে। তার চোখ ফুলে জ্বলতে শুরু করে সে ধীরে ধীরে অজ্ঞান হয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।

_______________________

কেনেল ঘুম থেকে উঠে তার রুম থেকে পাশের রুমে গিয়ে রাগে জিনিসপএ ভাঙ্গচুর করতে থাকে। আওয়াজ পেয়ে ড্রেনিক নিজের শরীরে কেনেল এর জামা জড়িয়ে সেই রুমের দিকে হাঁটা ধরে। এলেজ ঘুমের ঘোরে অনুভব করতে লাগে তার মহাশয় কোনো এক কারণে প্রচুর রেগে আছে। কখন কি করে ফেলে তার সম্ভাবনা খুবই বেশি। সে জট করে চোখ খুলে উঠে বসে। তখনই তার কানে দুইতলার থেকে ভাঙ্গচুর এর আওয়াজ শুনতে পাই। সে বাতাসের বেগে সেখানে পৌঁছে দেখে।

কেনেল তার প্রয়োজনীয় আসবাবপএ রাখার রুমে এসে সব জিনিস ভেঙ্গে ফেলছে। তার আরেক পাশে ড্রেনিক দাঁড়িয়ে আছে। সে ড্রেনিক এর কাছে গিয়ে জিগ্গেস করে।

—“সম্রাট কেনেল এমন কেনো করছে? উনার কি হয়েছে কি করেছো তুমি? ভ্রু কুঁচকে রাগী সুরে বললো।

ড্রেনিক উল্টা রাগের মাশুল দিয়ে বলল—“আমি কিছুই করিনি আমরা দুইজন অর্ধনগ্নে ছিলাম। হঠাৎ তিনি ঘুম থেকে উঠে এখানে এসে এইসব কান্ড করতে লাগলেন।
কেনেল এর দিকে আড়চোখে চিন্তিত মুখ নিয়ে তাকালো।

এলেজ কোনোভাবে সম্রাট কেনেলকে দমানোর জন্যে একটা গ্লাসে রক্ত ঢেলে তার রুমে এসে কেনেলকে কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে ডাকতে লাগলো। কেনেল রক্তের গন্ধ পেয়ে থেমে যায়। সে পিছে ঘুরে তার লালবর্ণ চোখজোড়া ধীরস্থির রেখে এলেজ এর হাতে গ্লাসের দিকে তাকালো। জট করে গ্লাসটা নিয়ে ডক ডক করে পুরো ব্লাড খেয়ে গ্লাসটা ফ্লোরে চুড়ে মারে। গ্লাসটা ভেঙ্গে টুকরা হয়ে যায়। ড্রেনিক দুইহাত বুকের উপর গুজে তার কান্ড দেখছিলো শুধু।

কেনেল কিছুটা নিশ্চুপ হলে এলেজ ভ্রু বাঁকিয়ে জিগ্গেস করলো—“মহাশয় আপনি এভাবে……..

কেনেল এলেজ এর কথা বুঝে যায়। সে বলে—“আমি অরিন এর স্বপ্নে গিয়েছিলাম। সে আমাকে আবারো ফিরিয়ে দিয়েছে,,,আবারো আমায় আমায় ত্যাজ্য করেছে। আমি ত অরিনকে ছাড়ছি না কোনো মতেও না। রাগে দাঁত কটমট করতে লাগে। সে একদৃষ্টি রেখে ড্রেনিক এর দিকে তাকায়।

এলেজ জানার ভঙ্গিতে বলে—“আপনি কি সাহেবাকে পেয়েছেন? তিনি কি বাস্তবে আছেন? তার এ কথায় কেনেল রাগী দৃষ্টিতে এলেজ এর দিকে তাকায়।

সে আমতা আমতা করে বলে—“মানে সাহেবার পুর্নজন্ম হয়েছে এ ব্যাপারে আপনি কিভাবে কনফিডেন্টলি বলছেন? এক ঢোক গিলে কেনেল এর দিকে তাকায় থাকলো।

—“তোরা সব অর্কমার ডেকি একটা কাজও পারিস না। এই এই টুকু বিন্দু পরিমাণ মানুষকে খুঁজতে পারিস না। তোদের কে ত খেয়ে ফেলা উচিত ছিলো। তার এ কথায় এলেজ আর ড্রেনিক ভয় পেয়ে যায়। তারা মাথা নিচু করে ফেললো।

কেনেল ড্রেনিক এর দিকে তাকিয়ে জট করে তার মুখের কাছে এসে তার থুতনী জোরে চেপে ধরে। সে ব্যথায় কুকড়িয়ে উঠে। নিজেকে ছাড়ানো চেষ্টা করতে থাকে। অনুরোধ এর ভঙ্গিতে সে কেনেল কে বলে।

—“বেবি আ….আমি সব ব্যবস্থা করছি। আমি পিশাচরাজ কে খুঁজে পেয়েছি। কেনেল হঠাৎ তার থুতনী ছেড়ে চোখজোড়া বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে তোতলানো ভাবে বলে—“ক…..কি….কি ব…বল…লে তু….তুমি??

ড্রেনিক শুকনো এক ঢোক গিলে বলে—“পি….পিশাচরাজ শ্রেয়।

কেনেল হিংস্র নজরে শক্ত করে ড্রেনিক এর বাহুডোরা চেপে ধরে বলে—“কোথায় কোথায় সে? আমার অরিন থেকে দূরে ত নাকি নাকি আমার অরিন এর পাশে বল বল?

ড্রেনিক—“সে এক ইনড্রাসট্রিতে কাজ করে। আর আপনি অরিন বলছেন যাকে তার ব্যাপারে আমি জানিনা। কিন্তু ঐ ঐ অফিসের বস সিরাত সেইই পিশাচরাজ শ্রেয় বিলিভ মি।

কেনেল শুনে কিছু শান্ত হয় সে হু হা করে হেসে বলে—“হোসেন ইনড্রাসট্রি তাই না?

এলেজ ড্রেনিক শকড হয়ে যায়। তারা অবাক নয়নে কেনেল এর দিকে তাকায়। সে হাহা করে পাগলের মতো হাসতেই থাকে। তার হাসির কারণ জানতে চাইলো এলেজ। সে আনন্দজনক ভাবে তাদেরকে নিজের কক্ষে আসতে বলে।

—“এখনই আমরা মানুষজাতির শহরে যাবো। আমাদের হোটেল বুক কর। পুরো হোটেল আমাদের নামে বুক করে যতো সুদ হয় দিয়ে দিস। আর যদি না মানে তাহলে পিশাচদের কথা না মানার শাস্তি দিস।

এলেজ আর ড্রেনিক শয়তানি হাসি দে। তারা গিয়ে সব ব্যবস্থা করে ফেলে। কেনেল ছাদে এসে রেলিং ধরে দাঁড়ালো। তার উপর চাঁদের আলো পড়তেই সে পিশাচের রুপ নিয়ে নিলো। সে জোরে গর্জন দিয়ে উঠে। তার গর্জন শুনে পিশাচ বাংলোর শত শত পিশাচ নিজের রুপে চলে আসে। তারাও একসাথে চাঁদের দিকে তাকিয়ে হংকার করতে থাকে।

____________________

শত পিশাচ এর হংকার ঘুমন্ত সিরাত এর কানে যায়। সে স্বপ্নের মধ্যে খেয়াল করলো সে দাঁড়িয়ে আছে তার পিছেই তার পিশাচ দল। তারা সবাই পিশাচরাজ কে উৎসাহ দিচ্ছে।

সবার মুখে শুধু একটাই নাম উচ্চারিত হচ্ছে “শ্রেয়” “শ্রেয়”।

সিরাত সামনে তাকাতেই দেখে এক পিশাচ মেয়েকে বিপরীত দিকে পিশাচরুপী এক মানুষ ধরে রেখেছে। সে খেয়াল করতেই দেখে মেয়েটার মুখখানি হবহু ইরিন এর মতো। সে শ্রেয় এর চোখে নিজেকে দেখতে পেয়েই মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে।

—“আসো আমার কালো জগতের পিশাচরাজ। ফিরে আসো আমাদের কাছে। মুনস্টোনকে বাঁচাও। নইতো পুর পিশাচ বংশ নষ্ট হয়ে যাবে আর মানুষজাতি পিশাচে রুপ নেবে। ফিরেএএএএএ আসো ওওওও।

ইরিন এর কান্নামিশ্রিত চোখজোড়া আর চিৎকারে জট করে বসে পড়ে সিরাত। তার মাথায় ঘাম এসে ভীড় করে। সে এক গ্লাস পানি খেয়ে আয়নার সামনে আসে।

সে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে বলে—“পিশাচরাজ ইংরেজি তে যাদেরকে বলে ভ্যাম্পায়ার বাংলায় যাদের অর্থ রক্তচুষি প্রাণী। আমিও কি তাহলে একজন রক্তচুষি?………সে নিজের হাত নিজের শরীরে দেখে রক্ত লেগে আছে। সে এ দেখার সাথে সাথে পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখে তার বেডের পাশে মৃত হরিণ পড়ে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। সে ধপ করে বেডে বসে পড়ে।

—“তাই আমি ভাত তরি-তরকারি মানুষদের খাদ্য খেতে পারি না। এদের খাদ্য খেলেই বমি পাই। কিন্তু প্রতি রাতে আমার হুশ থাকে না আমি কি করি বা না করি। পরে ঠিকই খেয়াল হয় আমার খিদে নেই। এর মানে তো এটাই দাঁড়ায় আমি একজন পিশাচ। আমার হুশ না থাকলে আমি যাকে পাই খেয়ে ফেলি। এ কথা ভাবতেই সিরাত এর চোখ মুখ রাগে নিজের উপর ঘৃণায় ছলছল করে উঠে। সে উঠে ফ্রেশ হতে যায় সাথে ফ্রেশ হওয়ার আগে মৃতজীবটিকে সে প্রতিবারের মতো একব্যাগে ডুকিয়ে রাখে। সকাল হলেই যেনো জঙ্গলে ফেলে দিতে পারে।

সিরাত নিজের ধারণা মতো তাই করলো। করে সে রেনাকে কল করে। রেনা ঘুমাই নি সে ফোন এর মধ্যে তার সেই ব্লেকমেইলার এর মেসেজ গুলো দেখছিলো। এমনকি শুধু একবার না অনেকবার সে মেসেজগুলো দেখছে পড়ছে।

হঠাৎ কল বেজে উঠায় রেনা হকচকিয়ে উঠে। সে জট করে ফোনটা কানে দিয়ে হ্যালো বলে।

—“রেনা একটা কাজ আছে। শান্ত সুরে ভাবার ভঙ্গিতে বললো।

রেনা এক ঢোক গিলে নিলো সাথে মনে মনে বলে—“ভাইয়া যদি জানে উনার রুপের কথা অন্যকেউ জানছে তাহলে উনি তাকে প্রাণে মেরে দেবে। না এটা হতে দেবো না। সে ঠিক করলো যেভাবেই হোক এই কথাটা সিরাতকে বলবে না।

—“কি চুপ কেন বল ! করবি কিনা?

—“তোমার কথা কখনো মানিনি এমন হয়েছে? মুচকি হেসে রেনা বললো।

—“তাহলে শুন কালকে র্পাটি আমার কেমন যেনো কিছু একটা বিপদের আশংকা লাগছে। তাই বলছি কালকে নজরদারি চালু রাখবি। ভ্রু বাঁকিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে ভাবতে ভাবতে কথাটা বলল। তাও শুধু একজনের উপর….. ডেভিল স্মাইল দিয়ে।

রেনা……..

…………..চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here