#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_৩
.
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই ডাইনিং টেবিলে আয়াশকে দেখতে পেয়ে দাঁড়িয়ে গেল ইচ্ছে। কোনো একদিন এই লোকটাকে সে পছন্দ করেছিল ভাবতেই নিজের উপর রাগ উঠতে লাগে তার। আয়াশকে ফুল কালো পড়ে থাকতে দেখে বিরবির করে বললো, ‘দুনিয়াতে কী আর কোনো রঙ নেই? যখনই দেখি তখনই কালো পড়ে থাকে। মাঝে মাঝে অন্যসব রঙও তো ট্রাই করে দেখতে পারে। তবে একটা কথা না বললেই নয়। লোকটাকে কালোতে মারাত্মক লাগে। কিন্তু আমি কেন এসব ভাবছি? আমি উনাকে ঘৃণা করি।’ ইচ্ছে চোখ সরিয়ে নিচে নেমে এলো। আয়াশ ইচ্ছেকে দেখেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালো না। চুপচাপ ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো। ইচ্ছে কিছু না বলে মাথা নিচু করে বাসা থেকে বের হতে গেলে আয়াশের গম্ভীর কণ্ঠস্বর শুনে দাঁড়িয়ে গেল।
-“কোথায় যাচ্ছ?”
ইচ্ছে অবাক হয়ে আয়াশের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“কলেজে। গতকাল না আপনার কাছ থেকে পারমিশন নিলাম!”
-“সেটা আমার মনে আছে। কিন্তু তুমি না খেয়ে কোথায় যাচ্ছ?”
-“আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।”
-“তাহলে নিজের রুমে ফিরে যেতে পারো। না খেয়ে এক পা-ও বাসার বাইরে রাখতে পারবে না।”
-“কিন্তু…”
-“আমি কোনো কিন্তু শুনতে চাইছি না।”
রাগে গজগজ করতে করতে টেবিলে এসে আয়াশের সামনে বরাবর বসলো ইচ্ছে। আয়াশ লিজাকে ইশারা করতেই লিজা খাবার সার্ভ করতে লাগলো। ইচ্ছের সামনে এক গ্লাস দুধ, অমলেট, ব্রেড আর বাটার এগিয়ে দিল লিজা। খাবার দেখে কান্না পেয়ে গেল ইচ্ছের। অসহায় দৃষ্টিতে লিজার দিকে তাকাতেই লিজা ইশারা করে আয়াশকে দেখিয়ে দিল। ইচ্ছে আয়াশের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,
-“এগুলো কী?”
আয়াশ এক ভ্রু উঁচু করে বললো,
-“কেন দেখতে পাচ্ছ না তুমি?”
-“আমি অন্ধ না যে দেখতে পাবো না। কিন্তু এগুলো কী ধরনের খাবার! আমি এসব খাই না।”
-“আমি জানি তুমি এসব খাও না। কিন্তু এখন থেকে এগুলোই খেতে হবে তোমাকে। আর একটাও বাড়তি শব্দ না করে চুপচাপ এগুলো খেয়ে নাও। তোমার হাতে দশ মিনিট সময় আছে। সবটা খাবে। কিচ্ছু যেন বাদ না থাকে।”
কথা শেষ করে আয়াশ নিজেও ফোন রেখে খাওয়া শুরু করলো। আয়াশের খাবার দেখে নাক-মুখ কুঁচকে ফেললো ইচ্ছে। কীসব সিদ্ধ সবজি খাচ্ছে আয়াশ। এই লোকের মুখে কী স্বাদ নেই? খায় কী করে এসব জঘন্য খাবার? ইয়াক! মনে মনে এসব ভাবলেও মুখে কিছু বলতে পারলো না ইচ্ছে। এক পিস ব্রেড খেয়ে অমলেট পুরোটা মুখে দিয়ে না চাবিয়েই খুব কষ্টে গিলে ফেললো। সাথে সাথেই তাড়াতাড়ি করে পানি খেয়ে নিলো। দুধের গ্লাসটার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ও। আয়াশ খেতে খেতে বললো,
-“আর মাত্র দুই মিনিট আছে তোমার সময় শেষ হতে।”
ইচ্ছে প্রায় সাথে সাথেই দুধের গ্লাসটা নিয়ে নাক চেপে ধরে পুরো গ্লাসটা খালি করে ফেললো। গ্লাস নামিয়ে রেখে মাথা টেবিলের উপরে রেখে চোখ বন্ধ করে ফেললো। এই মুহূর্তে তার মন চাইছে বমি করে পেট থেকে সব বের করে ফেলতে। কিন্তু আয়াশ সামনে থাকায় সে এই কাজ ভুলেও করতে পারবে না। মুখ মুছে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে ফোন পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে আয়াশ বললো,
-“যদি কলেজে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে তবে এখুনি আমার সাথে আসো।”
আয়াশের কথা শুনে তৎক্ষনাৎ দাঁড়িয়ে গিয়ে ইচ্ছে বললো,
-“আপনি না বলেছিলেন মুহিব যাবে আমার সাথে।”
-“বেশি প্রশ্ন করা আমার পছন্দ নয়।”
ইচ্ছে মুখ বাঁকিয়ে আয়াশের পেছন পেছন বেরিয়ে গেল। গাড়িতে বসে চুপ করে একধ্যানে বাইরে তাকিয়ে আছে। আয়াশ ওর পাশেই বসে আছে। ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে। একটু পর পর আড়চোখে ইচ্ছের দিকে তাকাচ্ছে আয়াশ। মেয়েটাকে এমন চুপচাপ মানায় না। কিন্তু ইদানীং সবসময় চুপচাপই থাকে ইচ্ছে। আয়াশ বুঝে ইচ্ছের মনের অবস্থা। কিন্তু এছাড়া ওর কিছুই করার নেই। যতদিন না ও সবটা জানতে পারছে ততদিন ইচ্ছেকে এভাবেই বন্দী খাঁচায় থাকতে হবে। হোক সেটা ইচ্ছের অনিচ্ছায়।
আয়াশ হুট করেই ইচ্ছের হাত ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো ওকে। আয়াশের দিকে চোখ বড় বড় করে বিরক্ত হয়ে তাকালো ইচ্ছে। সবসময় হাত ধরে টানাটানি কেন করে লোকটা! একহাতে কোমড় জড়িয়ে ধরে অন্যহাত ইচ্ছের গালসহ কানের নিচ হয়ে চুলে রেখে ইচ্ছের গালে নিজের নাক ঘঁষে ঠোঁট বুলিয়ে দিল। চোখ বন্ধ করে নিজের জামা খামচে ধরে বসে আছে ইচ্ছে। আয়াশের এমন হুটহাট কাজে মাঝেমাঝে নিজেকে স্বাভাবিক করে রাখতে পারে না সে। আবার চাইলেও তাকে সরিয়ে দিতে পারে না।
-“ইচ্ছেময়ী! আমি সত্যি আর পারছি না তোমার থেকে দূরে থাকতে।”
চমকে উঠলো ইচ্ছে। আজ অনেকদিন পর নিজের সম্পূর্ণ নামটা শুনলো সে। বাবার পরে যদি কেউ ওকে ইচ্ছেময়ী বলে ডেকে থাকে, তবে তা হলো আয়াশ। এক অদ্ভুত মাদকতা কাজ করে আয়াশের মুখে নিজের পুরো নাম শুনলে। কিন্তু আয়াশের কথার মানে বুঝলো না ও। তাই কম্পিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-“আমার থেকে আর দূরে সরে থাকতে পারছেন না এর মানে কী?”
ইচ্ছের প্রশ্নে হুঁশ ফিরলো আয়াশের। ঘোরের মাঝে থেকে মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে কথাটা। এই মুহূর্তে ইচ্ছের মন থেকে কথাটা মুছে ফেলতে হবে। নাহলে সারাক্ষণ এই একটা কথা ভেবে ভেবে নিজের হালাত খারাপ করে ফেলবে। আয়াশ প্রশ্নের জবাব না ইচ্ছের কাঁধ থেকে চুল সরিয়ে উষ্ণ স্পর্শ বুলিয়ে দিতে লাগলো। গাড়ি এসে কলেজের সামনে থামতেই ইচ্ছে কম্পিত গলায় বললো,
-“কক..কলেজে পৌঁ..ছে গেছি। ছাড়ু..ছাড়ুন আমাকে। দেরি হয়ে যাচ্ছে আম..মার।”
কাঁধে একটা গভীর চুমু খেয়ে ইচ্ছেকে ছেড়ে দিল আয়াশ। মুহূর্তেই তার ভাব এমন হলো যেন সে এতক্ষণ চুপচাপ এভাবেই বসে ছিল। আয়াশের এমন ভাব দেখে প্রচন্ড রাগ লাগলো ইচ্ছের। গাড়ি থেকে নামতে গেলে ওর হাত ধরে ওকে আটকিয়ে দিল আয়াশ।
-“বসে থাকো চুপচাপ।”
ইচ্ছে পাল্টা কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ পেলো না। তার আগেই আয়াশ কাকে যেন ফোন দিল। ইচ্ছে এতক্ষণে সামনে বসে থাকা ড্রাইভারের দিকে তাকালো। মুহূর্তেই লজ্জা পেয়ে গেল সে। আয়াশ এতক্ষণ গাড়িতে বসে তার কাঁধে চুমু খেয়েছে। ও ভুলেই গিয়েছিল গাড়িতে আয়াশ আর ও ছাড়াও ড্রাইভার উপস্থিত আছে। লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো ইচ্ছে। ফোনে কথা বলা শেষ করে আয়াশ ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে দেখে ও আড়চোখে ড্রাইভারের দিকে তাকাচ্ছে। বুঝতে পেরে আয়াশ বললো,
-“লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। উনি কিছু শোনেন নি আর দেখেনও নি।”
অবাক হয়ে আয়াশের দিকে তাকালো ইচ্ছে। আয়াশ বাঁকা হেসে ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“তুমি কিছু শুনেছো রাসেল!”
-“না ভাই।”
-“কিছু দেখেছো?”
-“না।”
-“গুড।”
ইচ্ছে হা হয়ে গেল আয়াশের এই কাণ্ড দেখে। কী শয়তান লোক রে বাবা! মুখে কী লাগাম বলতে কিছু নেই? এমন অসভ্যমার্কা কথা বলে এখনো কী কুল লুক নিয়ে বসে আছে লোকটা! যেন কিছুই হয়নি এখানে। লাজলজ্জা নিশ্চিত সব বিক্রি করে দিয়েছে। রাগে-দুঃখে নিজের মাথাটাই গাড়ির কাঁচের সাথে বারি দিতে মন চাইলো ইচ্ছের। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একবার আয়াশের দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো ও। গাড়ির কাঁচে টোকা পড়তেই আয়াশ কাঁচ নামিয়ে দিল। মুহিব দাঁত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুটা বিরক্তসুরে আয়াশ বললো,
-“আগে ভালো করে দাঁত মেজে আয়, তারপর দাঁত কেলাবি।”
-“নট ডান ব্রো। ইউ আর ইনসাল্টিং মি।”
-“তোর আবার মান-ও আছে! আমি তো ভাবলাম নেই।”
-“উফফ… ভাই! তুমি নিজের কাজে যাও তো। ইচ্ছে চলে এসো আমার সাথে।”
-“খেয়াল রাখবি ওর। যদি কোনো উল্টা সিঁধা হয় তো তোর খবর আছে।”
-“ওকে ব্রো মাথায় রাখবো। জাস্ট চিল ওকে! ইচ্ছে আমার কাছে সুরক্ষিত থাকবে।”
-“তুই নিজের সুরক্ষা তো করতে পারিস না! তোকেই দেখে রাখে অন্য গার্ডরা। তাই সুরক্ষার দায়িত্বটা আমি গার্ডদের উপরেই ছেড়ে দিলাম। তুই শুধু ওর খেয়াল রাখলেই হবে।”
মুহিব তার ভাইকে ভেঙিয়ে গাড়ির দরজা খুলে ইচ্ছেকে বের হতে বললো। ইচ্ছে বের হতেই ওর হাত ধরে কলেজের দিকে হাঁটা ধরলো মুহিব। আয়াশ মৃদু হাসলো। মুহিবের পেছনে বিশালদেহী বেশ কয়েকজন গার্ড আছে। আয়াশ সানগ্লাসটা পড়ে চলে গেল সেখান থেকে।
ইচ্ছেকে এতগুলো গার্ড আর একটা ছেলের সাথে দেখে প্রায় অনেকেই তাকিয়ে আছে ওর দিকে। কিন্তু এসবে পাত্তা দিল না ইচ্ছে। মানুষের কাজই অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো। তাই এসব থেকে নিজেকে যতটা পারে দূরে রাখে ইচ্ছে। ক্লাসরুমের সামনে ইচ্ছেকে পৌঁছে দিয়ে বাইরে চলে গেল মুহিব। কলেজের মাঠে কিছু গার্ড রয়েছে। কিছু গার্ড বিল্ডিং এর নিচে রয়েছে আর কিছু গার্ড রয়েছে কলেজের গেইটের সামনে। মুহিব মাঠে বসে ফোন বের করে গেমস খেলতে লাগলো।
ইচ্ছে আশেপাশে তাকিয়ে হঠাৎ রোমানকে ক্লাসে ঢুকতে দেখে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। ইচ্ছেকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিলো রোমান। ইচ্ছে ব্যস্ত হয়ে অসহায় গলায় জিজ্ঞেস করলো,
-“রায়ান এখন কেমন আছে?”
-“তোমার না জানলেও চলবে। আজকে ওর যে অবস্থা হয়েছে না, তা শুধুমাত্র তোমার জন্য হয়েছে।”
-“আমি জানি আমিই দায়ী ওর বর্তমান অবস্থার জন্য। কিন্তু প্লিজ বলো আমাকে ও এখন কেমন আছে?”
-“বলার প্রয়োজন মনে করছি না। তুমি প্লিজ আমার থেকে আর আমার ভাইয়ের থেকে দূরে থাকো। কথা বলার চেষ্টাও করো না। নাহলে কখন আবার দেখা যাবে যে তোমার আশিক বেঙ্গালোর শহরের নামকরা গ্যাংস্টার দ্যা গ্রেট আয়াশ খান আমাকেও রায়ানের মতো হসপিটালে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।”
-“আয়াশ খান আমার আশিক নয়। আমি বাধ্য হয়ে উনার সাথে আছি। আমার বাবা বিগত সাড়ে চারমাস যাবৎ নিখোঁজ। একমাত্র উনিই জানেন আমার বাবা কোথায়। শুধু মাত্র বাবার খোঁজ জানার জন্য আমি উনার সাথে আছি।”
-“তুমি কেন আয়াশ খানের সাথে আছো আমি তা জানতে চাই না। শুধু এতটুকুই বলবো যে আমার থেকে এবং রায়ানের থেকে দূরে থাকো। আমি চাই না ওর আরও ক্ষতি হোক। তোমরা দু’জনেই তো একে অপরকে পছন্দ করেছিলে তাই না! তাহলে শুধু রায়ানকেই কেন শাস্তি পেতে হলো?”
-“(….)”
-“জবাব নেই তাই না! তোমার কাছ থেকে জবাব আশাও করছি না আমি। এনিওয়ে সরো সামনে থেকে।”
ইচ্ছের চোখে জল টলমল করছে। ও দাঁড়িয়ে না থেকে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল। বেসিনের সামনে গিয়ে চোখে-মুখে পানি ছিটিয়ে দিল। সাথে সাথেই অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো চোখ থেকে। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। ধীরে ধীরে প্রচন্ড ঘৃণা জন্মাচ্ছে আয়াশের প্রতি।
-“আই হেইট ইউ আয়াশ খান। আমি আপনাকে ঘৃণা করি। যদি কখনো সুযোগ পাই তবে আপনাকে ধ্বংস করতে দ্বিতীয়বার ভাববো না আমি। আপনার জন্য আজ আমার বাবাই আমার সাথে নেই। তিনি কোথায় আছে কিছুই জানি না। একসময় আপনাকে পছন্দ করতাম। সেই পছন্দটাকে আপনি নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেছেন আমার বান্ধবীকে খুন করে। আমার জীবনটাকে বন্দী রেখে নরক বানিয়ে তুলছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে ধাক্কা খাওয়ার পর নিজেকে সামলানোর জন্য যখন রায়ানকে পছন্দ করা শুরু করলাম, তখন আপনি ওকেও আমার কাছ থেকে দূর করে দিলেন। আপনি আসলে চাইছেনটা কী আমার কাছে? আমাকে মারতে চান! তবে একেবারে মেরে ফেলুন না! কেন এভাবে একটু একটু করে তিলে তিলে মারছেন আমাকে? আবার যখন তখন আমার কাছে এসে গভীরভাবে ছুঁয়ে দেন আমাকে। কেন! কেন করেন আপনি এমন আমার সাথে? আমি যে সহ্য করতে পারছি না। আই স্যুয়্যার আমি যদি কখনো চান্স পাই আপনাকে ধ্বংস করার, তাহলে আপনাকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। স্বয়ং আপনি নিজেও না।”
আয়নার নিজের প্রতিবিম্বর দিকে অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে বললো কথাগুলো। নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে মুখে পানি ছিটিয়ে ক্লাসে চলে গেল।
চলবে….