#Your_love_is_my_Addiction
#Season_2
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_১০
.
বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার হাতে নিয়ে গাড়িতে বসে আছে ইচ্ছে। তার পাশে আয়াশ গম্ভীর হয়ে বসে আছে। মুহিব সামনে রাসেলের সাথে বসেছে। ওরা দু’জনও নির্বাক। একটু আগে যখন ইচ্ছে আয়াশকে প্রশ্ন করেছিল যে আয়াশ তাকে বিয়ে করবে কী না তখন আয়াশ কিছু মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছের কাছ থেকে এরকম কিছু আশা করে নি সে। আয়াশকে চুপ করে থাকতে দেখে ইচ্ছে তাচ্ছিল্য হেসে বলেছিল,
-“আমি জানি আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না। শুধু মুখে মুখেই আমাকে ভালোবাসি বলছেন। অন্তত এতটুকু আপনাকে আমি চিনেছি মিস্টার আয়াশ খান। সত্যি করে বলুন তো আপনি কী আমায় চান না’কি আমার শরীরটা চান?”
ব্যস! এইটুকু বলতেই আয়াশ এমনভাবে ইচ্ছের দিকে তাকালো যেন এই মুহূর্তে ইচ্ছেকে ভস্ম করে দিবে সে। ইচ্ছের কথার জবাব না দিয়ে আয়াশ রাসেলকে গাড়িটা ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসের দিকে নিয়ে যেতে বললো। তার আগে মুহিবকে ফোন দিয়ে আসতে বললো সে। মুহিব আসতেই রাসেল গাড়ি নিয়ে আয়াশের কথা মতো সোজা ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থামালো। কোনো কথা না বলে ইচ্ছের হাত ধরে তাকে টেনে নামালো আয়াশ। তারপর অফিসের ভেতরে গিয়ে সোজা বিয়ে করে নিলো ইচ্ছেকে।
ইচ্ছে এখনো হতভম্ব হয়েই বসে আছে গাড়িতে। সে ভাবতেও পারে নি তার কথার এতটা প্রভাব পড়বে আয়াশের উপরে। আধঘন্টা আগে বিয়ের কথা বলেছিল সে। আর এখন আধঘন্টা পরে সে সত্যি সত্যি আয়াশের বিয়ে করা বউ হয়ে গিয়েছে। সে এখন আয়াশের আইনত স্ত্রী। কথাটা তার মাথার ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে। যাকে সে ধ্বংস করার খেলায় নেমেছে সেই তাকেই কি-না বিয়ে করতে হলো ওকে? দীর্ঘশ্বাস ফেললো ইচ্ছে। হয়তো এটাই নিয়তি ছিল। কিন্তু এক হিসেবে ব্যাপারটা ভালোই হয়েছে। আয়াশকে আরও বেশি আঘাত করতে পারবে সে এখন।
আয়াশ কপালে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে বসে আছে। পুরো গাড়িতে পিনপতন নীরবতা চলছে। আয়াশ আর ইচ্ছের বিয়ের সাক্ষী হিসেবে ছিল রাসেল আর মুহিব। তারা দু’জনই হতবাক আয়াশের এই হুটহাট সিদ্ধান্তে। হঠাৎ কেন ইচ্ছেকে বিয়ে করলো আয়াশ এই ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারছে না তারা। এসবের মাঝেও মুহিবের আরও একটা চিন্তা রয়েছে। ইচ্ছেকে যারা মারতে চাইছিল এতদিন, তারা নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটা এতক্ষণে জেনে গিয়েছে। এবার কী আয়াশ এবং ইচ্ছে দু’জনই তাদের টার্গেট? ভীষণ চিন্তা হচ্ছে মুহিবের।
গাড়ি থেমে যেতেই আয়াশ চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভেতরে চলে গেল। ইচ্ছে আয়াশের দিকে তাকিয়ে নিজেও চলে গেল বাড়ির ভেতরে। মুহিব আর রাসেল একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও বাড়ির ভেতরে তাকালো। ইচ্ছে আয়াশের পেছন পেছন আয়াশের রুমে ঢুকতে গেলে আয়াশ তার মুখের উপরে দরজা বন্ধ করে দিল। কেঁপে উঠলো ইচ্ছে। কিছুক্ষণ সেভাবেই দাঁড়িয়ে থেকে বাঁকা হাসলো সে। বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপারের দিকে তাকিয়ে এক দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল ইচ্ছে।
হাতে ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে থাই গ্লাসের উপর একহাত রেখে বাইরের দিকে তাকিয়ে সমানে ওয়াইন গিলছে আয়াশ। তার চোখে-মুখে রয়েছে একরাশ রাগ। এই রাগটা যতটা ইচ্ছের প্রতি রয়েছে, ঠিক ততটাই নিজের প্রতিও রয়েছে। ইচ্ছের কথায় এসে তাকে কীভাবে বিয়ে করতে পারলো সে? কথাটা বুঝে উঠতে পারছে না। এমন না যে সে কখনোই ইচ্ছেকে বিয়ে করতো না কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়ে করাটা উচিৎ হয় নি তার। শত্রুপক্ষ যদি একবার জেনে যায় যে আয়াশ খান বিয়ে করে ফেলেছে তাহলে ইচ্ছের ক্ষতি করতে পারে তারা। নিজের শত্রুদের নিয়ে আয়াশ চিন্তিত নয়, সে চিন্তিত ইচ্ছের অপরিচিত শত্রুদের নিয়ে যারা ইচ্ছেকে শেষ করে দিতে চায় অর্থাৎ ইচ্ছেকে মেরে ফেলতে চায়। নিজের এই একটা ভুলের কারণে সে আরও বেশি করে ইচ্ছের জীবনটাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিল। এসব চিন্তা করে রাগে ওয়াইনের গ্লাস ফ্লোরে ছুঁড়ে ফেললো আয়াশ। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে সারা ঘরে ছড়িয়ে গেল কাঁচের ভাঙা অংশগুলো। রাগে নিজের মাথার চুল টেনে ধরলো।
ফোন নিয়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়ালো ইচ্ছে। শোভনের নম্বর বের করে তাকে কল দিল। তিন-চারবার রিং বাজার পর কল রিসিভ হলো। ইচ্ছে উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো,
-“মিস্টার শোভন একটা গুড নিউজ আছে।”
-“কী গুড নিউজ?”
-“আয়াশ খান বিয়ে করে ফেলেছে।”
কথাটা শোনা মাত্রই রেগে গেল শোভন। চিৎকার করে বললো,
-“হোয়াট! কাকে? আর এটা তোমার কাছে গুড নিউজ মনে হচ্ছে? সিরিয়াসলি!”
-“আগে আমার পুরো কথাটা তো শুনবেন!”
-“আর কী শোনার বাকি আছে? আয়াশ বিয়ে করে ফেলেছে এর মানে তোমার প্রতি এখন আর কোনো ইন্টারেস্ট ওর নেই। আর তুমিও এখন আমার কোনো কাজের নও।”
-“উফফো! আপনি একটা যা তা! কথা না শুনেই লাফালাফি শুরু করে দিয়েছেন। আপনি এইরকম শর্ট টেম্পার নিয়ে ব্যাঙ্গালোর এর নামকরা বিজনেসম্যান হয়েছেন! আই কান্ট বিলিভ দিস।”
-“কী মিন করতে চাইছো তুমি?”
-“আমি বলতে চাইছি আপনি আমার সম্পূর্ণ কথাটা আগে শুনুন তারপর রিয়্যাক্ট করবেন।”
-“এখন আর কী শোনার বাকি আছে?”
-“এই যে আয়াশ খান বিয়েটা আমাকেই করেছে।”
-“হোয়াট!”
শোভন যেন মুহূর্তেই বাক্যহারা হয়ে গেল। এরকম কিছু শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না সে। আয়াশ বিয়ে করে নিয়েছে, তা-ও ইচ্ছেকে! ওপাশ থেকে শোভনের কোনো রেসপন্স না পেয়ে ইচ্ছে কিছুটা চিন্তিত হলো।
-“হ্যালো! আপনি ঠিক আছেন?”
-“সত্যি আয়াশের সাথে তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে?”
-“হ্যা। এই ঘন্টাখানেক আগেই ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেছি আমরা।”
শোভন উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো,
-“গ্রেট! তুমি যে এতটা বুদ্ধিমতি আমি আগে বুঝতে পারিনি। সিরিয়াসলি এবার আমার মনে হচ্ছে না, আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিয়্যর যে তুমিই পারবে আয়াশকে ধ্বংস করতে।”
-“আমাকে পারতেই হবে।”
-“বাই দ্যা ওয়ে! আয়াশ রাজি কীভাবে হলো তোমাকে বিয়ে করতে?”
-“ইট’স মাই ম্যাজিক।”
ফোনের ওপাশ থেকে হেসে উঠলো শোভন। বললো,
-“যাও তাহলে। এখন হাজবেন্ডের সেবা-যত্ন কর। তার সাথে কিছু মধুর সময় কাটাও। তাকে বুঝাও যে তুমি ডার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েছো। একটা মুহূর্তও এখন আর চলে না তোমার আয়াশকে ছাড়া, এটা বুঝাও ওকে। তারপর আয়াশকে শেষ করা পানির মতো সহজ হবে।”
-“ঠিক আছে, আপনাকে পরে ফোনে করব এখন রাখছি।”
কল কেটে ফোন সাইলেন্ট করে তোশকের নিচে রেখে দিল ইচ্ছে। আজকে মনটা তার একদম ফুরফুরে। মুডটা হঠাৎ করে ভীষণ ভালো লাগছে। নিজেকে অনেকটাই উঁচুতে মনে হচ্ছে তার। আয়াশকে সে ধ্বংস করার সহজ পদ্ধতি পেয়ে গিয়েছে। এর থেকে শান্তির আর কী হতে পারে? পা দুটো বাইরে রেখেই বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিল ইচ্ছে। একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে চোখ বুঁজে ফেললো সে।
মুহিব এসে আয়াশের কাঁধে হাত রাখতেই আয়াশ মাথা নিচু রেখেই বললো,
-“আমি জেনে বুঝে কী করে এই কাজটা করতে পারলাম মুহিব? আমি ইচ্ছেময়ীকে আগলে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও এই চেষ্টাটা করে যাব। কিন্তু এখন আমি ওকে বিয়ে করে ওর সাথে সাথে নিজেকেও বিপদে ফেলে দিয়েছি। আমার বিপদ নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম না কখনোই। কিন্তু এখন চিন্তা হয়। আর তার একমাত্র কারণ আমার ইচ্ছেময়ী। যদি আমার কিছু হয়ে যায় তাহলে ওর খেয়াল কে রাখবে? কে ওকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবে? আমি চাইলে বিয়ের ব্যাপারটা গোপন রাখতে পারতাম। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়। ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বের হওয়ার সময় আমি আমার কিছু শত্রুদের দেখেছি আর সাথে কিছু মিডিয়াও ছিল। বডিগার্ড সাথে ছিল না বলে কিছু বলতেও পারিনি আমি। এতক্ষণে ইচ্ছেময়ীর বেনামী শত্রু আর আমার শত্রুরা হয়তো খবর পেয়ে গিয়েছে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে। আমি কী করব এখন বল?”
-“ভাই শান্ত হও তুমি প্লিজ! ইচ্ছের কিচ্ছু হবে না। তুমি তো আছোই সবসময় ওর পাশে ঢাল হয়ে থাকার জন্য। আর আমিও আছি। তোমার ইচ্ছেময়ীর কোনো ক্ষতি আমরা হতে দিব না ভাইয়া। শুধু তুমি শান্ত হও। আর এখন এসব ভেবেও লাভ নেই। বিয়েটা তো হয়েই গিয়েছে। তুমি বাসায় এসেই দরজা বন্ধ করে বসে আছো। ওদিকে ইচ্ছেরও কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।”
মুহিবের কথায় চমকে উঠলো আয়াশ। দ্রুত সোফা ছেড়ে উঠে বিচলিত হয়ে বললো,
-“কী হয়েছে আমার ইচ্ছেময়ীর? কোথায় ও?”
-“রিল্যাক্স ভাই। ইচ্ছে কোথাও যায় নি বাড়িতেই আছে সে। আসলে আমি বলতে চাইছিলাম যে তোমার মতো ইচ্ছেও বাড়িতে এসেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত একবারও রুম থেকে বের হয় নি। দুইবার নক করেছিলাম কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাইনি।”
ঘাবড়ে গেল আয়াশ। মুহিবের উপর চিল্লিয়ে উঠলো সে। বললো,
-“তুই এতক্ষণে আমাকে এই খবর দিচ্ছিস! যখন দেখলি ইচ্ছেময়ী দরজা খুলছে না তখন আমাকে জানানো উচিৎ ছিল তোর। ইডিয়ট! সর সামনে থেকে।”
আয়াশ এক দৌড়ে ইচ্ছের রুমের সামনে এসে পর পর কয়েকবার নক করলো দরজায়। কিন্তু ইচ্ছের কোনো সাড়াশব্দ পেলো না। ভয় পেয়ে গেল আয়াশ। ইচ্ছেময়ী নিজের কোনো ক্ষতি করে বসে নি তো! এসব ভেবে আয়াশ আর এক মুহূর্তও দেরি না করে নিজের রুমে গিয়ে গান নিয়ে এসে দরজার লক বরাবর গুলি করতে গেলেই ভেতর থেকে দরজা খুলে গেল। আয়াশ ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তাকে বুকের মাঝে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
ইচ্ছে বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে আছে মুহিবের দিকে। মুহিব আয়াশের পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিল। মুহিব ইচ্ছেকে ইশারা করে বুঝালো ইচ্ছের কপালে দুঃখ আছে। তা বুঝে একটা শুকনো ঢোক গিললো ইচ্ছে। আয়াশ তাকে ছেড়েই ধমকে জিজ্ঞেস করলো,
-“কোথায় ছিলে এতক্ষণ? কখন থেকে দরজায় নক করছি? কানে শুনতে পাও না না-কি!”
আয়াশের চিৎকারে কেঁপে উঠলো ইচ্ছে। ভয় পেয়ে আমতা আমতা করে বললো,
-“আমি ঘুমোচ্ছিলাম তাই খেয়াল করি নি।”
এবার কিছুটা শান্ত হলো আয়াশ। ইচ্ছেকে আবারও জড়িয়ে ধরে বললো,
-“চিন্তা হয় আমার বুঝো না কেন? তোমাকে এক মুহূর্তও নিজের চোখের আড়াল করলে আমি নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাসও নিতে পারি না। প্লিজ আমাকে কখনো ছেড়ে যেও না। আমি তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি আমি তোমাকে ছাড়া মরে যাব এটাও সত্যি। তুমি বিহীন জীবন আমি কখনো চাই না। যদি কোনোদিন তোমাকে হারিয়ে ফেলি তো আমি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিব। এই প্রতিজ্ঞা আমি নিজের কাছে অনেক আগেই করে ফেলেছি। আই লাভ ইউ ইচ্ছেময়ী।”
আয়াশ আরও শক্ত করে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরলো ইচ্ছেকে। ইচ্ছে আবেশে চোখ বুঁজে পড়ে আছে আয়াশের বুকের মাঝে। আয়াশের কথাগুলো যেন তার মনের মাঝে দাগ কেটে গিয়েছে। এই লোকটা এত ভালোবাসে তাকে! ইচ্ছে বুঝলো না কখন তার হাতজোড়া আয়াশের পিঠে চলে গিয়েছে। কিছুক্ষণ সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকার পর ইচ্ছেকে ঠেলে রুমে ঢুকিয়ে আয়াশ নিজেও রুমে ঢুকে পড়লো। মুহিব কিছু বলতে গেলে তার মুখের উপর ঠাস করে দরজাটা লাগিয়ে দিল আয়াশ। বেআক্কলের মতো দাঁড়িয়ে রইলো মুহিব। মাথা চুলকে আশেপাশে তাকিয়ে হালকা কাশি দিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলে গেল ওখান থেকে।
চলবে….
“ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”
নোটঃ আসসালামু আলাইকুম। আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। হাই প্রেশার আর মাথাব্যাথার কারণে গত দু’দিন ফোন থেকে দূরে ছিলাম তাই গল্প দিতে পারিনি। গত তিনদিনে এইটুকুই লিখতে পেরেছি তাই এতটুকুই পোস্ট করে দিলাম। পর্বটা ছোট হওয়ার জন্য আমি দুঃখিত। চেষ্টা করব আগামীকাল থেকে প্রতিদিন দেওয়ার। গল্পটা বেশি বড় হবে না। ইনশাআল্লাহ ১৫-২০ পর্বের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।