অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ১৫

0
1629

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ১৫
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

কথার সাথে রিলেশন হয়ে যায়। তারপর থেকে চুটিয়ে প্রেম। কিন্তু কথা অনেক চালাক বিয়ের আগে কিছু দিতে নারাজ। তাই কথাকে ভুলানোর জন্য তাদের বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর হঠাৎ একদিন দেখি, তোবা আমাকে ফলো করছে। আমিও তার সঙ্গ দিলাম। তোবা আমাকে প্রপোজ করলে আমি কথার কাছাকাছি যাবার জন্য রাজি হয়ে যায়। আর ফ্রি জিনিস ছাড়া ভালোনা। তোবাকে নিয়ে মন মত কয়দিন ইনজয় করতেই, বোকা মেয়ে অন্তঃসন্তা হয়ে যায়। যার দরুণ এবারশন করতে হয়। ডাক্তার বলেছে এবারশনের পর থেকে ওই মানসিক অসুস্থ। বাকি রইলো কথা, কথার শরীরের প্রতি লোভ দিন দিন বাড়তে লাগলো আমার। কিন্তু সালি অনেক চালাক বিয়ের আগে কিছু দিতে নারাজ, তাই মিথ্যা কাজি অফিসে নিয়ে গোপনে বিয়ে করি।যা নামেমাএ তারপর কথার সে কাক্ষিত দেহটাকে নিজের করে পায়। কিন্তু এত পাপ যে আল্লাহও সয় না তাই মা – বাবাকে কেড়ে নিলো। মরণব্যাধি ক্যান্সার হয়েছে শরীরে, তাই আর বাঁচবোনা ক্ষমা করে দেস।
.
সজিবেরর দিকে এখন তাকিয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারলামনা। ফেলকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে একটা ছুড়ি সজিবের ঠিক কলিজা বরাবর ডুকানো!
.
ভাবতেই পারিনি সজিব নিজের বুকে নিজেই ছুড়ি চালিয়ে দিবে। আমি তো সজিবকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। আজ মারতে এসেও মারতে পারিনি। কারণ পারিনি বন্ধু হয়ে বেঈমান বন্ধুর বুকে ছুড়ি চালিয়ে দিতে,। কারণ মহান আল্লাহ্ তায়ালা যে নিজ হাতে তাঁর বিচার করেছে। মা- বাবাকে কেড়ে নিয়েছে সজিবের। তাঁরপর আবার মরণ ব্যাধি ক্যান্সার দিয়েছে আল্লাহ্। এর চেয়ে বড় শাম্তি আর পৃধিবীতে কী হতে পারে। তাই নিজের পকেটের ছুড়ি রেখেও বুকে টেনে নিয়েছি। এখন সজিবের দিকে তাকাতেই বুকটা কষ্টে ফেঁটে যাচ্ছে। অপরাধী হলেও সে তো আমার বন্ধু ছিল। ছিল কলিজার একটা অংশ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফ্লো, দোঁড়ে গিয়ে রুমাল দিয়ে বুক ধেকে ছুড়িটা বের করতেই দেখি,ছুড়ির মাথায় সজিবের কলিজার একটু অংশ লেগে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখে, নিজের অজান্তেই চোখের পানি নিরবে ঝরছে। কলিজা টা ফেঁটে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে চিৎকার দিয়ে কাঁদি। এই দোস্ত তুই কেনন এমন করলি? আমি তো তোকে ক্ষমা করে দিয়েছি। দোস্ত চল তোকে বাঁচতে হবে আবার বন্ধুকে বাঁচতে হবে।
.
দোস্ত প্লিজ আমাকে কিছু বলতে দে! আমি জানি, আমার সময় শেষ হয়ে আসছে। দোস্ত জানিস আমি যে বড় অন্যায় করে ফেলেছি। যে পাপের শাস্তিতে, মা- বাবাকে কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিলো আল্লাহ্। তবুও আল্লাহ্ তায়ালার কাছে শুকরিয়া যে আমার পাপের ছাঁয়াতল থেকে তাড়া মুক্তি পেল। তারপর আমাকে ব্ল্যাড ক্যান্সারের মতো একটা ছোট্ট রোগ দিলো, যা মৃত্যুর অগ্রিম টিকেট। আমি যে ব্ল্যাড কান্সার নিয়েও প্রতিনিয়ত অনুশোচনায় ভোগছি।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
জানিস দোস্ত আমি মা- বাবা মরার পর একটি রাতও ঘুমাতে পারিনি। প্রায় প্রতি রাতেই ভয়ংকর কিছু স্বপ্ন দেখতাম।জানিস দোস্ত, মা- বাবা স্বপ্নেও আমাকে ছেলে বলে দাবী দেয়না। তারা বলে আমার মতো পাপী নাকী দুনিয়াতে নেই। বল দোস্ত আমি পৃথিবীতে বেঁচে থেকেও মৃত। দোস্ত প্রতিরাতে কণা স্বপ্নে আমার মৃত্যু কামনা করতো, বল তো দোস্ত আমি কীভাবে বেঁচে থাকি। আমি সবাইকে বলে যায় কেউ কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করো না। কারণ তাঁরা ভালবাসার মানুষটার ভালবাসা পাওয়ার জন্য নিজের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্দ সতিত্ব তাঁর ভালবাসার মানুষের হাতে নিরবে তুলে দেয়। তারা চায় তাদের ভালবাসার মানুষ যেনো তাঁদেরকেই ভালোবাসে। তাই নিজের শেষ সম্বল, নিজের সতিত্বটাও দিতে কাপণ্যবোধ করে না। আমরা ছেলেরা একটু আনন্দ লাভের জন্য, একটা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।কী লাভ, এসব করে, একসময় দেখা যাবে আমার মতো অবস্হা হবে তোমাদের সকলের। বেঁচে থেকেও প্রতিনিয়ত মৃত্যুর অপেক্ষা করতে হবে।আমি চাইনা আর কারো অবস্হা আমার মতো হোক।
.
এই দোস্ত কী বলছিস চুপ করবি তুই। প্লিজ চুপ কর,আমার বন্ধুনা তুই, তোকে ছাড়া আমি কেমনে বাঁচবো।
.
দোস্ত,আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। দোস্ত তোকে মরার আগে একটা অনুরোধ করবো?
.
হুম কর, কি করবি?
.
দোস্ত আমার মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ কর! আচ্ছা এই যে তোর মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ করলাম।এবার বল।
.
দোস্ত, তুই তো কথাকে নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসতি?
.
আরে কে বলছি না’তো আমি কেন ভালোবাসতে যাবো। যেদিন আমাকে কলেজের সবার সামনে থাপ্পর দেয়, সেদিন থেকেই কথাকে ভুলে যায়। কথা নামে কেউ আমার জীবনে ছিল,সেটাও ভুলে যায়।
.
দোস্ত তাহলে,কেন অতিথি পাখি নাম দিয়ে চিঠি লিখতে। কেন লুকিয়ে কাঁদতি। কেন ওকে না দেখলে পাগল হয়ে যেতি। দোস্ত আমি জানি তুই কথাকে বড্ড বেশি ভালোবাসিস।
.
কি বলছিস সজিব কথা তোর বিয়ে করা বউ।
.
না’রে আর কত চোখের জল লুকাবি। এখনো তোর চুখে কথার জন্য ভালোবাসা ঝলমল করছে। তোর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া প্রতিটি , অশ্রুকণা তে কথার অসিত্ব বুঝা যাচ্ছে।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
সজিব তুই থামবি, কথা তোর বিয়ে করা বউ, আমার কাছে কথার পরিচয় কথা আমার বন্ধু সজিবের বউ।
.
দোস্ত আর কত দিয়ে যাবি আমাকে, কোন মাটি দিয়ে তৈরী করেছে তোকে মহান আল্লাহ তায়ালা। আজও কি পৃথিবীতে তোর মতো বন্ধু কেউ পেয়েছে। আমি পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় অভাগা যে তার বন্ধুর ভালবাসার মূল্যটুকু দিতে পারেনি। দোস্ত কাল কিয়ামতের দিন তুই আমাকে বন্ধু বলে পরিচয় দিস,। মহান আল্লাহ্ তায়ালা জানিনা আমাকে ক্ষমা করবে কিনা। আল্লাহ্ তায়ালা পেয়ারা হাবিব, কাল কেয়ামতের দিন আমাকে উম্মত বলে পরিচয় দিবে কিনা। আমি যে পাপী, মহাপাপী আমি।
.
দোস্ত আল্লাহ্ তোকে ক্ষমা করবে তিনি যে মহান।
.
আচ্ছা দোস্ত! তুই কথাকে এতো ভালোবাসার পরও আমার করে দিলি। বুকে এক বুক কষ্ট পাথর চাপা দিয়ে। জানিস দোস্ত,কথাকে আমি সত্যি বিয়ে করিনি। কাগজ পএ কাজী সবকিছু ফেইক ছিল। শুধু কথার শরীরটা ভোগ করার জন্য এমন নোংরা খেলায় নেমেছিলাম। জানিনা এ অপরাদের ক্ষমা আছে কিনা। জানিস দোস্ত কথা, আড়াই মাস এর অন্তঃসন্তা। আমার অবৈধ সন্তান কথার গর্ভে বড় হচ্ছে। দোস্ত কথা এসব জানলে আমাকে কবর থেকে তুলে হলেও খুন করবে,তার সতীত্বের ঝাঝ মেটাতে। দোস্ত আমি চাইনা সবার মতো কথার জীবনটাও নষ্ট হয়ে যাক। কথাও কণার মতো গলায় দঁড়ি দেখ। প্লিজ আমার অনুরোধটা রাখ,কথাকে তুই যেভাবে পারিস বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দে প্লিজ। আমার একটা পাপের ভাগীদার হয়ে এই পাপ টা আমার মোচন করার সুযোগ দে। দোস্ত না করিস না প্লিজ। আমাকে ক্ষমা করে দে। তোর পবিএ ভালবাসা কে নিয়ে আমি নোংরা খেলায় মেতেছিলাম। ক্ষমা করে দে। দোস্ত আমার মাথা ছুয়ে কসম কর যে কথাকে বিয়ে করে, তাঁর গর্ভের সন্তানের বাবা হবি তুই। সমাজে পরিচয় পাবে আরেকটি অবৈধ সন্তানের। সবাই বলবে না ঐটা জারজ সন্তান। সবাই বলবে ওই যে দেখ রাজের সন্তানটা কত কিউট হয়েছে। প্লিজ দোস্ত কসম কর মাথা ছুঁয়ে কথাকে বিয়ে করবি। ( সজিব)
.
এদিকে সজিবের কথা ফেলতে পারলাম না। কথাকে প্রথমত ভালোবাসি, আমার ভালোবাসা পবিএটা দিয়ে কথাকে আর তাঁর গর্ভের সন্তানকে পবিএ করে নিবো। আজ কথায় জায়গায় অন্য কোন নিঃশ্বাপ মেয়ে যদি বলি হতো তাহলেও তাকে হাসি মুখে বিয়ে করে নিতাম। কারণ মানুষ মানুষের জন্যে। দোস্ত তোর মাথা ছুঁয়ে প্রমিজ করলাম। কথাকে বিয়ে করে তোর সন্তানের পিতৃপরিচয় বহন করবো।
.
দোস্ত রাজ তুই আমার কাঁধ থেকে একটি পাপ মোচন করলি। দোস্ত আমি কিছু দেখতি পারছিনা কেন। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার দোস্ত মৃত্যু এত কষ্ট কেন। মনে হচ্ছে ভুতাঁ চাকু কেউ আমার কলিজাতে ডুকিয়ে দিচ্ছে। গরুর চামড়া যেমন করে মাংস থেকে আলাদা করে তেমন করে কে যেন আমার চামড়া আমার শরীর থেকে আলাদা করছে। দোস্ত আমাকে একটু বুকে নিবি।একবার বুকে নে তোর অপরাধী বন্ধুটাকে!( সজিব)
.
সজিবের কথা শুনে চোখ দিয়ে অঝরে নোনা জল বের হচ্ছে। কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে মনে হচ্ছে হৃদপিন্ডে কেউ ছুঁড়ি ডুকিয়ে দিয়েছে। কি করবো বামহাতে রুমাল দিয়ে ছুড়িটা বের করে সজিবকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।এদিকে সজিবের শরীরের শক্তি নেই, তবুও আমাকে বাহুডরে আবদ্ধ করে নিলো। কিছুক্ষণ পর সজিবের কোন শ্বাসঃপ্রশ্বাস নেই। হাতের স্পদর্ন দেখি নেই। সজিব আর জীবনে চোখ খুলবেনা। নিজের অজান্তেই সজিব বলে কেঁদে দিলাম।
সজিবকে ফ্লরে রেখে দিয়ে বাম হাতে ছুড়িটা নিয়ে দাঁড়ালাম। কি করবো ভাবতে পারছিনা। হঠাৎ খুন বলে পিছন থেকে কারো চিৎকার শুনতে পেলাম। পিছন দিকে চেয়েই দেখি কথা।ভয়ে তাঁর হাত পা কাপচ্ছে।
.
কাঁপতে কাঁপতে বললো” রাজ তুমি তোমার বন্ধুকে খুন করে ফেললে। আমি তোমাকে ছাঁড়বোনা। আমি তোমাকে ফাঁসিতে ঝুলাবো। ( কথা)
.
কথা প্লিজ বিলিভ করো, আমি খুন করিনি। সজিব নিজেই সু- সাইড করেছে।
.
ছিঃ লজ্জা করেনা খুন করেও। সামনে লাশ পড়ে আছে। হাতে রক্তাক্ত ছুড়ি, রক্তমাখা শরীর এর পরও খুন করনি বললেই কেউ বিশ্বাস করবেনা,যে তুমি খুনি নও।( কথা)
.
কথা প্লিজ আমাকে বিশ্বাস করো, আমার মায়ের কসম করে বলছি,সজিব সুসাইড করেছে। আমি তাকে খুন করেনি।
.
হা,হা,হা খুনিদের কী মা বাবাও আছে নাকি? খুনি তো সবসময় খুনিই হয়। তারা কারো সন্তান হতে পারেনা। তাদের জন্মের দোষ। তারা সমাজের জারজ সন্তান। আর তুই খুনি। রাজ তোর গলায় আমি ফাঁসির দড়ি ঝুলাইয়ে ছাঁড়বো। এটা আমার চ্যালেন্জ।( কথা)
.
এদিকে কথার মুখে জারজ সন্তান কথাটা শুনে, নিজেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবছি এভাবে বললে কখনো বিশ্বাস করবে না। তাই ব্ল্যাকমেল করতে হবে। আচ্ছা খুন সজিবকে আমি করেছি। এখন তকে খুন করবো। তকে না শুধু তোর আদরের ছোটবোন তোবাকেও। কারণ একটা খুন করলেও ফাঁসি, দশটা খুন করলেও ফাঁসি। তাই যদি ফাঁসিতে ঝুলতেই হয়, তোকে খুন করেই ঝুলবো। কথাটা বলে ছুড়িটা কথার গলাতে ধরলাম।খুব কষ্ট হচ্ছে কথার করুণ মুখটা দেখে। কিন্তু কি করবো? সত্যটা যে আজ মিথ্যার আড়ালে ঢাকা। এ ছাড়া যে আমার কোন উপায় নেই।
.
প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও। আমি কিছু দেখেনি। আর সজিব নিজেই সুসাইড করেছে। তুমি করনি। (কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলল কথা)
.
মনে থাকবে তো?
..
হ্যাঁ মনে থাকবে! ( কথা)
.
ওই আবার কাঁদছিস। একদম কাঁদবিনা। এর পরের দিন সজিবের দাফন হয়ে গেলে। কথাকে এক সপ্তাহ পর ফোন দিয়ে বলি যে আমাকে যদি বিয়ে না করে তাহলে তোমার গর্ভে যে সজিবের সন্তান এটা কেউ বিশ্বাস করবেনা। কারণ তোমাদের বিয়ের কোন ডুকোমেন্ট নেই। আর সবাই তোমাদের সন্তানকে জারজ সন্তান বলবে। এ লজ্জা,, ঘৃণায় তোমার বাবা সুসাইড করবে। তোমার বোনকে কেউ বিয়ে করবেনা। বল তুমি বিয়ে করবে নাকি তোমার গর্ভে অবৈধ সন্তান তা তোমাদের সবাইকে বলে দিবো?
.
কথা সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বিয়েতে স্বীকার হয়েছিল। বাসায় এসে শাওয়ার ছেড়ে চিৎকার করে কান্না করেছিলাম। কীভাবে পেয়েছি,আমার কলিজার টুকরা,আমার ভালবাসার মানুষকে কাল কাঁদাতে। কিন্তু এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না আমার।
.

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলেও কোনদিন কথার ভালবাসা পায়নি। পায়নি স্বামীর বিন্দুমাএ অধিকার। মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠে জ্যোৎস্নার দিকে চেয়ে কাঁদতাম। সারাটা জীবন কথা শুধু আমাকে ভুলই বুঝে গিয়েছে। তোবার গুছিরে মিথ্যা কথা বলার জন্য, কথার সে অকাট্য গালি এখনো কানের কাছে বাজে। খুব ভালো লেগেছিল,নিউ মার্কেট মুড়ের পিচ্চি মেয়ের হাতের সেই বকুলের মালা,এক জোড়া কানের দুল। কিন্তু সে গুলো কথা পড়েনি, বকুল ফুলের মালা কথার খোঁপাতে শোভা না পেয়েছে তার পায়ের তলায়। ভালবেসে আনা কানের দুল, ঝুমকো জুড়া কথার কানে ঠাঁয় পায় নি পেয়েছে ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনার ভিড়ে। খুব কষ্ট হয়েছিল, সেদিন,অনেক কান্নাও করেছি। তবে যেদিন তোবা আমাকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করলো আর কথা তার বাহবা দিলো সেদিন খুব কষ্ট হয়েছিল।কষ্টে বুকটা ফেঁটে গিয়েছিল। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট পেয়েছি সেদিন,যেদিন কথা আমাকে মারার জন্য নিপুণ প্ল্যান করেছিল সেদিন। নিজের ভালবাসার মানুষের হাতে কয়জনই বা মরতে পারে তাও এতটা ভালোবেসে। তাই সবটা জেনেও, নিজে কথাকে সন্দেহের হাত থেকে বাঁচাতে সুসাইডড নোট লিখি। চোখের জলে সুসাইড নোট টা ভেঁজে গেলেও মনটাকে এ বলে স্বান্ত্বনা দেয় যে, ভালবাসার মানুষের হাতেই মৃত্যু হবে। তাও যাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবেসেছি তাঁর হাতে।জানো কথা যেদিন আমাকে দুধের সাথে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে হয়তো জীবনের শেষ খাওয়া খাওয়াও সেদিন তোমাকে অনেক সুন্দর লাগবে হয়তো । অবাক নয়নে তাঁকিয়ে থাকবো তোমার দিকে। জানিনা কতক্ষণ তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবো কি না?
.
আজকে রাতটাই হয়তো আমার শেষ রাত। তাই দিনের বেলাতেই কিছু ভবিষ্যত লিখে গেলাম। আর হ্যাঁ আমার মেয়েটার নাম রাইসা রাখবে কিন্তু। আর তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, জানিনা ক্ষমা করবে কিনা তবুও বলছি ক্ষমা করে দিয়ো আমায়।জানিনা কোনদিন আমার লেখা ডাইরিটা তোমার হাতে পরবে কিনা। তবে ডাইরিটা যেন তোমার হাতে যাই সেই প্রার্থনা করি আল্লাহর কাছে। সময় ভালো থেকে” বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায়”!
ইতি ” অতিথি পাখি”
” কথা ডাইরিটা পড়ে কান্না থামাতে পারছেনা। এতটা ভালোবাসার পরও রাজকে সে অবজ্ঞা করেছে। দিনের পর দিন অপমান করেছে। অভিশাপ দিয়েছে। শেষে নিজে হাতে ঘুমের ওষধ খাওয়াইছে। কথার চোখের পানিতে ডাইরিটা ভেঁনজে যাচ্ছে। কথা রাজের শাটটা গায়ে দিয়ে রয়েছে। বুকে ডাইরি, আর ফুপিয়ে কাঁদছে। বার বার রাজের ডাইরিটাকে চুমু খাচ্ছে। রাজের ডাইরিটা এবং তার শার্টটা গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে যায়।
.
হঠাৎ রিত্ত দৌঁড়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো ভাবী ও ভাবী” ভাইয়া মারা গিয়েছে”। ভাবী আমার ভাইয়াকে আর কি ভাইয়া ডাকতে পারবোনা?”
.
তোবার কথা শুনে কথার পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। পৃথিবীটা কেমন যেন অন্ধকার মনে হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর এমবুলেন্স করে রাজের লাশ নিয়ে আসলে কথা গিয়ে দেখি কফিনের ভিতরে রাজকে খুব সুন্দর লাগছে। আর কখনো রাজ তাকাবেনা সেই ভালবাসার দৃষ্টি নিয়ে “”

#_____________চলবে________________


#কোনো গল্পের পর্ব খুজে না পেলে সর্বশেষ পোস্ট কমেন্ট করে জানাবেন।



#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here