অপূর্ণতা পর্ব ২১+২২+২৩+২৪+২৫

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_২১_২৩

নিলয়ের কথা শুনে অদ্রিতার দেড় বছর আগের কথা মনে পরে গেল।না চাওয়া সত্ত্বেও তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। নিলয় অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে অদ্রিতার দিকে।সে কিছুতেই বুঝতে পারছে না অদ্রিতার কথা মানে আর অদ্রিতাও কিছু বলছে না দেখে, সে আবারও বললো…

আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি প্লিজ আন্সার মি?তুমি যখন আমার চরিত্র নিয়ে এত গুলো কথা বলতে পারলে আমারও তো জানার অধিকার আছে আমি কি এমন করেছি যার জন্য আমাকে এইসব কথা বলছো? আমার কথার উত্তর দাও?

অতীত……..
আজ দুইদিন হয়ে গেল নিলয়ের কোন খুঁজ নেই। তার ফোনও সুইচঅফ এমন তো কখনো করে না।ওনী কোনো বিপদে পরেনি তো।এইসব ভেবে অদ্রিতার মন অস্থির হয়ে উঠলো।
হঠাৎই পিছন থেকে অদ্রিতার চোখ দু-হাত দিয়ে হাল্কা করে চেপে জিজ্ঞেস করলো,”চিনতে পারছিস?”

অদ্রিতা একটু রেগে বললো,,,, হাত সরা বলছি।তোর কি মনে হয় পেছন থেকে ধরলেই আমি বুঝতে পারবো না কে তুই।দেখ আজকে এমনেই আমার মন ভালো নেই তার উপরে তোর এইসব দুষ্টমি আমার একদম ভালো লাগছে না?

অথৈ একটু সিরিয়াস ভাবে জিজ্ঞেস করে,” কি হয়েছে তোর? মন ভালো নেই কেন?”

কিছু হয়নি এমনি….

তুই না বললেও আমি বুঝতে পারছি কি হয়েছে। নিশ্চয়ই নিলয় ভাইয়ের কথা ভাবছিস।তোকে অনেক আগেই ওনার সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চেয়েছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি।নিলয় চৌধুরী হলেন কলেজের ওনারের ছেলে তাছাড়া ওনার বাবা শহরের সবচেয়ে বড় বিজনেসম্যান তাই ভয়ে তোকে কিছুই বলতে পারিনি। যদি কলেজ থেকে বের করে দেয় তবে কি জবাব দিতাম মা- বাবাকে? এইটুকু বলে বিষন্নতা ভরা দৃষ্টিতে অদ্রিতার দিকে তাকায়।

অদ্রিতা কিছুটা অবাক হয়ে বলে,’ মানে?’ কি বলছিস্ তুই আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। প্লিজ হেয়ালি না করে পরিস্কার করে বল?

অথৈ কিছুক্ষন চুপ থেকে পরে বলে,”তবে শুন…নিলয় চৌধুরী মেয়েদের ঠকায় তাদের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে পরে তাদের ছেড়ে চলে যায়।এমন করে সে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। তাদের সাথে রাত কাটিয়েছে পরে তাদের ছোড়ে ফেলে দিয়েছে।আর তোর কি করে মনে হলো ভার্সিটিতে এত সুন্দর সুন্দর মেয়ে থাকতে নিলয় তোকে পছন্দ করবে…ওর পিছনে তো ভার্সিটির কত সুন্দরী মেয়েরা ঘোরে । ও শুধু তোর মন নিয়ে খেলা করেছ৷ যেমনটা সে আমার সাথে করছে। কথাগুলো বলতে তার চোখে পানি চলে এসেছে।

অথৈ এর কথা গুলো শুনে আদ্রিতা থমকে যায়। সে কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলে। তবুও নিজেকে শান্ত করে বলে,,, আমি তোর কোনো কথা বিশ্বাস করি না।তুই মিথ্যা বলছোস্। আমি ওনাকে অনেক ভালো করে চিনি ওনী আমাকে ছাড়া আর কোনো মেয়ের সাথে কখনো কথা বলেনি। আর আমি জানি ওনী অনেক ভালো কোনো মেয়ের জীবন কিছুতেই ওনার জন্য নষ্ট হতে পারে না।ওনী আমাকে স্পর্শ করা তো দূরের কথা কখনো বাজে নজরে আমার দিকে তাকাই নি পর্যন্ত। এমন একজন মানুষ সম্পর্কে তুই কি করে মিথ্যা কথা বলতে পারিস্?

অথৈ মনক্ষুন্ন করে বলে, “আমি জানতাম তুই আমার কথা বিশ্বাস করবি না তাই তো আজ সব প্রমান সহ এসেছি। নিলয় আমার সাথেও ভালোবাসার অভিনয় করেছে। আমাকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছে, আমাকে ঠকিয়েছে তুই তো জানিস্ যে আমি সুইসাইট করতে চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিল যে আমি বেঁচে গিয়েছি।”

হুমম… কিন্তু তার সাথে নিলয়ের কি সম্পর্ক ওই সময় তুই কিছু বলিস্ নি? তবে এখন এইসব কেন বলছোস্?

তখন অনেক ভয় পেয়ে ছিলাম যার কারণে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। এমনকি আমার পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত এইসবের কিছুই জানে না।
তোর ভাগ্য ভালো যে নিলয় তোর সাথে কিছু করে নি। শুধু তোর সাথে অভিনয় করছে এখন তো সে বিদেশে চলে গেছে মজা করতে। তোর কথা হয়তো তার মনেও নেয় আর তুই তার কথা ভেবে কষ্ট পাচ্ছিস।তার জন্য চিন্তা করছিস্।

অদ্রিতা গম্ভীর স্বরে বলে,” আমি তোর কোন কথাই বিশ্বাস করি না। আমি প্রমান দেখতে চাই? কি হলো আমাকে না বলছিলে তোর কাছে সবকিছুর প্রমান আছে। তো তা না দিয়ে অযথা এত কথা বলার কোনো মানে তো দেখছি না।”

আমি জানতাম তুই এমনটাই বলবি। তবে দেখ…. এইটা বলে অথৈ তার ফোন থেকে কতগুলো ছবি আর ম্যাসেজ বের করে অদ্রিতাকে দেখালো।
যা দেখে অদ্রিতার পায়ের নিচের থেকে মাটি সরে গেল।তার বিশ্বাস, ভালোবাসা এক নিমিষেই শেষ হয়ে গেল….ম্যাসেজ….

অথৈঃ নিলয় তুমি এইসব আমার সাথে কেন করছো? তুমি তো জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। তুমি শুধু বলো আমার কি ভুল হয়েছে। আমি চেষ্টা করবো তা ঠিক করার তবুও এভাবে মাঝ রাস্তায় আমাকে ছেড়ে চলে যেওনা।আমি তো তোমার কোন চাওয়াই অপূর্ণ রাখিনি। তবে কেন এখন আমার সাথে এমন করছো?

নিলয়ঃআমি তোমাকে কোনো দিনও ভালোবাসি নি। তোমার মতো মেয়ে আমার যোগ্য না। তোমার থেকে হাজার গুন সুন্দরী আর স্মার্ট মেয়ে আমার পিছনে ঘুরে, তুমি কি করে ভাবলে তোমাকে আমি ভালোবাসি… How fool you are!তোমার থেকে আমার যা দরকার ছিল তা আমি পেয়ে গেছি। এখন তোমাকে আমার দরকার নেই আর ভুলেও এইসব কথা কাউকে বলতে যেও না। তুমি তো জানোই বললে এর ফল কি হতে পারে।

অথৈঃপ্লিজ নিলয় আমার সাথে এমনটা তুমি করো না। তবে মরা ছাড়া আমার কাছে আর কোন উপায় থাকবে না। তুমি যা বলেছো আমি তো তাই করেছি। নিজের সবটা তোমাকে ভালোবেসে উজার করে দিয়েছি। তবে এখন এইসব কেন বলছো? আমি তো তবে শেষ হয়ে যাবো। কাউকে মুখ দেখাতে পারবো না। বলো তুমি সব মজা করছো,,

নিলয় তাচ্ছিল্য করে বলে মজা করছি না বেবি।আই এম সিরিয়াস। তুমি তো জানোই নিলয় চৌধুরী মজা করা মোটেও পছন্দ করে না আর বাকি রইল তোমার মরার কথা।তোমাকে দিয়ে এখন আমার আর কোনো কাজ নেই। তোমার থেকে আমার যা চাই তা আমি পেয়ে গেছি তাই এখন তুমি বেঁচে থাকো বা মরে যাও আই যাস্ট ডোন্ট কেয়ার। এন্ড আমি যা বলছি তা যেন মনে থাকে তার ব্যতিক্রম হলে এর পরিমাণ কি হতে পারে তা তো তোমার ভালো করেই জানা আছে বেবি।

অদ্রিতা আর কিছু পড়তে পারলো না। তার চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি পরছে।
.
.
.
চলবে……
#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_২২

অদ্রিতা আর কিছু পড়তে পারলো না।তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরছে।
তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না নিলয় তার সাথে এমনটা করতে পারে।কেন সব সময় তার সাথেই এমন হবে?নিলয় কেন তাকে এই ভাবে ঠকালো, কেন তার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করলো?কেন সব কষ্ট তাকেই পেতে হবে?সে তো কখনো কারো কোন ক্ষতি করেনি তবে তার সাথেই কেন সব সময় এমন হয়। ওনাকে তো আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। কি করে পারলেন আমার বিশ্বাস আর ভালোবাসা নিয়ে এইভাবে খেলতে?কান্না করছে আর মনে মনে এই কথাগুলো ভাবছে।

অথৈ শান্তনা দিয়ে বলে প্লিজ শান্ত হ, এইভাবে কেন কান্না করছিস্। নিজেকে সামলা, ভুলে যা নিলয়কে। আসলে ও তোর ভালোবাসার যোগ্যই না তুই মিছামিছি এততা কষ্ট পাচ্ছিস। যে তোকে ঠকিয়েছে,তোর মন নিয়ে খেলা করেছে, তুই কেন তার কথা ভেবে কষ্ট পাবি। তুই ও তাকে দেখিয়ে দে… তুই ওকে ছাড়া ভালো থাকতে পারিস্।প্লিজ আর কান্না করিস্ না। চল আজ তোকে বাড়িতে পৌঁছে দেই….

অদ্রিতা হাত দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে বলে অথৈ আমি ঠিক আছি তুই যা,আমি একাই যেতে পারবো।

অথৈ শান্ত স্বরে বলে আমি জানি এখন তোর মনের কি অবস্থা, তার উপরে তোকে একা রেখে আমি কি করে চলে যাবো, এততা স্বার্থপর আমি না। আমি কিছুতেই তোকে এখানে একা রেখে যেতে পারবো না।

অদ্রিতা রেগে বলে আমি বলছিতো আমি ঠিক আছি। তুই এখন যা এখান থেকে.. আমাকে একটু একা ছেড়ে দে।একটু জোরেই কথা গুলো বললো।প্লিজ যা বলছি.. আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।

অথৈ আর কিছু না বলে সেখান থেকে একটু সামনে চলে আসে মুখে শয়তানি হাসি দিল।অদ্রিতাকে কষ্ট পেতে দেখে তার অনেক ভালো লাগছে। নিলয় এখন তুমি কি করবে?আমাকে রিজেক্ট করার ফল তোমাকে ভোগ করতেই হবে।এই অদ্রিতার জন্য তুমি আমাকে অপমান করেছো। আমার ভালোবাসাকে রিজেক্ট করেছো আর আজ থেকে অদ্রিতা তোমাকে ঘৃণা করবে। তোমাকে ভালোবাসা তো দূরের কথা হাজার চেষ্টা করলেও তুমি এখন তাকে তোমাকে বিশ্বাস করাতে পারবে না….

অথৈ ভাবতে থাকলো আগের কথা……
ভার্সিটির প্রথম দিন একটি ছেলের দিকে তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পারেনি নি সে একধ্যানে তাকিয়ে ছিল তার দিকে।ছেলেটি হাইট ৬ ফুট বা তার একটু বেশি হবে, ফর্সা দেখতে অসম্ভব সুন্দর। কালো শার্ট এর সাথে মেচিং করে কালো বেজার আর কালো প্যান্ট পরা। হাতে ব্যান্ডেড ঘড়ি যে কোনো মেয়ে দেখলেই হয়তো তার প্রেমে পরে যাবে।আর অথৈও কম না.. দুধে আলতা গায়ের রং, সিল্কি চুল একদম কমোর পর্যন্ত পরে, লম্বাও ভালোই, দেখতেও অনেক সুন্দরী, মর্ডান কিন্তু একটু অহংকারী। বাবা – মায়ের একমাত্র মেয়ে তাই কখনো তার কোনো চাওয়া অপূর্ণ থাকেনি আর তাই হয়তো তার জেদটাও বেশি।প্রথম দেখায় সে নিলয়কে পছন্দ করে ফেলে আর যতদিন যেতে থাকে ততোই নিলয়কে পাওয়ার জেদটা যেন বেড়েই যায়।

নিলয় ছিল অন্যরকম…. কোনো মেয়ের ধারের কাছেও সে যেত না। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে কলেজে সে একমাত্র অদ্রিতার সাথেই ভালো করে কথা বলতো। তার সাথে হেসে হেসে গল্প করতো এইসব দেখে নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে অদ্রিতার সাথে বন্ধুত্ব করে।কারণ অদ্রিতা ছিল কালো তার উপরে তার চালচলনে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়াই ছিল না। তার পরিবারও ততটা ধনী না, এমন কোনো মেয়ের সাথে সে বন্ধুত্ব করবে তা সে ভাবতেই পারতো না কিন্তু শুধু নিলয়ের কাছে যাওয়ার জন্য সে অদ্রিতার সাথে বন্ধুত্ব করে।

একদিন সে ভাবে আজ সে নিলয়কে তার মনের কথা বলেই দিবে কিন্তু কি করে? নিলয় তো তার সাথে ভালো করে কথাই বলে না। তাই সে ভাবলো একমাত্র অদ্রিতার কথা বললেই নিলয় রাজি হবে। আর কিছু না ভেবেই সে নিলয়কে অদ্রিতার নাম করে বিকালে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলে আর নিলয়ও অদ্রিতার কথা শুনে রাজি হয়ে যায়…….
.
.
.
চলবে……

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_২৩

অথৈ এর দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী নিলয় বিকালে সেখানে পৌঁছে যায়। আজ প্রথম এইভাবে অদ্রিতার সাথে সে দেখা করতে যাচ্ছে তাই একটু নার্ভাস লাগছে তার। গাড়ি থেকে নেমে রেস্টুরেন্টের ভিরতে ঢুকলাম। রেস্টুরেন্টেটা পাঁচতলা,অনেক বড় ও সুন্দর।যদিও রেস্টুরেন্টটা শহরের ভিতরে তবুও জায়গাটা অনেকটা নিরিবিলি।পরিবেশটা অনেক ভালো…

অদ্রিতার কথামতো চারতলার একটা দরজা ঠেলে ভিতরে গেলাম। বাহিরের থেকে ভিতরে কিছু দেখা যাচ্ছে না,আমি কিছু না ভেবে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরেও পুরো অন্ধকারে ঘেরা। কিচুক্ষন পর হঠাৎ সামনে লাইট জ্বলে উঠলো,পুরো রুমটা খুব সুন্দর করে সাজানো বেলুন আর ফুল দিয়ে। রুমের ঠিক মাঝখানে একটি টেবিল আর তার দুইপাশে দুটো চেয়ার রাখা। টেবিলটা খুব সুন্দর করে সাজানো,,,,,,,
টেবিলে ঠিক মাঝখানে একটি ফুলোর টোরা রাখা,,, তবুও গোলাপি আর সাদা রঙের গোলাপ দিয়ে পুরো টোরাটি সুন্দর করে সাজানো অসম্ভব সুন্দর লাগছে। একটু সামনে যেতেই দেখি,,,, একটি মেয়ে চেয়ারে বসে আছে। গোলাপি রঙের গ্রাউন পরা চুল গুলো ছাড়া। সিল্কি চুল গুলো বাতাসে উড়ছে। পেছন থেকে দেখে নিলয় অনেকটা অবাক হলো।অদ্রিতা তো কখনো বোরকা ছাড়া কোথায় বের হয় না তবে আজ এইভাবে চুল ছেড়ে সুন্দর করে সেজে এসেছে তার কি কারণ?
তাই সে দ্রুত মেয়েটির সামনে যায় আর সামনে গিয়ে মেয়েটিকে দেখলো!

নিলয় মেয়েটিকে দেখে অবাক হয়ে বললো,” অথৈ,,,,,,, তুমি এইভাবে এখানে কি করছো আর অদ্রিতাইবা কোথায় ,,,সব কিছু এমন করে সাজানো কেন?”

হুমম,,,, আমি। দুঃখিত মিথ্যা কথা বলে আপনাকে এখানে আনার জন্য। আসলে এখানে আপনাকে আমি ডেকেছি, অদ্রিতা না। আপনাকে কিছু বলার ছিল যার জন্য এমনটা করেছি।

নিলয় অবাক হয়ে গম্ভীর স্বরে বললো মানে,,,,,,কি বলতে চাইছো তুমি পরিস্কার করে বলো?

অথৈ লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে বলে, “যেদিন কলেজে প্রথম আপনাকে দেখি সেদিনই আপনাকে আমার ভালো লাগে। এই ভালো লাগা কখন যে ভালোবাসায় রুপ নেয় তা আমি নিজেও জানি না কিন্তু আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। এখন আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
আমি চাই আমার জীবনের সব #অপূর্ণতা গুলোকে আপনি আপনার ভালোবাসার ছোঁয়া দিয়ে পূর্ণতা দেন।
I really love you.Will you marry me?
Please don’t say no.I really love you a lot,,,,,,❤❤❤❤”

নিলয় রাগে ভ্রু কুঁচকে বলে, “এইসব কি বলছো তুমি? মাথা ঠিক আছে তোমার।পাগল হয়ে গেছো নাকি? আমি তোমাকে ভালোবাসি না,আর সরি কখনো ভালোবাসতে পারবো না।”

নিলয়ের কথা শুনে অথৈ অপমানিত বোধ করে। তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরে। নিজেকে সামলিয়ে সে বলে, “কেন? কি এমন নেই আমার মাঝে যে আপনি আমাকে ভালোবাসতে পারবেন না।আমি কি সুন্দরী নই,মর্ডান নই? বলেন কোন দিক দিয়ে আমি আপনার যোগ্য নই!প্লিজ টেল মি….”

নিলয় নিজেকে শান্ত করে বলে,”এই সব কিছু না।তুমি যথেষ্ট সুন্দরী।সব দিক দিয়ে একদম পারফেক্ট। যে কোন ছেলে তোমাকে দেখলে তোমার প্রেমে পরে যাবে।কিন্তু আমার পক্ষে তোমাকে ভালোবাসা কিছুতেই সম্ভব না। ”

কেন সম্ভব না?

কারন আমি একজনকে ভালোবাসি আর তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।সো প্লিজ আমার থেকে দূরে থাকবে আর ভুলে যাও আমাকে। এটাই তোমার জন্য ভালো হবে।

অথৈ গম্ভীর স্বরে বলে,” কে সে,নাম কি?”

নিলয় কন্ঠে গম্ভীর্যতা এনে বলে,”আমি তোমাকে তার নাম বলতে বাধ্য নই তবু্ও বলছি।. সে হলো অদ্রিতা। তাকে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি আর সে ছাড়া অন্য কোন মেয়ে আমার লাইফে কখনো আসবে না। ”

অথৈ তাচ্ছিল্য হেসে বলে, “আপনি অদ্রিতাকে ভালোবাসেন। হাসি পেলো কথাটি শুনে। তার সাথে আপনার কোন মিল নেই। সে দেখতে আপনার মতো সুন্দর না। কালো, তার মাঝে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া নেই,গেয়োঁ মেয়ে কোথাকার, তার পরিবার গরিব আপনাদের মতো ধনী নয়। এমন একটি মেয়েকে কি করে ভালোবাসতে পারেন?”

অথৈ আরো কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিলয় রেগে বলা শুরু করে,,

Shut up,,,,,,, I say just shut up.তোমার সাহস কি করে হয় অদ্রিতার সম্পর্কে এমন কথা বলার? অদ্রিতা তোমার মতো না সে অনেক ভালো তার মন মানসিকতা, আচার-ব্যবহার অনেক ভালো। সবচেয়ে বড় হচ্ছে সে মানুষকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করতে পারে।তোমার মতো অহংকারী আর সো কোল্ড আধুনিকতার কোন ছোঁয়া তার মাঝে নেই। ফিউচারে কখনো আমার আশেপাশে যাতে তোমাকে না দেখি।আর যদি কখনো আমার আর অদ্রিতার মাঝে আসার চেষ্টা করো তবে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।গট ইট,,,

নিলয় আর কিছু না বলে রাগে চলে গেল। পিছুন থেকে অথৈ অনেক বার ডাকলো কিন্তু নিলয় একবারের জন্যও ফিরে তাকালো না,,,
.
.#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_২৪_২৫

নিলয় আর কিছু না বলে রেগে সেখান থেকে চলে গেল।পিছন থেকে অথৈ অনেক বার ডাকলো কিন্তু নিলয় একবারের জন্যও ফিরে তাকালো না। অথৈ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে নিলয়ের যাওয়ার দিকে। সে ফ্লোরে বসে পড়লো।ভালোবাসার মানুষের কাছে প্র্যাতাখ্যান হওয়া এতটা কষ্টের আর যন্ত্রণার তা আগে কখনো বুঝতে পারিনি।আসলে জীবনে কোন কিছু চাওয়ার আগেই তা নিজের হাতের কাছে পেয়েছি তাই কোন জিনিস চাওয়া পরেও না পাওয়ার কষ্ট কেমন হয় তা জানতাম না। কিন্তু আজ আমি এই কষ্টটা হারে হারে তের পাচ্ছি।আমার মা- বাবা পর্যন্ত কখনো আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলেনি আর এই নিলয়ের সাহস কি করে হয় আমাকে এইভাবে অপমান করার? আমার ভালোবাসাকে রিজেক্ট করার আর এই সব কিছুই হয়েছে শুধুমাত্র অদ্রিতার জন্য! আমি কাউকেই ছাড়বো না। এর ফল তাদের দুই জনকেই ভোগ করতে হবে। আমিও দেখবো আমার ভালোবাসাকে গ্রহন না করে নিলয় আর অদ্রিতা কি করে নিজেদের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেয়। আমি যখন নিলয়কে নিজের করে পাই নি এই অদ্রিতাও কখনো তাকে নিজের করে পাবে না।আমি ঠিক যতটুকু কষ্ট পয়েছি তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি কষ্ট তাদেরকে সহ্য করতে হবে।just wait and see,,,,,,,,,,,,,,

আজ অদ্রিতাকে এইভাবে কান্না করতে দেখে অথৈ এর অনেক ভালো লাগছে। সে তার অপমানের প্রতিশোধ নিতে পেরেছে, এইভেবে নিজের মনের ভিতর অসম্ভব শান্তি লাগছে তার। তবুও পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাইনি সে, এখন শুধু অপেক্ষা নিলয়ের ফিরে আসার।নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে অপমানিত হওয়ার, নিজের ভালোবার মানুষের কাছে ঘৃণার মানুষ হয়ে থাকা কতটা কষ্টের আর যন্ত্রণার তা নিলয় এইবার হারে হারে তের পাবে।তখনি আমার প্রতিশোধ পূর্ণ হবে।এই ভেবে মুখে শয়তানি হাসি দিয়ে অদ্রিতাকে সেখানে রেখে অথৈ চলে যায়।

অদ্রিতা তখনো সেখানে বসে অঝোড়ে কান্না করতে থাকে। কেন জানি তার মন বলছে নিলয় তার সাথে এমনটা করতে পারে না কিন্তু চোখের দেখা কি করে ভুল হতে পারে? তাছাড়া অথৈই বা তাকে মিথ্যা কথা কেন বলবে? সে যতই এইসব ভাবছে তার বুকের ভিতরে জ্বলে – পুরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। জীবনে তো সে কম কষ্ট পায়নি।কালো হওয়ার জন্য তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে, অনেক অপমানিত হতে হয়েছে। ছোট বেলায় তার দাদা- দাদি যখন তার ভাই আর বোনের জন্য সুন্দর সুন্দর ড্রেস আনতো, তাদের নিয়ে ঘুরতে যেত, তখন সেও বায়না ধরতো তাকে সুন্দর ড্রেস কিনে দেওয়ার জন্য, তাকেও তাদের সাথে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তখন তারা বলতো সে নাকি অনেক কালো,তাকে এইসব ড্রেসে মানাবে না আর বাহিরে ঘুরতে নিয়ে গেলে মানুষ নাকি হাসাহাসি করবে তার থেকে ভালো বাড়িতে থাকা।তখন তার খুব খারাপ লাগতো কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এইসব কিছুই তার সয়ে গেছে।

কিন্তু আজ নিলয়ের দেওয়া কষ্টটা কিছুতেই ভুলতে পারছে না।যদি জানা থাকতো কাউকে ভালোবাসলে এতটা কষ্ট পেতে হয় তবে সে কখনো কাউকে ভালোই বাসতো না।জীবনে তার না পাওয়ার খাতায় আরেকটি নতুন জিনিস যোগ হলো।সে এখন কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।তার মন চাইছে সে এতক্ষন যা দেখেছে যা শুনেছে তার সব কিছুই যেন কোন দুঃস্বপ হয় যাতে ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথে সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু জীবন তো আর কোন সিনেমা না যে সে যা চাইবে তাই হবে। জীবনের প্রতেক ক্ষেএেই থাকে বাস্তবতা দিয়ে গেরা আর এই বাস্তবটা অনেক কঠিন আর যন্ত্রণাদায়ক।মানুষের জীবনে যেমন সুখ থাকে তেমনি দুঃখ ও থাকে কিন্তু সুখ যত তাড়াতাড়ি জীবন থেকে হারিয়ে যায় দুঃখ তত তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায় না।আর মানুষের মন ভেঙে গেলে যে কষ্ট হয় তা শুধু সেই বুঝতে পারে যার মন ভেঙেছে।

এখন তার নিজেকে অনেক অসহায় বলে মনে হচ্ছে। আজ তার কি আর বা করার আছে শুধু কান্না করা ছাড়া।মনে মনে ভাবছে…..
সে কেন কান্না করছে?এমন এক মানুষের জন্য যার কাছে তার ভালোবাসার কোন মূল্য নেই, তার জন্য যে তাকে ঠকিয়েছে, তার জন্য যে শুধু তার মন নিয়ে খেলেছে। এমন কারো জন্য কান্না করা, কষ্ট পাওয়া সত্যিই তার সাজে না।নিজেকে অনেক কষ্ট করে শান্ত করে সে বাসায় চলে যায়। সারাদিন কিছু খায়নি বাসায় গিয়েও কিছু না খেয়ে রুমে গিয়ে দরজা লক করে শুয়ে পরে তার মা তাকে অনেক ডাকাডাকি করার পরেও সে কিছু খায়নি।বিছানায় শুয়ে সে আবারও কান্না করতে থাকে।সে নিজেকে যতোই বুঝানো চেষ্টা করোক না কেন মনকে তো আর বুঝানো যায় না। একদিনে তো আর সবকিছু ভুলা যায় না, তার জন্য তো সময়ের প্রয়োজন।

অদ্রিতাকে এইভাবে গভীর ভাবনায় ধুবে থাকতে দেখে নিলয় একটু জোরেই বলে,,,

কি হয়েছে তোমার?এইভাবে কান্না কেন করছো? আমি তো তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি তার উওর দেও?প্লিজ টেল মি… what did i do?
.
.
.
চলবে……..,

#গল্প_অপূর্ণতা
#Ritu_Bonna
#পর্ব_২৫

কি হয়েছে তোমার?এইভাবে কান্না কেন করছো? আমি তো তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি তার উওর দেও? please tell me….what did i do?

নিলয়ের কথা শুনে অতীত থেকে বের হলাম।অনেক কষ্ট করে আমি নিজেকে সামলিয়েছি, সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করেছি। আমি চাই না অতীতে করা কোন ভুলের জন্য আমার বর্তমান আর ভবিষ্যতে কোনো পবলেম হউক।আমি আরিয়ানের বিবাহিত স্ত্রী আর আমি চাই না আরিয়ান আমাকে কোন কারণে ভুল বুঝক।ওনী এখন মানুক আর নাই মানুক আমি ওনার বিবাহিত স্ত্রী এবং আমার উপর এখন শুধু তারই অধিকার আছে অন্য কারো নয়।আমার বিশ্বাস আমার ভালোবাসা দিয়ে একদিন নিশ্চয়ই আমি ওনার মন জয় করে নিব।

অদ্রিতা গম্ভীর স্বরে বলে, “আমি আপনার কোনো প্রশ্নের দিতে বাধ্য নই।আপনি কে যে আপনাকে আমার জবাবদিহি করতে হব? Don’t cross your limit, আমি আপনার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলছি কিন্তু তাই বলে আমার ভদ্রতাকে কোনো ভাবে আমার দূর্বলতা ভাবার ভুল করবেন না। তবে এর ফল অনেক খারাপ হবে।আপনি কি করছেন তা আপনি ভালো করেই জানেন। আমার মুখ থেকে তা শুনার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না।আমার সামনে থেকে সরে দাঁড়ান,,, আমাকে এখন যেতে হবে আমার স্বামী আমার জন্য ওয়েট করছে,,,,,,,,,,

এই বলে অদ্রিতা নিলয়কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।

নিলয়ও আর কোনো কথা বলেনি শুধু অদ্রিতার যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। অদ্রিতার ব্যবহারে আজ সে অনেক কষ্ট পেয়েছে। তার নিজের অজান্তেই তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। সাধারণত শত কষ্ট হলেও ছেলেদের চোখ দিয়ে পানি পরে না তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কিন্তু আজ নিলয় নিজেকে কোনভাবেই সামলাতে পারছে না। কোনভাবেই অদ্রিতার করা অপমানগুলোকে ভুলতে পারছে না।সে তো এমন কোন বড় ভুল করেনি যার জন্য অদ্রিতা তাকে এইভাবে অপমান করলো। তার চরিত্র নিয়ে এইভাবে বাজে কথা বললো। এতদিন সে কোথায় ছিল? কি অবস্থার মধ্যে ছিল তা জানার কোন চেষ্টা করেনি?আজ তার অদ্রিতার উপর অনেক রাগ হচ্ছে।অদ্রিতা এতদিনে আমাকে এই চিনলো? এই বুঝলো সে আমাকে। সে কি করে ভাবতে পারলো আমি কোন মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারি?
তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি কখনো তোমার আর আরিয়ানের মধ্যে কোন সমস্যা সৃষ্টি করবো না, আমি এততাও খারাপ না যততা খারাপ তুমি আমাকে ভাবো। আমি তোমার সামনে কোনদিনও আসবো না।
দূরে থেকেই তোমাকে ভালোবাসবো। কাউকে ভালোবাসার মানে এই নয় তাকে নিজের করে পেতেই হবে আমি চাই তুমি যেখানেই থাকো না কেন ভালো থাকো। তবেই আমি ভালো থাকবো।আমি চাই না তুমি আমাকে খারাপ ভাবো তাই আমার সম্পর্কে তোমার যা ভুল ধারণা আছে তা আমাকে ভাঙতেই হবে। তুমি তো আমাকে কিছু বলবে না আর সত্যি না জানা পর্যন্ত আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবো না।
নিজেকে নির্দোষ প্রমান করা না পর্যন্ত আমি আর তোমার সামনে আসবো না।ভালো থেকো তুমি,,,

নিলয় সেখানে আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।

অন্যদিকে আরিয়ানের অদ্রিতার জন্য টেনশন হচ্ছে। অনেকক্ষন তো হলো ওয়াশরুমে গেছে,এখনো কেন আসছে না?গিয়েকি একবার দেখবো।
আরিয়ান চেয়ার থেকে উঠে অদ্রিতাকে আনতে যাবে এমন সময়ই দেখে অদ্রিতা আসছে তাই আর না উঠে চেয়ারেই বসে থাকে…….

অদ্রিতা তার হাতের রুমাল দিয়ে চোখ- মুখ মুছে টেবিলে গিয়ে বসতেই আরিয়ান জিজ্ঞেস করে,,,,,

এতক্ষন লাগে সামান্য একটু বোরকা পরিস্কার করতে। সবার খাওয়া শেষ, সেই কখন থেকে তোমার জন্য ওয়েট করছি। অনেক রাত তো হলো বাড়িতে যাবে না… নাকি,,,,এই রেস্টুরেন্টে থাকার কোনো ইচ্ছে আছে…..

অদ্রিতা আরিয়ানকে দেখেই বুঝে যায় সে রেগে আছে, কিন্তু কিছু বলতে পারছে না,না জানি বাড়িতে গিয়ে আবার কি করে।সে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে,”হুমম, যাবো তো।সরি,, একটু লেট হয়ে গেছে।”

মাহিরা মজা করে বলে দুলাভাই দেখছি এখনি আমার আপুকে চোখে হারায়।একদিনই তো আমাদের সাথে আছে কাল থেকেই তো আপনার সাথে থাকবে। একদিন না হয় আমরা গল্প করেই কাটিয়ে দিবো। আপনার যদি কোন আপত্তি না থাকে ভাইয়া। ভাইয়াকে দেখে মনে হলো একটু রেগে আছে তাই একটু মজা করে বললাম।

মহিরার কথা শুনে আরিয়ান আর কিছু বললো না। হয়তো একটু লজ্জা পেয়েছে। তাই শুধু বললো…
আজ অনেক গল্প করেছি আবার অন্যদিন করবো।অনেক রাত হয়েছে এখন চলো যাওয়া যাক।এই বলে আরিয়ান গাড়িতে গিয়ে বসলো এবং তার পিছনে সবাই গিয়ে গাড়িতে বসলো।

প্রায় আধা ঘন্টা পরে তারা বাড়িতে গিয়ে পৌঁছালো।
দরজায় নক করার সাথে সাথেই তার মা দরজা খুলে দিলো।

মা আরিয়ানাকে দেখে বললো,,,, যাও বাবা, গিয়ে ফ্রেস হয়ে রেস্ট নাও।

আরিয়ানঃ হুমম….. ( আর কিছু না বলে সোজা অদ্রিতার রুমে চলে গেল)

এতক্ষন তোরা কোথায় ছিলি সেই বিকালে বের হইছোট আর এখন রাত ১০ টা বাজে। সেই কখন থেকে তোদের জন্য অপেক্ষা করছি ফ্রেস হয়ে খেতে আয়।

মাহিরা কান্ত স্বরে বলে, “আমরা খেয়ে এসেছি আর এখন ঘুমাবো আমাকে আর ডাকবে না।এই বলে সে নিজের রুমে চলে যায় আর রোহিতও কিছু না বলে তার নিজের রুমে চলে যায়।”

অদ্রিতাঃ মা,,,,, তুমি আর বাবা খেয়ে নাও। আর আমরা কাল সকালেই চলে যাবো।আসলে ওনার অফিসে কোন দরকারি কাজ আছে তাই তার থাকতে পারবো না।

অদ্রিতার মা মন খারাপ করে বলে,”তাই বলে আর একদিনও থাকবি না।তুই তো থেকে যেতে পারস্। জামাইয়ের সাথে আমি কথা বলবো।”

তা হয় না। অন্য কোনো সময় না হয় আবার আসবো……….
.
.
.
চলবে…….
.
চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here