#অবুঝ_ছাত্রী
#লেখক_IR_Iman_Islam
#part_27
(26পর্বের পর থেকে )
ঠাস ঠাস ঠাস এই তোকে না বলতেছি এখান থেকে যা।শুনতেছিস না কেনো।
তুমি আমাকে মারতে পারলে।(কান্না করতে বলতেছি )
হে মেরেছি (রাগ উঠার কারনে মেরে দিয়েছি )
তারপর রাফিজা রূম থেকে কান্না করতে করতে চলে গেলো।আমি বিছানায় গিয়ে বসলাম এটা আমি কি করলাম রাফিজার শরীলে হাত তুললাম। রাগ কেনো যে উঠে গেলো বুঝতেই পারতেছি না।এখন নিজের মাথার চুল নিজেই ছিরতে ইচ্ছা করতেছে।
আমি ঈমানের থাপ্প খাওয়ায় কেদে ফেলেছি।কি করেছি আমি শুধু তো কিচ এই করছি এই জন্য আমাকে থাপ্পর মারলো।আমি আমার রূমে এসে চিত হয়ে সুয়ে পড়লাম আর কান্না করতেছি।
না আমি রাফিজাকে মেরে ভূল করলাম।কেমন করে মারলাম এই হাত দিয়ে।যাকে আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালো বাসি তাকে আমি মারলাম।এই কথা ভাবতেছি আর রূমে বসে আছি।ওর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এখন যাবো না।এমনিতেই তো দেখা হবেই একই বাড়িতে থাকি যখন।দুপুরে গোসল করে রূমে সুয়ে সুয়ে ফোনে কাটুন দেখতেছি।হানি বানি এই কাটুনটা আমার খুবেই প্রিয় তাই বসে বসে দেখতেছি।হঠাৎ কে জেনো দরজায় শব্দ করতেছে।আমি তো মনে করছিলাম রাফিজা হবে কিন্তু দরজা খুলে দেখি আন্টি দারিয়ে আছে।
বাবা চলো দুপুরের খাবার খাবে।তোমার আংকেল বসে আছে তোমার অপেক্ষায়।
তাই আন্টি।
হুম বাবা।
তাহলে চলেন তারাতারি।আংকেল আমার জন্য যখন বসে আছে।আমি আন্টির পিছনে পিছনে যাচ্ছি কিছুদূর যাইতেই দেখতেছি রাফিজা যেই রূমে থাকে সেই রূমের দরজা বন্ধু।কিন্তু রাফিজা তো কখনো দরজা বন্ধ করে রাখে না।
কি হলো বাবা দাড়িয়ে গেলে যে।
না আন্টি চলেন।
ওকে আসো।
আন্টির সাথে খাবার টেবিলে পর্যন্ত আসলাম।এসে দেখি রাফিজা যে চেয়ারে বসে সেই চেয়ারটা ফাকা।আমি তো সরমে বলতে পারতেছি না যে রাফিজা নাই কেনো।
কি দেখতেছো বাবা।
মানে আন্টি
কি রাফিজার কথা বলতেছো।
জ্বি
কি যেনো ওর হয়েছে।সকাল থেকে কিছু খায় নাই।আমি ডাকতে গিয়েও ও আসছে না।ওর বার বার বলতেছে আমার খুদা নাই আমি খাবো না।কিছুক্ষন আগেও ডেকেছি কিন্তু আসতেছে না।আবার দরজা বন্ধ করে আছে।
তাই আন্টি।তাহলে আপনি এক কাজ করেন এক প্লেট ভাত দেন আমি ওকে খাওয়াতে পারি কি না।
দেখো তো বাবা চেষ্টা করে একটু খায় নাকি।
তাহলে প্লেটে ভাত তরকারি দেন আমি নিয়ে যাচ্ছি।
ঠিক আছে।
আন্টি আমাকে ভাতের প্লেট টা দিয়ে দিলেন।আমি নিয়ে রাফিজার রূমের সামনে গিয়ে বলতেছি,
রাফিজা দরজাটা খুলো তো দেখো তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
আমার সারপ্রাইজের দরকার নাই তুমি তোমার জিনিস নিয়ে যাও আর আমি দরজা খুলবো না।
সত্যি দরজা খুলবে না।
না খুলবো না।
তাহলে আমি আবার ঢাকায় চলে যাচ্ছি।তুমি রূমে বসে থাকো।আমি জানি এটা বললে দরজা খুলে দিতে দেরি হবে না।
আমি গেলাম থাকো তুমি।এই কথা বলে দরজার পাশে একটু আড়ালে লুকাইলাম রাফিজা জেনো দেখতে না পারে।একটু পরেই দেখতেছি দরজা খুলার শব্দ পাইলাম।দেখতেছি রাফিজা দরজা খুলে বাহির হয়ে দেখতেছে আমি আছি নাকি চলে গেছে।
সত্যি কি চলে গেলো ঢাকায় আমাকে একা করে।
হঠাৎ আমি দরজার আড়াল থেকে বাহির হয়ে দেখি রাফিজা আমাকে দেখে ভয় পেয়েছে।ভয় পেয়ে মনে হয় আরো রাগ উঠে গেছে রাফিজার।চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে রাগে।মনে হচ্ছে আমাকে খেয়ে ফেলবে।আমাকে কিছু না বলে দেখতেছি আবার ও রূমে ঢুকতেছে তাই আমিও ওর সাথে ঢুকলাম যদি আবার দরজা বন্ধ করে দেয়।ও গিয়ে বিছানায় বসলো আমিও গিয়ে ওর পাশে গিয়ে বসলাম।
আচ্ছা কেউ কি আমার উপর রাগ করে সকাল থেকে না খেয়ে আছে।
আমি তোমার উপর রাগ করবো কেনো।এমনিতেই না খেয়ে আছি আর আমি তোমার কে হই যে রাগ করে থাকবো।
কে হও আমার সেটা বৃহস্পতিবারে দেখতে পাবে ।মনে মনে বলতেছি।সেটাই তো তুমি তো আমার কেউ না।তাই আমার উপরে রাগ না করে খাবার এনেছি খেয়ে নাও।
না আমি খাবো না।তুমি এগুলো নিয়ে যাও।
রাফিজা আমার রাগ উঠাবে না কিন্তু।খাইতে বলতেছি খাও।
খাবো না আমি।
প্লিজ খাও না।
ওকে এক সর্তে খাইতে পারি।
আবার খাওয়ার সময়ও সর্ত।আচ্ছা বলো কিসের সর্ত।
আমাকে খাইয়ে দিতে হবে তাহলে আমি খাবো।
ওকে।ফাদে পড়ে খাওয়ায় দিচ্ছি।আমি হাত ধুয়ে রাফিজাকে খাইয়ে দিচ্ছি আর ও আমাকে খালি দেখতেছে।এ আমার দিকে কি দেখো হে।
তোমাকে দেখতেছি।
আমাকে কি আগে কখনো দেখো নাই।
দেখেছি তো কিন্তু আগে ঈমান আর এখনকার ঈমান আলাদা।
তাই,দুইটা ঈমান নাকি।
না একটাই।
ও খালি বক বক করতেছে আর আমি খালি হআর না বলতেছি।এভাবে রাফিজাকে প্লেটের অর্ধেক ভাত খাওয়ায় দিয়েছি তাতেই রাফিজা বলতেছে আমি এখন আর খাবো না।
কেনো অর্ধেক খেয়েছো তো তাহলে আর অর্ধেক কে খাবো।
কেনো আর অর্ধেক আমি তোমাকে খাওয়ায় দিবো।
দেও প্লেট টা।
রাফিজা প্লেট টা আমার হাত থেকে ওর হাতে নিয়েছে।ভাই কি আনন্দ না থাকতেছে ভালোবাসা মানুষের হাতে খাওয়া।কিন্তু ওকে বুঝতে দিলাম না।রাফিজা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আমি খাচ্ছি।খাইতে মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসলো তাই ভাবছি এবার আমার মুখে ভাত দিলে রাফিজার কামরিয়ে ধরবো।যেই কথা শেষ কাজ কামড়িয়ে ধরেছি ওর হাতে।
আহ এই তুমি আমার হাতে কামড়িয়ে ধরলে কেনো।
ছরি ভূল করে ধরেছি
।
ভূল করে নাকি ইচ্ছা করে হে।
আরে সত্যি বলতেছি ভূল করে হয়েছে।ঠিক আছে।তারপর রাফিজা আমাকে অর্ধেক ভাত খাওয়ায় শেষ করলো।
আমি তাহলে আমার রূমে গেলাম বায়।
আরে এখানে আছো ত সমস্যা কিসের।
না অনেক সমস্যা আছে আমি গেলাম।আমি আর একটুও সময় ওর রূমে থাকি নাই কারন আর একটু পরে ওর ফাজলামি শুরু হবে তাই।
দেখতে দেখতে চলে গেলো তিনটি তিন।কিন্তু রাফিজাকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দিতেই পারলাম না।আর দুই দিন বাকি আছে বৃহস্পতিবার আসতে।এই দুই দিন কষ্ট মনে হয় না দিতে পারবো না।কেমন করে কষ্ট দিবো ওর চোখের দিকে তাকালেই একটা মায়া কাজ করে এই মায়ার কারনে কষ্ট দিতে পারি না।হঠাৎ দেখতেছি ফোনটা বাজতেছে হাতে নিয়ে দেখী মা ফোন দিয়েছে
আসসালামু লাইকুম মা।
ওলাইকুম আসসালাম বাবা।কেমন আছিস।
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো মা তুমি।
বাবা আমিও ভালো আছি।
ওখানে গিয়ে তো আমাকে ভুলে গেছিস।
আরে কি যে বলো না মা।
তো বাবা আমার বউ মা কেমন আছে।আর তাকে কবে ঢাকায় আনবি আমার কাছে।
তোমার বউ মা ভালো আছে।আর দুইদিন অপেক্ষা করো তারপর ওকে নিয়ে যাবো তোমার কাছে।
ওকে।
তাহলে রাখি মা পরে কথা হবে।
ওকে বাবা আর শুন ওখানে থাকতে কোন অসুবিধা হচ্ছে নাকি তোর বাবা।
না মা কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
ঠিক আছে বাবা ভালোভাবে থাকি।
ওকে মা।তারপর মা ফোন কেটে দিলো বিছানায় বসে আছি।দেখতেছি রাফিজা আমার রূমে আসতেছে।
এই এই দারাও এখানে কেনো এসেছো যাও তোমার রূমে।
কথা বলতে আসলাম তোমার কাছে সোনা।
কিছুক্ষন আগেই তো কথা বলে আসলাম।তুমি যাও আমার রূম থেকে।
হয়েছে ঢং দেখাতে হবে।বাবা ডাকতেছে নিচে তোমাকে।
ঢং আমি দেখাই না।ওকে যাও আমি নিচে যাচ্ছি।
আরে থাকি না এখানে।
তাহলে থাকো এখানে আমি যাই।
(কালকেই শেষ করে দিবো।গল্পটা হেপি ইন্ট দিয়ে শেষ করবো।আর আপনারা চাইলে অবুঝ ছাত্রী 2 লিখতে পারি ঈমান আর রাফিজার বিয়ের পরে কি হবে।)
#চলবে,,,,,,?
(কেমন হয়েছে জানাবেন।আর ভূল হলে ক্ষমা করবেন ।ভাই কেউ next বলবেন না কেমন হয়েছে জানাবেন।আর আজকের পার্টটা পড়ে কেমন মনে হচ্ছে তা কমেন্টে বলবেন।কালকে পার্ট নির্ভর করবে আপনাদের কমেন্টের উপরে।কার কেমন মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।)