আবছায়া
writer::প্রিয়া
১৭
ইনায়ার খুশির শেষ নেই মা,বাবা সবাই ওদের মেনে নিয়েছে।
মা,বাবা বেশীক্ষণ সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারেনা।
সকাল ১০টায় আবেগ অরিত্রিদের বাড়ির সামনে যায় গাড়ি নিয়ে, অরিত্রি এসে গাড়িতে বসে।
অরিত্রি পিংক কালার শাড়ি পড়েছে চুলগুলো খোলা দক্ষিণা বাতাসে চুল খেলা করছে। আবেগের জায়গায় অন্যকেউ হলে নির্ঘাত প্রেমে পড়ে যেতো।
অরিত্রি ইনায়ার চাইতে কোনো অংশে কম না।
ফর্সা গোলগাল চেহারার মিষ্টি একটা মেয়ে সবার মন জয় করে নিতে পারে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।
-কোথায় যাচ্ছি আমরা।
‘বৃদ্ধাশ্রম।
-কেনো।
‘সেখানে গিয়ে দেখবি প্রিয় মানুষ ছাড়া ও বৃদ্ধ লোকগুলো বেঁচে থাকে।
আবেগ কিছু বলে না অরিত্রির সাথে যায়। সেখানে গিয়ে ওদের সাথে সময় কাটিয়ে আবেগ বুঝতে পারে নির্মম পৃথিবী কত ভয়ানক।
একসাথে সারাজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা করে যারা ঘর বাঁধে সন্তান জন্ম দেয় নিজেদের পুরো জীবনের সঞ্চয় দিয়ে যাদের মানুষ করে তারাই একসময় সেই দুজন মানুষকে বৃদ্ধ বয়সে আলাদা করে দেয়।
তবুও ওরা বেঁচে থাকে নির্দিষ্ট মৃত্যুর সময়ের অপেক্ষায়।
অরিত্রি এবার হাসপাতালে যায় আবেগকে নিয়ে।
বার্ণ,পঙ্গু, ক্যান্সার, হার্ট সব ইউনিটে নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে আবেগকে দেখায় বাঁচার আকুতি কাকে বলে।
আবেগ বাকরুদ্ধ অরিত্রি এবার পার্কের একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় আবেগকে।
-এবার তো বুঝেছিস মানুষ বাঁচার জন্য কত কি করে।আর তুই সামান্য ইনায়াকে পাসনি বলে ভেবে নিয়েছিস মরে যাবি।
‘মরে যাবো কখন বললাম।
-আমি তোকে খুব ভালো করে চিনি কাল তুই আমার বাসা থেকে বেড়িয়ে নিশ্চিত আত্মহত্যা করতি তাই তোর কাছে আমি আজকের সময় চাইলাম।
খাওয়া শেষ করে তুই আত্মহত্যার ভিডিও দেখছিলি ফোনে আমি সেটা লুকিয়ে দেখেছি।
আবেগ মাথা নিচু করে।
-মৃত্য সমাধান হতে পারে না।তোরে জীবনে অন্য কেউ আসবে সে তোকে অনেক ভালোবাসবে।
‘আমি আর কাউকে চাই না।
-পাগলামি করিস না আবেগ প্লিজ নিজেকে সামলা অন্তত তোর মা,বাবার কথা চিন্তা করে।
‘ঠিক আছি আমি।
-কথা দে আর এরকম চিন্তা মাথায় আনবি না।
‘ওকে প্রমিজ।
‘আমাকে ছুইয়ে কথা দে।
-এই যে তোর হাতে হাত রেখে কথা দিলাম।
অরিত্রি অনেক খুশি হয়ে আবেগ কে জড়িয়ে ধরলো।
-আবেগ আমায় কেমন লাগছে এই প্রথম শাড়ি পড়লাম।
‘আমার বন্ধুকে খারাপ লাগার কি চান্স আছে।
-ভালো লাগছে।
‘হ্যা রে খুব সুন্দর লাগছে।
আবেগ অরিত্রির দিকে মোটে ঠিক ভাবে তাকায়নি।
অরিত্রি এতেই খুশি।আবেগের ফোনে জরুরি কল আসলো।
-বাবা ফোন দিয়েছেন তাড়াতাড়ি যেতে বলছেন।চল তোকে বাসায় নামিয়ে দেয়।
‘তুই যা আমি যেতে পারবো।
কিছুক্ষণ বসে নির্জন প্রকৃতি দেখবো।
-তুই একা থাকবি।
‘আমি বাচ্চা না রে।
-ওকে ঠিক আছে যাচ্ছি আমি বেশিক্ষণ থাকিস না।
‘এতো টেনশন নিতে হবে না বাবু।
-থ্যাংকইউ এন্ড লাভ ইউ দোস্ত।
আবেগ চলে গেলো অরিত্রি মনে মনে বলছে ভালোবাসি রে অনেক ভালোবাসি।
পেছন থেকে কেউ একজন বললো।
-কেমন আছো আরু।
দুইদিন পর ওরা পুরো পরিবার ইনায়াদের বাড়িতে গেলো।আত্নীয়তার ক্ষেত্রে ওরা কোনো ত্রুটি রাখেনি
আইজানকে সবাই মেনে নিয়েছে মেয়ের সুখ সবাই চাই।
আইজানের মা-বাবাকে বলে ইনায়াকে দু দিনের জন্য রেখে দিলো ওদের বাসায়।
আইজানকে থাকতে বলেছিলো আইজান থাকেনি।
উৎসব মুখর পরিবেশ বাসায় সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া আড্ডা খুশির শেষ নেই।
রাতের খাবার শেষ করে সবাই ঘুমাতে গেলো।অনেকদিন পর নিজের রুমে ঘুমাতে পেরে শান্তি পাচ্ছে ইনায়া।
তবে ঘুম আসছেনা।আইজানের বুকে ঘুমিয়ে বদ অভ্যেস হয়ে গেছে।
ইনায়া খাট ছেড়ে উঠে টেবিলে গিয়ে বসলো নিজের বই-খাতা হাত দিয়ে নেড়ে দেখছে তখনি চোখ গেলো আনায়ার বইয়ের দিকে।
ইনায়া মুচকি হাসছে পাগলি আমার রুম দখল নিয়েছে।
ওর বরাবরই ইনায়ার রুম পছন্দ কারণ ইনায়ার রুমের সাথে ওয়াসরুম আর বারান্দা আছে।
ওর রুমে ওয়াসরুম বারান্দা নেই।
বাড়ির সবাই যে ওয়াসরুম ইউজ করে সেটাই ওকে ইউজ করতে হয় তাই এইটা নিয়ে ইনায়ার সাথে ঝগড়া করতো। ইনায়া ওকে একসাথে থাকার কথা বললে তাতে ও ওর আপত্তি ও একা থাকবে।
আনায়ার বই হাতে নিয়েই আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ইনায়ার মাথায়।
সাথে সাথে আবেগকে ফোন দিলো।
এতোরাতে ইনায়ার ফোন দেখে আবেগ ভয় পেয়ে যায়।
-আবেগ তোকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে।
‘আমি কি করলাম।
-কি ভেবেছিস সত্যিটা আমি কোনোদিন জানতে পারবো না।
আবেগ তোতলাতে তোতলাতে বলে।
-কি সত্যি।
‘আমাদের কলেজের পাশে যে ক্যাফে ছিলো কাল বিকেল চারটার সময় আমার সাথে দেখা করবি।
-ঠিক আছে।
ইনায়া অরিত্রি কে কল দিলো।
-ইনু সব ঠিক আছে এতো রাতে কল দিলি।
‘কিচ্ছু ঠিক নেই।
-ক ক কি হয়েছে।
‘আবেগ
-কি হয়েছে আবেগের।
‘আবেগের কিচ্ছু হয়নি।কিন্তু কাল হবে ওর চরম শাস্তি।তুই কাল বিকেল চারটে কলেজের পাশের ক্যাফেতে চলে আসিস।
অরিত্রি ভাবছে তাহলে কি ইনায়া সব সত্যি জেনে গেলো।
আবেগ ভাবছে ইনায়া সত্যিটা জেনে গেছে কি শাস্তি দিবে ওকে।
আবছায়া
writer::প্রিয়া
১৮
আইজান কে ছেড়ে ইনায়া আবেগের কাছে আসতে চাইছে।আবেগকে নিজের করে পেতে চাইছে।
কিন্তু আইজান ওকে আসতে দিচ্ছে না।
আবেগ, আইজান ঝগড়া শুরু করে দেয় একসময় মারামারি।
ঘেমে একাকার আবেগ হুড়মুড়িয়ে লাফ দিয়ে উঠে।
এটা কি স্বপ্ন ছিলো হ্যাঁ স্বপ্নই তো।
আবেগ পুরোরাত ঘুমাতে পারেনি ছটফট করছে।ইনায়া কিভাবে রিয়েক্ট করবে খুব বেশি রাগ করবে ও কি বকবে। এসব ভাবতে ভাবতে আবেগ ঘুমাতে পারেনি।ভোরে ঘুম লেগেছিলো অতিরিক্ত চিন্তা থেকে স্বপ্ন দেখে।
ঘড়িতে সকাল ১০টা কখন বিকাল ৪টা হবে উফফ।
অরিত্রি ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছিলো তখনি আবেগ ফোন দিলো।
-অরিত্রি আমি আজ কি স্বপ্ন দেখেছি জানিস।
‘ইনায়া আইজানকে ছেড়ে তোর কাছে চলে আসছে।
-ওয়াও সুইটহার্ট তুই সব জানিস এজন্য তোকে এতো ভালোবাসি।
‘পাগলের মতো স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর।বিকেলে আমায় নিতে আসিস।
-ওকে সুইটি নিতে আসবো।তবে শর্ত আছে।
‘কি শর্ত।
-আমার উকলাতি করতে হবে।
‘মানে।
‘ইনায়া সব জেনে গেছে তাই ও আমায় বকবে তুই ওকে বুঝাবি।
-আচ্ছা বুঝাবো।
অরিত্রি খাওয়া রেখে উঠে চলে গেলো।আবেগের এরকম পাগলামোর কোনো মানে হয়।ইনায়া বিবাহিতা ও সবকিছু যদিও যেনে যায় তা ও আবেগের কাছে ফিরবে না।
এতোদিনে ও আবেগ ইনায়াকে চিনতে পারেনি তাহলে।
সবুজ জর্জেট থ্রিপিস পরেছে ইনায়া। সাথে মেচিং কানের দুল চুলগুলো বেল্ট দিয়ে বেঁধে নিয়েছে।
মা কে বলে বাইরে বের হলো।রিকশা ডেকে উঠে পড়লো।
১৫মিনিট পর ইনায়া ক্যাফেতে যায়।আগে থেকেই বসা ছিলো আবেগ আর অরিত্রি।
রাগীরাগী চেহারা নিয়ে আবেগের পাশে চেয়ার টেনে বসে ইনায়া।
আবেগের গলা শুকিয়ে যায় জল খেয়ে গলা ভিজিয়ে নিলো।
কেউ কথা বলছে না।
-কি রে আমাকে দেখে তোরা খুশি না হয়ে চিন্তিত হয়ে বসে আছিস কেনো।
‘না আসলে হ্যা খুশি হয়েছি।
-তোরা ভেবেছিলি আমি কিছুই জানতে পারবো তাই তো। এখন জেনে গেছি তাই তোরা ভেজাবিড়ালে মতো বসে আছিস।
অরিত্রি -ইনায়া দোস্ত ভুল বুঝিস না আমায় আসলে।
-আসল নকল বাদ আবেগ তুই বল।
‘কি বলবো।
-কতোটা ভালোবাসিস সেটা বল।
‘মানে।
-এখনো লুকাবি হাদারাম আর কত লুকাবি সত্যিটা জেনে গেছি তাই সোজাসুজি বল কতোটা ভালোবাসিস।
আবেগ অরিত্রির দিকে তাকায় অরিত্রি ইশারা করে বলে সত্যিটা বলে দিতে।
-আসলে ইনায়া আমি জানিনা ভালোবাসার পরিমাপ করা যায় কি না।যদি পরিমাপ করা যেতো তাহলে আমি বলতাম আমার ভালোবাসা মাপার যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি।
ভালোবাসি কতোটা সেটা হয়তো আমি তোকে বুঝাতে পারবো না। কিন্তু আগলে রাখার জন্য যা যা করতে হয় সব করতে পারবো সারাজীবন ছায়া হয়ে পাশে থাকতে পারবো।
‘এতো ভালোবাসিস আমার কাছ থেকে লুকালি কেনো।
-ভয়ে যদি বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
‘এজন্য তোকে হাদারাম বলি।
গাঁধা তোর মতো ছেলে আর একটা আছে।
-ইনায়া আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবি তো।
ওদের দুজনের কথাবার্তার কিছুই বুঝছে না অরিত্রি।
‘অলরেডি গ্রহণ করে নিয়েছি।
আবেগ খুশিতে একটা চিৎকার দিয়ে উঠে।পুরো ক্যাফের সবাই হা করে তাকিয়ে থাকে।
-আরে গাঁধা বস।
আমি বুঝতে পারছি তুই আনায়া কে খুব ভালোবাসিস।আর আনায়া ও তোকে খুব ভালোবাসে।
কাল রাতে ওর বইয়ে তোর ছবি আর পিছনে ভালোবাসি আবেগ লেখা দেখেই জানতে পারলাম।
অরিত্রি আবেগ দুজনেই একসাথে বলে উঠে।
আনায়া।
-হ্যা আনায়া।
অরিত্রি -তুই এতোক্ষণ আনায়ার কথা বলছিলি।
‘হ্যা কেনো। আবেগ আর আনায়া একজন অন্যজনকে ভালোবাসে
-আবেগ কখন বললো আনায়াকে ভালোবাসে।
‘এইমাত্র বললো।
আচ্ছা আর ড্রামা করতে হবে না তোদের। আবেগ শোন তুই আংকেল আন্টিকে নিয়ে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রপোজাল পাঠাবি।বাকি সব আমি দেখে নিবো।
আবেগ ঘুরের মধ্যে আছে এতো সব স্বপ্ন এতো আবেগ অনূভুতি সব নিমিষেই মাটি হয়ে গেলো।
পাথরের মূর্তির মতো বসে আছে আবেগ।অরিত্রি আবেগের মনের অবস্থা বুঝতে পারছে
ইনায়ার ফোনে কল আসলো।আইজান ওকে নিতে এসেছে।
-অরিত্রি দেখ পাগলটার কান্ড দু দিন থাকার জন্য এসেছিলাম এক রাত যেতে না যেতে আইজান নিতে চলে আসছে।কি যে করি ওকে নিয়ে।
অবশ্য ওকে ছাড়া আমার ও থাকতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে।
তোরা কিছু খা আমি যাচ্ছি।
ইনায়া আবেগের চুলে হাত ভুলিয়ে দিয়ে বললো।
-আবেগ আমার ছোট বোনকে কষ্ট দিবি না।ও কষ্ট পেলে আমার ও কষ্ট হয়।
ইনায়া চলে যেতেই আবেগ দ্রুত বেড়িয়ে যায়। পিছন পিছন অরিত্রি ও যায়।
আবেগ বাইক নিয়ে চলে যায় অরিত্রি থামাতে পারেনি কেউ পিছন থেকে ওর হাত টেনে ধরে।
অরিত্রি রেগে পিছনে তাকিয়ে দেখে দীপক।
-দীপক ভাইয়া হাত ছাড়ুন পাবলিক প্লেস এইটা।
‘ওহ সরি তোমাকে থামানোর জন্যই হাত ধরেছিলাম।
-আমাকে থামানো খুব জরুরি ছিলো আপনার। আবেগ না জানি কি করে বসে।
‘ওকে একা চলতে দাও নিজেকে সামলে নিবে।
-আপনি কিছুই জানেন না তাই এভাবে বলছেন।
‘তোমাদের পিছনের চেয়ারে বসা ছিলাম সব শুনেছি।
ইনায়ার বিয়ে হয়ে গেছে তাই বলছি আবেগ আনায়ার সাথে ভালো থাকবে।
‘আনায়া কে আবেগ ভালোবাসে না।
যাকে ভালোবাসে না তার সাথে সংসার করবে কি করে।
আর যাকে ভালোবাসতো সে তো বুঝলেই না। হায়রে নিয়তি।
-আমি যে তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসি অরিত্রি সেই কবে থেকে তুমি ও সেটা বুঝো না।
‘অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে আমি যাচ্ছি।
অরিত্রি রিকশায় উঠে চলে গেলো।ফ্যালফ্যাল করে দীপক তাকিয়ে আছে।
ব্রীজের চারপাশে কোথাও আবেগ নেই।মন খারাপ হলে আবেগ ব্রীজের উপর বসে থাকে।নদীর জল,ঢেউয়ের খলখল শব্দ নিরিবিলি পরিবেশ সাথে অবাধ্য বাতাসে আবেগ শান্তি খুঁজে পায়।
নিচে তাকাতেই অরিত্রি শান্তি পায়।
নদীর জলে পা ভিজিয়ে বসে আছে আবেগ।
ছুটে নিচে যায় অরিত্রি দীর্ঘ লম্বা শ্বাস নিলো যেনো দম আটকে ছিলো এতোক্ষণ।
-তোকে কথা দিয়েছি মরবো না তাহলে চিন্তা করছিলি কেনো।
‘সেটা তুই বুঝবি না।
আবেগের পাশে বসে পড়লো অরিত্রি।আবেগ নিঃশব্দে কাঁদছে।
-আমার সাথে কেনো এমন হয় বলতো।
‘তুই ওকে পাওয়ার সময় চাইলি না এখন অসময়ে কেনো চাইছিস।
-আমি ওকে সবসময় চেয়েছি তবে বলার সাহস পাইনি
‘এটাই ভুল করেছিস।
লাল লাল চোখের দিকে তাকাতে পারছে না অরিত্রি ভয়ংকর চোখগুলো।
-কি করবি এবার।ইনায়া তো তোর আর আনায়ার বিয়ে দিতে চাইছে।
‘আমি কি পুতুল ওর যা খুশি করবে আমাকে নিয়ে। কখনোই আনায়া কে আমি বিয়ে করবো না।
আমি আবার দেশ ছেড়ে চলে যাবো।
ইনায়াকে দেখে আইজান রেগে যায়।
-কোথায় গিয়েছিলে।
-অরিত্রি আর আবেগের সাথে দেখা করলাম।
‘আমাকে বলে যেতে পারতে।
-আরে বেশিদূর যায়নি কলেজের ক্যাফেতে ছিলাম।
‘কি এমন দরকার ছিলো।
-আরে আমার জামাই দেখি রাগ করে।
আইজান ইনায়ার কোমরে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
-তোমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত থাকতে পারিনা। কাল সারারাত ছটফট করেছি ঘুম আসেনি।ভেবেছি তুমি ফোন দিয়ে বলবে তোমার কাছে আসার জন্য।
‘আমি ও তো ঘুমাইনি।
তাহলে আসতে বললে না কেনো।
‘সেটা মাথায় আসেনি।
-গোবর ভর্তি মাথায় তা আসবে কেনো।যখন নির্লজ্জের মতো আসলাম এসে দেখি তুমি বাসায় নাই।মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
‘এক্ষুণি মেজাজ ঠান্ডা করে দিচ্ছি।
ইনায়া আইজানের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো। অনেকক্ষণ পর ছেড়ে দিলো।
-মেজাজ ঠান্ডা হয়েছে।
‘হুম।
-শুনো একটা কথা বলি তোমায় পার্সোনাল।
‘কি কথা।
‘আবেগ আনায়াকে ভালোবাসে।
এই কথা শুনা মাত্র আইজান বিষম খেলো।
‘এই কথা কে বললো তোমায়।
– আমি শুনেছি। আর ভাবছে ওদের বিয়ে দিবো।
‘বিয়ে আবেগ আনায়াকে বিয়ে করবে।
-হ্যা।
‘তাহলে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দাও যত দ্রুত সম্ভব।
-তুমি এমন করছে কেনো।
‘না এমনি খুশি লাগছে একমাত্র শালীর বিয়ে।
চলবে
চলবে