আবছায়া পর্ব ১৫+১৬

আবছায়া
writer:: প্রিয়া
১৫
ঝুমকো আবার বললো।
-বস একদম নতুন মাল।

‘দেখতে কেমন।

-কি যে বলেন বস টাটকা মাল ১৫-১৬দিন হয়ছে রমিজ চোরাই নিয়া আসছে।

‘দেখ ঝুমকো তোকে কতবার বলছি যেই জিনিস সেই জিনিসের নাম বলবি সবকিছু মাল বলিস কেনো কি বিশ্রী ভাষা।

-সরি বস বলছিলাম রমিজ নতুন একটা গাড়ি নিয়ে আসছে দেখতে কি যে সুন্দর এই গাড়িতে শুধু আপনাকে মানায়।

‘ঠিক আছে একবার গিয়ে যাচাই করে আসবো।

ইনায়া আড়াল থেকে ওদের কথা শুনে নিজের মাথায় নিজেই থাপ্পড় মারে ইশ আইজানকে শুধুশুধু ভুল বুঝেছিলাম।

ইনায়া মায়ের ঘরে চলে গেলো।
-আম্মু ডেকেছিলেন।

‘আইজানের শরীর এখন কেমন আছে।

-ভালো আছে আম্মু।

‘তোকে একটা খুশীর খবর দেয়ার জন্য ডাকলাম।

-কি খবর আম্মু।

‘কালকেই তোরা হানিমুনে যাচ্ছিস।

-তোমাকে একলা রেখে কিছুতেই না।

‘আরে পাগলি একলা কোথায় ঝুমকো আছে।

-না আম্মু আমি যাবো না।

‘বেশী কথা না বলে গুছগাছ করে নে।

-আম্মু।

‘আমি প্লেনের টিকিট বুকিং করে ফেলেছি।

-উফফ আম্মু তুমি ও না।

‘পাগলি মেয়ে আমার নতুন বিয়ে হয়েছে স্বামীর সাথে একা সময় কাটালে ভালো লাগবো।

-আপনার যা হুকুম মা জননী।

‘হা হা হা আইজানকে বল গিয়ে সবকিছু গুছিয়ে নিতে।

ইনায়া উঠে রুমে চলে গেলো।আইজান ফোন টিপছে।

-আম্মু আমাদের জন্য প্লেনের টিকিট বুকিং করে ফেলছেন কালই নাকি হানিমুনে যেতে হবে।

‘ইয়াহু সত্যি, ফুফিমা কত রোমান্টিক দেখছো।

-আম্মকে একা রেখে যেতে ইচ্ছে করছে না।

‘আমার তো এখুনি যেতে ইচ্ছে করছে সেখানে শুধু আমি আর তুমি।

-আইজান তুমি ও না।

‘শোন একটা জরুরী কথা বলতে ভুলে গেছি।

-কি।

‘তোমার জন্য একটা গাড়ি কিনবো ভাবছি।

-গাড়ি দিয়ে আমি কি করবো।

‘কলেজে যেতে হবে না তারপর শপিং করতে যাবে সব কাজেই তো গাড়ি লাগবে।

-আমার লাগবে না।তোমার গাড়িতেই আমি যেতে পারবো না কি আমার জন্য জায়গা নেই।

‘কি যে বলো তোমার জন্য বুকেই জায়গা আছে।

-আমিই বুকে থাকতে চাই।
আর শোনো গাড়ি কেনার দরকার নেই।

‘ওকে রাণী-সাহেবা আপনি যখন নিষেধ করেছেন তাহলে কিনবো না।

আইজানের ফোন আসতেই ফ্রেশ হয়ে দ্রুত বেড়িয়ে গেলো।
কিছুক্ষণ পর আইজানের ফোনে কল আসলো আইজান ফোন ভুল করে রেখে বাইরে চলে গেছে।
ইনায়া তিনবার কল আসার পর রিসিভ করলো।

-আইজান।(একটা মেয়েলি কন্ঠ আইজানের)

‘কে বলছেন।

-ওহ ভাবি আমি অজান্তা।

-অজান্তা কেমন আছো সব ঠিকআছে তো।

তোমার সাথে কথা বলার জন্যই ফোন দিয়েছিলাম।
কিছুই ঠিছিলো না কিন্তু তোমার চিঠি পাওয়ার পর সব ঠিক লাগছে।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে বলার জন্য।
তবে ভাবি একটা কথা নিজে এতো কিছু বুঝে ও কেনো পঁচা শামুকে পা দিলে

ইনায়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই আইজান চলে আসলো ইনায়া ফোন কেটে দেয়।

-কে ফোন দিয়েছিলো।

-অজান্তা

‘কি বলে।

-কিছু না বিয়েতে যাইনি সেটাই।

ইনায়া বারান্দায় গিয়ে ভাবছে ও চিঠিতে তেমন কিছুই লিখেনি তা ও অজান্তার সবকিছু ঠিকক করে দিলো এই চিঠি।সেখানে কয়েকটা কথায় লেখায় ছিলো।

অজান্তা, জানিনা আইজান তোমার কি ক্ষতি করেছে তুমি সেদিন বলছিলে ক্ষতি করেছে, ক্ষতি তো আর পোষানো যায় না।তবে এটাই বলবো ভালো থাকা তো যায়।ভালো থাকার চেষ্টা করো আর নতুন যে মানুষটা আসবে জীবনে তাকে ভালো রাখার চেষ্টা করো।জীবনে চাহিদা থাকবে কিন্তু পাইনি বলে তো জীবন শেষ হয়ে যায়না। মনে রাখবে যেখানে শেষ সেখান থেকে নতুন করে শুরু করা যায়।
ভালো থেকো বোন কখনো দেখা হলে অনেক কথা জানতে চাইবো। অনেক প্রশ্ন বাকি।

সন্ধ্যে হয়ে গেছে রুমে এসে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে ইনায়া।
রাতেই সবকিছু গুছিয়ে নেয় ইনায়া।পরেরদিন সকাল দশটায় ওদের ফ্লাইট।
ঘুম থেকে উঠে দেখে ঝুমকো নাস্তা বানিয়ে রেখেছে।
নাস্তা খেয়ে ওরা বেড়িয়ে আসে।ঝুমকো ওদের গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসে।
আইজান ওর হাতে দশহাজার টাকা ধরিয়ে দিলো।

-রমিজ কে বলিস গাড়ি যেনো অন্যকাউকে না দেখায় আমিই কিনবো।

‘বস না দেখেই মালের বয়না সরি বস না দেখেই গাড়ির বয়না দিয়ে দিলেন।

-তোর উপর আস্থা আছে আমার জন্য তুই ভালো জিনিসই নিয়ে আসিস।

‘সবই তোমার দয়া বস।

আইজান গাড়িতে গিয়ে বসলো।

-তুমি না বললে কিনবে না গাড়ি।

‘আরে জান গাড়ি কিনে আবার বেছে দিবো।

-মানে কি।

‘মানে হলো রমিজ ও চোরাই গাড়ি বিক্রি করে।ওর কাছ থেকে আমি কম মূল্যে গাড়ি কিনে বেশী দামে বিক্রি করে দিবো।

-দুই নাম্বারি।

‘ওহ বেবি বিজনেস এইটা তুমি বুঝবে না ডার্লিং।

এয়ারপোর্টে এসে যায় ওরা প্লেনে উঠার কিছু সময়ের মধ্যে ওরা চট্রগ্রাম এসে পৌছায় সেখান থেকে বাসে করে বান্দরবান যাচ্ছে।

নীলাচল নীলগিরি রিসোর্টে গিয়ে ওরা উঠেছে। ফ্রেশ হয়ে দুজনেই ঘুরতে যায়
চারদিকে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের ঢালে কোথাও আঁকা-বাঁকা রাস্তা, পাহাড়ী পাড়া আর রূপালী নদী গুলো যেন শিল্পীর আঁকা ছবি।

নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে দেখা যাচ্ছে সেটা দেখে ইনায়ার মন ফ্রেশ হয়ে যায়।
আবছায়া
writer::প্রিয়া
১৬
প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ সাথে যদি প্রিয় মানুষটা থাকে তবে এক অদ্ভুত আনন্দ পাওয়া যায়।
ইনায়া ও আইজান দুজনেই খুশিতে নিজেদের প্রকৃতির মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছে।
ইনায়া যেনো পুরনো সবকিছু ভুলে নতুন করে আইজানের প্রেমে পরছে।
আইজান শুইয়ে শুইয়ে ফোন টিপছে ইনায়া ওয়াসরুম থেকে নাইট ড্রেস পরে আইজানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আইজান ইনায়ার দিকে তাকিয়ে আবার ফোনের দিকে লক্ষ্য দিলো।মুহূর্তে মনে হলো একি ইনায়া।
আবার তাকিয়ে ওর চুক্ষ ছানাবড়া।
হাত দিয়ে চোখ কচলে নিলো।

-না তো ঠিক দেখছি এ তো ইনয়া।

‘ইনয়া হা হা করে হেসে উঠলো

-উফফ মেরে ফেলবে তো।

‘মারতে তো চাই।

-আমি যে মরতে চাই তোমার মাঝে।
এ কেমন নেশা লাগালে এ রূপ দেখে যে আমি মাতাল।

‘এই নেশা যেনো কেটে না যায়।

-এ নেশা সারাজীবনের নেশা এই তৃষ্ণা মেটার না।

আইজান ইনায়ার চুলের গুছি ধরে একদম কাছে নিয়ে আসে।চোখে চোখে কথা বলে।

-ইনয়া পলক ফেলবে না।

‘কেনো

-যাদু করবো।তোমার চোখ আমি যাদু করবো এই চোখ যেনো আমি ছাড়া কাউকে দেখে না।

‘এই চোখ মন আইজান ছাড়া কিছুই বুঝে না।

-আমি যদি এখন তোমায় কষ্ট দেই তবে কি তুমি রাগ করবে।

‘মানে

-আগে বলো রাগ করবে কি না।

‘না।

-তাহলে চোখ বন্ধ করো।
ইনায়া চোখ বন্ধ করে আছে।কিছুক্ষণ পর ইনায়া চিৎকার করে উঠে।তাকিয়ে দেখে ওর গলা থেকে একটু নিচে বুক ছিড়ে রক্ত পড়ছে।আইজানের হাতে ছুরি।

-তুমি আমার বুক ছিড়ে দিলে কেনো।

‘এই দাগের দিকে তাকালে তোমার আমার কথা মনে পড়বে তাই।

-আমি প্রচন্ড ব্যথা পাচ্ছি আইজান।

‘এক্ষুণি সেড়ে যাবে।

আইজান ওর বুকে ওষুধ লাগিয়ে দিলো।ইনায়া ব্যথায় কাঁদছে।
আইজান ওর চোখের জল মুছে গালে,কপালে পাগলের মতো চুমু দিচ্ছে।
ইনায়া শুধু ভাবছে এই সাইকোদের মতো কাজ আইজান কেনো করলো।

নীলাচল দুইদিন থাকার পর ওরা চিম্বুক পাহাড় দেখার জন্য যায়।
চিম্বুক পাহাড় কে বলা হয় বাংলার দার্জিলিং।
পাকা সড়ক বেয়ে একেবারে চূড়ায় যে কোনো বাহন ওঠে। উঠেই দক্ষিণে সিঁড়ি নেমে গেছে বিশাল এক চত্বরে। চত্বরটির নাম দেওয়া হয়েছে নব চত্বর। শরতে এই ভিউ পয়েন্ট থেকে দাঁড়িয়ে দেখা যায় বিশাল মেঘের সমুদ্র। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপেও হিম বাতাস গা জুড়িয়ে দেয় এখানে। পাহাড়-আকাশ কত বিশাল তা এই চত্বরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায়।
সিঁড়ির পূর্বে রয়েছে দুই স্তরের দু’টি ছোট ভিউ পয়েন্ট। কেউ যদি নিচে নামতে না চায় তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারবে সৌন্দর্য। সিঁড়ি যেখানে শেষ সেখানে পশ্চিম পাশে রয়েছে তিনটি কংক্রিটের সুদৃশ্য চেয়ার-টেবিল। গাছের ছায়া পড়ে তাতে। বিকেলের শেষ রোদে বসে আড্ডা দেওয়া কিংবা একান্ত সময় উপভোগ করার জন্য পূর্ব পাশেও রয়েছে বসার ব্যবস্থা।((তথ্য গুগল থেকে))

৫দিনে স্বর্ণমন্দির, তিন্দু, কেওক্রাডং।সবকিছু দেখে ওরা বাসে করে শহরের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে।
ইনায়ার মোটেও ইচ্ছে করছে না শহরে ফিরে যাবার কোলাহল মুক্ত এরকম জায়গা ছেড়ে কারোর যাওয়ার ইচ্ছে নেই।

বাসে আইজানের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে ইনায়া।
আইজান ও পরম যত্নে ইনায়াকে সামলে রাখছে।
বাসে বসা সকলেই ওদের প্রশংসা করছেন।

*আবেগ দুইদিন আগে ও ইনায়ার বাসার সামনে গিয়ে ফিরে এসেছে। ইনায়া কে দেখতে না পেয়ে যেনো আবেগ পাগলপারা।
ছুটে গেলো অরিত্রির বাড়িতে অরিত্রির রুমে গিয়ে ভাঙচুর করছে ওর রুমের ফুলদানি গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
-আবেগ স্টপ যা বাড়িতে মা,বাবা আছেন।

‘ইনায়া কোথায় ।

-ইনায়া কি আমার বাড়িতে থাকে ওর বরের কাছে যা।

‘দু দিন ধরে ওকে দেখিনি।

-হানিমুনে গিয়েছে।

আবেগ অরত্রির ফ্লোরে বসে পরে।চোখ থেকে টুপটাপ জল গড়িয়ে পরছে।

অরিত্রির মা আবেগ কে অনেক ভালোবাসেন।এক গ্লাস জল এগিয়ে দিয়ে আবেগের পাশে বসলেন।
আবেগ জল খেয়ে অরিত্রির মাকে জড়িয়ে ফুফিয়ে কেঁদে উঠলো।

-আবেগ বাপ রে ভুইলা যা মাইয়াডার বিয়া হইয়া গেছে

-সোনা মা আমি পারছি না।

‘কি রে পারছিস না তুই কাপুরষ তুই। নিজের ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলেছিস কখনো না আমাকে বলতে দিয়েছিস।তোর হাত থেকে চিঠি কেড়ে নিয়ে তোর রক্ত নিজের রক্ত বলে চালিয়ে আইজান ক্রেডিট নেয়।তুই শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছিস আর কি পেরেছিস।তুই আসলে ও ইনায়ার যোগ্য না।

-অরিত্রি চুপ কর দেখছিস ছেলেটা কাঁদছে তা ও এভাবে কথা বলছিস।

‘বলছি মা বলছি কেনো ও ভালোবাসায় দাবী নিয়ে ইনায়ার সামনে দাঁড়ালো না।
ওর মতো পাগল প্রেমিক কে কার সাধ্য আছে ফিরিয়ে দেয়ার।

-আমি ভেবেছিলাম ইনায়া আমার ভালোবাসা বুঝবে যেদিন ও বললো আইজানকে ভালোবাসে সেদিনই ওর জীবন থেকে চলে যাই।

‘মহান সেজেছিলি তুই মহান পুরুষ । তাহলে এখন কেনো এসেছিস যা মহান ব্যক্তি সেক্রিফাইস করে এখন কেনো অন্যের বউয়ের জন্য পাগল হচ্ছিস।

অরিত্রির মা আবেগ কে দুপুরে খেয়ে যাবার কথা বলে উঠে গেলেন।
আবেগ হাটুগেড়ে বসে কান্না করছে।অরিত্রি নিজে ও কাঁদছে।

আবেগ একদম কাঁদবি না।তাকা আমার দিকে।

আবেগ তাকিয়ে দেখে অরিত্রি ওর মুখোমুখি বসে আছে।
ওর হাতদুটো মুঠোয় নিয়ে
-ভাগ্যকে মেনে নে।তোদের ধর্মীয় গন্থে না লেখা আছে উপরওয়ালার হুকুম ছাড়া কিছুই হয় না।
তোদের জোড়া বোধহয় কপালে নেই।

‘জানিস অরিত্রি আমি ওই উপরওয়ালা কে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবো। ও যখন আমার কপালে নেই তবে কেনো ওর প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মালে।

-এভাবে বলিস না।

আবেগ অরিত্রির হাতদুটো শক্ত করে মুঠোবন্দী করে।অরিত্রি চোখ বন্ধ করতেই জল আবেগের হাতে পড়লো।
-আমার জন্য তোর অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই না রে।তোকে খুব জ্বালাচ্ছি।

‘না রে বরং ভালোই লাগছে তোর কাছাকাছি থাকতে পেরে।
আবেগ চল না কাল কোথাও বেড়িয়ে আসি।তোর মন ভালো হবে।

-কোথায় যাবি।

‘সত্যি যাবি তুই।

-হ্যাঁ।

‘তাহলে কাল সকালে এসে আমাকে নিয়ে যাস।

-কোথায়।

‘গেলে দেখতে পারবি।

আবেগ দুপুরে ওদের সাথে খেয়ে বেড়িয়ে যায়।আবেগ ধর্মের দেয়াল বিশ্বাস করে না।হুটহাট এসেই খাওয়াদাওয়া করে যায়।
অরিত্রি দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে।ওর মা পিছন থেকে ওর মাথায় হাত রাখেন।

-নিজেকে সামলা অরিত্রি ভুল করছিস তুই।

‘ভেবো না মা আমি তোমার অবুঝ মেয়ে না কলঙ্কের কালি লাগবে না।

-তুই যে পুঁড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিস।

‘পুঁড়তে দাও মা এ পোড়া আনন্দের।

-সাবধানে থাকিস মা।

*সন্ধ্যের আগেই আইজান ইনায়া বাসায় চলে আসে।
সবার সাথে দেখা করে শাওয়ার নিয়েই দুজনেই ঘুমিয়ে যায়।
রাতের খাবার খাওয়ার জন্য আইজানের মা ওদের দরজায় নক করেন।
ঘুম উঠে ড্রইংরুমে গিয়ে দুজনেই অবাক।

ইনায়ার পুরো পরিবার এসেছে, সবাইকে দেখে খুশিতে ইনায়া কান্না করে দেয়।
-কি রে বাবার কাছে আসবি না।

ছুটে বাবার বুকে ঝাপিয়ে পরে বাচ্চাদের মতো কান্না করে ইনায়া।

-তোর ফুফু শাশুড়ির দাওয়াত ফেলতে পারিনি।

ইনায়া উনার দিকে তাকিয়ে আনন্দের হাসি দেয়।

সবার সাথে হানিমুনে কি কি দেখেছে সব গল্প করছে।
রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ওরা যাবার সময় ইনায়া আর আইজানের পরিবারকে ওদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে যান।

চলবে
চলবে

দুঃখিত ছোট করে দেয়ার জন্য।ফোন আসার পর বড় পার্ট করে লিখে দিবো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here