#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৩৩.
#writerঃMousumi_Akter
ধুলাময়লা ধুয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি।দিঘীর পাড়ে কয়েকটুকরো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছি আমরা দুজনে।দুইটা গাছের মাঝ বরাবর আগুন জ্বালিয়ে দুই সাইডের দুইটা গাছে হেলান দিয়ে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি দুজনে।দুজনের চোখের দৃষ্টি দুজনের দিকেই আছে।দিঘীতে অনেক লাল লাল শাপলা ফুটে রয়েছে বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে শাপলা গুলো গোসল করে তাদের রুপ যেনো আরো বহুগুন বেড়ে গিয়েছে।পানির ভিতরে কাঠে জ্বালানো আগুন এর প্রতিচ্ছবি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে।আমার পূর্ণ দৃষ্টি পানিতে দেখে বিহান ভাই বললেন,সদ্য বিবাহিত এই ছেলেটার প্রতি এতটা অবহেলা কেনো মিসেস বিহান।
কথাটা শুনেই একঝটকায় উনার দিকে তাকালাম।উনি আমাকে মিসেস বিহান ডাককছেন।এই ডাকটা এতটা মিষ্টি না হলেও তো পারতো।উনার মুখের প্রতিটা কথা এত কআকর্ষিত করে কেনো আমাকে? মুখের উপরে পানিতে দলা ধরা কয়েক গোছা চুল এসে পড়েছে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বললাম কিসের অবহেলা হলো বুঝলাম নাতো।
শ্বশুরের এই জামাই কে রেখে তার মেয়ে পানির দিকে তাকিয়ে আছে।এখন তো আমার ওই দিঘির বুকে শাপলা পাতার জল হতে ইচ্ছা করছে।তাহলে এই বাহানায় যদি সে একটু আমায় দেখতো।
কিছুটা লাজুকতা ঠোঁটের কোনে একটু হাসি নিয়ে বললাম,,তাকেই তো দেখছি।জলের বুকে তাকে এতটা সুন্দর না লাগলেও পারতো।ওই শাপলা পাতার নিচে আগুনের কুন্ডলির পাশে গাছে হেলান দিয়ে বসে থাকা এক যুবক কে দেখছি।ওই ছেলেটা এত সুন্দর কেনো বলতে পারেন?আল্লাহ কি সব সৌন্দর্য ওই ছেলেটার মাঝেই দিয়েছেন।এই সুন্দর ছেলেটাকে ছোট বেলা থেকে দেখে দেখে মুগ্ধ আমি।কওই ছেলেটাকে বলে দিন তার জন্যই শ্বশুরের মেয়ে তার জামাই কে কষ্ট দিচ্ছে।
বিহান ভাই নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে একটা নেশাক্ত হাসি দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।উনার ও পরণে সাদা শার্ট, পরনে কালো জিন্স। মাথার চুল একটু পিছনে উজিয়ে দিয়ে নিজের শার্ট এর হাতা গোটাতে গোটাতে আমার দিকে এগিয়ে এলেন।আমার দুই বাহুতে হাত দিয়ে আমাকে দাঁড় করালেন।আমার কপালের উপর এসে পড়া চুল গুলো উনার হাত দিয়ে আমার কানে গুজে দিলেন।শার্টের হাতা অনেক বড় আমার হাত ঢেকে গিয়েছে উনি আমার পরা শার্টের হাতা ভাজ দিতে লাগলেন।দুই হাতা ই ভাজ করে কনুই এর নিচ পর্যন্ত রাখলেন।এরপর যেটা করলেন হটাত বুক এ দুরুম দুরুম সাউন্ড শুরু হল।উনি শার্টের গলার কাছের প্রথম বোতাম টা খুলে দিলেন আমার।বোতাম খুলে এদিক ওদিক কোনো খেয়াল নেই উনার গলার দিকে তাকিয়ে আছেন একভাবে।হাত গলাতেই আছে এখনো আমি উনার হাত গলায় আমার হাত দিয়ে একটু চেপে ধরে বললাম কি করছেন।
বউ কে মানুষ যা করে তাই করছি।?
এসব কি বলছেন।
পিচ্চি মানুষ কোথায় গলা এটে দম বন্ধ হয়ে যাবে বুঝতেও পারবা না।একটা বোতাম খোলা থাকলে কিছুটা দম নিতে পারবা ভাল ভাবে ঠিক আছে পুচকি।
ওহ আমি ভেবেছি…..
যা ভেবেছো সেটা করবো বলেই কোমর চেপে ধরলেন।উনার থেকে ছুটে পালালাম।কুড়ের ভেতরে গিয়ে ভেজা কাপড় গুলো আনলাম।উনাকে বললাম এগুলা শুকাতে হবে না।
বিহান ভাই বললেন তোকে এইভাবে ভাল লাগছে দেখতে।
আমি কি এইভাবে পিকনিকে যাবো।
ওইযে দুই টা গাছে রশি বাধা আছে ওখানে মেলে দে।
তাকিয়ে দেখি সত্যি রশি বাধা আছে।
এগিয়ে গিয়ে দেখি খানিক টা উচুতে নাগাল পাচ্ছি না।উনাকে ডাকলাম বিহান ভাই এগিয়ে আসুন না নাগাল পাচ্ছি নাতো।আপনি একটু মেলে দিন।
বিহান ভাই এগিয়ে এসে বললেন আমি আকতোকে উচু করে ধরছি তুই মেলে দে।
উনি আমায় উচু করে ধরলেন আর আমি কাপড় গুলো মেলতে লাগলাম।হঠাত পেটে সুরসুরি অনুভব হলো।উচু হওয়াতে শার্ট খানিক উপরে উঠে নাভি বের হয়ে গিয়েছে।এত সময় কি নাভি দেখছিলেন।উনার দিকে আমি তাকাতেই পেটে গভীর ভাবে চুমু দিলেন।সুরসুরি তে লাফিয়ে উঠাতে নিচে নামিয়ে দিলেন।
এই ছেলেটা এমন অসভ্য কবে হলো।সুযোগ পেলেই এসব করছে
কাপড়ের পানি শুকালে আগুনে দিয়ে শুকালাম। এতক্ষণ বিভোর ভাই লম্বা এক ঘুম দিয়েছেন।
কোন ভোর রাত্রে আমরা রওনা হলাম্বার। দিঘির এই আন্টি খিচুড়ি রান্না করেছিলেন সাথে ডিম ভাজি।আরাম করে খেয়ে বাইকে বেরিয়ে পড়লাম।বিহান ভাই এর কাধে হাত দিয়ে উন্মুক্ত গ্রামের রাস্তা দিয়ে চললাম।
অবশেষে আমাদের গন্তব্য স্হানে পৌছালাম। মাত্রই বোধহয় রান্না শুরু হয়েছে।কারণ বৃষ্টির জন্য রান্না শুরু করতে পারেনি এত সময়।
রিয়া বললো কাজ করার ভয়ে পিছনে পিছনে থেকেছিলি তাইতো দিয়া।
তোহা আপু বললো বিহান ভাই এত লেট করলেন কেনো?ভীষণ মিস করছিলাম।
বিভোর ভাই বলেন কেনো
সেটা বিহান ভাই জানেন।
বিহান ভাই বলেন
নাউজুবিল্লাহ আপা কি জানি আমি।
আপা বলেই চোখ বড় বড় করলো তোহা ভআপু।এই আপা ডাক শুনে মাথা ঘুরে কাজের গেলো যেনো।
বিভোর ভাই বললেন এই আপা ডাক শুনে চোখ কপালে কেনো তোহা।
তাই বলে আপা ডাকবে।আপা ডাক নিষিদ্ধ বিহান ভাই এর জন্য।
বিহান আন্টি ডাকবি এখন থেকে।তোহা মনে হয় এটায় চাচ্ছে।
মোটেও না আমি এটা চাইছি না।বিহান ভাই জানেন সব।
কতোহা মাফ চাই আপা।সদ্য বিবাহিত যুবক আমি।এগুলা বলে আমার সংসারে আগুন লাগিও না।
রিয়া বলে উঠলো বিহান ভাই তাহলে তোহা আপুর স্টোক হবে এটা নিশ্চিত।
বিভোর ভাই বললেন,রিয়া আমি বিয়ে করলে কি স্টোক হবে তোমার।
আপনি ঠিক কতজন কে বিয়ে করবেন একটু বলবেন বিভোর ভাই।যতজন কে প্রস্তাব দিয়েছেন বাবাহ।ভাবতেই নোবেল ছুড়তে মন চাই আমার।
তুমি একটু পাত্তা দাও না বলে ছেলেটা আজ আমের অভাবে জুস খাচ্ছে।
আমের অভাবে জুস? এটার মানে কি?
মানে তোমার অভাবে অন্যর কাছে যাচ্ছি।
ছিঃছিঃ আপনি এত বড় চরিত্রহীন কেনো বিভোর ভাই।।ভাবতেই গা গোলাচ্ছে।বিয়ের পর ও এই অভ্যাস থেকে যাবে তাইনা?
আরে না রিয়া ভুল বুঝছো।ওইটা এমনি বলেছি বিলিভ মি।বিলিভ হয় না তাইনা।এইযে তিয়াস এর চোখ ছুয়ে বলছি।এইবার তো বিলিভ করো।
তিয়াস ভাই ছিটকে গিয়ে পড়ে বললেন,বিভোর ভাই ভাল হয়ে যান।আর আসে কত করবেন এসব ভন্ডামি।আমার খালাতো বোন কে তাই প্রপোজ করেছেন।এখন আপনার মিথা ঢাকতে আমার চোখের বলিদান দিতে হবে তাইতো।নিজে তো এমনি সব মেয়ে ক নিচ্ছেন তাতে আমাদের অন্ধ বানাচ্ছেন।যাতে বাকি যা মেয়ে আছে তারাও আপনার হয়।কয়টা লাগে শুনি।
তিয়াস আমি যায় করি তোর মতো তো আর মহিলাদের পিছে ঘুরি না।তোর জন্য পাড়ায় ককোনো বিবাহিত মহিলারা নিরাপদ নয়।
ভাই আর কত বাঁশ দিবেন।
#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৩৪.
#WriterঃMousumi_Akter
–মধ্যরাতের আকাশ যেনো ভীষণ মায়াবী রূপ ধারণ ধরে আছে।নীল আকাশ এর নীলের সাথে ভেষে বেড়ানো সাদা মেঘের বুঝি ভীষণ ভাব।তা না হলে এই সাদা মেঘ ঘুলো এই শুনশান নিরবতায় রাতের আকাশে ভেষে বেড়ায় কেনো?সাথে চাঁদ ও যেনো আজ পূর্ণ তিথিতে আছে।গোলাকার রুটির আকৃতির রক্তিন বর্ণের চাঁদ বুঝি আজ উঠেছে আমাদের মধুচন্দ্রিমার সাক্ষী হতে।এই চাঁদ আজ আস্ত এক ভালবাসার সাক্ষী হিসাবে ছিলো।যা কেউ জানেনা এই চাঁদ সেটা জানে।বুকে হাত বেঁধে সবার থেকে খানিক টা দূরে গিয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে আছি আমি।এক ভীষণ অস্হিরতা কাজ করছে আমার মাঝে।বার বার ওই সুন্দর সময় টুকু মনে পড়ছে আমার।ভাইয়ারা রান্নার পাশাপাশি ভীষণ আড্ডা দিচ্ছে।আর আমি আনমনে ভেবে চলেছি কিছুক্ষণ আগের ঘটনা।
–আমাদের সাইডেই কয়েকজন তরুণ যুবক যুবতী পিকনিকে এসেছে।ওরাও এক ফ্যামিলির মানুষ ই হবে।আমাদের মতোই ভীষণ আড্ডা দিচ্ছে ওরা।পাশেই নাচ গান হচ্ছে।সবাই আড্ডার পাশাপাশি সেটাও উপভোগ করছে।
–হঠাত কেউ বলে উঠলো সাইমন তোর নজর কোন দিকে।খেয়াল করে দেখি সাইমন নামের ছেলেটি আমার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছে।দেখে মনে হচ্ছে এই প্রথম কোনো মেয়ে দেখছে সে।ছেলে মানুষ এত টা ছ্যাচড়া হয় কিভাবে বুঝিনা।
–সাইমন নামের ছেলেটি বলে উঠলো আকাশ থেকে সদ্য নেমে আসা পরীটির দিকে তাকিয়ে আছি।দেখছিস না একভাবে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে।ওর চোখে ভীষণ মায়া।
–ছেলেটির দিকে একবার তাকালাম,দেখতে খারাপ না শ্যামবর্ণের লম্বা ছেলেটি এক নজরে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।ছেলেটির চাউনিতে অন্য কিছু বোঝা যাচ্ছে।মেয়েদের একশ গজ দূর থেকে কেউ ফলো করলেও তারা বুঝতে পারে।সেখানে আমার ও ব্যাতিক্রম হলো না।ছেলেটির কথার ধরণ বুঝতে বাকি রইলো না আমার।আমি আর এক দন্ড না দাঁড়িয়ে ভাইয়াদের কাছে চলে গেলাম।ওদের রান্না শেষ প্রায় পরিবেশন এর জন্য রেডি করছে ওয়ান টাইম প্লেট গুলা।মেহু আপু আর শুভ ভাইয়া ই সব কাজ করছে।
–হঠাত এক টুকরো আগুন ছিটকে গিয়ে মেহু আপুর হাতের উপর পড়লো।আপু আহ বলে চিৎকার দিতেই সবার নজর মেহু আপুর দিকেই গেলো।আমাদের সবার আগে শুভ ভাইয়া সবার আগে হাত ধরে ফেললো।যে যাকে ভালবাসে তার বোধহয় ভিতর আত্মা সবার আগে কেঁপে ওঠে প্রিয় জনের কিছু হলে।প্রিয় মানুষ টাই কি এমন যার কিছু হলে ভেতর থেকে কষ্ট আপনা আপনি বেরিয়ে আসে।তার কিছু হলে সবার আগে ভেতরে এক ছটফট শুরু হয়।শুভ ভাইয়ার দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে মেহু আপুর হাত ধরে কেমন একটা করছে।আপুর হাতে বার বার ফু দিয়ে দিচ্ছে।ভাইয়া হাতের আঙুল দিয়ে যত্ন করে আলতো পরশে হাত ডলে দিচ্ছে।শুভ ভাইয়া মেহু আপুকে বার বার জিজ্ঞেস করছে এই মেহু তোর কি অনেক খারাপ লাগছে অনেক কষ্ট হচ্ছে তোর।হাত কি অনেক জ্বলছে।এই মেহু এই তোকে না বার বার বললাম সাবধান সেই হাত পুড়িয়ে ফেললি।শুভ ভাইয়া বিহান ভাই কে বললো এই বিহান ওর হাতে কি অনেক প্রব্লেম হবে।বিহান ভাই একটা মলমের নাম বলে বললেন শুভ এই মলম টা মালিশ করলে ঠিক হয়ে যাবে।বিভোর ভাই বললেন শুভ মেহুর হাতের থেকে তোর হার্টে প্রব্লেম বেশী হবে।না মানে আমি এতক্ষণ যা দেখলাম ফুপ্পিকে বলে তোর বিয়ের ব্যাবস্থা না করলেই নয়।আমি চাইনা আমার একমাত্র ফুফাতো ভাই হার্ট এট্যাক এ মারা যাক।শুভ ভাইয়া হেসে দিয়ে বললেন বিভোর এই উপকার জীবনে ভুলবো না প্লিজ এই উপকার টা কর ভাই।বিহান ভাই মেহু আপুর কাছে প্রশ্ন করলেন মেহু অনেক খারাপ লাগছে নাকি তোমার।একদম ই চিন্তা করোনা ঠিক হয়ে যাবে।
–কিছুক্ষণের মাঝে সাইমন নামের ছেলেটি সাথে করে আরেকটি মেয়েকে এনে আমাকে বলে হাই আপু।আমি চোখ তুলে একবার তাকালাম কোনো উত্তর দিলাম না।এখানেও চলে এসেছে কি আজব ব্যাপার।শুভ ভাইয়া বললো আপনাদের বাসা কোথায় ভাই?তিয়াস ভাইয়া বললো আপনার পাশের মেয়েটি কে হয় আপনার ভাইয়া।বিভোর ভাই বললেন উনি কি সিঙ্গেল। সবার প্রশ্নের শেষে বিহান ভাই বললেন উনি কি ম্যারেড।আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম।একসাথে এত প্রশ্ন করলে কিভাবে উত্তর দিবে তারা।আমার এই কাজিন এর দল বল কি জীবনে ভাল হবে না।যেখানে যায় দল বেঁধে আর মানুষ কে অতিষ্ট করে ছাড়ে।
“–মেয়েটি কৌতুহল নিয়ে বিহান ভাই কে বললো হ্যালো ব্রো আমাকে দেখে কি বিবাহিত লাগে।”
“–বিহান ভাই ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলেন,আজকাল কি আর বিবাহিত অবিবাহিত বোঝা যায় আপু।?”
“–অবশ্যই বোঝা যায়।ম্যারেড মানুষের মাঝে কিছু না কিছু গুন অবশ্যই থাকে। যেটা দেখে সিওর হওয়া যায়।”
“–এই যে আমাকে দেখুন।আমি তো বিবাহিত আমাকে দেখে কি সেটা বোঝা যাচ্ছে আপু।”
“–মেয়েটি চোখ উলটে বললো কি বলেন আপনি বিবাহিত।দেখে বোঝায় যাচ্ছে না।”
“–ক্যানো আপনি যে বললেন,বিবাহিত হলে বোঝা যায়।কই আমাকে দেখে তো বুঝলেন না।”
“–ছেলেদের বোঝা যায় না।তবে মেয়ে হলে ঠিক ই বুঝতাম।”
“–আসলেই বুঝতেন।ওকে ওই মেয়েটিকে দেখুন ও বিবাহিত। দেখে কি বোঝা যায়।আমার দিকে আঙুল দিয়ে দেখালেন।”
“–বলেন কি?উনি হিবাহিত।ওইটুক পিচ্চি মেয়ে বিবাহিত।”
“–আসলেই কি বিবাহিত দেখে বোঝা যায়। ”
“–নাহ আপনাদের দেখে বোঝা যায় না।এনি ওয়ে উনি কি আপনার ওয়াইফ।”
কথাটা শুনে শুভ ভাইয়ার দিক তাকিয়ে পড়লাম আমি।ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেলাম।তোহা আপু একটু রাগ নিয়ে বললো এই যে আপু চোখে কি কম দেখেন।বিহান ভাই এর সাথে কি দিয়ার যায় কোনদিকে।বিহান ভাই ছয় ফিট হাইট দিয়াকে দেখুন আর বয়স দেখুন ৫ বছরের ছোট বড়।এই লম্বা ছেলের হাঁটু সমান দিয়া ৫ ফিট ২।আমার মতো ৫ ফিট ৪ হাইট এর মেয়ে বিহান ভাই এর সাথে মানায়।তোহা আপু কি ইনডিরেক্টলি আমাকে খাটো বললেন।তোহা আপু বিহান ভাই কে বললেন বিহান ভাই বলুন আমি হাইটের দিকে পারফেক্ট আছি না বলুন।বিহান ভাই বললেন হুম তোহার মতো এমন পারফেক্ট আজকাল খুজে পাওয়ায় মুশকিল।একদম পারফেক্ট আছো তুমি তোহা।।
মেয়েটি হেসে উত্তর দিলো হাইট এ কি আসে যায়।পারফেক্ট মানুষ কখনো হাইট দেখে বিচার করা যায় না।দুজনের মনের বোঝাপড়া তেই হয় এটা।৫ ইয়ার ডিফারেন্স বয়স ই পারফেক্ট লাগে।মেড ফর ইচ আদার।
“সবার কথার মোড় ঘুরাতে বিহান ভাই আগের জায়গা ফিরে গেলেন।মেয়েটিকে বলে উঠলেন,এইজন্য আমিও আপনাকে দেখে বুঝি নাই।তাই জিজ্ঞেস করছিলাম বিবাহিত কিনা?”
“কেনো বলুন তো ভাইয়া বিবাহিত কিনা জিজ্ঞেস করলেন। ”
“এই যে একদল ছেলে দেখছেন।এরা অলওয়েজ বিবাহিত মহিলাদের প্রেমে পড়ে।এখন ই প্রেমে পড়ে যাচ্ছিলো।পড়ার আগে জেনে নিচ্ছি বিবাহিত কিনা।দেখা গেলো আপনার প্রেমে পড়ে এখানে হাত পা ভেঙে গেলো।তিয়াস ভাই আর বিভোর ভাই খিটখিটে ভঙ্গিতে তাকালো বিহান ভাই এর দিকে।তাদের চোখে মুখে ভয়ানক রাগ।বিভোর ভাই বলে উঠলেন একটা অপরিচিত মেয়ের সামনে ইজ্জত নষ্ট করার কি প্রয়োজন ছিলো।ভাগ্য ভালো তোর বউ আমার বোন।না হলে তোর কপালে যে কি ছিলো বিহান। বিহান ভাই শার্টের কলার খানিক টা ঝাঁকি দিয়ে বললেন আহা আকাশ টা কি সুন্দর তাইনা?তা ভাইয়া আপনার নাম হলো সাইমন এই বিবাহিত আপুকে কিছু বলবেন।আমি উনার চোখের দিকে তাকিয়ে পড়লাম উনি কি এক্ষুণি সবাই কে বলে দিবেন যে আমরা বিবাহিত।”
রিয়া,মেহু আপু হেসে গড়াগড়ি যাচ্ছে ওরা ভাবছে বিহান ভাই আমাকে রাগানোর জন্য বিবাহিত বলছেন।
সাইমন বললো দিল টুট গ্যায়া ভাইয়া।মেয়েটা বিবাহিত হলো কেনো?মেয়েটিকে খুব ভাল লেগেছিলো দেখতে।একদম রাতের পরী।
বিহান ভাই বললেন মেয়ে পটানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালোই আছে।পেত্নির মতো দেখতে একটি মেয়েকে রাতের পরি বানিয়ে দিলন।এগুলা আজ আজকাল কেউ খায় না।আপনাদের খাবার রেডি গো প্লিজ।
সাইমন নামের ছেলেটি হতাস হয়ে ফিরে গেলো।বিহাম ভাই এর যে ভীষণ রাগ হচ্ছে সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে।
ওখান থেকে আসার দুইদিন কেটে গিয়েছে আমি বিহান ভাই এর সাথে কোনো যোগাযোগ করছি না।কোনো এক বিশাল কারণে আমার অভিমান হয়েছে।কারণ টা বিহান ভাই কে বলি নি।উনার সাথে কথা না বলার ভীষণ পণ করলাম।নেট অন করিনা।ফোন ও অফ রেখেছি।রিয়া আর আমি কোচিং যাচ্ছি রাস্তায় ডাক পিওন এর সাথে দেখা।উনি আমাকে দেখে একতা চিঠি দিয়ে বললেন তোমার মামাতো ভাই এর নামে এসছে।চিঠি টা দেখে আমি আর রিতীমতো অবাক।চিঠী টা খুলে আরো অবাক।এটা একটা প্রেমপত্র ভাবতেই অবাক লাগছে।
#এক_বৃষ্টিস্নাত_সন্ধ্যা
৩৫.
#WriterঃMousumi_Akter
“প্রিয় “B”
মধ্যরাতে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা তোমাকে দেখে ভীষণভাবে মন হারিয়েছে আমার।তোমার হাসিটা মারাত্মক সুন্দর।তুমি বিবাহিত না এটা আমি জেনেই প্রেমপত্র লিখতে বসেছি।তুমি কি রাগ করবে আমার এই পত্র পেয়ে।হয়তো ভাববে এইভাবে কিভাবে প্রেম হয়।এমি এক দেখায় তোমার প্রেমে পড়িনি।আমি হাজার বার দেখেছি তোমাকে।তোমার চোখের তারায় নিজেকে দেখে বুঝে নিয়েছি তুমিই আমার সেই জন যার চির অপেক্ষায় এতদিন ছিলাম আমি।সেদিন পিকনিকে না গেলে আমি আমার জীবনের সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষ টাকে খুজেই পেতাম ন।তুমি ওখানে না এলে আমাকে বোধহয় আজন্ম কাল একাই থাকতে হতো।আচ্ছা ওকানে এলে আর আমার মন কেড়ে নিয়ে শান্তিতে ঘুমোচ্ছো তাইনা।আমার ঘুম না হওয়া রাত কি একবার ও তোমাকে মনে করিয়েছে অজান্তে কেউ তোমাকে ভেবেছে।আচ্ছা তোমার ঘুমন্ত স্বপ্নে কি নির্ঘুম এই আমাকে মনে পড়েছে একবার ও।তোমার স্বপ্নে কি হাতছানি দিয়েছে একবার ও এই আমার তোমাকে ভেবে রাত জাগা প্রহরের স্মৃতি। কিসব লিখে ফেললাম।বাকি টা পরে একদিন লিখবো।নিচে আমার ফোন নাম্বার টা দিয়ে দিলাম।ফোন দিও।
ইতি তোমার প্রিয়তমা
~~সানজি~~~
চিঠিটা যে সিওর বিহান ভাই কে লিখেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই আমার।আমি আর রিয়া দুজন দুজনের দিকে রিতিমত অবাক।রাগে শরীর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে।চিঠিটা খাম সহ দুমড়ে মুচড়ে হাতের মাঝে মুঠো করে রাগে ফুঁসছি আমি।রিয়া সন্দিহান দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে কিরে দিয়া প্রেসার বেড়ে গেলো নাকি তোর।অগ্নিমূর্তির ন্যায় তাকালাম রিয়ার দিকে।রিয়াকে বললাম পানির পট টা দে।রিয়া পানির পট আমার দিকে এগিয়ে দিলো।রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ঢক ঢক করে এক লিটার এর একটু কম হবে পানি খেয়ে ফেললাম।রিয়া অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে কিরে দিয়া এক পট পানি খেয়ে ফেললি।ওইদিকে বিহান ভাই যখন বলে দিয়া পানি খা পানি খা এক ঢোক পানিও খাস না তুই।এখন এত পানি খেয়ে ফেললি।পানির পট টা গাছের দিকে জোরে ছুড়ে মেরে বললাম কি এত বিহান ভাই বিহান ভাই করিস বলতো।আর একবার ও ওর নাম নিবি না আমার সামনে।রিয়া ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে উনি থেকে “ওর”
কাহিনী ইজ ভেরি জ্বলতেছে।
“রিয়ার দিকে আবার ও রেগে মেগে তাকালাম আমি।কার জ্বলতেছে রিয়া।তুই কি আমাকে বললি।আমার কেনো জ্বলবে রিয়া।”
“আচ্ছা জ্বলতেছে না তাইতো।তাহলে বিহান ভাই যে সেদিন আসার সময় বললো সানজি মেয়েটা দেখতে তো ভালোই। তুই সেখান থেকে বিহান ভাই এর সাথে কথা বলা অফ করেছিস কেনো?”
“আজব তো উনি কাকে ভাল বললো না জুস বললো না পেপসি বললো না আইসক্রিম বললো আই ডোন্ট কেয়ার রিয়া।”
“তাইনা দিয়া আমি কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলি।বিহান ভাই এর ফোন রিসিভ করছিস না দেখে ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিলো।আর জানিয়েছে তোর রাগের কারণ।আচ্ছা দিয়া তুই রাগ করলে বিহান ভাই এর কি বলতো।উনি এতটা উতলা কেনো?”
“ঢং করে কি দেখে মেয়েদের রুপ গুনের প্রশংসা করে দেখিস না।এতই যদি মেয়েসের জুস লাগে আমার খোজ নেওয়া লাগে ক্যানো?আমি কি খোজ নিতে বলেছি।বাহ বাহ!দ্যা গ্রেট বিহান ভাই কে দেখো ডাক পিওন বাড়ি বয়ে এসে চিঠি দিয়ে যাচ্ছে।উনি কি এ যুগের মজনু হয়েছে।”
“আচ্ছা দিয়া চিঠি দিয়েছে বিহান ভাই এর কি দোষ। বিহান ভাই কি দিতে বলেছেন।এনি ওয়ে চিঠি নিয়ে তোর রাগ হচ্ছে কেনো?হায় প্রেম হায় ভালবাসা। ”
“তুই কি ফিডার খাস রিয়া।উনার নাম ঠিকানা না জানলে চিঠি টা পাঠালো কিভাবে শুনি।”
“আসলেই তো ব্যাপার টা জটিল লাগছে।”
“রিয়া চল আমার সাথে।”
“কোথায়?”
“মামাদের বাড়িতে।যাবো আর আসবো।”
“ওকে চল।”
হন হন করে মামাদের বাড়িতে প্রবেশ করলাম।মামি দুপুরে রান্নার জন্য তরকারি কাটছে।আমাদের দেখেই মামি হেসে দিয়ে বললেন,একি তোরা আয় এদিকে আয় কোচিং গেছিলি নাকি।আমার মন আর মুড কোনটাই ঠিক নেই।রিয়া উত্তর দিলো হ্যাঁ মামি আমরা কোচিং গেছিলাম।টুল এগিয়ে দিলো মামি দুজনের দিকে।ডায়নিং এর চেয়ারে ব্যাগ রেখে টুলের উপর বসলাম দুজনে।এ বাড়িতে দিনে একবার করে আসা হয় বলতে গেলে তাই নিজের বাড়ির মতোই হয়ে গিয়েছে।খুব একটা আত্মীয় আত্মীয় ভাব নেই।মামি আমাদের রেখে রান্না ঘরে প্রবেশ করলেন, ট্রে তে করে দু’ গ্লাস লেবু চিনির সরবত, কেক,কলা,পায়েস নিয়ে এলেন।মামিকে বললাম এগুলোর কি প্রয়োজন ছিলো মামি।মামি বললেন রোদ থেকে এসছিস খেয়ে নে ক্লান্তি দূর হবে।খাওয়া শেষে মামির সাথে মরিচের বোটা ছড়াচ্ছি আর লাল শাক বেছে দিচ্ছি।রিয়া বললো মামি কি রান্না করবেন দুপুরে।মামি বললো বিহান আমড়ার টক খাবে ওর জন্য আমড়ার টক রান্না করবো,লাল শাক ভাজি করবো,বেগুন আর ইলিশ মাছ, পিয়াজ কেটে ছোট মাছের ঝোল।রিয়া বললো মামি বিহান ভাই কোথায়?মামি বললো ঘুমোচ্ছে ওয়েট ডেকে দিচ্ছি।মামি ডাকাডাকি না করে ফোন করলো বিহান ভাই কে।দেখলাম যে ভদ্র লোক হোয়াইট থ্রি কোয়ার্টার গলায় টাওয়াল ঝুলিয়ে ব্রাশ করতে করতে বের হয়েছেন।আমার দিকে তাকিয়ে ব্রাশ করছেন আমার উনার চোখে চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে নিলাম।নবাব জাদা এত বেলা হয়েছে ঘুমোচ্ছে।
বিহান ভাই মামির দিকে তাকিয়ে বলেন,মা তোমার ননদের মেয়ে পেত্নি প্যাচাদের মতো মুখ করে রেখেছে ক্যানো।ওর বাপের জামাই কি ওকে রেখে অন্য কারো সাথে ভেগে গিয়েছে।
উনার কথা শুনে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো আমার।কি আজব ব্যাপার সব সময় এসব আধ্যাতিক কথা কি না বললেই নয়।
মামি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,
কি হয়েছে দিয়া মা মন খারাপ।
কই নাতো মামি।মানুষ বললেই তো আর হয়ে যাবে না।আমি কি কাউকে বলেছি নাকি আমার মন খারাপ।
মামি বিহান ভাই কে ধমক দিয়ে বললেন মেয়েটাকে বিরক্ত করবি না অযথা বিহান।তোর জন্য দিয়া এ বাড়িতে আসতে চায় না।রিয়া মা লেখাপড়া কেমন চলছে।
জ্বী মামি ভালো।
বিহান ভাই আবার ও বললেন,মা দিয়াকে বিয়ে দাও।ওর মুড আজ কাল বেশী খারাপ থাকে।দেখো ক্ষেপীর রূও ধারণ করে আছে।ওর বাবার জামাই কে ও রেগুলার মারবে।ওর হাতের মার খেয়ে বেচারার কি অবস্থা হবে কি জানি।
চট জলদী উঠে দাঁড়িয়ে হাতের মধ্য থাকা দলা করা চিঠিটা উনার মুখে ছুড়ে মেরে দিয়ে মামিকে বললাম এখন আসি মামি।কাল আবার আসব।মামিও অবাক আমার এমন আচরণ দেখে।
বিহান ভাই আমার সাথে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না।আমি মনে মনে উনার সাথে ঝগড়া চালিয়েই যাচ্ছি।
বিকাল বেলা বিভোর ভাই আমাদের বাড়িতে এলেন।রিয়ার আম্মুকে দেখেই বিভোর ভাই বললেন,
“হাই শাশুমা কেমন আছেন?”
“জামাই এর মিষ্টি ছাড়া ভাল থাকি কিভাবে।”
“আগে বলবেন না আজ চিনির দাম ভালোই সস্তা।”
“কিপটা জামাই এর সাথে মেয়ে দিবো না।”
“শ্বশুর বিদেশ এত টাকা কে খাবে।সব তো আমার ই।জামাই কে টাকা দিতে পারেন না।তাহলে মিষ্টি কিনে আনতে পারে।”
“থাক বাবা মিষ্টি আর খাবো না।”
“কি আর মিষ্টি আনবো বলুন আপনার মেয়ে তো পাত্তাই দেয় না।এ জীবন রেখে কি লাভ বলুন শাশুমা।”
“মেয়ে তো আমার দুইটা।ছোট মেয়ে আছে না।ছোট জামাই বানাবো।”
এমন সময় রিয়া এসে বলে আম্মু এই বুইড়া বেটার সাথে আমার বোন দিবো না।
বিভোর ভাই বললেন,,রিয়া এই হ্যান্ডসাম ছেলেকে হাত ছাড়া করো না একদিন আফসোস করবে বলে দিলাম।
বিভোর ভাই রিয়ার আম্মুর সাথে অলওয়েজ ই এমন ফান করে।
বিভোর ভাই আমার রুমে এসে বলেন এই দিয়া বিহান তোকে আমার সাথে রাস্তায় যেতে বলেছে।তুই তোর ফোন অফ রেখেছিস কেনো?বিভোরকে জানিয়ে দিলাম আমি একটুও উনার সাথে দেখা করতে চাই না।এমন সময় তোহা আপু এসে হাজির।তোহা আপু বলে দিয়া আমার জান্টুস টা কে দেখলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।আজ যা সুন্দর লাগছে বলার বাইরে।খানিক টা বিরক্তি নিয়ে বললাম উনাকে অসুন্দর কখনো লেগেছে তোহা আপু।নাহ তবুও।আচ্ছা দিয়া বিহান এর যে হাইট সত্যি করে বল কোনো খাটো মেয়ে কি মানায় ওর সাথে।বিহান যে সুন্দর একটা পারফেক্ট মেয়েই লাগবে ওর জন্য।
এবার আরো বিরক্ত হয়ে বললাম বাহ তোহা আপু মামাতো ভাই আমার টেনশন তোমার।আমি তো কখনো এতটা টেনশন করি না উনি কাকে বিয়ে করবে না করবে।উনি খাটো মেয়ে বিয়ে করলে কি তুমি আটকাতে পারবে।কি মানাবে না মানাবে উনার জীবন উনি ভাল বুঝবেন।তোহা আপু বললো দিয়া তোর কি হয়েছে আজ।কিছু হয়েছে।তোহা আপুকে বললাম নাহ কিছুই না।
বিভোর ভাই যাওয়ার সময় আমার হাতের ভেতরে একটা চিরকুট দিয়ে গেলেন।চিরকুট টা খুলে দেখি লেখা আছে,,
“মিসেন বিহান! রাগ করে আছেন কেনো?আপনার এই সদ্য বিবাহিত হাজবেন্ড কে এতটা ইগনোর করছেন কেনো?চিঠিতে নামের অক্ষর আমার হলেই কি সেই মানুষ টা আমি হয়ে গেলাম।আমি তো তারায় তারায় রটিয়ে দিয়েছি এই আমিটা এই রাগিনী দিয়ার।এই রাগের কারণ কারণ হিসাবে কি ধরে নিবো আমাকে কাছে পাচ্ছেন না বলে রাগ করছেন।আমি সিওর এটাই কারণ।আমার সাথে কথা না বললে কিন্তু আমি এটাই বুঝে নিবো।”
চলবে,,
চলবে,,
(