#একবার_বলো_ভালবাসি
#Part_6
#Writer: #Tisha_Islam_Nabila
[প্রথমে কিছু কথা বলে নেই…. আমার আইডি নিয়ে ঝামেলা চলছে…. আইডি তে রিপোর্ট মেরেছে কেউ…. নতুন আইডিটা ডিজেবল হয়ে গিয়েছে…. এই আইডিটা পুরনো তাই এখনো কিছু হয়নি…. আল্লাহ জানে কখন এই আইডিও ডিজেবল হয়…. তাই প্রতিদিন ২টা পার্ট দিয়ে…. গল্পটা যত তাড়াতাড়ি পারি শেষ করবো…. সবাই দোয়া করবেন এই আইডিটা যেন Save থাকে…. আর আমি বলেছিলাম…. হিরোর নাম জয় ভাল না লাগলে…. আবার তিশান দেয়া হবে…. তাই এখন থেকে তিশান থাকবে…. আর নাম চেন্জ হবেনা]
তিশানঃ তিশা এসব কি বললো?? সত্যিই কি ও আমাকে ভুলে যাবে?? আমাকে আর ভালবাসবে না?? [মনে মনে]
নেহাঃ তিশান কি ভাবছো??
নেহা’র ডাকে তিশানে’র ধ্যান ভাঙে….
তিশানঃ কি ভাবছিলাম এগুলো আমি?? তিশা আমাকে ভুললেই কি?? আর না ভুললেই কি?? ওর কথা ভাবতে চাইনা…. [মনে মনে]
নেহাঃ কি হলো??
তিশানঃ না কিছুনা….
রুপঃ রিয়া, তরী আমিও যাচ্ছি…. তোরা যাবি নাকি থাকবি??
রিয়াঃ না আমরাও যাবো….
তরীঃ হ্যা চল..!!
তিশানঃ কেন ঘুরবি না??
রুপঃ আমরা ৪জন এসেছিলাম…. তোর জন্য একজন চলে গিয়েছে…. তাই আমাদের ঘুরতে ইচ্ছে করছে না…..
ওরা ৩জনও চলে আসে…. আর তিশা বাড়ি গিয়ে…. অনেক কাঁদছে কেন জানি?? আজ কিছুতেই কান্না থামছে না..!!
তিশাঃ আমি কি এতই খারাপ?? আমাকে কি একটুও ভালবাসা যায়না?? মানছি ভালবাসো না তাই বলে…. আমার সাথে এমন করবে?? ভালবাসা তো পাপ না…. তাহলে আমার বেলায় এমন কেন?? কেন পাচ্ছিনা আমি যাকে ভালবাসি তাকে?? আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি…..
।
।
।
।
কাঁদতে কাঁদতে তিশা ঘুমিয়ে পড়ে…. তিশান’রা আরো কিছুক্ষণ থাকে…. এরপর ওরাও চলে আসে…. আর রুপ’রা তো আগেই চলে এসেছে…!!
তিশানে’র মাঃ তিশান তুই এমন কেন??
তিশানঃ কেন?? কি করলাম??
তিশানে’র মাঃ তুই তিশা কে কি বলেছিস??
তিশানঃ কি বলেছি??
রুপঃ কেন তুই বলিসনি?? তিশা আমাদের মাথা খায়??
তিশানঃ মা আমি আসলে….
তিশানে’র মাঃ চুপ কর আমি জানি…. তুই তিশা কে সহ্য করতে পারিস না…. কিন্তুু আমাকে বলতো…. কেন পারিস না?? কারন কি??
তিশান চুপ করে আছে…. কি বলবে ও?? কোনো কারনই নেই যে বলবে..!!
রুপঃ কোনো কারন থাকলে তো বলবে….
তিশানে’র বাবাঃ শোন তিশান আজকের পর…. আর কখনো তুই তিশা’র সাথে…. বাজে ব্যবহার করবি না…. কখনো ভেবেছিস?? এতে মেয়েটা কত কষ্ট পায়…. একটা বাচ্চা মেয়ে ও…. তবুও কখনো ওর বাবা-মা…. বা আবিরে’র কাছে বলেনি…. যে তুই ওর সাথে এমন করিস..!!
তিশানে’র মাঃ এতেও তো তোর বোঝা উচিত,,,,
তিশান হনহন করে উপড়ে চলে আসে…. এতক্ষণ তিশান রেগেই ছিলো….
তিশানঃ তোকে আমি ভালবাসি না…. তোর জন্য সবাই কথা শোনালো…. এরপর যদি তুই আমার সামনে আসিস…. আমি যে কি করবো তুই ভাবতেও পারবি না..!! [রেগে]
।
।
।
।
রাতে কাব্য ল্যাপটপে কাজ করছে…. তখন ওর বাবা এলো…!!
কাব্যঃ কিছু বলবে বাবা??
কাব্য’র বাবাঃ হ্যা তুই তো অফিসে জয়েন হয়েছিস…. এবার বিয়েটা করে নে বাবা….
কাব্যঃ বাবা এত তাড়াতাড়ি??
কাব্য’র বাবাঃ তাড়াতাড়ি হোক আর যাই হোক..!!
কাব্যঃ বাবা আমি পরে তোমাকে বলবো….
কাব্য’র বাবাঃ তুই কি কাউকে ভালবাসিস??
কাব্য চমকে উঠলো…. এরপর কিছু ভেবে জবাব দিলো,,,,
___হ্যা বাবা ভালবাসি…. অনেক ভালবাসি…. এতটাই ভালবাসি যে..!!
কাব্য’র বাবাঃ হয়েছে বুঝেছি এবার তাহলে…. তাকে বিয়ে করে ফেল…..
কাব্য’র বাবা চলে যায়…. কাব্য একটা হাসি দেয়..!!
কাব্যঃ হ্যা বিয়ে করবো,,,,
।
।
।
।
নেহা ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে…. সে এই ব্যস্ত শহর দেখছে…. ব্যস্ত শহরটাতে কত কোলাহল…. কত মানুষে’র আনাগোনা…. টুপটুপ বৃষ্টি পড়ছে…. সেই সাথে গড়িয়ে পড়ছে…. নেহা’র চোখের অবাধ্য পানি…. আর সেই পানি মুছে ফেলার…. ব্যার্থ চেষ্টা করছে নেহা…. কিন্তুু পারছে না কিছুতেই…!!
নেহাঃ কেন রিদ?? কেন ঠকালে আমাকে?? পারিনা তোমাকে ভুলতে…. কি করে ভুলি বলো?? ভালবাসি যে তোমাকে…. অনেক ভালবাসি তোমাকে…. তোমাকে ভোলার জন্যই…. তিশান কে Propose করেছি…. কিন্তুু তবুও ভুলতে পারছি না…. তুমি তো আমাকে ভুলে গিয়েছো…. কিন্তুু আমি পারিনি ভুলতে…. কেন করলে সেদিন ওমন??
রিদ তখন নেহা’র জন্যই কাঁদছিলো…. ওরা দুজন দুজন কে ভালবাসে…. একটা ভুল বোঝাবোঝির জন্য…. দুজনই সমান কষ্ট পাচ্ছে…. তবে কেন এসব হলো?? সেটা পরে জানবেন….
নেহাঃ না আমি পারবো না…. নিজের জন্য তিশান কে কষ্ট দিতে পারবো না…. ভালবাসা হারালে কত কষ্ট হয়…. সেটা আমি জানি…. তাই আমি তিশান কে সব বলে দেবো…. আর তিশা ওকে অনেক ভালবাসে…. এটা আমি বুঝেছি…. তাই তিশান কে বলবো…. তিশা কে মেনে নিতে কালই বলবো..!!
।
।
।
।
রিয়া রিয়াদ কে ধমকাচ্ছে…..
রিয়াদঃ তুই এমন করছিস কেন??
রিয়াঃ শোন ভাইয়া তুই…. তিশান ভাইয়া’র সাথে মিশবি না…!!
রিয়াদঃ কেন??
রিয়াঃ তিশান ভাইয়া পচা,,,,
রিয়াদঃ পচার কি করলো??
রিয়াঃ তিশা কে কত কষ্ট দিলো…. কত কষ্ট দেয় দেখ…. আমার খুব খারাপ লাগে…..
রিয়াদ চুপ হয়ে যায়..!!
রিয়াদঃ আমার নিজেরই তো খারাপ লাগে…. তোকে আর কি বলবো?? [মনে মনে]
রিয়াঃ কি রে….
রিয়াদঃ আচ্ছা এখন তুই যা..!!
রিয়াঃ শুনবি কিন্তুু আমার কথা….
রিয়া ওর রুমে চলে যায়…. তিশান কে সমানে ডেকে যাচ্ছে আবির…. সেই যে বিকেলে ঘুমিয়েছে…. এখনো ওঠেনি আবিরে’র ডাকে…. তিশা পিটপিট করে চোখ খুললো….
তিশাঃ রাত হয়ে গিয়েছে??
মোবাইলে তাকিয়ে দেখে ৯টা বাজে….
তিশাঃ Omg এত ঘুমিয়েছি??
তিশা গিয়ে দরজা খুলে দিলো…. আবির রাগী লুক নিয়ে দাড়িয়ে আছে…. তিশা দাত কেলিয়ে বললো..!!
___বুঝলি ভাইয়া??
আবিরঃ কি বুঝবো?? তুই তো এখনো কিছু বললি না…. তার আগেই বলছিস…. বুঝলি ভাইয়া??
।
।
।
।
আবির হু হা করে হেসে দিলো…. আর তিশা আবুল মার্কা…. চেহারা নিয়ে দাড়িয়ে রইলো..!!
আবিরঃ যাইহোক Dinner করবি না??
তিশা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে….
তিশাঃ তুই গিয়ে গেল যা..!!
আবির বুঝলো তিশা রেগে আছে….
আবিরঃ ওলে আমাল গুলুমুলু বনু…. Sorry আর বলবো না…. তোর যা ইচ্ছে বলিস কেমন??
তিশা ফিক করে হেসে দিলো….
আবিরঃ এবার চল,,,,
তিশাঃ তুই যা আমি আসছি..!!
আবির নিচে গেলো Fresh হয়ে তিশাও গেলো…..
তিশা’র বাবাঃ তিশা কি হয়েছে তোর??
তিশাঃ কি হবে??
আবিরঃ বিকেলে এসেই দরজা দিলি….
তিশাঃ ঘুমিয়েছিলাম…!!
মেঘে’র বাবাঃ এতক্ষণ??
তিশাঃ হ্যা আর এসব বাদ দাও….
কেউ কথা বাড়ালো না…. Dinner শেষ করে…. তিশা নিজের রুমে চলে এলো…!!
।
।
।
।
পরেরদিন College এ তিশা বসা…. পাশে ওর Friend রা..!!
তিশাঃ ওই তোরা থাক আমি আসছি….
রিয়াঃ কোথায় যাবি??
তিশাঃ একটু কাজ আছে,,,,
রুপঃ আমরা আসবো??
তিশাঃ আরে না আমি এখনি চলে আসবো….
তিশা College এর সিরির কাছে যেতেই…. কেউ তিশা’র চোখ পেছন থেকে ধরে…!!
তিশাঃ আরে কে??
লোকটাঃ তুমি বলো….
তিশা কন্ঠ শুনে বুঝলো…!!
তিশাঃ তুমি??
চোখ ছেড়ে দিলো….
তিশাঃ তুমি এখানে??
লোকটাঃ চলে এলাম বোনে’র কাছে….
তিশাঃ অভি ভাইয়া কত মিস করেছি..!!
অভি তিশা’র খালামনি’র ছেলে…. মানে খালাতো ভাই…. অভি একা ওর কোনো বোন নেই…. তিশা কে বোনের মত ভালবাসে….
অভি তিশা কে জড়িয়ে ধরলো…. তিশাও জড়িয়ে ধরলো…. এসব তিশান দেখছে…. কিন্তুু অভি ঘুরে থাকার জন্য…. ওর মুখ দেখতে পারছে না…. রাগে তিশানে’র শরীর জ্বলছে…. তিশান ওখান থেকে চলে আসে..!!
।
।
।
।
তিশাঃ ভাইয়া আমার চকলেট??
অভিঃ এখনো ভুলিসনি??
তিশা বাচ্চাদের মতো মাথা নাড়ালো…. মানে না ভোলেনি..!!
অভিঃ আনতে পারিনি….
তিশা মুখ ফুলিয়ে রইলো…. অভি এক বক্স চকলেট ধরলো তিশা’র সামনে….!!
তিশাঃ এত চকলেট?? [খুশি হয়ে]
অভিঃ সব আমার বোনের….
তিশা বক্সটা হাতে নিলো,,,,
তিশাঃ চলো বাসায় যাই..!!
অভিঃ তুই যা বাইরে গিয়ে দাড়া আমি আসছি….
তিশা অভি’র কথামত বাইরে আসে…. বাইরে এসেই তিশান কে দেখে…. এক দৌড়ে তিশানে’র কাছে যায়…. তিশান তিশা’র হাতে চকলেট দেখে…. আরো বেশী রেগে যায়…..
তিশাঃ তিশান কি হয়েছে??
তিশানঃ যা এখান থেকে….
তিশানঃ আমি তোমাকে ভালবাসি…. এটা কেন বোঝোনা তুমি??
তিশানে’র মনে পড়ে যায়…. তিশা কাকে জড়িয়ে ধরেছিলো…. তিশান ঠাস করে তিশা কে থাপ্পর মারে…. এত জোরে মারে ঠোট কেটে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে…. তিশা মাটিতে পড়ে যায়…. তিশা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে..!!
।
।
।
।
তিশানঃ কয়জন লাগে তোর??
তিশা অবাক মাঠের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে…. রুপ, রিয়া, তরীও চলে এসেছে,,,, পাশে নেহাও আছে..!!
তিশাঃ এসব কি বলছো??
তিশানঃ কি বলছি না?? ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করতে ভাল লাগে?? তোর যখন আশিক আছে…. তাহলে আমার পেছনে পড়েছিস কেন?? আর তোর কি লজ্জা সরম নেই?? এত অপমান করি তোকে…. তবুও সেই আমার পেছনে পড়ে আছিস…. তোর মতো বেহায়া দুটো দেখিনি…. এখন তো মনে হচ্ছে…. তোর চরিএ ও খারাপ…!!
তিশা’র চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে…..
রুপঃ ভাইয়া কি বলছিস?? চুপ কর এবার…!!
তিশানঃ কেন চুপ করবো??
তিশা নিচ থেকে উঠে দাড়ায়…..
তিশাঃ ভালবেসেছিলাম তোমাকে…. জীবনে প্রথম ভালবাসা তুমি…. তাই এত অপমান করার পরও…. তোমার পেছনে পড়েছিলাম…. আজ তুমি আমার চরিএ নিয়ে কথা বললে…. সত্যি আমি বেহায়া…. তবে চিন্তা করো না…. মিস্টার তিশান চৌধুরী…. এই তিশা ভালবাসার দাবী নিয়ে…. আর কোনদিন তোমার সামনে আসবে না…. ভুলে যাবো আমি তোমাকে…!!
তিশা দৌড়ে ওখান থেকে চলে আসে…. অভি সবটাই দেখেছে…. অভি গিয়ে তিশান কে থাপ্পর মারে…. থাপ্পর খেয়ে তিশান সামনে তাকায়…..
তিশানঃ অভি ভাইয়া??
#চলবে …
