#ওঁ_ফিরে_এসেছে (পর্বঃ ৫)
#Writer_Mubarak_Hossain (Dp)
.
.
হঠাৎ করে ছেলে দুটির ঘাড়ে…কে যেনো শক্ত করে চেপে ধরে আছে।
পেছনে ঘাড় ঘুরাতেই ছেলে দুটি আত্মচিৎকার করে উঠে প্রচন্ড ভয়ে।
ভয়ে পুরো শরীর কাঁপছে ছেলে দুটি।
দৌড় দিতে পারছে না তারা কারণ তাদের মনে হচ্ছে তারা স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে আছে কোনো ভাবে নড়াচড়া করতে পারছে।
অন্যদিকে কন্ট্রোল রুমে রুহি আর মিলি ব্যাপারটা সিসি ফুটেজে দেখে হতভম্ব। কি হচ্ছে? কিসের ধোঁয়া এটা? আর ওরা এমন মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেই বা কেন? কেনো মাইশার সত্বীতের উপর জানোয়ারের মতো ঝাপিয়ে পরছে না? রাগে কিরিমিরি করতে লাগে রুহি।
হঠাৎ করে ছেলে দুটির নাক মুখ দিয়ে গরগর করে রক্ত বেরুচ্ছে। ভয়ে আতঙ্কে ছেলে দুটি চিৎকার করতে লাগে ” বাঁচাও বাঁচাও বলে “। কন্ট্রোল রুম থেকে এ দৃশ্য দেখে ভীষণ ভয়ে ঘাবড়ে উঠে রুহি আর মিলি।
মাইশার শরীরে কোনো ভূত প্রেত নেই তো?
এমনটা ভাবতেই রুহি চেয়ার থেকে উঠে দাড়ায়।
হঠাৎ করে রুহি ও মিলি চোঁখ বড় বড় করে মনিটরে তাকিয়ে দেখে – ছেলে দুটির চোঁখ মুখ দিয়ে গরগর করে রক্ত বেরিয়ে আসছে।
গালের মাংস গুলো মুহূর্তে ই পচে যেতে শুরু করে। একসময় ছেলে দুটি ধপাস করে পরে ফ্লোরে, ছটফট করতে করতে মারা যায়।
রুহি বুঝতে পারছে না কে….! তাদের কে এমন নিসংশয় ভাবে যন্ত্রণায় দিয়ে মেরেছে??
হঠাৎ করে রুহির আর মিলির চোখ আতকে উঠে, দেখে মনিটর থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। দুজনেই ভয়ে দু পা পিছিয়ে আসে।
এক সময় কালো ধোঁয়াটা একটা মানুষের অভায়ক গঠন হয়। মুহূর্তে ই তাদের সামনে ঐ কালো ধোঁয়া টা একটা মেয়ের রুপ ধারণ করে।
বিস্ময় চোঁখে হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে দেখছে।
হঠাৎ করে রুহির ও মিলির গলা চেপে ধরে হাওয়াই শূন্যে উঠিয়ে নেয় মেয়েটা। মেয়েটার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুজনেই ছটফট করতে লাগল…….
রেগে গিয়ে মেয়েটা রুহি ও মিলিকে ছুরে মারে দেওয়ালে।
মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।
অস্ফুটভাবে রুহি বলে উঠে “”কে তুমি? কেনোই বা মারছো আমাদের কে??
মেয়েটে – কেনো একটা নিরপরাধ মেয়ের সত্বীত কে নষ্ট করছিস? সে না তোর বেস্টফ্রেন্ড..! বিশ্বাসঘাতক বেইমান। শুধুমাএ তোর কারনে ও এখানে এসেছে আর তুই তোর ভন্ড প্রতারক প্রেমিকের জন্য তুই তার এতো বড় সর্বনাশ করতে চেয়েছিস? আজ তোদের এমন অবস্থা করবো যাতে করে এই পুরো ক্লাবের লোক গুলো ভয়ে শরীর কাটা দিয়ে উঠবে……
রুহি ও মিলি এমন কথা শুনে ভয়ে ডোগ গিলে।
মিলি – তুমি কে? কি চাও আমাদের কাছে? জানি আমরা একটা ভুল করেছি তাই বলে তুমি আমাদের মারতে পারো না?
মেয়েটি – আমি অতৃপ্ত আত্মা……
বলে জোরে জোরে হাসতে লাগলো……..
হঠাৎ করে রুহি ও মিলিকে গলা চেপে ধরে….
রাগে গজগজ করছে মেয়েটি….
মুহূর্তে বুকে নকের আঁচড় বসিয়ে দেয় দুজনের শরীরে….!!
ভীষণ যন্ত্রণায় চিৎকার দিয়ে উঠে রুহিওমিলি।
ক্লাবের সমস্ত লোক যেনো স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ায় কোনো চিৎকারের শব্দে। সবাই ছুটে চলে উপরের রুমে।
অতৃপ্ত পিশাচ আত্মা রুহির ও মিলির শরীরটা থেকে খুবলে খুবলে মাংস কেঁড়ে নেই, যেনো কোনো জানোয়ার এসে তাদের তাজা রক্ত মাংস খেয়ে চলে গেছে।
এমন নিসংশয় ভাবে মেরেছে যে তাদের কে কোনো ভাবে চেনার কোনো ধারণায় নেই।
সেই আত্মা রুপী কালো ধোঁয়া টা আবার মাইশার শরীরে ঢুকে যায়।
লোকগুলো এসে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতেই সবাই আতকে উঠে। কেউ কেউ এমন দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পরে যায়।
সবার মধ্যে ভয় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন – কে ওদের কে নিসংশয় ভাবে মেরেছে??
হঠাৎ করে
পুলিশ আসে ক্লাবে। একদিকে এমন নির্মমভাবে মৃত্যু অন্যদিকে পুলিশ, সব মিলিয়ে সবার মাঝে ভয় চেপে ধরে। সবাই দৌড়ে ছুটে পালায় ক্লাবের থেকে।
ক্লাবের ম্যানেজার কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পারে উপরে দুটো রুমের মধ্যে চারটি লাশ। পুলিশ সন্দেহ জনক পাঁচ জনকে ধরে নিয়ে যায়। সিল করে দেয় ক্লাবটি।
পোস্টমর্টেম করার জন্য লাশ গুলো এ্যামবুলেন্সে তুলে নিয়ে যাচ্ছে হসপিটালে….!!
কিন্তু হঠাৎ করে এ্যামবুলেন্স খাদে পড়ে বিস্ফারণ ঘটে এ্যামবুলেন্সটি। আগুনে পুড়ে চিহ্ন ভিন্ন হয়ে যায় লাশ গুলো। আর কোনো প্রমাণ নেই এদের মৃত্যুর কারণ রহস্য।।
.
.
.
এদিকে অনিক আলিশার এমন বিবস্ত্র ভয়ংকর চেহারা দেখে ভয়ে চিৎকার করতে তাকে।
আলিশা রাগে গজগজ করতে করতে অনিকের বুকে নকের আঁচড় বসিয়ে দেয়। যন্ত্রণায় জোরে গলা ফেটে আত্মচিৎকার করে উঠে।
জোরে জোরে অনিকের সহকারী কে ডাকতে লাগে কিন্তু তার কোনো সারা শব্দ নেই আসার।
ভয়ে আতঙ্কে অনিক আলিশার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।
অনিক – প্লিজ আলিশা আমাকে মেরো না। ক্ষমা করে দাও আমাকে ((করুণার স্বরে))
আলিশা – ক্ষমা চাচ্ছিস তুই..! তোর মতো জানোয়ার কে আমি কখনোও ক্ষমা করবো না।
মনে পারে..?
কতো হাত জোর করে বলে ছিলাম….. আমার এতো বড় সর্বনাশ করুনা, বলেছিলাম আমাকে প্রাণে মেরো না কিন্তু তুই আর তোর বন্ধুরা… আমাকে নিসংশয় ভাবে মেরে ছিলি। মাটিতে ফুতে ফেলে ছিলি আমার দেহ টাকে। আমার নামে কলঙ্কের মিথ্যা দাগ দিয়েছিস আমার হবু বরের কাছে।
ও আমাকে দুচোখে দেখতে পারে না ঘৃণায়। আমার কথা ওর মনে পড়লে ঘৃণায় নিজেকে শেষ করে দিতে চাই..।। সমাজে মাথা তুলে দাড়াতে পারে না আমার বাবা। হেট করে দিয়েছিস আমার পরিবারের মিথ্যা কলঙ্কের দাগ দিয়ে।
ডক্টর শামীম, ডিরেক্টর নাবিল ওদের মতো তোকেও শেষ করে ফেলবো।
এই বলে জোরে জোরে হাসতে লাগল………. আলিশা।
অনিক প্রচন্ড ভয়ে তার শরীর কাটা দিয়ে উঠে। ভাবতেই পারছে না অনিক, আলিশা তাদের কে মেরে ফেলেছে।
নিজের মৃত্যুর ভয় ভাবতেই ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে হৃদস্পন্দন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে,
মুহূর্তে ই অনিকেন দুহাত দু দিকে কে জেনো জোরে জোরে টানছে। মনে হচ্ছে কেউ তার দুটি হাত ছিরে নিতে চাই।
অনিকের সামনে আলিশা অট্ট হাসিতে মেঠে উঠে…
অনিক যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগে জোরে জোরে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে “”বাঁচাও,কেউ আছো আমাকে বাঁচাও””
এক সময় অনিকের দু হাত দেহ থেকে ছিরে নিয়ে যায় আলিশা।
অনিকের ছিরে যাওয়া হাত দিয়ে রক্ত নদীর স্রোতের মতো বেরিয়ে আসছে।
অনিকের দেহটা ফ্লোরে পরে ধরফর করে মাছের মতো লাফালাফি করছে।
যন্ত্রণায় চিৎকার করে ডুঁকরে ডুঁকরে কেঁদে ফেলে অনিক।
তার কান্না দেখে অট্ট হাসিতে মেঠে উঠে আলিশা। হঠাৎ করে অনিকে বুকে ঢুকিয়ে দেয় আলিশার হাত। রাগে হাত মুঠি করে ধরে অনিকের হৃদপিন্ড। মুচড়াতে লাগে হৃদপিন্ড টা… মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে অনিকের আত্মচিৎকার। গরগর করে রক্ত বেনিয়ে আসে মুখ দিয়ে।।
জোরে হৃদপিন্ড টা ছিনিয়ে আনে অনিকের বুক থেকে আলিশা । ছটফট করে মারা যায় অনিক। এমন নিসংশয় নির্মমভাবে অনিকে মেরে ফেলাই আলিশা খুশিতে অট্ট হাসিতে মেঠে উঠে, একেক করে তার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে পাররছে বলে।
হাতে একদম সময় নেই কাল অমাবস্যাতেই তার শত্রুদের শেষ করতে হবে কারণ মাইশাকে যে সে কথা দিয়েছে।
তার শত্রুদের শেষ করেই তার আত্মা মুক্তি পাবে। মুক্তি পাবে মাইশার শরীর থেকে তার অস্তিত্ব।।
.
.
.
মাইশা চোখ খোলে দেখে তার নিজ বেডে শুয়ে আছে। আশ্চর্য..! আমি এখানে কি করে এলাম? আমি তো ক্লাবে ছিলাম আর ঐ ছেলে গুলো?
কিছুই ভাবতে পারছে না তার সাথে কি হচ্ছে। কি করে এলো সে এখানে। দেওয়াল ঘড়িতে তাকাতেই আতকে উঠে মাইশা..দেখে ঘড়িতে 3.44 AM,মানে এখনো গভীর রাত। সে ক্লাবে ছিল রাত ১০ টাই, তাহলে এতো সময় সেকি ঘুমিয়ে ছিল নাকি অন্য কিছু হয়েছে তার সাথে??
চিন্তা করতে পারছে না কি হচ্ছে? প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে ঘুমিয়ে পরে মাইশা।
.
.
সকালে মাইশার বাবা পএিকা হাতে নিতেই আতকে উঠেন তিনি…খবরের কাগজে বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে – পাঁচ জায়গায় ৮ জনের মৃত্যু। বিস্তারিত জেনে মাইশার বাবা বড় ধরণের শক্ড খাই।
মাইশার বাবা মাইশার মাকে জোরে জোরে ডাকতে লাগে। বিস্ময়কর ঘটনা শুনে মাইশার মা হতভম্ব হয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পরে মাইশা নিচে আসে ব্রেকফাস্ট করার জন্য। তখন তার বাবার মুখে এমন ঘটনা পএিকায় দেখতে পেয়ে মাইশা তড়িগড়ি করে খবরের কাগজটা হাতে নিয়েই অবাক চোঁখে দেখছে গত রাতে ফাইভ স্টার ক্লাবে চার জনের মৃত্যু।
মাইশা তাড়াতাড়ি করে তার রুমে যায় গিয়ে রুহি কে ফোন দেয় কিন্তু তার ফোন সুইচ অফ বলছে।
মাইশা মিলিকে ফোন করে কিন্তু তারোও ফোন সুইচ অফ বলছে। ভীষণ টেনশন হচ্ছে মাইশার। একমাএ রুহি আর মিলি জানে কাল রাতে ঠিক কি হয়েছিল।
মাইশা রুহির মাকে ফোন দেয়, রুহির কথা জিঙ্গাস করলে বলে – কাল রাতে পর থেকে এখন পর্যন্ত বাসায় আসেনি।
মাইশা বুঝতে পারছে না রুহি আর মিলি কোথায় জেতে পারে??
হঠাৎ করে মাইশার পেছনে মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠে – কেনো ওদের কথা চিন্তা করছো, যে তোমার সত্বীতকে নষ্ট করতে চেয়েছিল.. তাদের কথা ভাবছো তুমি??
এমন অদ্ভুত স্বরে কথা শুনে মাইশা পেছনে ঘুরে তাকাই।
দেখে আলিশা তার পেছনে সাদা কাপড় পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। চুল গুলো উড়ছে তার.. একটুও ভয় পায়নি বরং বিস্মিত ভাবে তাকিয়ে আছে আলিশার দিকে।
আলিশা – মেরে ফেলেছি তোমার ঐ দুই বিশ্বাসঘাতক বান্ধুবী কে।
মাইশা – কেনো মেরেছো তাদের কে? ওরা তো তোমার শত্রু ছিলনা…!. তাহলে? (অবাক হয়ে, রাতের ঘটনা তার কিছুই মনে নেই)
আলিশা – হয়তো তোমার রাতের কথা মনে নেই, জানো ওরা তোমার সত্বীতকে নষ্ট করতে চেয়েছিল, তোমার বন্ধুত্বের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছিল ঐ রুহি আর মিলি। তাই ওদের কে মেরে ফেলেছি। ভয় নেই তুমি একদম সেইফ আছো।
আলিশার কথা শুনার পর রাতে সব ঘটনা মনে পরে যায়।
মাইশা হতভম্ব হয়ে যায়।তার বেস্টফ্রেন্ড তার সাথে এমনটা করতে পারলো..??
মাইশা – কিন্তু রুহি আর মিলি তারা কো…………
মাইশার মা – মাইশা নিচে নাস্তা করতে এসো। তোমার আব্বু তোমার জন্য ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।
পেছনে মায়ের কথা শুনে ঘুরে তাকাতেই আলিশাকে আর কোথাও পায়নি রুমে। মন খারাপ করে নিচে বাবার সাথে ব্রেকফাস্ট করতে লাগল।
হঠাৎ করে মাইশার বাবা বলে উঠে
মাইশার বাবা – আজ বিকেলে আমার ছোট বেলার বন্ধু আসবে, তার ছেলেকে নিয়ে। তোমাকে তারা দেখতে আসছে।
মাইশা কথাটা শুনে আঁতকে উঠে। বাবা কে কি জবাব দেবে ভেবে পাচ্ছে না। বাবার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে উঠে চলে যায় তার বেডরুমে।
বিকেলে পাএ পক্ষ দেখতে আসে মাইশাকে। বেশ পছন্দ হয় তাদের মাইশাকে দেখে। মাইশার যে ছেলেকে পছন্দ নয় তা..নয়। মাইশাও ছেলেকে বেশ পছন্দ হয়। হবেই বা না কেনো- স্মার্ট হ্যানসাম, বিজনেসম্যান… দেখতে শুনতে একদম পারফেক্ট বয়।
কিন্তু মাইশা বেশ কিছুক্ষণ ধরে লক্ষ্য করছে….. ছেলেটা তার দিকে একদমেই তাকাচ্ছে। তবে কি ছেলেটা তাকে পছন্দ করেনি?… কিন্তু কেনো! তবে কি ছেলেটা অন্য কাউ কে ভালোবাসে?
কিছুক্ষণ পর মাইশার বাবা মাইশাকে বলে- রুহান(পাএ) কে তার রুমে নিয়ে একান্ত ভাবে কথা বলে দুজনের মতামত দিতে তারা এবিয়ে তে রাজি আছে কিনা..?
মাইশা রুহানকে তার রুমে নিয়ে যায়। বেডে দুজনেই পাশাপাশি বসে তাকে। অথচ কেউ কোনো কথা বলছে না। মাইশা চাই রুহান আগে কথা বলোক।
হঠাৎ করে
রুহান বলে উঠে – আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না..!!
উঠে দাঁড়ায় রুহান, অন্যদিকে মুখ ফিরে তাকিয়ে তাকে সে….
হতভম্ব হয়ে যায় রুহানে কথা শুনে মাইশা।
মাইশা – আমি দেখতে খুব খারাপ, যে আমাকে পছন্দ হল না আপনার?
কথা শুনে রুহান ঘুরে মাইশার চোঁখের দিখে তাকিয়ে বলে…
রুহান – আপনি যথেষ্ট সুন্দরী স্মার্ট একটা মেয়ে। তবুও আপনাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না।
মাইশা – কাউকে ভালোবাসেন বুঝি? (অবাক চোখে তাকিয়ে)
রুহান – হে ভালোবাসি। আর আপনাকে একটা রিকোয়েস্ট করছি প্লিজ আপনার বাবাকে বলবেন আমাকে আপনার পছন্দ হয়নি (রেগে তিক্তে রাগান্নিত স্বরে বলে)
মাইশার চোঁখ দিয়ে দু ফোটা জল বেরিয়ে আসে। হাতে চোঁখের পানি মুছে যেই হাতটা সরাতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে রুহান কফ করে মাইশার হাত ধরে ফেলে। অবাক বিস্ময় চোঁখে তাকিয়ে আছে মাইশা রুহানের দিকে।
রুহান – আপনার হাতে এই আংটি টা কোথায় পেলেন? কারণ এই আংটি টা অর্ডার করে লন্ডন থেকে বানিয়ে এনে ছিলাম আমি । দেখেন আংটির গায়ে সুন্দর করে লেখা আছে বা পাশে R আর ডান পাশে A ক্ষুধায় করে লেখা আছে। বলোন এ আংটি কোথায় কার কাছ থেকে পেয়েছেন?
রুহানের কথা শুনে চমকে যায় মাইশা। রুহান উদ্বিগ্ন হয়ে আছে তার উওর জানার জন্যে,,,কিন্তু চুপ করে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে তাকে মাইশা ।
হঠাৎ করে
রুহান জোরে চেচিয়ে মাইশার কাঁধে হাত চেপে ঝাকুঁনি দিয়ে বলে – আমার কথা উওর দাও, এ আংটি কোথায় পেলে???
মাইশা এমন জোরে ধমকে ভয়ে কেঁপে উঠে। রুহানের দিকে ছল ছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকে। তাকিয়ে তাকে রাগান্নিত চোঁখে রুহান… মাইশার দিকে……….
হঠাৎ করে রুহানের পেছনে মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠে – ওকে ধমকাচ্ছো কেন রুহান..! ওতো এই আংটির ব্যাপারে কিছুই জানে না।।
কন্ঠস্বর টা রুহানের খুব পরিচিত লাগছে। কারণ এ যে তার প্রিয়তমার কন্ঠ স্বর। পেছনে ঘুরে দাঁড়ায় রুহান…বিস্ময় চোঁখে তাকিয়ে তাকে মেয়েটার দিকে রুহান। দুচোখে জল চিকচিক করে উঠে রুহানের… অস্ফুট স্বরে রুহান বলে
উঠে…..আলিশা..???
.
.
চলবে…….
((আগামী পর্বে শুধু আলিশার মর্মান্তিক মৃত্যুর রহস্য তুলে ধরে গল্পটি শেষ করে দিবো))
((ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন))