#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—11
.
.
🍁
“বিছানায় বসে ভাইয়ার মাথা টিপছি আমি’!!আর মিস্টার কাব্য আরামে ঘুমিয়ে আছে’!!ইচ্ছে তো করছে মাথার সব চুল ছিঁড়ে ফেলি’!!পাক্কা দু-ঘন্টা যাবৎ মাথা টিপছি আমি’!!হাতের আঙুল সব ব্যাথা করছে আমার’!!কিন্তু এই শয়তানডার তার দিকে কোনো হুস নেই’!!তখনকার ছোট্ট ভুলের জন্য এত বড় শাস্তি পেতে হবে আমায় বুঝতেই পারি নি’!!ভাগ্য ভালো শুধু শেষের দুইটা শব্দই শুনেছিল’!!আর তাতেই আমার অবস্থা এই অবস্থা করছে সব শুনলে না জানি কি করতো আমায়’!!আমি একটু কাঁদো কাঁদো গলায় বললামঃ
———“জামাই” হইছে আর পারুম না আমি’!!হাত ব্যাথা করছে এই বারের মতো ক্ষমা করে দেও আর কোনোদিন তোমায় কিছু বলবো না সরি……
“কাব্য আমার কথা শুনে কিছুটা অবাক হয়ে বললোঃ
———“তুই কি বললি…….
“আমিও ভাইয়ার কথা শুনে আনমনে বলে দিলামঃ
———“কি বলছি তোমায় “জামাই” বলছি তুমি তো সেদিন রাতে বলেছিলে জামাই ডাকতে আজ থেকে তোমায় ওই নামেই ডাকবো’!!কেমন যেন নামটায় ডাকতে ভালো লাগে আমার😁
———-কি”’
——–“হুম’!!আচ্ছা শুনো না কি বলছি ভাইয়ার একটু কাছে গিয়ে…..
——–“কি আর তুই কাছে আসছিস কেন??
——-“তেমন কিছু না শোনো না আজ থেকে তোমায় জামাই বলে ডাকবো আর এইবারের মতো মাফ করে দেও কথা দিচ্ছি আর তোমায় গালাগালি করবো না,,(একটু ন্যাকাস্বরে)
“ভাইয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললোঃ
———“ঠিক আছে……’!!আমি কাব্য ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হয়ে দৌড়ে বিছানা থেকে নেমে চলে গেলাম নিচে’!!উফ এতক্ষণ পর শান্তি’!!শালায় পুরো হাতটা ব্যাথা বানিয়ে দিল’!!এতটুকু বলে জিহবায় কামড় দিলাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি ওখান থেকে সরে পরলাম’!!
.
“এদিকে কাব্য বিছানায় শুয়ে ভাবছে তুমি যে আর কতো সরি বলবে “মাইশাজানু”!!এই বলে হাসলো কাব্য’!!এমনিতেও একটু বেশি শাস্তি দিয়ে ফেলেছে কাব্য’!!দু-ঘন্টা যাবৎ বসিয়ে রেখেছে’!!এসব ভেবে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরলো কাব্য’!!
__________________________________________
_____________________
“বাড়ির চারদিকটা ঘুরে দেখছি আমি’!!চারপাশটা অসম্ভব সুন্দর’!!বাড়ির পিছন দিকে রয়েছে ইয়া বড় বড় সব গাছ পালা আর একটু অন্ধকার’!!অনেকগুলো গাছ একসাথে থাকার কারনে এমনটা মনে হচ্ছে’!!এখন প্রায় দুপুর তিনটা বেজে গেছে কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে আসছে’!!এতটাই অন্ধকারে ঘেরা পিছনটা’!!আর সামনের দিকে এগোলাম না’!!এমনতেই কেমন যেন ভয় লাগছে এখানে’!!এমন সময় আচমকা পিছন থেকে বলে উঠল কেউঃ
——-“আপু তোমায় কাব্য ভাইয়া ডাকছে……..’!!
“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!পরক্ষণেই পিছনে তাকিয়ে সেই ব্যাগ এনে দিয়েছিল সেই ছেলেটাকে দেখতে পেলাম’!!
“আমি জোরপূর্বক একটু হাসি দিয়ে বললামঃ
——–“ঠিক আছে…..
“ছেলেটিও আর কিছু না বলে চলে গেল’!!এই ছেলেটি কেমন যেন হর্ঠাৎ করে আসে আর আমি চমকে যাই’!!তারপর তাড়াতাড়ি করে চললাম আমি কাব্য মাই জামাইটার কাছে না জানি আবার কি বলবে…….
_____________________
“রুমে ঢুকার সাথে সাথে কাব্য বলে উঠলঃ
——-“আজকে তুই আমার জন্য রান্না করবি……
“কাব্যের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে চেঁচিয়ে বললামঃ
———“কি????
———“শোন আমি কিন্তু একটা কথা একবারের বেশি দু-বার বলতে পছন্দ করি না’!!তাও তোর জন্য বলা লাগে বারবার…….
——–“রান্না করবি বুঝতে পারছো’!!মাংস রান্না করবি খুব সুন্দর করে করবি’!! রান্না ভালো না হলে তোর খবর আছে………
———“কিন্তু আমি তো রান্না করতে পারি না……
——–“ওসব আমি জানি না,জানিস না শিখে নিবে রেনু খালা আছে না’!!তাই আর কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি যা……..রাতে তোর হাতের রান্না খাবো আমি…….’!!আর একটা কথা রেনু খালার কাছ থেকে শুধু জেনে নিবি রান্না কিন্তু তুই করবি বুঝতে পারছোস’!!যদি দেখছি রেনু খালা তোকে রান্না করে দিয়েছে তাহলে তো বুঝতেই পারছিস কি হবে’!!তোকে রাতের বেলা ওই আমাদের বাড়ির পিছনে রেখে আসবো…..
“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিললাম আমি’!!এনাকে বিশ্বাস নেই চাইলে রেখেও আসতে পারে’!!এজন্যই বলেছিলাম বেশি প্যাক প্যাক করিস না,,যেই জানছে তুই ভয় পাচ্ছিস সেই থেকে ব্ল্যাকমেল করছে…….এসব ভেবে……
“আমি জাস্ট হা হয়ে চুপ করে বেরিয়ে আসলাম বাহিরে’!!এখন কি করবো আমি’!!আমি তো রান্না করতে পারি না……..,,তাও আবার মাংস ওহ নো,,এখন কি করবো আমি’!!কাব্য আমাকে একা পেয়ে এতকিছু করবে আগে জানলে আমি কখনোই আসতাম না’!!!উহু উহু মামুনি তোমার ছেলে আমায় পাগল বানিয়ে ছাড়বে’!!🥺🥺
“এমন সময় কাব্য চেঁচিয়ে বললঃ
——-“তাড়াতাড়ি করিস……..
“আমি আর কিছু না ভেবে চুপচাপ নিচে চলে আসলাম’!!
_____________________
“রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে আছি’!!কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না’!!কি করে মাংস রান্না জানি না’!!এই জন্যই মা বার বার বলতোঃ
——–“মাইশা একটু রান্নাবান্না শেখ কিন্তু তা শিখবি কেন শিখলে তো মোবাইল টিপার সময় পাবি না’!!এখন বোঝ তুই মাইশা……’!!ধুর….
“এমন সময় পিছন থেকে রেনু খালা বলে উঠলেনঃ
———“কি হলো মাইশা মামুনি তুমি রান্না ঘরে কিছু কি লাগবে……..
———“হুম রান্না করবো…….
“উনি আমার কথা শুনে অবাক হয়ে বললোঃ
——–“কি কেন আমি আছি তো……তুমি বলো কি খাবে আমি রান্না করে দিচ্ছি’!!
“এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলেনঃ
———-“একদম না আজকে রান্না মাইশা করবে’!!
“রেনু খালা কাব্যের কথা শুনে বলে উঠলেনঃ
——–“কিন্তু…….
———“কোনো কিন্তু নয় তুমি শুধু ওকে বলে দেও কি করে মাংস রান্না করে’!!তারপর আর কোনো কাজ নেই তোমার তুমি গিয়ে রুমে বসে থাকবে আর এখানে মাইশা একা রান্না করবে……
“রেনু খালাও আর কিছু বলতে পারলেন না কাব্য ভাইয়ার মুখের উপর’!!তারপর কাব্য ভাইয়ার কথা মতো রেনু খালা আমায় বললেন কি করে রান্না করতে হবে’!!তারপর চলে গেলেন তারা’!!
“কিন্তু কি বললো আমি তো বুঝতেই পারলাম না’!!এখন রান্না কেমনে করুম……
“সবার আগের ফ্রিজ খুলে মাংস বের করলাম আমি’!!তারপর কাটাকাটি শুরু’!!জীবনে যা করি নি আজ তা করতে হচ্ছে……
“কান্নার রোল পড়ে গেল পেঁয়াজ কাটতে কাটতে’!!সবকিছু গুছিয়ে নিতে নিতে আমার পুরো সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল’!!এখন রান্নার পালা…..’!!
“রেনু খালা কি বললো সব তো ভুলে জগাখিচুরি পাকিয়ে ফেলেছি’!!হর্ঠাৎই ইউটিউব আন্টির কথা মনে পরলো’!!সাথে সাথে নাচতে নাচতে বলে উঠলঃ
———“জিও মাইশা এই আইডিয়াটা এতক্ষণ কেন আসলো না’!!তারপর আর কি ইউটিউব আন্টিদের একটা ভিডিও দেখে রান্না করতে শুরু করে দিলাম’!!না জানি কেমন হবে রান্না আল্লা মালুম…….’!!!
__________________________________________
_____________________
“রাত_৮ঃ৩০টা………..
“কাব্য ভাইয়ার রুমে খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!কে জানে কেমন হয়েছে,,সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা’!!কাব্য তার লেপটপটা বিছানার উপর রেখে বললোঃ
——–“হুম নিয়ে আয় আমায় খাইয়ে দে…….
“আমিও কিছু বললাম না’!!চুপচাপ খাবার নিয়ে বসে পরলাম বিছানায়’!!তারপর বললামঃ
———“বলছি কি খাবার যদি ভালো না হয় তাহলে কি সত্যি সত্যি আমায় ওই পিছনে রেখে আসবে……
——–“হুম…….’!!ভাইয়ার কথা শুনে চোখ মুখ লাল হয়ে গেল আমার’!!এই রে খাবার টা যেন ভালো হয়’!!
“বিশ্বাস বলে খাবার খাওয়াতে শুরু করলাম আমি’!!প্রথমবারে ভাইয়া রিয়েকশন দেখে কিছু বুঝলাম না আমি’!!তাই নীরব স্বরে বললামঃ
——–“কেমন হয়েছে’!!
——–“হুম খারাপ হয় নি’!!
“ভাইয়ার কথা শুনে একটা ছোট্ট শ্বাস ফেললাম আমি’!!যাক বাবা আমার আর ভয় নেই কোনো…….
“তারপর আমি আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ খাওয়াতে শুরু করলাম’!!বেশকিছুক্ষন পর ভাইয়াকে খাইয়ে দিলাম সব খাবার তারপর চলে গেলাম নিচে………’!!
“তারপর আমি রেনু খালাও একসাথে খাবার খেলাম’!উনিও প্রশংসা করলো আমার’!!সবই ইউটিউব আন্টির কামাল….জিও আন্টি উম……মা…….
__________________________________________
_____________________
“রাত_১০ঃ০০টা……..
“বিছানায় শুয়ে আছি’!!আর কাব্য ভাইয়া পাশে নাক টেনে ঘুমাচ্ছে’!!এই বাগান বাড়িটা গ্রাম দিকে হওয়ায় খুব একটা রাত না হলেও বুঝা যাচ্ছে গভীর রাত’!!ঘুম আসছে না চোখে…….ওদিকে বাতাসে পর্দা উরছে’!!আর হর্ঠাৎ হর্ঠাৎ কেমন একটা শব্দ হচ্ছে’!!বার বার এমনটা হওয়াতে ভয় লাগছে ভিশন’!!রুমের লাইট অফ থাকায় আরো ভয় লাগছে’!!চারদিকে কুটকুটে নীরবতা’!!ভয় লাগছে ভীষণ’!!হর্ঠাৎই বাইরে থেকে কেউ একটা জোরে শব্দ করে চেঁচিয়ে উঠল’!!আমি তো ভয়ে শেষ’!!কি করবো কিছুই বুঝতে না পেরে মাঝখান থেকে কোলবালিশ সরিয়ে ভাইয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম………’!!ভয়ে হাত পা কাঁপছে আমার………’!!ছোট বেলা থেকেই একা রুমে ঘুমাতে আর এই ভুতেদের প্রচুর ভয় পাই আমি’!!মাঝে মাঝে তো আমি রুমের লাইট জ্বালিয়েই ঘুমাতাম………’!!
“এদিকে কাব্য আচমকা মাইশা তাকে জড়িয়ে ধরাতে কিছুটা অবাক হলেও পরক্ষণেই মনে মনে খুশি হয়ে সেও জড়িয়ে ধরল মাইশাকে…….
!
!
!#কতোটা_চাই_তোকে💖
#Writer:—#TanjiL_Mim💖
#part:—12
.
.
🍁
“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!চারিদিকে পাখিদের আওয়াজ’!!সকালের এই সিগ্ধতার আলোতে পুরো রুম আলোতে ভরে গেছে’!!আমি আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালাম’!!হর্ঠাৎই ভাইয়ার দিকে চোখ গেল আমার’!!ঘুমিয়ে আছে বেঘোরে সে’!!হর্ঠাৎই মনে পরল যে আমি কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আছি’!!তাড়াতাড়ি সরে আসতে নিলে বুঝতে পারলাম কাব্যও আমায় জড়িয়ে ধরে আছে’!!এখন কি করব…..
“হর্ঠাৎই কাব্যের মুখের দিকে চোখ গেল আমার’!!কি সুন্দর লাগছে'”!!! সূর্যের আলো ভরা রশ্মিতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে কাব্যকে’!!ইচ্ছে তো করছে কাব্যের গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে দেই’!!পরক্ষণেই মনে হলো যদি বুঝে যায় তাহলে আমার কি হবে'”!!! এসব আলতু ফালতু ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎ ভাইয়া একটু নড়ে উঠল’!!সাথে সাথে আমি আমার চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললাম’!!
“কিছুক্ষন পর আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!কাব্য এখনও ঘুমিয়ে আছে সেই সুযোগে আস্তে আস্তে কাব্যকে ছাড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে পরলাম আমি’!!!তারপর চলে গেলাম ওয়াশরুম…..
“বেশকিছুক্ষন পর ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম’!!তারপর নিচে চলে গেলাম’!!
“এর ভিতর কাব্যও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলো’!!তারপর আমরা তিনজন একসাথে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম’!!ব্রেকফাস্ট শেষে কাব্য আবার রুমে চলে গেল’!!
__________________________________________
_____________________
“কাব্য ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে আছি’!!কারন আমি কিছু বলতে চাই’!!এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ
——-“কি হলো কিছু কি বলবি…….
——–“হুম মানে……
——-“এত মানে মানে না করে তাড়াতাড়ি বলে ফেল’!!
——–“বলছিলাম কি আমরা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি’!!
———“হুম যা আমি কী বারন করছি তোকে……
——–“না মানে তুমি যাবে আমার সাথে একা একা ভয় না থুক্কু ভালো লাগছে না’!!
———“কেন রেনু খালাকে নিয়ে যা…….
———“উনি গেলে কি আর তোমায় বলতাম নাকি(মনে মনে) না মানে উনি যাবে না ওনার কাজ আছে তাই তুমি চলো’!!প্লিজ চলো “জামাই”….
———-“আচ্ছা ঠিক আছে চল……
“ভাইয়ার কথা শুনে খুশি হলাম আমি’!!
“তারপর আর কি ভাইয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম আমি’!!জায়গাটা খুব সুন্দর’!!
“গ্রামীন এক রাস্তা’!!চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুন্দর সুন্দর খাল-বিল আর নদী’!!মাটির রাস্তায় চারপাশে রয়েছে ছোট থেকে শুরু করে ইয়া বড় বড় সব ধরনের গাছ’!!তাদের মাঝখানে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট কিছু ঘরবাড়ি’!!ফসলের জন্য রয়েছে চারপাশে বিশাল বিশাল মাঠ’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা খেজুর গাছের দিকে’!!একটা লোক রসের হাঁড়ি নামাচ্ছে'”!!! যা দেখে মুখে পানি চলে আসলো আমার'”!!! আমি ভাইয়ার হাত ধরে বললামঃ
——–“চলো না আমরা রস খাই……
“আচমকা এমনটা হওয়াতে কাব্য প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললোঃ
——–“ঠিক আছে……
———”তুমি খুব ভালো এই বলে ভাইয়াকে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম আমি’!!
“এদিকে কাব্য মাইশার এমন বাচ্চামো দেখে মনে হাসছে খুব’!!আর ভাবছে আসলেই একটা বাচ্চা মেয়ে’!!😊
“আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম ওই লোকটার কাছে’!!তারপর আমি খেলেও ভাইয়া খেলো না’!!!একদম খাঁটি রস খেতে সত্যি খুব মজা’!!😋
[অবশ্য আমি কোনো দিন খাই নি জাস্ট ফিল গাইস’!!😊]
“আমার খাওয়া শেষ হলে ভাইয়া লোকটাকে কিছু টাকা দিলো’!” তারপর আমরা আবার সামনে এগোতে লাগলাম’!!ভোরের এই সুন্দর মুহূর্ত আমার সত্যি খুব ভালো লাগছে’!!!
“পাক্কা দুই ঘন্টা হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে আসলাম আমরা’!!আমি আর হাঁটতে পারছি পা ব্যাথা হয়ে গেছে’!!
“আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললামঃ
——–“আর যাবো না চলো এখন বাড়ি ফিরে যাই’!!
“আমার কথা শুনে ভাইয়াও বলে উঠলঃ
——–“কেন??আর ভালো লাগছে না’!!
———“না তেমন কিছু নয় অনেক দূর চলে এসেছি এখন পা ব্যাথা করছে পরে আবার আসবো’!!এখন চলো…….
“ভাইয়াও আর কথা বাড়ালো না’!!আমরা দু’জনেই আবার পিছনে হাঁটা শুরু করলাম’!!কিছুদূর যেতেই আমার পা চলছেই না’!!একদম অবশ হয়ে গেছে মনে হয়’!!তারপরও যথা সম্ভব হাটা চেষ্টা করলাম আমি’!!কিন্তু আমি ব্যর্থ……..
“এদিকে কাব্য বুঝতে পেরেছে মাইশা আর চলতে পারছে না’!!সে পিছনে গিয়ে মাইশাকে কোলে তুলে নিল'”!!
“আচমকা কেউ কোলে তুলে নেওয়াতে আমি পুরো ঘাবড়ে গিয়ে তার শার্টের হাতা খামচে ধরলাম’!!মিট মিট করে তাকিয়ে দেখলাম কাব্য আমায় কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছে’!!কাব্য ভাইয়ার এমন কাজে আমি যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি’!!আমি বললামঃ
——–“এসব কি করছো লোকে দেখলে কি বলবে,,নামাও আমায়…..
———“থামবি তুই (দমক দিয়ে)
“ভাইয়ার দমক শুনে আমি চুপ আর কোনো কথা বললাম না’!!
“বেশকিছুক্ষন পর আমরা এসে পৌঁছালাম বাড়িতে’!!ভাইয়া আমায় দরজার সামনে নামিয়ে দিয়ে উপরে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই মনে হলো আমার যেমন পায়ে ব্যাথা করছে ভাইয়ারও তো নিশ্চয়ই করছে’!!তার ওপর অর্ধেক রাস্তা আমায় কোলে তুলে নিয়ে এসেছে’!!এই ভেবে কিছু একটা বানাতে চলে গেলাম রান্না ঘরে………..
__________________________________________
_____________________
“হাতে গরম তেল তার সাথে রসুন একসাথে গরম করে দাঁড়িয়ে আছি আমি কাব্য ভাইয়ার রুমে’!!আর ভাইয়া বিছানায় চুপ করে শুয়ে আছে’!!আমি কোনো কিছু না ভেবেই ভাইয়ার পায়ে ওগুলো লাগিয়ে দিতে লাগলাম’!!
“আচমকা কারো হাতের স্পর্শ পায়ে লাগায় কাব্য কেঁপে উঠল’!!চোখ খুলে মাইশাকে দেখে চমকে গিয়ে বললো সেঃ
———“কি করছিস তুই………
——–“তেমন কিছু না তুমি চুপটি করে শুয়ে থাকো আমি তোমার পায়ে মালিশ করে দিচ্ছি’!!তোমার পায়ের ব্যাথা কমে যাবে’!!এতটুকু বলে ভাইয়ার পায়ে মালিশ করে দিতে লাগলাম আমি’!!
“কাব্য আর কিছু বললো না’!!কারন সত্যি সত্যি তার পায়ে প্রচুর ব্যাথা করছে’!!আর মাইশা যখন নিজ ইচ্ছেতেই আসছে তাহলে আর ক্ষতি কি’!!মাইশার কাজে খুশি কাব্য’!!
__________________________________________
_____________________
“দেখতে দেখতে ১০দিন কেটে গেল……..
“এই ১০ দিনে প্রচুর কাজ করিয়েছে কাব্য ভাইয়া'”!!! রান্নাটা ওই একদিনই করেছিলাম’!!কিন্তু খাবার খাইয়ে দিতে প্রতিদিনই হয়েছে’!!সবই ঠিক ছিলো প্রতিদিন ওই আচমকা চিৎকার করে উঠার ব্যাপারটা বুঝলাম না’!!প্রতিদিন এই বিষয়টা নিয়ে ভয়ে থাকতাম আমি আর প্রতিদিন ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো লাগতো’!!তবে এই দশদিন খুব সুন্দর ভাবে কেটে গেছে’!!এখন ভাইয়াকে অসম্ভব ভালো লাগে আমার’!!কেন লাগে জানি না’!!আচ্ছা আমি কি ভাইয়াকে ভালোবেসে ফেলেছি নাকি…….
“এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া মাথায় টোক্কা দিয়ে বললোঃ
———“এত কি ভাবসিছ তুই……..
———“না কিছু না,,
———“হুম তা তৈরি তো চল এখন……
———-“হুম চলো’!!এই বলে আরেকবার রুমটার চারদিকে তাকিয়ে চলে আসলাম আমি’ কেমন যেন একটা মায়া পড়ে গেছে…….
“সবাইকে বিদায় জানিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি’!!আর ভাইয়া গাড়ি আনতে গেছে’!!এমন সময় রেনু খালা বলে উঠলেনঃ
——–“আবার আসবে কিন্তু…..
——–“অবশ্যই আসবো…..
“এদিকে কাব্য গাড়ির কাছে আসতেই সেই ছেলেটি কাব্যের সামনে এসে বললোঃ
———-“ভাইয়া আবার আসবেন কিন্তু…..
———“হুম আবার আসবো……
———“আচ্ছা ভাইয়া একটা কথা বলি……..
———“হুম…….
———“বলছি কি ভাইয়া আপনি প্রতিদিন রাতে আমায় চিৎকার দিতে কেন বলতেন…….
“ছেলেটির কথা শুনে কাব্য বললোঃ
———“হুস সিক্রেট……….এতটুকু বলে মুচকি হেঁসে কাব্য গাড়ি করে বেরিয়ে আসলো’!!আর ছেলেটি কাব্যের কথার আগা মাথা কিছু বুঝতে না পেরে হাবলার মতো তাকিয়ে রইল’!!
.
“সবাইকে টাটা দিয়ে চলে আসলাম আমরা’!!!ভাইয়া গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি বসে আছি’!!সত্যি খুব সুন্দর কেটেছে এই দশদিন…….
.
“এদিকে কাব্য ভাবছে চিৎকার দেওয়ার আসল কাহিনি চিৎকার না দিলে কি প্রতিদিন মাইশা ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরতো আমায়’!!এসব ভেবে মনে হাসলো কাব্য……..
.
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়াকে এই হাসার কারন বুঝলাম না’ আমি’!!কিছু জিজ্ঞেস না করে আমিও চুপচাপ বসে রইলাম’!!
“কিছুক্ষন পর হর্ঠাৎই গাড়ি থামিয়ে দিল কাব্য ভাইয়া’!!আমরা কি এসে পরেছি’!!সামনে তাকিয়ে দেখলাম এটা একটা মাঝরাস্তা’!!কিন্তু ভাইয়া মাঝরাস্তায় গাড়ি থামালো কেন??
!
!
!
!
!
!
#চলবে……….
🖤🖤🖤[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর সেইসব প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু কথা বলি অন্যের গল্প কপি করে রাইটারের নাম দেয় না'”!!! বলছি কি গল্প কপি করলে রাইটারের নাম লিখে দিতে হয়’!!অন্যের গল্প কপি করে রাইটারে নাম না দিলে আপনি যে কতো বড় প্রতিবন্ধী তা নিজেও জানে না’!!🤬🤬][আর আমার প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি আমার গল্প কপি করে কিন্তু রাইটারের নাম দেয় না এমন কাউকে দেখলে ওইখানে আমায় ম্যানশন দিয়েন’!!]🖤🖤🖤
—ধন্যবাদ❤️
#TanjiL_Mim♥️
!
!
!
#চলবে…………..
🖤🖤🖤🖤🖤[গাইস এতটা দেরি হওয়ার জন্য সরি সবাইকে’!!আর ভুল-ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন]😊😊😊
#TanjiL_Mim❤️