গোধুলি বেলায় পর্ব ৩

#গোধুলি_বেলায়
#পর্ব_3

বিকেলের দিকে আনুসমি আবদার করল গ্রামটা ঘুরে দেখার। যদিও আনন্দির কাছে কোন অবদার করতে আনুসমির প্রচন্ড ওকওয়ার্ড ফিল হয় তবুও এতো সুন্দর একটা গ্রাম ঘুরে দেখার লোভ সে কিছুতেই সামলাতে পারল না। আনন্দিরও বেশ ভাল লাগছে তার মেয়ে তার কাছে কোন অবদার করছে। যদিও ছোটতে প্রচুর করত কিন্তু এখন সেগুলো অতীত।

আনুসমির খুব ভাল লাগছে। এতো এতো গাছ, পুকুর, খালবিল, ধানের ক্ষেত, নদী, ছোট্ট ছোট্ট খড়ের বাড়ি এগুলো আনুসমি এর আগে কখনও এতো কাছ থেকে দেখে নি। বাচ্চারা দলবেধে একসাথে গোল্লাছুট, কিতকিত, কাঁনামাছি সহ আরো নানা ধরনের খেলা খেলছে। এগুলো দেখে তো আনুসমি খুশিতে লাফাচ্ছে, কারন শহরে এই সব দেখাই যায় না। আর আনন্দি দেখছে তার ছোট্ট মেয়েটার পাগলামী। নদীর কাছো গিয়ে দেখল একটা নৌকা বাধা আছে। এবার আনুসমি আবদার করল সে নৌকায় করে ঘুরবে।

মাঝিকে বলতেই তিনি রাজি হয়ে গেল। এ গ্রামে আনন্দির দাদুকে সবাই খুব ভালবাসত আর সম্মান করত। বলতে গেলে খুব সম্মানীত ব্যক্তি ছিলেন তিনি এ গ্রামের। তাই আনন্দি বলায় তিনি আর ফেলতে পারলেন না। নৌকায় উঠে আনুসমি নোকার একপাশে পানিতে পা ডুবিয়ে বসে পড়ল। আনন্দি যতোই বলে পড়ে যাবে, কে শোনে কার কথা! সে তো পানিতে পা ডুবিয়ে, পানি ছিটাতে ব্যস্ত।

হঠাৎ আনুসমি আনন্দির দিকে তাকিয়ে বলল, এটা তোমার গ্রাম? এই গ্রামেই কি তুমি বড় হয়েছ?

আনন্দি লক্ষ করল আনুসমি ওকে আপনি না বলে তুমি করে বলছে। হয়তো অতিরিক্ত আনন্দে ভুলে গেছে কি বলেছে! তবে আনন্দির খুব ভাল লাগল। মনে হচ্ছে যেন খুব আপন একটা ভাব আছে ডাকটার মধ্যে। আনন্দির আনুসমি দিকে তাকিয়ে বলল, হ্যা এটা আমার গ্রাম। তবে আমি এখানে বড় হই নি। ছোটতে থাকতাম, যতোদিন মা বেঁচে ছিলেন। মা মারা যাওয়ার পর বাবা শহরে শিফট করে আর আমি চলে যায় বাবার সাথে। তবে মাঝে মাঝে আসা হত গ্রামে।

– তোমার মা কখন মারা গেছেন?

– তখন আমি অনেক ছোট। নয় বছর হতো হয়তো।

– ওহ্ , দেখ আমাদের কতো মিল। তোমার মা ছিল না। আর আমার মা থেকেও ছিল না। বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

আনন্দি কিছু বলল না, ও এমনই যে প্রশ্নের উত্তর সে দিতে চায় সে প্রশ্নে ও অদ্ভুতরকমের চুপ হয়ে যায়। এর মানে ও উত্তরটা দিতে চায় না। ও কখনও চায় নি ওর মেয়ের ভাগ্য ওর মতো খারাপ হোক তাই তো,,,, কিন্তু অদ্ভুতভাবে ওর খারাপ ভাগ্যটা ওর মেয়েকেও ছাড়ে নি। মেয়েটা ভালো থাকবে ভেবে তো সব ছেড়ে গেছিল কিন্তু দশ বছর পর এসে দেখলো কি? ওর মেয়েটা এতোদিন ছিল তবে ভালো ছিল না হয়তো।

– তোমাদের গ্রামটা সুন্দর। আনুসমি আবার বলল।

– এটা কিন্তু তোমার নানুবাড়ি!

– তাই? ছোটবেলা থেকে তো নানা নানু, মামা মামি, খালা এদের কাউকেই পায় নি তাই এই নানুবাড়ি সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। আসলে আমি এসব পাব কিভাবে আমার মা টাই তো ছিল না। -বলে মুখটা ঘুরিয়ে নিল আনুসমি। হয়তো কয়েকফোটা চোখের পানিও আড়াল করে নিল।

আনন্দি এই কথাগুলোর প্রেক্ষিতে কোন কথা বলতে পারল না। বাকিটা সময় ওরা চুপচাপই থাকল। কিন্তু আনুসমি পুরো ভ্রামনটা খুব উপভোগ করল। নদীর দুইপাড়ে গাছ আর মধ্যদিয়ে ওদের ভেসে চলা, বেশ রোমাঞ্চকর বিষয়টা।কিংবা হয়তো এসবের থেকেও বিশেষ কিছু আজ ওর সাথে ছিল বলে। ওর মা!

নৌকা ভ্রামন শেষে আনন্দি ওকে নিয়ে গেল ক্ষেতের দিকে। সেখানে গিয়ে আঁখ ক্ষেত দেখে আনুসমি জিজ্ঞাসা করল , এগুলো কি?

– এগুলো আঁখ? যেটা দিয়ে গুড় তৈরী হয় আর গুড় থেকে চিনি। তুমি আঁখের রস কখনও খাও নি?

– আঁখের রস খেয়েছি তো কিন্তু সেটা তো গ্লাসে খেয়েছি। এটা থেকে কি করে রস হয়?

আনন্দি হাসল খানিকটা। বড়লোক বাবার আদরের দুলালীরা এমনই হয়। তারা সব কিছু প্রক্রিয়াকরন করে খেতে খেতে আসল জিনিসটাই চেনে না। তারপর বলল, আমি শিখিয়ে দেব খাবে?

আনুসমি রাজি হল সাথে খুশিও হল। আজকের দিনটা ওর কাছে বেশ এ্যাডভেন্চেরাস লাগছে। অনেক নতুন নতুন জিনিস জানতে পারছে। কতো কতো নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে ওর। এখন মনে হচ্ছে মা নামের এই মানুষটা এতোটাও খারাপ নয়।

আনন্দি আঁখ ক্ষেতে গিয়ে একটা আঁখ গাছ চুরি করে নিয়ে আসল তারপর মা মেয়েতে মিলে দিল ছুট। পিছন থেকে আঁখ ক্ষেতের মালিক তো সেই ক্ষেপেছে। ওদের তাড়া করেছিল কিন্তু ধরতে পারে নি। আনন্দি হয়তো চাইলে মালিক এমনি দিয়ে দিত। তবে এভাবে চুরি করে খাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে। আজ আনন্দি যেন ওর মেয়ের সাথে বাচ্চা হয়ে গেছে। বাচ্চাকালের সব বিষয়গুলো আবার ঝালিয়ে নিচ্ছে। আনুসমিও এই পালিয়ে আসার বিষয়টাতে বেশ মজা পেয়েছে তা তার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। পারে না মেয়েটা আনন্দে নাচানাচি শুরু করে দেয়।

এছাড়াও আরও অনেক অকাম করল ওরা মা মেয়েতে সারা বিকাল জুরে। আনুসমি পুরো সময়টা খুব ইনজয় করেছে। আনন্দিরও ভাল লাগছে আনুসমির মুখের হাসি দেখে। অবশেষে ও মেয়েটাকে হাসাতে পেরেছে। মেয়েটা কাদলে যেমন মায়বী লাগে হাসল তার থেকে বেশী মায়াবী লাগে। আনন্দিও নাকী অনেক মায়াবী ছিল সবাই বলত। কিন্তু ওর এই মায়াতে কেউ আটকালো না, না ওর মা আর না ওর বাচ্চার বাবা।

ঘুরতে গিয়ে কখন এতোটা সময় চলে গেছে বুঝতেই পারে নি আনন্দি। বিকাল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা হবার জোগার। আজকেই ওদের শহরে যেতে হবে, কারন আনুসমি ওর বাবাকে না বলে আজ দেখা করতে এসেছে । তাই আর দেরী না করে বেড়িয়ে পড়ল ওরা। আনুসমি এখনও বিকেলের বিষয়গুলো নিয়ে অনেক খুশি, মুখে হাসিটা এখনও লেগে আছে। মুখ দেখে মনে হচ্ছে আরও কিছুটা সময় থাকলে ও আরও খুশি হতো কিন্তু একদিনে বেশী রিস্ক নিতে চাই না আনন্দি। পরে দেখা যাবে আর দেখা করতেই দিচ্ছে না। তাই এই ভাল সময়গুলো ও একটু একটু করে উপভোগ করছে। ওরও যা কপাল! নিজের মেয়ের সাথে দেখা করতেও আজ অন্যের অনুমতি লাগে।

আনন্দি গাড়ি বসেছিল চুপচাপ। আনুসমিও আর কোন কথা বলছিল না। হঠাৎ আনন্দি ব্যাগ থেকে একটা ঔষধ বের করে খেল । আনুসমি ওর দিকে আড় চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞাসা করল,, আপনি কি অসুস্থ। না মানে দুপুরেও দেখলাম অনেকগুলো ঔষধ খাচ্ছিলেন আবার এখনও?

– তেমন কিছু না এমনি একটু খারাপ লাগছিল তাই। আসলে অনেকদিন এমন ছোটাছুটি করা হয়নি তো তাই একটু কাহিল লাগছিল।

– ওহ্

– কিন্তু তুমি কি খেয়াল করেছ আজকেও কিন্তু তোমাকে গল্পটা শোনালো হলো না।

আনুসমি কিছুক্ষণ মুখটা হা করে থেকে বলল হ্যা তাই তো। আমি তো বিকালে ঘুরেত গিয়ে একেবারে ভুলে গেছিলাম। এখন কি হবে?

আনন্দি স্মিত হেসে বলল, কি আর হবে তোমাকে আবার আমার সাথে এমন একটা বাজে দিন কাটাতে হবে যদি তুমি চাও?

আনুসমি একবার আনন্দির দিকে তাকালো তারপর মুখটা জানালা দিয়ে বাইরে বের করে রাস্তা দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কিন্তু মন বারবার একটা কথাই বলছে, সত্যি কি ও আজ একটা বাজে দিন কাটিয়েছে। মোটেও না আজকের দিনটাতো ওর স্মৃতি পাতায় স্মরনীয় দিনগুলোর একটি হয়ে গেছে। বাবার সাথে বাইরে ঘুরতে গেলে ও যেমটা খুশি হয় আজও দিন শেষে তেমনটাই হয়েছে। আজকের সব ঘটনাগুলো মনে পড়তেই এক্সসাইটমেন্টে তো ওর শরীরের রক্তগুলো তীব্র বেগে ছোটাছুটি শুরু করে দিচ্ছে।

নাহ্ আজ ও কোন খারাপ দিন কাটায় নি। আর এমন আর একটা দিন নয় হাজারটা দিন কাটাতেও ওর কোন সমস্যা হবে না। আনন্দির দিকে তাকিয়ে একটু হাসল আনুসমি। কিন্তু হঠাৎ আবার কি যেন মনে করে মুখটা ছোট হয়ে গেল। বলল, কিন্তু আমি তো বাবার সাথে ট্যুরে যাব আপনাকে আগেই বলেছি। তবে আর একদিন কিভাবে দেখা করব?

– আমি অপেক্ষা করব আনুসমি।

হঠাৎ যেন আবার কি ভেবে বলল,, আচ্ছা আপনি ইচ্ছে করে এমটা করলেন না তো যেন আজ আমার গল্পটা শোনা না হয়?

– কিভাবে তুমিই তো ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাইনা করলে।

– আপনি আমাকে এমন একটা জায়গায় ইচ্ছে করে এনেছিলেন যেন আমি এই সুন্দর জায়গাটা দেখে ওসব ভুলে যায় আর হলোও তাই। আমি বেমালুম সব ভুলে গিয়ে ঘোরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

– কিন্তু আমি এমনটা কেন করব?

– যেন আপনি আমার সাথে আরও একদিন দেখা করতে পারেন। সবটা শোনা হলে তো আমি আর আপনার সাথে দেখা করতাম না।

– মোটেও আমার এমন কোন ইন্টেনশন ছিল না। আমি শুধু আমার গ্রাম আর তোমার নানুবাড়িটা তোমাকে দেখাতে চেয়েছিলাম। আর যদি করেও থাকি তাহলে কি খুব বেশী অন্যায় করে ফেলেছি। নিজের মেয়ের সাথে সময় কাটানোর লোভটা করে কি আমি খুব বেশী অপরাধী হয়ে গেছি। আজ আমাকে নিজের মেয়ের সাথে ঘড়ি ঘন্টা ধরে দেখা করতে হয়, মেয়েকে আদর করতে পারি না, মেয়েটা আমাকে মা পর্যন্ত বলে ডাকে না,,, আর বলতে পারল না আনন্দি কান্নায় ভেঙ্গে পরল। হয়তো আরও কিছু বলার ছিল কিন্তু কান্নার রেসে সেসব আর বলা হলো না।

আনুসমি তীক্ষ দৃষ্টিতে কিছু সময় আনন্দির দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, এটাই হওয়ার কথা ছিল না? এটা আপনার দশ বছর আগে ভাবা উচিত ছিল না কি? আপনি কি করে মনে করলেন আপনি আমাকে ফেলে চলে যাবেন আর দশ বছর পর এসে নিজের মেয়ে বলে বুকে জাড়িয়ে নেবেন আরও আমিও মা মা বলে আপনার বুকে ঝাপিয়ে পড়ব। এসব ভাবলে ভুল ভাবছেন। এমনটা কোনদিনও হবে না।

আনুসমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল তখনই ড্রাইভার গাড়িটা ব্রেক করল। আনুসমি উনার দিকে তাকালে বলল, ম্যাডাম আপনার বাড়ি চলে এসেছি। আনন্দির বুকটা যেন আবারও হাহাকার করে উঠল। ওর কলিজাটা এখনই ওকে ছেড়ে চলে যাবে। আনুসমি নিজের ঘাড়ের ব্যাগটা নিয়ে নিঃশব্দে গাড়ি থেকে নেমে হাটতে লাগল। একবার পেছনে ফিরো দেখলো না পর্যন্ত।

কিন্তু আনন্দির গাড়িটা ততক্ষণ সেখানে দাড়িয়ে থাকল যতক্ষণ মেয়েটাকে দেখা গেল। বাড়ি মধ্যে ঢুকে যাবার পরও কিছুটা সময় ওরা দাড়িয়ে থাকল তারপর গাড়িটা নিয়ে বেড়িয়ে গেল।

সমাপ্ত আসল আনুসমি ফিরে আসার কিছু সময় পরে। আর এসেই একটা খারাপ খবর শোনালো। কিন্তু আনুসমির খবরটা শুনে কেন জানি একটা মিশ্র অনুভুতি হল। না খারাপ না ভাল। অাসলে ও কি চাইছে তাই বুঝে উঠতে পারল না।

সমাপ্ত এসে বলল, ওদের কম্পানি ওকে একটা অনেক বড় প্রজেক্ট দিয়েছেন। এটার জন্য ওকে দিন রাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে। আর এই প্রজেক্ট চলাকালীন ও কোন ছুটিও পাবেন না। ফলে এবার সামার ভ্যাকেসনে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাবে না। তার জন্য ও মেয়ের সামনে কান ধরে মাফও চেয়ে নিল।

আনুসমির প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে আনন্দির কথা মনে হতে মন খারাপটা চলে গেল। উনার সাথে আরও একটা দিন তাহলে কাটানো হচ্ছে, হয়তো এই একদিনে জানতে পারবে ওর সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো না। সমাপ্ত দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বলল, নো প্রবলেম বাবা। তুমি মন খারাপ করো না। আমরা নেক্সট কোন ছুটিতে বেশি করে ঘুরে নিব। একবার না গেলে কিছু হবে না।

সমাপ্ত আনুসমির দিকে তাকিয়ে ভাবল কখন কখন আমার মেয়েটা এতো বড় হয়ে গেল আমি বুঝতেও পারলাম না। আজ ও আমাকে বোঝাচ্ছে যেন আমি মন খারাপ না করি। আনমনে একটা হাসি এসে ভর করল সমাপ্তর মনে। তারপর আনুসমির কপালে একটা চুমু দিয়ে ফ্রেস হতে গেল।

সমাপ্ত জানে হঠাৎ করেই আনুসমির এই পরিবর্তনের কারনটা। তবে ও কখনও বাধা দেবে না। মা ছাড়া যে একটা মেয়ের কতোটা কষ্ট হয় তা এই দশ বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ও কখনও চাই নি আনুসমি তার মাকে ছেড়ে দুরে থাকুক, কিন্তু হয়তো প্রকৃতি চায় নি। তবে আজ যখন আবার সুযোগ এসেছে তখন ও আর কোন বাধা দেবে না। কারন সমাপ্ত জানে আনন্দি আর যায় করুক সে আনুসমিকে কখনও সমাপ্তর থেকে দুরে সরাবে না। প্রচন্ড বিশ্বাস করে ও আনন্দিকে। আর আনন্দিও এই বিশ্বাসের হকদার কিন্তু সমাপ্তই কোন বিশ্বাসে মুল্য দিতে পারে নি তখন। তাই তো আজ সব ভুলগুলো সুধরে নিতে চায় আবার।

আনুসমি ঘরে গিয়ে ফোনটা হাতে নিল। কিন্তু কিছুতেই আনন্দিকে কল করতে পারছে না। বার বার কল করে আবার কেটে দিচ্ছে। কেন যেন একটা আরষ্ঠতা কাজ করছে ওর মাঝে। কেন এমনটা হচ্ছে আনুসমি জানে। ওর মন চাইছে আনন্দির সাথে আরও একবার দেখা করতে কিন্তু এতো দিনের গ্লানি ওকে বারবার পিছনে টানছে।

এর মাঝেই কেটে গেল দুটো দিন। দুইদিন পর আনুসমি কল করল আনন্দিকে। এই দুটো দিন আনন্দিও কোন যোগাযোগ করে নি আনুসমির সাথে। অপেক্ষা করবে বলেছিল। হয়তো আনুসমির কলের জন্য অপেক্ষা করেছে এই দুটো দিন।

চলবে,,,

জাকিয়া সুলতানা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here