‘চরিত্রহীনা’ পর্ব-৭
.
লেখক : Mahian Khan
.
আগের ৬ পর্বের লিঙ্ক কমেন্টে দেওয়া হবে।
.
জাভেদ কিছুক্ষণের মধ্যে ফার্স্ট এইড কিট নিয়ে এসে তিন্নির হাতে ধরিয়ে দেয়।
.
– অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কিন্তু আপনার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল উত্তর দিবেন?
.
– জ্বী বলুন।
.
– আপনি তো আমাকে ভালভাবে চেনেন না তাহলে আমার জন্য এতটা কষ্ট করছেন কেন?
.
– আপনার অসাহয়ত্ব দেখে আর কিছু না।
.
– অসাহয়ত্ব না আমাকে পাওয়ার ইচ্ছা?
.
– মানে?
.
– আমার ভাষার প্রয়োগ একটু কর্কশ। কেন জানি কিছু ভাললাগে না আর কাউকে বিশ্বাসও করতে পারি না।
.
– স্বাভাবিক এত কষ্ট সহ্য করার পর অন্যকোনো মানুষ হলে হয়ত পৃথিবীতে বেচে থাকতে পারত না। আপনি তো তবু দাড়িয়ে আমার সাথে কথা বলছেন। আসলে আপনার প্রতি আমার কোনো লোভ নেই, আপনাকে পাওয়ারও কোনো ইচ্ছা নেই।
.
– কিন্তু আমি তো আজব্দি স্বার্থ ছাড়া কোনো মানুষকে সাহায্য করতে দেখিনি।
.
– আমিও দেখিনি কিন্তু আমি আপনার মত অসাহয় কোনো মানুষকেও কখনো দেখিনি। এরকম অনেক ঘটনা শুনেছি কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা, আপনি। আপনার মত মেয়েদের সচারচর মানুষ চরিত্রহীনা, অসভ্য মেয়েদের উদাহরণ হিশেবে ব্যবহার করে। পারিবারিক, সামাজিকভাবে এই শিক্ষা পেয়েছি কিন্তু বাস্তবে কোনো অভিজ্ঞতা আর কাহীনির মাঝে কত পার্থক্য তা আপনাকে না দেখলে হয়ত বুঝতাম না। ভুল তো আমরা সবাই করি কিন্তু ভুলের ফলাফল মানুষ আজীবন ভোগ করবে কেন?
.
– আমার বাবা আমাকে প্রথম অসভ্য বলেছিল তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। আমার চাচাত ভাই আমাকে ধর্ষন করেছিল। অনেক কেঁদেছিলাম সেদিন। মা সান্তনা দিলেও বাবা সান্তনা দেয়নি উল্টা ২-৩ টা থাপ্পড় মেরেছিল। টানা ৪ দিন কোনো কথা বলেনি আমার সাথে লাস্টে মা আমাকে বাবার পা ধরে মাফ চেতে বলল।
.
– চেয়েছিলেন?
.
– হুম চেয়েছিলাম, মাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, আমার কোনো দোষ নেই আমি মাফ চাব কেন!? কিন্তু কোনোভাবে মাকে বুঝাতে পারিনি। লাস্টে বাধ্য হয়েই বাবার দু পা ধরে মাফ চেয়েছিলাম।
.
– আপনার চাচাত ভাই?
.
– সে তো এখন বিবাহিত, একটা বাচ্চাও আছে। ৬ তলা একটা বিল্ডিং আছে। কোনো চাকুরী করে না ঐ বিল্ডিং ভাড়া দিয়েই বেশ বিলাস বহুল জীবন যাপন করে।
.
– আপনার বাবা ওনাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়নি?
.
– না। মা বলেছিল কিন্তু লোকের মধ্যে ঘটনাটা জানাজানি হলে তো চৌদ্দপুরুষের মানইজ্জত সব শেষ হয়ে যেত তাছাড়া বড় ভাইয়ের ছেলে তার উপর আবার বংশের সবচেয়ে বড় ছেলে।
.
– আপনার কথাগুলো কি একেবারে সত্যি? বাস্তবেই কি এগুলো আপনার জীবনে ঘটেছিল?
.
– জ্বী। হয়ত আপনার মনেহতে পারে এগুলো কোনো সিনেমার কাহীনি বর্ননা করলাম। আসলেই এটা একটা সিনেমার কাহীনি যে সিনেমায় কোনো যান্ত্রিক ক্যামেরা ব্যবহার হয়নি। ক্যামেরা ছিল আমার এই দুই চোখ।
.
জাভেদ বেশ জোরে নি:শ্বাস ছাড়ে। তিন্নির কথাগুলো শুনে জাভেদ মারাত্মক ভয় পায়। মুখ থেকে কোনো কথা বের হতে চায় না শুধু চেয়ে আছে তিন্নির দিকে। তিন্নির চোখের পানিগুলো এই মেঘলা আকাশে চারদিকে অন্ধকার পরিবেশেও বেশ উজ্জ্বল।
.
– এভাবে তাকিয়ে কি ভাবছেন? আমি কি কারণে নিজের এত বড় ব্যক্তিগত ঘটনা আপনার সাথে শেয়ার করলাম, তাই না? শেয়ার করতে চাই নি কিন্তু আপনাকে সতর্ক করলাম আপনি আসলে না জেনে কতবড় একজন চরিত্রহীনাকে সাহায্য করতে যাচ্ছেন। আর আজকেও কিছুক্ষণ আগে কোনোভাবে ধর্ষনের হাত থেকে বেচে ফিরেছি। আসলে আমি এমন একটা মেয়ে যার জীবনে স্ক্যান্ডালের লিস্ট বানাতে গেলে হয়ত তা একটা আস্তা বইয়ে পরিনত হবে।
আমার মত এরকম অলরাউন্ডার চরিত্রহীনা কুটিতে একজন খুজে পাবেন নাকি সন্দেহ।
.
তিন্নির কথাগুলো শুনে জাভেদ আর নিজেকে চুপ রাখতে পারে না। জাভেদের চোখ প্রায় ভিজে আসে। তিন্নির হাত দুটো বেশ শক্ত করে চেপে ধরে।
.
– নাহ! আপনি কোনো চরিত্রহীনা না। আমি আপনাকে চরিত্রহীনা বললে তাহলে আমি নিজেও একজন চরিত্রহীন।
.
– কিন্তু কেন?
.
– কারণ আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর দায়ভার আমারও। আমার মত সাধারণ মানুষেরা স্বার্থপরের মত নিজের চিন্তায় ব্যস্ত থাকি বলেই সমাজ আপনাকে চরিত্রহীনা ডাকার সাহস পায়। বলুন, আপনাকে চরিত্রহীনা ডাকা হলে আমি কী চরিত্রহীনের তালিকা থেকে বাদ যাব?
.
তিন্নির চোখ দুটো থেকে অশ্রু কোনোভাবে থামে না। তিন্নির চোখের পানিগুলোর উজ্জ্বলতা যেন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকাশের অন্ধকার যত বৃদ্ধি পেতে থাকে তিন্নির চোখে পানি তত উজ্জ্বল হতে থাকে। এরকম অদ্ভুত ঘটনা হয়ত এর আগে কেউ কখনো দেখেনি।
.
– আপনি কি আসলেই মানুষ? আমার বাবার চোখে আমি যখন চরিত্রহীনা আপনি কিভাবে এরকম একটা ব্যাখা দিলেন? এগুলো কি আবেগ না আপনার মন থেকে বলছেন?
.
– মন থেকে, মনের একেবারে গভীর থেকে কথাগুলো বললাম। বিশ্বাস-অবিশ্বাস আপনার দায়িত্ব।
.
জাভেদের কথাগুলো তিন্নির এখনো বিশ্বাস হয়না। পৃথিবীতে এরকম মানুষ তাও আবার পুরুষ মানুষ থাকা কিভাবে সম্ভব?
.
– সরি অনেকক্ষণ বাহিরে দাড় করিয়ে রেখেছি। ভিতরে আসুন।
.
জাভেদ একেবারে চুপচাপ তিন্নির পিছনে পিছনে ঘরের ভিতর ঢুকে সোফায় বসে পড়ে।
.
– কফি না চা?
.
– একটাও না।
.
– মানে কি? আমাকে এতবড় সাহায্য করছেন আর আমার এতটুকু সাহায্য নিতে নারাজ?
.
– না অন্য কোনদিন আপনার শরীরের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ আর তাছাড়া সকাল বেলা থেকে ৩ বার চা খাওয়া হয়েছে,এখন আর ইচ্ছা নেই।
.
– এটা কোনো কথা হল?
.
– আপনি বরং বসুন। কিছু আড্ডা মারি। আআপনার সম্পর্কে আরো জানতে ইচ্ছুক।
.
তিন্নি চুপচাপ সোফায় বসে পড়ে।
.
– আচ্ছা আপনি কিসে পড়েন?
.
– এইতো এবার ইন্টার পরিক্ষা দিলাম। ভেবেছিলাম একটা ভাল জায়গা ভর্তি কোচিং করব। ভাল একটা পজিশনে নিজেকে দাড় করাব, বাবা মাকে দেখিয়ে দিব তা আর হল না। আপনি?
.
– অনার্স থার্ড ইয়ারে,ফিজিক্স। আপনি কি সাইন্সে?
.
– জ্বী।
.
– রাগ করবেন না কিন্তু আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে কতদিন ধরে থাকেন? মানে আপনাদের রিলেশন কয়দিন ধরে চলছে?
.
– প্রায় ২ বছর।
.
– আপনাদের লাভ স্টোরি সংক্ষেপে শুনতে পারি কি?
.
– তেমন স্পেশাল কিছু নেই। বাবা ক্লাস নাইনে ঐ ঘটনার পর লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু অনেক কান্নাকাটি, মায়ের অনেক হাত জোরাজুরির পর এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়ার সু্যোগ দিল। এস এস সির পর আমাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না,আমি এইটে বৃত্তি পেয়েছিলাম। জীবনে লেখাপড়া করে বড় জায়গায় যাওয়ার অটুট লক্ষ্য ছিল, বাবা -মায়েরও ছিল কিন্তু ক্লাস নাইনে ঐ ঘটনার পর আমি বাবা-মায়ের চোখে আর কোনো স্বাভাবিক মেয়ে ছিলাম না। পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর বাবা পাত্র ঠিক করেছিল, রেজাল্টের পর আমার বিয়ে হবে ঠিক হল। আমি রেজাল্টের তিন দিন আগে বাসা ছেড়ে এখানে এসে খালার বাসায় উঠলাম তারপর কলেজে ভর্তি হলাম। খালা আমার সব ডিসিশনের পক্ষে থাকলেও খালু আমাকে দুচোখে দেখতে পারত না। সারাদিন খালুর বদ মেজাজ, গালিগালাজ আমার আর সহ্য হত না।
.
– তারপর?
.
– কলেজে ওঠার পর থেকেই রনি আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে যায়। ২৪ ঘন্টা আমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকত দিনে একশবার ফোন দিত। আমার কাছে দামি মোবাইল ছিল না ও এগার হাজার টাকা খরচ করে একটা মোবাইল কিনে দিয়েছিল। অন্যকোন মেয়ের প্রতি রনির কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না। ওর সব কিছুই যেন আমি। আমি ধীরে ধীরে আমার সব ঘটনা ওকে বললাম, ও আমাকে ওর সাথে থাকতে বলল। আমার কোনো ইচ্ছা ছিল না এরকম কিছু করার। কিন্তু খালু যেভাবে প্রতিদিন আমাকে ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলত, যেভাবে ২৪ ঘন্টা আমাকে দিয়ে বাসার কাজ করাত তার চেয়ে চরিত্রহীনা হয়ে রনির সাথে থাকা উত্তম মনে করলাম। এইতো আমাদের লাভ স্টোরি। জানি খুব একটা রোমান্টিক না কাহীনিটা।
.
– তো রনি কখনো আপনাকে ধোকা দিয়েছিল এর আগে?
.
– না এর আগে কখনো দেয়নি। ধোকা দুরের কথা অন্য মেয়ের দিকে কখনো ফিরেও তাকায়নি।
.
– তাহলে এরকম করল কেন?
.
– ওর বাবার জন্য ওর বাবা নাকি আমাদের সম্পর্কে জেনে গিয়েছিল।
.
– আপনি প্রেগন্যান্ট,সেটা কি ও জানে?
.
– না।
.
– ছেলেটা কি এখনো আপনাকে আগের মত ভালোবাসে? আপনার কি মনে হয়?
.
– আমার তো ওর উপর সম্পুর্ন বিশ্বাস আছে যেরকম সব সময় ছিল। ও বলেছে আমাকে, একদিন নাকি আসবে। জানি না আদৌ পারবে কিনা, কিন্তু তবুও বিশ্বাস অটুট আছে। হয়ত বলবেন, আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলবে না বাস্তবতা দিয়েই চলে। হ্যা
কথাটা আসলে চরম সত্য কিন্তু তবুও কেন জানি আমার বিশ্বাস আছে রনির উপর।
.
– আসলে আপনার বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো যুক্তি দাড় করাতে পারছি না। আসলেই, পৃথিবীতে এরকম মানুষও আছে আমি জানতাম না। আপনি আসলে আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন জীবনে।
.
– ধন্যবাদ কিন্তু আপনার জীবনে কেউ নেই? আপনিও তো বললেন, আপনি নাকি বাবা মায়ের সাথে রাগ করে এখানে থাকেন!
.
– আসলে সেটা লম্বা কাহীনি। সেই কাহীনি বলে সময় নষ্ট কিরে লাভ নেই। কিন্তু হ্যা আমার জীবনে কেউ নেই। কেউ নেই বলতে অনেক বন্ধু বান্ধব আছে কিন্তু বাবা-মা থেকেও নেই। যার জিবনে বাবা মা নেই তার কি আর কিছু থাকতে পারে? আর আপনি যদি বিশেষ কোনো নারীর কথা জিজ্ঞেস করেন তাহলে বলব সেটা আমার ভাগ্যে লেখা নাই। প্রায় ২-৩ বছর সম্পুর্ন একা একা থাকি। একবার বাবা মায়ের সাথে ফোনেও কথা বলিনি।
.
– আমার জীবনের কাহীনিগুলো কত ইন্টারেস্টের সাথে শুনলেন এবার নিজের ক্ষেত্রে এভবে চুপ হয়ে গেলেন, এটাও কি একধরনের ধোঁকাবাজি না?
.
– নাহ! এটাকে বলে আলসামি।
.
– নাহ! ধোঁকাবাজি।
.
– ঠিক আছে দুটো, এবার সমতা হল?
.
– হয়ত।
.
– দুপুরে কিছু খেয়েছেন?
.
– না।
.
– তাহলে আমি রান্না করে দিব?
.
জাভেদের কথাটা শুনে তিন্নির হাসি আর কোনোভাবে থামতে চায় না।
.
– আর ইউ সিরিয়াস?
.
– ইয়েস আই এম, আমার রান্না কিন্তু বেশ সুস্বাদু
।
.
– থাক দরকার নেই অযথা কষ্ট করবেন কেন? আমার কি হাত-পা নেই সাথে
?
.
– আছে কিন্তু আপনার শরীরের যে মারাত্মক অবস্থা এই অবস্থায় রান্না করবেন কিভাবে?
.
– কোনো না কোনোভাবে পারব। নো টেনশন।
.
– প্লিজ ইটজ এ রিকোয়েস্ট। একদিন সু্যোগ দিন।
.
– হুম ঠিক আছে কিন্তু আমি হেল্পার হিশেবে পাশে থাকব।
.
– ওকে নো প্রব্লেম।
.
– আমার সাথে আসুন।
.
তিন্নি জাভেদকে রান্নাঘরে নিয়ে আসে।
.
– বাহ কিচেনটা অনেক সুন্দরভাবে সাজানো।
.
– ধন্যবাদ।
.
জাভেদ একেবারে প্রফেশনালের মত রান্নায় ব্যস্ত হয়ে যায়। কৌটা, তেলের বোতল কোনোকিছু তাকে খুব একটা চিনিয়ে দেওয়া প্রয়োজন হয় না। একেবারে প্রফেশনাল কুকের মত রান্না করতে থাকে। তিন্নি এই ফাকে জাভেদকে সাহায্যের জন্য পিয়াজ কাটতে থাকে।
.
– আপনি তো আসলে প্রফেশনালের মত কাজ করছেন।
.
– ধন্যবাদ কিন্তু আমি থাকতে আপনাকে কে পিয়াজ কাটতে বলল?
.
– না এভাবে অলস বসে থাকতে ভাললাগে না। কেউ কাজ করবে আর বসে থাকব এই জিনিসটা আমার মোটেও পছন্দ না।
.
পিয়াজের ঝাঝে তিন্নির চোখ থেকে পানি বের হতে থাকে। কাদলে তিন্নিকে যেন অদ্ভুত সুন্দরি মনেহয়। কিন্তু এটাতো কৃত্রিম কান্না! তবুও অসাধারণ লাগে তিন্নিকে দেখতে। তিন্নির কৃত্রিম চোখের পানিগুলো জাভেদের কাছে বাস্তব মনেহতে থাকে।
.
– আহ! যদি চোখের পানিগুলো মুছে দেওয়া যেত?
.
পিয়াজ কাটতে কাটতে ধারাল চাকুটার সাথে তিন্নির আঙুলের সংঘর্ষ হয়। এই ভয়াবহ দৃশ্য জাভেদ কোনোভাবে সহ্য করতে পারে না। তিন্নির হালকা ‘উহ ‘ উচ্চারণ জাভেদের হৃদয়ে ছুরিকাঘাত করে। দৌড়ে তিন্নির পাশে গিয়ে দাড়ায়। তিন্নির আঙুলটা হালকা শক্ত করে চেপে ধরে।
.
– বললাম তো অযথা শরীরের এই অবস্থা নিয়ে কাজ করা লাগবে না। তারপরও কেন করলেন?
.
জাভেদের কথা বলার ভঙ্গিমা এমন ছিল যেন ব্যাথাটা জাভেদ পেয়েছে। তিন্নির আঙুলটাকে নিজের ঠোটের স্পর্শে এনে তিন্নির সব ব্যাথা নিজের মধ্যে শুষে নেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে।
.
তিন্নি শুধু অদ্ভুতভাবে নির্বাক পুতুলের মত চেয়ে থাকে জাভেদের দিকে।
.
(চলবে…..)
.