তুমি এলে তাই পর্ব ২৬

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ২৬
.
স্পন্দন কল্পনাও করেনি যে গুঞ্জন ওকে এসব কথা বলবে। পুরো পৃথিবী যেনো থমকে গেছে ওর। একয়েকদিন ও গুঞ্জনের মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখেছে। ওর প্রতি করা গুঞ্জনের প্রতিটা ব্যবহারে ওর এটাই মনে হয়েছিলো গুঞ্জন ওকে ভালোবেসে ফেলছে। তাহলে কী এসকিছুই ভুল ছিলো? সব ভুল? গুঞ্জন নিজের নাক দুই আঙুল দিয়ে ঘষে নিজেকে স্বাভাবিক করে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন আমি কী বলতে চাইছি? সো প্লিজ!”

স্পন্দন এবার ঠান্ডা গলায় বলল,

— ” তোমার বলা শেষ?”

গুঞ্জন একবার স্হির দৃষ্টিতে তাকালো স্পন্দনের দিকে তারপর নিজেকে যথেষ্ট শক্ত রেখে বলল,

— ” হ্যাঁ। তাই আমার মনে হয় আপনার আমাকে ভুলে যাওয়া উচিত।”

স্পন্দন এবার গুঞ্জনের একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,

— “এতোগুলো দিন একসাথে আমার সাথে থাকার পর হঠাৎ কেনো মনে হলো যে আমাকে ভালোবাসো না এমনকি কোনোদিন ভালোবাসতেই পারবে না।”

গুঞ্জন একপলক স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” আসলে হঠাৎ না। একয়েকদিন আপনাকে সাথে ভালোভাবেই মিশেছি। কিন্তু আমার মনে তেমন কোনো ফিলিংস আসেই নি। আর এটুকুও বুঝতে পেরেছি যে ভবিষ্যতেও এটা সম্ভব নয়। ”

স্পন্দন নিজের কপালে আঙ্গুল দিয়ে একটু স্লাইড করে বলল,

— ” আর কিছু?”

গুঞ্জন আর স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলোনা । চোখ সরিয়ে নিলো। স্পন্দনের এই ঠান্ডা গলা গুঞ্জনের ভালো লাগছে না। গুঞ্জনের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নিজের কান্না আটকানোর চেষ্টা করছে। এরআগেও অনেকবার কান্না আটকে রেখেছে ও কিন্তু আজকের মতো এতো কঠিন কোনোদিন লাগেনি। তবুও নিজেকে যথেষ্ট শক্ত করার চেষ্টা করা কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,

— “আর তাছাড়া যদি আপনি আমার আশেপাশে থাকেন তো আমাকে ভুলতে পারবেন না। তাই এটাই ভালো হবে যে আমরা দুজন দজনের থেকে দূরে থাকি।”

স্পন্দন এবার আর নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে রাখতে পারলোনা। এতোক্ষণ ধরে চেপে রাখা রাগটা একসাথে বেড়িয়ে এলো। ও গুঞ্জনের দুইহাতের বাহু ধরে একদম নিজের কাছে এনে বলল,

— ” কী মনে করো কী তুমি নিজেকে? যা ইচ্ছা হবে তাই করবে তুমি? বন্ধুত্বের হাত আগে আমি না তুমি বাড়িয়ে দিয়েছেলে। একসাথে এতোটা ফ্রি হয়ে মেশা আমি না তুমি আগে শুরু করেছিলে। আর এরপর যখন আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেললাম তখন তুমি সময় চাইলে। আর আজ এসব কথা বলছো?”

গুঞ্জন স্পন্দনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। স্পন্দন গুঞ্জনের বাহু আরো শক্ত করে ধরে বলল,

— ” যখন তোমার ইচ্ছে হবে তখন আমায় কাছে আসবে আবার যখন তোমার ইচ্ছে হবে তখন আমাকে দূরে সরিয়ে দেবে। আমাকে তোমার খেলনা মনে হচ্ছে? যতোক্ষণ ভালোলাগবে নিয়ে খেলবে আবার যখন ইচ্ছে হচ্ছে হবে ছুড়ে ফেলে দেবে? সব তোমার ইচ্ছেতে হবে এটাই মনে করো তুমি?”

গুঞ্জন স্পন্দনের দিকে কয়েকসেকেন্ড তাকিয়ে থেকে এবারেও কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,

— ” দেখুন আপনি..”

স্পন্দন এবার বেশ রাগী গলায় বলল,

— ” কী ‘আপনি’ ‘আপনি’ করছো হ্যাঁ? তোমার যখন মুড হবে ‘তুমি’ বলবে আবার যখন মুড হবে তখন ‘আপনি’ বলবে? কী পেয়েছো টা কী?”

গুঞ্জন এবার স্পন্দনকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল,

— ” দেখুন আমার যা বলার আমি বলে দিয়েছি। এখন যেতে দিন আমাকে।”

গুঞ্জনের প্রতিটা কথা স্পন্দনের রাগ ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে। ও গুঞ্জন বাহু ধরে ঘুরিয়ে রেলিং এর সাথে চেপে ধরে বলল,

— ” কেনো এরকম করছো তুমি? তোমার চোখে আমি আমার জন্যে অনুভূতি দেখেছি। ইনফ্যাক্ট এখনো দেখতে পাচ্ছি। তাহলে মিথ্যে কেনো বলছো?”

গুঞ্জন চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস নিয়ে নিজেকে শক্ত করে তারপর স্পন্দনের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল,

— ” ভুল দেখছেন আপনি।”

স্পন্দন গুঞ্জনকে আরো শক্ত করে রেলিং এর সাথে চেপে ধরে বলল,

— ” তাহলে সেদিন কেনো আমার কাধে মাথা রেখেছিলে? কেনো শুধুমাত্র একবার বলাতেই আমার কোলে মাথা দিয়ে শুয়েছিলে? যে মেয়েকে কখনো কারো কথা শোনানো যায় না বিগত কয়েকদিন ধরে সে কেনো আমার প্রতিটা কথা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই শুনেছে। কেনো? বলো কেনো?”

গুঞ্জন মাথা নিচু করে ফেলল। স্পন্দন গুঞ্জনের আরো কাছে গিয়ে বলল,

— ” এরপর কী এমন দেখে এটা মনে হলো যে আমার প্রতি তোমার কোনো অনুভুতিই তৈরী হয়নি আর না ভবিষ্যতে হবে। কী এমন খারাপ দেখে ফেললে আমার মধ্যে?”

গুঞ্জনের এখন খুব জোরে জোরে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু স্পন্দনের সামনে তো কাঁদতে পারবেনা ও। স্পন্দনকে কিছুই বুঝতে দিলে হবেনা। গুঞ্জন আবারও নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলল,

— ” আপনার এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবোনা আমি। ছাড়ুন।”

স্পন্দন গুঞ্জন রেলিং এ আরো জোরে চেপে ধরে বলল,

— ” গুঞ্জন এমন কিছু করোনা যার জন্যে তোমাকে পরে পস্তাতে হয়।”

গুঞ্জন এবার স্হির দৃষ্টিতে স্পন্দনের দিকে তাকালো। সূর্য এইমাত্র অস্ত গেলো। চারপাশ লালচে হয়ে আছে। ঠান্ডা ফুরফুরে বাতাসে গুঞ্জনের চুল শাড়ির আচল উড়ছে। স্পন্দনের চুলগুলোও দুলছে হালকা। ব্রিজে ওরা দুজন আর দূরে সিএনজি ছাড়া আপাতত কেউ নেই। দুজন দুজনের দিকে স্হির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। স্পন্দন এবার চোখ বন্ধ করে একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করলো। তারপর শান্ত আওয়াজে বলল,

— ” আচ্ছা শোনো। তোমাকে তো কেউ তাড়া দিচ্ছে না। তোমার যতোখুশি তুমি সময় নাও। প্রয়োজনে সারাজীবন অপেক্ষা করবো আমি তোমার জন্যে। তবু প্লিজ এভাবে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিওনা নিজেকে। না চাইতেও অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে। প্লিজ ডোন্ট ডু দিস। প্লিজ।”

গুঞ্জন এবার আর নিজের সাথে লড়াইয়ে টিকতে পারলোনা। নিজের কান্না আর আটকে রাখতে পারলো না। চোখ দিয়ে ওর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জল গড়িয়ে পরলো। গুঞ্জনের চোখে পানি দেখে স্পন্দন ভ্রু কুচকে ফেলল। সন্দিহান কন্ঠে বলল,

— ” কী হয়েছে গুঞ্জন? কাঁদছো কেনো তুমি? ”

গুঞ্জন এখন কী বলবে সেটাই বুঝতে পারছেনা। কিছুতো বলতেই হবে। ও একটু চিন্তা করে তারপর বলল,

— ” বুঝতে পারছেন না কেনো কাঁদছি? যেভাবে ধরে আছেন লাগছে আমার।”

স্পন্দন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

— ” এটুকু ব্যাথাতে তোমার মতো একটা মেয়ে কাঁদবে? এটাও আমাকে মানতে হবে? সিরিয়াসলি?”

গুঞ্জন খুব শক্ত কন্ঠে বলল,

— ” মানা না মানা সেটা আপনাকে ব্যাপার। আমি কী করতে পারি তাতে?”

স্পন্দন এবার গুঞ্জনের কোমর ধরে নিজের কাছে টেনে নিলো এরপর দুই কানের ওপর হাত রেখে বলল ,

— ” গুঞ্জন প্লিজ। যদি কোনো প্রবলেম হয়ে থাকে তো বলো আমায়। বাট এরকম করোনা। আমি জানি তুমি আমার জন্যে ফিল করো। তোমাকে প্রতিটা আচরণে সেটা বুঝেছি আমি। বলো কী হয়েছে?”

বলে স্পন্দন গুঞ্জনের কপালে নিজের কপাল লাগিয়ে ধরলো। গুঞ্জন চোখ বন্ধ করে আছে। ওর চোখ দিয়ে নিরব ধারায় পানি পরছে। স্পন্দনও নিজের চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এভাবে অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই গুঞ্জনেল হুস এলো। ও ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে দূর সরিয়ে দিলো। স্পন্দন আহত দৃষ্টিতে তাকালো গুঞ্জনের দিকে। গুঞ্জন নিজের চোখ মুছে ভাঙ্গা কন্ঠে বলল,

— ” আমার যেটুকু বলার আমি বলে দিয়েছি মিস্টার চৌধুরী। শুধু এটুকুই বলব আমাকে ভুলে যান আর নতুন করে নিজের জীবণ শুরু করুন।”

বলে গঞ্জন চলে যেতে নিলেই স্পন্দন গুঞ্জনের এক হাত ধরে আটকে নিয়ে বলল,

— ” আবারও বলছি এমন কিছু করোনা যার জন্যে ভবিষ্যৎ তোমাকে পস্তাতে হয়।”

গুঞ্জন নিচের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে তারপর স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” হাত ছাড়ুন আমার।”

স্পন্দন কোনো কথা না বাড়িয়ে হাত ছেড়ে দিলো। গুঞ্জন একপ্রকার দৌড়ে গিয়ে সিএনজি তে উঠে চলে গেলো। আর স্পন্দন গুঞ্জনের যাওয়ার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে রেলিং এ জোরে একটা পাঞ্চ মারলো। কী পেয়েছে কী ও? ওর যা ইচ্ছে হবে ও তাই করবে। তবে আজ গুঞ্জনের আচরণে একটা পরিবর্তন দেখেছে। আজকের গুঞ্জন আর পাঁচটা মেয়ের মতোই আবেগ, কান্না, অনুভূতিতে পূর্ণ ছিলো। আজকের গুঞ্জন একদম অন্যসব মেয়েদের মতোই ছিলো। একদম সাধারণ। কারণ যেটাই হোক আজ গুঞ্জন যা করেছে ওর সাথে তার মূল্য গুঞ্জনকে দিতেই হবে। চরম মূল্য দিতে হবে। এসব ভেবে গাড়িতে গিয়ে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো স্পন্দন।

_____________________

রাত দশটায় বাড়ি ফিরলো গুঞ্জন। চুলগুলো হালকা এলোমেলো হয়ে আছে, শাড়িটাও একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। ওদের ড্রয়িং রুমে আবির বাদে সবাই উপস্থিত ছিলো। গুঞ্জন এসে ড্রয়িং রুমে ঢুকতেই ওর বাবা বলল,

— ” কী ব্যাপার? এই অবস্থা কেনো তোমার? আর এতো রাতে এইভাবে বাইরে ছিলে কেনো?”

গুঞ্জন নিচু কন্ঠে বলল,

— ” সরি আব্বু। কাল থেকে আর হবেনা।”

বলে গুঞ্জন ধীরপায়ে নিজের রুমে চলে গেলো। সবার ওপর রিতীমত বজ্রপাত হলো। এটা গুঞ্জন ছিলো? সত্যি? সকলেই গুঞ্জনের কাজ থেকে বরাবরের মতো একটা তেরা জবাবই আশা করেছিলো। ইনফ্যাক্ট গুঞ্জনের কাকী তো কথার পিঠে একটা কথা বলবে বলে তৈরী হয়ে বসেও ছিলো। অথচ গুঞ্জন সরি বলে চলে গেলো। গুঞ্জনের বাবা মায়ের মনে অশান্তি হয়ে গেলো। যতোই হোক নিজের মেয়ে তো। গুঞ্জনকে ওর কাকা-কাকী কিছু বললে চুপ থাকে ঠিকই আর তার কারণও আছে। কিন্তু ওনাদের যে খুব বেশি ভালোলাগে তা কিন্তু না। মেঘলার কাছেও গুঞ্জনের ব্যাপারটা ভালো লাগলো না। কিছুতো একটা হয়েছে। তাই একটু পর গিয়ে গুঞ্জনের দরজাটা হালকা খুলে ভেতরে তাকিয়ে চমকে গেলো। গুঞ্জন ফ্লোরে হাটু গুটিয়ে বসে হাটুতে মুখ গুজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। মেঘলা দৌড়ে গুঞ্জনের কাছে গিয়ে বসে ওকে জরিয়ে ধরে বলল,

— ” কী হয়েছে সোনা কাঁদছিস কেনো বল? আজ আবার কেউ কিছু বলেছে? বল আমাকে?”

গুঞ্জন কিছূ না বলে গুঞ্জনকে জরিয়ে ধরে শব্দ করে কাঁদছে। মেঘলা অবাক হয়ে গেলো। বারবার জিজ্ঞেস করার পরেও গুঞ্জন কিছু বলল না। গুঞ্জনের কান্না শুনে মেঘলাও কেঁদে দিলো। অনেক্ষণ পর মেঘলা গুঞ্জনকে ধরে উঠিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো। তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করল। গুঞ্জন একপর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেলো।

পরেরদিন সকালে গুঞ্জন সকলের সাথে একসাথেই ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসলো। যেটাতে সবাই আরেকদফা অবাক হলো তবে কেউ কিছু বললনা। আজ গুঞ্জনকে একদম স্বাভাবিক লাগছে, তবে মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে আর চোখ হালকা ফুলে আছে। সবাই গুঞ্জনের আচরণে আজ অবাক হচ্ছে। মেঘলাও চিন্তায় পরে গেছে কারণ কালকের মতো ওভাবে কাঁদতে এর আগে কখনো দেখেনি গুঞ্জনকে। খাওয়া শেষ করে আবির যেই উঠে যেতে নেবে গুঞ্জন বলল,

— ” ভাইয়া শোন। আমার জন্যে কিছু জিনিস আনতে পারবি?”

আবির অবাক পেছন ঘুরে তাকালো গুঞ্জনের দিকে। বিদেশ থেকে আসার পর আজ অবধি গুঞ্জন ওর কাজে কিছু চায়নি। দিলেও কখনো নেয়নি। আবির অবাক কন্ঠেই বলল,

— ” হ্যাঁ বল কী লাগবে?”

গুঞ্জন একটা মলিন হাসি দিয়ে বলল,

— ” আমার জন্যে কয়েকটা লং গ্রাউন্ড নিয়ে আসিস। তোর পছন্দ মতো।”

আবির আরেকদফা অবাক হয়ে বলল,

— ” কী করবি? তুই তো পরিস না ওগুলো।”

গুঞ্জন মুখে সেই ফ্যাকাশে হাসি রেখেই বলল,

— ” পরতাম না। বাট আজ থেকে পরবো? এনে দিবি কী না বল।”

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো গুঞ্জনের দিকে। আবির কিছুক্ষণ গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,

— ” আচ্ছা আনবো।”

বলে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে বেরিয়ে গেলো। গুঞ্জনও উঠে নিজের রুমে চলে গেলো। মেঘলাসহ সবাই অবাকের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছে। এটা কোন গুঞ্জন? এই গুঞ্জনকে কিছুতেই হজম করে পারছেনা ওনারা।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here