#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ১৬
#Jhorna_Islam
দায়ান এখনো রুশের অবস্থা দেখে হেসে লু’টোপু’টি খাচ্ছে। সেই কবে এভাবে মন খুলে হেসেছিলো মনে করতে পারবে না দায়ান।জীবন এমন এক পরি’স্থিতি’তে এনে ফেলেছিলো,,সব সুখ কর মু’হূর্ত গুলো শেষ হয়ে গেছিলো।
এক ভয়ানক দূ’র্বি’ষহ দিন সুখ ও হাসি নামক বস্তুটা কেরে নিয়ে গিয়েছিলো।
রুশ নিজের অবস্থা ভুলে দায়ানের হাসি দেখে দায়ানের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছে।তাই হাত দিয়ে চোখ কচলিয়ে আবার দায়ানের দিকে তাকায়।সেই ভ’য়াবহ দূর্ঘ’টনার পর দায়ানকে কতো হাসাতে চেয়েছিলো রুশ কিন্তু পারে নি।
দায়ানের হাসি দেখার চ’ক্করে রুশ কখন যে নিজের ডান হাত দিয়েই চোখ কচলেছে সেই খেয়াল নেই।
এবার রুশের হা’ল বেহা’ল হয়ে গেছে।একেইতো ঝালে অবস্থা কা’হিল তার উপর চোখের জ্ব’লন শুরু।এখন রুশের মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে চিল্লিয়ে কান্না করতে মন চাচ্ছে।
দায়ানের এই দিকে খেয়াল নেই সে হাসতে ব্যস্ত।
রুশ আর সহ্য করতে না পেরে জোড়ে চিল্লিয়ে ওঠে।
রুশের চিৎকার শুনে সোহা হ’ন্ত দ’ন্ত হয়ে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে আসে। কি হয়েছে দেখার জন্য। এসে দেখে রুশ মেঝেতে বসে চোখ বুঁ’জে কান চেপে ধরে ফোঁপা’চ্ছে।আর দায়ান সোফার উপর গড়া’গড়ি খেয়ে হাসছে।
সোহা দায়ানের হাসি দেখে যেনো অন্য জগতে চলে গেছে। এই মানুষটারে সব সময় গ’ম্ভীর ই দেখে আসছে।এতো সুন্দর করে হাসতে পারে জানাই ছিলো না।সোহা এক ধ্যানে দায়ানের হাসির দিকে তাকিয়ে আছে। ইসসস কি সুন্দর হাসি। ইচ্ছে করতেছে গা’ল দুটো টেনে ধরে টু’ক করে চু’মু খেয়ে ফেলি।সারাদিন দায়ানের হাসি দেখলেও যেনো চোখ জুড়ে ক্লান্তি আসবেনা।
সোহা আর দায়ানের কারো ই রুশের দিকে হু’স নেই। একজন যেমন হাসতে ব্যস্ত, আরেকজন তেমন দেখতে ব্যস্ত।
রুশের দায়ান আর সোহার মধ্যে ওরে নিয়া কোনো ভা’বান্তর না দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে আবার।
এবার দুজনের হু’স আসে।দায়ান নিজেকে সামলে সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায়।
সোহা ও দায়ানের দিক থেকে চোখ দিয়ে রুশের দিকে তাকায়। রুশের এই করুন অবস্থা দেখে,, সোহা তড়িঘড়ি করে বলে উঠে রুশ ভাইয়া।কি হয়েছে আপনার? এমন করতেছেন কেনো?
এইই সোহা তুমি কি হা’ল করেছো আমার বন্ধুর? মানুষ কতো ভাবে মানুষকে মারতে চায়।তুমি কি না শেষ মেষ ঝা’ল খাইয়ে তোমার একমাত্র ভাইকে মারতে চাইছো? এই ছিলো তোমার মনে সোহা?
— মানে? কি বলেন এগুলা?
— তোমার ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারছোনা?
— সোহা দুই দিকে মাথা নাড়ায়। মানে দায়ানের কথার আ’গা মাথা কিছুই বুঝতে পারেনি।
— উফফ তুমি এতো বোকা কেনো সোহা? তোমার ভাইয়ের ঝা’লে ধরেছে। তাড়াতাড়ি কিছু একটা করো।।
— কি বলেন এগুলা? বলেই সোহা রান্না ঘরের দিকে ছুট লাগায়। দুই মিনিটের মধ্যে দৌড়ে হাতে বাটি সহ ফিরে আসে। তড়িঘড়ি করে রুশের পাশে বসে পরে।
রুশ সোহাকে কিছু বলতে নিবে।তার আগেই সোহা চামচ দিয়ে চিনি উঠিয়ে রুশের মুখে ঢুকিয়ে দেয়।
রুশ চিনি খেয়ে এবার একটু ঝা’ল থেকে রি’লিফ পায়।
— ঝা’ল যখন খেতেই পারেন না।তখন কেনো খেতে গেলেন রুশ ভাইয়া? দেখেনতো কি অবস্থা করেছেন।চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।
— না বোন আসলে।তোমাকে খেতে দেখে কৌ’তূহলী হয়ে খেতে গেছিলাম।মাথা থেকে একদম বেরিয়ে গিয়েছিলো আমি যে ঝা’ল খেতে পারি না।
— এক লোক’মা খেয়ে তো বুঝতে পেরেছিলেন।যে অনেক ঝা’ল। আর খেতে পারবেন না তাহলে কেনো আ’গ বারিয়ে খেতে গেলেন?
— ইয়ে,,,,মানে,,,আসলে,,,।রুশ আমতা আমতা করতে থাকে। কি বলবে ওতো সোহার হাসি মুখ দেখে কষ্ট দিতে চায় নি।ঝা’লের কথা বললে যদি বেচারি কষ্ট পায়।
মাঝখান থেকে দায়ান বলে উঠে,,, বোঝ নাই ব্যাপার টা? হিরু সাজতে চাইছিলো।বোন কে কষ্ট দিবে? সে কথা ভেবে।
সোহা দায়ানের কথা গুলো শুনে রুশের দিকে ছলছল চোখে তাকায়।আহা তার ভাইটা কতোই না ভালো।বোনের মনে কষ্ট লাগবে বলে নিজে কষ্ট ভো’গ করেছে।
দায়ান পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য মজার ছলে বলে ,,, কিরে রুশ ঠিক আছিস তুই? নাকি ঝা’লের চো’টে হা’র্ট’অ্যা’টা’ক, আ,মা,শ,য় একসাথে বাঁধাবি।চল ওঠ হাসপাতালে নিয়ে যাই।নাকি এম্বু’লে’ন্স ডাকতে হবে কোনটা?
সোহা এবার দায়ানের দিকে রা’গি লুক নিয়ে তাকায়। চুপ করুন আপনি।ছিঃ মুখের ভাষার কি ছি’রি। আমার ভাই কষ্ট পাইছে।আর উনি আসছে মজা নিতে।বা’জে লোক,,,।
দায়ান সোফায় আ’য়েশ করে বসে বলে,,,ভালো কথার তো দেখছি দা/ম ই নেই আজকাল।
সোহা দায়ানকে মুখ ভেঙায় কিছু বলে না।
ততক্ষণে রুশ ঠিক হয়ে গেছে। উফ এখন ভালো লাগছে।জীবনে আর ঝালের ঝ এর কাছে ও যাবেনা।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।বলেই ওয়াশরুমের দিকে চলে যায় রুশ।
সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে,,নিজের কাজে চলে যায়।
দায়ান সোহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের ফোন নিয়ে বসে।আর মনে মনে হাসে।দুইটাই এক নাম্বারের জো’কা’র।এতোদিন রুশ একা ছিলো।এখন রুশের দলে আরেকটা এসে যু’ক্ত হয়েছে।।
——————————————-
ওমি আজ বাড়িতে সন্ধ্যা হতেই চলে এসেছে।
ওমি বাড়িতে আসতে দেরি,,তার মায়ের নোহার নামে বিচার দেওয়ার ডা’লা নিয়ে বসতে দেরি না।
— বাপরে,,,, আমারে আমার বাপের বাড়ি নিয়া দিয়ে আয়।আমি আর এই বাড়িত থাকুম না।
— ওমি ব্রু কুঁচকে মায়ের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে কি হয়েছে।
— আমারে কালকের মধ্যে নিয়াই দিয়ে আয় আমার বাপের বাড়ি।
— কি হয়েছে বলবাতো আম্মা। এসব কথা কেনো বলতেছো।তোমার বাড়িতে তুমি থাকবেনা কেনো আম্মা।
— কেমনে থাকুম বাপ।তুইতো জানিস ই না কি হইছে।
— না বললে কেমনে যানমু আম্মা? কও কি হইছে।
— তর বউ আমারে আজ বুড়া কইছে।আমারে খাওনের খোঁটা দিছে।আমি নাকি বেশি বেশি খাই।আমার পা’ত থেইকা খাবার তুইলা নিছে।এই বয়সে ই যদি এগুলা করে,,আমি বুড়ো হলেতো উ’ষ’টা মাইরা বাড়ির বাইর কইরা দিবো বাপ।এর থেইকা ভালো আমি আর কিছু সহ্য করার আগেই বি’দেয় হই।অন্তত খাওয়া নিয়ে অপমান আর বয়স নিয়া খোঁটা তো শুনতে হবে না।নিজের বাপের বাড়ি সম্মানের সঙ্গে দুইটা ডাল-ভাত খেতে তো পারবো।
— একেই তো সারাদিন কাজ কর বাসায় এসেছে ওমি।তার উপর মায়ের এসব কথা। সাথে চোখের পানি আছেই।নিজের রাগটা যেনো তরতর করে মাথায় উঠে গেলো ওমির।সারাদিন কাজ করে এসে কেই বা এসব সহ্য করবে বাড়িতে? তাই রাগে হুংকার দিয়ে চিল্লিয়ে নোহা কে ডাকতে শুরু করে।
— নোহা,,,,,,,,, নোহা কই তুই এখোনি আমার সামনে আয়।
— নোহা আলমারিতে ওমির ধোয়ে রাখা কাপড় গুলো রাখতে ছিলো।ওমির এরকম হুংকার দিয়ে ডাক শুনে হকচকিয়ে যায়।হাতের ভা’জ করে রাখা জামটা নিচে পরে যায়। নোহার বুঝতে আর বাকি নেই,, শাশুড়ী মা তার মহান কাজটি ইতিমধ্যে করে ফেলেছে। আর কিছু পারুক আর না পারুক মিথ্যা কথার ডা’লি সাজিয়ে ছেলের কান ঠিকই ভরতে পারেন।নোহা এবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ওমির ডাকে। নয়তো আরো রে’গে যাবে।
নোহাকে দেখেই ওমি সোজা প্রশ্ন করে,,,
— মা কে কি বলেছিস তুই? তুই নাকি মাকে খাবার নিয়ে খোঁটা দিয়েছিস?
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
— কিরে চুপ করে আছিস কেনো? কথা বল।প্রশ্নের উত্তর দে।
— কি উত্তর দিবো? আপনি কি আমার পুরো কথা শুনবেন? নাকি বিশ্বাস করবেন? কোনোটাই করবেন না।তাহলে কি আমার চুপ করে থাকাই ভালো না?
— তুই আমার মাকে খাবার নিয়ে কথা বলার ও বয়স নিয়ে কথা শুনানোর কে রে?
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
— এই সংসারের ক’র্তৃ মনে করিস নিজেকে।নাকি তুই কা’মাই করে এনে আমাদের খাওয়াস?
— আমি কেনো আপনাদের কাজ করে এনে খাওয়াবো? সারাদিন তো বা’ন্দি দা’সী’র মতো বাড়িতেই খেটে মরি।
— তো তোরে কি সো-পিছে সাজায় রাখার জন্য আনছি নাকি? আমার আম্মা যা কইবো তাই করবি।আমার আম্মা খাওন দিলে খাবি। নয়তো না খেয়েই থাকবি।কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নে ভালো করে।
নোহার শাশুড়ী এইবার মুখে হাসি ফুটিয়ে বিজয়ের হাসি হাসে।
এসব করে আপনি জানেন ওমি আপনি যে আমার কাছে রাস্তার কু/কু/রের থেকেও নিচু হয়ে যাচ্ছেন? সব সময় একপাক্ষিক কথা শুনে কাউকে বিচার করতে নেই।অপর পক্ষকে ও নিজের হয়ে কিছু বলতে দেওয়া উচিৎ। বিশ্বাস করা উচিৎ। নিজের মা বলে যে অ’ন্ধ হয়ে থাকতে হবে এমন টা না।সব সময় মায়েরা সঠিক আর বউ রা ভুল এমন কিন্তু না ওমি।এসব যারা ভাবে তারা কা/পু/রুষ ছাড়া আর কিছুই না।বলেই নোহা উল্টো ঘুরে রুমের দিকে হাঁটা দেয়।
ওমি এখনো র/ক্ত চক্ষু নিয়ে নোহার দিকে তাকিয়ে আছে।
পাশ থেকে ওমির মা বলে উঠে,,,,,,, দেখলি বাপ দেখলি? কেমন তে’জ দেখায়।বোঝ এবার আমারে একলা পাইয়া কি করে। দিন দিন সাহস বাড়তাছে।সময় থাকতে লা’গা’ম টেনে ধর বাপ।
ওমি কিছুই বলল না।মায়ের কথা গুলো কানে ঢুকেছে কি না কে জানে। তার কানেতো এখনো নোহার বলে যাওয়া কথা গুলোই বারি খাচ্ছে।
———————————-
প্রতিটি রাতের সমাপ্তি ঘটে একটি ভোরের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায়।সকালে স্নিগ্ধ পরিবেশ সবাই উপভোগ করতে পারে না।যে ভোরে উঠতে পারে সে ভোরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ,সতেজ হাওয়া উপলব্ধি করতে পারে।খুব সকালে উঠে সকালের স্নিগ্ধ কোমল হাওয়া লাগালে পুরো দিনটাই ভালো যায়।
প্রতিদিনের মতো আজও ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে ওঠে সোহা।আড়মোড়া ভেঙে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় ফ্রেশ হওয়ার জন্য।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে,, দায়ানের জন্য কফি করতে রান্না ঘরে ঢুকে।কফি করে কফি মগ নিয়ে দায়ানের রুমে গিয়ে টোকা দেয়।কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে রুমের দিকে উঁকি দেয়।দায়ান কে রুমের ভিতর না দেখতে পেয়ে সোহা দরজা ঠেলে রুমের ভিতর ঢুকে যায়।ওয়াশরুম থেকে পানির শব্দ পাচ্ছে। হয়তো ফ্রেশ হচ্ছে। তাই মগটা টেবিলের উপর রেখে বেরিয়ে আসে সোহা।
সোহার বেরোনোর সাথে সাথেই দায়ান ও ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসে।টেবিলে কফির মগ দেখতে পেয়ে বুঝতে পারলো সোহা দিয়ে গেছে।মগ থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। দায়ান ও কফির মগটা হাতে নিয়ে বাইরের দিকে হাঁটা দেয়।
সোহা বাগানে এসে ফুল গাছ গুলোর দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকে।সবগুলো গাছ তা’জা হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ফুল ফোটবে।ভাবতেই মনটা পুলকিত হয়ে উঠে। এই বাগান টা থাকায় এখনো সোহা টিকে আছে। নয়তো এই বদ্ধ পরিবেশ থেকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কবেই কেঁদে ভাসাইতো।তারপর পাইপ হাতে নিয়ে একমনে পানি দিতে থাকে আর গান ধরে,,,,,,,,,,,,,,,,
সেই মেঘবালিকার গল্প হোক,
শহর জুড়ে বৃষ্টি হোক।
রোদ্দুর হোক আজ
শুধুই তাহার ডাকনাম।
সোহার গানের গলা অসম্ভব সুন্দর। আগে স্কুল কলেজে,,গানের প্রতিযোগিতায় সবসময় ফাস্ট হতো।গান গাওয়া নিয়ে মায়ের কাছে কতো যে বকা খেয়েছে। সারাদিন গুন গুন করতো।আর মা বলতো এসব অভ্যাস নাকি বিয়ের পরে থাকবে।তাই নিজেকে গান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে।তাও মাঝে মাঝে গুন গুন করে এখনো।
দায়ান ও কফির মগটা নিয়ে বাগানে এসে পরেছিলো সোহার পিছন পিছন।তখনই সোহার গান কানে আসে।কি সুন্দর গায় মেয়েটা,,,,,আর কি কি গুন আছে এই মেয়ের? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দায়ান।
সোহা পানি দেওয়ার মাঝেই লক্ষ করে দায়ান কে।
— আপনি আজ এখানে?
— হুম আসা যাবে না? এখানে আসা কি নি’ষেধ?
— নিষেধ হতে যাবে কেনো? এ সময় তো আসেন না তাই বললাম।
— ১০ টার দিকে বেরোতে হবে।হাতের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে রেডি হও।ডাক্তারের কাছে যাবো।
— বলছি কি,,,না গেলে হয়না? আমিতো এখন সুস্থই।আর এটাতো আমার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার।
— তোমার মতামত জানতে চাইনি আমি।আদেশ করছি।
বলেই দায়ান চলে যায়। সোহা আর কথা বাড়ায় না।
————————-
সকালের নাস্তা করেই দুইজন হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়।
দায়ান ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে।
সোহা ও দায়ানের পাশের সিটে বসে পরে।
— দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে বলে,,,তোমার সিট বেল্ট লাগাও।
— আমি এইটা লাগাতে পারি না।
— ঐদিন না দেখালাম?
— তো? আমি এসব পারি না।আপনি করে দেন ড্রাইভার সাহেব।সোহা ঐইদিন ই সিট বেল্ট লাগানো শিখেছিলো।কিন্তু লাগাবে না।দায়ান কাছাকাছি আসলে সুন্দর একটা মিষ্টি ঘ্রাণ এসে নাকে বারি খায়।সোহার খুব ভালো লাগে।তাই ঠিক করেছে এই কাজটা সারাজীবন দায়ানকে দিয়েই করাবে।
— ড্রাইভার কথাটা শুনেই,,, দায়ান চোখ মুখ কোচকে বলে উঠে । হোয়াট! কি বললে তুমি? আমি ড্রাইভার?
— হুম।যারা গাড়ি চালায় তাদের কি বলে? পাইলট? ড্রাইভার ইতো বলে।
দায়ানের সোহার কথা শুনে ইচ্ছে করতেছে নিজের মাথায় নিজে বারি দিতে।
#চলবে,,,,,
বিঃদ্রঃ জ্ব’র ঠা’ন্ডা একসাথে লাগছে। ভেবেছিলাম দিবো না।কিন্তু আপনাদের অপে’ক্ষা করাতে চাইনি। তাই যতোটুকু মাথায় আসছে লিখছি।#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ১৭
#Jhorna_Islam
দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে আছে এখনো, সোহার তাকে ড্রাইভার বলা যেনো একদম ই বিশ্বাস করে উঠতে পারছে না।
দায়ান কে সোহার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সোহা মিনমিনিয়ে বলে উঠে এমন ভাবে আমার দিকে তাকায় রইছেন কেনো? মনে হচ্ছে আজ আমায় প্রথম দেখছেন।চোখ সরান আমার লজ্জা লাগে।বলেই দুই হাতে নিজের মুখ ঢেকে ফেলল।
দায়ান এবার সোহার থেকে চোখ সরিয়ে নিলো মাঝে মাঝে মেয়েটার কথায় এমন রাগ ওঠে যা বলার বাইরে। অনেক কষ্টে নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দেয়,,,,কনট্রোল দায়ান কনট্রোল এই পা/গল ‘ ছা/গলের কথা ধরে লাভ নেই।
দায়ান আর কথা বাড়ায় না চুপচাপ গাড়ি চালানো শুরু করে।
সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। এই লোকটা কে রাগাতে এতো ভালো লাগে।কি কিউট ইনা দেখা যায় যখন রাগে।তাই ইচ্ছা করে এসব আবোল তাবোল বলে দায়ান কে রাগায়।আর নিজের কাজে সফল ও হয়।লোকটা একটুতেই রেগে আ’গুন হয়ে যায়।
বিশ মিনিটের মধ্যেই দায়ান একটা বড় হাসপাতালের সামনে এসে গাড়ি থামায়।
দায়ান গাড়ি থেকে নেমে হাতে গাড়ির চাবিটা ঘোরাতে ঘোরাতে,,, সোহাকে চোখের ইশারায় নিজেকে ফলো করতে বলে হাসপাতালের ভিতর ঢুকে যায়।
সোহা ও দায়ানের ইশারা বুঝতে পেরে পিছনে দায়ান কে লক্ষ করে ভিতরে ঢুকে যায়।
— বলছি শুনোন না।পিছন দিক দিয়ে দায়ানের শার্টের নিচের অংশ টান দিয়ে।
— হোয়াট দা,,,,,! তুমি কি বাচ্চা মেয়ে হ্যা? এভাবে পিছন দিক দিয়ে শার্ট টানতেছো কেনো? দুই বছরের বাচ্চার মতো।
— আমার না একদম এখানে ভালো লাগতেছেনা।ভ’য় করতেছে।কি রকম গ’ন্ধ ব’মি আসতেছে।চলুন ফিরে যাই।
— চুপ,,,,,,,।
— কিসের চুপ? কোন চুপ টুপ না।চলেন এখান থেকে। আপনার ভালোর জন্যই তো বলতেছি।বোঝেন না কেনো? নিজের ভালোতো পা/গলেও বুঝে।
— আমার কিসের ভালো? ব্রু কোচকে জানতে চায় দায়ান।
— দেখেন এই হাসপাতাল টা দেখেই মনে হচ্ছে বড়লোকদের। এখানে ভিজিট ই কতো কতো টাকা হাতিয়ে নিবে আপনার থেকে।এখন যদি আমরা চলে যাই,,,তাহলে ভাবুন একবার আপনার কতো গুলো টাকা বেঁচে যাবে।মানছি আপনি বড় লোক মানুষ। তাই বলে ভেবে চিন্তা করে টাকা ভাঙবেন না? এভাবে টাকা ভাঙলে তো আপনার টাকা ফুরিয়ে যাবে।
— ওয়াও! এই না হলে তুমি আমার মিসেস।বিশ্বাস করো তোমায় পেয়ে আমি সত্যি অনেকককক গর্বিত।এরকম বউ যেনো প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকে।
— প্রতিটা ঘরে ঘরে কি করে থাকবে? আমি ওয়ান এন্ড অনলি এক পিস ই।আর সেটা ভাগ্য গুণে আপনার ঘরে এসে পরেছে।
— তোমায় পেয়ে আমি সত্যি ধন্য।
— হু,,,,, আর শুনুন আমাকে হাসপাতালে আনলে আমার অসুখ এমনিই সেরে যায়।আপনাকে একটা বুদ্ধি দেই?
— চুপ করবে তুমি?
— আরে শুনুন না।আমি অসুস্থ হলে কি করবেন জানেন? হাসপাতালে নিয়ে আইসা একটা চক্কর দেওয়াইয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে যাবেন।কারণ হাসপাতাল দেখলেই আমি একদম সুস্থ হয়ে যাই।
এবার বাড়ি চলুন আমার আর ডাক্তার দেখানো লাগবেনা।
এমনিতেই রাতে স্বপ্ন দেখেছি,,,দুই শুই একসাথে নিয়ে ডাক্তার আমায় ইনজেকশন দিচ্ছে। ওমাগো!
— দায়ান এবার মনে মনে বলে,,, ওহ এই ব্যাপার ম্যাডাম ইনজেকশন কে ভয় পায়।তাই এমন বাহানা দিচ্ছে এখান থেকে যাওয়ার।
গলা খেকারি দিয়ে সোহাকে বলে আহারে ইনজেকশনে ভয় পাও? আগে বলবানা আমায়।চিন্তা করো না এখানে দুই শুই একসাথে করে ইনজেকশন দেয় না।এক শুই ই দুই শুইয়ের সমান। সো চিল,,,,,,,,,,,।
সোহা শুকনো ঢুক গিলে উল্টে ঘুরে দাঁড়ায় বাইরের দিকে দৌড় দেওয়ার জন্য।
দায়ান বুঝতে পেরে খপ করে সোহার হাত ধরে ডাক্তারের ক্যাবিনে ঢুকে যায়। যেহেতু আগেই এপয়েনমেনট নেওয়া ছিলো,,আর দায়ানের সিরিয়াল ই প্রথম। তাই কোনো ঝামেলাই হয় না।
ক্যাবিনে ঢুকেও সোহা মোচড়া মোচড়ি করেছে বের হয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু দায়ানের শক্তির সাথে পেরে ওঠে নি।
ক্যাবিনে চেয়ারে বসে একটা লোক নাকের ডগায় চশমা দিয়ে চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে কি যেনো লিখে চলেছে। আর কিছু সময় পর পর চশমা উপরে উঠানোর চেষ্টা করে ঠেলে ঠেলে।কিন্তু সেই আগের জায়গাতেই চশমা ঘুরে ফিরে ফেরত আসে।
ডাক্তার দায়ানকে দেখেই মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে।গুড মনিং ইয়াং ম্যান।কি অবস্থা তোমার,,,কেমন আছো? বলেই চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে এসে দায়ানকে জড়িয়ে ধরে।
– গুড মনিং আঙ্কেল এইতো,,আপনাদের দোয়ায় চলে যাচ্ছে।
— বসো বসো বসে কথা বলি।বলেই চেয়ারের দিকে ইশারা করলো।
দায়ান একটা চেয়ার টেনে সোহাকে বসতে দিলো।এবং আরেকটায় নিজে বসে পরলো।
তা কি অবস্থা তোমার দায়ান? আঙ্কেল কে তো ভুলেই বসে আছো।সেই কবে দেখা করেছিলে মনে করতে পারবে?
আসলে আঙ্কেল বুঝেনইতো ব্যস্ততার জন্য হয়ে ওঠে না।
তা ঠিক।কি সমস্যা এবার খুলে বলোতো।কি কারণে এই বুড়ো আঙ্কেল কে মনে পরলো।
আমার সমস্যা না আঙ্কেল ওর,,,,সোহাকে চোখের ইশারায় দেখিয়ে।
এবার লোকটা ভালো করে সোহার দিকে তাকায়। সোহা জোর পূর্বক মুখে হাসি ফোটায়।
— ও কে? তোমার কোনো রিলেটিভ নাকি? আগে দেখেছি বলে তো মনে হচ্ছে না।
সোহা এদের কথোপকথন শুনে বুঝতে পারলো ডাক্তার দায়ানের পরিচিতো বা কোনো আত্নীয়।
দায়ান এবার একটু ইতোস্ত বোধ করতে লাগলো।তাও নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠে। আসলে আঙ্কেল ও আপনার বউ মা।মানে আমার ওয়াইফ।
দায়ানের মুখে ওয়াইফ কথাটা শুনে সোহার শরীরে যেনো কাটা দিয়ে উঠলো।এক অজানা অনূভুতিতে।কানে যেনো বারে বারে দায়ানের গম্ভীর কণ্ঠে আমার ওয়াইফ কথাটা প্রতি’দ্ধ’নিতো হচ্ছে।সোহা ভাবতেও পারে নি দায়ান তাকে ওয়াইফ বলে পরিচয় করিয়ে দিবে। সব সময় ইতো বলে তোমাকে আমি স্ত্রী হিসাবে মানি না।দায়ানের এভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায়,, দায়ানের প্রতি সোহার সম্মান টা আরো বেড়ে গেলো।
— বিয়ে করে ফেলেছো? আমার কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছে না।
— এটাই সত্যি আঙ্কেল।
— আহা,,, আমি কতো ভেবে রেখেছি তোমার বিয়েতে জমিয়ে ভুড়ি ভোজ করবো।আর এই বুড়োকে জানালেও না।দিস ইজ নট ফ্যায়ার।
— সরি আঙ্কেল আসলে হঠাৎ করে সব কিছু হয়ে গেছে তো।তাই কাউকে জানানো হয় নি।
— ইট’স ওকে ব্যাটা বুঝতে পেরেছি।বায় দ্যা ওয়ে,,,বৌমা কিন্তু ভারি মিষ্টি। একদম লিটল ফেইরির মতো দেখতে।
— দায়ান মুখে হাসি ফোটিয়ে সোহার দিকে তাকায়। আর মনে মনে ভাবে মিষ্টি না ছা’ই।না/গা মরিচের ঝা’ল এই মেয়ে।
তা কি সমস্যা তোমার মামনি? বলো শুনি।
সোহাকে বলতে না দিয়ে দায়ানই বলে,,,,,আসলে আঙ্কেল ওর শ্বাস কষ্টের সমস্যা আছে।ইন/হেলার ইউস করতে হয়।একটু চেক-আপ করা লাগবে।আর যা যা করা লাগে করুনতো আঙ্কেল। ঐইদিন শ্বাস বেড়ে যা’তা অবস্থা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে।
আচ্ছা ঠিক আছে। মামনি তুমি বে’ডে গিয়ে শুয়ে পড়তো।আমি চেক-আপ করে দেখি।
সোহা চোখ মুখে ভ’য় ফোটিয়ে দায়ানের হাত খামচে ধরলো।আর মাথা নেড়ে না বোঝালো।যে সে যাবে না।
দায়ান সোহার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে ইশারা করে যাওয়ার জন্য।
সোহা দায়ানের কথাকে পাত্তা না দিয়ে,,জরোসরো হয়ে বসে থাকে।
ডাক্তার সাহেব সোহার দিকে তাকিয়ে বলে কোনো সমস্যা মামনি? তুমি কি কোনো কারণে ভয় পাচ্ছো?
দায়ান বলে উঠে,,,,,,,, ভয় মানে আংকেল দেখেন ভয়ে আমার হাতের মাংস রা/ক্ষসীদের মতো খামচে ধরে উঠিয়ে নিচ্ছে।
সোহা দায়ানের হাতের দিকে তাকায়।সত্যি বেচারার হাতের অবস্থা বে’হা’ল করে দিয়েছে। এবার আস্তে আস্তে হাত গুলো দায়ানের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়।
ডাক্তার সাহেব দায়ানকে বললেন ভ’য় কেনো পাবে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা দায়ান।আমিতো জাস্ট চেক-আপ করবো।
ইনজেকশন কে ভয় পায় আংকেল।আবার নাকি স্বপ্নে দেখেছে,, দুই শুই এক করে ওকে ইনজেকশন দিচ্ছে। বলেই মুখ টিপে হেসে দিলো।
ডাক্তার সাহেব ও নিজের হাসি আটকাতে পারলেন না।হো হো করে হেসে দিলেন।
সোহা চোখ সরু করে দুইজনের দিকে তাকায়। আর বলে দেখো আমার দূর্বলতা নিয়ে এরা মজা নিচ্ছে।বিরবির করে বলার কারণে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না কথাটা।
ডাক্তার সাহেব এবার নিজেকে কনট্রোল করে সোহাকে আ’শ্বাস দেয়। ভয়ের কিছু নেই মামনি।আমি কোনো ইনজেকশন দিবো না।
সোহা ভয়ে ভয়ে ব্যাডে শুয়ে পরে।
ডাক্তার অনেকসময় নিয়ে চেক-আপ করে।কি যেনো ভেবে মুখটা গম্ভীর করে চেয়ারে গিয়ে বসে।
সোহাও নিজের চেয়ারে এসে আবার বসে পরে।
যা বুঝলাম।মনেতো হচ্ছে এই সমস্যা ছোটো বেলা থেকে।
সোহা মিনমিনিয়ে বলে হ্যা আসলে,,ছোটবেলা একবার বৃষ্টি তে ভিজে ঠান্ডা লেগে,,নি’উ’মো’নিয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে গেছিলো।হাসপাতালে ও ভর্তি করানো লেগেছে। তখন থেকেই শ্বাস কষ্টের সমস্যা।
দায়ান এবার বলে আঙ্কেল এর কি কোনো সমাধান নেই?
দেখো বাবা,,,এখন এর কোনো স্থায়ী সমাধান দিতে পারতেছিনা।তবে খুব সতর্কতার সাথে নিয়ম মেনে চলতে হবে।ঠান্ডা জাতীয় সব খাবার এভয়েড করতে হবে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি,খাবার একবারেই বাদ।বৃষ্টিতে ও ভিজা যাবে না।কোনো কিছু নিয়ে বেশি উত্তেজিত হওয়া যাবে না।আরো কিছু পরামর্শ দিয়ে,,কতো গুলো ঔষধ লিখে দেন।
দায়ান ডাক্তারের সাথে সোহার বিষয়ে আরো কিছু কথা বলে,,,কোশল বিনিময় করে বেরিয়ে আসে।
বেরিয়ে আসার আগে ডাক্তার অবশ্য বলে দিয়েছে সোহাকে নিয়ে ওনার বাড়ি যাওয়ার জন্য।
দায়ান মাথা নাড়িয়ে সায় জানিয়েছে।
আচ্ছা এই ডাক্তার আপনার কি হয়? সোহা দায়ানের থেকে জানতে চায়।
আমার আঙ্কেল আই মিন পাপার ফ্রেন্ড ছিলো।
ওহ তাহলে রিসেপশনের মেয়েটা আপনার কাছ থেকে এতো গুলা টাকা নিলো কেন? বলতে পারলেন না ঐটা আমার আঙ্কেল? তাহলেতো টাকা গুলো বেঁচে যে তো।
আর একটা কথা বললে ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করাবো সো চুপচাপ থাকো।
সোহা মুখে হাত দিয়ে চুপ হয়ে থাকে।এমনিতেই ইনজেকশন কে অনেক ভয় পায়।আর এই লোকটা তারই সুযোগ নিচ্ছে।
আমার ও সময় আসবে হুহ।
————————————-
গাড়ির কাছে আসতে কি হয়ে গেলো কেউ ই বুঝে উঠতে পারলো না।
হঠাৎ করেই কোথা থেকে একটা লোক এসে সোহার সাইড ব্যাগ ধরে হ্যাচকা টান দেয়।
সোহা তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়।
ততোক্ষনে লোকটা ব্যাগ নিয়ে দৌড়।
দায়ান গাড়ির অপর পাশে থাকায় কিছুই করতে পারে নি দৌড়ে এসে সোহাকে তোলে।অস্থির হয়ে জানতে চায় তুমি ঠিক আছো সোহা? কোথাও লাগে নি তো?
সোহা মাথা দোলায় মানে সে ঠিক আছে।
দায়ান সোহার কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজেই তড়িঘড়ি করে চেক করতে লাগে হাত পা ঠিক আছে কিনা।সোহা ঠিক আছে দেখে স্বস্থির নিশ্বাস নেয় দায়ান।
ততোক্ষনে আশে পাশের লোক ঐই লোককে দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলেছে।
দায়ান এবার রাগী লুক নিয়ে দূরে লোকজনের ভিড়ে তাকায়,,, ঐ লোকটা কে যেখানে ধরে রাখা হয়েছে।
তুমি গিয়ে গাড়িতে বসো আমি আসছি। বলেই হাত মুষ্টি বদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
সোহা দায়ানের কথায় পাত্তা না দিয়ে সে নিজেও দায়ানের পিছনে যেতে থাকে।
#চলবে,,,,,,