তুমি_আমার_অধিকার🍂 পর্ব ৮+৯

#তুমি_আমার_অধিকার🍂
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
#পার্টঃ8

নিরা অনেকক্ষণ ধরে ওয়েট করছে হদয়ের জন্য হদয়ের আসার নাম গন্ধ নেই । নিরা হদয়ের নাম্বারে কল দিলো
হ্যালো কই তুমি হুম…

-এইতো বেবি চলে আসছি একটু ওয়েট ”

আজকে তাদের বিয়ে করার কথা ছিলো…
কিছুক্ষণের মধ্যে হদয় চলে আসলো ।
নিরাঃ- এতক্ষণ লাগে তুমার সেই কখন থেকে ওয়েট করছি আমি । এই কড়া রোদে আমি ঘেমে গেছি জলদি চলো

নিরা তার সাথে করে অনেক টাকা পয়সা আর গহনাঘাটি নিয়ে এসেছে । এটা হদয়কে সে বলেনি কিন্তু হদয় এই বিষয়টা আগে থেকে জানে । সে এই দিনটির জন্য অনেক আগে থেকে প্লান করে নিয়েছে ।

আচ্ছা এইবার নিরার সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেই আমারা
নিরা আর নিলয়ের বাবা ব্যবসায়িক সূএে বন্ধু ছিলো সে থেকে তাদের পরিচয় । তারপর দুই বন্ধু মিলে নিলয় আর নিরাকে একসাথে করার ডিসিশন নিলো ।

নিরার বাবার আগে থেকে নিরা আর হদয়ের সম্পর্কটা কথাটা জানতো কিন্তু ওনি নিলয়ের বাবার কাছে বিষয়টা চেপে গিয়েছিলেন ।

আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি হদয়… আমাদের তো আজ বিয়ে করার কথা ।

_হুম তবে এতো তাড়াহুড়ার কি আছে সবেমাএ তুমি মুক্তি পেয়েছো একটু চিল করো ।

হদয়ের কথার ধরণ গুলো নিরার থেকে অদ্ভুত মনে হচ্ছে আজকে । সে আর. তেমন কিছু বললো না হদয়কে ।

নিরা আর হদয় বাইকে করে এসে হোটেলের সামনে দাড়ালো

হদয়ঃ আজ রাতটা এই হোটেলে কাটিয়ে কালকে তুমায় নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবো ।

নিরাঃ- কি বলো সত্যি নাকি ( এক প্রকার লাফিয়ে হদয়কে জাপটে ধরলো)
হদয়ঃ- হুম সত্যি ।

এইদিকে আমাদের হিরোইন অন্তী আজ দুই দিন ধরে কিচ্ছুটি খাচ্ছে না । সারাদিন রুমের দরজা‌‌ দিয়ে বসে থাকে ।

অন্তীর বাবা হারুন সাহেব বুজতে পারলেন তাদের মেয়েটার রাগ এইভাবে ভাঙ্গানো যাবে না । তারা নিলয়ের বন্ধু অথৈ আর আবির কলে দিয়ে তাদের বাসায় আসতে বললো ।

আবির আর অথৈ তো কিছুই বুজতে পারলো না হঠৎা করে তাদেরকে তলব করার মানে কি..?? তবে অথৈ খুব খুশি প্রিয় বন্ধুর সাথে তার দেখা হবে ।

_ তারা দুজনে এখন অন্তীদের বাসার সামনে দাড়িয়ে দরজা নক করতেই হারুন সাহেব দরজা খুলে দিলো ।

অথৈঃ- আসসালামু ওয়ালাইকুম…….. কেমন আছেন আংকেল

হুম ভালো ভেতরে আসো তুমরা ।
তারা ভেতরে ডুকলো । আচ্চা আংকেল অন্তী কোথায় তাকে দেখছি না যে,

সেটার জন্য তুমাদের দুজনকে আসতে বললাম ।

আজ দুই দিন ধরে রুমের দরজা দিয়ে বসে আছে । আমাদের সাথে কথাও বলছে না খাবারও ঠিক মতো খাচ্ছে না ।

আবিরঃ- এখন কোথায় সে??

ওই যে সামনের রুম দেখো কি হয়েছে তার ।

অথৈ আর আবির তারা দুজনেই অন্তীর রুমের সামনে দাড়িয়ে বললো
এই অন্তী দরজা খুল….
এই দেখ আমরা চলে আসছি, প্লিজ দরজা খুল!!
রুম থেকে অন্তীর কেনো সাড়া শব্দ নেই,
অনেকক্ষণ পর অন্তীর সাড়া শব্দ না‌ পেয়ে আবির আর অথৈ হতাশ । তারপর অথৈ নিলয় বলছে তোকে নিয়ে যেতে এটা বলতেই ঠাস করে দরজা খুলে গেলো ।

আবির আর অথৈ ধড়ফড়িয়ে রুমে ডুকলো । রুমের চারদিকে আসবাবপএ গুলো এলেমেলো হয়ে আছে, সুনসান নির্জন হয়ে পুরো রুমটা । খাটের এক কোণে এক বসে আছে অন্তী..
~~~

_ অন্তীর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে এই কয়েকদিনে মেয়েটা না খেয়ে কতটা শুকিয়ে গেছে ।

_ কিরে কি হয়েছে তর কতটা শুকিয়ে গেছিস তুই তর খেয়াল আছে হুম…

_ অন্তী অথৈর দিকে চেয়ে রইলো কেনো কথা বললো না ।

আচ্ছা বাবা । চল এখন আর কিছু খেয়ে নে নিলয়ের বাসায় যামু ।

_ এতক্ষণে মনে হলে অন্তী তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে সে একপ্রকার ঝাপিয়ে পড়লো অথৈর দিকে সত্যি তুই আমায় নিয়ে যাবি হুম..

_ আরে বাবা হুম নিয়ে যাবো । এখন লক্ষী মেয়ের মতো যা যা বলছি তা করে রেডি হয়ে আয় ।

_অন্তী এক লাফে খাট থেকে নেমে তুই দাড়া আমি এক্ষুণি আসতাছি..

অথৈঃ- আরে ধীরে সুস্থে যায় পড়ে যাবি হা হা হা করে হেসে উঠলো অথৈ আর আবির ।

হারুন সাহেব এতক্ষণ অন্যকাজে বিজি ছিলো । অন্তীর এই হন্তদন্ত দেখে সে তো পুরাই টাস্কি খেয়ে গেলো । তবে মনে মনে খুশি হলো মেয়েটার অবশেষে রাগ ভাঙ্গলো ।

*
*

*
= এই দিকে রাতে খেয়ে দেয়ে নিরা আর হদয় রুমে আসলো ।

হদয়ের হাবভাব দেখে নিরার তেমন সুবিধার মনে হচ্ছে না ।
শোয়ার সময় হদয় নিরার কাছে আসলো ।

– কি হলো তুমি কাছে আসছো কেনো??
– না তেমন কিছু না । ( হদয়)

আচ্ছা শুনো না নীরা । তুমি কি আমায় বিশ্বাস করো??
নীরাঃ- কি বলো এইসব তুমাকে বিশ্বাস করবো না কেনো??
হদয়ঃ- তাহলে আমি যেটা চাইবো দিবে??

নীরাঃ- কি চাও আমার থেকে তুমি..

_ দেখো আমরা তো বিয়ে করবো । তো আজ আমি যা চাইবো তা দিতে হবে । এই বলে হদয় নিরার ওপর ঝাপিয়ে পড়লো ।
নিরা কিছু বুজার উঠার আগেই হদয় নীরার ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিলো । নীরা বাধা দিতে চাইলে আবার দিলো না ভাবলো সে তো আমায় বিয়ে করবে তাহলে এইগুলো করলে সমস্যা কি??

_ নীরাও হদয়ের সাথে তাই মিলিয়ে দিলো হারিয়ে গেলো দুজনে দুজনাতে..

______

অথৈ আবির অন্তী নিলয়দের বাসার সামনে এসে দাড়ালো ।
অন্তী হাত কচলাচ্ছে তার মন চাচ্ছে এই গেট দরজা ভেঙ্গে নিলয়ের কাছে ছুটে যেতে..

অতঃপর অন্তী নিলয়ের বাবা মা ভাইবোন সবার সাথে দেখা করে নিলয়ের রুমের সামনে এসে দাড়ালো ।

_ নিলয় পুরাপুরি সুস্থ হয় নি তবে মোটামোটি বললে চলবে.
রুমের দরজা খুলা ছিলো । অন্তী এক দৌড়ে তার বুকের ওপর পড়লো ।

_ এইদিকে নিলয়ের বেচারার তো জানটা প্রায় গেলো ।
অন্তীর এই কাহিনি নিলয় বড় বড় চোখ করে অন্তীর দিকে তাকালো ।

_ কি করছো তুমি?? ছাড়ো মরে যাবো তো..
_ না ছাড়বো না মরে গেলে যাও! তুমার কত সাহস আমাকে তখন যেতে বললা । আর এতোদিন কেনো খোজ নিলা না ।

_ আজ তুমাকে মেরে ফেলবো । এই বলে অন্তী আরো চেপে ধরলো নিলয়কে ।

আবির আর অথৈ এতক্ষণ ধরে আংকেল আন্টির সাথে কথা বলে রুমে ডুকলো ।
অথৈ চোখে হাত‌ দিয়ে বললো এইইইইইইই আমরা কিছু দেখিনি আর অন্তী মেম অনকে হয়েছে এইবার রোমান্টিকতা থামান ।

অন্তী অল্হাদ স্বরে বলে উঠলো থামবো না । তুই এসেছিস কেনো কুওী চলে যায় ।

অথৈঃ- ওমা, এই মেয়ে দেখি পুরা ডেন্জারাস হয়ে গেছে ।

এতক্ষণ পর নিলয় বেচারার মুখে খই ফুটলো নীরার সাথে এখনো আমার ডিভোর্স হয় নি তবে পেপার চলে এসেছে সাইন দেওয়া বাকি ।

_অন্তীর এতক্ষণের দুষ্টামি এখন চুপসে গেলো সে নিলয়ের থেকে সরে বসলো ।

আবিরঃ- নিলয় আমি একটা প্লান ভেবে রেখেছি ।
নিলয়ঃ- কি প্লান শুনি

চল কোথাও ঘুরতে যাই । তুই অনেক দিন ঘরে কাটিয়েছিস আর মনটাও ভালো হয়ে যাবে ।

_ এইবার ঘুরার কথা শুনে অন্তীর মনটা নেচে উঠলো তবে কাউকে বুজতে দিলো না ।

_ নিলয়ঃ- হুম কোথায় যাওয়া যায় ঠিক হয়েছে??
আবিরঃ- হুম কক্সবাজার যাওয়া যায়, কি বলিস সুমদ্র সৈকত দেখা যাবে ।

নিলয়:- হুম ঠিক বলছিস, কালকেই রওয়ানা হই ওকে ।

অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর সবাই বাসায় চলে গেলো । অন্তীও তেমন সমস্যা করলো না সেও চলে এলো..
*

*

*
এইদিকে হদয় আর নীরা সকাল সকাল উঠে গেলে । হদয় কাকে যেনো কল দিলো একটু পর একটা প্রাইভেট কার চলো আসলো সাথে দুইজন ছেলে ।
_ হদয় নীরার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো এইগুলো আমার ফ্রেন্ডস তারাও যাবে আমাদের সাথে আমরা আজকে থেকে কালকে রওয়ানা দিবো কক্সবাজারের উদ্দেশ্য..

নীরাঃ- হুম ওকে ।

নদীর পাশে নিলয় অনমনা হয়ে বসে আছে । অন্তীর পাগলামো দিন দিন বেড়ে চলছে । আগে অধিকার কম দেখাতো কিন্তু এখন তো জোর করে অধিকার দেখাতো শুরু করে দিয়েছে । অন্তীকে কল দিয়েছে আসতে বলেছে সে ।
#তুুমি_আমার_অধিকার
#লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
#পার্টঃ9

নদীর পাশে অন্তী মূখ ভার করে বসে আছে কেনো কথা বলছে না নিলয়ের সাথে??

_ কি হলো তুমার হুম..??
_ কিছু না “”
_ঢং দেখে পারি না বাপু । মেয়েদের এতো ঢং কোথার থেকে আসে ( নিলয় এই কথা বলে জিব কামড় দিলো)

_ অন্তী এইবার রেগে কি বললা তুমি আমি ঢং করি হুম..
দাড়া দেখাচ্ছি তুমাকে

অন্তী নিলয়কে কিল ঘুষি যা পারে দিতে থাকলো । নিলয় বেচারার আর কি করবো সে তো রাগ উঠিয়ে দিয়েছে চুপচাপ সহ্য করা ছাড়া আর কেনো উপায় নেই । অনেকক্ষণ ধরে চললো তাদের খুনসুটি ।

এই ওইদিক‌ তাকাচ্ছে নিলয় না কোথাও দেখতে পাচ্ছে না তাকে নিলয়।

অন্তীঃ- কি খুজচ্ছো?
নিলয়ঃ- একজন বাদাম বিক্রেতাকে?? তার সাথে অনেক আগে পরিচয় হয়েছে । তাকে খুজছি, তার কথা বলতে না বলতেই.

মনিরঃ- স্যার আসসালামু ওয়ালাইকুম… কেমন আছুইন ।
নিলয়ঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম । আরে মনির যে কোথায় ছিলে এতোদিন তুমাকে খুজছিলাম ।
মনিরঃ- ওইহানে বাদাম বেচছিলাম পরে আপনাগোরে দেইখা দৌড়ে আসলাম ।
নিলয়ঃ- ও আচ্ছা ।
মনিরঃ- স্যার একখান কথা কইবার আছে??
নিলয়ঃ- কথা বলো..
মনিরঃ- স্যার কথা দিতে হবে যে আপনি আমার কথা শুনবেন.

নিলয়ঃ- আচ্ছা বলো কি কথা??
মনিরঃ- এই‌ মেডাম আপনে আজকে আমাগো বাসায় যাইতে হবে কিন্তু না করতে পারবেন না । যেদিন আপনারে প্রথম দেখছিলাম আপনি একা ছিলেন তাই যেতে চায়ছিলাম । আর বলছিলেন যেইদিন দুইজন হবেন সেইদিন যাবেন । হিসেব অনুযায়ী আজকে যাবেন!!
. নিলয়ঃ- মুচকি হেসে ও আচ্ছা ঠিক আছে সে না হয় যাবো!!
তো এখন বাদাম দেও ত!! আর বসো গল্প করি তারপর যাবো.

মনির তার বউকে কল দিয়ে জানিয়ে দিলো যে আজকে তাদের বাসায় মেহমান আসবে ।

নিলয়ঃ- তো তারপর তুমার বাসার কি অবস্থা তুমার বউ কেমন আছে সব ঠিকঠাক তো হুম..??
মনিরঃ- জি স্যার‌ আপনাগো দোয়ায় ভালো ।

অন্তীর ফোনে কল আসলো ,
. হ্যালো”
মেম আজকে আপনার আসার কথা ছিলো আপনি কি আসবেন না । ছেলে মেয়েরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে?
_ না আজকে আসতে পারবো না । তুমি বরং তাদেরকে বুজিয়ে বলে দিয়ো ওকে!!

ওকে মেম..

নিলয় এতোক্ষণ অন্তীর কথাগুলো খুব মন দিয়ে শুনছে তবে আগা মাথা কিছুই বের করতে পারছে না, বা বুজতে পারছে না

আচ্ছা অন্তী ওইদিন তুমি বলছিলা পরে এক সময়ে তুমার রহস্যের কথা বলবা । তো এখন তো আমরা ফ্রি আছি বলতে পারো..

অন্তীঃ- হুম তাহলে শুনো!!

ওইদিন রাতে আমার জ্ঞান ফেরার পর আমি দেখলাম সুন্দর এক ঘরে‌ আমাকে রাখা হয়েছে । জ্ঞান ফেরার পর আমি শোয়া থেকে উঠলাম বারান্দা গেলাম । রুমটা বেশ সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো । তবে আমার কি হয়েছে বা আমি কে কিছুই বুজতে পারলাম না । আমার মনে হলো আমি সব গুলিয়ে ফেলছি ।

. মধ্য বয়স্ক এক লোক আসলো খুব সুন্দর ভাবে আমার সাথে কথা বললো আমি শুধু চেয়ে থাকলাম । তার কথায় কেনো জবাব দিলাম না ।

দেখলাম একজন মহিলা আসলো হাতে কিছু খাবার নিয়ে.
তারপর ওরা আমায় বসিয়ে দিলো খাবার খাওয়ায় দিলো।

আমাকে ঘুমাতে বললো আর কালকে কথা বলবে বলে চলে গেলো । আমার প্রচন্ড ঘুম ধরছিলো ঘুমিয়ে গেলাম ।

পরের দিন সকালে তারা আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো ।

_ রোগী আপনাদের কি হয়??
_ আমার মেয়ে আমরা তার বাবা‌ মা!!

আমি শুধু ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে থাকলাম । কিছুই‌ বুজতে পারছি না ।
_ ডাক্তার চেকআপ করে দিলো আর বললো সে ঠিক হতে একমাস সময় লাগবে এই‌ একমাসে তাকে খুব যত্ন নিতে হবে..

ওকে ডাক্তার, সমস্যা নেই আমরা তার ঠিকমতো যত্ন নিবো

বাসায় চলে আসলাম তারা ঠিক একমাস আমাকে খুব যত্ন নিলো । আমি আস্তে আস্তে তাদের বাবা মা ডাকতে শুরু করলাম । আর‌ কেনো ডাকবো না বলো তারা আমায় খুব আদর করছে ।

নিলয় বললো তারপর কিভাবে তুমার সবকিছু মনে পড়লো ।
অন্তীঃ হুম শুনো, প্রত্যেকদিন আব্বু আমায় ঘুরতে নিয়ে যেতো তবে একদিন আমি নিজ থেকে বের হলাম । অনেক জায়গায় ঘুরলাম ঘুরতে ঘুরতে এই নদীর ধারে আসলাম ।

এই জায়গায় এসে বসলাম, বসতেই মাথাটা ঝিম ঝিম করা শুরু করছে । মাথায় শুধু একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছে আমি এখানে এসেছি আরো বহুবার । তবে কার সাথে আসলাম সেটা মনে পড়ছে না । সেখান থেকে বাসায় চলে গেলাম ।

রাতে বাবা আসলে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম আমাকে কোথার থেকে পেয়েছে ??
_ তারপর ওনি সব খুলে বললো । আমার কিছুটা মনে পড়ছে
পরের দিন আমি ওই জায়গায় গেলাম, সেখান থেকে হাটতে হাটতে আমাদের ভার্সিটির সামনে চলে এলাম । এরপর আমার সব মনে পড়তে শুরু করছে । আমি সেখানে গিয়ে তুমাকে অনেক খুজলাম কিন্তু পেলাম না ।

_ একটু আগে যে কথা বললাম, আমি একটা এতিমখানা দিয়েছি বাবাকে বলে, অসহায় বাচ্ছাদের ভারণপোষণ পড়াশুনা সব আমি দেখাশুনা করি । কারণ একসময়ে আমি এমন ছিলাম ।

নিলয়ঃ- যাক ভালো‌ উদ্দেগ নিয়েছো তুমি খুব ভালো তারপর?

অন্তীঃ- তারপর আর কী !! প্রত্যেকদিন এই নদীর ধারে আসতাম আর তোমার খুজতাম বসে থাকতাম তুমার অপেক্ষা
আর ভাবতাম একদিন ঠিক তুমার দেখা পাবো ।

পরে একদিন এসে দেখতে পারলাম তুমার মতো কেউ একজন বসে আছে । আমার মন বলছে এটা তুমি দৌড়ে এসে তুমার সামনে আসলাম । আর দেখা হলো আমাদের

নিলয়ঃ- হুম যাক ভালো!!

মনিরঃ- স্যার অনেকক্ষণ হয়ছে, এহেন চলেন বাসায় যেতে হবে??

নিলয়ঃ- হুম চলো ..

নিলয় অন্তী বাদাম বিক্রেতার বাসায় গেলো খুপড়ি ছনের ঘর তবে রুমটা সুন্দর করে সাজিয়েছে । আমাদের বসতে কষ্ট হলোও মানিয়ে নিলাম । আর রান্নাটা দারুণ হয়েছে । অনেকদিন পর পেটপুরে খেলাম । খেয়ে খুব তৃপ্তি পেলাম ।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে মনিরের হাতে কিছু টাকা গুজে দিলাম আর আমার নাম্বারটা দিয়ে দিলাম । বললাম পরের দিন আমারা ঘুরতে যাবো । তুমাকে কল দিলে বউকে নিয়ে চলে‌ আসো । আর যে টাকা গুলো দিলাম সে গুলো দিয়ে ভালো দেখে তুমার আর বউয়ের জন্য জামা কাপড় কিনো ।

তাদের বাসা থেকে বের হয়ে অন্তীকে একটা রিক্সা উঠিয়ে বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম ।

রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লাম কালকে খুব সকালে উঠতে হবে সব কিছু গুছাতে হবে ।

_ পরের দিন..

ছয়টা টিকেট কাটলাম, সেন্টমার্টিন এসি বাসের বাসটা ভালো সার্ভিস দিচ্ছে ইদানিং তাই এটার টিকেট কাটলাম ।

আবির অথৈ এক এক করে সবাই চলে আসলো কিন্তু অন্তীর আসার কেনো নাম গন্ধ নেই । মেয়েটা ইদানিং টাইম ওয়েস্ট করা শুরু করছে ।

_ অন্তীর ঘড়ির এলার্ম বেজে উঠলো, সে এতোক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলো । ধড়ফড়িয়ে উঠে দেখলো ও আল্লাহ খায়ছে মাএ 30 মিনিট সময় আছে তারপর বাস ছেড়ে দিবে । সে উঠে কি করবা‌ না করবে বুজতে পারছে না । এক প্রকার দৌড়াদৌড়ি শুরু করছে বাসায় । আর বাবা মাকে বকা শুরু করছে
সব তুমাদের জন্য তুমরা আমাকে ডাক দিলা‌ না ইচ্ছে করে

হারুনঃ শুনো মেয়ের কথা কত ডাক দিলাম উঠার কেনো নাম গন্ধ নেই তার । আর এখন সব আমাদের দোষ হুম….

_ মেয়ের এই কান্ডে দেখে তার হারুন সাহেব ও‌ তার স্তী হাসতে হাসতে শেষ ।

_ অন্তী কি করবে বুজতে পারছে না । তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে আসলা । মেকআপ করার সুযোগ নেই । ব্যাগে দুই তিনটা কাপড় নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ।

অন্তীর ফোনে কলের পর কল আসছে.. ফোন সাইলেন্ট করা তাই বুজতে পারছে না সে ।

অন্তীঃ- বায় বায় মা, বাবা! মুখ ভেংচিয় কাটলো তাদের দিকে চেয়ে অন্তী !! 😏😏😏

হারুন সাহেব ও তার বউ হাসতে হাসতে পুরাই শেষ.. 😂😂😂😂 সাবধানে যাইস মা আর পৌছেয়ে কল দিবি কিন্তু..

বাস ছেড়ে দিয়েছে এখনও অন্তীর আসার কেনো নাম গন্ধ নেই । নিলয় বাসের দরজা সামনে দাড়িয়ে আছে কপালের চিন্তার ভাজ পড়েছে যে কেউ দেখলে বুজতে পারবে ??

আবির অথৈ মনির সবাই চিন্তিত অন্তী কোথায় সে আসছে না কেনো । তাহলে কি অন্তীকে কি না নিয়ে যেতে হবে??

আপনারা কি বলেন.. ?? 🙂

( অন্তীর রহস্যের জট খুলে দিলাম । আর বাদমওয়ালাকে আমাদের সাথে নিয়ে নিলাম) চিল হবে শুধু.

পরের পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ.

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here