#তুমি_নামক_ব্যাধি
#মুন্নী_আরা_সাফিয়া
#পর্ব_১৬
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মেরুন রঙের শাড়ি পরিহিতা তিথি আমার মুখ বরাবর সামনের সোফায় বসল। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো ওর সাথে একটা অচেনা ছেলে।অফ হোয়াইট কালারের পাঞ্জাবি গায়ে।চোখে গোল সোনালী ফ্রেমের চশমা।ধবধবে ফরসা চেহারায় কেমন কেমন বোকা বোকা চাহনি।প্রথম দেখেই আমার হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের শুভ্র চরিত্রের কথা মনে পড়ল। আরে! এই ছেলেকে নিয়েই তো শুভ্রর বর্নণা দেয়া!তিথির কন্ঠ কানে গেল,
—‘দিয়ানা, মুখ বন্ধ কর।আর কয় যুগ হা করে থাকবি?হা হা।’
ঘোর কাটলো আমার।তাকিয়ে দেখি মা,ভাবী,আমান, মাজেদা খালা সবাই আমার মতোই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তাদের চোখে হাজারো প্রশ্ন।কারণ আমার মতো তাদের কাছেও ছেলেটি একদম অপরিচিত।আমি কপাল কুঁচকে চোখ সরু করে তাকাতেই তিথি বললো,
—‘কিভাবে এক্সপ্লেইন করবো বুঝতে পারছি না।একটু সময় লাগবে বুঝাতে।আপাতত বলি কাউকে না জানিয়ে একটা ভয়ংকর কাজ করেছি। তার জন্য ভেরি সরি।(ভাবীর দিকে তাকিয়ে) আপু আমি বিয়ে করেছি।আর আমার পাশে যে ছেলেটা বসে আছে ও আমার বর।পাগলের মতো ভালোবাসে আমায়।’
বলার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভাবী তিথির গায়ে হাত উঠাতে নেয়। আমি দ্রুত আটকে ভাবীকে সোফায় বসাই। কোনোপ্রকার ড্রিংক না করেই আমার মনে হচ্ছে শূন্যে ভাসছি।একটা কথার যে এত পাওয়ার জানা ছিল না।সরাসরি অভিকর্ষজ ত্বরণকে শূন্য বানিয়ে দিল!
তিথি গম্ভীর হয়ে আবার বলল,
—‘ওর নাম দ্বীন, আহনাফ রোজেল দ্বীন।আমাদের বরিশালেই ওর বাসা।কলেজে আমরা একসাথে পড়তাম।তখন থেকেই ও আমায় ভালোবাসে।ও তিহাম ভাইয়ার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
তুখোড় মেধাবী ছাত্র। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির প্রফেসর।সবচেয়ে বড় কথা ও আমাকে ওর নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসে এন্ড ইট্স এভরিথিং ফর মি।তিহাম ভাইয়াকে নিয়ে তোমরা টেনশন করো না।আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের সম্পর্ক ছিল না।ভাইয়া আমায় বোনের নজরেই দেখতো।উপরন্তু আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম।আর আমি যে আজ বিয়ে করেছি সেটা তিহাম ভাইয়া জানে এবং ভাইয়া আমাকে উইশও করেছে।’
তিথি একটানা বলে আমার হাত ধরে জোর করে টেনে উপরে নিয়ে যেতে যেতে বললো,
—‘আমি ওয়াশরুমে যাচ্ছি, ফ্রেশ হবো।প্লিজ আমার বরটাকে কেউ বকা দিয়ো না।’
বলেই একটা হাসি দিল। আর আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।নিজের ওজনের সাথে সাথে চিন্তাশক্তি ও যেনো মাইনাস হয়ে গেছে। আচ্ছা, অভিকর্ষজ ত্বরনের সাথে কি চিন্তাশক্তির কোনো সূত্র বা সম্পর্ক আছে?
রুমে যেতেই তিথি দরজা আটকে বিছানায় বসাল।ও পাশে বসে হাত ধরলো আমার।আমি অনেক পরিশ্রমের ফলে মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বের করতে পারলাম।
—‘এসব কি তিথি?’
তিথি হাত দুটো ঝাঁকি দিয়ে মুচকি হেসে বললো,
—‘রেগে যাচ্ছিস কেন?তোকে এখন কিছু নির্মম সত্যি বলবো।ভেরি সিরিয়াস বিষয়। মোটেই ফানি নয়।সো, ডোন্ট ট্রাই টু বি ফানি।তিহাম ভাইয়া তোকে ভালোবাসে।’
চমকে উঠলাম। তিথির দিকে তাকাতেই ও বললো,
—‘ভাবছিস আমি কিভাবে জানলাম?আরে আমি তোর আগে জানি।এখনি এত অবাক হোস না।আরো অনেক ধামাকা ওয়েট করছে।”
—‘কি বলছিস এসব?’
—‘তিহাম ভাইয়ার কোনো কথা তুই শোনার চেষ্টা করিসনি বা ভাইয়াকে বলার সুযোগ দিসনি বলেই এত অবাক হচ্ছিস।তিহাম ভাইয়া তোকে সেই ছোট্টবেলা থেকে ভালোবাসে।’
বিস্ফারিত নয়নে শুধু বললাম,
—‘কি!!’
তিথি গম্ভীর গলায় বলল,
—‘হুম।তিহাম ভাইয়া তোকে সেই ছোটবেলা থেকে নিজের একজন করে নিয়েছে।কিন্তু আমি যখন ক্লাস সিক্সে তখন ফ্যামিলি থেকে আমাদের বিয়ে ঠিক করে।তিহাম ভাইয়া আমায় তখনই বলে যে সে অন্য একজনকে ভালোবাসে।সেই অন্য একজন যে কে সেটা তখনো বলেনি।আমি তখন ছোট ছিলাম বলে এতকিছু বুঝতাম না।সেজন্য এটা শোনার পরো কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া করিনি।
কিন্তু ওইটুকু বয়সে এটা বুঝে গিয়েছিলাম যে,আমার তিহাম ভাইয়ার কথা ভাবতে ভালো লাগে। ওনার কাছাকাছি থাকতে মন চায়।ওনাকে দেখার জন্য মন ছটফট করে।একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারি যে আমি ওনাকে ভালোবাসি।কিন্তু তিহাম ভাইয়া আমার সাথে কথা বলতো না।ফ্যামিলির প্রেশারে বললেও অনেক কম বলতো।শুধু জিজ্ঞেস করতো,পড়াশোনা কেমন চলে,কেমন আছি!ব্যস।আর কিছু না।
সেজন্য আমি অনেক কান্না করতাম।আর ভাবতাম কে সেই মেয়ে যার জন্য ভাইয়া আমাকে উপেক্ষা করছে?এত কষ্ট দিচ্ছে? পরমুহূর্তেই মনে হতো হয়তো বিদেশের কেউ। ভাইয়াকে আমি অনেক বার জিজ্ঞেস করেছি কে সেই মেয়ে? কিন্তু ভাইয়া বলেনি কখনো।শুধু বার বার বলতো যে মেয়েটা তার অস্তিত্বের সাথে মিশে গেছে। তাকে সে কখনো ভুলতে পারবে না।তার প্রতিটা শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সে একাত্ম হয়ে গেছে। চাইলেও ভুলতে পারবে না সে।
এইভাবে দিন কাটছিলো।ভাইয়া আমাকে বার বার বারণ করার পরো নিজের অজান্তেই তাকে ভালোবেসেছিলাম।কিন্তু সে আমায় বার বার হতাশ করতো।প্রায় দুই বছর আগে ভাইয়া আমায় হুট করেই জানায় যে সেই মেয়েটি নাকি তুই।ভাইয়া তোকে ভালোবাসে।শুনে আমার ছোট খাটো একটা হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায়।
অনেক কষ্টে নিজকে সামলে নিতেই ভাইয়া আমায় বলেছিল যে “দিয়ানার কি অবস্থা? ও কি অনেক বড় হয়ে গেছে? ও দেখতে কার মতো হয়েছে? ওর কি কোনো মনের মানুষ আছে? আমার পিচ্চিটাকে কত বছর হলো দেখি না।ওর প্রোফাইলেও কোনো ছবি নেই।থাক একদম দেশে ফিরে ওকে মনভরে দেখবো।এত বছরের অপেক্ষা সুদে আসলে তুলে নিবো।”
জানিস দিয়ানা,তিহাম ভাইয়ার কথা শুনে সেদিন অনেক কান্না করেছিলাম।কেন, তিহাম ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে না?একটা সময় ভাবলাম, তিহাম ভাইয়াকে আমার ভুলে যাওয়াই সমীচীন হবে।কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না।উল্টো আমার মাথা খারাপের মতো অবস্থা হলো।
পরে অনেক ভেবে দেখলাম যে দিয়ানা তো এসবের কিছুই জানে না।আর তিহাম ভাইয়ার প্রতি ওর কোনো ফিলিংস নেই। তিহাম ভাইয়ার ভালোবাসাটা এক তরফা।আমি বরং তিহাম ভাইয়াকে বিয়ে করে নিজের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তার সব দুঃখ দূর করে দিবো।দিয়ানার সব স্মৃতি ভালোবাসা দিয়ে মুছে দিবো।তখন আমি নিজের ভালোবাসার জন্য হয়তো স্বার্থপর হয়ে গেছিলাম।
সেই দিন থেকে তিহাম ভাইয়াকে ফোন দিয়ে শুধু কান্না করতাম।মেসেজের পর মেসেজ দিতাম।অনেক রিকোয়েস্ট করতাম আমাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু তিহাম ভাইয়ার একটাই কথা, সে আমায় বোনের নজরে দেখে। এসব শুনে আমার কান্নার বেগ আরো বেড়ে যেতো।একটা সময় তিহাম ভাইয়া আমার কষ্ট আর হয়তো সহ্য করতে পারলো না।
হাজার হলেও ছোটবেলায় আমায় কত আদর করেছে, কোলে নিয়ে রেখেছে। তাই বলল,
তিথি আমি তোকে ভালোবাসতে পারবো না।তাও তুই যখন নাছোড়বান্দা তখন শোন।আমি দিয়ানাকে বড় হওয়ার পর দেখিনি।তোকেও দেখিনি।আমি যখন দেশে ফিরবো তখন তোকে যদি আমার পিচ্চি দিয়ানার জায়গায় বসাতে পারি তাহলে তোকে বিয়ে করবো।নয়তো আমাকে ক্ষমা করে দিস।
ধীরে ধীরে তিহাম ভাইয়ার দেশে ফেরার দিন ঘনিয়ে আসছিল। মনের মধ্যে কেমন জানি করছিল আমার।বার বার মনে হচ্ছিল আমি হয়তো কোনো ভুল করছি।তিহাম ভাইয়াকে প্রেশার দেয়া কি ঠিক হয়েছে? তারপর ভাইয়ার আসার কথা শুনে তোকে আমাদের বাসায় নিয়ে গেছিলাম। উদ্দেশ্য একটাই। আমি চাচ্ছিলাম না যে তিহাম ভাইয়া আমাকে দিয়ানা হিসেবে ভালোবাসুক।আর সারা জীবন দিয়ানার থেকে পালিয়ে বেড়াক।
আমি চাচ্চিলাম যে তিহাম ভাইয়া আমাদের দু’জনকে একসাথে দেখে আমাকে তিথি হিসেবেই কাছে টেনে নিক।কিন্তু তা আর হলো কই।আমার ভাবনার আগেই তিহাম ভাইয়ার রক্তে মিশে গেছে দিয়ানা নামটি।
দেখ কি কাকতালীয় ভাবেই ভাইয়ার সাথে সর্বপ্রথম তোর দেখা হয়ে গেলো।একজন বন্ধু হিসেবে হোক,বা ছোট বোন হিসেবেই হোক,বহুদিন আগে বলা আমার কথাটা মনে রেখে আমার কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্যই হয়তো সেদিন তিহাম ভাইয়া আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিল।
কিন্তু তার নিয়তিতে যে দিয়ানা বাঁধা পড়েছে অনেক আগেই। তাইতো নিয়তির হাতছানিতে সেদিন তুই গিয়েছিলি আমার পরিবর্তে।ভুলবশত হলেও সেটাই যে নিয়তিতে ছিল। আমিও সেদিন নিয়তির ডাককে অস্বীকার করতে পারিনি।তোকে বিছানায় না দেখে আমিও না জেনেই ছাদে গিয়েছিলাম তোকে খুঁজতে। কিন্তু গিয়ে তোদের দেখে ফেলি।তোদের কথোপকথন শুনে দুফোঁটা চোখের জল ফেলে রুমে চলে আসি।সেদিন রাতেই আমি তিহাম ভাইয়ার ভালোবাসার কাছে পরাজয় মেনে নেই।
পরদিন থেকেই তুই তিহাম ভাইয়াকে ইগনোর করতে থাকিস।যাতে আমি কিছু বুঝতে না পারি।কিন্তু আমি তো সব জানতাম।তিহাম ভাইয়ার তোর প্রতি চাহনি দেখেই আমি বুঝতে পেরেছিলাম উনি শুধু তোর একলা রাজ্যের রাজপুত্র। আর কারো নয়।
আমি আরো জানতাম বিয়ের কথা উঠলেই তিহাম ভাইয়া তা আটকাবে।তাই কাউকে আর কিছু বলিনি।কিন্তু অনেক কষ্ট হচ্ছিল।অনেক একা একা লাগছিল।ইচ্ছে হচ্ছিল কারো বুকে মুখ লুকিয়ে কান্না করি।আমার ক্লান্ত মাথাটা রাখার জন্য একটা কাঁধের খুব প্রয়োজন ছিল। দ্বীন সবই জানতো।
কাল আমায় হুট করে বললো,”বিয়ে করবে আমায়?তোমার সব কষ্ট নিজের করে নিবো।”না করিনি।কান্না করতে করতে ওকে শুধু একটা প্রশ্ন করেছিলাম।বলেছিলাম,”আমি যদি তোমাকে কখনো ভালোবাসতে না পারি?”
ও মুচকি হেসে বললো,”আমি তোমায় যতটা ভালোবাসি তাতেই সাত জনম চলে যাবে।তোমার না বাসলেও পুষে যাবে।তুমি শুধু আমাকে আমার মতো করে ভালো বাসতে দিয়ো।”
ব্যস!! আর না করিনি।বিয়েটা করে ফেললাম।ছেলেটা খুব সাধারণ আর সাদাসিধে। আমি নিশ্চিত খুব শীঘ্রই সে আমায় তার এই সাধারণত্বের মায়াজালে পরম মমতায় আটকাবে আমায় এবং তাকে ভালোবাসতে বাধ্য করবে।তিহাম ভাইয়া হয়তো ভাই বা বন্ধুর স্মৃতি হিসেবে মনের কোনো এক কোণে থাকবে।’
তিথি থামলো।আমি একদম রোবটের মতো চুপচাপ বসে আছি।কিন্তু রোবটের তো কোনো অনুভূতি নেই। তাহলে আমার ভেতর কেন পুড়ে যাচ্ছে?মনে হচ্ছে মাঝ সাগরে কোনো ভেলার কেন্দ্রবিন্দুতে বসে আছি আমি।একটু এদিক সেদিক হলেই সাগরে পড়ে হাবুডুবু খাবো।চোখে সূক্ষ্ণ জ্বালা হতে বুঝতে পারলাম,অশ্রু আবার কৃপা করছে আমায়।আজ তিথিও আমার চোখের জল দেখে ফেললো! অথচ কত যত্নেই না একে এতগুলো বছর আগলে লুকিয়ে রেখেছিলাম।
তিথির ঝাঁকুনিতে ঘোর কাটলো।ও বললো,
—‘আমায় ভুল বুঝিস না প্লিজ।তিহাম ভাইয়াকে আজ থেকে তোর হাতে সমর্পন করলাম।দিয়ানা, তিহাম ভাইয়া এতগুলো বছর অনেক কষ্ট পেয়েছে।নিজের ভালোবাসার মানুষকে এতটা ভালোবাসার পরো তাকে জানাতে না পারা যে কতটা কষ্টের তা উনি ছাড়া আর কেউ বুঝবেনা।তুই কি তিহাম ভাইয়াকে একটু ভালোবাসতে পারবি না?একটু ভালোবাসলে কি অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে?’
তিথিকে জড়িয়ে ধরলাম। চিৎকার করে কান্না করছি।আমারো যে একটা কাঁধের একান্ত প্রয়োজন ছিল। যেটা তিথি আমাকে দিয়েছে।তিথিও কান্না করছে।একটা পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে থেমে গেলাম।হেঁচকি উঠছে শুধু। তিথি আমাকে ছেড়ে ওয়াশরুমে গেল। চোখে মুখে পানি দিয়ে বের হয়ে আমার মোবাইলের লক খুলে একটা নাম্বার ডায়াল করে বললো,
—‘ভাইয়ার নতুন নাম্বার। কথা বল।দীর্ঘ এতগুলো বছরের সেই কাঙ্ক্ষিত কথাটা বলে দে।আমি নিচে যাই।বরটার খোঁজ নিতে হবে।শায়লা আপুর রাগ ভাঙাতে হবে।আমি জানি আপু আমার উপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারবে না’
বলেই তিথি দরজা বাইরে থেকে চেপে দিয়ে বের হয়ে গেল। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা হাতে নিয়ে কল দিলাম।তিহাম ভাইয়ার সাথে আগে কখনো ফোনে কথা হয়নি।একবার রিং হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিসিভ করলো যেনো ফোনটা হাতে নিয়ে আমার জন্যই ওয়েট করছিল।রিসিভ করে মায়াভরা কন্ঠে বললো,
—‘দিয়ামনি?’
আমি চুপ কর আছি।কিছু বলতে পারছি না কেন?কিন্তু আমি তো অনেক কিছু বলতে চাই। সব গলায় আটকে যাচ্ছে কেন?চোখ দিয়ে বেহায়া জল আবার গড়িয়ে পড়ছে।ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আবারো হাউমাউ করে কেঁদে দিলাম।মোবাইল কানে নিয়ে কান্না করছি তো করছিই।একসময় ক্লান্ত হয়ে থেমে গেলাম।আমার হেঁচকি তোলা দেখে তিহাম ভাইয়া বললো,
(চলবে)
হায়রে!সবাই ভাবছে তিহাম তিথির হয়ে গেছে!😐😂
বাই দা রাস্তা, আমি দ্বীনের প্রেমে পড়ে গেছি।কারণ একটাই!সে দেখতে শুভ্র চরিত্রের মতো!🤧
আর আপুরা যারা রিকু দিচ্ছো তাদের বলি!আমি আইডিতে গল্প দিই না।আমার পেইজে দেই শুধু।আইডিতে ভার্সিটি,স্কুলের প্রচুর ফ্রেন্ড আছে।অনেকের হয়তো গল্প পড়ার অভ্যাস নেই।সেজন্য কারো নিউজফিডে বিরক্তির কারণ হতে চাই না।আইডিতে ফানি পোস্ট করি শুধু! সারাদিনের কর্মকান্ড!এখন কেউ যদি এড হতে চাও তাহলে আমাকে ছোট্ট একটা মেসেজ দিয়ো আপু।যাতে বুঝতে পারি!ও হ্যাঁ,রিয়েল লাইফে আমি কিন্তু প্রচুর ফানি একজন মানুষ।🥴🙈