#দহন
#পর্ব_১৬
#লেখা_মিম
শিমুলের দুই ভাই আর ছোট ভাবী এসেছে হসপিটালে। বড় বোন, দুলাভাই রাস্তায় আছে। যেকোনো মূহূর্তে তারা এসে পৌঁছুবে। মুহিব তাদের ফোন করে আসতে বলেছে। তাদেরকে খোলাসা করে সব জানিয়েছে সে। বর্তমানে এখানে বেশ থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃষ্টি O.T. বাহিরের সোফায় বসে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলছে। মুহিব সিঁড়ির পাশের জানালায় মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে নীরবে কাঁদছে যাতে ওর চোখের পানিটা কেউ দেখতে না পায়। ওর ইচ্ছে হচ্ছে এক্ষুনি এই মুহূর্তে শিমুলের দুহাত ধরে বলতে, ” আমাকে মাফ করে দাও শিমুল। আমি জানতাম না অনিম এমন করবে। সত্যিই জানতাম না আমি। খুব বিশ্বাস করে আমি তোমাকে অনিমের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। ও আমার বিশ্বাসটা রাখেনি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ও। আমি সত্যি বলছি শিমুল। মাফ করে দাও।”
আগুনে পুড়ে যাচ্ছে মুহিবের ভেতরটা। আফসোসের আগুন….. ওর এই যন্ত্রনাটা কেউ বুঝতে পারছে না, কেউ দেখতে পারছে না। তার যন্ত্রনাটা সে নিজে এবং সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো পক্ষেই বোঝা সম্ভব না। শিমুলের বোন নদী এসেছে। নদীর গলার আওয়াজ পেয়ে চোখ মুছে ঘাড় ঘুরালো মুহিব। বৃষ্টি নদীকে প্রতিটা লাইন বিছিয়ে বিছিয়ে বলছে যা সে মুহিবের কাছ থেকে শুনেছে। নদী বেশ শক্ত মনের মানুষ। তার চোখ থেকে সচরাচর পানি বের হয়না। হাজার কষ্টেও তার চোখে কেউ পানি দেখতে পায়না। অন্যসব দিনের মতো আজও সে বেশ শক্ত মন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। আদরের ছোট বোনের এই অবস্থা দেখে তো তার এতক্ষনে কান্নাকাটি করার কথা। আহাজারী করে না হোক দু’এক ফোঁটা পানি তো চোখ থেকে পড়ার কথাই ছিলো। কিন্তু তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বেশ ঝাঁঝালো কন্ঠে সে বলছে,
-” চামার টা কোথায় এখন?”
-” বলতে পারিনা আপা।”( মুকুল)
-” মুহিব তুমি কিছু জানো?”
-” না আপা। ওকে এসব জিজ্ঞেস করিনি।”
-” তুমি কি এসব আগে থেকে জানতে?”
-” সন্দেহ হয়েছিলো কয়েকবার। নিজের চোখে একবার দেখেছি, অন্যান্য বন্ধুরাও দেখেছে। ওকে জিজ্ঞেস করেছি কয়েকবার। স্বীকার করেনি। এটা নিয়ে ছোটখাটো দ্বন্দও হয়েছে আমাদের মধ্যে। এমনকি শিমুলও আমাকে বলেছিলো অনিমের আচার আচরন নাকি বদলে গেছে।”
-” কই শিমুল তো আমাকে কিছু জানায়নি। গতকাল সকালেও ওর সাথে আমার কথা হয়েছে। বৃষ্টি তুমি কি কিছু জানো? তোমাকে কিছু বলেছে ও?”
-” না আপা। ওর সাথে তো আমার প্রতিদিনই কথা হয়। সপ্তাহে দুতিনদিন আমাদের দেখাও হয়। ও তো আমাকে বা বড় ভাবীকে কিছুই বলেনি।”
-” আপা, আমাদের বোনটা একাই কষ্টটাকে হজম করেছে এতদিন।”(সৈকত)
-” কে বলেছে ওকে হজম করতে? হজম করেছে কেনো ও? অনিমকে সরাসরি জিজ্ঞাস করলো না কেনো এই ব্যাপারে?”
-” আপা, ও অনিমকে জিজ্ঞেস করেছিলো। কিন্তু অনিম মুখ খুলেনি। কথা এড়িয়ে গেছে।”(মুহিব)
-” শিমুল নিশ্চয়ই অনিমকে মিনমিনে গলায় জিজ্ঞেস করেছে। আমি তো চিনি আমার বোনকে। এসব কথা মিনমিন করে জিজ্ঞেস করলে সারাজীবনেও উত্তর পাবে না। ওর উচিত ছিলো অনিমকে ছাঁই দিয়ে আটকানো যাতে সে পিঁছলে যেতে না পারে। ওর যখন সন্দেহ হচ্ছিলো তখন ও অনিমের মোবাইল চেক করলেই তো পারতো। তাহলে তো শুরুতেই সব গোমড় ফাঁস হয়ে যেতো। তা না করে বসে বসে তামাশা দেখেছে। কি অবস্থা এখন ওর?”
-” এখনও ক্রিটিক্যাল।”
-” আব্বা কি জানে এসব?”
-” না আব্বাকে শিমুলের কথা কিছুই জানাইনি। আব্বাকে বলেছি বৃষ্টির ছোট বোন অসুস্থ। তাকে দেখতে হসপিটাল যাচ্ছি।”
-” তোর বউ কোথায়?”
-” আফসানাকে আব্বার কাছে রেখে আসছি।”
-” মামলা করার ব্যবস্থা কর অনিমের বিরুদ্ধে আর যত তাড়াতাড়ি পারিস ডিভোর্স লেটার রেডি কর। চামাড়টাকে এবার জন্মের শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো।”
O.T থেকে একজন নার্স বেরিয়ে এসে বললো,
-” পেশেন্টের আরও দুই ব্যাগ রক্ত লাগবে। আমাদের স্টকে দুই ব্যাগ ছিলো দুটোই পেশেন্টকে অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। আমাদের স্টকে আর নেই। আপনাদের মধ্যে কেউ ও পসিটিভ থাকলে আমার সাথে আসুন।”
শিমুলের দুই ভাইয়েরই ব্লাড গ্রুপ ও পসিটিভ। তারা দুজনই নার্সের পিছন পিছন গেলো। মুহিবের মোবাইলে ফোন এসেছে। ফোনটা মুহিবের বাবা করেছেন। বেশ খানিকটা দূরে যেয়ে ফোনটা রিসিভ করলো মুহিব।
-” কি রে? এত রাত হয়ে গেছে কোথায় তুই? তোর আম্মা তো তোর জন্য চিন্তা করছে।”
মুহিব তার বাবার আওয়াজটা শোনা মাত্রই ফুঁপিয়ে কাঁদা শুরু করলো। কোনোভাবেই সে এই কান্নাটা আটকাতে পারেনি। কান্নার বেগটা দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে তার। হতে পারে সে এতক্ষন একজন মানুষ খুঁজছিলো যার কাছে সে একটু মন খুলে কাঁদতে পারবে, তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলবে শিমুলের কিচ্ছু হবে না। দুদিন বাদেই মেয়েটা একদম সুস্থ হয়ে উঠবে। ছেলের কান্না শুনে চমকে উঠলেন মুহিবের বাবা। তিনি ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ছেলের কি হয়েছে জানার জন্য।
-” কি হয়েছে বাবা? কথা বলিস না কেনো? কাঁদছিস কেনো তুই?”
-” আব্বা শিমুল……”
-” হ্যাঁ শিমুল.? কি হয়েছে ওর?’
-” শিমুল হসপিটালে। আমি যা ভয় পেয়েছিলাম তাইই হয়েছে। ও সুইসাইড এটেম্পট নিয়েছিলো।”
-” বেঁচে আছে তো?”
-” আছে। তবে কতক্ষন থাকবে জানি না। ডক্টররা এখনও সঠিক করে কিছু বলতে পারছে না।।”
-” বাবা তুই কোন হসপিটালে? আমি কি আসবো বাবা?”
-” -” আব্বা আমি আর পারছিনা। আমার কারনে মেয়েটা…..”
-” ওর কিচ্ছু হবেনা। আল্লাহকে ডাক। আমি আসছি তোর কাছে। একটু অপেক্ষা কর, আমি আসছি।”
মুহিব ফোনটা কেটে পিছন ফিরতেই দেখে ঠিক এক হাত দূরে শিমুলের বড় বোন নদী দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মুহিবের ফোনে বলা কথাগুলো সে শুনছিলো। নদীকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে উঠলো মুহিব। সেই সাথে মনের মধ্যে ভীষন ভয় জেগেছে তার। নদী কি তাহলে সব কথা শুনে ফেললো এতক্ষন সে বাবার সাথে যেগুলো বলছিলো?
-” আপনি এখানে কখন এসেছেন আপা?”
-” এ কথা জিজ্ঞেস করছো কেনো? তোমার ফোনে বলা কথাগুলো আমি শুনে ফেললাম কি না সেই ভয়ে?”
-” ইয়ে… না… আমি……”
-” হয়েছে আর আমতা আমতা করতে হবেনা। তোমার সব কথা আমি শুনেছি।”
-” আপা আপনি ব্যাপারটা যেভাবে নিচ্ছেন সেরকম না।”
-” তুমি কিভাবে জানো আমি ব্যাপারটাকে কিভাবে দেখছি? আমি কি তোমাকে কিছু বলেছি?”
-“………………”
-” তোমার কথাটা কেমন হলো জানো? ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা।”
-“…………..”
-” তুমি কি ভাবো মুহিব আমি কিছুই জানিনা? তুমি যে আমার বোনকে ভালোবাসো সেটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি। যখন তুমি ছাদে দাঁড়িয়ে আমার বোনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে তখন থেকে জানি আমি।”
নদীর কথা শুনে থতমত খেয়ে গিয়েছে মুহিব। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে নদীর দিকে। গলা শুকিয়ে আসছে তার। কয়েক সেকেন্ড পর মুখ খুললো মুহিব।
-” আপনি কিভাবে জানেন?”
-” তোমার কি ধারনা আমি ঘাস খেয়ে বড় হয়েছি? আমি কিছুই বুঝিনা?”
-” আপা আমিতো সেটা বলিনি। আমি বলতে চাচ্ছি এই কথাটা একান্তই আমার। কথাটা আব্বা ছাড়া আর একটা কাক পক্ষীকেও আমি জানাইনি। তাও আব্বাকে বলেছি শিমুলের বিয়ের পর। তাহলে আপনি জানলেন কিভাবে?”
-” শিমুলের এস.এস.সি. পরীক্ষার পর আমাদের বাসা পাল্টে যখন তোমাদের পাশের বিল্ডিং এ নিয়েছিলো তখন আমি আট মাসের প্রেগনেন্ট ছিলাম। আব্বার খুব শখ ছিলো তার প্রথম নাতি তার বাড়িতেই হবে। আমার শ্বশুড়বাড়িতে তেমন কেউ ছিলো না যে আমাকে ঐ মূহূর্তে ঘরের কাজে সাহায্য করবে । এজন্য আমার হাজবেন্ডও আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলো বাবার বাসায়। বাসা পাল্টানোর দু সপ্তাহ পরই বাবার বাসায় চলে আসি। শিমুল প্রতিদিন নিয়ম করে ছাদে যেতো। একদিন ভাবলাম আমিও যাই ওর সাথে। ও ছাদে যাওয়ার দশ মিনিট পর আমি ছাদে উঠি। ছাদের গেটে এসে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই তোমার দিকে আমার নজর পড়ে। আমার বোনের দিকে হা করে তাকিয়ে ছিলে তুমি। শিমুলের দিকে তাকিয়ে দেখি ও ওর মতো একমনে ছাদে পায়চারি করছে আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। সেখানে আমি প্রায় দশ মিনিটের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম, আসলে তোমাদের দুজনের মধ্যে চলছেটা কি সেটা বুঝার জন্য। ঐ দশমিনিটে শিমুলের উপর থেকে তুমি একবারের জন্যও চোখ সরাওনি। আর শিমুল তোমার দিকে একবারও তাকিয়ে দেখেনি। তখন বুঝলাম যেটা চলছে সেটা শুধুই একতরফা। এরপর আরো কিছুদিন তোমাকে ছাদে দাঁড়িয়ে থেকে তোমাকে আমি অবসার্ভ করেছি। তোমার সম্পর্কে বাসার কাজের বুয়াকে দিয়ে খোঁজও নিয়েছি। প্রতিদিনই তুমি আমার বোনের দিকে একইভাবে তাকিয়ে থাকতে। তোমার চোখে সেসময়টাতে আমি অদ্ভুদ একটা টান দেখতে পেতাম। সেই টানের মধ্যে খারাপ কিছু দেখতে পাইনি কখনো। খুব ইচ্ছা করতো তোমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করি তুমি কি আমার বোনকে ভালোবাসো। দুইদিন ভেবেছিলাম আজ বিকেলে ছাদে যেয়েই তোমাকে জিজ্ঞেস করবো। কিন্তু পারিনি। ইচ্ছাটা ভাবনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়ে গেলো। দেড়মাস যাওয়ার পর নাশিতা আমার কোলে এলো। পনেরোদিন পর শ্বশুড়বাড়ি ফিরে গেলাম। এরঠিক দুমাসের মাথায় একদিন সৈকতের বউ ফোন করে বললো শিমুলের নাকি কারো সাথে একমাস যাবৎ সম্পর্ক চলছে। আমি ভেবেছিলাম প্রেমিকটা বুঝি তুমি। মনে মনে বেশ খুশি হয়েছিলাম এই ভেবে যে যাক অবশেষে মানুষটা শিমুলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছে। সেদিন বিকেলেই নাশিতাকে নিয়ে বাবার বাসায় চলে যাই। শিমুলকে জিজ্ঞেস করি সব কথা। ও একমনে গল্প বলেই যাচ্ছিলো আর কিছুক্ষন পর পর অনিম নামটা বলছিলো। হুট করে আমার খেয়াল হলো তোমার নাম তো মুহিব। অনিম না। তাহলে ও অনিম অনিম করছে কেনো? ওর কাছে জানতে চাইলাম অনিম কে? ও বললো, ঐ যে উনি। উনার নামই তো অনিম। দ্বিধা-দ্বন্দে পড়ে গিয়েছিলাম তখন। ও কি অন্য কারো সাথে প্রেম করছে? নাকি তোমার নামটা বুয়ার কাছ থেকে শুনতে ভুল করেছি? দ্বিধাটা আর শিমুলের সামনে প্রকাশ করিনি। মনের সন্দেহ দূর করার জন্য ওকে বললাম অনিমের সাথে আমার দেখা করার ব্যবস্থা কর। ছেলেটাকে বাসার সামনে আসতে বল। আমি ওকে দেখবো। পরদিন বিকেলে ও আমাকে নিয়ে ছাদে উঠলো। দেখলাম পাশের ছাদে তুমি আর আরেকটা ছেলে দাঁড়ানো। তখনও আমি ধরে রেখেছিলাম শিমুল তোমার সাথেই প্রেম করেছে। হতে পারে আমি নামটা ভুল শুনেছি। ও আমার ভুল ধারনাটা ভেঙে দিলো মূহূর্তেই। তোমার পাশের জনের দিকে আঙুল দেখিয়ে বললো ঐটা অনিম। আর পাশে যে দেখতে পাচ্ছো সেটা হচ্ছে মুহিব ভাই। অনিমের বেস্ট ফ্রেন্ড। বিশ্বাস করো মুহিব, তখন মনে হয়েছিলো আমাকে কেউ বিশতলার উপর থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে। এটা কি করে সম্ভব? আমি নিজ চোখে তোমাকে দেখেছি আমার বোনের দিকে তুমি কিভাবে যেনো তাকিয়ে থাকো। অথচ এর মাঝে অনিম আসলো কিভাবে? সেদিন তোমার চোখে আমি তাকিয়ে ছিলাম। তোমার চোখে সেই টান টা আর সেদিন খুঁজে পাইনি। শুধু সেদিন কেনো এরপর থেকে আর কোনোদিনই দেখিনি। কতগুলো প্রশ্ন যে মনের মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো তা আমি জানি আমার আল্লাহ জানে। জানিনা কি হয়েছিলো তোমাদের মধ্যে। কেনো তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষকে বন্ধুর হাতে তুলে দিয়েছিলে? তুমি যে কারনেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে থাকোনা কেনো, আমি বলবো সিদ্ধান্তটা খুবই খারাপ ছিলো। তুমি তোমার জীবনের সবচেয়ে জঘন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে। কাজটা তুমি ঠিক করোনি মুহিব। আজ শিমুলের হাজবেন্ড যদি তুমি হতে তাহলে মেয়েটার এই হাল হতো না। আমরাও মানুষ চিনতে ভুল করেছি। বিশেষ করে আমি। খুব সহজেই মানুষের ভিতর পড়ার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছে। কিন্তু জীবনে এই প্রথম কাউকে চিনতে ভুল করলাম। সেটা হচ্ছে তোমার বন্ধু। তোমার সেই এক সিদ্ধান্তের জন্য তিনটা মানুষ এখন জ্বলবে। এক হচ্ছো তুমি যে কিনা বিগত চারবছর যাবৎ জ্বলছেই। আরো কত বছর এভাবে জ্বলতে থাকবা তা আমি জানিনা। দ্বিতীয় হচ্ছে আমার বোন। আজীবনেও সে অনিমের ধোকা ভুলতে পারবেনা। তৃতীয় হচ্ছে অনিম। যে তার পাপের শাস্তি ভুগবে। তোমরা তিনজন তো জ্বলবেই সাথে করে আমরা যারা তোমাদের সাথে জড়িত আছি আমরাও তোমাদের যন্ত্রনা দেখে জ্বলবো।
(চলবে)