#দিওয়ানা
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৭
সোহা আমন এর কোলে থেকে সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেছে। সোহা বুঝতে পারছে না সে সামনের দিকে যা দেখছে সেটা কি সত্যি নাকি ও ভুল কিছু দেখছে। তার মাথায় এখন কিছুই ঢুকছে না।
-“সোহা কি হয়েছে তোর? এই অবস্থা কি করে হয়েছে? অ্যাস সোহা দেখে ছুটে এসে বলে।
সোহা কোনো কথা না বলে চুপ করে দেখে যাচ্ছে। আমন ও কোনো কথা না বলে শুধু সোহা কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে সোহার মুখে দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে যে সোহা এখান কার দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গেছে। এতক্ষণে অ্যাস এর জোরে কথা বলাতে লিভিং রুমে সম্রাট চৌধুরী ও আভা চৌধুরী চলে আসে। আমন এর কোলে সোহা কে এই ভাবে দেখে সব হকচকিয়ে গেছে। মাথায় হাতে ব্যান্ডেজ দেখে আভা দেবী আমন এর মা তাড়াতাড়ি আমন কে সোহা কে বসিয়ে দিতে বলে। কিন্তু সোহা এখনও সেই অবাক হয়ে দেখছে সবার মুখের দিকে সে এখনও কিছু বুঝতে পারছে না এখানে কি হচ্ছে। আমন এর সাথে এদের কি সম্পর্ক সেটা বুঝতে পারছে না। তাই অবাক চোখে এখনও সবাই কে দেখে যাচ্ছে।
সোহার পাশে বসে সোহার গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমন এর মা। আর আরেক পাশে বসে আছে সম্রাট চৌধুরী। আর সামনে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাস। আর সোহার সামনাসামনি বসে এক দৃষ্টিতে আমন সোহা কে দেখে যাচ্ছে ।আমন বুঝতে পারে সোহার মনে এখন কি চলছে।
-“রোদ সোনাই কে তুই কোথায় পেলি? আর সোনাই এর অবস্থা হলো কি করে। আভা চৌধুরী জিজ্ঞেস করে ওঠে।
-” হ্যাঁ ভাই বল না তুই সোহা কে এই অবস্থায় কোথায় পেলি। অ্যাস বলে ওঠে।
-“ড্যাড সব কাজ হয়ে গেছে মিস্টার মল্লিক কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে আর ওই মহিলা কে পুলিশ অ্যারেস্ট করে নিয়েছে। আমন একে একে পুরো ঘটনা টা সবাই কে খুলে বলে।
-“ড্যাড…..মম…..ভাই । সোহা অবাক হয়ে বলে ওঠে।
-“হুম । আমার ছেলে আমন চৌধুরী রোদ। আর আমার মেয়ে আয়েশা চৌধুরী। সম্রাট চৌধুরী সোহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ওঠে।
-“মন। বিড়বিড় করে বলে ওঠে সোহা আমন এর দিকে তাকিয়ে
-“স্যরি আমি তোর শত্রুর বোন এটা আমি তোকে বলিনি। অ্যাস কান ধরে বলে ওঠে।
-” সিম সিম এই বদমাশ ছেলে টা তোমার ছেলে কি করে হতে পারে? এটা কি সত্যি তোমার ছেলে? সোহা এখনও অবাক হয়ে আছে?
-“হ্যাঁ এই শয়তান ছেলেটাই আমার ছেলে। আভা দেবী সোহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে ওঠেন।
আমন কোনো কিছু না বলে ভ্রু কুঁচকে দেখতে থাকে সোহা কে। যে এখন তার দিকে অবাক হয়ে দেখে যাচ্ছে। আমন এর মম সোহার সাথে গল্প জুড়ে দিয়েছে। ওদের সাথে অ্যাস ও হয়ে গল্প জুড়ে দিয়েছে।
-” ড্যাড ওদিকে সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি আর ওই মহিলার করা সব কু কর্মের এভিডেন্স জোগাড় করতে লোক পাঠিয়েছি আশা করছি সব কিছু হয়ে যাবে। আর ওই সাজিদ মল্লিক এর অবস্থা এখন করুন হয়ে আছে। তবে সোহার ওপরে এখন রিস্ক আছে যে কোনও সময়ে ওর ওপরে অ্যাট্যাক হতে পারে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমন আর সম্রাট চৌধুরী ওদের থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে।
-“সোহা দেখ তুই আমার ওপর রেগে থাকিস না। আসলে আমি তোর সাথে বন্ধুত্ব টা নষ্ট করতে চাইনি তাই বলিনি তোকে ভাই এর ব্যাপারে। তবে তোকে একটা সিক্রেট কথা বলার আছে আই থিঙ্ক ভাই তোকে পছন্দ করে। অ্যাস সোহার কানে কানে বলে ওঠে।
সোহা কোনো কথা না বলে একবার কোনা চোখে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা আমন কে দেখে নিয়ে চোখ রাঙিয়ে অ্যাস কে দেখতে থাকে। সোহা কিছু বলতে যাবে তার আগেই হঠাৎ করে সে আমন এর কোলে নিজেকে আবিষ্কার করে। হকচকিয়ে গিয়ে আমন এর গলায় জড়িয়ে ধরে পড়ে যাওয়ার ভয়ে। এদিকে আমন কোলে তুলে নিতেই অ্যাস সিটি বাজাতে থাকে। আমন একবার অ্যাস এর দিকে তাকিয়ে সোহা কে কোলে নিয়ে ওপরে রুমের দিকে চলে যায়।
সোহা কে রুমে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে আমন সোহার দিকে ঝুঁকে যায়। সোহার দুপাশে হাত রেখে। সোহার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে সে কিছুটা পিছন সরে গিয়ে তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। আমন হাত উঠিয়ে সোহার নাক টেনে দিয়ে সোহার পাশে বসে একদম সোহার ওপর ঝুঁকে যায়।
-“তো মিষ্টির ঝুড়ি কি যেনো বলেছিলে? আমি বদমাশ ছেলে? হুম বাই দ্যা ওয়ে অনেক দিন হয়ে গেছে আমি ঠিক মতো জেলেবি টেস্ট করিনি। হয়ে যাক আজকে জেলেবি টেস্ট। আমন বাঁকা হেসে ভ্রু নাচিয়ে বলে ওঠে।
আমন এর কথা শুনতেই সোহার মুখ কুঁচকে ফেলে চোখে মুখে আবারো ভয়ের ছাপ ফুটে ওঠে। সোহা মাথা নেড়ে পিছনের দিকে সরে যেতে চায় কিন্তু আমন তার আগেই সোহা কে টেনে নিয়ে সোহার গলায় ঘাড়ের কাছে তিল এর ওপরে জোর বাইট বসিয়ে দেয়। সোহা চোখ মুখ কুঁচকে আমন এর মাথা খিচে ধরে সাথে সাথেই। সোহা জানতো এমনি হবে তাই পিছনে যেতে চাইছিল কিন্তু তার আগেই কামড় বসিয়ে দিয়েছে। তার মনে পড়ে ছোটো বেলায় আমন ঠিক এই ভাবে এই একই জায়গায় জেলেবি খাওয়ার নাম করে তাকে কামড় বসিয়ে দিত। এতদিন পর যে এখনও এটা মনে আছে ভেবেই সোহার চোখ থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ে।
-“উমম জেলেবি এখন আরো বেশি টেস্টি হয়ে গেছে দেখছি। আমার সুগার লেভেল বাড়ানোর জন্য দেখছি প্রতিদিন টেস্ট করতে হবে। আমন ঠোঁটের ওপর জীব দিয়ে বুলিয়ে নিয়ে বলে ওঠে।
সোহা কোনো কথা না বলে ঘাড়ের ওপরে হাত রেখে আগুন চোখ নিয়ে আমন কে দেখে যাচ্ছে ।মনে হচ্ছে এই দৃষ্টি দিয়ে এখুনি আমন কে হওয়া করে দেবে। আমন কোনো কথা না বলে বাঁকা হেসে মাথা নিচু করে টুপ করে সোহার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায়। এদিকে সোহা হতভম্ব হয়ে বসে থাকে।
.
.
.
. 💚💚💚
. চলবে….
ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন রি-চেক করা হয়নি। সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন।
(জানি পর্ব টা ছোটো হয়েছে। কিন্তু আজকে লেখার মত অবস্থায় নেই। তারপরেও অনেক কষ্টে টাইম ম্যানেজ করে এই টুকু লিখতে পেরেছি। জানি না কি লিখেছি পুরো হয়তো ঝগাখিচুড়ি হয়ে গেছে। তাই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন আর আমার ভুল ধরিয়ে দেবেন)