#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে -স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব -২
দারোয়ান দাদুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দীপ্তকে মনে মনে একশো একটা গালি দিয়ে উদ্ধার করছে সাজি।
– বদ শয়তান লোক শুধু শুধু আমাকে এই রকম কম্পলিকেটেট অবস্থার মধ্যে ফেলে দেয়।গন্ডার কোথাকার,এলিয়েন একটা!
– আমাকে এতো নামে সম্মোধন করার জন্য ধন্যবাদ।এবার কি ক্যাম্পাসের ভেতর যাবি?
বিস্মত চোখে তাকায় সাজি।একটা কথা কিছুতেই বুঝতে পারছে না সাজি।ও মনে মনে বললেও দীপ্ত কিভাবে বুঝে ফেলে?ধুর ভাল্লাগে না।সাজি মুখ গোমড়া করে বলে,
– যাচ্ছি তো, চলুন।
দীপ্ত সাজির হাত করে ধরে হাটা শুরু করেছে।চমকে উঠে সাজি বলে,
– আরে আরে কি করছেন?
দীপ্ত চোখ রাঙিয়ে বলে,
– চুপ!একদম চুপ! কোনো কথা বলবি না।চুপচাপ আমার সাথে আয়।
– আরে করছেনটা কি?আমার হাত ধরে কেন হাটছেন? আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে একা একা হাটতে পারবো না।আমার হাতটা ছাড়ুন আপনি।আমি একাই যেতে পারবো।
বিরক্তির কন্ঠে কথাগুলো বলল সাজি।দীপ্ত সাজির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে রুদ্ধ গলায় বলে,
– আমি কি একবারো বলেছি যে তুই একা যেতে পারবি না?তুই এতো বেশি কথা বলিস কেন গোধূলি?
সাজি হাত মোচড়াচ্ছে।নিচু গলায় বললো,
– হাতটা ছড়ুন আমার লাগছে।
দীপ্ত কঠোর গলায় বললো,
– লাগুক!ছাড়ার জন্য তো তোর হাত আমি ধরি নি।
সাজি বিস্মিত হয়ে বলে,
– মানে?
– মানে কিছু না!
সাজি কিছু বলতে চাচ্ছিল ওকে থামিয়ে দিয়ে দীপ্ত বলে,
– নো মোর ওয়ার্ডস।
দীপ্তের চোখ গুলো রাগে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।যেটা দেখে সাজি ভয়ে চুপসে যায়।ফলে চুপচাপ মাথা নিচু করে নেয়।আর দীপ্তও আর কথা না বাড়িয়ে সামনের দিকে হাটা দেয়।রাগে সাজির গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।একে তো ওর সব প্ল্যান বন্ডুল করেই দিয়েছে তাও যে একটু আশা ছিল যে এবার অন্তত ভার্সিটির ভেতর এসে একটা প্রেম করতে পারবে।কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এই আশাতেও জল ঠেলে দিচ্ছে এই দীপ্তের বাচ্চা!এইভাবে যদি ওর হাত ধরে ক্যাম্পাসে ঢুকে তাহলে সবাই কি ভাববে? তারপর বেটা এলিয়েন একটু বেশিই হ্যান্ডসাম!এইভাবে হাত ধরে ক্যাম্পাসে গেলে তো যে কেউ অনায়াসেই ভেবে নিবে এলিয়েনটা বোধহয় ওর ইয়ে টিয়ে!তাই সাজি এই রিস্কটা নিতে চাচ্ছিলো না।কিন্তু বেটা এলিয়েন ওর কথা শুনলো কই!সেই তো ওর হাত ধরেই নিয়ে যাচ্ছে।
– এবার হাতটা ছাড়ুন না। আমি যাচ্ছি তো!
মিনমিনে স্বরে বলে সাজি।দীপ্ত সাজির দিকে একটা রাগী লুক দিলো!সাজি আমার রিনরিনে স্বরে বলে,
– এখন তো চলেই এসেছি।এবার অন্তত হাতটা ছাড়ুন!
দীপ্ত কড়া গলায় বললো,
– আমার সাথে চুপচাপ স্টেজ কাছে গিয়ে বসবি।কোনো কথা বলবি না।
সাজি অবাক হয়ে বলে,
– আপনার সাথে মানে?
– নো মোর ওয়ার্ডস! যা বলছি তাই কর।
সাজিকে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে ওর হাত ধরে সবার সামনে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!আর সাজি লজ্জায় মরমে মরছে!কি একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পরলো ও।না পারছে সইতে না পারছে কিছু বলতে!সবাই হা করে দীপ্ত আর সাজির দিকেই তাকিয়ে আছে!আর তাদের ওই রকম চাহনি দেখে সাজি ওর হাতটা ছাড়ানোর জন্য মুছড়া মুছড়ি করছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা!দীপ্ত নির্বিকার ভাবেই এগিয়ে গিয়ে সিটে বসলো আর একটা চেয়ার সাজির দিকে এগিয়ে দিয়ে চোখে ইশারা করল বসার জন্য।সাজি মনে মনে প্রচুর বিরক্তি নিয়ে বিড়বিড় করে বলছে,
– আল্লাহ আজকে আমি কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম?এই এলিয়েনটা পদে পদে আমাকে অস্বস্তিতে ফেলছে এখন আবার সবার সামনের সারিতেই এনে বসিয়েছে?
– আমার!
চমকে উঠে পাশে ফিরে তাকায় সাজি।দীপ্ত সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,
– আজকে সকালে তুই আমার মুখটাই আগে দেখেছিস।সেটা অনিচ্ছাকৃত হোক বা ইচ্ছাকৃত!
– তাই তো আজকে তো আমি নাস্তা করতে নিচে নামিই নি।আমি যখন শাওয়ার নিচ্ছিলাম তখন তো মা রুমে খাবার রেখে গিয়েছিল।কারণ আজকে ঘুম থেকে উঠতে আমার দেরি হয়ে গিয়েছিল।তারপর ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে তো এই এলিয়েনটাকেই সবার আগে দেখলাম!কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি না এই লোকটা আমার কথা না শুনে উত্তর দিচ্ছে কিভাবে?
মনে মনে বলে সাজি।
– আমি শুনতে পাই!
একটা গা ছাড়া ভাব নিয়ে দীপ্ত কথাটা বলল।আর সাজি তো রাগে শুধু লুচির মতো ফুলছে।ও বুঝে গেছে আজকে ওর দিনটা দীপ্তের জন্য ভেস্তে গেছে।ও যেভাবে এই দিনটা কাটাতে চেয়েছিল সেটা আর সম্ভব নয়।যথা সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্যার ম্যামরা নবীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।ভার্সিটি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনা করেন।তারপর নবীনদের মাঝে গোলাপ ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।একটা ছেলে সাজিকে ফুল দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছিল কিন্তু সেই ফুল আর ওর কাছ অব্দি এসে পৌছালো না। তার আগের সেটা দীপ্ত নিয়ে নেয়!
সাজির খুব লজ্জা লাগছিল তখন!কারণ ফুলটা নেওয়ার জন্য ও হাত বাড়িয়েছিল।সবার অগোচরে দীপ্ত সেই গোলাপ ফুলের একটা একটা করে পাপড়ি ছিড়ে ফেলে দিয়েছিল! আর এই কাজটা দেখে সাজি প্রায় কেঁদেই দিচ্ছিল।চোখ দুটো লাল হয়ে গিয়েছিল আর পানিতে টলমল করছিল।কিন্তু এখন যদি ও কেঁদে দেয় তাহলে ওকে আবার একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।তাই নিজেকে সামলে নিয়ে অনুষ্ঠান দেখায় মনোযোগ দেয়ার জন্য শান্ত হয়ে বসে রইলো।তারপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভার্সিটির সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা একে একে সবাই একক ও দলীয় নাচ উপস্থাপন করে।
সাজি খুব মনোযোগ দিয়ে তাদের নাচ গুলো উপভোগ করছিল।এক সময় তাদের নাচের পর্ব শেষ হয়ে যায়।এখন নাকি গানের কন্সার্ট হবে।গানের কথা শুনেই সাজির মনটা আরো ভালো হয়ে যায়।কারণ গানের সাথে ওর একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে।ওর গান খুব ভালো লাগে।ও নিজেও খুব ভালো গান করে। কথায় আছে না গান মানুষের দেহের খুড়াগ!সাজিরো গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায়।
সবাই বলাবলি করছে কন্সার্ট এর জন্য নাকি স্পেশাল অতিথি এসেছে গান গাওয়ার জন্য।সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সেই স্পেশাল অতিথির গান শুনার জন্য।সাজিও বেশ কৌতূহল নিয়ে বসে আছে।হঠাৎ করেই স্টেজে যাওয়ায় জন্য দীপ্ত চৌধুরীর নাম এনাউন্স করা হয়!
#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে -স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব -৩
দীপ্তের নাম এনাউন্স করার সাথে সাথেই দীপ্ত সাজির পাশ থেকে উঠে স্টেজের উদ্দেশ্যে চলে যায়।সাজি কোনো কিছু বুঝতে না পেরে বোকার মতো দীপ্তের যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো!
– ওয়েলকাম মিঃ দীপ্ত চৌধুরী! প্লিজ কাম!সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি,প্লিজ শান্ত হয়ে বসুন সবাই।আমাদের মাঝে আমাদের স্পেশাল অতিথি চলে এসেছে। মিট মিঃ দীপ্ত চৌধুরী! আজকের কন্সার্ট এর স্পেশাল অতিথি!আজকের কন্সার্টটা তিনিই করছেন!
তবে আরেকটা এনাউন্সমেন্টও আছে তোমাদের জন্য! অবশ্য পুরাতন যারা আছে তারা সবাই দীপ্তকে চিনে বাট নবীনরা তো আর চিনে না! তাই নতুনদের উদ্দেশ্যে বলছি, দীপ্ত কিন্তু আমাদের ভার্সিটির এই স্টুডেন্ট ছিল!তাও আবার যে-সে স্টুডেন্ট না এই এক্কেবারে টপার স্টুডেন্ট!সর্ব গুণে-গুণান্বিত যাকে বলে সে হলো এই দীপ্ত চৌধুরী।একাধারে ভার্সিটিতে টপ রেজাল্ট!খেলাধুলায় টপার আর গান তো আছেই!শুধু কি তাই? এই ছেলের উপর ক্রাশ শুধু যে মেয়েরা খেয়েছে তা কিন্তু নয়!ছেলেরা কিন্তু দীপ্তের উপর ক্রাশ খেতো!লাইক সিরিয়াসলি গাইস?ভাবা যায়?একটা ছেলে মানুষ ঠিক কতটা সুদর্শন হলে ছেলেরাও ক্রাশ খেতে পারে?তবে আমাদের কাছে ক্রাশ বয় দীপ্তের আরেকটি গুণ…না ঠিক তেমনটাও নয়!তার থেকেও বেশি কিছু!না মানে আমাদের কাছে আরেকটি টপ সিক্রেট নিউজ আছে আর সেটি হলো…
এইটুকু বলে এনাউন্সকারী থেমে যান।সবার মাঝে সাসপেন্স ক্রিয়েট করার জন্য! হলোও তাই!সাজি তো টাশকির উপর টাশকি খাচ্ছে।শুধু হতভম্ব হয়ে সব কথা শুনছে।কিছুক্ষণ পরে সবার মাঝে নীরবতা ভেঙ্গে উনি এনাউন্স করেই দিলেন!
– গাইস আমাদের দীপ্ত নাকি ডায়েরিও লিখে!ওই তথ্যের সন্ধান পাওয়া গেলেও সেই ডায়েরির সন্ধান আজও কেউ পায় নি! সরি দীপ্ত ইয়ার! তোমার টপ সিক্রেট পাশ করে দিলাম!
দীপ্ত শীতল কণ্ঠে বলে,
– ইটস ওকে!বাট আরো একটা সিক্রেট তোমাদের জানা দরকার আর সেটা হলো দীপ্ত না চাইলে দীপ্ত যে ডায়েরি লিখে এই তথ্যটাও কেউ পেত না!যাইহোক,
আমরা আর কথা না বাড়াই! মূল পর্বে ফিরে যাওয়া যাক!কি স্টুডেন্ট আমার গান শুনবে তো তোমরা নাকি?
সবাই করতালি দিয়ে চিল্লাচিল্লি আর সিটি বাজাতে শুরু করে দিয়েছে!মানে তারা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার গান শুনার জন্য! সেই কথাই জানান দিচ্ছে তাদের কার্যকলাপের দ্বারা!অন্যদিকে, এই এনাউন্সমেন্ট শুনার পর সাজির অবস্থা কে দেখে!
ও তো ওর নিজের কানকে বিশ্বাসই করতে পারছে না!লাইক সিরিয়াসলি!ক্রাশবয়?অবশ্য হতেই পারে!এলিয়েনটা তো আর দেখতে শুনতে খারাপ না! বাট এই এটিটিউট-ওয়ালা এলিয়েন গান গাইবে!সিরিয়াসলি?কই আমি তো ওনার মুখে কোনোদিন গানের গও শুনি নি!আচ্ছা আমার কথা না হয় বাদই দিলাম!আমি না হয় উনার ধারেকাছেও যাই নি কখনো! কিন্তু বাকিরা? বাকিদের তো জানার কথা!কই কাউকে তো কোনো দিন বলতেও শুনি নি যে দীপ্ত ভাইয়া গান গাইতে পারে!
দীপ্ত ওর গিটারটা গাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য কাকে যেন বলল।গিটার নিয়ে আসতেই দীপ্ত গিটারটা হাতে তুলে নিয়ে বলল,
– Okay guys! Let’s Start!
দীপ্তের কথায় সাজি দীপ্তের দিকে তাকায়!একটা মুচকি হাসি দিয়ে দীপ্ত গেয়ে উঠে,
তুমি না ডাকলে আসবো না!
কাছে না এসে ভালোবাসবো না!
দুরত্ব কি ভালোবাসা বাড়ায়!
নাকি চলে যাওয়ার বাহানা বানায়!
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল
গল্পটা পুরোনো,
ডুবে ডুবে ভালোবাসি!
তুমি না বাসলেও আমি বাসি!
এটা কি ছেলেখেলা আমার এই স্বপ্ন নিয়ে?
চাইলে ভেঙে দেবে গুড়ে দেবে ইচ্ছে হলে!
আমি গোপনে ভালোবেসেছি!
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি!
তোমায় নিয়ে যাবো বলে!
একবার এসে দেখো!
এসে বুকে মাথা রেখো!
বুলে দেবো চুলে রেখে হাত!
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল!
গল্পটা পুরোনো,
ডুবে ডুবে ভালোবাসি!
তুমি না বাসলেও আমি বাসি!
ভোর না হতে হতেই তোমাকে দেখার আশায়!
শেষ ছবিটা দেখি বারে বারে আহা দেখি!
আমি গোপনে ভালোবেসেছি!
বাড়ি ফেরা পিছিয়েছি!
তোমায় নিয়ে যাবো বলে!
একবার এসে দেখো!
এসে বুকে মাথা রেখো!
বুলে দেবো চুলে রেখে হাত!
দূরের আকাশ নীল থেকে লাল
গল্পটা পুরোনো,
ডুবে ডুবে ভালোবাসি!
তুমি না বাসলেও আমি বাসি!
মুগ্ধ নয়নে চেয়ে থেকে গানটা শুনছিল সাজি!সবার হাততালি আর সিটির শব্দে সাজি বাস্তবে ফিরে আসে!কিছু সময়ের জন্য ও যেন অন্য এক জগতে চলে গিয়েছিল!একটা মানুষ ঠিক কতটা মাধুর্য মিশিয়ে নিয়ে গান গাইলে চারপাশটায় মুগ্ধতা ছেয়ে যায়? ঠিক যেমন ভাবে দীপ্ত গেয়েছে ঠিক তেমন ভাবে?হয়তোবা!কেন জানি না মনে হচ্ছিল গানের কথা গুলো দীপ্ত ভাইয়ার নিজের মনের কথা!কাউকে উদ্দেশ্য করেই তার এই গান গাওয়া!মনে হলো তার এই গানের মাধ্যমেই তার প্রিয়তম কাউকে যেন কত অভিযোগ!কত অভিমান!আর কতই না আকাঙ্ক্ষার কথা জানান দিচ্ছে!এই মুহূর্তে তার সেই প্রিয়তমা কি এখানে উপস্থিত আছে!থাকলে কোথায় সে?আর কে-ই বা সেই রমনী?
সাজির এই সব ভাবনাচিন্তার মাঝেই দীপ্ত পারফরম্যান্স শেষ ওর সিটে এসে বসে।দীপ্ত এসে বসার পর থেকে সাজি বার বার আড়চোখে দীপ্তিকে দেখছিল।আর সেটা দেখে দীপ্ত শুধু মিটমিটিয়ে হাসছিল কিন্তু কিছু বলে নি বরং সেও ক্ষানিকটা উপভোগই করছিল!এইভাবেই কেটে গেলো অনেক্ষণ! অন্যদের পারফরম্যান্স গুলো দেখছিল সাজি আর দীপ্ত।কিন্তু হঠাৎ করেই দীপ্তের ফোনে একটা কল আসে। বিদায়ের আগেই দীপ্তকে ওই মুহূর্তেই চলে আসতে হলো!আর সাজিকে তো আর একা রেখে আসবে না তাই সাজিকেও সাথে করে নিয়ে আসে!সারা রাস্তায় কেউ কোনো কথা বলে নি!একদম সাজিদের বাসার সামনে এসে গাড়ি থামে! সাজিকে ড্রপ করে দিয়েই দীপ্ত চলে যায়!
#.