#নিশ্বাস
#পর্ব_১
#লেখক_Mohammad_Asad
একটা কাজের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে কখনো ভাবেনি আমি। করলেই বা কি, আমি তো একজন ধর্ষক। হ্যাঁ আমি ধর্ষক একটা অবলা মেয়েকে ধর্ষণ করেছি আমি। এরকম কচি মেয়েকে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি আমি।
গ্রামের মেয়ে নিশাত, বাবা-মা মারা যাবার পর। আমার আব্বু আম্মু নিশাত নামের মেয়েটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
প্রায় ৪ বছর আমাদের বাড়িতে আছে মেয়েটা। নিশাত কখনো ভাবেনি আমি এমনটা করতে পারি। ১৮ বছরের মেয়ে নিশাত। তিনদিন আগের ঘটনা নিশাত আমার রুমে এসেছিলো ইংরেজি শেখার জন্য। নিশাতের অনেক ইচ্ছে ইংরেজি শিখবে তাই আমার কাছে আসতো।
আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। জোর করে মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছি।
মেয়েটা আমাকে অনেক সম্মান করতো। আমি যখন মেয়েটাকে বিছানায় সুয়ে কুকুরের মতো আত্যাচার করছিলাম। মেয়েটা তখন কাঁটা মুরগীর মতো ছটপট করছিলো। মেয়েটার কান্না আমার কানে আসেনি তখন। নিশাত বারবার বলছিলো আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মেয়েটা আমাকে ছাদিক ভাইয়া বলে ডাকতো। সেই আমি এটা করতে পারলাম। নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে আমার। মেয়েটার থেকে আমি গুনে গুনে ৮ বছরের বড়। আমার নাম ছাদিক ২৬ বছরের ছেলে আমি। বাবার কোম্পানি দেখাশোনা করি।
বাবা-মা যানতে পেরে যায় নিশাতের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছি আমি। তাই বাবা-মা আমাদের বিয়ে দিয়ে দেন। কিছু বলতে পারিনাই আমি। কারণ অনেক অন্যায় করেছি মেয়েটার প্রতি আমি।
বাসর ঘরে বসে আছে নিশাত। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে। রুমের মধ্যে কিভাবে ডুকবো কিছু বুঝতে পারছি না। নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে। একটা কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছি আমি, নিজের ভুলের কারণে।
.
.
নিশাত লাল বেনারসি শাড়ী পড়ে বসে আছে বাসর ঘরে। চোখে অনেকটাই ঘুম। কোনোদিন এত দামি শাড়ী পড়ে নাই মেয়েটা। কিছুক্ষণ পর দরজাটা খুলার আওয়াজ পেয়ে চুপসে যায় মেয়েটা মাথাটা নিঁচু করে বসে আছে।
“রাস্তার ভিক্ষারি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম। এরকম একটা কুকুরের সঙ্গে বিয়ে না হয়ে।
মনের মধ্যে ঘৃণা নিয়ে বসে আছে নিশাত।
ছাদিক রুমে এসে ভিতর থেকে দরজাটা লেগে দেয়। মেয়েটা অনেক ভয় পেয়ে যায় আবার সেই কুকুরের মতো নিযার্তণ করবে নাতো ছাদিক?
মাথায় ঘোমটা দিয়ে বসে আছে নিশাত। ছাদিক নিশাতের পার্শে বসলে, নিশাত কিছুটা সরে যায়।
ছাদিক যখন নিশাতের ঘোমটটা একটু তোলার চেষ্টা করে মেয়েটা তখন হাতটা সরিয়ে নেয়। ছাদিক এবার একটু রেগে ঘোমটা তুলে নেয়। নিশাতের মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে। নিশাতের থুতনিটা ছুঁয়ে বলে।
-বাহহ্ অনেক সুন্দর লাগছে তোকে।
-“নিশ্চুপ”
-কিরে এখনো রাগ করে আছিস?
এই তিনদিন ধরে নিশাত ছাদিকের সঙ্গে কথা বলেনি। কথা বলবে বা কি করে। একটা মানুষ রুপি কুকুরের সঙ্গে তো আর কথা বলা যায় না। ছাদিক নিশাতের সঙ্গে আগে থেকে তুই করে কথা বলতো। ছাদিক নিশাতের ভয়টা কাটিয়ে দেওয়ার জন্য সহজ ভাবে কথা বলতে থাকে।
“নিশাত কাঁপাকঁপা কন্ঠে বলে।”
-প্লিজ আমাকে ছোঁবেন না আপনি।
“ছাদিক নিশাতের মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বলে”
-কেন?
-আপনি খুব খারাপ।
-তাই,
-হুঁ
-নিশাত তুই আমাকে খুব ভালো করে চিনিস। দেখ সেদিন আমি অনেক ভুল করেছি সেটা আমি যানি। তুই বলতো এই ৪ বছরে কোনোদিন তোকে আমি খারাপ নজরে দেখেছি? সেদিন কি যে হলো আমার, ক্ষমা করে দে প্লিজ।
“নিশাত কিছুক্ষণ চুপ থেকে চিৎকার দিয়ে বলে”
-ক্ষমা চাইছেন কেন আপনি? আমি তো খেলার পতুল তাই না। একজন আমাকে ধর্ষণ করেছে আর তাকেই বিয়ে করতে হয়েছে আমাকে। আপনার মতো কুলাঙ্গার ছেলের তো ফাঁসী হওয়ার উচিৎ।
ছাদিক নিশাতের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে রুমের বাইরে চলে যায়।
নিশাত মনে মনে ভাবে কুকুর ঘর থেকে বের হয়েছে এটাই অনেক। কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটা মোটা দঁড়ি নিয়ে আসে ছাদিক। রুমে এসে দরজাটা ভিতর থেকে লেগে দেয়। নিশাত ছাদিকের হাতে দঁড়ি দেখে ভয় পেয়ে যায়। দঁড়ি দিয়ে আমাক মেরে ফেলবে নাতো। নিশাত কান্না কন্ঠ বলে।
-আপনি দঁড়ি এনেছেন কেন? আমাকে মেরে ফেলতে চান তাই না!
-হ্যাঁ তোমাকে মেরে ফেলতে চাই আমি।
ছাদিক সাজানো বাসর ঘরের খাটে উঠে দাঁড়িয়ে আছে। নিশাত মাথা নিঁচু করে বসে আছে। নিশাত মনে মনে বলছে আজকে আমার শেষ দিন, আর মনে হয় পৃথিবীর মুখ দেখবো না। ছাদিক ফ্যানে দঁড়িটা ঝুলিয়ে বলে।
-নিশাত দেখো আমার দিকে।
নিশাত ভয়ে ভয়ে ছাদিকের দিকে তাকায়। দেখে ছেলেটা নিজের গলায় ফাঁসি দিয়েছে।
নিশাত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে।
-এই আপনি কি করছেনটা কি মরা যাবেন তো।
-হুম তাই চাই। আর বাঁচতে চাইনা আমি।
-ওহ আচ্ছা,
-নিশাত একটা কাজ করবে।
-জ্বি বলুন।
-আমার পায়ের কাছে টুলটা আছে না সেটা সরিয়ে দেও।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
ছাদিক গলায় ফাঁসি দিয়েছে আর বলছে টুলটা সরিয়ে দিতে। ছাদিক ভেবেছিলো টুলটা সরিয়ে দিতে বললে হয়তো নিশাত আমাকে জরীয়ে ধরবে। আর গলা থেকে ফাঁসিটা খুলে দিবে। তবে তা না নিশাত চায় ছাদিক যেন মারা যায়।
ছাদিক আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিও তোমার কাছে যাচ্ছি আমি।
নিচ থেকে কান্নার শব্দ পাচ্ছে ছাদিক।
-আরে নিশাত তুই কান্না করছিস কেন?
-আচ্ছা আপনি কি মরে যাবেন।
“ছাদিক মাথা চুলকিয়ে বলে”
-“হ্যাঁ
-আচ্ছা ফ্যানটা যদি খুলে পড়ে যায়। তাহলে আপনার সঙ্গে আমিও তো শেষ।
ছাদিক কান্না কন্ঠ বলে,।
-নিশাত তোর উপর অনেক অন্যায় করেছি রে ক্ষমা করে দিস। ভয় পাস না টুলটা সরিয়ে এখান থেকে দৌড়ে পালাবি ওকে।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
“চলবে”