#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
দ্বাদশ পর্ব
দিহান – আমি পুরোপুরি আশাবাদী। এখান থেকেই তুমি
জানে আলমের খোঁজ পেয়ে যাবে।
শুনো কাল সকাল বেলায় আমার সঙ্গে শহর থেকে একটু দূরেই একটি গ্রাম আছে সেখানে আমার সাথে দেখা করতে আসবে।
সেখানে আমি তোমাকে সব কিছু খুলে বলবো।
কি করে কি করতে হবে।
অর্নিতা- আচ্ছা। তাহলে কাল দেখা হচ্ছে আবারো।
দিহান- হুম, এখন চলো। বেশিক্ষণ সময় হলে ওরা আমাকে খুজতে শুরু করবে।
পরেরদিন সকাল…..
অর্নিতা আর দিহান একসঙ্গে হেটে চলেছে।
গ্রাম্য পরিবেশ বলেই হয়তো খুব সুন্দর দৃশ্য!
অর্নিতা আর দিহান মিলে হাটতে হাটতে একটি গাছের
নিচে এসে দাড়িয়ে পরল।
অর্নিতা – আমি তো আমার সম্পর্কে সবই বলে দিলাম।
আপনি ও কিছু বলুন শুনি।
দিহান – আমার আর কি বাবা রিটায়ার্ড প্রফেসর।
আর ভাইয়া একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার। আর আমি এই পেশায়।
বলতে পারো সখের বসেই এই পেশায়!
অর্নিতা- অর্নিতা আপনার বাবা মা ও কি দিতে চায়নি?
দিহান -না!
অর্নিতা- সবারই দেখছি এরকম সমস্যা।
দিহান- হুম, আচ্ছা শুনো আমি তোমাকে এখন আমাদের কাজ নিয়ে বলবো।
এখানকার একটি হোটেল এ জানে আলমের লোকজন অনেক মেয়েকে আটকে রেখে দেহব্যাবসা করাচ্ছে।
আর কিছু নতুন মেয়েকে ও ধরে এনেছে যারা প্রায়ই কিশোরী বয়সের।
শুধু ওই নয় এখানে আরো বড় বড় আন্ডারওয়ার্লডের আসামী আছে যাদের ধরা প্রায় কঠিন ওদের লোকজন আছে এবং এরা চক্র বদ্ধ ভাবে এই কাজে সংযুক্ত রয়েছে। আমার সঙ্গে সেদিন যাদের যাদের দেখেছো তারাও সেই পেশায়।
অর্নিতা- এখন আমাকে কি করতে হবে?
দিহান – বেশি কিছু না তুমি শুধু ওদের জানিয়ে দিবে তুমি আমার মাধ্যমে এই পেশায় এসেছো।
আর কিছুই করতে হবে না তোমাকে।
তোমাকে শুধু একটাই কাজ করতে হবে
ওদের উপর তোমার বিশ্বাস অর্জন করাতে হবে।
এক কথায় ওদের চালচলন কথাবার্তা ওদের সবকিছু অনুসরণ করতে হবে।
কারন এরা সাধারণ কোন ক্রিমিনাল না এরা সবকিছুতেই নিখুঁত ভাবে করতে পছন্দ করে।
ওরা প্রথম অবস্থায় নজর রাখতে পারে।
তাই তোমাকে সব অবস্থায় মানিয়ে নিতে হবে। আর আমি তো আছি তোমার পার্টনার হিসেবে।
অর্নিতা হেসে দিয়ে- হুম পার্টনার!
________________________________
রাতের শহুরে সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে পাটায়া শহরে।
আলোর ঝলকানিতে যেন চোখ ধাধিয়ে উঠছে। শহুরে উন্মাদনা ও যেন বেড়ে উঠেছে এই শহরের মানুষদের উপর। দলে দলে সবাই বেরিয়ে পরেছে। রাতের পাটায়াতে ক্লাবগুলো বেশ জমে উঠে।
ক্লাবের ভিতর ডুকতেই নজর পরল কিছু ছেলে ও মেয়ে বাইরে যে যার মত বসে সিগারেট খাচ্ছে আর বসে বসে গল্প করছে। অর্নিতা ওদের দিকে একটু নজর দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো ভিতরে।
ক্লাবে নাচ গানের আসর জমেছে। ছেলে বুড়ো থেকে সবাই সমান তালে মদ্যপান করে। নেশায়বুদ হয়ে নেচে যাচ্ছে। অর্নিতাও কিছুটা তাদের মতই সেজেছে।
কিছুটা সামনে যেতেই দেখল দিহান বসে আছে সঙ্গে আছে সেদিনের মেয়েগুলো ও আরো কিছু লোক।
অর্নিতা তাদের সামনে যেতেই।
দিহান তাকে ডেকে উঠলো –
এসে গেছো তুমি! এই যে! ওহ! সরি সরি।
আমি তো ভুলেই গেছি ওরাতো বাঙালি নয়!
দিহান- Miss Henzel it’s nayla, I told about her yesterday!
Are you remember it?( মিস হেনজেল এই হচ্ছে নায়লা, যার কথা আমি গতকাল আপনাকে বলেছিলাম। মনে আছে আপনার?)
হেনজেল – is it she? (এ কি সে?)
দিহান- yeah! (হ্যা)
হেনজেল- Oh my god! She was so beautiful!
Did you see her face?so beautiful !! please sit here! (হায় ইশ্বর! সে সত্যিই খুব সুন্দর! তুমি কি তার চেহারা দেখেছো?খুব সুন্দর! অর্নিতাকে ইশারা করে দয়া করে বসুন।)
অর্নিতা- Thanks, (ধন্যবাদ)
হেনজেল – But Dihan are you sure that she can do like us?
( কিন্তু দিহান তুমি কি নিশ্চিত সে আমাদের মত সব করতে পারবে?)
অর্নিতা- Of course I can do everything like everyone else! Why I can’t? (অবশ্যই আমি অন্যদের মত সবকিছু করতে পারি! আমি কেন পারবো না?)
পাশে বসা মেরিন্ডা- listen miss… What is your name?
oh nayla! Listen, this is not so easy! We have left our country!
It’s not so easy! It’s very tough! everywhere policeman,
(শুনুন মিস, কি যেন নাম? ওহ নায়লা! শুনুন এটা এত সহজ কাজ নয়! আমরা আমাদের দেশ ছেড়েছি!
এটা এত সহজ কাজ নয়! এটা অনেক কঠিন! সবত্র পুলিশের লোক!)
অর্নিতা- Yet I agree to do it! (এখনো আমি এটা করতে রাজি )
মেরিন্ডা – But….( কিন্তু..)
থিংচিনফু- Shut up, Let her talk! Miss nayla We want you to work for us!
( চুপ করুন, কথা বলতে দিন তাকে! অর্নিতাকে উদ্দেশ্যে করে – মিস নায়লা আমরা চাই আপনি আমাদের হয়ে কাজ করুন!)
মেরিন্ডা দাত কিড়মিড়িয়ে থিংচিনফুর দিকে একবার তাকালো তো আরেকবার অর্নিতার দিকে।
অর্নিতার মুখে রহস্যময় হাসি। দিহান থিনচিংফুর সঙ্গে অর্নিতাকে দিয়ে কি করা যায় বলতে লাগল।
অর্নিতার যেহেতু এটা প্রথম কাজ তাই তাকে বেশি কিছু করতে দেওয়া হবে না। তবে তাদের সঙ্গে মিলে একসাথেই সব কাজ করতে হবে।
অর্নিতা তাদের কথায় সায় দিল।
অর্নিতাকে নিয়ে তারা সবাই মিলে দুবাই শহরে যাবে।
সঙ্গে নিয়ে যাবে পাচার করা সেই তরুণীগুলোকে যাদের তারা বলেছিল মিডিয়ায় কাজ করিয়ে দিবে।
অসহায় মেয়েগুলো নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আগত।
যারা এসেছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই মিডিয়ায় বা নাচের আশায় যোগ দেয়া মেয়ে। আবার অনেকেই জীবিকার তাগিদে এসেছে যদি কিছু করা যায়।
কিন্তু তারা হয়ত জানেই না তাদের কে নিয়ে কেমন জগন্য খেলায় মেতে উঠছে একশ্রেনির মানুষ নামে অমানুষ।
অর্নিতাকে নিয়ে আসা হলো একটি বিল্ডিং এ।
সঙ্গে দিহান ও এসেছে বিল্ডিংটাতে ডুকার পর সবগুলো মেয়ে জড়ো হয়ে হুমড়ি খেয়ে পরলো দিহানকে দেখে।
কেউ বলছে কবে দুবাই যাবে? কেউ জেরা করছে কেন এত দেরী হচ্ছে? মেয়েগুলোর মুখ ও কেমন চুপসে গেছে। দীর্ঘ পনেরো দিন এখানে রয়েছে।
আটকে রেখে পশ্চিমা সাজে গড়ে তুলেছে।
বাঙ্গালীয়ানার কোন কিছুই নেই।
কাউকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে নাচাচ্ছে।
দিহান সবাইকে উদ্দেশ্যে করে –
এই শুনো তোমরা এই তোমাদের নতুন ম্যাম! এর নাম নায়লা! ওর কথামতো ভালোভাবে চলবে! ওর অবাধ্য হবে না! নাহলে শাস্তি পেতে হবে! শাস্তি কি পেতে চাও তোমরা?
অর্নিতার কাছে মেয়েগুলোর মুখ দেখে মনে হলো ভয় পেয়েছে তারা।
সবার দিকে এক নজর বুলানোর পর যা বুঝলো শাস্তির কথা শুনেই সবাই যে যার কাজে চলে যাচ্ছে।
কিশোরী বয়সের এই মেয়েদের চঞ্চলতার বয়স সেই বয়সে এই পাচারকারীদের হাতে পরা যেন শেকল এর মত। মেয়েগুলো তো তা জানেই না!
অর্নিতা তাদের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলল- শুনো তোমরা! আজ আমি তোমাদের কিছু শিখাবো! শিখবে কি তোমরা?
মেয়েগুলো ভয়ে ভয়ে – জ্বী শিখবো!
অর্নিতা দিহানের পাশে যেয়ে – শুনুন ওদের পাশে ওই মহিলাগুলোকে চলে যেতে বলুন!
দিহান – কেন?
অর্নিতা- যা বলছি তাই করুন!
দিহান – উল্টা পাল্টা কিছু করো না! উপরে দেখো সিসি ক্যামেরা! এখানে কিন্তু স্পিকার ও আছে।
অর্নিতা একবার উপরের দিকে তাকিয়ে- হুম দেখেছি আপনি যান!
দিহান – মহিলাগুলোকে নিয়ে বের হয়েগেলো।
অর্নিতা- মেয়েরা সবাই আমার কথা মন দিয়ে শুনো!
শুধু কি নাচলে হবে? আজ আমি তোমাদের সেফটি নিয়ে কথা বলবো! শুনবে কি তোমরা?
মেয়েরা- জ্বী,
অর্নিতা- কারাটে শিখেছো তোমরা?
মেয়েরা একনসাথে বলে উঠলো -না
অর্নিতা- ফাইটিং করতে দেখেছো?
সবাই একসাথে বলে উঠলো – জ্বী
অর্নিতা – আজ আমি তোমাদের কিছু টিপস এবং ট্রিকস শিখাবো! যেটা আমি আমার স্কুলে এবং কলেজ লাইফে শিখে এসেছি।
সবাই অতি উৎসাহি তো হয়ে- জ্বী শিখবো।
অর্নিতা তাদের কিছু বেসিক এবং প্রথম পর্যায়ের কারাটের ট্রিকস শিখিয়ে দিল। যেটা প্রায় প্রতেকটা মেয়েকে শিখানো হয় প্রাথমিক পর্যায়ে কোন হামলা বা নিগ্রহের থেকে বাচতে।
অর্নিতা – হাসো সবাই হাসো! শুনো আমি যেকদিন আছি তোমাদের সব ধরনের ট্রিকস শেখাবো!
মেয়েগুলো প্রাণভরে হেসে যাচ্ছে। অর্নিতার মনে হলো একটু আগের গুমোট ভরা মুখ গুলো যেন প্রাণহারা ছিল। এখন সেই মুখগুলোতে যেন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
অর্নিতা মেয়েগুলোর সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে বেরিয়ে এলো।
হোটেল এ এসে সে তার মুখের মেকআপ তুলে ফেললো।
মেকআপ এর আড়ালে লুকানো সেই প্রতিচ্ছবির দিকে একবার তাকালো।
আড়ালেও সে যেমন সবার সামনে ও সে ঠিক তেমনই।
তার মাঝে নেই কোন খুতঁ! আছে শুধু ক্ষত! ক্ষুদ্র নয় বিরাট সেই ক্ষত! এই ক্ষত সেরে যাওয়ার মত নয়!
বিষফোড়ার মত বিধ্বস্ত করে ছাড়ে এই ক্ষত!
অর্নিতা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেখল বাবার ফোন। সঙ্গে সঙ্গে বাবার ফোনে কল করেই কথা বলতে লাগল।
_________________________________
সকাল বেলা দরজায় তীব্র নক বেজে উঠলো।
ঘুমু ঘুমু চোখে টলতে টলতে দরজা খুলেই বিস্ময়ে তার চোখগুলো কুচকে এলো। সাদা ও লালের সংমিশ্রণে
একটি লিলি ফুলের তোড়া!
সুন্দর সেই ফুলের তোড়া যেন তাকে টানছে।
সব ধরনের ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে হোটেল রুম থেকে বের হলো সে কে দিয়েছে এই ফূলের তোড়া?
আশেপাশে তো কাউকে দেখতে পাচ্ছে না!
লিলি ফুলের তোড়াটা ছুতেঁ গিয়ে একপা পিছিয়ে গেলো সে। কেউ তো ইচ্ছে করে ওর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে দিতে পারে। রুমে এসে হোটেল সার্ভিসের লোকদের ফোন করল সে।
অর্নিতা- Hello! Room no.31 speaking! Is this room service number?
সার্ভিস ম্যান- Yes Madame!
অর্নিতা- Did anyone want to know anything about me?
সার্ভিস ম্যান- No Madame!
অর্নিতা- please check your hotel information!
সার্ভিস ম্যান- Ok madame!
অর্নিতা রুম সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেই আবার গিয়ে ফুলের তোড়ার সামনে দাড়ালো।
নাকে একটি মাস্ক পরে নিল। লিলি ফুলের ঘ্রাণ তার খুব প্রিয়! এতটা প্রিয় ঘ্রাণ হওয়ার পরেও মাস্ক পরে ফুলের তোড়াতে হাত দিলো। একটি ফুল ছিড়ে হাতে নিয়ে দেখতে লাগল। ফুলটি দেখতে দেখতে একসময় ফুলের
তোড়া থেকে একটি চিরকুট খসে পরলো।
চিরকুটটি দেখা মাত্র তুলে নিল হাতে।
” সবার জীবনের গুগলির সমাধান করতে গিয়ে
নিজের জীবনের গুগলি সমাধান করতে পিছিয়ে যেয়ো না ”
অর্নিতার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-“বড় অদ্ভূত বাক্য”!
আরেকটি চিরকুট পেলো সে -” Happy birth day miss Arnita Afsari ”
#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
ত্রয়োদশ পর্ব
” সবার জীবনের গুগলির সমাধান করতে গিয়ে
নিজের জীবনের গুগলি সমাধান করতে পিছিয়ে যেয়ো না ”
অর্নিতার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-“বড় অদ্ভূত বাক্য”!
আরেকটি চিরকুট পেলো সে -” Happy birth day miss Arnita Afsari ”
অর্নিতা চিরকুট টা হাতে নিয়ে ভালো ভাবে দেখল।
চিরকুট টা লাল কালিতে লেখা! গোটা-গোটা হাতের লেখা খুব সুন্দর! এই হাতের লেখাটা খুব চেনা!
কোথায় দেখেছে! খুব পরিচিত! কার হাতের লেখা এটা?
কে জানে তার পছন্দের কথা?
লাল আর সাদা লিলি যে তার পছন্দ! লাল রঙ্গ পছন্দ এটাও জানলো কিভাবে?
চিরকুট টা বেড সাইড টেবিলের উপর রেখে দিয়ে।
শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলেগেল সে।
শাওয়ার শেষ করে এসে হোটেল সার্ভিস ম্যানদের ফোন করল –
Are you Got something?
হোটেল সার্ভিসম্যান- No madame! We didn’t get anything!
অর্নিতা- oh,Send me a breakfast!
হোটেল সার্ভিসম্যান – ok madame!
হোটেল সার্ভিসম্যানদের সঙ্গে কথা বলার পর বাবার সঙ্গে কথা বলতে লাগল অর্নিতা। মামনি-বাবা
ভাই বোন এদের সবার সঙ্গে কথা বলার পর।
ফোন নিয়ে অরুপকে একটা কল করলো।
অরুপকে ফোন করার পর ফোন বন্ধ পেলো সে।
তবে হোয়াট্সআ্যাপ গিয়ে তাকে পেয়েও গেল সময় মত।
তারপর দুজনে মিলে অনেকক্ষন অনেক কথা বলল।
যার মধ্যে অর্নিতা অফিসিয়াল কথাবার্তাই বেশি বলেছে।
অফিসে আজকাল কি হচ্ছে। কেমন চলছে এ সমস্ত কথা।
রুমের একপাশেই কফি মেকার আছে যেখান থেকে খুব সহজেই কফি বানানো যাবে।
অর্নিতা এক কাপ কফি বানিয়ে নিল।
সকালের ধোয়া ওঠা এক কাপ কফি বড্ড প্রশান্তি দেয় তাকে।
কফি নিয়ে বেলকনিতে এসে বসে পরলো অর্নিতা, সকালের সূর্যস্নানের এই মূহুর্তটা তার কাছে খুব ভালো লাগে।
সূর্যের দীপ্তময় তপ্ত হলকা যখন শরীরে তীর তীর করে ধীরগতিতে শরীরে প্রবেশ করে তখন খুব ভালো লাগে তার।
সূর্য শুধু যে গ্রহ তা কিন্তু নয় সূর্য এক আদর্শের প্রতীক!
দীপ্তময় সূর্য শুধু যে আলো দেয় তা নয় দেয় জলন্ত অবস্থায় লক্ষ কোটি বছর টিকে থাকার উদাহরণ!
____________________________________
অপর পাশে……
খুব সকালে এ শহরে
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে
খুব সকালে এ শহরে
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে
সূর্য ঢাকে মেঘের ফাঁকে
বৃষ্টিস্নানে নগর মাতে
ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ করে
নিদ্রাবিহীন আঁধার ঘরে
কোনো এক শ্রাবণে
কোনো এক শ্রাবণে…
অমন অমন সকাল বেলা
আধো স্বপন জাগরণে
অমন অমন সকাল বেলা
আধো স্বপন জাগরণে
তোমার কথা মনে পড়ে
অন্য রকম শিহরণে
ব্যর্থতাতে থমকে থাকে
একটু দেখার তৃষ্ণা জাগে
কোনো এক শ্রাবণে…
কোনো এক শ্রাবণে…
গানের প্রলেপ শুনে চলেছে অন্য আরেক জন আজ ঠিক এই সময়ে। তারমুখে হাসির ঝলক! হোক দুষ্টু মিষ্টির এই সম্পর্ক নতুন করে! লুকোচুরি লুকোচুরি এই খেলায় কে যেতে যায়!
প্রথম দেখার মেয়েটির ছবিগুলোকে খুব যত্ন করে না তুললেও এখন অনেকটা যত্ন করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে সে।
আচ্ছা যার ছবি সে এত সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে সে কি জানে?
সে যখন জানবে তার পাশেই দাড়ানো মানুষটি তার প্রেমে মাতোয়ারা তখন? তখন কি সে তাকে দিবে তার হাতটি ধরার সুযোগ? নাকি হারিয়ে যাবে উড়ো প্রজাপতির মত!
ভাবনায় বিভোর সেই ব্যাক্তিটি আ্যালবামে হাত বুলাতে লাগল।
____________________________________
আজ ও সেই বন্দি মেয়েগুলোর সাথে দেখা করতে গিয়েছে অর্নিতা।
মেয়েগুলো তাকে দেখে যেন খুব খুশি হয়েছে।
সবাই তাকে ঘিরে ধরেছে।
অর্নিতা প্রতেকের সঙ্গে কথা বলতে লাগলো।
ওদের কে কিভাবে নিয়ে আসা হয়েছে কি বলে আনা হয়েছে।
অনেকেই তাদের পূর্বের ভুল বুঝতে পেরে কান্নাকাটি করতে লাগল। অর্নিতা ওদের সবাইকে সান্ত্বনা দিলো।
ওরা পাচার কারীদের হাতে পরেছে। ওদের নিয়ে কিছু হবে এমন কোন কিছুই সে তাদের কাছে প্রকাশ করেনি এখনো।
বরং সবাইকে শক্ত ও সামর্থ্যবান কি করে হতে হবে তাই শেখাচ্ছে।
কালকের মত করে আবারও অর্নিতা তাদের শেখাচ্ছে কিভাবে ক্যারাটে শিখতে হয়। প্রতেককে কালকের শিখানো সেই ট্রিকস গুলোই সে আবারও করাতে লাগল।
এইদিকে……..
সিসিটিভির ফুটেজে ফুটে উঠেছে অর্নিতার ক্যারাটে শিখানোর দৃশ্য! সেই সাথে মেয়েগুলোর হাস্যজ্জল মুখশ্রী। সবাইকে সেখান থেকে বের করনে দিয়ে অর্নিতা এগুলো শেখাচ্ছে।
মেরিন্ডা যেন আরও বেশি রেগে গেলো। এমনিতেই এত বছর অবদি কেউ তার উপর কথা বলতে পারেনি অর্নিতার জন্য কাল সবাই তার সঙ্গে জোড় দিয়ে কথা বলেছে। এত বড় সাহস! নতুন এই মেয়েটিকে তার কাছে মনে হচ্ছে খুব দূরন্ধর! রহস্যময়ী এক নারী সত্বা!
না হলে এমনটা কি করে করতে পারে ও?
মেরিন্ডা হেনজেল কে উদ্দেশ্যে করে – দেখেছো হেনজেল? মেয়েটার সাহস?
হেনজেল- হুম, এটা ও ঠিক করেনি!
মেরিন্ডা- আসতে না আসতে এত বড় কান্ড ঘটিয়ে ফেলল! তোমরা ওকে আরও মাথায় তুলে ফেলেছো! কি দরকার ওকে এভাবে মেয়েগুলোর কাছে ছেড়ে দেওয়া?
এখন এর সমাধান করবে কি করে?
হেনজেল- কিসের সমাধান?
মেরিন্ডা- আচ্ছা হেনজেল তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি কবে হবে বলতে পারো?
হেনজেল- আমি আবার কি করলাম?
মেরিন্ডা- এই যে মাথাটা! মাথাটা কি একটু ও কাজে লাগাতে পারো না তুমি?
তুমি কি কিছুই বুঝতে পারছো না?
মেয়েগুলো যদি ওর মত করে চলে, বা আমাদের ভয় না পায় তবে কি হবে জানো? জানো না! জানবে কি করে?
হেনজেল মেরিন্ডার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
মেরিন্ডা – তুমি দেখেছো মেয়েগুলোর মধ্যে প্রথমে যে ভয়ভীতি ছিল এখন কি তা আছে?
একদিনেই মেয়েগুলো ওর সাথে এতটা সাবলীল কি করে হয়েগেল? ভেবে দেখেছো কিছু?
হেজেল – মেরিন্ডার কথা শুনতে লাগল আর ভাবলো সত্যিই তো! এই বিষয় তো সে ভেবে দেখেনি।
মেরিন্ডা আবার বলতে লাগল- হেনজেল ওরা আমাদেরকে যদি ভয় না পায় তাহলে ওরা আমাদের পরোয়া করবে না! ওরা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাবে!
এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না! ঐ মেয়েটাকে আটকাও নাহয় এদেরকে আটকাও! দুপক্ষের একপক্ষকে তটস্থ করো নাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।
রাগে অগ্নিশর্মা মেরিন্ডা চলেগেল।
মেরিন্ডা- স্যার আপনার জন্য নতুন একজন অতিথির আয়োজন করেছি!
অপর পাশ থেকে- তাই নাকি? নতুন অতিথি দেখতে কেমন?
মেরিন্ডা- আপনার পছন্দ হবার মতই, খুব সুন্দরী!
এক জাক কিশোরীর মাঝে তাকে পাবেন।
খুব সুন্দরী!
অপর পাশে থাকা ব্যাক্তি- Very good! তারদিকে যেন কোন শেয়াল কুকুরের নজর না পরে! সে আমার গুহায় বন্দি হবে! পাখি যেন না পালায়!
মেরিন্ডা- স্যার পাখি তো পোষা পাখি! এ পাখি উড়ে যাবে না!
অপরপাশে- তাহলে তো আরও ভালো!
আমি তৈরী শিকার করার জন্য! নজর রাখো তার উপর!
আমি তাকে চাই! বিশ্রীভাবে হেসে উঠলো ব্যাক্তিটি!
মেরিন্ডার মুখেও মুচকি মুচকি হাসি।
আড়াল থেকে মেরিন্ডা আর তার সেই বসের সব কথাই
একজন রেকর্ড করে ফেললো তাদের অজান্তেই!
বস আর মেরিন্ডার কথায় এই বিষয়টা ক্লিয়ার যে বন্দিমেয়ে গুলোকে পাচারের সময় চলে হয়ে এসেছে।
তবে অন্য আরেকজনের কথা বলায় বুঝতে পারছেনা আড়ালে থাকা ব্যাক্তিটি! কে সেই মেয়ে! যাকে চোখে চোখে রাখতে বলা হয়েছে?
ভাবতে ভাবতেই চমকে উঠলো সে! এতো সর্বনাশ করেছে…..
চলবে।
হাতে সময় পাই একমাত্র শুক্রবার ও শনিবার, বৃহস্পতিবার! কিন্তু এই তিনদিনে আমার হাতে সময় ছিল না এই বছরে প্রথম বেড়াতে গিয়েছি তাও মাত্র দুদিন! তাই গল্প লিখার সময় একদমই পাই নি!
এ নিয়ে আপনারা আবার আমাকে গালাগালি করবেন না।
দ্বাদশ পর্ব-https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/395505378837907/#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
ত্রয়োদশ পর্ব
” সবার জীবনের গুগলির সমাধান করতে গিয়ে
নিজের জীবনের গুগলি সমাধান করতে পিছিয়ে যেয়ো না ”
অর্নিতার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-“বড় অদ্ভূত বাক্য”!
আরেকটি চিরকুট পেলো সে -” Happy birth day miss Arnita Afsari ”
অর্নিতা চিরকুট টা হাতে নিয়ে ভালো ভাবে দেখল।
চিরকুট টা লাল কালিতে লেখা! গোটা-গোটা হাতের লেখা খুব সুন্দর! এই হাতের লেখাটা খুব চেনা!
কোথায় দেখেছে! খুব পরিচিত! কার হাতের লেখা এটা?
কে জানে তার পছন্দের কথা?
লাল আর সাদা লিলি যে তার পছন্দ! লাল রঙ্গ পছন্দ এটাও জানলো কিভাবে?
চিরকুট টা বেড সাইড টেবিলের উপর রেখে দিয়ে।
শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলেগেল সে।
শাওয়ার শেষ করে এসে হোটেল সার্ভিস ম্যানদের ফোন করল –
Are you Got something?
হোটেল সার্ভিসম্যান- No madame! We didn’t get anything!
অর্নিতা- oh,Send me a breakfast!
হোটেল সার্ভিসম্যান – ok madame!
হোটেল সার্ভিসম্যানদের সঙ্গে কথা বলার পর বাবার সঙ্গে কথা বলতে লাগল অর্নিতা। মামনি-বাবা
ভাই বোন এদের সবার সঙ্গে কথা বলার পর।
ফোন নিয়ে অরুপকে একটা কল করলো।
অরুপকে ফোন করার পর ফোন বন্ধ পেলো সে।
তবে হোয়াট্সআ্যাপ গিয়ে তাকে পেয়েও গেল সময় মত।
তারপর দুজনে মিলে অনেকক্ষন অনেক কথা বলল।
যার মধ্যে অর্নিতা অফিসিয়াল কথাবার্তাই বেশি বলেছে।
অফিসে আজকাল কি হচ্ছে। কেমন চলছে এ সমস্ত কথা।
রুমের একপাশেই কফি মেকার আছে যেখান থেকে খুব সহজেই কফি বানানো যাবে।
অর্নিতা এক কাপ কফি বানিয়ে নিল।
সকালের ধোয়া ওঠা এক কাপ কফি বড্ড প্রশান্তি দেয় তাকে।
কফি নিয়ে বেলকনিতে এসে বসে পরলো অর্নিতা, সকালের সূর্যস্নানের এই মূহুর্তটা তার কাছে খুব ভালো লাগে।
সূর্যের দীপ্তময় তপ্ত হলকা যখন শরীরে তীর তীর করে ধীরগতিতে শরীরে প্রবেশ করে তখন খুব ভালো লাগে তার।
সূর্য শুধু যে গ্রহ তা কিন্তু নয় সূর্য এক আদর্শের প্রতীক!
দীপ্তময় সূর্য শুধু যে আলো দেয় তা নয় দেয় জলন্ত অবস্থায় লক্ষ কোটি বছর টিকে থাকার উদাহরণ!
____________________________________
অপর পাশে……
খুব সকালে এ শহরে
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে
খুব সকালে এ শহরে
হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামে
সূর্য ঢাকে মেঘের ফাঁকে
বৃষ্টিস্নানে নগর মাতে
ঘুম ভেঙে যায় হঠাৎ করে
নিদ্রাবিহীন আঁধার ঘরে
কোনো এক শ্রাবণে
কোনো এক শ্রাবণে…
অমন অমন সকাল বেলা
আধো স্বপন জাগরণে
অমন অমন সকাল বেলা
আধো স্বপন জাগরণে
তোমার কথা মনে পড়ে
অন্য রকম শিহরণে
ব্যর্থতাতে থমকে থাকে
একটু দেখার তৃষ্ণা জাগে
কোনো এক শ্রাবণে…
কোনো এক শ্রাবণে…
গানের প্রলেপ শুনে চলেছে অন্য আরেক জন আজ ঠিক এই সময়ে। তারমুখে হাসির ঝলক! হোক দুষ্টু মিষ্টির এই সম্পর্ক নতুন করে! লুকোচুরি লুকোচুরি এই খেলায় কে যেতে যায়!
প্রথম দেখার মেয়েটির ছবিগুলোকে খুব যত্ন করে না তুললেও এখন অনেকটা যত্ন করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে সে।
আচ্ছা যার ছবি সে এত সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে সে কি জানে?
সে যখন জানবে তার পাশেই দাড়ানো মানুষটি তার প্রেমে মাতোয়ারা তখন? তখন কি সে তাকে দিবে তার হাতটি ধরার সুযোগ? নাকি হারিয়ে যাবে উড়ো প্রজাপতির মত!
ভাবনায় বিভোর সেই ব্যাক্তিটি আ্যালবামে হাত বুলাতে লাগল।
____________________________________
আজ ও সেই বন্দি মেয়েগুলোর সাথে দেখা করতে গিয়েছে অর্নিতা।
মেয়েগুলো তাকে দেখে যেন খুব খুশি হয়েছে।
সবাই তাকে ঘিরে ধরেছে।
অর্নিতা প্রতেকের সঙ্গে কথা বলতে লাগলো।
ওদের কে কিভাবে নিয়ে আসা হয়েছে কি বলে আনা হয়েছে।
অনেকেই তাদের পূর্বের ভুল বুঝতে পেরে কান্নাকাটি করতে লাগল। অর্নিতা ওদের সবাইকে সান্ত্বনা দিলো।
ওরা পাচার কারীদের হাতে পরেছে। ওদের নিয়ে কিছু হবে এমন কোন কিছুই সে তাদের কাছে প্রকাশ করেনি এখনো।
বরং সবাইকে শক্ত ও সামর্থ্যবান কি করে হতে হবে তাই শেখাচ্ছে।
কালকের মত করে আবারও অর্নিতা তাদের শেখাচ্ছে কিভাবে ক্যারাটে শিখতে হয়। প্রতেককে কালকের শিখানো সেই ট্রিকস গুলোই সে আবারও করাতে লাগল।
এইদিকে……..
সিসিটিভির ফুটেজে ফুটে উঠেছে অর্নিতার ক্যারাটে শিখানোর দৃশ্য! সেই সাথে মেয়েগুলোর হাস্যজ্জল মুখশ্রী। সবাইকে সেখান থেকে বের করনে দিয়ে অর্নিতা এগুলো শেখাচ্ছে।
মেরিন্ডা যেন আরও বেশি রেগে গেলো। এমনিতেই এত বছর অবদি কেউ তার উপর কথা বলতে পারেনি অর্নিতার জন্য কাল সবাই তার সঙ্গে জোড় দিয়ে কথা বলেছে। এত বড় সাহস! নতুন এই মেয়েটিকে তার কাছে মনে হচ্ছে খুব দূরন্ধর! রহস্যময়ী এক নারী সত্বা!
না হলে এমনটা কি করে করতে পারে ও?
মেরিন্ডা হেনজেল কে উদ্দেশ্যে করে – দেখেছো হেনজেল? মেয়েটার সাহস?
হেনজেল- হুম, এটা ও ঠিক করেনি!
মেরিন্ডা- আসতে না আসতে এত বড় কান্ড ঘটিয়ে ফেলল! তোমরা ওকে আরও মাথায় তুলে ফেলেছো! কি দরকার ওকে এভাবে মেয়েগুলোর কাছে ছেড়ে দেওয়া?
এখন এর সমাধান করবে কি করে?
হেনজেল- কিসের সমাধান?
মেরিন্ডা- আচ্ছা হেনজেল তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি কবে হবে বলতে পারো?
হেনজেল- আমি আবার কি করলাম?
মেরিন্ডা- এই যে মাথাটা! মাথাটা কি একটু ও কাজে লাগাতে পারো না তুমি?
তুমি কি কিছুই বুঝতে পারছো না?
মেয়েগুলো যদি ওর মত করে চলে, বা আমাদের ভয় না পায় তবে কি হবে জানো? জানো না! জানবে কি করে?
হেনজেল মেরিন্ডার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
মেরিন্ডা – তুমি দেখেছো মেয়েগুলোর মধ্যে প্রথমে যে ভয়ভীতি ছিল এখন কি তা আছে?
একদিনেই মেয়েগুলো ওর সাথে এতটা সাবলীল কি করে হয়েগেল? ভেবে দেখেছো কিছু?
হেজেল – মেরিন্ডার কথা শুনতে লাগল আর ভাবলো সত্যিই তো! এই বিষয় তো সে ভেবে দেখেনি।
মেরিন্ডা আবার বলতে লাগল- হেনজেল ওরা আমাদেরকে যদি ভয় না পায় তাহলে ওরা আমাদের পরোয়া করবে না! ওরা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাবে!
এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না! ঐ মেয়েটাকে আটকাও নাহয় এদেরকে আটকাও! দুপক্ষের একপক্ষকে তটস্থ করো নাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলে দিচ্ছি।
রাগে অগ্নিশর্মা মেরিন্ডা চলেগেল।
মেরিন্ডা- স্যার আপনার জন্য নতুন একজন অতিথির আয়োজন করেছি!
অপর পাশ থেকে- তাই নাকি? নতুন অতিথি দেখতে কেমন?
মেরিন্ডা- আপনার পছন্দ হবার মতই, খুব সুন্দরী!
এক জাক কিশোরীর মাঝে তাকে পাবেন।
খুব সুন্দরী!
অপর পাশে থাকা ব্যাক্তি- Very good! তারদিকে যেন কোন শেয়াল কুকুরের নজর না পরে! সে আমার গুহায় বন্দি হবে! পাখি যেন না পালায়!
মেরিন্ডা- স্যার পাখি তো পোষা পাখি! এ পাখি উড়ে যাবে না!
অপরপাশে- তাহলে তো আরও ভালো!
আমি তৈরী শিকার করার জন্য! নজর রাখো তার উপর!
আমি তাকে চাই! বিশ্রীভাবে হেসে উঠলো ব্যাক্তিটি!
মেরিন্ডার মুখেও মুচকি মুচকি হাসি।
আড়াল থেকে মেরিন্ডা আর তার সেই বসের সব কথাই
একজন রেকর্ড করে ফেললো তাদের অজান্তেই!
বস আর মেরিন্ডার কথায় এই বিষয়টা ক্লিয়ার যে বন্দিমেয়ে গুলোকে পাচারের সময় চলে হয়ে এসেছে।
তবে অন্য আরেকজনের কথা বলায় বুঝতে পারছেনা আড়ালে থাকা ব্যাক্তিটি! কে সেই মেয়ে! যাকে চোখে চোখে রাখতে বলা হয়েছে?
ভাবতে ভাবতেই চমকে উঠলো সে! এতো সর্বনাশ করেছে…..
চলবে।
/