নোনাজলের শহর
লেখিকা: হৃদিতা আহমেদ
পর্ব-১৫
‘কি হয়েছে পরীটার এতো কাঁদছে কেন?বলো আমাকে’ প্রয়ার চোখের পানি মুছে আদুরে গলায় বলল আদিব। প্রয়া চোখ টলটলে করে বলল,” মাম মাম” আদিব প্রয়াকে একটু উচু করে গালে টুপ করে একটা চুমু দিয়ে বলল,”ছোট্ট পরীটা কি তার মাম মামের কাছে যাবে?” প্রয়া ঠোঁট ফুলিয়ে মাথা নেড়ে বলল,”মাম মাম দাবো।”
আদিব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে প্রয়ার দিকে, প্রয়াকে মুমুর বিছানায় বসিয়ে দিতেই সে একটাও শব্দ না করে মুমুর গালে একটা চুমু দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে মুমুর বুকের সাথে মিশে শুয়ে পড়েছে।এতো শান্ত বাচ্চা সে তার জীবনে মনে হয় প্রথম দেখলো।
আদিব রেগে বেরিয়ে যাওয়ার পর মুমু কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে গেছিল।সারাদিন না খেয়ে কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত হয়ে ঘুমোনোর ফলে বেশ গভীর ঘুম দিচ্ছে মুমু। হঠাৎ ঘুমের মাঝে তার মনে হলো প্রয়া তার বুুকের কাছে।অনেকক্ষণ কাদার ফলে চোখ মেলতেই চোখটা কেমন ব্যাথা করে উঠে। সত্যিই প্রয়া তার গলা জড়িয়ে শুয়ে আছে। মুমু চোখ মেলতেই প্রয়া তার নাকে চুমু খায়।মুমুও তার নাকে চুমু খায়।হাত বাধা থাকায় প্রয়াকে জড়িয়ে ধরতে পারছেনা মুমু।এতক্ষণ মা মেয়ের প্রেম দেখছিল আদিব।মুমুর হাতে চোখ পরতেই ‘সিট’ বলেই দৌড়ে বাঁধন খুলে দেয়।
অনেকক্ষণ হাত বাধা থাকায় সোজা করতেই আহ করে চোখ বন্ধ করে ফেলে মুমু।”ডোন্ট মুভ” বলেই অস্থির ভাবে মুমুর পাশে বসে হাত দুটো ধরে ম্যাসেজ করতে থাকে আদিব।মুমু টলটলে চোখে আদিবের দিকে তাকিয়ে থাকে।আর প্রয়া মুমুর পিছন থেকে গলা জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে আদিবের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।হয়তো ভাবছে লোকটা মাম মামের হাতে কি করছে।
আদিব হাত ম্যাসেজ করে সামনে তাকাতে দেখে মা-মেয়ে দুজনেই তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।শান্ত কন্ঠে মুমুকে প্রশ্ন করে,” প্রয়া কে?” মুমু ফট করে উত্তর দেয়,”আমার মেয়ে” উত্তর শুনে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আদিবের। থাপ্পড় দিতে যেয়েও প্রয়ার দিকে তাকিয়ে ফটাফট পা ফেলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
মিমন, সৃজা আর মা অবাক হয়ে বললে ভুল হবে, স্তব্ধ হয়ে যে যার জায়গাতে দাড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে সকলে বাক-প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে।হঠাৎই মিমন কি যেন ভেবে এগিয়ে গিয়ে পাশের এপার্টমেন্টের কলিংবেল চাপলো, দুই বার বাজার পরেও কোনো সাড়া না পেয়ে কয়েকবার আদিব বলে ডাকলো।কিন্তু ফলাফল শূন্য, হতাশ হয়ে ড্রয়িং রুমে এসে বসে পড়ে মিমন। সৃজা দ্রুত মেডিসিন বক্স নিয়ে এসে মিমনের নাক থেকে রক্ত মুছতে লাগে। তখনই আদিব ঝড়ের বেগে এসে সৃজাকে সড়িয়ে মিমনকে ওরা ধুরা মারতে থাকে আর রেগে বলতে থাকে,” আগের টা আমার পক্ষ থেকে ছিল, এগুলো তোর বোনের জন্য।তুইতো বলেছিলি তোর বোনের গায়ে যেন হাত না উঠায়।” সৃজা থামাতে এলেই আদিব রেগে চিৎকার করে বলে উঠে, ” Sriza stay away” টানা বিশ মিনিট মিমনকে ইচ্ছা মতো পিটিয়ে সেখানেই সোফাতে গা এলিয়ে বসে আছে আদিব।মরিয়ম বেগম আদিবের উদভ্রান্তের মতো আচরণ দেখে চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেছেন।আদিব মারার সময় টু শব্দ না করলেও,সৃজা ঔষধ লাগাতেই উহ আহ করছে মিমন।
মিমন মাথা নিচু করে বসে আছে আদিবের সামনের সোফাতে। “তুই বলবি নাকি তোর বোনের গলা টিপে কথা বের করবো?” ভীষণ রেগে কথাটা বলল আদিব।মিমন শান্ত চাহনিতে তাকায় আদিবের দিকে। তারপর মুমুর নিখোঁজ হওয়া থেকে শুরু করে কলকাতা যাওয়ার ঘটনা বলে ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে মিমন।আদিব গম্ভীর হয়ে কিছু একটা ভেবে ফট করে বলে উঠলো,” প্রয়া কী তোর মেয়ে?” মিমন ফত করে একটা নিশ্বাস নিয়ে বলল,”না”
কলকাতার মতো শহরে মুমুকে একলা যেতে দেওয়ার সাহস হয়নি আমার। কাকুর পরিচিত বন্ধুর বাসায় একমাস থাকার পর মুমকে কলেজে ভর্তি করে হোস্টেলে তুলে দিই।আর আমিও একটা বয়েস হোস্টেলে থাকতে শুরু করি।কলেজেই প্রনয়া নামের একটা হিন্দু মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হয় মুমুর। তিন মাসেই মুমুকে কলিজার বান্ধবী বানিয়ে নিয়েছিল মেয়েটা।মুমুর সবকিছু জানার পরে মেয়েটা আমার সামনেই মুমকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো ভ্যা ভ্যা করে কেঁদেছিল। যদিও স্যাড মোমেন্ট ছিল কিন্তু ওর বাচ্চাদের মতো কান্না দেখে আমি আর মুমু অট্টহাসি দিয়েছিলাম। চারমাসে সেদিনই হয়তো প্রথম হেসেছিল মুমু।
তারপর থেকে মুমুকে নিজের আপন বোনের মতো ভালোবাসতো।মুমুকে সব ছুটি, অনুষ্ঠানে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেত।বাবার অসুস্থতার কারনে আমি পাঁচ মাস পরই ব্যাক করি।ততদিনে প্রণয়া মুমুকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসেছে। দুজনেই একই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। ভার্সিটিতে প্রণয়ার তার সিনিয়র রায়ান খান নামের একটা মুসলিম ছেলের সাথে রিলেশন হয়।প্রণয়ার ফাইনাল ইয়ারে রায়ান জব পেয়ে দুই পরিবারের অমতেই বিয়ে করে নেয়। খুব ভালো কাটছিল ওদের সংসার।বিয়ের পর প্রণয়া মুমুকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়।বিয়ের তিন মাস পরেই প্রনয়া প্রেগন্যান্ট হয়,তার একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়। দুজনে মিলে আগেই প্রয়া নাম ঠিক করে রেখেছিল।মুমু, প্রয়া,রায়ান আর প্রণয়ার জীবন চলছিল আপন গতিতে।প্রয়ার ছয়মাস বয়সে হঠাৎই এক ভয়ানক দুর্ঘটনায় রায়ান মারা যায় আর প্রণয়া হসপিটালে একদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায়। হসপিটালে থাকাকালীন প্রয়াকে মুমুর হাতে তুলে দিয়েছিল প্রণয়া। মারা যাওয়ার পরেও ওদের পরিবারের কেউ কোনরকম খবর নেয়নি।
ছোট্ট দুধের বাচ্চাকে নিয়ে মুমু দিশেহারা হয়ে উঠেছিল।আমাদেরও যাওয়া সম্ভব হয়নি, তখন কাকুর সেই বন্ধুই আবার সাহায্য করেছিলেন। মুমু প্রয়াকে নিয়ে তার বাসায় থেকে অনেক কষ্টে মাস্টার্স শেষ করেই দেশে ফিরে আসে।
সবকিছু বলেই মিমন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আদিবের দিকে তাকায়।আদিব একধ্যানে তার সামনে থাকা টি-টেবিলের দিকে চেয়ে আছে।হঠাৎই কোনো কথা ছাড়া আদিব উঠে হাটা শুরু করে, দরজার কাছে যেয়ে পিছনে ঘুরে গমগমে গলায় বলল, “তোর মাথামোটা, অসভ্য বোনকে একদম শেষ করে ফেলবো আমি, ওর ওস্তাদগিরি ছুটাচ্চি।” বলেই দরজা বন্ধ করে বের হয়ে যায় আদিব।নোনাজলের শহর
লেখিকা: হৃদিতা আহমেদ
পর্ব-১৬
সারারাত না ঘুমোনোর ফলে মাথাটা কেমন ভারী ভারী লাগছে আদিবের। তাই এসেই ফটাফট সাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলে যায়।বের হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে সাড়ে আটটা বাজে প্রায়।মৃদু পায়ে মুমুর রুমের দিকে এগিয়ে যায় আদিব।দরজা হালকা খুলতেই দেখতে পায়, মা-মেয়ে দুজনেই এখনো ঘুমিয়ে আছে।আদিব দরজাটা চাপিয়ে ভিতরে এসে দাঁড়ায়।
প্রয়া মুখে আঙুল পুড়ে একহাতে মুমুর শাড়ী ধরে মুমুর বুকের সাথে মাথা ঠেসে ঘুমিয়ে আছে। এক পলক মুমুর দিকে তাকাতে মাথাটা ঝিমঝিম করতে শুরু করে। সেই একইভাবে লম্বা চুল গুলো এলোমেলো করে বালিশের এক পাশে ছড়িয়ে আছে, সামনের জুলফি গুলো মুখে গলায় লেপ্টে আছে,ভরাট ঠোঁটের নিচে তিলটা মনে হচ্ছে আগের থেকে কালো দেখাচ্ছে, আগের থেকেও বেশি মোহনীয় লাগছে মুমুকে।আদিব খেয়াল করলো মুমু আগের চেয়ে অনেক ফর্সা হয়ে গেছে।প্রয়া শাড়ী ধরে রাখায় মুমুর ফর্সা পেটটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।উফফ অসভ্য মেয়েটা এতো ভয়ংকর ভাবে ঘুমচ্ছে কেন? মুমুর কপালে একটা ডিপ কিস করে।হঠাৎই প্রয়ার দিকে চোখ পড়তেই দেখে প্রয়া তার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।আদিব তার দিকে চেয়ে হাসি দিতেই সেও তার ফোলা ফোলা চোখে গালে টোল ফেলে হাসি দেয়।তারপর সাবধানে প্রয়াকে কোলে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে।
প্রয়াকে ফ্রেশ করে নিয়ে ছাদে চলে আসে আদিব।ছাদে এসে ভীষণ খুশি হয়ে যায় প্রয়া, আদিবের সাথে জমিয়ে ছুটাছুটি করে হাঁপিয়ে গিয়ে আদিবের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রাখে।আদিব তাকে একটা গোলাপ তুলে দিতেই ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে আদিবের গালে চুমু দেয়।আদিবও তার পাওনা টা পরিশোধ করে দেয়।এসময় টুকু তেই প্রয়াকে পাপা বলার ট্রেনিং দিয়ে ফেলেছে আদিব।প্রয়া যখন তাকে তার পাখির মতো ছোট্ট ঠোঁটে পাপা ডাকতে শুরু করে,তার মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি নামে তাকে ডাকছে ছোট্ট পরীটা।
সাড়ে নয়টায় এসেছে টুনি কিন্তু কারো আতা পাতা পাচ্ছে না।মরিয়ম বেগম নিজের রুমে বসে চা খাচ্ছেন।কিন্তু প্রয়াকে একবারো দেখা যায়নি।অন্যদিন আসলেই পিছন পিছন ঘুরঘুর করে ছাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।এসব ভাবতে ভাবতে সবজি কাটছিলো টুনি,কলিংবেলের শব্দে ভাবনাতে পানি ঢেলে উঠে যায়।
দরজা খুলে আদিবের কোলে প্রয়াকে দেখে চোখ বড়ো হয়ে যায় টুনির।”পয়া আম্মা কি আইজকাও বাইর হইয়া গেচিলো,কিন্তু আমিতো দোরোজা আটকাইয়াই ঢুকচি।” অপরাধী কন্ঠে বলল টুনি।আদিব শান্ত কন্ঠে বলল, “না, ও আমার কাছেই ছিল।” টুনি প্রয়াকে নেওয়ার জন্য হাত বাড়াতেই প্রয়া আদিবের গলা জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা রাখে যার অর্থ সে পাপার কাছেই থাকবে। ততক্ষণে মরিয়ম বেগম কলিংবেলের শব্দ শুনে ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়িয়েছেন।
ঘুম ভেঙে দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকাতেই লাফিয়ে উঠে বসে মুমু।দশটা বেজে গেছে অথচ কেউ তাকে ডাকেনি কেন?রাতের কথা মনে হতেই পাশে তাকিয়ে দেখে প্রয়া নেই। তাড়াহুড়া করে দরজা খুলতে গেলেই বুঝতে পারে দরজা বন্ধ রয়েছে।হতাশ হয়ে আবার বিছানায় এসে বসে।ভাবতে থাকে তার জীবনের সবচেয়ে বিশ্রী দিনটার কথা।
কলকাতা যাবার পরেও বিভিন্ন ব্ল্যাঙ্ক নম্বর থেকে মেসেজ পেতো মুমু।প্রণয়ার বিয়ের কিছুদিন পর তারা মুমুকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিল ডিনার করতে।কিন্তু সেদিনের মেসেজ টা পড়ে মুমুর পৃথিবী থমকে গিয়েছিল।খাবার টেবিলে বসার পরে অপরিচিত নাম্বার থেকে অনেক বার কল আসলেও রিসিভ করে না মুমু।কিছুক্ষণ পরে একটা মেসেজ আসে, সেটা ওপেন করে “জান আদিব তো অনেক আগেই উপরে চলে গেছে তুমি এবার আমার কাছে ফিরে আসো জান।” মেসেজ টা পড়েই মুমু সেন্সলেস হয়ে যায়।তারপর জ্ঞান ফিরেতে প্রণয়াকে সব বলতেই রায়ান ভাই অনেক চেষ্টা করেও আদিবের কোনো খবর নিতে পারেননি।মুমুর পাগলামি দেখে প্রণয়া তাকে নিজের কাছে নিয়ে রেখেছিল।
অতীতের কথা মনে করে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে মুমু।তখনই দরজা খুলে খাবার ট্রে হাতে ভিতরে আসে আদিব।খাবার ট্রে বিছানায় রেখে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই মুমু তাকে জাপটে ধরে।হঠাৎ জড়িয়ে ধরায় পড়ে যেতে নিয়েও কোনরকম সামলে নেয়।মুমু তাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে যেয়ে হঠাৎই ডিভোর্স পেপারের কথা মনে পরতেই মুমুকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আদিব।তাল সামলাতে না পেরে মুমু নিচে পড়ে যায়।আদিব মুমুর সামনে হাটু গেড়ে বসে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,” একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবি না,ডিভোর্স দিয়ে এখন নেকামি করছিস?” বলেই রুম থেকে বের হয়ে যায়।কিছুক্ষণ পরেই ঝড়ের বেগে এসে রেগে বলে উঠে,” খাবার গুলো না খেলে প্রয়াকেও কোনো খাবার খেতে দিবো না।” বলেই শব্দ করে দরজা বন্ধ করে চলে আসে আদিব।
সকালে মিমনের ফোন পেয়েই ছুটে এসেছে রূপক।আজ সে মুমুকে রাজি করিয়েই ছাড়বে, আর পারবে না সে অপেক্ষা করতে।ড্রয়িংরুমে বসে অস্থির ভাবে পা ঝাঁকাচ্ছ আর কথাগুলো ভাবছে রূপক।মিমন আসতেই মিমনের সাথে হাত মিলিয়ে জড়িয়ে ধরে।রূপকের এই হাগ করার ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগে মিমনের।পরিচয় হওয়ার পরে যতবারই দেখা হয়েছে রূপকের অমায়িক ব্যবহার বরাবরই মুগ্ধ করে।চার বছর আগে আদিবের কোনো খবর না পেয়ে মুমু যখন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল রূপক তখনই প্রথম মুমুকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিল।মুমুর সকল বিপদে সবসময় সাহায্য করেছে এই ছেলেটা।
“মিমন ভাই আমি মুমুর সাথে একটু কথা বলতে চাই, ওকে আমি নিজে বোঝাবো বিয়ের ব্যাপারে প্লিজ ওকে একটু ডেকে দিন ভাই।” মিমনের হাত ধরে অস্থির হয়ে কথাটা বলল রূপক।মিমন কিছু বলবে তার আগেই কলিংবেলের শব্দে উঠে দাড়ায়, দরজা খুলে দেখে আদিব দাঁড়িয়ে আছে।মিমনের পিছনে আদিবকে দেখে রূপক হতবাক হয়ে উঠে দাড়ায়।মিমন রূপকের পরিচয় দিতেই আদিব নিজের হাত বাড়িয়ে দিল রূপকের দিকে।
চলবে
চলবে