#পণ্যস্ত্রী #Part_4
#লিখা- #Yasira_Abisha
অন্য কাজের মেয়েটা একটা থালি নিয়ে আসলো আলতা ভরতি
এবং রুহির পায়ের কাছে রেখে বলল এখন প্রবেশ করুন ভাবি।
রুহি চমকে উঠে ভাবি ডাক শুনে
তখনই ইরাদ ওর হাত ধরে এবং ওরা একত্রে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।
রুহি ঢুকছে আর ওর পায়ের চিহ্ন পরছে সাদা কাপড় এর মধ্যে,,
ইরাদ খুব যত্ন করে রুহির হাত ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে এই হাত খুব আপন কারো যার ওপরে বিশ্বাস রাখা যায়।
রুহির যে এসব ভালো লাগছে এটা ও নিজেও বুঝতে পারছেনা।
ভেতরে আসার পরে
ইরাদ- ফ্রেশ হয়ে নাও রুহি
রুহি- হুম
ইরাদ- ঘরে চল তাহলে,, টুনি তোর আবির ভাইয়ের জন্য কিছু স্ন্যাকস নিয়ে আয়,,আবির তুমি বস আজকে লাঞ্চ করে যাবা,,
আর ঝুনু খালা রান্না হইসে?
ঝুনু- হুম সাহেব রান্না শেষ।
রুহি চুপচাপ দাড়িয়ে আছে কিছুই বলছেনা,,
ইরাদ রুহির দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলল
ইরাদ-জান চল।
রুহি- আচ্ছা
রুহু ইরাদ ২জনই ওপরে চলে গেলো
নিচে ঝুনু টুনি আর আবির বসা
ঝুনু- বাবা তুমি যদি আজকে না থাকতে তাহলে আমাদের সাহেবের মুখে এই হাসি আর দেখতে পেতাম না
আবির- খালা স্যার আমার জন্য অনেক অনেক করেছে উনার জন্য এই টুকু কোনো ব্যাপারই না,,
আর আল্লাহ মালিক উনি না থাকলে তো কিছুই সম্ভব হতো না,,
আমাদের এই পদক্ষেপে ২জন মানুষের জীবনেই সুন্দর হয়ে যাবে,,জানেন খালা এই রুহি মেয়েটা অনেক ভালো জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে ওর।
ঝুনু- ছোট ভাবি কি জানে? পুরা ঘটনা?
আবির-না আমি তাকে কিছুই বলার সময় পাইনি,,
টুনি-তাহলে তো তাকে সব জানানো দরকার নাহলে ভাইয়ার সামনে উনি উল্টা পালটা কিছু বলে দিলে?
আবির আর ঝুনু খালা ২জনেই সম্মতি দিলো টুনির কথাতে।
অন্য দিকে রুহিকে নিয়ে ইরাদ নিজের ঘরে প্রবেশ করলো আর বলল আজকে তুমি এখানেই ফ্রেশ হও তোমার রুম গুছানো লাগবে ডেকোরেশান চেঞ্জ করতে দিসিলা না? সবই হয়ে গেসে বাট পরিস্কার করা লাগবে,, কথা গুলো রুহি মিলাতেই পারছেনা এরপর ঘরে ঢুকতেই যেন রুহি আরও চমকে উঠে,
এরকম কিছু দেখার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিলো না,,
বেডের ওপরের ওয়ালে রুহির আর ইরাদের ছবি লাগানো বেশ বড় একটা ছবি,,
যেখানে রুহি সামনে আর ইরাদ ওকে কোমড় জড়িয়ে ধরে রেখেছে,, ওরা ২জনই বেশ হাসিখুশি।
রুহির যেন মাথা ঘুরে গেলো কারণ এই মেয়েটা তো ও না আর জীবনে কখনও ইরাদকে ও দেখেও নি।
ও যেন এক গোলক ধাধায় পরে গেলো এসব কি হচ্ছে কিচ্ছুই বুঝতে পারছেনা,,
ইরাদ- কি হলো রুহি? আগে তুমি যাও ফ্রেশ হতে তারপরে আমি যাচ্ছি তোমার সব কাপড় আমি নতুন আনিয়েছি সব গুলো টুনি মেইবি সব কাপড় চোপার লেফট সাইডে রেখেছে গুছিয়ে তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও।
রুহি-আচ্ছা
আলমারী খুলেই রুহি দেখলো অনেক কাপড় গহনা বিভিন্ন মেকাপের সামগ্রী।
রুহি একটা বেগুনী শাড়ি বেড় করে ওয়াশরুমে গিয়ে পরে নিলো, এরপরে ওয়াশরুম থেকে বেড় হয়ে ড্রেসিং টেবিলে বসে শাড়ির সাথে ম্যাচিং এয়াররিং চুড়ি লিপস্টিক পরে ফেলল,,
রুহি র্যেডি হচ্ছে আর ইরাদ ওর দিকে তাকিয়েই আছে ইরাদের এক ধরনের নেশা কাজ করে ওকে দেখলে মনে হয় ওকে দেখতেই থাকি সারা দিন,,
অবশ্য রুহিকে খুব দারুণ লাগছে দেখতে,,
সাজ সজ্জা শেষ হবার পরে রুহি চুল গুলো বাধতে নিলো তখনই পেছন থেকে ইরাদ বলে উঠে – এরকমই রাখো চুল বাধার দরকার নাই।
রুহি- আচ্ছা।
ইরাদ- বাই দা ওয়ে,, আমার পরি এত ভালো হয়ে গেলো কি করে? আমি এখনও বসে আসি ফ্রেশ না হয়ে আর আপনি আমাকে কিছুই বলছেন না?
রুহি- আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন।
ইরাদ- ওকে <3
এই বলে ইরাদ চলে গেলো বাথরুমে,,
তারপর রুহি হেটে হেটে ঘরটা দেখছে,,
বেশ সুন্দর টিপটপ ভাবে সাজানো হয়েছে ঘরটা,, রুহি অনেকটাই বিস্মিত কাল রাত থেকে কি সব হচ্ছে এগুলো? কেন হচ্ছে? কিছুই ওর মাথায় খেলছেনা।
সে সময় কে যেন দরজার কড়া নাড়লো,,
দরজা ভেরানো ছিলো,,
বাইরে থেকেই একজন মেয়ে বলল ভাবি আসি ভেতরে?
রুহি হুম বলল
দেখলো টুনি এসেছে
টুনি- ভাবি ভাই কি বাথরুমে?
রুহি- হুম,,
টুনি- আপনার সাথে একটু জরুরি কথা ছিলো যদি কিছু মনে না করেন একটু নিচে আসবেন প্লিজ?
রুহি- আচ্ছা চল।
টুনি এক মিনিট ভাবি এই বলেই ইরাদের বাথরুমের সামনে যেয়ে টুনি বলল
ভাই আমি একটু ভাবিকে নিচে নিয়ে যাচ্ছি আপনাকে জানিয়ে গেলাম
এরপর টুনি রুহিকে নিচে নিয়ে আসে
নিচে আবির ঝুনু খালা সবাই আছে
ঝুনু খালার হাতে কিছু একটা বইয়ের মত,,
তারা রুহিকে দেখতেই বসতে বলে,,
আবির- আপনি মেইবি চিন্তিত যে এসব কি হচ্ছে আপনার সাথে তাই না??
(