বিয়ের আসর থেকে বর পালিয়ে যাওয়ায় যে বরের ছোটভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারিনি আমি। তাও এমন একজন মানুষের সাথে বিয়েটা হয়ে গেলো, যে কি না আমার থেকেও মাসখানেকের ছোট। সাথে চিরশত্রুও। এই লম্বা সুঠামদেহী মানুষটাকে দেখলেই রাগে গা হির হির করে আমার। মাথা ফা/টি/য়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। সমবয়সী হওয়ায় একই ভার্সিটিতে আমাদের যুদ্ধ লেগেই থাকতো আর সেই মানুষটাকেই কিনা স্বামীরুপে বাসর ঘরে দেখতে হবে! সর্বনাশ!
এদিকে প্রায় দুঘন্টা ধরে সেই প্রণয়ের জন্য বাসরঘরে অপেক্ষা করছি। অথচ উনার কোনো পাত্তা নেই। নিশ্চয়ই আমাকে জব্দ করার নতুন ফন্দি আটছেন উনি! আমিও কম কিসে! বেশী বাড়াবাড়ি করলে দেখাবো মজা।
অবশেষে দু’ঘন্টা পর তিনি রুমে প্রবেশ করলেন। রুমে টিভি চলছে, আর আমি ঘুমে ঢুলছি। উনি রুমে প্রবেশ করে দরজা করে ফোনের ওপাশে কাউকে বললেন,
‘ প্রণয় কখনো কাঁচা কাজ করেনা দোস্ত। তুই লোক লাগা। আমার শুধু নিউজ চাই ‘ -প্রণয়
কথাটা বলেই আমার দিকে একবার তাকালেন উনি। অতঃপর ভাবলেশহীন ভাবে ফোনটা কেটে দিতেই টিভিতে একটা নিউজে চোখ আটকে গেলো দুজনার..
“ব্রেকিং নিউজঃ রংপুরের সাতমাথা হতে এক অজ্ঞাত পুরুষের লা/শ উদ্ধার। বরাবরের মতো এই লোকটিকেও কু/পিয়ে হ/ত্যা করা হয়েছে। যা বিগত সাতদিনে ঘটে যাওয়া পাঁচটা খু/নের সাথে আকষ্মিকভাবে মিলে যায়। রংপুর পুলিশ হাইকমিশনার জানিয়েছেন, এটা কোনো সাধারণ খু/নি/র কাজ নয়। এখানে নিশ্চয়ই কোনো সিরিয়াল কি/লারের হাত
আছে। তিনি উক্ত হ-ত্যাচক্রের ভার সিনিয়র গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য অর্ক চৌধুরীর উপর অর্পন করেছেন। অর্ক চৌধুরী জানিয়ে…”
পুরো খবরটা শোনার আগেই আমার হাত থেকে রিমোট কেরে নিয়ে টিভি অফ করে দিলেন প্রণয়। অতঃপর পৈশাচিক হাসি দিয়ে বেলকণির দিকে এগিয়ে গেলেন। উনি যে আজকে বিয়ে করেছেন আর বউ যে উনার সম্মুখে এটা যেনো ভুলেই গেলেন।..
— অতীত
বর পালিয়েছে! ব্যাপারটা পরিষ্কার হওয়ার পর বরপক্ষ নিজেদের মানসম্মান রক্ষার্থে বাড়ির ছোটছেলের সাথে আমার বিয়ের প্রোপোজাল দিয়েছে । কথাটা শুনতেই আমার মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো। আশ্চর্য! বর কেনো পালাবে? উনার কি আমাকে পছন্দ হয়নি? তাহলে তো এই কয়েকদিনে জানানো কথা।
খবরটা নিয়ে এসেছে আমার আম্মু ফারজানা আহমেদ। আম্মু আমার সুসজ্জিত বিছানায় বসে গম্ভীর কন্ঠে বললো,
– দেখ ফাহমিদা। বিয়েটা তোকে করতেই হবে। বরপক্ষ থেকে অনেক রিকুয়েষ্ট করেছে তোর আব্বুকে। অনেক রিকুয়েষ্ট করার পর তিনি না চাইতেও রাজি হয়েছে। মাঝখানে তুই আবার বাঁধা দিস না। তোর আব্বুর মানসম্মানটা অন্তত রাখ। -আম্মু
কথাটা শুনে আমি পাথর হয়ে বসে রইলাম। জবাব দিলাম না। আচ্ছা, উনি পালালেন কেনো? আমার মাঝে কিসের কমতি ছিলো? অবশ্য উনি বিয়ে না করলেও সমস্যা নাই। উনার সাথে দুএকদিন কথা বলে বুঝতে পেরেছিলাম লোকটা অনেক ভালো। সুন্দর করে কথা বলতে পারে। খানিকটা প্রেমেও পড়ে গিয়েছিলাম বোধহয়। কিন্তু এখন সব অনুভুতি জলে চলে গেলো। তাতেও সমস্যা ছিলো না। সমস্যা তৈরী হয়েছে ওনার ছোটভাইকে নিয়ে। আমার চিরশত্রুর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে ভাবতেই কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। পোলা যে শয়তানের শয়তান। বিয়ে করে তো আমায় একদম গরম তেলে ভাজবে। আম্মু আমাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে বলে কিছুক্ষণ আমার দিকে নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
আমি ফাহমিদা আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। আজকের দিনটার জন্য যে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম। সবকিছু যেনো কর্পূরের মতো উবে গেলো। যার সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তার নাম অর্ক চৌধুরী। বিয়ের দশদিন আগে উনার সাথে আমার পরিচয় হয়। সবকিছু ঠিক ছিলো। এমনকি ঘন্টাখানেক আগেও ওনার সাথে আমার কথা হয়েছে। এখন অবশ্য ফোন অফ দেখাচ্ছে। আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ে ভাঙন স্পষ্ট হলো। লোকটাকে একটু ভালোলেগেছিলো আমার। হয়তো না পালালেও পারতেন! অবশ্য পালিয়ে বেঁচে গেছে। আম্মু বলে, আমি যার কপালে আছি, সে নাকি জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
উনার ছোটভাইয়ের নাম প্রণয় চৌধুরী। উনি অবশ্য অর্কের নিজের ভাই না। সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এতদিন যাকে বন্ধু নামে শত্রু ভেবে এসেছি, তাকে বিয়ে করতে হচ্ছে। বড়ভাইয়ের সাথে বিয়ে হবে শুনে কয়েকদিন থেকে আমাকে এড়িয়ে চলতেন। এখন যে কি হবে আল্লাহই জানে!
—
পুরো বাড়ির গমগমে অবস্থা মহুর্তেই পন্ড হলো। যারা বিয়েতে হইহট্টগোল করেছিলো, সবাই এখন ঝিমিয়ে গেছে। আমার বড়ভাই আকিব আহমেদও স্থির হয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে। কত আশা করে ছোটবোনের বিয়ের এরেন্জ করেছিলো, বন্ধুবান্ধবদের ইনভাইট করেছিলো। সবাই যেনো শোক পালন করছে। এখন শুধু বরপক্ষের লাল লজ্জা কমাতে পরিবারের ছোট ছেলের সাথে বিয়ে হচ্ছে আমায়।
আমি শেষবারের মতো উনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম। বরাবরের মতো এবারো সুইচড অফ। আমি হাল ছেড়ে দিয়ে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিলাম।
ঠিক তখনি রুমে আমার তিন অক্সিজেন ভান্ডার ঢুকে পড়লো। যাদের ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ। আমার তিন বান্ধুবী। রুমে ঢুকেই যে যার মতো সোফায়, বিছানায় বসে পড়লো। মেহজেবিন আর নাদিয়া সোফায় বসেছে। কথামালা আমার বিছানায় ধপ করে বসে বললো,
‘ এটা কি হলো দোস্ত! তুই নাকি ঐ হাদারামকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলি! তুই জানিস, ও তো কথাই বলতে জানে না। আর যে মুড বাবা! মনে হয় আইন্সটাইন। দেখ, এখনো সময় আছে। যে চলে গেছে, তাকে যেতে দে। এই পোলাকেও বিয়ে করিস না। তার থেকে চল আমরা বিয়েটা ক্যান্সেল করে দার্জিলিং ট্যুর দেই। আমার বাপে সব ভিসা টিসা ম্যানেজ করে দিবে। ‘ -কথা
কথাটা বলেই কথামালা ওর নাকের নিচে পড়ে যাওয়া চশমাটা ঠিক করে উঠিয়ে দিলো। মেহজেবিন ওর কথার উপর জল ঢেলে দিয়ে বললো,
‘ সামনে ফাইনাল ইয়ার কু-ত্তি। এসব ভাবনা মাথা থেকে বাদ দে। আর প্রণয় তো দেখতে খারাপ না৷ লম্বা-চওড়া, সুদর্শন, যদিও ফাহুর সাথে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। তবে আমাদের ফাহমিদা ঠিক ম্যানেজ করে নিবে। আচ্ছা করে জব্দ করা যাবে। ‘ -মেহজেবিন
‘আমার কিন্তু অর্ক ভাইয়ার জন্য খারাপ লাগছে রে। ভাইয়া কি সত্যি সত্যি পালালো। নাকি কোনো বিপদ হয়েছে। আমার মনটা মানছেনা। ফাহু, তুই কি ডিসিশন চেন্জ করবিনা? ‘ -নাদিয়া
আমি সবার কথা শুনেও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালাম না। কথুর (কথামালা) কথামতো যদি বিয়েটা ক্যান্সেল করি, কেমন হয়? তখন আবার আমার মা-বাবা অপমানিত হবে না? ওরা তো সব সিদ্ধান্ত নিয়ে তবেই আমাকে জানিয়েছে। এখানে আর আমার কি করার। আমি শাড়িটা একটু গুটিয়ে দিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বললাম,
‘ না’রে। আমার কারণে আমার বাবা-মায়ের অম্মান হোক, এটা চাইনা। এমনিতেই অর্ক পালিয়ে যাওয়ায় ব্যাপারটা খুব বাজে হয়ে গিয়েছে। এখন বিয়েটা ক্যান্সল করে ঝামেলা বাড়াতে চাইনা- আমি
আমার কথায় সবাই কেমন গম্ভীর চাহনি নিক্ষেপ করে ক্ষণকাল নিশ্চুপ রইলো। অতঃপর ছুটে এসে বিছানায় উঠে কথা বললো,
‘ হাদারামটা তো তোর থেকেও ছোট। আচ্ছা ও কি করে রে? জব আছে কোনো? নাহলে বিয়ে ঠিক করলো যে! ‘ -কথা
‘ তুই প্রণয়কে এভাবে বলছিস কেন কথু। ও আমাদের শত্রু হলেও দুলাভাই। মানে শত্রুলাভাই। ‘ -নাদিয়া
‘ দুলাভাই না ছাই। এমনভাবে দরদ দেখাচ্ছিস যেনো তোর জামাই লাগে। ‘ -কথা
‘মুখ সামলে কথা বল কথু। আমার না হওয়া জামাই থাকতে ওরে কেন নজর দিমু? ‘ -নাদিয়া
আমি বুঝে গেলাম এরা এখন তৃতীয় বিশ্বযু’দ্ধ সৃষ্টি করবে। তার আগেই একপ্রকার চেঁচিয়ে বললাম,
‘ তোরা চুপ করবি? এখন কিভাবে ঐ হাদারামকে শায়েস্তা করা যায়। সেই সংবিধান রচনা কর। ‘ -আমি
মহুর্তেই নিশ্চুপ হয়ে গেলো সবাই। মেহজেবিন কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারলো না। হঠাৎ বাইরে থেকে খবর এলো বিয়ের সব এরেন্জমেন্ট আবার শুরু হয়েছে। বরপক্ষ খুব তারাতারি বিয়ে পড়িয়ে নিয়ে যাবে আমায়। অতটা জাঁকজমক থাকবে না।
আমার বুক চিরে আরো একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসলো। কান্নারা দলা পাকিয়ে নেত্রপল্লব ভিজিয়ে দিলো। আমি কান্না থামানোর বৃথা চেষ্টা করে বিয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম। মনে মনে ভেবে নিলাম, অর্ক নামে আমার জীবনে কেউ আসেনি, সামনেও আসবে না। উনার অস্তিত্ব মুছে ফেলতে হবে। সেটা খুব শীঘ্রই।
—
একদম সাধারণভাবে বিয়ে হয়ে গেলো আমাদের। কবুল বলতে গিয়ে কন্ঠনালী শুকিয়ে গিয়েছিলো আমার। নেহাত বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে বিয়েটা করতে হলো। আমি তো অন্য কারো মতো বাবা-মায়ের অসম্মান হতে দেখতে পারি না! ঘন্টাখানেক আগেও যার জন্য স্বপ্ন দেখেছিলাম। তিনি এখন পরপুরুষ। তিনি কি আদৌ বিয়েতে সম্মত ছিলেন? নাকি সবটাই অভিনয়! ধুর, যা হয়েছে হয়েছে। আমি কি ভালোবাসি নাকি। শুধু একটু মায়ায় পরে গিয়েছিলাম। তার থেকে বরং সামনের যুদ্ধ’তে ফোকাস করি।
বিদায়ের মহুর্তে এসে বাবা-মা’র সাথে আমিও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। সামনে আমার ভাগ্যে কি হতে চলেছে তা অজানা।
বাবা নীরবে চোখ মুছে তাঁর আদরের কন্যাকে বিদায় দিলেন। ভাইয়া এসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,
‘প্রণয় অনেক ভালো ছেলে ফাহু। তোরা তো এমনিই বন্ধু। সামনে বন্ধুত্বটা যেনো আরো গাঢ হয়। খেয়াল রাখিস। দেখবি, অনেক সুখি হবি ‘ -ভাইয়া
ভাইয়ার কথায় ভীষণ আবেগী হয়ে পড়লেও মনে মনে ভাবলাম ‘আমরা বন্ধু ছিলাম কবে? আমাদের প্রতিটা অঙ্গে-প্রতঙ্গে শুধু একে-অপরের বিনাশ লুকায়িত। ভাইয়ার কথা বলার মাঝেই নাদিয়া উপস্থিত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘ তোর ভাইয়া একদম ঠিক বলেছে দোস্ত। দেখবি, অনেক সুখি হবি তুই। কাল দেখা হচ্ছে’ – নাদিয়া
নাদিয়ার সাথে সাথে পুরো গ্যাং এসে জড়িয়ে ধরলো আমায়। আমি কথা বলতে পারলাম না। প্রণয়কে জ্বালাতে ওরা আমায় কতটা হেল্প করবে সেটাই দেখার বিষয়!
—
ঘড়িতে রাত ১১ঃ২৩। প্রণয় এই মাঝরাতে শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমের ভীতরে ঢুকেছে। অতঃপর বের হওয়ার নাম নেই। আমি বিছানা থেকে নেমে আমার থেকে ডাবল উঁচু মিররে নিজেকে একবার দেখে নিলাম। সব কিছু ঠিক আছে। ইতোমধ্যেই অসহ্যকর বস্তু শাড়ি ছেড়ে দিয়ে একটা সুতি সালোয়ার-কামিজ গায়ে জড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রণয়ের সাথে তেমন কথাকাটাকাটি হয়নি। আর এদিকে আমার হাত-পা-মুখ নিশপিশ করছে কথা বলার জন্য। আমি ওয়াশরুমের দরজায় গিয়ে দুটো ধাক্কা দিয়ে তৃতীয়টা দিতে যাবো, তার আগেই উনি দরজা খোলায় হুরমুর করে উনার উপর পরে গেলাম। আকষ্মিক আমার ধাক্কায় ফ্লোরে পড়ে গেলেন উনি। এদিকে উনার শরীরের উপর পরে যাওয়ায় তেমন ব্যথা না পেলেও প্রচন্ড লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম। সাথে সাথেই প্রণয় অগ্নিমুর্তি ধারণ করে রুদ্ধ স্বরে বললো,
‘ হাউ ডেয়ার ইউ। ‘ -প্রণয়
‘ সরি সরি সরি! আমি আসলে বুঝতে পারিনি। ‘ -আমি
প্রণয় রাগে আমাকে একপ্রকার ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে রুমে চলে আসলো। অতঃপর আমি ওনার শরীরের দিকে তাকিয়ে পুরাই হা হয়ে গেলাম। শরীরে একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ছাড়া একটা সুতাও নাই। উনি বিষয়টা লক্ষ্য করতেই শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে বললেন,
‘ আমি তো আগে থেকেই জানতাম আপনি এবং আপনার পুরো গ্যাংয়ের চরিত্রের সমস্যা আছে। এখন নিজ চোখে দেখতে পেলাম। ভেরী ইন্টারেস্টিং। ‘- প্রণয়
প্রণয়ের কথায় রেগে কিছু একটা বলতে যেতেই উনি মাঝ পথে থায়ে দিয়ে বললেন,
‘ আমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন মিস.। আপনাকে ভালো করে জানিয়ে দিতে চাই যে, বিয়েটা আমি নিজের মতে করিনি। ভাইয়া, এবং আমার ফ্যামিলি বাধ্য করেছে। আমি ওসব নিয়ে ভাবছি না। আমি শুধু একটা কথাই বলবো, আপনি আমার স্ত্রী হয়ে এবাড়িতে এসে আমার পুরো ফ্যামিলিকে পেলেও আমাকে পাবেন না৷ সো, কিপ ইন মাইন্ড এন্ড স্টে এওয়ে ফ্রম মি। ‘ -প্রণয়
‘ আপনিই আমার থেকে দূরে থাকবেন প্লিজ। আপনার ঐ ক্ষ্যাতমার্কা চেহারা আমি দেখতে চাইনা ‘-আমি
ভেবেছিলাম উনি বোধহয় রাগ করবেন। প্রচন্ড রেগে গিয়ে অনেক কথা বলবেন। কিন্তু তেমন কিছু না বলেই বেলকনিতে গিয়ে একটা সিগারেট ধরালেন। অতঃপর পাঁচমিনিট অতিবাহিত হতে না হতেই এই মাঝরাতে কারো ফোনকল পেয়ে পার্কিং লট থেকে গাড়ি বের করে চলে গেলেন সেই উদ্দেশ্যে।
আমি শুধু আশ্চর্য হলাম। মাঝরাতে একুশ বছরের একটা ভার্সিটি স্টুডেন্ট যাচ্ছে কই। তাও আবার তথাকথিত বাসররাতে।
চলবে?
#প্রণয়াসিক্ত_চিরকুট💙
#Rifat_Amin
#পর্বঃ০১
[নিউ গপ্প নিয়ে হাজির হলুম গাইষ। গল্পটা কিছুটা রহস্যময় থ্রিলার হতে চলেছে। সাথে কাল্পনিকও। আশা করি পাশে পাবো]