প্রেমাধিকার পর্ব ৭

#প্রেমাধিকার💝[ The_Egoistic_Love ]
#Written By: Åriyâñà Jâbiñ Mêhèr [ Mêhèr ]
Part: 07…..

রাজের এবার ভয় করছে কিন্তু ভয়টা নিজের জন্য নয় বরং আরিয়ার চোখে রাগের পানি দেখে। ও বুঝতেই পেরেছে আরিয়া চোখের পানিতে নিজের রাগটাকে কন্ট্রোল করতে চাইছে।

রাজ ওকে ছেড়ে দিতেই আরিয়া হালকা ভাবেই ওকে ধাক্কা দিয়ে এইখান থেকে চলে আসে।

রাজ: আরিয়া ,,,,, আমার কথাটা শোন…..

[ কিন্তু আরিয়া কোন কথা শুনল না । আরিয়া পার্টি থেকে বের হয়ে বেলকনিতে যায়। আরিয়ার চোখ দিয়ে পানি পরছে । রাজের করা তখনকার বিহেব কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। চোখ বন্ধ করতেই রাজের ছোয়া বার বার নাড়িয়ে দিচ্ছে আরিয়াকে। ইচ্ছে করছে চিতকার করে কাদতে। কিন্তু কেন জানি পারছে না হয়তো কেউ শুনবে বলে……..

তখনি নিজের গাড়ে কারো হাত ফিল করতে পারে। আরিয়া কোনোমতে নিজের চোখটাকে মুছে পিছনের দিকে তাকায়। পিছনে তাকিয়ে যা দেখে তাতে নিজের প্রতি কোনো মতেই কন্ট্রোল করতে পারে না। কারন পিছনে রাজ দাঁড়িয়ে আছে…..

আরিয়া কিছুক্ষন রাজের চোখের দিকে তাকাল। খুব শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে ও। আরিয়ার এমন দৃষ্টিতে কিছুটা অপ্রস্তুত রাজ। ও নিজের চোখটা নিচের দিকে নামিয়ে নিল। আরিয়া জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি। রাজ বুঝতে পারছে ও নিজের কান্নাটা লুকানোর চেষ্টা করছে….

রাজ: আরিয়া….. আমি…..

আর কিছু বলার আগেই আরিয়া রাজকে খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারে। কিন্তু রাজ কোনো রিয়েক্ট করল না। আরিয়া এবার বেশ রেগে গেল…. ও গিয়ে রাজের কলার ধরে বলা শুরু করল…..

আরিয়া: এই থাপ্পড়টা আমি ওখানেই মারতে পারতাম কিন্তু কেন মারিনি জানেন??? কারন আমি চাইনি আপনার দোষে আমার নিজের সন্মান নষ্ট হোক। এটা আপনার অফিস যা ইচ্ছে করতে পারেন কেউ কিছু বলবে না কিন্তু এসব দায় আমার নিতে হবে।

রাজ: আরিয়া তুমি আমার কথাটা…..

আরিয়া: আমাকে টাচ করার সাহস আপনি কোথায় পান। আমি এখানে কাজ করতে এসেছি আপনার মনোরঞ্জন করতে নয়। আর আপনি আমাকে এইসব মেয়েদের মত একদম ভাবতে যাবেন না যারা সামান্য লাভের জন্য নিজেদের নিলাম করে। আমি শেষ হয়ে যাব কিন্তু…….. [ আর বলতে পারল না। ওর মনে হচ্ছে ওর শরীরে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যতটা না রাজকে দেখতে কষ্ট হচ্ছে তার চেয়েও বেশি কষ্ট হচ্ছে রাজের থেকে পাওয়া সেই স্পর্শের কারনে। ]

রাজ:…….

আরিয়া: কেন করেছেন আপনি এসব??? আমার সন্মান নিয়ে খেলার পার্রমিশন আপনাকে কে দিয়েছে??? [ রাজের শার্টের কলার ধরে ]

রাজ এবার আর সহ্য করতে পারে না আরিয়ার থেকে ওর শার্টের কলার ছাড়িয়ে খুব জোরে ওর হাতের দুবাহু ধরে ওকে নিজের মুখের কাছে নিয়ে আসে…..

রাজ: আমি তোমার সন্মান নিয়ে কোনো খেলা খেলেনি। আমি যা করেছি তোমাকে ভালবেসে করেছি…. Cause I love u dram it……

এইটা শুনে আরিয়া খুব জোরে রাজকে ধাক্কা মারে নিজের থেকে ছাড়িয়ে আবার একটা থাপ্পড় মারে…….

আরিয়া: আপনি যদি ভাবেন আরিয়ার মন কোনো বরফের তৈরি যে আপনার এই দুই টাকার ভালোবাসার কথা শুনে খুশিতে নাচবে তাহলে আপনি খুব ভুল ভাবছেন। আর ভালোবাসা…. বললেই ভালোবাসা হয়ে যায় না মি. রাজ। ভালোবাসা কাকে বলে সেটা কি আপনি জানেন??? যদি জানতেন তাহলে বলতেন না……

রাজ: জানিনা আমি সত্যি জানিনা…. তবে জানতে চাই। আর তোমাকে চাই আমি। কারনটা আমি জানিনা। যদি আমার চাওয়াটা ভালোবাসা হয় তাহলে হবে নাহলে তুমি যা ইচ্ছে ভাবতে পারো। কারন আমি তোমাকেই চাই আর তোমার থেকেই জানতে চাই ভালোবাসার মানে…….

আরিয়া: আপনার সাথে কোনো কথাই বলতে চাইনা আমি…… [ বলে বেড়িয়ে আসতে ধরে। কিন্তু পারেনা তার আগেই রাজ ওর হাত ধরে নিজের মধ্যে টেনে নেয়। ]

রাজ: আমার উওর না দিয়েই কোথায় যাচ্ছ???

আরিয়া: আমার কথায় এখনো আপনার ক্লিয়ার হয়নি… যে আমি আপনাকে ভালোবাসা তো দুরে থাক সহ্য করতে পারছি না। আর না কোনোদিন পারব… [ রাজের থেকে নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে ]

রাজ: সেটা তোমার ব্যাপার কিন্তু আমি তোমাকে চাই….

আরিয়া রাজকে কোনোমতে ছাড়িয়ে ওখান থেকে বেড়িয়ে গেল…..

রাজ: আরিয়া…. আরিয়া… আরিয়া আমার কথা শোনো….. আরিয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া……

.[ প্রচন্ড জোরে চিল্লিয়ে কিন্তু আরিয়া শুনল না। আরিয়া চোখ মুছতে মুছতে বেড়িয়ে আসতেই থমকে গেল….. এক গুচ্ছ ফুল হাতে নিয়ে ইশাদ দাঁড়িয়ে আছে…… ইশাদকে দেখে আরিয়া মনের ঝড় মুহুর্তেই শান্ত হয়ে গেল…. ও ধীর পায়ে ইশাদের দিকে এগিয়ে গেল……….

ইশাদ: সরি মেম আপনার খবর না নিয়ে পরে পরে ঘুমানোর জন্য। আর আপনাকে এতটা টেনশন দেবার জন্য……

[ ফুল গুলো এগিয়ে দিয়ে ঠিক তখনি রাজ আসে। আরিয়া আর ইশাদ কেউ ওকে খেয়াল করেনি।

ইশাদ: আর কত??? বিগত ৭ দিন পরে পিছে পরে আছি কিন্তু তুমি না কথা বলছ না জবাব দিচ্ছ। এবার ফুল গুলো নিয়ে লক্ষী মেয়ের মত আমার সাথে না চললে… আরিয়া তখনি ইশাদের হাতে থাকা ফুল গুলো ফেলে দেয়। আর ইশাদের দুগালে খুব জোরে দুইটা থাপ্পাড় মারতেই ইশাদ ওকে খুব জোরে জড়িয়ে ধরে।

ইশাদ: প্লিজ আরি……… [ ইশাদ আরিয়াকে জড়িয়ে ধরেছে অন্যদিকে আরিয়া ওকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। ]

এসব দেখে রাজের মাথা গরম হয়ে যায়। আরিয়াকে ওর সামনে কেউ জোর করে জড়িয়ে ধরেছে ভাবতেই নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে। ছেলেটার সাহস কি করে হয় রাজের আরিয়ার দিকে খারাপ নজর দিয়ে জোর করে ওকে জড়িয়ে ধরে।

ঠিক তখনি আরিয়া রাজকে ভুল প্রমান করে।

আরিয়া ইশাদকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দু পা পিছিয়ে যায়……

ইশাদ: প্লিজ আরিয়া যথেষ্ট হয়েছে আর কত?? এবার তো আমি পাগল হয়ে মরেই…..

[ আর বলতে দেয় না ইশাদকে…. খুব জোরেই ইশাদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয় ওর বুকের মাঝে মুখ গুজে……. কান্না করতে করতে আরিয়ার হিচকি উঠে যায়….ইশাদ কিছু বুঝতে পারে না। ও পাথরের ন্যায় দাড়িয়ে আছে। কারন ইশাদ আরিয়াকে এতদিন রাগে কাদতে দেখেছে এই প্রথম আরিয়ার কান্নায় ভয়ের আভাস পাচ্ছে…. প্রিয় কিছু হারানোর ভয়ের…..

ইশাদ: আরি….. আরি….. আরি কি হয়েছে তোমার… এভাবে কাদছ কেন???

আরিয়া কিছু বলল না শুধু কান্নার বেগটা বাড়িয়ে দিল। সাথে ইশাদের ভয়টাও বেড়ে গেল। আরিয়ার কান্না দেখে ইশাদ পাগল প্রায় হয়ে গেল…….. ও নিজেও এবার কন্ট্রোল করতে পারলনা নিজেও আরিয়ার সাথে কেদে দিল….

ইশাদ: আরিয়া কি হয়েছে তোমার…. ??? প্লিজ বলো আমি যে আর সইতে পারছি না। প্লিজ আরিয়া এভাবে আমাকে ভয় দেখিও না…….

এবার আরিয়া আরো জোরে ধরে কেদে দেয়…..

আরিয়া: প্লিজ ইশাদ আমাকে এখান থেকে নিয়ে যা। আমি এখানে থাকতে চাই না। আমাকে প্লিজ এখান থেকে তোমার সাথে নিয়ে চলো……. [ ইশাদের বুকে আলত করে কিল দিয়ে কাদতে কাদতে ]

ইশাদ আর না দাঁড়িয়ে আরিয়াকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়…..

এদিকে এসব দেখে রাজ স্তব্ধ হয়ে যাও। ও খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে ছেলেটা আরিয়ার সাথে জোর করেনি বরং আরিয়াই ওকে কাছে পেতে চায়। ওদের দুজনের সম্পর্ক বুঝতে বাকি থাকেনা রাজের। অজান্তেই হাতের আঙুল গুলো মুঠোয় আবদ্ধ করে নেয়……….,

,
,
,
,
,
,
,
,

,
,
,
,,
,
,

এদিকে ইশাদ আরিয়াকে নিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে আসে। কারন আরিয়া কিছুতেই ওর বাড়িতে যেতে চায় না। তাই বাধ্য হয়েই নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে ইশাদ……..

ইশাদ আরিয়াকে রুমে বেডে বসিয়ে দেয়…..

ইশাদ: তুমি বস আমি আমি পানি নিয়ে আসি…

কিন্তু আরিয়া ইশাদকে ছাড়ল না। ওকে বসিয়ে ওর বুকে মুখ গুজে কাদতে লাগল।

ইশাদ: আরিয়া প্লিজ আমাকে বলবে তো কি হয়েছে….. তুমি এতটা ভয় পেয়ে আছ কেন???

আরিয়া: ইশাদ প্লিজ আমাকে ছেড়ে কোথায় যেও না?? আমার খুব ভয় করছে??

ইশাদ: ভয় করছে মানে… [ বেশ অবাক হয়ে। কারন যে মেয়ে কখনো নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করতে চাইনি সে আজ বলছে ওর ভয় করছে ]

আরিয়া: প্লিজ আমার সাথে থাক…

ইশাদ: কি হয়েছে তা তো বলো??? তুমি এতটা ভয় কেন পাচ্ছো….

আরিয়া: ভয় হচ্ছে আমাকে যদি তোমার থেকে কেউ কেড়ে নেয়….

ইশাদ: ধুর পাগলি কে কেড়ে নিবে?? নিলেই হলো আমি বুঝি তাকে নিতে দিব??? আমি আমার আরিকে সারাজিবন আগলে রাখব। এবার তো যেতে দেও….

আরিয়া: না…. [ আরো বেশি শক্ত করে ধরে ]

ইশাদ: আরি…. 😡😡😡 [ ধমক শুনেই আরিয়া এবার শব্দ করেই কেদে দিল। ] যাক বাবা এটা কি হল…. 🙄

আরিয়া: আচ্ছা সত্যি করে বলো তোমার থেকে আমাকে কেউ কেড়ে নিবে নাত….

ইশাদ: এসব কথার মানে কি??? 😡 তোমার বাবা কি কিছু বলেছে???

আরিয়া:…….. [ আরিয়া কিছু বলতে পারছে না। ইশাদকে রাজের কথা বলা মানেই ইশাদের বিপদ কারন রাজের যে রুপ আরিয়া দেখেছে তাতে ইশাদ ওর কে এটা জানলে ওর ক্ষতি করতে পারে ভাবতেই বুকের ভিতরটা মোচড় দেয়….. কারন আরিয়ার একমাত্র দুর্বলতাই হচ্ছে ইশাদ ]

ইশাদ ওর কোনো উত্তর না পেয়ে আরিয়াকে জড়িয়ে ধরে ওভাবেই বসে থাকে…. গালে হাত দিয়ে….. আর ভাবে এমন কি হয়েছে যে ও এতটা ভয় পেয়ে আছে……আগে তো কোনোদিন এমনটা হয়নি।।।

তখনি হঠাৎ করে জোরে হাওয়া বইতে শুরু করে। আকাশের অবস্থা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বৃষ্টি হবে।

ইশাদ: আরিয়া মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে তোমার বাসায় ফেরা উচিত। নাহলে পরে যেতে পারবে না।

আরিয়া: কোথায় যাব না আমি???

ইশাদ: তাতে কি হবে??? এখন কি আমার ঘুম নষ্ট করার প্লান আছে…. দেখ এরকম প্লান থাকলে আগেই না করে দিচ্ছি এই ৭ দিন শান্তিতে ঘুমাইতে পারিনি তাই ভাবছি বাসায় এসে শান্তিতে ঘুমাব। কিন্তু এখন যদি তোমার সারারাত গল্প করতে মন চায় তবে কিন্তু……

আরিয়া: তবে কি??? 😡😡😡

ইশাদ: তবে কিন্তু খারাপ কিছু হবে…. [ দুষ্ট হেসে ]

আরিয়া: মাইর একটাও নিচে পরবে না😡😡

ইশাদ: সমস্যা নাই 😁😁😁

আরিয়া: তাই নাকি…??? আচ্ছা তা কি করবা শুনি… [ ইশাদের দিকে এগোতে এগোতে। এবার ইশাদ ভয় পায়। ভয়ে ঢোক গিলে ]

ইশাদ: এই তুই আবার শুরু করেছিস… [ পিছতে পিছতে ]

আরিয়া: আমার কি দোশ??? ইশাদের শার্টের কলার ধরে ওকে একটু কাছে আনতেই ইশাদ প্রায় কান্না করার মত অবস্থা…….

ইশাদ: আরি…. 😥😥😥

আরিয়া: হুমম ইশু বেবি শুনছি…. 😁😁

ইশাদ: তুমি কিন্তু খু…খ…খু..ব বাড় বেরেছ আ– আ– মি কিন্তু চলে যাব…. [ তুতলিয়ে। বেশ হাসি পেল আরিয়ার ইশাদের এসব কাহিনি খুব ভালো লাগে ]

আরিয়া: 🤣🤣🤣🤣 এই তোমার খারাপের নমুনা। এই ভাবে খারাপ করলে…… 🤣🤣🤣🤣

এইটা শুনে ইশাদ আরিয়ার কোমর জড়িয়ে আরিয়াকে নিজের কাছে টেনে আনে…..

ইশাদ: আমাকে নিয়ে মজা হচ্ছে তাই না। 😡 যদি কিছু ভুল ভাল করে বসি তখন বুঝবা। তখন আমার দোষ দিলে না😡😡 আরেকবার ওমন করলে আমি কিন্তু……

আরিয়া ইশাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। আরিয়ার ওমন বিহেভে ইশাদ শুধু অবাক হচ্ছে। এতদিন ওর ছোয়ায় শুধু বন্ধুত্ব ফিল হত। কিন্তু আজ ভালোবাসা ফিল করতে পারছে….. আরিয়া ছোটবেলা থেকেই ইশাদের উপর নির্ভরশীল সময়ের সাথে সাথে ওরা বড় হয়েছে ইশাদ এটা বুঝলেও আরিয়া সেই ছোটবেলার সম্পর্কেই পরে আছে। যেখানে ইশাদ ওর সাথি। আর ইশাদের সাথে ওরকম ব্যবহার করে কারন আরিয়ার কাছে মনে হয় ইশাদ এসবে ভয় পায়……. তাই ওকে ভয় দেখানোর জন্য…… কিন্তু আরিয়া প্রতি ইশাদের যে দুর্বলতা তা দিনে দিনে বাড়ছেই। সেটা যাতে কোনো ভুলে রুপ না নেয় তাই ওর এই দুরত্ব….

ইশাদ আরিয়াকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যদিকে তাকায়…..

ইশাদ: বৃষ্টি নামবে আমি জানালা লক করে দিয়ে আসছি। তারপর তোকে বাড়ি দিয়ে আসব। নাহলে পরে….

আরিয়া: তাড়িয়ে দিচ্ছ আমাকে….. [ অভিমানী দৃষ্টিতে ইশাদের দিকে তাকিয়ে ওর হাত টেনে ধরে ]

ইশাদ:…….. [ তুই আমার কাছে ড্রাগের মত কাজ করিস আরিয়া। তোকে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। সেখানে তুই আজ যেভাবে আমাকে দুর্বল করছিস তাতে আমি নিজেই জানিনা কি হতে পারে। কিন্তু তুই এটা বুঝতে পারবি না। আমি আমার ভালোবাসার সাথে কোনোরুপ ভুল করতে চাই না। যার জন্য তুই আমার থেকে দুরে যাস। ]

আরিয়া: কি হলো কথা বলছ না যে….. [ করুন কন্ঠে ]

ইশাদ: নাহহহ…. তোকে বাসায় রেখে আসছি যাতে পরে তোর কোনো প্রব্লেম না হয়। তোর বাবা জানতে পারলে কি হবে বুঝতে পারছিস….

আরিয়ার হাত ছাড়িয়ে চলে যেতে নিলেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর আওয়াজ হয়। আরিয়া বিছানা থেকে উঠে ওকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। ইশাদের বুকে মাথা রেখে বলে……..

আরিয়া: I love u isad…. ভালোবাসি তোমায়….. আমি সারাজিবন তোমার সাথে থাকতে চাই….. [ কাদতে কাদতে ]

কথাটা শোনা মাত্রই ইশাদের পুরো দুনিয়াই উলটে গেল চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেছে। এই প্রথম খুশিতে পাথর হয়ে গেছে কিছু বলার ভাষায় নেই……

আরিয়া: ইশাদ…..

ইশাদ: আমার মাথা ঘুরছে…. 😭😭😭 হায় আমার পোড়া কপাল….. শেষ পর্যন্ত আমাকেই পাইলা এরে প্রেমে ফালানোর জন্য……

আরিয়া: ইশাদ তোকে আজকে…. 😡😡😡 ইশাদকে মারতে গেলে ইশাদ ওকে থামাতে না পেরে ওকে হাত মুড়ে ধরে শক্ত করে….

ইশাদ: ভালোবাসিস তাহলে মারছিস কেন???

আরিয়া: ওই কোন দেশের নিয়মে ভালোবাসলে মারতে পারা যায় না😡😡

ইশাদ: আদর করতে হয়😷😷😷

আরিয়া: ইশাদ…. 😠😠😠

তখনি কারেন্ট চলে যায়…..

ইশাদ: যাহহহ এইটাই বাকি ছিল।

আরিয়া: তোর মাথা….. [ তারপর মোবাইলে টচ অন করে ]

হঠাৎ দেখে ইশাদ ওর দিকে ঘোর নিয়ে তাকিয়ে আছে…..

আরিয়া: ইশাদ….. [ ভ্রু কুচকে ]

ইশাদ আধো আধো পায়ে আরিয়ার কাছে এগিয়ে যায়। ইশাদ আরিয়ার খুব কাছে ওর ঠোঁটের দিকে যায়। এটা দেখে আরিয়া কিছুটা অপ্রস্তুত হয়। আরিয়া কিছু বলতে পারে না ইশাদ আরিয়ার কাছে গিয়ে ওর ঠোঁটের কাছে চলে যায়। আর আরিয়া ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে…. ওরা যখন খুব কাছাকাছি ঠিক তখনি ইশাদের ঘোর কাটে…. ও দ্রুত আরিয়ার থেকে সরে ওর মাথায় একটা গাট্টা মারে…….

ইশাদ: তুই জানিস কি করতে যাচ্ছিলাম??? 😡😡😡

আরিয়া: কিহহ🙄

ইশাদ: ভুল করতে যাচ্ছিলাম। ওই মাইয়া কখন কি করতে যাই বুঝতে পারো না।

আরিয়া: মানে…..

ইশাদ: এখন যদি কিস করে দিতাম তখন।।।

আরিয়া: পারতি বুঝি…. 🤣🤣🤣

ইশাদ: আমার সব ব্যাপার মজা ভাবিস না আরি। আমিও যে তোকে বড্ড ভালোবাসি। আর তাই চাইনা আমার দ্বারা কোনো ভুল হোক। আমি আমার ভালোবাসা পবিত্রতা দিয়ে সাজিয়েছি যেখানে আর যাই হোক কোনো খাদ নেই…..

তারপর ওকে নিয়ে বেলকানিতে বসে বসে অন্ধকারে বাইরের বৃষ্টি দেখতে থাকে। আর আরিয়া ওর ঘাড়ে মাথা রাখে…..

আরিয়া: এই জন্যই তোমায় ভালোবাসি ইশাদ……..

ইশাদ মুচকি হেশে সায় দেয়।

ইশাদ: খুব দ্রুত তুই আমার বউ হবি……

আরিয়া: [ খুব দ্রুত না ইশাদ আমি কালকেই বাবার সাথে কথা বলব। বাবা মানুক বা না মানুক আমি এই সপ্তাহে তোকে বিয়ে করব ]
,
,
,
,
,
আর ওদিকে রাজ………,
,
,

,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,

[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here