#প্রেমালঘ্ন
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২৩
,
,
,
,
চারিদিকে আলোতে ঝলমল করছে চারিদিক। অসম্ভব সুন্দর সাজানো যেনো সবার চোখ ধাধিয়ে দিচ্ছে।সব কিছু নিজ হাতে ডেকোরেশন করেছে আয়রা।আসফির হাতের ভাজে থাকা আয়রার হাতটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। কানের কাছে ঠোঁট এগিয়ে এনে ফিসফিস করে মন মাতানো আওয়াজে বলে উঠলো
—নিজের সতিনের জন্য এতোটা সাজানো বাহ
—এটা আরিফার জন্য আমি চায়নি তার হলুদ সন্ধ্যায় কোন কমতি আসুক।
আসফি ভাইয়ার হাসিটা যেনো আমার অশান্ত মন কে শান্ত করতে যথেষ্ট ছিলো।জানি লোকটা এই হাত কোন দিন ও নিজের হাত ছাড়বেনা। এই হাত আসফি ভাইয়ার হাতে সুরক্ষিত। জানি আমি ভুল করেছি আমি যদি সেদিন বড় আম্মুর কথা শুনে চলে যেতাম আসফি ভাইয়াকে আরেকটা বিয়েতে রাজি করায়ে ঠিক এই দিন টাই দেখতে হতো আমাকে।সব কিছু জানার সত্ত্বেও আমার কষ্টটা এতো টা পিরা দায়ক যদি আসল হতো পারতাম কি দ্বিতীয় বার নিজের চোখের সামনে প্রিয় মানুষ টাকে কারো বাহুডোরে দেখতে।
হঠাৎ করে আমার হাতটা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো মাঝখানে স্টেজের হাতটা ঝাড়া দেওয়ার জোড় টা একটু জোড়ে থাকায় সামান্য ঝুকে গেলাম। নিজেকে সামনে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আসফির দিকে তাকাতেই দেখি আসফি ভাইয়ার আখি তখনো আমার আখিতে আবদ্ধ।ইশ এই শান্ত শীতল চোখজোড়াতেই তো আমার বিনাশ অনিবার্য।
হঠাৎ মাইক ঠোটের সামনে নিয়ে এসে হাতটা মারিয়ার সামনে বারায় দেয়।মারিয়াও লজ্জা চোখ দুইটা নামিয়ে আসফি ভাইয়ার হাতে নিজের হাত দেয়।বুকটা চিনচিন করে উঠে। চোখ বেয়ে বেরিয়ে আসে অশ্রু ধারা। দাত দিয়ে কামড়ে ধরি অধর জোড়া। এতো কেন কষ্ট হচ্ছে নিশ্বাস টাও যেনো আটকে এবার জান টা হারাবো।দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিটাও যেনো পাচ্ছিনা।এরই মাঝে কানে আসে আসফি ভাইয়ার মধুর গলায় গান
——
Mujhko itna Bataye Koyi
Kaise Tujhse Dil Na Lagaye Koyi
Rabba Ne Tujhko Banane Mein
Kardi Hai Husn Ki Khaali Tijoriyan
Kajal Ki Siyahi Se Likhi
Hai Tune Jaane
Kitno Ki Love Story’an
Kesariya Tera Ishq Hai Piya
Rang Jaaun Jo Main Hath Lagaun
Din Beete Saara Teri Fikr Mein
Rain Saari Teri Khair Manaun(2)
Patjhad Ke Mausam Mein Bhi
Rangi Chanaron Jaisi
Jhanke Sannnaton Mein Tu
Veena Ke Taaron Jaisi
Hmm Sadiyon Se Bhi Lambi Yeh
Mann Ki Amavasein Hain
Aur Tu Phuljhadiyon Wale
Tyoharon Jaisi
Chanda Bhi Deewana Hai Tera
Jalti Hai Tujhse
Saari Chhakoriyan
(মারিয়া আসফির বুকে মাথা রাখে)
পারলাম না আর নিজেকে ধরে রাখতে এই বুকটা আমার যা শাস্তি দিবে মাথা পেতে নিবো তবুও এই বুকটা আমার। দোষ করেছি কিন্তু নিজের মানুষটার ভাগ আমি দিবোনা এই মানুষ যে শুধুই আমার একান্ত ব্যাক্তিগত আমার।কোন রকম উঠে আসফি ভাইয়ার কাছে এসে মারিয়াকে তার থেকে সরিয়ে নিলাম। ঝাপটে ধরলাম আসফি নামক ব্যাক্তিটাকে যে শুধুই আমার। কিন্তু উনার হাতের ছোয়া তখন অনুভব হয়নি তার হাত যে এখনো নিচে কেদে উঠলাম আমি আমার কান্নার আওয়াজে যে উনারে বুকে তুফান চলছে জানা আমার তাইতো আমাকে সরিয়ে নিয়ে চলে যেতে নেয়।
—শ্যামাঙ্গিনীর ঠোঁটের হাসিটা বিলীন করতে চায়নি আমি বাধ্য করেছে সে।জানি এই দুইদিন তার চোখ থেকে ঝড়া মুক্ত গুলো মুছে দিতে পারিনি আমি তার যন্ত্রণার কারণ আমি কিন্তু আজ এই যন্ত্রণা না দিলে সে যে ভবিষ্যতে আমার থেকে দূরে সরে যাবে না অন্য কারো কথা শুনে তার তো কোন গ্যারান্টি নাই। কিন্তু এর এই চোখের জ্বল সহ্য করা যে আমার দ্বারা সম্ভব না তাই সেখান থেকে চলে যেতে নিচ্ছিলাম কিন্তু এরই মাঝে তার কান্না জড়িতে কন্ঠ শুনে পা আমার সেখানেই থেমে গেলো।পিছনে ফিরার সাহস টাও যেনো করে উঠতে পারছিলাম না তাই তো বন্ধ করে নিলাম আখি জোড়া। আর অনুভব করতে লাগলাম তার ভালোবাসা মিশানো আওয়াযে প্রেম নিবেদন
Kasam ki kasam hai kasam se
Humko pyaar hai sirf tumse
Kasam ki kasam hai kasam se
Humko pyaar hai sirf tumse
Ab yeh pyaar na hoga phir humse
Kasam ki kasam hai kasam se
Humko pyaar hai sirf tumse
Log kehte hai pagal hoon main yeh bhi na jaanu
Dil lutaya hai maine ab kisi ki na maanu
Chain dekar ke maine bechainiya yeh li hai
Neende udake maine tumse wafaye ki hai
Kasam ki kasam hai kasam se
Jee rahe the hum tere dum se
Ab Yeh Pyaar Na Hoga Phir Humse
Kasam ki kasam hai kasam se
Humko pyaar hai sirf tumse
হাটু ভেংগে বসে পড়লাম নিচে গলা ধরে আসছে চায়েও পারছিনা গলা দিয়ে কোন শব্দ বের করতে। এই ভাবে হারিয়ে যাবে ভালোবাসা কি করে বাচবো তাকে ছাড়া। এই কোন নরক যন্ত্রণা। প্রথমে আব্বু তারপরে আম্মু তারপরে আলিফ ভাইয়া। তারপরে বড় আম্মু এবার কি হারানোর তালিকাই সবচেয়ে প্রিয় ব্যাক্তিটার নামটাও যোগ হবে
পুরো পরিবেশ টা কেমন থমকে গেলো। কারো মুখে যেনো কোন কথা নাই শুধু চারিদিকে ভাসছে আমার কান্নার আওয়াজ। হৃদয় ভেংগে চুরমার হওয়ার আওয়াজ ভালোবাসার মানুষ কে হারিয়ে নিশ্ব হওয়ার হাহাকার যেনো পরিবেশকেও গুমোট করে দিয়েছে।
Kuch ishaaron mein tumne humse jo yeh kaha hai
Ab yakin aa raha hai tumko bhi kuch hua hai
Kyon tumko dekhte hain kya dil mein sochte hai
Toofan jo uth raha hai
Hum usko rokte hai
আসফির ভাইয়ার কন্ঠ শুনে কান্নার পরিমান টা বেড়ে গেলো চীখ দুইটা বুজে এলো।
Kasam ki kasam hai kasam se
Yeh milan hai sanam ka sanam se
Ab Yeh Pyaar Na Hoga Phir Humse
Kasam ki kasam haan kasam yeh kasam di kasam li kasam
Haan kasam kasam Kasam kasam
Kasam ki kasam hai kasam se
Humko pyaar hai sirf tumse
Ab yeh pyaar na hoga phir hamsa
হঠাৎ নিজেকে কারো বাহু বন্ধনে আবদ্ধ পেয়ে কেপে উঠলাম নাকে এসে ঠেকলো মাতাল করা সেই ঘ্রাণ। আমিও শক্ত করে আকড়ে ধরলাম উনাকে। কানে ঠোঁট এগিয়ে এনে তার মন ঘায়েল করা বানী ছুড়লো এই হৃদয় কে আরও অস্থির করতে।
—ওহে শ্যামাঙ্গিনী !তুমি এক ঝলসানো রুপের অধিকারি,
তুমি আধারে নির্মজিত চাঁদের আলোয় রুপবতি,
তুমি হৃদয়ের ধুকপুকানি, তুমি জোৎস্না রাতের জোনাকি,
তুমি শ্যাম রাঙায় রাঙিত শ্যামময়ী,
তোমার সুরে আমার অন্তরক্ষিত,
তোমার সুর চড়িয়েছে আমার প্রতিটা রঞ্জে রঞ্জে তুমিত সুরঞ্জনা, তোমার প্রতিটা গল্পে তুমি করো মোহিত তুমিত মোহমনি,
তুমি যখন রাগ করো তোমায় রাগমিশ্রিত মুখ দেখতে চায় মন, তুমিত রাগ নগরের রাগপরি, তোমার চোখের পানি এই হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কারন শ্যামাঙ্গিনী তুমি তে আমার মরণ(মারুফ হাসান)
হঠাৎ টের পেলাম আমার গালে ভিজা কিছু হাত দিয়ে দেখি হলুদ। আসফি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি তার গালেও হলুদ বুঝলাম তিনি তার কথা রেখেছেন আমাকে তার হলুদে রাঙিয়ে দিয়েছেন।।
#প্রেমালঘ্ন
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ২৪
,
,
,
,
জানালায় মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরিফা দৃষ্টি তার দূর আকাশে নিবদ্ধ।লাল শাড়ির আচল মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।চোখের কোণা বেয়ে কাজল লেপ্টে কালো দাগ বসে গেছে।ঠোঁটে পড়া গাঢ় লাল লিপস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে ঠোঁটের আশেপাশে।সুন্দর করে বাধা কেশগুলোও অযন্তের কারনে অগোছালো ভাবে ছড়িয়ে আছে মানবীর পিঠ জুড়ে।এই অবস্থাতেও যেনো সকল সৌন্দর্য এসে ভর করেছে ত্তার চেহারা জুড়ে কিন্তু আফসোস কিছু সময় আগে কবুল বলে বিয়ে করে বর তার এই রুপ কে প্রত্যাখান করে কটু বানী শুনিয়ে মদের নেশায় আশক্ত হয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে আছে বিছানার উপরে।
আরিফার চোখের জ্বল থামার নাম নিচ্ছেনা চোখের সামনে ভেসে বেরাচ্ছে কিছু ঘন্টা আগের মুহূর্ত।
বধূ বেশে ভাবি আফরার হাত ধরে নেমে এসেছিলো নিচে। শরীর এর থেকে বেশি দুর্বল হয়েছিলো মন। কোন ভাবেই কিশোরি মন যে মানে নিতে পারছিলো প্রেমিক পুরুষের জায়গায় অন্য কারো নাম।ইতিমধ্যে কাজী সাহেব আসফি আর আয়রার বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বারের মতো তারা আবদ্ধ হয়েছিলো দুজনে পবিত্র বাধনে।আরিফা সে সময় টা চেয়েছিলো তাদের দিকে।কি সুন্দর মিষ্টি হাসি লেগে ছিলো আয়রার ঠোঁটের কোণে। আরিফার মনে তখন একটাই ইচ্ছা উকি দিচ্ছিলো এই জায়গায় যদি তার প্রেমিক পুরুষ তথা আরহাম নামক ব্যাক্তিটা থাকতো তাহলে সে ও হয়তো এতোটাই উচ্ছ্বসিত হতো হয়তো এর চেয়েও দ্বিগুন। জানা নেই আরিফার।এরই মাঝে পালা আসে তার। কাজি সাহেব আগে জান বর বেশে থাকা মানব টির কাছে।বর যখন তিন কবুল বলেছিলো সে কন্ঠে স্পষ্ট একটা রাগ আর ক্ষোভ টের পেয়েছিলো।
তারপর পালা আসে আরিফার। কাজি সাহেব যখন বলে উঠলেন “মারহুম আশরাফ জামান এবং তার স্ত্রী আসিফা বেগম এর একমাত্র পুত্র সন্তান আরহান ফারদ্দিন জামান (বিয়েতে কাজি ঠিক কি ভাবে বলে আমার জানা এই সেজন্য দুঃখিত)এর সাথে ******* এতো টাকা দেনমহোর ঠিক করা হয়েছে আপনি কি………
আর কোন শব্দ কুর্ণগহবরে যায় নি আরিফার। উত্তেজনায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছিলো সে স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তবে ঘটছে এই অবাস্তব ঘটনা তার জানা ছিলোনা এক প্রকার ঘোরের মাঝেই তিন কবুল বলে উঠে সে।এটা যদি স্বপ্ন হয় তাহলে আরিফা চায়না এই স্বপ্ন ভাংগুক।
তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিলো যখন শাশুড়ী বেশে তার মামী তাকে পরম যত্নে বরণ করে নিয়েছিলো।আহা সে কি সুন্দর মহূর্ত কিন্তু বেশিক্ষন টিকে নি তার এই স্বপ্নের মতো সুন্দর মহূর্ত গুলো যখন সকল আত্নীয় দের মাঝে নববধূ কে একলা ফেলে চলে যায় বুঝে যায় আরিফা এই বিয়েটা তার জীবনে যতটা সুখ নিয়ে আসেছিলো তার থেকে দ্বিগুন কষ্ট বয়ে বেরাতে হবে এই জীবনে স্বামি নামক ব্যাক্তি টার সাথে তার সংসার করা হবে না তার।আর না ভালোবেসে স্বামির বুকে মাথা রাখা হবে।স্বামির আদরে আহ্লাদীও হতে পারবেনা সে।সেটা বাস্তবে পরিনত হতেও বেশি সময় নেয়না আরহাম তাইতো রাত ১ টার দিকে মাতাল অবস্থায় ঘড়ে ঢুকে সদ্য বিবাহিত বউকে গরুর ন্যায় টেনে বিছানা থেকে নামায় তাকে।
অশ্রু সিক্ত নয়নে আরহামের দিকে তাকাতেই শক্ত হাতে মুঠ করে ন্যায় এলোকেশির কেশ। ব্যাথায় কাতরে উঠে।মুখ দিয়ে আহ করে উঠতেই দখল করে ন্যায় ঠোঁট জোড়া কিন্তু সেই ঠোঁটের ছোয়াই ছিলোনা ভালোবাসা আবেগ বা কিছু শুধু ছিলো ক্ষোভ ঘৃণা আর রাগ।একটা সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তাকে বিছানায় পুরাটা সময় আরিফা ছিলো নির্বাক। কি বলবে সে স্বামির এহেন আচারণ প্রত্যাশিত ছিলোনা তার এতোটা ঘৃণা যে কেউ তাকে করতে পারে তার অনুমান ও ছিলোনা আরিফার।আরিফার হুস ফিরে যখন সেফটিপিন দিয়ে আটকে থাকা আচল টান দিয়ে ফেলে দেয় আরহাম ব্যাথায়।চিল্লিয়ে উঠে আরিফা। তখন ই আকড়ে ধরে আরিফার মুখ আরহামের শক্ত হাত
—একটা আওয়াজ ও না। আমার কাছে আশার ইচ্ছা ছিলোনা আমাকে বিয়ে করার।হ্যা এটা জানার স্বর্তেও ঘৃণা করি যতোটা ঘৃণা পৃথিবীর বুকে আজ অব্দি কেউ কাউকে করে নি ঠিক ততোটা ঘৃণা করি তোকে আমি।তুই নিজেও জানিস না কোন জাহান্নামে পা ফেলেছিস তুই।ঘৃণা করি তোকে তবুও মনে মনে,,,,,,
আর পারেনা নিজের আখিজোড়া খুলে রাখতে আরহাম নেশা তার কাজ করে দিয়েছে ঘুমের দেশে ডুবিয়ে দিয়েছে তাকে অন্যকারো ঘুম কেড়ে নিয়ে।
আরিফা আলতো হাতে আরহাম কে নিজের উপর থেকে সরিয়ে বিধস্ত অবস্থায় উঠে যায় জানালার নিকটে।
পুরানো ভাবনা ভাবতে আখি বেয়ে অশ্রু কোণা গরিয়ে পরে।চোখ ফিরিয়ে ঘুমুন্ত আরহামের দিকে তাকিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায় আরিফা ঠিক ভাবে সুইয়ে দিয়ে কপালে একে দেয় ভালোবাসার পরশ।
—আপনি আমাকে ঘৃণা করে যান আরহাম আমি আপনাকে ভালোবেসে যাবো এক না একদিন এই ঘৃণা হেরে যাবে আমার ভালোবাসার কাছে আরহাম দেখে নিয়েন আপনি।আপনার সকল ব্যাথাকে ভালোবাসা দিয়ে ফিরিয়ে দিবো।আপনি আমার জীবন জাহান্নামে বানানোর প্রচেস্টা করে যান আমি আপনার জীবন কে জান্নাত এ পরিনত করার চেষ্টা করবো আমিও দেখবো আপনার ঘৃণা জীতে নাকি আমার ভালোবাসা।
আরহামের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে আরিফা।ঘুমের মাঝেই আরিফাকে জরিয়ে ধরে নিবিড় ভাবে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ন্যায় আরহাম।মুচকি হাসে আরিফা।আজ নাহয় নেশার ঘরে বুকে ঠায় পেয়েছে একদিন ভালোবেসে এই বুকে ঠায় হবে তার এটা ভেবেই ঘুমের দেশে পারি জমায় সে।
______
ঘুমুন্ত আসফি ভাইয়ের চেহারায় আলাদা এক মায়া রয়েছে। শুধু ঘুমানোর সময় নয়। উনি যখন হাসেন উনি যখন রাগ করেন এমনকি খাবার খাওয়ার সময়ও। বলতে গেলে উনার প্রতিটা কাজেই উনার মুখে আলাদা এক মায়া বিরাজ করে যে মায়া আমাকে তাতে আবদ্ধ করতে যথেষ্ট।
হুট করে মন দুয়ারে ইচ্ছা জাগে ঘুমুন্ত এই আসফি নামক ব্যাক্তিটার সারা মুখে ঠোঁটের গভির ছোয়া একে দিতে।ভাবনা কে বাস্তবে রুপান্তর করতে সময় ব্যায় করিনা। ধীরে ঠোঁট জোড়া উনার গালে কপালে থুতনীতে নাকে ছোয়ায়ে চোখে ঠোট ছোয়ায়ে সরে আসতে নিলেই শক্ত হাত এসে কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের দিকে টেনে নেয় আমাকে আসফি ভাইয়া।
—ঠোঁটে কে পরশ একে দিবে শ্যামাঙ্গিনী। আমার অধর জোড়া কি দোষ করলো যে সে বাদ পরলো। এটা তো ঠিক না।তার ও একটা হোক আছে তোমার ওই মিষ্টি অধর জোড়ার উপরে।
—আপনি ঘুমান নাই
—তার ঠোঁটের উষ্ণতা ঘুমাতে দিলো কই শ্যামাঙ্গিনী
—উম তাহলে চলেন না চন্দ্রবিলাস করি আমার ঘুম ধরছেনা।
—হুম এই সময়টাকে আমাদের প্রেমালঘ্ন করে তুলব একসাথে দুইকাজ হয়ে যাবে চন্দ্রবিলাস পাশাপাশি্ আমাদের প্রেমালঘ্ন
—আমাদের একান্ত সে লঘ্ন। যে লঘ্নে শুধু হবে ভালোবাসা আদান প্রদান। যে লঘ্নে তৈরি হবে অসম্ভব সুন্দর স্মরনীয় কিছু মধুর সৃতি যেগুলো বাধায় করা থাকবে মনের কুঠিরে।যখন ই কষ্ট গুলো এসে হানা দিবে মন দুয়ারে তখন চোট করে খুলা হবে সে সৃতি অয়াতা যেখানে থাকবে আমাদের একসাথে কাটানো হাজারো প্রেমালঘ্নের সৃতি।
আমার কথার বিপরীতে তিনি হাসলেন কোলে তুলে নিলেন আমাকে। আমিও হেসে উনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।মাথা রাখলাম উনার বক্ষে। আহা কি শান্তি। এই শান্তির খোজ আর কোথাও পাওয়া আদৌ কি সম্ভব।
ব্যলকনিতে দাড় করায় দিতেই আমি ছুটে গেলাম রেলিং এর কাছে দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে শ্বাস নিতে লাগলাম। হঠাৎ করে আসফি ভাইয়ার হাত এসে আমাকে জড়িয়ে নিলো উনার সাথে আমি নড়লাম না অনুভব করতে লাগলাম উনার স্পর্শ হঠাৎ কানে এলো আমার প্রেমিক পুরুষের প্রেমা বার্তা যা প্রতিবারের ন্যায় বুকে এসে আটকে রইলো।
—
হাজারো কষ্টের মাঝে আমার একটা সুখ আছে আমার দিনশেষে একজন আছে যাকে মনের সব কষ্ট ক্লান্তি বলতে পারি আমার সুখতারা আমার শ্যামাঙ্গিনী এটা থাকলে আমার হাজারও কষ্টের মাঝে বেচা থাকে সম্বভ তুই আমার দিনশেষের সঙ্গি তুই আমার রাতের আধারের জোনাকিপোকা তুই আমার শ্যামাপরী। আমার ভালোবাসার গল্পের একমাত্র অধিকারী আমার বুকের বাম পাশের পাজরের তৈরি ভালোবাসি।
নিশ্বাস ঘন হতে লাগলো আমার আহা কি এক সুখময় যন্ত্রনা এই স্পষ্ট সিকারউক্তির বিপরীতে কি হলা উচিৎ জানিনা আমি।আমি পারিনা তার মতো নিজের আবেগ ভালোবাসা এতো সুন্দর করে প্রকাশ করতে এতো গুছিয়ে বলাটা যে আমার দ্বারা সম্ভব না উনার দিকে ফিরে পা টা খানিকটা উচু করে উনার কানে মুখ নিয়ে এসে উচ্চারণ করলাম সে শব্দটি যেটার সংখ্যা ছোট হলেও সেটার মাঝে রয়েছে এক আকাশ সমান আবেগ
— ভালোবাসি!
চলবে!
চলবে!
আমি)