#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_১৪
#Marufa_Yasmin
ʼʼ ওহে শ্যাম তোমারে আমি নয়নে নয়নে রাখিবো অন্য কাওরে না আমি চাইতে দেবো ʼʼ
ʼʼ ওহে শ্যাম তোমারে আমি নয়নে নয়নে রাখিবো অন্য কাওরে না আমি চাইতে দেবো ʼʼ
ʼʼ। বুকের মাঝে লুকাইয়া রাখে মুক্ত ঝিনুক
এই বুকে লুকানো তুমি
জগতের লোক জানুক ʼʼ
আরু বারান্দায় দাঁড়িয়ে গান করছে।খোলা আকাশে দিকে তাকিয়ে। তার কোনো কষ্ট অনুভূতি কিছুই নেই শুধু হা হা সব কথায় হাসতে পারে।
পেছন থেকে দীপ্ত এসে জড়িয়ে ধরে।আরুর গলায় মুখ ডুবিয়ে কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলল
” তোমার শ্যাম তোমারই আছে।
চুপ চাপ যে তোমাকে জড়িয়ে ধরলাম কিছু বলছো না! ”
” কি বলব ? ”
” বকো আমাকে ।”
” নাহ বকবো কেনো? ”
” তুমি সত্যি পাগল। ”
” পাগল কে ভালোবেসেছেন কেনো? ”
” জানি না। আরু তোমাকে একটা কথা বলার আছে। কিন্তু তুমি কথা দাও তুমি আমাকে ভুল বুঝবে না। ”
আরু নিজেকে দীপ্তর থেকে ছাড়িয়ে হা হা করে হেসে দিয়ে বলল
” আমি জানি আপনি কি বলবেন। আপনি এত বুদ্ধু কেনো। ”
” জানো? ”
” হুম এটাই বলবেন যে দাভাই আপনাকে বলেছিল আমাকে এই ভাবে বিয়ে করতে।দাভাই চেয়েছিল আমাকে মা বাবার কাছে খারাপ করতে। ”
” তুমি সবটা জেনেও এত শান্ত কি করে? ”
” মন খুলে হাসতে জানি আর এটা নিয়ে আমি অশান্ত থাকবোই বা কেনো। শুনুন আমি চকলেট খাবো। আমাকে ঘুরতে নিয়ে চলুন। দেখুন আমি মা এর কাছে শাড়ি পরিয়ে নিয়েছি সুন্দর করে।আপনার জন্যে অনেক খন থেকে অপেক্ষা করছিলাম। ”
” ওকে কিন্তু এইসব জানলে কি করে। ”
” বলছি আপনারা যখন রাস্তায় কথা বলছিলাম তখন আমি হৃদ কে কল করি। হঠাত হৃদ বলল
যে আপনি আর দাভাই কোথায় যাচ্ছেন।আমি হৃদ কে বললাম যে হৃদ দীপ্ত কে অনেক খন থেকে কল করছি ও তুলছে না তুই একবার ফোনটা দে তো ওকে।হৃদ আপনাকে ফোনটা নিয়ে দূর থেকে ডাকতেই থাকে কিন্তু আপনি শুনতে পান না আমি ওকে বলি আপনার পেছনে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফোনটা দিতে ও ফোনটা নিয়ে ছুটে তারপর হঠাত আপনাদের তিন জনের মধ্যে যা কথা হচ্ছিল আমার কানে এলো হৃদ ফোনটা না কেটেই হাতে ধরেছিল হয়তো ভুলে গিয়েছিল। ”
হঠাত দীপ্ত আরু কে জড়িয়ে ধরে নেয় কাঁদতে লাগে।আরু ও দীপ্ত কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে আরুর চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পরল।দীপ্ত আরুর বুকে মাথা দিয়ে বলল
” আরু অনেক ভালোবাসি তোমায়।এর আগেও একবার কষ্ট পেয়েছি।একজন এর জন্য।তোমাকে আমি হারাতে চাই না আরু। আই লাভ ইউ আরু আই নিড ইউ।তোমাকে আমার দরকার তোমার কাছে থাকতে চাই না হলে আমি ভালো থাকতে পারি না।তোমার মুখটা না দেখলে পাগল পাগল লাগে। যেমন মাতাল মদ না খেয়ে থাকতে পারে না তেমন আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না। মাটি যেমন বৃষ্টির অপেক্ষায থাকে আমি ও তোমার অপেক্ষায ছিলাম।আই লাভ ইউ আরু। ”
আরু দীপ্তর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
” ওই রাক্ষস রাজ তাড়াতাড়ি কান্না থামাবেন নাকি আমি একাই ঘুরতে চলে যাবো হু? ”
দীপ্ত আরুর বুক থেকে মাথা তুলে চোখের জল মুছে বলল
” প্রত্নী , একটু ও ফিলিংস বোঝে না। সব সময়ই মজা। জানো আরু আমি খুব লাকি ঠাকুর তোমাকে আমার জন্য দিয়েছে। ”
” ওরে রোমান্টিক বর পরে রোমন্থন করবেন আমার খুব খিদে পেয়েছে। চলেন না আগে ঘুরে আসি। ”
” আচ্ছা চলো যাই।পাগলী আমার। ”
” হুম আপনার। ”
দীপ্ত আর আরু বেরিয়ে যায়। রেসটুরেন্টে যায় আরু অনেক কিছু খাচ্ছে।দীপ্ত মুগ্ধ নয়নে আরুর দিকে তাকিয়ে আছে। দীপ্তর ইচ্ছে করছে জেনো এখানে সময়টা থেমে যাক।আরুর বাচ্চাদের মতো ব্যবহার যেকোনো ছেলের হৃদয় কাঁপানোর জন্য যথেষ্ট। অধিকাংশ ছেলে পাগল হয় মেয়েদের বাচ্চাদের মতো ব্যবহার দেখে।আরুর এই ব্যবহারে দীপ্ত পাগল।
______________________
আজ আরুর পরীক্ষা। সকাল থেকে দীপ্ত আরু কে রেডি করতে ব্যস্ত। আরু রেডি হয়ে টেবিলে
বসে আছে দীপ্ত আরুর পাশে বসে আরু কে পড়া গুলো ভালো করে দেখে নিতে বলছে। রুমে হঠাত আরুর শাশুড়ি মা আসে হাতে খাবার নিয়ে।দীপ্ত তার মা কে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে বলল
” মা খাবারটা তাড়াতাড়ি ওকে খেতে বল।”
” কি হলো তোর আবার? ঝগড়া করলি? তোরা কি সারাজীবন এইরকম বাচ্চামো করবি? উফফ তোদের নিয়ে আমার হয়েছে যত জ্বালা।পারি না আমি আর। আরু আয় তো মা খাইয়ে দিই। ”
আরু লক্ষী মেয়ের মতো শাশুড়ি মায়ের হাতে খাইয়ে নিল। প্রতিমা দেবী আরু কে কখনো বুঝতে দেয়না যে উনি আরুর শাশুড়ি মা আরুর মনে হয় এটাই ওর মা ।আরু ও যেমন প্রতিমা দেবী কে ভালোবাসে তেমন প্রতিমা দেবী ও আরু কে ভালোবাসে। এদের সম্পর্ক দেখে দীপ্তর খুব ভালো লাগে কিন্তু ওপর ওপর আরু কে দেখাই যে সে ওকে হিংসা করছে। দীপ্ত মুখ ভেংচি দিয়ে বলল
” বাবাহ আমি বাদ বলো আমাকে তো দেখছি তুমি ভালোবাসো না । আমার কেনো মূল্য নেই।কেও পাত্তাই দেয় না আমাকে। ”
” দেখ দেখ তোর বর কেমন হিংসুটে হয়েছে। ”
আরু হেসে বলল
” মা তুমি কিন্তু ওর থেকে বেশি আমাকে ভালোবাসবে হ্যা ।”
” ঠিক আছে। ”
___________________
দীপ্ত স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আরু জন্য আরু ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে দীপ্তর খুব টেনশন হচ্ছে এবার ও আরু যদি ফেল করে যায়।মেয়েটা খুবই চঞ্চল।একটু ও সিরিয়াস নয়।দীপ্ত এই কয় মাস সব কাজ ছেড়ে শুধু আরু কে টাইম দিতো আরু কে পড়াত।
দীপ্ত মাথায় হাত দিয়ে গাড়িতে বসে আছে হঠাত গাড়িতে কারো উঠার শব্দ পেয়ে মাথা থেকে হাতটা শুকিয়ে অস্থির হয়ে বলল
” পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব লিখেছে তো।”
” হুম সব লিখেছি আপনি অনেক চিন্তা করছিলেন বলেন? ”
” না করিনি ।”
আরু দীপ্ত কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিয়ে দীপ্তর বুকে মাথা দিয়ে আদুরে কন্ঠে বলল
” আপনাকে অনেক জ্বালায় তাই না? ”
” কই না তো ।আচ্ছা তুমি বলবে কবে ভালোবাসো আমায়। ”
” সময় হলে বলব? ”
” সময় আছে তো ……? ”
” হুম অনেক সময় আছে ।”
” আরু ……!”
” বলুন ?”
” আমার ভালো লাগছে না কেমন অস্থির লাগছে।”
” শরীর খারাপ করছে? ”
” না ।আচ্ছা। ধরো তুমি আমাকে ভালোবাসি বলার টাইমই পেলে না তাহলে? । ”
আরু আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল
” চুপ অনেক টাইম আছে। ”
___________________
” হৃদ তুমি আমাকে বিয়ে করলে ঠিকই কিন্ত আমাকে এখনো বললে না ভালোবাসি। এমনকি আমার কাছে ও আসো না হৃদ। এভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্যই কি বিয়ে করেছিলে। ”
” মিষ্টি সরি ! আমাকে একটু টাইম দাও। আমার সময় চাই। যাও খাবার নিয়ে এসো। ”
মিস্টি মুড অফ করে চলে যায়। হৃদ মিষ্টি কে আজ পর্যন্ত স্পর্শ করেনি। তবে সে মনে মনে মিষ্টি কে ভালোবাসে।কিন্তু হৃদ চাই ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে মিষ্টি কে বলবে ভালোবাসি।
হৃদ বুকে হাত দিয়ে বলল
” মিষ্টি আমি তোকে ভালোবাসি কিন্তু তোর সামনে বলব কবে ভালোবাসি তোকে আমি অনেক ?”
বাকি
|| ভালো না লাগলে ইগনোর করুন ||
(মনটা বলছে সেড ইনডিং দিতে 😌 কাউকে মেরে ফেলতে খুব ইচ্ছে করছে ।সরি এতদিন গল্প দিতে পারিনি )