বলব_কবে_ভালোবাসি পর্ব ১২

#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_১২
#Marufa_yasmin

দীপ্ত আরুকে রেগে কোলে তুলে নেয়।খুব রাগ হচ্ছে আরুর উপর।না আছে কোনো ইমোশনাল না আছে রোমান্টিকতা।

আরু দীপ্ত কে চেঁচিয়ে বলল

” এই এই নামান নামান বলছি ।”

” কেনো? ”

” নামান তারপর বলছি ।”

দীপ্ত আরুকে নামিয়ে দেয়।আরু বলল

” আপনি যদি আমাকে ঐভাবে বিয়ে না করতেন তাহলে রাস্তায় প্রোপজ করতেন তো? ”

” হুম ”

” আমারা এখন প্রেম করবো । ”

” হ্যা তাই তো করছি ।”

” এভাবে না bf gf রা যেমন করে তেমন। ”

” মানে? ”

” বুঝিয়ে বলছি।আপনি আগে আমাকে প্রপোজ করবেন।তারপর আমি রাজি হবো না দুটো চর মারবো আপনি তাও আমার পিছনে ঘুরে বেরাবেন।একটা সময় আমার কষ্ট হবে আপনার জন্য তারপর আমি রাজি হয়ে যাবো।তারপর প্রেম করবো আপনার সাথে পার্কে দেখা করতে যাবো একটু কিস করবো।তারপর বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নেবে না দিয়ে আমারা পালিয়ে বিয়ে করবো বুঝেছেন? ”

দীপ্ত চোখ গুলো রসোগল্লার মতো করে তাকিয়ে আছে মেয়েটার মাথা ঠিক আছে তো কি সব বলছে পালিয়ে বিয়ে করার কি দরকার? তার কাটা আছে নাকি ? দীপ্ত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলল

” আমাদের তো মেনে নিয়েছে তাহলে পালিয়ে বিয়ে করবো কেনো? আর বিয়ে তো দুইবার করে ফেলেছি। ”

” ফ্যাট আমার তো ইচ্ছে ছিল পালিয়ে বিয়ে করার কিন্তু আপনি আমাকে অন্য রকম বিয়ে করলেন।”

” আচ্ছা তোমার কি মাথার প্রবলেম আছে থাকলে বলো আমি চিকিৎসা করবো। ”

” কী যাতা বলছেন? ”

” কিছু না সরি। ”

” আপনি আমাকে ওইভাবে প্রপোজ না করলে আমার বেবির পাপা হতে দেবো না ।”

” আমি কখন বললাম পাপা হবো ।”

” আপনি বেশি কথা বলেন। ”

” একটু কিস করি? ”

” কিহহ আগে প্রপোজ করুন ।”

আরু কথা গুলো বলে বিছানায শুতে চলে গেলো এদিকে দীপ্ত পাগলের মতো হা হয়ে আছে আরুর কান্ড দেখে মনে মনে বলছে

” যে জিনিস সহজেই আমারা পেয়েছি এই মেয়েটা কঠিন করে পেতে চাইছে হে ভগবান এটা কোনও জিনিস তুমি আমার গলায় বাঁধলে। এতো দেখি আমার লাইফের বারোটা না বাজিয়ে ছাড়বে না বলে নাকি আগে অপমান করবে রাস্তায়।মান সম্মান আর থাকবে না। নিজে তো পাগল আমাকে ও পাগল করে ছাড়বে। খুব রাগ হচ্ছে কি জিনিস ঘরে তুলে এনেছিলাম আমি। আমাকে সেই একি কষ্ট করতে হবে জানলে ওই হারামির কথা আমি শুনতাম না। ”

দীপ্ত একটা বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়লো।

সকাল বেলা

আরু সেজে বেরিয়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। দীপ্ত দূরে দাঁড়িয়ে আছে আরু কে সবার সামনে প্রোপজ করতে তার ভয় লাগছে।কারণ সে একমাত্র প্রেমিক যে সব আগে থেকেই জেনে বসে আছে।দীপ্ত দশটা গোলাপ দোকানে কিনতে গেলো

” দাদা দশটা গোলাপ দিন।”

তারপর একটু থেমে আবার ভাবল।আরু তো ওকে রিজেক্ট করবে। দশটা গোলাপ তো ফালতু নষ্ট করবে আরু ।তার থেকে ভালো একটা গোলাপ নিই।

” দাদা একটা গোলাপ দিন।”

” কেনো দশটা কি হল?”

” আমি নেবো না দাদা একটাই দিন। ”

দোকানদার দীপ্তর ওপর রেগে গেলো।দীপ্ত একটা গোলাপ নিয়ে আরুর পেছনে ছুটল।

আরুর সামনে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল

” আই লাভ ইউ আললু !”

” দাঁড়ান দাঁড়ান একটু।”

আরু আশে পাশে তাকিয়ে একটা ছেলে কে ডেকে বলল

” শোনো এই নাও আমার ফোন ভিডিও করবে যখনই উনি আমাকে প্রপোজ করবেন তখনই তুমি ভিডিও টা চালু করে দেবে। ”

ছেলেটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আরুর দিকে তাকিয়ে আছে।আরু দীপ্ত কে উদ্দেশ্য করে বলল

” নীন আবার শুরু করুন।”

” আই লাভ ইউ আলু ”

আরু ঠাসস করে চরিয়ে দিয়ে বলল

” প্রথমত আমার নাম আরু আলু নয়।দ্বিতীয়ত আমার এইসব প্রেম ট্রেম ভালো লাগে না। এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। ”

দীপ্ত গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আরু গোলাপটা নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে ফোনটা ছেলেটার হাত থেকে নিয়ে চলে গেলো রাস্তার লোকেরা হা করে দেখছে।যারা জানে তারা দুজন কে পাগল ভেবে হেসে চলেছে দীপ্ত তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করে আরুর পিছু নেই।আর মনে মনে বলছে

” জানতাম গোলাপটা ছিরে দেবে তাই তো। দশটা নিলাম না শুধু শুধু আমার টাকা গুলো যেতো।কত বুদ্ধি আমার 😎”

আরু কে জোর করে দীপ্ত গাড়িতে তুলে নেয়।আরু বলল

” এটা কি হলো এটা তো কথা ছিল না।”

” ওগুলো তোমার কথা ছিল এইগুলা আমার।”

বলেই আরুর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। আরুর ঠোঁটে জোরে কাঁমড়ে দিল ব্যাথায চোখে জল ছেড়ে দিল আরু।দীপ্ত কিছুক্ষন পর আরু কে ছেড়ে দিয়ে বলল

” ওত জোরে চরটা মারতে হবে। ”

” লেগেছে? ”

দীপ্ত গালটা এগিয়ে দিয়ে বলল
” হুম অনেক এই দেখো ।”

আরু কান ধরে বলল

” সরি ।”

দীপ্ত আরুর এইরকম ফেস দেখে মাতাল হয়ে পরল।আরুর কোমড় জরিয়ে ধরে বলল

” একটা কেনো হাজার টা চর মারতে পারো।”

আরু সাথে সাথে দীপ্ত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলল

” সত্যি! তাহলে মারি আপনি গুনতে থাকুন।”

আরু এতটা excited হয়ে বলছে সেটা দেখে দীপ্ত শুকনো ঢক গিলে মনে মনে বলল

” এ মেযেতো সত্যি সত্যিই মারবে একে বলাই ভুল।”

দীপ্ত গলাটা ঝাঁকিয়ে বলল

” আরু ওটৃ কথার কথা এমনি বলেছি সত্যি মারতে বলিনি।চলো বাড়ি যায়।”

আরু ফেসটা কালো করে বলল ওকে।

______________________

মিষ্টি সুন্দর করে সেজেছে। আজ ওদের ভাত কাপড়। হৃদ মিষ্টির সামনে ভৃত কাপড়ের থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মিষ্টির হাতে দিয়ে বলল

” আজ থেকে তোর ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম।”

মিষ্টি মুচকি হেসে থাকাটা হাতে নিল।
এর মাঝে আরু আর দীপ্ত এসে উপস্থিত হলো।আরু মুখটা গম্ভীর করে বলল

” নেমন্তন্ন তো করলি না ।”

হৃদ বলল
” তোকে কে নেমন্তন্ন করবে ।যা খাস সব শেষ করে ফেলবি বাকিরা খেতেই পাবে না। ”

আরু রেগে বলল
” শয়তান তুই খাসনা বুঝি তুই তো রাক্ষস র মতো গিলিস।”

হৃদ এর মা বলল
” শুরু হয়ে গেলো দুজনের।দীপ্ত তুমি বসো দাঁড়িয়ে কেনো?”

দীপ্ত বসে আজ সারাদিন হৃদ এর বাড়িতে থাকবে।ওদের অনুষ্ঠান হবে না বাড়িতে কয় একজন আছে তা নিয়ে ওরা বউভাতটা সেরে ফেলবে।

________________

রাত বারোটা দীপ্ত আর আরু বাড়ি ঢুকলো।প্রতিমা দেবী এখনো টেবিলে বসে আছে আরু গিয়ে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল

” মা এখনো ঘুমাওনি তুমি? ”

” তোরা বাড়িতে নেয় আর আমি ঘুমিয়ে পরবো।”

” আচ্ছা এখন এসে গেছি এখন যাও ঘুমিয়ে পরো।”

” আচ্ছা।”

প্রতিমা দেবী চলে যায় দীপ্ত হঠাত আরু কে কোলে তুলে নেয়।

” কি করছেন ছাড়ুন ।”

” হৃদ এর আগে বিয়ে করেও ফুলশয্যা হলো না আর হৃদ এর হয়ে গেল আমি ও ফুলশয্যা করবো।”

” কিহহ না একদম না আপনার মাথায় আমি কলসি ভাঙ্গবো খব্বিশ রাক্ষস একটা ছাড়ুন আমি কিন্তু কাঁদবো।”

দীপ্ত আরু কে নিয়ে রুমে এসে দরজাটা লাগিয়ে দেয়। আরু কে কোল থেকে নামিয়ে বলল

” যাও ঘুমিয়ে পরো তার আগে আমার কিছু চাই ।”
” কি চাই? ”

দীপ্ত বাঁকা হেসে বলল

” বলব না করে দেখাবো।”

দীপ্ত আরুর দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর কোমড় টা জড়িয়ে ধরে তারপর আরুর ঠোঁট ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।

বাকি

|| ভালো না লাগলে ইগনোর করুন ||

( জানি অনেক ছোট হয়ে যাচ্ছে।আজকের পর্ব অনেকটা ছোট হয়েছে ।পারলে এক্সট্রা পার্ট দেবো।কেমন লাগল জানাবেন।)ফ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here