#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন
পর্ব— ২৭
পার্লারের বড় আয়নার সামনে বসে আছে রোদেলা.. তার মুখের ওপর সাজসজ্জা নামক পেইন্টিং করা হচ্ছে.. যা সবসময়ই রোদেলার কাছে “যেমন খুশি তেমন সাজাও” প্রতিযোগীতার মতো মনে হয়…এখন তার সাথেও ঠিক তাই হচ্ছে.. সিম্পল লেহেঙ্গা পড়ে পার্লারে নিজেকে সাজাচ্ছে সে!!!
হুম, আজ রোদেলার আকদ!! আকদ শব্দটা অনেক ছোট হলেও এর মর্মত্ব একটি মেয়ের জন্য অনেক বড়!! এই একটি অনুষ্টানে “কবুল” নামক শব্দটি বলে একটি মেয়ে একটি নতুন সম্পর্কের অদৃশ্য বেড়াজালে বন্ধিনী হয়ে পড়ে.. বিয়েটাতে শুধু একটি মেয়েকে সাজিয়ে নতুন বাড়িতে নতুন মানুষের মাঝে নিয়ে যাওয়া মাত্র.. কিন্তু এই আকদের মাধ্যমে মেয়েটার সত্তাটাকে নতুন মানুষটির সাথে বেধে দেওয়া হয়…
বিয়ে নিয়ে রোদেলার শখ অসীম ছিল সাথে স্বপ্নগুলো ও.. কিন্তু এখন তার কাছে এই বিয়েটা শুধু মাত্র নিজের সাথে জড়ানো আরো একটি সম্পর্ক বৈ আর কিছুই নয়…
রোদেলার তার বিয়ে টা ভাঙ্গে নি.. না সে হাসনাতের সাথে যোগাযোগের আর কোন চেষ্টা করেছে..যেই সম্পর্কটা হবার নয় সেইটির দিকে নিজের মনটা আর বাড়াতে চায় না সে.. রোদেলার চোখ বেয়ে অশ্রুর ধারা চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে বারবার..
হঠাৎ পার্লারের মেয়েটি বিরক্তিভরা কন্ঠে বলল– আপু এতো বেশি কান্না করলে সাজাবো কিভাবে.. প্লিজ আমার কাজটা শেষ করতে দিন.. পরে তো আমার ই বদনাম করবেন আপনারা..
রোদেলা মেজাজটা এমনিতেই খারাপ তার মোটেও জোকার সাজার ইচ্ছে নেই আর এখন রিতিমতো অসহ্য লাগছে তার. কিন্তু সে তার সবকিছুই নিয়তি আর সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দিয়েছে।। নিজের বাবা মা কখনো সন্তানের খারাপ চান না.. আর যেই বাবা মা তাকে এই দুনিয়াতে এতো সুন্দর করে বড় করে তুলেছে তাদের জন্য শুধু একটা কেন দশটা হাসনাত কুরবান করতে পারে সে!! এইসব ভাবতে ভাবতে নিজের সাজটা শেষ করে ক্লাবের দিকে রওনা দিল সে…
সকালের আলোতে হঠাৎ হাসনাতের ঘুম ভাঙ্গলো.. রাতে কখন যে নিজের সাথে নিজে ধস্তাধস্তি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে সেই হিসেব নেই তার… চোখ খুলে চারপাশে তাকাতেই ৪৪০ ভোল্ডের ঝটকা খেল সে!! এইটা যে তার রুম!! দেয়ালের ওপর নিজের ছবিটা দেখে আরো বেশি নিশ্চিন্ত হলো যে এইটা শুধুই তারই রুম!! তাকে এভাবে বেধেঁ রাখার মানেটা কি.. নিজের সর্বশক্তি দিয়ে এক হাত মুক্ত করে নিজেকে মুক্ত করে নিল সে.. হঠাৎ দরজার কুটকুট শব্দ কানে আসতেই,, দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়লো সে.. যেই মানুষটি রুমে ডুকলো.. উদম কেলানো স্টার্ট..
— ভাই,, ভাই আমি ইফতি,, ইফতি আমি…
হঠাৎ হাসনাতের হুস ফিরে এলো সে অবাক হয়ে সামনের মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলল– ইফতি!!তুই!! তুই আমাকে এইভাবে বেধেছিস??
ইফতি আমাতাআমাতা করতেই সেইখানে ইফ্ফাত এসে পুরো ঘটনাটা বলল– কিভাবে ইফতি ক্লোরোফোম দিয়ে হাসনাতকে অজ্ঞান করে নিয়ে এসেছে…
ইফতি কাচুমাচু করে বলল– ভাই, তোমার বিয়ের জন্য আসলে…..
হাসনাত ওকে কথার মাঝখানে ধমকে থামিয়ে দিল– চুপ গর্দভ.. আমি কি বলেছিলাম যে বিয়ে করবো না. এতো পাকামি করতে বলে কে তোকে..পুরো মাথার বুদ্ধিগুলো সব সারে পরিনত করে রেখেছিস.. বেয়াক্কেল.. যা মাথায় পেয়াজ উৎপাদন কর গা.আমার বিয়েতে সাপ্লাই দিবি তুই.. তারপর ইফ্ফাতের দিকে তাকিয়ে দাতে দাত পিশে বলল– ও বলল আর তুই ঢ্যাংঢ্যাং করে রাজি হয়ে গেলি.. নিজের বোনের কি অবস্হা হচ্ছে ভাবলি না কেন???
ইফ্ফাত মাথা নিচু করে বলল– ও বলেছি তাই ভাইয়া…
হাসনাত অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল– ও বললেই তোর করতে হবে.. ও যদি তোকে শীতের রাতে আইসকিউবের ওপর বসে থেকে ওর প্রেম পরিক্ষা দিতে বলে দিবি তুই?? তারপর কোমড়ে হাত গুঁজে বলল– সানিয়া আর মুনিরাকে পাই.. দুইটাকে কিডন্যাপ করে সুন্দরবনে মৌমাছির ঝাকের নিচে বেঁধে রেখে আসবো আমি.. বদের শেরাটন…
এইসব বলে সে হনহনিয়ে সেই জায়গা থেকে প্রস্হান করলো.. ইফ্ফাত রাগীলুক দিয়ে বলল– আমার থেকে দূরে থাকবে তুমি না হয় খুব খারাপ হয়ে যাবে.. এইবলে সে মুখ ভেঙ্চিয়ে সেখান থেকে প্রস্হান করলো.. আর ইফতি মাথায় হাত দিয়ে ওখানেই বসে পড়লো…. তার জিবনটা এখন চুইংগামের মতো.. কেউ এদিকে টানে কেউ ওদিকে.. সে বিরবিরিয়ে বলল– এদের জালায় কোনদিন আমিই কচুগাছে গলায় দড়ি দিব…
হাসনাত বারবার রোদেলাকে কল দিচ্ছে.. ফোনটা যে বন্ধ.. হাসনাতের ইচ্ছে হচ্ছে নিজের মাথাটা নিজেই ফাটায় সে.. তার মা তাকে স্বান্তনা দিয়ে ক্লাবের উদ্দেশ্যে রওনা করালো…
রোদেলা বউ সেজে বসে আছে.. আকদে মানুষ অনেক কম..কারন এক সপ্তাহ পর তাদের বিয়ে তাই..
ক্লাবের নিচের তলায় রোদেলার অনুষ্টান আর ওপর তালায় অন্যজনের..মানুষ কম তাই একফ্লোর ভাড়া নিয়েছে তারা… সময় যতো ঘনিয়ে আসছে রোদেলার হার্টের ধুকপুকানি বেড়েই যাচ্ছে.. হাসনাতকে ছাড়া তার হার্টের এই বিট করাযে থেমে যাবে!! সে জোরে নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করলো.. হঠাৎ সে মাহিয়াকে দেখলো.. গর্জিয়াস লেহেঙ্গা পড়ে ক্লাবের ভিতরে আসছে..
আজকাল কে বউ আর কে বউ না বোঝা মুসকিল!! রোদেলা ভাবলো.. এই যে এই মেয়েটা মনে হচ্ছে যেন তার বিয়ে.. এইসব ভেবে যেই মুখ ভেঙ্গাবে সাথে সাথে সামনে তাকিয়েই তার চোখ ঝাপসা হয়ে গেল… তার পুরো দুনিয়াটাই যেন ঘুরতে লাগলো.. তার সামনে হাসনাত দাড়িয়ে আছে তাও আবার বরের বেশে!! মাহিয়ার ঠিক পিছনেই হাসনাত ও ক্লাবে প্রবেশ করছে.. রোদেলার যেন দুয়ে দুয়ে চার হলো এইবার.. তার মানে হাসনাত ভাই এই শাঁকচুন্নি কে বিয়ে করছে!! মুহুর্তেই রাজ্যে সব রাগ রোদেলাকে ভর করতে শুরু করলো.. রাগে কেপেঁ ওঠলো সে!!! হাসনাতের এই বাজে রসিকতা যেন ভিতর থেকে তাকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিচ্ছে.. সে স্টেজ থেকে নিচে নেমে রেগে হাসনাতের সামনে গিয়ে তার কলার চেপে ধরলো.. তারপর দাত দাত চেপে বলল– বিয়ে সেইম দিনে করছেন ভালো কথা,, সেইম ক্লাবে করার কি খুব দরকার?? চিটাগাং শহরে কি ক্লাবের আকাল পড়েছে??
হাসনাত হতাশ লুক দিয়ে বলল– তোমার ফোন কোথায় কখন থেকে কল দিচ্ছি…
রোদেলা দ্বিগুণ রেগে বলল– কথা ঘুরাবেন না.. আমার ফোন আমি ভাঙ্গবো না আচার খাব আমার ইচ্ছা.. আপনি জবাব দিন আমার প্রশ্নের…
হাসনাত রোদেলার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল– কখনো কি দেখেছো? বর বৌ আলাদা ক্লাবে বিয়ে হয়?? আমার বৌ এখানে তো আমি কোথায় যাব??
রোদেলা থমকে দাঁড়ালো.. থতমত খেয়ে বলল– পেটের ভিতর কি শুধু জিলাপির প্যাচ আপনার??সহজ ভাষায় কথা বললে কি মুখে আটকাই?
হাসনাত জোরে নিশ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছেড়ে বলল– তোকে আল্লাহ চায়লেই আর একটু বুদ্ধি দিতে পারতো..
তারপর সানিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল– সত্যি টা কি মাইর খাওয়ার আগে বলবি না পরে??
মুনিরা পরপর কয়েকবার ঢুক গিলল.. আপাতত হাসনাতের হাতের মার খাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই তার.. বিয়ের খাবার গুলোই অনেক টেষ্টি.. সে রোদেলার সামনে দাঁড়িয়ে গরগরিয়ে তাদের করা সব অকাজগুলো শুরু থেকে শেষ অবধি বলতে লাগলো…
সব শুনে রোদেলা ধুপ করে বসে পড়লো.. তার চোখ দিয়ে অনবরত অশ্রু ঝড়ছে!! তার সাথেই কেন এতো ধরনের ঘটনা হয়.. জিবনটা কেন শুধু তার সাথেই রসিকতা করে!!.. সে কি টেনিস বল!!! যার যা ইচ্ছা তা ই করলো.. শেষ পর্যন্ত নিজের বোনেরা!! রোদেলার সবকিছু অসহ্য লাগতে শুরু করলো.. সে মুখ কুঁচকে দাড়িয়ে গেইটের দিকে হাটা দিল উদ্দেশ্য সে বাড়ি যাবে…
মুনিরা আর সানিয়া বুঝতে পারছে তারা অতিরিক্ত দুষ্টুমি করে ফেলেছে!!
আসলেই সবকিছুর লিমিট থাকা দরকার অতিরিক্ত কিছুই ভালো না.. তারা দুইজন সাথে ইফ্ফাত ও রোদেলার হাত ধরে ফেলল.. রোদেলা নিষ্পল চোখে বলল– তোদের মজা করা শেষ হয়েছে?? নাকি আরো কিছু করতে চাস??
ইফ্ফাত — আপু আসলে…
রোদেলা— থাক,, সমস্যা নেই.. আমি তো পুতুল.. আমার ভিতর তো কোন ফিলিং ও নেই..
এইবলে সে সবাইকে ছেড়ে যেই চলে যাবে হাসনাত রোদেলার হাত ধরে জোরে টান দিল নিজের দিকে.. আর রোদেলা আচমকা তাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়লো হাসনাতের বুকের ওপর!!!
সে ভয়ে চোখ বুঝে রইলো.. হাসনাত ফিসফিসিয়ে বলল– আমি আর কতোটা কষ্ট পাব বলতে পার?? আর কতোটা দুরে থাকতে হবে আমার?
রোদেলা নিজের হাত ছড়িয়ে নিতে নিতে বলল– এ কোন ধরনের অসভ্যতামী?? ছাড়ুন আমায়। সবাই দেখছে..
হাসনাত দাতে দাত চেপে বলল– দেখুক.. আমি আমার বৌয়ের হাত ধরেছি..
রোদেলা রেগে বলল– নিলজ্জ ছেলে কোথাকার!! আমাকে ছাড়ুন… আমি আপনার বৌ না.. আমি করবো না আপনাকে বিয়ে…
হাসনাত– শুধু তুই না তোর ঘাড় ও বিয়ে করবে আমাকে…
রোদেলা নাক ফুলিয়ে– তাহলে ঘাড়টাকেই বিয়ে করুন.. আমাকে কেন করা হচ্ছে??
হাসনাত রোদেলার হাতটা আরো চেপে ধরে— ঘাড়টাতো মানুষের সাথে লাগানো তাই মানুষটিও বিয়ে করছি আমি… চল এখন স্টেজে.. এইবলো তাকে টেনে স্টেজের ওপর দাড় করিয়ে দিল..
রোদেলা নিজের হাতটা ছাড়াতে ছাড়াতে বলল– গুন্ডা, বদমাইশ, লেজ কাটা হনুমান, রক্তচোষা কুমির..আমি বিয়ে করবো না তোমাকে.. বাবা কিছু তো বল..
শামীম সাহেব আর হাসনাতের বাবা আমাতাআমাতা করে বলল– আসলে হাসনাত কয়েকদিন পর….
হাসনাত রাগীলুক দিয়ে বলল– নয় বছর অনেক বড়.. আমার থেকে ছোট ছেলেরাও বিয়ে করে সংসারী হয়ে গেছে.. চিরকুমার সংঘঠনে নাম লেখানো ইচ্ছে নেই আমার…
তারা দুইজন একজন অন্যজনের দিকে তাকিয়ে চুপসে গেল… তারা অসহায় দৃষ্টিতে রোদেলার দিকে তাকালো.. রোদেলা অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল– বিয়ে করার জন্য কি কেউ এভাবে প্রপোজ করে??
হাসনাত মুচকি হেসে দাত কটমটিয়ে বলল– আমি এভাবেই কথা বলি ডার্লিং.. ঐ যে আমার মুখে জন্মের সময় নিমতিতার পানি খাইয়েছিল তাই…
হাসনাতের মা পরম অভিযোগের সাথে বলল– তোকে তো আমি মধুই খাইয়েছিলাম তাও আবার পুরো দুই চামচ…
হাসনাত হতাশাজনক লুক দিয়ে তাকালো তার দিকে.. তারপর জোরে একটা নিশ্বাস ফেলে বলল– কাজি সাহেব.. আপনি বিয়ে পড়ান…
কাজি আমাতাআমাতা করে বলল– বাবা,, বিয়ে টা পুরো জিবনের সিদ্ধান্ত… এভাবে হুট করে..
হাসনাত নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের কপালে আন্গুল বুলিয়ে কাজির দিকে স্হির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল– বিয়ে টা কি আপনি করছেন?? আর এই গাধাটার কথা শুনবেন না. ও কি বলে ও নিজেই জানে না….
রোদেলা মুখ ফুলিয়ে তাকালো হাসনাতের দিকে.. তার ইজ্জতের ফালুদা করার কি খুব দরকার এই হিটলারের…
কাজি বিবাহ পড়াতে শুরু করল.. হাসনাতকে রোদেলাকে কবুল বলতে বলা হল..
রোদেলা যেন মুখে কুলুপ এঁটেছে.. সে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো.. আচমকা হাসনাত বলল– মাহিয়া কবুল বল.. আজকে বিয়ে হলে হল..মেয়ে যে হবে হোক গা.।।
রোদেলা চোখ বড় বড় করে তাকালো সেদিকে..
— শালা ইতর,, এতোবছর নাকি সে ওয়েট করেছে.. এখন যাকে পাচ্ছে তাকে করবে নাকি বিয়ে.. কিন্তু মোটেও এই শাঁকচুন্নি তোমার বউ হবে না হিটলার।। বিয়েটা হলেই বোঝবা রোদেলা কি জিনিস…
এইসব মনে মনে চিন্তা করে তাড়াতাড়ি মাহিয়ার অাগে কবুল বলে ফেলল সে…হাসনাত দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মুচকি হেসে আকাশের দিকে তাকালো. এখন যেন তার মরে গেলেও একটুও আফসোস হবে না.. খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে রাতে!!! সেই রেশ যে এখনো কাটে নি তার.তাই তো সে রোদেলার হাতটা এখনো শক্ত করে ধরে আছে!!
অন্যদিকে রোদেলা হাসনাতের দিকে তাকিয়ে বিরবিরিয়ে বলল– খুব খারাপ তুমি হাসনাত ভাই… ভালোবাসি কি আমার বাচ্চা হওয়ার পর বলবে তুমি আমকে!!! এ কেমন বিচার!!
তারপর মুচকি হেসে ভাবলো— রোদেলার সামনে বাদর নাচের জন্য রেডি হয়ে যাও হাসনাত আরিয়ান।। এ সাতদিন তোমাকে যদি ত্যানাত্যানা না করি তো আমিও রোদেলা ইমরুল নই….
চলবে