#মরুর_বুক_বৃষ্টি 💖
#লেখিকা-Mehruma Nurr
#পর্ব-২২
★রাত ১১টা
আদিত্য নূরকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে। নূর ঘুমাইনি এখনো। হাত নেড়ে নেড়ে নানান কথার ফুলঝুরি সাজাচ্ছে। আর আদিত্য মুগ্ধ হয়ে সেসব শুনছে। তখনই হঠাৎ কেউ দরজায় জোরে জোরে নক করলো। আদিত্য ভ্রু কুঁচকে ভাবলো, এতরাতে আবার কে এলো? আদিত্য নূরকে উঠে গিয়ে দরজা খুলতে গেল। দরজা খুলতেই হঠাৎ শায়না আদিত্যকে জাপটে ধরলো।জাপটে ধরে ন্যাকামি করে বললো।
–আদিত্য আ্যাম স্কেয়ার্ড আদিত্য। প্লিজ হেল্প মি।
শায়নাকে আবারও আদিত্যকে এভাবে জড়িয়ে ধরতে দেখে নূরের প্রচুর রাগ হতে লাগলো। ওর ইচ্ছে করছে এখনি এই শায়নার মাথার ওপর বেবিকে দিয়ে পটি করাতে। পঁচা একটা। বারবার শুধু নূরের হিরোকে জড়িয়ে ধরে। শায়নার আচরণে আদিত্যও চরম বিরক্ত। অন্য কেউ হলে এতক্ষণে দু একটা চড় থাপ্পড় লাগিয়ে দিত আদিত্য। তবে ফুপাতো বোন দেখে কিছু বলাতেও পারছে না। আদিত্য শায়নাকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে শক্ত গলায় বললো।
–তোমাকে কতবার বলবো, এটা বাংলাদেশ। এখানে অন্য একটা পুরুষকে কেউ এভাবে কথায় কথায় জড়িয়ে ধরে না। আর আমার পার্সোনালি ও এসব পছন্দমতো না। তাই পরবর্তীতে খেয়াল রাখবে।
শায়না ঢং করে বললো।
–সরি আদিত্য। আসলে আমি না অনেক ভয় পাচ্ছিলাম তাই এমন করেছি। আমি কখনো একা একা থাকিনি তো তাই খুব ভয় লাগছে। তারওপর নতুন জায়গা। আমার খুব ভয় লাগছে। প্লিজ আদিত্য আমি কি আজ তোমার সাথে থাকতে পারি?
আদিত্য কিছু বলার আগে নূর তেড়ে এসে শায়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো।
–এই এই পঁচা মেয়েটা তুমি কেন আমার হিরোর সাথে থাকবে? হিরোর সাথে শুধু আমি থাকবো। আর কেউ যদি। তুমি যাও এখান থেকে যাও।
নূর শায়নাকে ঠেলে বার করে দিতে লাগলো। শায়না ভেতরে ভেতরে রাগে কটমট করলেও আদিত্যের সামনে চুপ করে রইলো।
আদিত্য নূরের হাত আটকে দিয়ে বললো।
–শান্ত হও এঞ্জেলা। এমন করতে হয় না। শায়না আমাদের গেস্ট। গেস্টের সাথে এমন করলে লোকে তোমাকে পঁচা বলবে। আমি ওকে বুঝিয়ে বলছি।
আদিত্যের কথামতো নূর থেমে গেল। আদিত্য এবার শায়নার দিকে তাকিয়ে বললো ।
–দেখ শায়না তুমি যেটা বলছ সেটা সম্ভব না। তুমি আমাদের সাথে থাকতে পারবে না। আর এতো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবুও যদি বেশি ভয় লাগে তাহলে আমি নিলাকে বলে দিচ্ছি ও তোমার সাথে ঘুমাবে ঠিক আছে?
শায়না জোরপূর্বক হেসে বললো।
–না না তার দরকার নেই। আমি নাহয় আবারও ঘুমানোর চেষ্টা করি গিয়ে।
কথাটা বলে শায়না চলে যেতে লাগলো। আর নিজের প্ল্যান ফেইল হওয়ার জন্য রাগে কিড়মিড় করতে লাগলো। ও ভেবে পাচ্ছে না আদিত্য এই পাগল মেয়েটার মাঝে কি পেয়েছে। যার জন্য ও এতো পাগল হয়েছে। তবে যাই হয়ে যাক।এই পাগল মেয়েটাকে তো আদিত্যের জীবন থেকে সরিয়েই ছাড়বে।
______
রাত বারোটার দিকে বিহান বাসায় ফিরলো। নেশায় ধুত, চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বেডের দিকে তাকাতেই কপাল কুঁচকে এলো বিহানের। আঙুল দিয়ে চোখ কচলিয়ে আবার ভালো করে তাকালো। নাহ ও ভুল দেখছে না। আায়াত সত্যি সত্যিই ওর বিছানায় বসে আছে। তাও আবার দেহকর্মী মহিলাদের মতো কেমন অদ্ভুত ভাবে সেজেগুজে বসে আছে। বিহানের মন মেজাজ এমনিতেও খারাপ হয়ে আছে। তারওপর আয়াতকে এভাবে দেখে রেগে গিয়ে বললো।
–এই বেশরম মাইয়া আপনে আবার আইছেন এইহানে? আপনার কি লাজলজ্জা বলতে কিছু নাই? এতরাইতে আমার রুমে কি করবার আইছেন আপনি?
আয়াত উঠে দাঁড়িয়ে বিহানের সামনে এসে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো।
–কেন আপনার যেটা দরকার সেটাই দিতে এসেছি। যাতে আপনাকে আর অন্য কারোর কাছে যেতে না হয়।
বিহান ভ্রু কুঁচকে বললো।
–মানে?কি কইবার চান আপনে?
–বাহ্ ভালোই তো অভিনয় শিখেছেন। তা ড্রামা করার কি আছে?
আয়াত হঠাৎ বিহানের কলার চেপে ধরে অশ্রু চোখে কিছুটা উচ্চাস্বরে বলে উঠলো।
— আপনার যদি এতই চাহিদা ছিল। তাহলে আমাকে বলতেন, আমি নিজেকে আপনার সামনে বিলিয়ে দিতাম। তাহলে তো আর আপনাকে ওই নষ্ট পাড়ায় যেতে হতোনা।
আয়াতের মুখে নষ্ট পাড়ার কথা শুনে অনেক টা চমকে গেল বিহান। সাথে সাথে আয়াতের কথায় প্রচুর রাগও হলো। বিহান আয়াতকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে উঠলো।
–বাহ্ বহুত আচ্ছা। আমি খুব একটা অবাক হইতাচি না আপনের কাজে। আমি আগেই জানতাম আপনের জোচ্চর মা, একদিন না একদিন টাকার লোভে আপনেরে এই কাজে নামায় দিবো। তা আপনিও যে এতো সহজে এই ধান্দায় নাইমা পরবেন তা জানতাম না। তা আমিই কি প্রথম কাস্টোমার? নাকি আমার আগেও কেউ,,
–বিহান,,,
বিহানের কথা শেষ করার আগেই আয়াত বিহানের নাম নিয়ে চিল্লিয়ে উঠে ঠাস করে বিহানের গালে একটা চড় মেরে দিল। তারপর রাগী কন্ঠে বলে উঠলো।
–আপনার মুখে কিচ্ছু বাঁধে না তাইনা? যা ইচ্ছে তাই বলে যান? আচ্ছা ঠিক আছে,আমার মা খারাপ।আমি খারাপ। তাহলে আপনি কি হ্যাঁ? আপনি যে জঘন্য কাজ করে বেরাচ্ছেন,তার বেলায় কি হ্যাঁ? এমনিতেতো এমন ভাব দেখান যেন মেয়েদের থেকে আপনি দশহাত দূরে থাকেন। আর অন্য দিকে ওইসব নোংরা কাজ করে বেরান? আমার মা নাহয় খারাপ দেখে আমাকে খারাপ শিক্ষা দেয়। তো আপনার মা বাবা কেমন শুনি? তারা কি আপনাকে এইসব করার শিক্ষা দিয়েছে? বলুন?
আয়াত বিহানের সবচেয়ে দূর্বল জায়গায় আঘাত করেছে। বিহানের আগে থেকেই মন মেজাজ বিগড়ে আছে, আবার নেশাও করে আছে তারওপর আয়াতের এমন মা বাপ নিয়ে কথা বলায় বিহানের রাগের সর্বসীমা পেরিয়ে গেল। এই মুহূর্তে বিহান রাগের মাথায় তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। বিহান চোখ মুখ লাল করে ঠাস করে আয়াতের গালে একটা চড় বসিয়ে দিল। চড় খেয়ে আয়াত ছিটকে নিচে পড়ে গেল। গালে হাত দিয়ে আহত দৃষ্টিতে বিহানের দিকে তাকালো আয়াত।
বিহান আয়াতের সামনে বসে আয়াতের চুলের মুঠি ধরে ওর মুখটা উঁচু করে ক্রুর চোখে তাকিয়ে বললো।
–তোরে আগেই কইছিলাম আমারে চ্যাতাইছ না। আমি জংগী কুকুর। ক্ষেপে গেলে কাওরে ছাড়িনা। কিন্তু তুই মানোছ নাই। অহন আমার জংলীপনা দেখ। কি জানি কইতাছিলি? আমি ওই নষ্ট গলিতে গেছি ক্যান। তয় শোন। হ গেছি, আমার মন চাইছে গেছি। আরও ইচ্ছে হইলে আরও যামু। রোজ রোজ যামু। তাতে তোর কি? আমি যা খুছি তাই করি তাতে তোর কি? আর তোরে আমি জবাব দিমু ক্যালা? আমার জীবন, আমার ইচ্ছা,আমার খুশি। আমার য্যামনে মন চায় হ্যামনে চলুম। তোর জবাব দিতে বাধ্য না আমি।
আয়াত এদিকে ব্যাথায় ছটফট করে যাচ্ছে। কিন্তু বিহানের সেদিকে কোন হুঁশ নেই। বিহান রাগের মাথায় ওর সব হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। বিহান আরও বলতে লাগলো।
–তোর শরীরে যদি বহুত জ্বালা ধইরা থাকে, তাইলে তুইও ওই নষ্ট গলিতে যাইবার পারোস। হাজারটা লোক তোর জ্বালা মিটাই দিবো। তয় আমার সামনে এইসব দেখাতে আবিনা। অহন যা এইখান থাইকা। আর লজ্জার ছিটেফোঁটাও যদি থাইকা থাকে। তাইলে আমার সামনে আর আবিনা।
কথাগুলো বলেই বিহান আয়াতের হাত ধরে ওকে টেনে নিয়ে রুমের বাইরে বের করে দিল।
আয়াত যেন অনুভূতি শূন্য হয়ে গেল। আজকের মতো অপমান ও কোনদিনও হয়নি। এই মানুষটাকে ভালোবাসার জন্য নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ মনে হচ্ছে। ওর এখন মরে যেতে ইচ্ছে করছে। আয়াত শূন্য চোখে তাকিয়ে ধীরে ধীরে এলোমেলো পায়ে ওখান থেকে চলে গেল।
______
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলতেই চমকে গেল নিলা। আবির ওর সামনে বেডের ওপর গালে হাত দিয়ে বসে ওর দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছে। নিলা গায়ের চাদর টা ভালো করে টেনে নিয়ে লাজুক ভঙ্গিতে বললো।
–আ আপনি? আপনি সকাল সকাল এখানে কি করছেন? কেউ দেখে ফেললে কি হবে?
আবির নিলার দিকে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে টেডি স্মাইল দিয়ে,নিলার গালে হাত বুলিয়ে বললো।
–হায়য়,শুধু সকাল সকাল কেন। আমার তো রাত বিরাতেও তোমার কাছে থাকতে মন চায়। কি বলো চলে আসবো নাকি?
কথাটা বলেই আবির দুষ্টু হেসে নূরের মেরে দিল।
নিলা লজ্জা পেয়ে বললো।
–ধ্যাৎ সবসময় শুধু লুচুগিরি। সরেন তো এখান থেকে।
নিলা আবিরকে দুই হাত দিয়ে ঠেলতে লাগলো। কিন্তু আবিরের একটা পশমও নড়াতে পারছে না। নিলা না পেরে অনুনয়ের সুরে বললো।
–প্লিজ সরুন না? আমি ওয়াশরুমে যাবো।
আবির বলে উঠলো।
–যেতে দেব তার আগে আমার কিচ্ছি চাই। চুমু দাও আর নিজেকে আজাদ করে নাও। চুমুর বদলে আজাদী। হায় এমন অফার তো পাক বাহিনীও দেয়নি। দেখেছ আমি কতো মহান।
–হ্যাঁ হ্যাঁ দেখেছি। এখন সরুন প্লিজ।
–নো সরুন। আগে কিচ্ছি তারপর সরাসরি।
কথাটা বলেই আবির নিলার ঠোটের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। দুজনের ঠোঁট প্রায় ছুঁই ছুঁই তখনই হঠাৎ নিলা দরজার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো।
–জিজু??
আবির বেচারা এক ঝটকায় নিলাকে ছেড়ে সোজা হয়ে বসলো।দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো দরজায় কেউই নেই। তারমানে নিলা ওকে বোকা বানিয়েছে? আর নিলা তাড়াতাড়ি উঠে ওয়াশরুমের দিকে দৌড়ালো। ওয়াশরুমের দরজায় গিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে জিব দেখিয়ে হাসতে হাসতে ভেতরে ঢুকে গেল। আর মাথা ঝাকিয়ে হাসলো।
_____
আদিত্য গার্ডেন এরিয়ায় এক্সারসাইজ করছে। আর শায়না উপর থেকে লোভী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদিত্যের দিকে। আদিত্যের সুঠাম বডি দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না ও। শায়নাও একটু পরে নেমে এলো আদিত্যের কাছে। টাইট টিশার্ট আর টাইট থ্রি কোয়ার্টার লেগিস পরে আদিত্যর কাছে এসে নিজেও এক্সারসাইজ করতে লাগলো। এক্সারসাইজের বাহানায় আদিত্যেকে নিজের দিকে এট্রাক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আদিত্য শায়নার দিকে একবারের জন্যও তাকাচ্ছে না।
নূরের বিড়াল ছানা নূরের শরীরের ওপর এসে নড়াচড়া করায় নূরের ঘুম ভেঙে গেল। নূর আড়মোড়া ভেঙে মুচকি হেসে বিড়াল ছানাকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলো। একটু পরে ছানাকে নিয়ে নূর উঠে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে বেলকনিতে এলো। বেলকনিতে এসে নিচে তাকাতেই আদিত্য আর শায়নাকে দেখতে পেল। শায়নাকে আদিত্যর কাছে দেখে নূরের আবারও রাগ লাগতে শুরু করলো। এই মেয়েটাকে নূরের একদমই পছন্দ হয়না সবসময় শুধু হিরোর আগেপিছে ঘোরে। পঁচা একটা মেয়ে।
তখনই হঠাৎ শায়না পরে যাওয়ার ভান করে আদিত্যের গায়ের ওপর ঢলে পড়লো। এটা দেখে নূর আরও রাগ হতে লাগলো। ওর ইচ্ছে করছে এখনি বেবিকে দিয়ে ওই পঁচা মেয়েটার শরীরে আঁচড় বসিয়ে দিতে।
আদিত্য মুখে বিরক্তের ছাপ এনে শায়নাকে নিজের কাছ ছাড়িয়ে সোজা করে দাঁড় করালো। শয়ানা ঢং করে বললো।
–সরি আদিত্য। আসলে হঠাৎ করে পর যেতে নিলাম তো তাই তোমাকে ধরেছি।
আদিত্য কিছু না বলে শায়নাকে ওখানে রেখে চলে গেল।
একটু পরে আদিত্য নূরকে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করতে নিচে নেমে এলো। ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসে নূরকে খাইয়ে দিতে লাগলো। তখনই শায়নাও নিচে এলো। হেলেদুলে গিয়ে আদিত্যের পাশের চেয়ার টা টেনে আদিত্যের গা ঘেঁষে বসলো। খাওয়ার সময়ও বারবার নানান বাহানায় শায়না আদিত্যর গা ঘেঁষে পড়ছে। নূর আর সহ্য করতে পারলোনা হাতে থাকা পানির গ্লাস টা শায়নার মুখে ছুড়ে মারলো। তারপর বলে উঠলো।
–এই এই পঁচা মেয়েটা সরো এখান থেকে। শুধু আমার হিরোর কাছে আসে।
হঠাৎ নূরের এমন আচরণে আদিত্য অবাক হয়ে গেল। শায়নাকে ওর নিজেরও তেমন পছন্দ না। তবুও যেমনই হোক ও আদিত্যের ফুপুর মেয়ে তাই আদিত্য সিচুয়েশন সামলানোর জন্য বলে উঠলো।
–এঞ্জেলা এটা কি করলে? তোমাকে আমি বলেছি না শায়না আমাদের গেস্ট। আর গেস্টদের সাথে এমন মিসবিহেব করতে নেই। তুমি কি ব্যাড গার্ল হতে চাও?
নূর মাথা নাড়ালো।মানে সে চায়না।
–দেন সে সরি টু শায়না।
নূর অনিচ্ছা সত্ত্বেও শায়নার দিকে আরচোখে তাকিয়ে আস্তে করে সরি বলে দিল।
শায়না ভেতরে ভেতরে রেগে থাকলেও আদিত্যের সামনে জোরপূর্বক হেসে বললো।
–ডোন্ট ওয়ারি। ইটস ওকে। আমি চেঞ্জ করে আসছি।
কথাটা বলে শায়না চলে যেতে লাগলো। যেতে যেতে বাঁকা হেসে মনে মনে ভাবলো, নূরকে আদিত্যের জীবন থেকে সরানোর এটাই ভালো উপায়। নূরকে এমন এমন কাজ করাতে হবে, যাতে আদিত্য চরম বিরক্ত হয়ে যায়। আর একসময় বিরক্ত হয়ে নূরকে ওর জীবন থেকে বের করে দিবে। কথা গুলো ভেবে শায়না সয়তানি হাসলো।
___
বিহান ঘুম থেকে উঠে দুই হাতে মাথা চেপে ধরে বসে আছে। মাথাটা অনেক ব্যাথা করছে। কাল একটু বেশিই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই হ্যাংওভার টা বেশিই হচ্ছে। কালকের কথা ভাবতেই হঠাৎ বিহানের কাল রাতের কথা মনে পড়ে গেল। কাল রাতে আয়াতের আসা,ওর সাথে করা খারাপ ব্যবহার গুলো মনে পরে গেল। বিহানের প্রচুর খারাপ লাগছে। মেয়েটার সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। যতই হোক আয়াত আদিত্যের বোন। আমার ওর সাথে কথা বলে ওকে সরি বলতে হবে।
কথাটা ভেবে বিহান উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল। তারপর রেডি হয়ে আদিত্যর বাসার উদ্দেশ্যে বের হলো।
কিন্তু আদিত্যের বাসায় এসেই এমন একটা খবর শুনলো যার জন্য বিহান মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা। নিলা এসে বিহানকে জানালো আয়াত নাকি সুইসাইড এটেম্প করেছে। তাই আবির আর আদিত্য হসপিটালে গিয়েছে। কথাটা শুনে বিহান হতভম্ব হয়ে গেল।
চলবে……
(রিচেক করিনি। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার চোখে দেখবেন)