মিশে_আছি_তোমাতে পর্ব ১৮+১৯

#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#Part_18
.
.
.
.

নিসা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই নিরবকে দেখে নিসা নিরবের পাশে কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে নিরব বলে উঠে……

নিরব : চলে যাচ্ছো…..

নিসা : হুম….

নিরব : আমি বাড়ি পৌছে দিয়ে আসি যদি তোমার কোনো সমস্যা না থাকে….

নিসা : না না তার কোনো দরকার নেই আমি একাই চলে যেতে পারবো…

নিরব : তা কি করে হয় বল তুমি আমার সর্ম্পকে বেয়াইন হয় তো তোমার প্রতি খেয়াল রাখাটা তো আমার দায়ত্বিয়ের মাঝে পড়ে তাই না তাই চলো তোমাকে আমি বাড়িতে দিয়ে আসি…

নিসা : আরে তার কোনো দরকার নেই….

নিরব : আরে আসো তো আমি গাড়ি বের করছি….

নিসা : ( উফফ কি বেজালে পড়লাম)

নিরব : কি হলো?? গাড়িতে উঠো…

নিসা : হুম…..

নিসা পিছনে গিয়ে বসতে চায় তা দেখে নিরব বলে….

নিরব : তুমি কি চোখে কম দেখেন??

নিসা : মানে….

নিরব : মানে যাতে তুমি গাড়িতে উঠতে পারেন তার জন্য গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছি আর তুমি গাড়িতে না উঠে পিছনের দিকে কেন যাচ্ছেো??? তাই বললাম তুমি কি চোখে কম দেখো কি না গাড়িতে উঠে বসো…..

নিসা : হুম….

নিসা চুপচাপ এসে গাড়িতে এসে বসে নিরব গাড়ির দরজা লাগিয়ে দুয়ে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে…… নিরব সিট বেল্টটা লাগিয়ে নেয় নিরব লক্ষ্য করে নিসা সিট বেল্টটা লাগায় নি….. তার জন্য নিরব নিসার কাছে যায় নিসা তো ভীষন ভয় পায়….. নিরব নিসার কাছে যাওয়ার সাথে সাথে ওর নাকে নিসার মাতাল করার ঘন কালো চুলের সুভাস পায়,…..

নিসা : কি করছেন আপনি??

নিরব সিট বেল্টটা লাগিয়ে দিয়ে নিসার কাছ থেকে চলে আসে…

নিরব : কিছুই না দেখলাম তুমি সিট বেল্টটা লাগাও নি তাই লাগিয়ে দিলাম….. ঠিক আছে এবার যাও যাক

আচ্ছা কোথায় যাওয়া যায় বলো তো??

নিসা : মানে…

নিরব : মানে তোমাকে আমি কিছু বলতে চাই….

নিসা : কি বলতে চান??

নিরব : সেটা না হয় অন্য কোথাও গিয়ে বলি গাড়িতে বলতে চাইছি না…… কোথায় গিয়ে শুনবে কথাটা সেটা বলো???

নিসা : আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে..,

নিরব : ঠিক আছে তোমাকে বলতে হবে না আমি বরং তোমাকে এক জায়গাতে নিয়ে যাই…..

এদিকে আবির তিশার দিকে ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে তিশা তো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে লজ্জাতে মুখ দেখাতে পারছে না….. তিশা মাথা নিচু করে বলে

তিশা : এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমার দিকে???

আবির : হুম….

তিশা : বলছি আপনি আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন আমার লজ্জা লাগছে….

আবির : সরি…. তা হঠাৎ শাড়ি পড়লে কেন????

তিশা : আমাকে সুন্দর লাগছে না….

আবির : ( তোমাকে একদম পরীর মতো লাগছে চোখ সরাতেই পারছি না তোমার দিক থেকে… কিন্তু তোমাকে তো একটু জ্বালাতেই পারি তাই না সেই অধিকারটা তো আমার আছে নিশ্চয়)

তিশা : কি হলো বলুন???

আবির : আসলে তোমাকে আজকে ভীষন ভীষন…..

তিশা : হুম বলুন….

আবির : ভীষন…. বাজে লাগছে বুঝেছো

তিশা : কি?? আমাকে সুন্দর লাগছে না ( নিজের দিকে তাকিয়ে)

আবির : না একদম কালো পেত্নি লাগছে…

আবিরের মুখে এই কথাটা শুনে সত্যি সত্যি তিশার মুখটা কালো হয়ে যায়…. আবির তিশার এমন কালপ করে রাখা মুখটা দেখে খুব কষ্ট করে হাসিটা চেপে রাখে….

তিশা : কিহ?? আমাকে কালো পেত্নি লাগছে আমি কি দেখতে কালো নাকি….

আবির : যদি তুমি নিজেকে সুন্দর ভাবো তাহলে এটা তোমার ব্যাপার তুমি আমার কাছে এতটা সুন্দরী নয় বুঝলে…..

আবিরের কথাটা শুনে তিশা ভ্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করে….

তিশা : আমি দেখতে সুন্দর না তাহলে আমাকে বিয়ে করেছিলেন কেন??? আমি কি বলেছি আমাকে বিয়ে করতে….. আপনি খুব বাজে লোক আগে আপনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন এখন আপনি আমাকে একটুও ভালোবাসেন না……

তিশা কান্না করতে করতে ঘর থেকে চলে যায়…..

আবির : আরে তিশা শুনো…. ঔষুধের টোচটা কি একটু বেশি হয়ে গেল নাকি যাই গিয়ে দেখি কোথায় গেল আবার এই পাগলিটা…

নিসা আর নিরব একটা কফিশফে বসে আছে….. নিসা নিজের দু হাত খাচলাছে

নিরব : কি হলো কফি খাও….

নিসা : আপনি কি বলবেন সেটা বলেন????? .

নিরব : আগে তুমি কফিটা খাও তারপর বলছি….

নিসা এক চুমক কফি খায়….

নিসা : এবার বলুন কি বলবেন??

নিরব : আসলে ব্যাপারটা হয়েছে কি?? ( নিরব এই কথাটা বলে জোরে নিশ্বাস ছেড়ে চোখ বন্ধ করে বলে) আমি তোমাকে ভালোবাসি নিসা….

নিরব এই কথাটা বলে আস্তে আস্তে করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে নিসা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে নিসার এমন তাকানো দেখে নিরব একটা টুক খিলে কিন্তু নিসার মুখে এই মিষ্টি হাসিটা দেখে নিরব হাফ ছেড়ে বাচে….

নিসা : আমাকে আপনি ভালোবাসেন তাই তো….

নিরব : হে ভীষন ভালোবাসি….

নিসা : কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না….

নিরব : কিহ কিন্তু কেন জানতে পারি???

নিসা : নাহ আপনি জানতে পারেন না….

নিরব : কেন আমি জানতে পারি না?? আমার নিশ্চয়ই কোনো ক্ষুদ আছে যেটার জন্য হয়তো তুমি আমাকে ভালবাসো না আমি কি সেই ক্ষুদটার কথা জানতে পারি না কেন?? …

নিসা : আপনার কোনো ক্ষুদ নেই…

নিরব : তাহলে আমাকে কোনো ভালোবাসতে পারবে না???

নিসা : সেটা আমি আপনাকে বলতে পারবো না…..

নিরব : ওওও বুঝতে পেরেছি কেন তুমি আমাকে ভালোবাসতে পারবে না….

নিসা : কি বুঝেছেন আপনি???

নিরব : সেটা না হয় সময় হলে তোমাকে বলবো আর একটা কথা তুমি তো আমাকে একদিন না একদিন ভালোবাসবেই….. ঠিক আছে চল তোমাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসি যেহেতু আমি তোমাকে কথা দিয়েছি তোমাকে বাড়ি দিয়ে আসবো তাহলে আমাকে কথাটা তো রাখতে হবে……

নিরব নিসাকে বাড়িতে পৌছে দেয়…. নিসা গাড়ি থেকে নেমে যায়

নিরব : টাটা ভালো থাকবে….. কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে আমি সবসময় তোমার পাশে আছি….. নিরব চলে যায়

নিসা : ( সরি নিরব আমি আপনাকে দুঃখ দিতে চাই নি কিন্তু আমার কিছু করার নেই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন)

এদিকে আবির তিশাকে সারা বাড়ি খুজছে কিন্তু পাচ্ছে না আবির তিশাকে খুজতে ছাদে যায় ছাদে গিয়ে দেখে……
#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Jahan_Bristy
#part_19
.
.
.
.

আবির ছাদে উঠে গিয়ে দেখে তিশা কান্না করছে আর আয়নাতে নিজের চেহারার দেখছে আর বকবক করছে….

তিশা : আমাকে কি সত্যি কালো পেত্নির মতো লাগছে নাকি….. তাহলে কেন ওই বজ্জাতটা আমাকে বিয়ে করছে যখন আমি কালো পেত্নির মতো দেখতে…. আমি তো আর বলি নি আমাকে বিয়ে কর বিয়ে কর

তিশার এমন কথা শুনে আবির মুচকি মুচকি হাসছে….

আবির : তিশা….

তিশা আবিরের দিকে একবার তাকিয়ে মুখ ভেঙ্গচি কেটে অন্য দিকে ফিরে তাকায়…… আবির তিশার পাশে এসে দাড়ায়

আবির : তুমি এখানে আর আমি তোমাকে সারা বাড়ি খুজে বেড়াছি…

তিশা : কোন আমাকে খুজছেন কেন??? আবার এটা বলার জন্য যে আমি দেখতে কালো পেত্নির মতো….

আবির : রাগ করছো আমার উপরে…

তিশা : আমি রাগ করবো কেন আপনার উপর??

আবির : আচ্ছা সরি আর এমন করবো না এই যে দেখো আমি কান ধরছি…..

তিশা : শুধু সরি….

আবির : আই এম রেলি সরি…. এবার ঠিক আছে

তিশা : আপনার সরির ধার ধারি বা না আমি বুঝলেন তাই সরি বলতে হবে না আমাকে……

আবির : হে তুমি আমার সরির ধার ধারবে কেন বলো???

তিশা : হুম ধারি না সরুন আমি এখান থেকে যাবো….

আবির : আচ্ছা শুনো তোমাকে না আজকে সত্যি খুব সুন্দর লাগছে একদম পরি লাগছে কিন্তু….

তিশা : কিন্তু….

আবির : কান্না করার জন্য কাজলটা লেপ্টে গেছে…..

তিশা : ( তিশা ওর এই মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলিস না একটু আগেই তকে আপমান করেছে) থাক এসব বলার দরকার নেই জুতা মেরে গরু দান করতে হবে না…..

আবির : আরে তিশা শুনো আমার কথাটা….

আবির তিশার হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকে এনে মিশায়…. আচমকা এমন ভাবে টান খাওয়াতে তিশা একটু ভয় পেয়ে যায়

আবির : কোথায় যাচ্ছিলে তুমি??? এতো সহজে তো তোমাকে যেতে দিতে পারি না সুইটর্হাট….

তিশা : ছাড়ুন তো আমাকে …… এখন আমাকে আপনার দরদ দেখাতে হবে না…..

তিশা ছুটার জন্য ছটপট করে আবিরের কাছ থেকে….. আবির তাল সামলাতে না পেরে তিশা আর আবির মেঝেতে পড়ে যায়…. আবির তিশার মাথাটা তাড়াতাড়ি করে ধরে যাতে তিশা মাথায় ব্যাথা না পায়…. তিশা আবিরের কলার ভয়ে ধরে আছে… তিশার উপরে আবির শুয়ে আছে আবির তিশার গোলাপি ঠোটের দিকে তাকিয়ে আছে তিশার প্রতি আবিরের নেশা ধরে যাচ্ছে আবির তিশার ঠোটের দিকে আস্তে আস্তে করে এগিয়ে যাচ্ছে আবির যেই তিশাকে কিস করতে যাব সঙ্গে সঙ্গে তিশা বলে…..

তিশা : ও মাগো আমার এত সুন্দর কোমড়টা ভেঙ্গে দিল এই চালের বস্তাটা….

আবির হাতাশ হয়ে জোরে একটা নিশ্বাস ছাড়ে…..

আবির : ( মুডটা পুরাই নষ্ট করে দিলো)

তিশা :তিশা : কি হলো উঠুন এভাবে আমার উপর পড়ে আছেন কেন??? ও মাগো আমি শেষ

আবির উঠে দাড়ায়….. তিশা উঠে বসে কোমড়ে হাত রেখে বলে ‌….

তিশা : উফফ মগো আমার কোমড়টা গেলো রে….. এখন আমার কি হবে রে

তিশা কান্না শুরু করে দেয়…

আবির : তিশা তুমি শান্ত হও…

তিশা : কি শান্ত হবো আপনি আমার কোমড়টা ভেঙ্গে দিয়ে বলছেন আমি শান্ত হবো….. এখন উঠে দাড়াতেই পারছি না উফ বাবারে…..

আবির : উফফ মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না…. একে বারে আমাকে পাগল করে দিবে….

তিশা : কি বললেন আপনি আমি আমাকে পাগল করে দিছি তাহলে আপনি আমাকে তাহলে আমাকে আহহহ্ আমার কোমড়…

আবির আর কিছু না বলে তিশাকে কোলে তুলে‌ নেয়….

তিশা : আরে আরে কি করছেন??

আবির : তুমি তো উঠতে পারছো না তাই কোলে করেই নিয়ে যাই তোমাকে ঘরে….

আবির তিশাকে কোলে করে ঘর নিয়ে গিয়ে বিছানাতে বসায়….

আবির : এখানে থাকো আমি মলম নিয়ে আসছি…..

আবির তিশার কাছ থেকে চলে যেতেই তিশা উঠে দাড়ায় আবির তিশার দিকে আবাক হয়ে তাকায়…

তিশা : কি হলো?? এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন??

আবির : একটু আগে তুমি উঠতেই পারছো না আর এখন তুমি উঠে পড়ছো তাহলে কি আগে তুমি অভিনয় করছিলে….

তিশা : অভিনয় আপনি করতে পারলে আমি করতে পারি না….

আবির : মানে…

তিশা : মানে আপনি একটু আগে বলেছেন আমাকে দেখতে কালো পেত্নির মতো লাগছে আর কিছুক্ষন পরেই বলেছেন আমাকে খুব সুন্দর লাগছে তাহলে আপনি তো অভিনয় করছেন তাই আমিও একটু অভিনয় করছি তাই শোধবোধ হয়ে গেল…..

তিশা ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াসরুমে চলে যায়….

আবির : আহহহহ এ কোন নসিবে পড়লাম আমি …….. ( হতাশ হয়ে)

সকালে তিশা ঘরে ডুকে দেখে আবির রেডি হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য….

তিশা : কোথাও যাচ্ছেন আপনি???

আবির : হুম অফিসে যাচ্ছি অনেকদিন হলো অফিসে যাওয়া হয় নি তো তাই ভাবলাম আজকে যাই…… আচ্ছা একটু টাইটা বেধে দাও তো আমার হাতটা ব্যাথা করছে…..

তিশা : পারবো না আপনার টাই বেধে দিতে ….. আচ্ছা আপনি কি এটা জানেন না….

আবির : কি জানি না???

তিশা : নিজের কাজ নিজে করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এটা আপনি জানেন না….

আবির : আহহহ… ঠিক আছে তোমাকে করতে হবে না আমি এটা পড়ে করে নেব…..

আবির ঘর থেকে বের হয়ে যায় রাগে….

তিশা : ( ক্ষেপে গেলো নাকি) আরে আরে শুনুন আপনার সাথে তো আমি একটু মজা করছিলাম তাতে এতো রাগের কি আছে

তিশা নিচে গিয়ে দেখে আবিরকে একটা মেয়ে জড়িয়ে ধরে আছে এটা দেখে তো তিশার প্রান যায় যায় অবস্থা তিশা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে……

তিশা : ( আমার একটা মাএ স্বামীকে আমি এখনও জড়িয়ে ধরি নাই আর এই শাকচুন্নিটা কে যে আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরেছে ইচ্ছে করছে তো ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে গায়ে পড়া মেয়ে কোথাকার)

আবির মেয়েটিকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে বলে…..

আবির : তুমি এখানে হঠাৎ

মেয়েটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে….

__কেন আমি এখানে আসতে পারি না বুঝি…

আবির : না আসতে পারো কিন্তু কোনো খবর না দিয়ে….

__তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য না জানিয়ে এসেই…. আর তোমার কোম্পানি আর আমার কোম্পানির সাথে একটা ডিল হবে তার জন্যই এখানে আসা…..

আবির : ডিল….

__হে ডিল কেন তুমি জানো না

আবির : না আসলে আমি কিছু দিন অসুস্থ ছিলাম তাই জানি না হয়তো রাশদেই এটা দেখছে…..

__কি হয়েছিল তোমার???

আবির : তেমন কিছু না…….

__তুমি কিন্তু অনেকটা শুকিয়ে গেছো…..

আবির : না না আমি একদম ঠিক আছি

তিশা : ( উমমমম ভাব তুমি অনেকটা শুকিয়ে গেছো তাতে তর কি রে ও শুকিয়ে গেলে আমার স্বামী শুকাক বা মোটা হক তাতে তর এত মাথা ব্যাথা কেন গায়ে পড়া মেয়ে কোথাকার)

মেয়েটার নজর যায় তিশার দিকে….

__মেয়েটা কে??

আবির : ওও তোমার সাথে পরিচয় করে দেই ও আমার…..

তিশা : আমি ওনার বিয়ে করা এক মাএ স্ত্রী….

আবির তো তিশার দিকে অবাক হয়ে তাকায় এমন কথা শুনে…..

আবির : ( এ আমি কি শুনলাম স্বপ্ন দেখছি না তো)

আবির নিজের হাতে একটা কিমচি কাটে…..

আবির : ( না স্বপ্ন দেখছি না তো)

মেয়েটি তিশার কথা শুনে তো ভীষন ঘাবড়ে যায়……

__মানে আবির তুমি বিয়ে করলে কবে…..

আবির : এই কিছু দিন হলো…..

__এটা কি করে‌ সম্ভব আবির…..

তিশা : কেন সম্ভব নয় শুনি…..

__আবির এসব কি???

আবির : ডায়রা আমি তোমাকে সব পরে বুঝিয়ে বলবো…..

তিশা : ( ওরে বাবারে কি নাম ডায়রিয়া) পরে না এখনেই আমি বুঝিয়ে বলছি…… আমি তিশা রহমান আমি আর ওনি ভালোবেসে বিয়ে করেছি বুঝলে কয়েকদিন হলো…..

আবির : তিশা এখন চলি আমাদের দেরি হয়ে গেছে…….

তিশা : আরে আরে দাড়ান আপনার টাইটা বেধে দেই…….

তিশা আবিরের হাত থেকে নিয়ে টাইটা বেধে দেয়…..

তিশা : এবার ঠিক আছে যান……. আর কি যেন আপনার নাম বললো ওনি ডায়রিয়া….

ডায়রা : হোয়াট??? কি বললে তুমি????

তিশা : না কিছু না…….

আবিরের মাথা ঘুরছে তিশার এসব কথা শুনে……..

আবির : আচ্ছা তিশা এবার আমরা আসি…..

আবির ডায়রাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়………

#চলবে……….

যারা চোরের মতো গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট না করে চলে যান তাদের বলছি গল্প দয়া করে লাইক দিয়ে যাবেন……
#চলবে

সবাই আমার উপরে নিশ্চয়ই খুব রেগে আছেন তাই না গল্প দেরিতে দেওয়ার জন্য কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য গল্প দিতে দেরি হচ্ছে আমার তাই প্লিজ সবাই আমাকে ক্ষমা করবেন……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here