#মুক্ত_পিঞ্জিরার_পাখি
#Ipshita_Shikdar
#পর্বঃ২০
৫১।
ঢাকা শহর থেকে অনেকটাই অকৃত্রিম জীবন গ্রাম বাংলার বাসিন্দাদের, সতেজ ও সুন্দরও বটে। সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত হলো ঘুম সকাল হওয়ার সময়টা, যেখানে ঢাকার যান্ত্রিক জীবনযাপনে ঘুম ভাঙে কাকের বিরক্তিকর ‘কা কা’ শব্দে, এখানে ঘুম ভাঙায় কোকিল, দোয়েল, টুনটুনি, চড়ুই পাখিদের কলরবে। কী মনরোমই না সেই দৃশ্য, সেই অনুভূতি!
একই অনুভূতিতে ঘুম ভাঙে প্রিয়ার। সে প্রতিদিনের মতোই চোখ মেলে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে, সেই সাথে মনে পড়ে যায় গতকালের কথা। চমকে উঠে বিছানার অপরপাশে তাকায় সে। না, কেউ নেই সেখানে। অতঃপর সারা ঘরে চোখ বুলায়, কিন্তু কোথাও কোনো মানুষের চিহ্নও পায় না।
আনমনেই ভাবে,
“তার মানে কি সব স্বপ্ন ছিল?”
এমনসময় দরজায় নক করার শব্দ হয় প্রিয়া হেলেদুলে উঠে দরজা খুলতেই ভিতরে প্রবেশ করে তার মা আঞ্জুমান। তিনি মেয়েকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে রাগী মুখে জিজ্ঞেস করে,
“কী রে, জামাই কই?”
প্রিয়ার গা ছাড়া ভাব নিয়ে উত্তর,
“কার জামাই? কীসের জামাই? সকাল সকাল নেশা-টেশা করলা নাকি?”
“প্রিয়া, রাগ উঠাবি না আমার। চুপচাপ বল জামাই কই, নাহলে দুই গালে কষিয়ে দুটো লাগাবো বললাম।”
যুবতী প্রতিবাদ স্বরূপ কিছু বলবে তার আগেই বারান্দা থেকে কেউ বের হয়ে আসতে আসতে বলল,
“আরে আন্টি আমি এখানে। আপনার মেয়ের ঘুমিয়ে স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে, বুঝলেন। তাই ভুলেই কালরাতে যে তার একটা সুইট, ইনোসেন্ট ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছে, সে নিজ মুখে ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদতে কাঁদতে ছাগলির মতো কবুল বলেছে।”
প্রিয়া অবাক হবে কী তার চাইতে বেশি রেগে যায় ফ্যাচফ্যাচ করে কেঁদেছে শুনে। রাগ তো তার স্বভাবগতই নাকের আগায় এসে থাকায়। পিছনে ঘুরে আঙুল নাচিয়ে নাচিয়ে বলতে শুরু করে,
“এই কী বললেন আপনি! আমি ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদি, আমি ছাগলি! আপনি কী, হ্যাঁ! আপনি আস্ত একটা কাঠাল, এমন ঠাস করে বিছানায় শুয়ে পড়েছিলেন যে সারা ঘরে ভূমিকম্প এসে পড়েছিল। বজ্জাত… ”
আরও কিছু বলবে তার আগেই আঞ্জুমান মেয়ের কান মলে দেয়, ফল স্বরূপ কথাবার্তা থামিয়ে সে ব্যথায় মৃদু আর্তনাদ করে উঠে। মা তাকে শাসিয়ে বলেন,
“এই মেয়ে! স্বামীকে কেউ এসব বলে! হতচ্ছাড়ি, একদম চুপচাপ ফ্রেশ হয়ে কাপড়-চোপড় গুছিয়ে নিয়ে খেতে আয়।”
মেয়েকে চোখ রাঙিয়ে আদেশ দিকে মেয়ের জামাইয়ের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসেন। বিনম্র হয় এবার তার গলার স্বর।
“বাবা, তুমি ওর কথায় কিছু মনে কোরো না। ও তো পাগল! ”
“কী!” রাগত স্বরে চেঁচিয়ে বলে উঠে প্রিয়া। প্রিয়ার পুনরায় তার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকায়, অতঃপর সে নিঃশ্চুপ।
মাহদি প্রিয়ার অবস্থা দেখে ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠে। গমগমে গলায় বলে,
“উফঃ আন্টি! এত ফর্মালিটি কীসের! আমি তো জানি তোমার মেয়ে পাগল-ছাগল, মনে নেই ছোটবেলায় আমাকে খালি কামড় দিতো। তুমি চিন্তা কোরো না, তোমার পাগলকে আমি মানুষ বানিয়ে ছাড়বো।”
“দেখ! দেখ! কিছু শিখ মাহদির থেকে।”
মাহদির পিঠে স্নেহের হাত বুলিয়ে তিনি বের হয়ে চলে গেলেন। আর তিনি চলে যেতেই প্রিয়া রক্তচক্ষু নিক্ষেপ করে যুবকের দিকে।
তা দেখে যুবক মৃদু হেসে এদিক-ওদিক তাকিয়ে বলতে শুরু করে,
“আমি জানি আমি সুন্দর অনেক, তাই বলে এভাবে নজর দেওয়ার কিছু নেই।”
মাহদির কথায় বিষম খায় প্রিয়া।
“এই লোকটা এভাবে লজ্জা দিলো।”
ভাবতে ভাবতেই নিজের লাগেজ থেকে এক সেট থ্রিপিস বের করে ওয়াশরুমে চলে যায় সে। এদিকে মাহদি মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বেডরুম থেকে বের হয়ে চলে যায়।
প্রিয়া গোসল করে বের হয়ে চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বারান্দায় যায়, এই সময় সূর্যের তীব্র রোদ পড়ে তার বারান্দায় চুল শুকানোর জন্য উত্তম সময়। বারান্দার দোয়ারে পা রাখতেই পিছন থেকে পুরুষালি গলায় কেউ বলে উঠে,
“আই এম সরি।”
অবাক হয়ে পিছনে ঘুরে সে। লোকটার চোখ দুটো মায়া মায়া দৃষ্টি, একটু উৎফুল্লতাও তাতে মিশে। হুট করেই আরিজের কথা মনে পড়ে যায়, রিলেশনের প্রথম প্রথম আরিজ দেরি করে আসলে এভাবেই শীতল গলায় সরি বলতো। আনমনেই চোখের কোণে একফোঁটা জল জমে উঠে তার।
যা খেয়াল করতেই মাহদি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠে,
“আরে করেন কী! করেন কী! এটুকু কথার জন্য স্বাভাবিক মানুষ কাঁদে নাকি?”
হচকচিয়ে উঠে যুবতী, এবার কী উত্তর দিবে সে বুঝতে পারছে না। তাই আমতা আমতা করে বলে উঠে,
“না মানে… আসলে তেমন কিছু না, চোখে কিছু একটা গিয়েছিল বোধহয়।”
ভ্রুজোড়া কুঁচকে যায় মাহদির। প্রিয়া তার চোখে চোখ রেখে বা তার পানে তাকিয়ে কথা বলার মতো সাহসও পাচ্ছে না, তাই ফ্লোরের মাঝেই তার দৃষ্টি আবদ্ধ।
“কেন যেন কথাটা সত্য মনে হলো না, তবে তা আপনার বিষয়। যাকগে আ’ম সরি।”
প্রিয়া সরি বলার কারণ বুঝতে না পারায় বেশ দ্বিধান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
“সরি…?”
“না মানে কালরাতে যে কাঁঠালের মতো আপনার বিছানায় ধপ করে পড়ে বাসায় ভূমিকম্প নিয়ে আসলাম, আপনি ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদেন তা বলে দিলাম, আবার আপনাকে পাগল-ছাগলও বললাম, তাই সবকিছু মিলিয়ে জনাবার নিকট ক্ষমা প্রার্থণা করছি। জনাবা যদি তা কবুল করে আমাকে বাধিত করেন।”
মাহদির কথাগুলো বলার ধরণের জন্য একাকিই যুবতী মুখে হাসি ফুটে উঠে। সে শান্ত ভাবেই বলে,
“না, না, সমস্যা নেই। আমি কিছু মনে করিনি।”
“এবার আপনি সরি বলুন, তারপর আমি ইট’স ওকে বলে সব শেষ করি।”
“সরি…? আই মিন সরি ফর হোয়াট?”
“এই যে আপনি আমাকে কাঁঠাল, বজ্জাত বললেন তাই।”
“কিন্তু আমি তো সরি না।”
“তো আমি কি ছিলাম নাকি! যাকগে যেহেতু আমি বলেছি আপনারও বলা লাগবে নাকি আন্টিকে ডাকবো? আন্টি…!”
কনফিউশনের মাঝেই মায়ের কথা শুনতেই প্রিয়া শোধালো,
“আরে বলছি তো। আ’ম সরি।”
মাহদি মুখশ্রীতে একটা সুন্দর ও বড়সড় হাসি ফুটিয়ে তুলে।
“ইট’স ওকে ডিয়ার, নট আ বিগ ডিল। আমরা আমরাই তো।”
প্রিয়া অন্যদিকে তাকিয়ে এক স্বস্তির শ্বাস ফেলে বলল,
“কী ছেলের বাবা! সরিটাও কিনা জোরজবরদস্তি বলায়!”
তখনই রমণীর রৌদ্রজ্জ্বল মুখশ্রীতে একঝাঁক উষ্ণ বায়ুর আভাষ পায়। চমকে উঠে সামনে তাকাতেই দেখে লোকটা তার একদম নিকটে দাঁড়িয়ে। আচমকা ঘটায় স্তব্ধিতই হয় সে।
লোকটা ফিনফিনে কণ্ঠে বলে উঠে,
“ভালোবাসাটাও জোরজবরদস্তি করেই নিতে পারি, শুধু মনের আদেশ দেওয়ার দেরি।”
প্রিয়ার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায় যুবকের এমন বাণী শুনে। আর মাহদি সে নিষ্পাপ ভাবভঙ্গিমায় সেখান থেকে প্রস্থান করে। যুবতীর বুক তখনো ধকধক শব্দ তুলে গান গাইছে।
৫২।
হাত থেকে টপটপ করে লাল রক্ত পতিতে হচ্ছে ধূসরা ফ্লোরে, তবে ক্লাবের অন্ধাকারচ্ছন্ন পরিবেশে মৃদু রঙিন ডিজে লাইটের আলোতে তা দৃশ্যমান নয় সেখানে উপস্থিত কারো কাছেই।
আরিজ যখন একটু একটু করে নিজের দেহ ত্যাগে ব্যস্ত তখনই কেউ কাঁধে হাত রাখে তার। পিছনে ঘুরতেই দেখে মৃণ্ময় দাঁড়িয়ে। আরিজ ততক্ষণে পুরোপুরিই মদের নেশায় জর্জরিত। চোখগুলো মদের নেশায় অথবা অশ্রুজলের বিসর্জনে লাল হয়ে ফুলে আছে, ইউরোপীয় শ্বেরবর্ণের হওয়ায় বেদানার ছাপ জুড়ে আছে সারা মুখশ্রীতে। বন্ধুর এমন লালচে চোখমুখ খুব অবাক হয় মৃণ্ময়।
চিন্তিত গলায় জিজ্ঞেস করে,
“কী হয়েছে, হ্যাঁ? এমন লাগছে কেন তোকে? আমাকে বল।”
দুঃখের এই কঠিন সময় চলমানকালে আপন একজনকে পেয়ে আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে না আরিজ। মৃণ্ময়কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় সে।
“দোস্ত আমি তো কিছু করিনি, আমি তো এটা চাইনি। আমি তো আমার পার্ফেক্ট ওয়াইফ রূপে চেয়েছিলাম প্রিয়াকেই, ভাগ্যের দোষে সবটা হলে দোষী আমি কেন? আমি তো বাবাকে মানা করেছিলাম এই বিয়া করবো না বলে, বাবা এমন কি আঙ্কেলও জানতো আমি অন্য এক সম্পর্কে জড়িয়ে। তবুও বাবার অসহায়ত্ব দেখিয়ে জোরজবরদস্তি করে আমাকে বিয়ে করানো হয়। এখানে কি আমার দোষ?”
বলেই থামে সে।
“আমি বিয়েটা মেনে নিতে চাইনি শুধুমাত্র প্রিয়ার জন্যই, ওকে ভালোবাসি আর না বাসি স্বপ্নগুলোতে ওকে জড়িয়েই দেখা। বিয়ের রাতেই বাড়ি ফিরতেই আমাকে বুয়া ফোন করে জানায় ও নাকি বিষ আনিয়েছে। এটা শুনে সেই মুহূর্তেই ভয় ঢুকে যায় মনে, সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই যতো যাই হোক এই বিয়ে মেনে প্রিয়ার সুখ নষ্ট করতে পারবো না। সারাটা রাত ওকে কল করছিলাম, ভয়ে ভয়ে ছিলাম, যদি কিছু করে ফেলে। আমি তো চাইনি প্রিয়াকে ধোঁকা দিতে বা পক্ষীকে হৃদয়ে স্থান দিতে, তবুও কেন এমন হলো? কেন আমি বেইমান হলাম প্রেমিকার নিকট? কেন আমি নামমাত্র স্বামী হলাম স্ত্রীর নিকট? কেন! কেন!”
কথাগুলো বলতেই মৃণ্ময়ের গায়ে হেলে পড়ে সে। প্রথমে মৃণ্ময় মদের নেশায় এমন হয়েছে ভাবলে হাত ধরে তরল অনুভব করে তা সামনে এনে দেখতেই থমকে যায় সে। গার্ডের সহায়তায় আরিজকে নিয়ে বের হয় সে। টেক্সি দ্রুতো রওনা হয় হাসপাতালের জন্য। বড় হাসপাতালে নিতেই তারা সুইসাইড কেস বুঝতে পেরে ঝামেলা শুরু করে পুলিশ আনার। পরে কিছু ঘুষ দিয়ে তা মিটমাট করে মৃণ্ময়।
প্রায় পাঁচ মিনিট পর ডক্টোর বের হয় চিন্তিত মুখে। কেন যেন তা দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায় যুবক বন্ধুর জন্য।
“ডক্টোর কী হয়েছে? আরিজ ঠিক আছে? কী হলো কথা বলছেন না কেন?”
“আসলে তেমন গভীরভাবে কমেনি কিন্তু রক্তপাত হয়েছে অনেক। স্যালাইনে রাখা লাগবে পুরো একদিন।”
তখনই কলরিংটোন বেজে উঠে ফোনের। মৃণ্ময় মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখে আরিজের ফোন কল এসেছে আননোন নাম্বার থেকে। কলটা রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে নারী কণ্ঠে কেউ উত্তেজিত গলায় বলে উঠে,
“আরিজ আপনি কোথায় আছেন? রাতের দেড়টা বাজে, বাসার সবাই খুব চিন্তিত। এমনেই আপনার কিছুদিন আগে এক্সিডেন্ট হয়েছে, প্লিজ তাড়াতাড়ি ফিরেন।”
মৃণ্ময়ের বেশ মায়া হয় মেয়েটার জন্য, এমন যত্নশীলা মেয়েকে কে না আগলে নিয়ে বেশ ভুলই করছে আরিজ। সম্পর্ক থাকলেও তা তো অতীত এখন, যেহেতু বিয়ে হয়েছে এমন করার কোনো কারণই নেই। অবশ্য আজ কথা শুনে মনে হচ্ছে প্রিয়া ভুল কদম নেওয়ার ভয় থেকেই আরিজ বিষয়গুলো এত জটিল করে ফেলছে।
সে খুব স্বাভাবিক গলায় উত্তর দেয়,
“ভাবি, আমি আরিজের বন্ধু মৃণ্ময় বলছি। আসলে ভাবি, আরিজের একটু সমস্যা হয়েছে। মানে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে আর কী, ডাক্তার স্যালাইনে রেখেছে আর কী… সকালেই এসে পড়বে বাড়িতে।”
কথাগুলো কানে আসতেই বুকটা অসম্ভব ভার লাগে তার, মাথাটা যেন ভোঁভোঁ করছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে কান্না চেপে বোড়ো বড়ো শ্বাস ফেলতে ফেলতে বলে,
“ভাইয়া উনাকে কি স্যালাইন সহ বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন? সমস্যা নেই, বাড়ির বাকি সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছে বহু আগেই, কেউ টের পাবে না।”
“আচ্ছা, দেখি। সম্ভব হলে টেক্সিতে করে বা এম্বুলেন্সে নিয়ে আসছি।”
“ধন্যবাদ।”
রাতেই অনেক ঝড়-ঝামেলা পেরিয়ে মৃণ্ময় বাড়িতে নিয়ে আসে আরিজকে। পক্ষী সারারাত বিছানার পাশে ফ্লোরে বসে চোখের জল ফেলে জ্ঞানহীন আরিজকে দেখতে দেখতে। ফজরের পর চোখজোড়া লেগে আসে তার।
আরিজের নয়নযুগলের উপর একঝাঁক উজ্জ্বল আলো এসে পড়ায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তার। ঘুম থেকে উঠতেই মাথা ভার অনুভব হয় তার, উঠে বসতে গেলেও ক্লান্তিতে পারে না। ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকাতেই দেখে হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে এক নারী, কপালের উপর চুলগুলো পড়ে এক মায়াবী দৃশ্য যেন।
আরিজের মনে পড়ে এই নারীটি তার স্ত্রী, মুখে আলতো হাসির ছোঁয়া আসে। তখনই গতকালের সব ঘটনা মনে পড়তেই চোখমুখ শক্ত হয়ে আসে তার। ভাবে,
“আমি তো মরে যেয়ে অশান্তির সমাপ্তি ঘটাতে চেয়েছিলাম, তাহলে কেন বাঁচিয়ে রাখলে আমায় আল্লাহ?”
চলবে…