#সেদিন_বসন্ত_ছিল
#রাহনুমা_রাহা
#পর্ব২৮
আবরার চলে গেছে আজ সাত দিন। পনেরো দিনের ছুটি শেষে সময় চক্রে আবার গিয়ে পৌঁছেছে নিজের কর্মস্থলে। আবরার চলে যাওয়ার পর একদিন বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছে ইভানা। মাকসুদা খানম বারবার থাকতে বললেও ইভানা জোর করে চলে এসেছে। থেকে যেতে ইচ্ছে করলেও থাকতে পারে নি। কর্ণকুহরে বাজছিল আবরারের বলা শেষ কথাটা।
“আমার পরিবার কে দেখো ইভানা। সামলে রেখো। কখনো একা ছেড়ো না আমার নোভাটাকে। আমার মাকে ভালো রেখো, ভালবেসো।”
আবরার চলে যাওয়ার দিন সকাল থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। ইভানা হাতে হাতে কাজ করলেও মুখটা ছিল আষাঢের মেঘাচ্ছন্ন আকাশটার মত। এই বৃষ্টি নামবে নামবে অবস্থা।
আবরার ইভানার মেঘাচ্ছন্ন মুখটা দেখে দীর্ঘশ্বাস চেপে মুচকি হেসে মুখটা দু’হাতের আঁজলা ভরে তুলে নরম গলায় বলল,
“কি হয়েছে কাঁচাগোল্লা? আমি ফিরব তো। খুব তাড়াতাড়ি। এই যাব এই আসব। দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে। তুমি তো ভালবাসতে চাও। এই সুযোগে ভালবাসাটাও হয়ে যাবে। প্রেমে পড়া প্রেমিক প্রেমিকার মত উপভোগ করো সময়টা। সাময়িক বিচ্ছেদ ভেবে নাও না। ছয়মাসের বিরহ। এই অতিদীর্ঘ বিরহের অনলে দগ্ধ হয়ে তারপর পাবে মধুময় কিছু সময়। অনুভব করবে গভীর থেকে গভীরতর ভালবাসা। তাতে সিক্ত হবে বারংবার। মাতাল হবে তার মাদকতায়। ছয়টা মাস নাহয় এই ছয়টা দিনের স্মৃতি স্মরণ করেই কাটিয়ে দিও। খুব খারাপ স্মৃতি নিশ্চয়ই আমি তৈরী করি নি না?”
ইভানা চোখ বন্ধ করে ফেলল। অনুভব করল আবেগঘন কিছু সময়। সিক্ত হলো অব্যক্ত ভালবাসায়। আবরারের হাতের উপর স্বীয় হাত স্পর্শ করে নিচু গলায় বলল,
“আমি আপনাকে মিস করব আবরার। খুব করে মিস করব। আপনি ফিরবেন তো তাড়াতাড়ি?”
আবরারের হৃদয় গহীনে অনুভূতির অনুরণন ঘটল। গলদেশে হাত গলিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে ঘন হয়ে আসা গলায় বলল,
” না ফিরে কোথায় যাব? গন্তব্য যে এখানেই।”
অতঃপর পরিবারের দায়িত্ব নববধূর কাঁধে তুলে দিয়ে দরজার দিকে পা বাড়ালো আবরার। ইভানা নীরব দর্শকের ন্যায় ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখল প্রিয়র প্রতিটি কদম ফেলার মূহুর্ত।
হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে কেউ যেন সমানে বলে চলেছে- একবার তাকে আটকা। একবার মিশে যা ওই ইস্পাত কঠিন বুকটাতে। তীব্র পুরুষালী গন্ধে মাখিয়ে ফেল সমস্ত কলেবর। আটকা ইভা, নইলে তোর ধ্বংস অনিবার্য। দম বন্ধ হয়ে মরে যাবি তুই।
দরজা অতিক্রম করার পূর্বেই হাতে টান পড়ায় পিছু ফিরল আবরার। ইভানা তৎক্ষনাৎ শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। মিশে যেতে চাইল বক্ষপিঞ্জরের সাথে। আবরার দু’হাতে আঁকড়ে ধরল তার হৃদয়ে বসবাসরত রাজমহিষীকে।
ইভানা ভেজা গলায় বলল,
“আমি অপেক্ষা করব।”
আবরার এতক্ষণ ধরে রাখা মনোবল হারিয়ে ফেলল মূহুর্তেই। কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
“এমন করলে তো আমি যেতে পারব না। কেন পাগল পাগল অনূভুতিতে পোড়াচ্ছো কাঁচাগোল্লা! এই অনুভূতি যে বড্ড যন্ত্রণা দেয়। ভঙ্গুর করে দেয় ধৈর্য নামক বস্তুটা।”
ইভানার কপালে ভালবাসার শেষ পরশ ছুঁয়ে দিল আবরার। চিবুকে হাত রেখে বলল,
“আসি এবার?”
ইভানা মাথা নাড়ালো। সরু চোখে তাকিয়ে বলল,
“তাড়াতাড়ি ফিরবেন। কোনো মেয়ের দিকে তাকাবেন না। সাদা সুন্দরীদের দিকে তো একদমই না।”
আবরার মুচকি হাসল। বলল,
“আমার তো মায়া সুন্দরী আছে। মায়াকানন থাকতে কণ্টক কাননে কেন নজর দেব?”
“মনে থাকবে?”
“আলবাত মনে থাকবে। না থাকলে তুমি তো আছো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।”
পুনরায় উষ্ণ স্পর্শে ললাট সিক্ত করে ঘর ছেড়ে বের হলো আবরার। ইভানা পেছনে নির্বাক দর্শক। বিছানায় বসে বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। শূন্য মস্তিষ্কে ধারণ করার চেষ্টা করছে নতুন এক অনূভুতির।
মিনিট পাঁচেক যেতেই হুরমুর করে ঘরে ঢুকল আবরার। ইভানা সচকিত ভঙ্গিতে তাকাল। আবরার কে দেখে তৎক্ষনাৎ দাঁড়িয়ে গেল। প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিছু বলার আগেই আবরার গড়গড় করে বলল,
“আই’ম সরি।”
বলেই ইভানার কানের নিচে হাত গলিয়ে অধর স্পর্শ করল। একজোড়া ঠোঁটের ভেজা স্পর্শ নিজ ওষ্ঠে অনুভূত হতেই ইভানা চোখ বন্ধ করে ফেলল। অনুভব করল স্বামী নামক মানুষটার থেকে প্রথম পাওয়া অন্তরঙ্গ মূহুর্ত। দু’হাতে মাথার পেছনের চুল আঁকড়ে ধরল আবরারের। ইভানা যেন উড়তে চাইল এই মূহুর্তে। আর উড়াবার জন্য আবরার তো আছেই। দু’হাতে কোমর আঁকড়ে নিজের সাথে মেশাতে চাইল। ইভানার বুড়ো আঙুলে ভর করে রাখা পায়ের পাতাদুটো জায়গা করে নিল অপর মানুষটির পায়ের পাতার উপর। সময়টা থমকে গেল। থমকে দাঁড়ালো দু’টো মানুষের সুপ্ত অনূভুতি গুলোও।
তীব্র অনুভূতির দহনে দগ্ধ হওয়ার আগেই আবরার পিছু হটল। ইভানাকে ছেড়ে যেভাবে এসেছিল সেভাবেই দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। একটা বার পিছু ফিরে তাকাল না। তাকালে হয়তো দেখতে পেত এক নারীর আকুতি ভরা নয়ন।
ফোনের শব্দে ঘোর কাটলো ইভানার। স্কিনে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে ‘আবরার’ নামটি। সহসাই মৃদু হাসি ফুটে উঠল ঠোঁটের কোণে।
“কি করছিলে?” ভরাট কন্ঠে বলা বাক্যটা শুনে ইভানা পুলকিত হলল। রিনরিনে কণ্ঠে বলল,
“ভাবছিলাম।”
“কার কথা?”
“আমার তো বয়ফ্রেন্ড নেই। একটা মাত্র স্বামী নামক পাষণ্ড পুরুষ আছে। তার কথাই ভাবছিলাম।”
“পাষণ্ড কেন?”
“পাষণ্ড না হলে কেউ ওভাবে চলে যেতে পারে? একটা বার পিছু ফিরে তাকিয়েছিলেন? ধুমকেতুর মত এলেন, এসে মহা সর্বনাশ ঘটিয়ে আবার ঝড়ের বেগে চলে গেলেন। আমায় অনুভূতিটুকু ব্যক্ত করার সময়টুকুও দিলেন না।”
“তোমার দিকে তাকালে আমি আসতে পারতাম না কাঁচাগোল্লা। ওই আকুতি ভরা চাহনি আমি উপেক্ষা করতে পারতাম না। তাই ফিরে তাকাই নি।”
এভাবেই চলতে লাগল একের পর এক কথা। টুকরো টুকরো অভিমান, অনুরাগ আর ভালবাসা। হয়তো এভাবেই চলবে আমরণ।
ফাহিমা করিমের ফোন পেয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে রিফাত। কিছুক্ষণ ড্রয়িং রুমে বসার পর বেশ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে পাশে এসে বসলেন ফাহিমা করিম। রিফাত সচকিত ভঙ্গিতে বলল,
“আন্টি, কিছু হয়েছে?”
ফাহিমা করিম দীর্ঘশ্বাস লুকোলেন। ভাব বিনিময় না করে সরাসরি বললেন,
“দেখ না বাবা, মেয়েটা হোস্টেলে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এই তো কলেজ, এখানেই। মাত্র আধঘন্টার পথ। ওর হোস্টেলে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে? আমি বুঝিনা বাপু একালের মেয়েদের কি সমস্যা। এরা বাড়িতে কেন মন বসাতে পারে না।”
রিফাত নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করল। সবটা তো তার জন্যই হচ্ছে! কিছু বলার আগেই ফাহিমা করিম পুনরায় বললেন,
“তুই ওকে বুঝিয়ে বল বাবা। আবরার একমাত্র ওকে মানাতে পারত।কিন্তু সে তো নেই। বিদেশ বিভূঁইয়ে ছেলেটা আমার একা পড়ে আছে। ওকে টেনশন দিতেও পারছি না। তোর কথা তো শোনে। তুই একটু বুঝিয়ে বল।”
অগ্যতা রিফাত চলল নোভার রুমের পথে।
“এসব কি করছিস তুই?”
রিফাতের কড়া আওয়াজ শুনেও একটা শব্দও উচ্চারণ করল না নোভা।
রিফাত পুনরায় বলল,
“হোস্টেলে কেন যেতে চাইছিস? তুই বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছিস আমাকে দুনিয়া ছাড়া করার জন্য?”
নোভা বিস্মিত হয়ে তাকাল। ছেলেটা কি কোনোদিনও শান্তি দেবে না? একটু শান্তিতে নিশ্বাসটাও নিতে দেবে না?
রিফাত কে বেরিয়ে আসতে দেখে ফাহিমা করিম চিন্তিত গলায় বললেন,
“কি বলল? এখনো যেতে চাইছে?”
রিফাত গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
“আশা করছি যাবে না।”
চলবে…#সেদিন_বসন্ত_ছিল
#রাহনুমা_রাহা
#পর্বঃ২৯
“বিশ্বাস করো সেদিন সেই বসন্তের ছোঁয়া
যে কেবল আমার মনেই ছিল তা নয়।
সেদিনের সেই ভালোবাসার বসন্ত যেন
পুরো প্রকৃতিতেই ছিল।
ভোরের স্নিগ্ধ সকালে সূর্যের স্নিগ্ধ আলোতে
তুমি ছিলে।
সেদিন তুমি ছিলে ভোরের
পাখির কলরবে।
তুমি ছিলে সবুজ পত্র পল্লবের
ঝিলিমিলি বাতাসে।
ভালোবাসার মনোমুগ্ধকর গন্ধে
প্রকৃতিতে ছিল এক অপূর্ব পরিবেশ।
সেদিনের সেই বাতাস থেকে নেওয়া
নিঃশ্বাসে তোমার গন্ধ ছিল।
শুভ বসন্ত আমার বসন্ত রাণী।”
“এভাবেই বসন্ত ছড়িয়ে যাও আমার হৃদয়ে। আমি সেই বসন্তের প্রেমে পড়ি ক্ষণে ক্ষণে।”
ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল স্কিনে নজর বুলালো ইভানা। গুটিগুটি অক্ষরে লেখা শব্দগুলো মস্তিষ্কে ধারণ করতেই ঠোঁটের কোণে শোভা পেল মুচকি হাসি।
দ্রুত হাতে টাইপ করল-
“আমার বসন্ত রাজাকেও বসন্তের শুভেচ্ছা। শুভেচ্ছা আমার মত আনকোরা প্রেমিকাকে প্রেম সায়রে ভাসানোর জন্য। শুভেচ্ছা আমার অজান্তে আমাকে এতটা ভালবাসার জন্য। শুভ বসন্ত আবরার। এভাবেই ভালবাসুন আমরণ। আমি অভুক্তের ন্যায় সেই ভালবাসা আঁচল পেতে কুড়িয়ে নেই।”
মেসেজ ডেলিভারি হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আওয়াজ তুলে বেজে উঠল ফোন। সেই সমুদ্রের গর্জন। সেই সুবিশাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার শব্দ।
ইভানা ঘুম জড়ানো কণ্ঠে শুধালো,
“আপনি ঘুমোন না? আপনার ওখানে তো এখন মধ্য রাত।”
আবরার মোহনীয় কণ্ঠে প্রতিদিনের ন্যায় একই বাক্য শুনে মৃদু হাসল।
হতাশা মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,
“বউ ছাড়া ঘুম আসে না গো।”
ইভানা খিলখিল করে হেসে উঠল। হাসতে হাসতেই বলল,
“কাছে থাকতে কত বউ নিয়ে ঘুমিয়েছেন তাই না?”
আবরারের থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে গেল। কিন্তু সেটা প্রকাশ না করে খোঁচা মারার মত বলল,
“যার বউ বাসর রাতে প্রথম কথাই বলে আমি কি কাছে আসব। সেই বউয়ের জামাইয়ের এই দুরবস্থাই হয়।”
ইভানা কড়া গলায় বলল,
“আবার!”
এবার আবরার হেসে উঠল শব্দ করে। ইভানা খানিকক্ষণ চুপ থেকে নিজেও তাল মেলালো সেই হাসিতে।
“শুভ বসন্ত কাঁচাগোল্লা বউ।”
“আপনাকেও।”
আবরার মুচকি হেসে বলল,
“আমার জন্য বারমাসই বসন্ত। যার এরকম একটা বউ আছে তার আবার মাস ধরে ধরে বসন্ত বিলাস করতে হবে কেন? তার বছরের তিনশত পয়ষট্টি দিনই বসন্ত। আমার গ্রীষ্মেও বসন্ত, শীতেও বসন্ত, ভরা শ্রাবণেও বসন্ত। যে প্রেমিক তার কাছে ঋতুর ভেদাভেদ নেই।”
“আর প্রেমিকা?” কৌতুহলী গলায় বলল ইভানা।
“প্রেমিকের কোনো স্ত্রী লিঙ্গ হয় না। যে প্রেমিক সে ছেলেও হতে পারে, মেয়েও হতে পারে। তার আসল পরিচয় সে প্রেমিক। তুমি যেদিন প্রেমে পড়বে সেদিন শুনবে কানের কাছে কোকিলের সুরেলা কণ্ঠ ভেসে আসতে। বুনো জঙ্গলকেও মনে হবে সাজানো বাগান। কাকের কা কা আওয়াজেও পাবে টুংটাং গিটারের সুর। নোংরা জলাবদ্ধতাকেও মনে হবে সুবিশাল জলরাশি। সব কিছুই অনুভব করতে নতুনভাবে। সাধারণের মাঝেও খুঁজে পাবে অসাধারণত্ব। যেদিন এই সবগুলো রঙিন দিক তোমার ভেতর অনুভব করবে সেদিন নিজেকে প্রেমিক ভেবে নিও। সেদিন জেনে নিও তুমিও প্রেমে পড়েছো এই আবরারের।”
ইভানা কিঞ্চিৎ হেসে বলল,
“যদি অন্য কারো প্রেমে পড়ি?”
“সেই ইভানা কে তো আমি ভালবাসিনি। ভালবেসেছি সেই ইভানা কে, যে একদিন এই আবরারের প্রেমে ডুবে হারিয়ে যাবে অনুভূতির অতলে। সেই ইভানা কে ভালবেসেছি, যে দুইবছর চোখের সামনে থাকতেও একটা চোখের পলক ফেলে নি এই অধমের উপর।”
ইভানা খিলখিল করে হেসে উঠল।
“আপনার স্যাড লাভ স্টোরি জানার আমার খুব শখ। এটাও জানতে ইচ্ছে করে স্যাড স্টোরির শেষে গিয়ে হ্যাপি এন্ডিং কেমনে ঘটল! সারাবেলা সাদাকালো টেলিভিশনে হঠাৎ করে রঙিন ছোঁয়া লাগলো কিভাবে! সবটা জানার প্রবল আগ্রহ নিয়ে দিনাতিপাত করছি আমি। কিন্তু আপনি তো কিছুই বলছেন না।”
আবরার মুচকি হেসে বলল,
“সব বলবো। কিন্তু আগে তোমার চোখে ভালবাসা দেখব তারপর।”
“হ্যা, সেদিন যেন আমি বেঁচে থাকতে দেখতে পাই।”
“দেখবে দেখবে। সময় অতি নিকটে।”
ইভানা মৃদু হাসল। সে নিজেই তো জানে সময় ঘনিয়ে আসছে সেই মূহুর্তের। কানের কাছে কোকিলেরা সুর তুলতে শুরু করল বলে….
চলবে….