#হৃদপূর্ণিমা
লাবিবা_ওয়াহিদ
| পর্ব ১০ |
আগুনের ন্যায় কড়া রোদ জানালা ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করছে। স্নিগ্ধ হাওয়ারা যেন নিদ্রা-ঘোরে আছে। সূর্য আজ তার তীক্ষ্ণ তাপে যেন মানুষদের সিদ্ধ করে দিচ্ছে। ভরদুপুরের রোদ সাধারণত এমনই হয়। গ্রীষ্ম হলে তো কথাই নেই। রোদের তীক্ষ্ণ ঝলকানিতে ঘরটাও বেশ আলোকিত। সেই জানালার দিকে একমনে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবেই চলেছে নাশিদ। তার ভাবনায় এসে ছেদ ঘটালো নাফিসা। নাশিদ একপলক নাফিসার দিকে তাকিয়ে পূর্বের ন্যায় নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো। নাফিসা নাশিদের সামনে বসে বললো,
-‘পার্সেল পাঠিয়েছিস?’
-‘হু। এখন তোর ওই বান্ধুবি রিসিভ করলে হয়। আমার তো বেশ টেনশন হচ্ছে!’
-‘আরে চিন্তা করিস না। ও না নিলেও আমি নেয়াবো!’
-‘সেটা কীভাবে?’
-‘ফোন করে!’
ফোন দেখিয়ে বললো নাফিসা। অতঃপর নাফিসা রথিকে ফোন লাগালো। রথি তখন থানা চেক করতে করতে বাড়ি ফিরছিলো। হঠাৎ রিংটোনের শব্দ পেয়ে ব্যাগ থেকে ফোন হাতে নিতেই দেখলাম নাফিসা। মুচকি হেসে রিসিভ করতেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটি কথা বলা শুরু করলো,
-‘কেমন আছিস রথি?’
-‘এইতো আলহামদুলিল্লাহ তুই?’
-‘আলহামদুলিল্লাহ! তা পার্সেলটা পেয়েছিস?’
-‘পার্সেল কীসের পার্সেল?’
-‘আরে আমি যেটা পাঠালাম।’
-‘তুই পাঠিয়েছিস?’
-‘হ্যাঁ। আন্টির জন্য শাড়িটা মা দিতে বললো।’
-‘তাহলে নীলটার মানে কী?’
নাফিসা ঠোঁট কামড়ে আড়চোখে নাশিদের দিকে তাকালো। এর মানে তলে তলে তার ভাই এতদূর? নাফিসা আমতা আমতা করে বললো,
-‘আমি পাঠিয়েছি!’
-‘আমি তোর বাসায় আসছি শাড়িটা ফেরত দিতে!’
-‘এই না না। রথি শুন আমার ক…!’
নাফিসা কিছু বলার আগেই কল কেটে দিলাম। নাফিসা ফোন ফেলে করুণ দৃষ্টিতে নাশিদের দিকে তাকালো। নাশিদ তখনো নাফিসার দিকে কৌতুহলি দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করে আছে।
-‘কী বললো তোর বান্ধুবি?’
-‘শাড়ি ফেরত দিতে আসছে!’
নাশিদ বাঁকা হাসি দেয়। নাফিসা নাশিদের এই হাসির কারণ বুঝতে পারে না। ভ্রু কুচকে বললো,
-‘কী হলো হাসছিস কেন?’
নাশিদ প্রতিত্তর দিলো না। বেডের সাথে হেলান দিয়ে ফোন ইউস করতে লাগলো। নাফিসা তার ভাইয়ের চালটা ধরতে পারলো না। কী চাইছে নাশিদ? অনেক চেয়েও বুঝতে পারে না। শেষে নিরাশ হয়ে নাশিদের রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
২৫ মিনিটের জ্যাম ছাড়িয়ে অবশেষে এসে পৌঁছালাম নাফিসার বাড়িতে। কী সৌখিন তাদের বাড়িটি। বাড়ির সামনে সারি সারি গাছ। বলা চলে বাগান। নানান ফুলের সমরোহে চারপাশ ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে। নাফিসাদের বিশাল বাড়ির দিকে হা করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। অবাক হলেও সত্য আমি কখনো নাফিসার বাড়ি আসিনি। নাফিসার সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার হলে দেখা হয়।
নাফিসা অন্য স্কুলের হলেও আমার পাশে বসেছিলো। সেই থেকে পরিচয়। বলা চলে তখন থেকেই বন্ধুত্ব শুরু হয়। বন্ধুত্ব গভীর হলেও আমি কখনো ওদের বাড়ি আসিনি। তাই নেওয়াজ ভাই বা নাশিদকে চিনতে পারিনি। ইভেন ওদের ছবি দেখলেও চেহারা গুলিয়ে ফেলতাম। সেই কবে দেখেছি তাই চেহারাটা ঠিকমতো মনে ছিলো না। নাফিসার মা কেমন দেখতে আমি সেটাও বলতে পারবো না। শুধু ওর মুখে মুখেই ওর ভাইদের, ফ্যামিলির কথা শুনতাম। তাইতো বিয়ে বাঁড়িতে ওরকম একটা ভুল করে বসেছিলাম। এসব ভাবতে ভাবতেই ভেতরে ঢুকতে নিলে দারোয়ান এসে পথ আটকালো।
-‘কাকে চাই?’
-‘চাচা ওকে ভেতরে আসতে দিন।’
পুরুষালি কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে সামনে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলাম। পুলিশম্যান অদূরে টাউজারের পকেটে হাত রেখে দাঁড়িয়ে। চোখে আবার নরমাল গ্লাসও লাগিয়েছে। কপালে কয়েক গাছা চুল অসমান্তরাল ভাবে হালকা উড়ছে। ওনার স্টাইল দেখে আমার কোনো অংশে মনে হচ্ছে না উনি পুলিশ। ওনার একেক লুক একেকরকম সুন্দর। চোখাচোখি হতেই আমি দৃষ্টি নত করলাম। দারোয়ান আমার পথ থেকে সরে দাঁড়াতেই আমি পা ফেলে সামনে যেতে শুরু করলাম। একসময় পুলিশম্যানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। খানিক সময় তাকিয়ে উনি বলে উঠলেন,
-‘আমার সঙ্গে এসো!’
বলেই উনি আগে আগে চলতে লাগলো আর আমি ওনার পিছে। একসময় উনি থেমে গেলেন যা আমি খেয়াল করিনি। হাঁটতে হাঁটতে দুম করে ওনার পিঠের সঙ্গে ধাক্কা খেলাম। এবারও নাকে লাগলো আমার। নাক কচলাতে কচলাতে মৃদু স্বরে বলে উঠলাম,
-‘থামলেন কেন?’
ততক্ষণে উনিও আমার দিকে ফিরে যায়। রথির ভ্রুযুগোল কুচকে থাকা, পিটপিট করে তাকানো, নাক কচলানো সেই প্রথম দিনের মতো। নাশিদ খানিক সময় তাকিয়ে বলে উঠলো,
-‘সরি, নাফিসা তো বাগানে!’
-‘ওহ!’
নাক কচলানো বন্ধ করে বাগানের পথে যেতে নিলে উনি আবারও আমায় থামিয়ে বললো
-‘এদিকে না এদিক দিয়ে!’
এদের বাড়ির চক্রে আমি যেন কয়েক মিনিটেই পাগল হয়ে যাবো। বাড়ির বাহিরেই এতো ঘূর্ণা, না জানি ভেতরে কেমন? আমি আবারও ওনার সাথে তার দেখানো পথে চলতে লাগলাম। এবার আর পিছে পিছে না, পাশাপাশি-ই চলছি। ধাক্কা খাওয়ার চান্সও কম! হাঁটতে হাঁটতে উনি বলতে লাগলেন,
-‘তোমার নাকি জ্বর হয়েছিলো? এখন কেমন আছো?’
কিছুটা বিস্মিত হলাম ওনার কথায়। উনি জানলেন কী করে আমি অসুস্থ ছিলাম? ওপস নাফিসার থেকে জেনেছে হয়তো। ধ্যাত, দিনদিন যেন ভুল্লাক্কার হয়ে যাচ্ছি। ভাবাভাবি পাশে রেখে বলে উঠলাম,
-‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো।’
আবারও দুজন নিশ্চুপ। সুইমিং পুলের কাছে আসতেই উনি বলে উঠলেন,
-‘আমি জানামতে, তুমি শক্ত এবং ভীষণ কঠোর একজন নারী। সামান্য কয়েকঘন্টার ঘটনায় এভাবে ভেঙ্গে পরলে চলে না, রথি। আমরা জীবনকে ঠিক যতটা সহজ মনে করি ততোটা সহজ এই জীবন আমাদের উপলব্ধি করায় না। জীবন একটি চক্র। সবসময় মনে রেখো তুমি যা ব্যয় করছো সেটি চক্রাকারে আবারও তোমার নিকট সুখ/দুঃখ হয়ে ফেরত আসবে। তাই ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেলেও পিছু-পা হেঁটো না। এক পা পিছে গেলে বড়সড় কিছু হারিয়ে ফেলবে!’
আমি নাশিদ সাহেবের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। প্রতিটি কথাতেই যুক্তি আছে। ঠিকই তো, এক ঘটনা নিয়ে চিন্তা করে জ্বর বাঁধিয়ে দুইদিন কোচিং বন্ধ দিয়েছি। এতে আমার লাভ নয় বরং লস হলো। এমন কোনো ঘটনা আমার জীবনে আর আসবে না এর গ্যারান্টি কী? আমার উচিত ছিলো সেদিনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও শক্ত করে তোলা। আমার জীবনটাই যে সংগ্রামের। আমার ভাবনায় ছেদ ঘটলো নাফিসার ডাকে। নাফিসা অদূরে খড়ের ছাতার ছায়াতলে বসে আছে।
-‘কীরে? ওদিকে কী করছিস? এখানে আয়!’
আমি পাশে তাকালাম। এমা, পুলিশম্যান কোথায় গেলো? পিছে ফিরে তাকাতেই দেখলাম উনি চলে যাচ্ছেন। বাহ, আমাকে না জানিয়েই চলে যাচ্ছে? কী ভালো মানুষ! ঢং!
ভাবতে ভাবতেই নাফিসার কাছে গেলাম। নাফিসাকে শাড়িটি ব্যাক করে মুখে কিছু না তুলেই চলে আসলাম। কারণ মা বাসায় চিন্তা করছে। কখনো এদিকটায় আসিনি, এজন্য মায়ের চিন্তা আরও বেশি! নাফিসাকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে গেলাম। নাফিসা এতো করে বললো তার সঙ্গে ভেতরে গিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করতে কিন্তু আমি শুনলাম না। এসব বড়োলোকি কারবার আমার এখনো অসহ্য লাগে। এর চেয়ে বরং যা আছি আলহামদুলিল্লাহ। বাহিরে আসতেই কিছু বখাটের সঙ্গে দেখা। এই মেয়ে হলে এক জ্বালা, যেখানে-সেখানে বখাটে ঘিরে ধরে। আমার এলাকায় শামুন থাকায় অন্যান্য বখাটে গুলা কিছু বলার সাহস পায় না। তবে আমার মতে এই শামুনই একশ বখাটের সমান।
একজন বখাটে কটাক্ষের সাথে উঠলো,
-‘কী সুন্দরী, রোদ লাগছে? গরম লাগছে? পাখা দিয়ে বাতাস করবো নাকি ছাতা দিয়ে ছায়া দিবো? আম… নাকি সঙ্গ?’
ছেলেটার কথায় বাকি বখাটেরা হেসে দেয়। নাশিদ তার বারান্দার ডিভানে বসে কফি খাচ্ছিলো আর ফাইল দেখছিলো। রাস্তা থেকে হাসাহাসির শব্দ পেয়ে কফি রেখে উঠে দাঁড়ালো। সৌভাগ্যক্রমে সেই রাস্তাটি থেকে নাশিদের বেলকনি কাছে। বখাটেগুলো কাকে উত্ত্যক্ত করছে তাও নাশিদের বুঝতে অসুবিধে হলো না। নাশিদ বখাটে গুলোকে দেখে বেশ ক্ষেপে গেলো। সে ফাইলটা ডিভানে রেখে জোরে হুংকার ছেড়ে বললো,
-‘ওই রাসেল? লাঠি নিয়ে আসবো নাকি কেটে পরবি?’
কারো হুংকারে আমি পিছে ফিরে তাকালাম। বিশাল বাউন্ডারির ভেতরের দো’তলার বেলকনি থেকে পুলিশম্যানকে দেখা যাচ্ছে। তার মুখশ্রীতে রাগিভাব স্পষ্ট। বখাটে গুলো নাশিদকে দেখে তৎক্ষনাৎ পালালো। ওরা চলে যেতেই আবারও চিৎকার করে বললো,
-‘এখন বাসায় যাও। বাসায় গিয়ে নাফিসাকে কল করে জানিও!’
আমি মুচকি হেসে মাথা নাড়ালাম। অতঃপর চলে আসলাম। এক অন্যরকম অনুভূতি চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে আমায়। ওনার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে কতবার উনি বাঁচালেন আল্লাহ মালুম। কই এই মানুষটা তো আগে আমার জীবনে ছিলো না? গম্ভীর হলেও পুলিশম্যান অনেক প্রসেসিভ। যা এতদিনে আমার বুঝতে সমস্যা হয়নি। রথি চলে যেতেই নাফিসা নাশিদকে রথির ফিরিয়ে দেয়া শাড়িটি দিয়ে দেয়!
-‘আমায় কেন দিচ্ছিস?’
-‘তুমি কিনেছো, তুমি-ই রাখো!’
বলেই নাফিসা মুচকি হেসে চলে যায়। নাশিদ নিজেও শাড়িটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বারান্দার রেলিং এ হাত রেখে দাঁড়িয়ে দূরের পথে তাকিয়ে রইলো। আমি বাসায় ফিরতেই নাফিসাকে কল করে জানিয়ে দিলাম আমি সহি সালামতেই বাড়ি ফিরেছি। এভাবে আরও দুইদিন কেটে গেলো। দু’দিনই পুলিশম্যান থানায় ছিলো। আজ বাসায় ফিরে খেয়ে-দেয়ে বিছানায় গা-টা এলিয়ে দিতেই আমেনা বানু আসলো। মায়ের সঙ্গে দেখা করে বললো,
-‘ভাবী আপা মনিরে যাইতে কইসে, এখনি।’
মা আমার দিকে তাকালেন। আমি ততক্ষণে উঠে বসেছি। এই ভাবীটা এসেছে দুইদিন আগেই। এসে খবরও নেয়নি আমরা কেমন আছি। এখন আবার আমাকে নিয়ে কিসের কাজ? আমেনা বানুকে বললাম,
-‘তুমি যাও আমি আসছি!’
আমেনা বানু মাথা নেড়ে চলে গেলেন। আমি ওড়না মাথায় জড়িয়ে বেরিয়ে গেলাম। বাসায় গিয়ে দেখলাম ভাবী সোফায় বসে নেইলপালিশ মাখছে। তার পাশে তাতানকে ফোনে গেম খেলতে দেখে চোখের কোণ ভিঁজে গেলো। কতদিন পর দেখছি আমার বাবুসোনাকে। ইচ্ছে করছে বুকের মাঝে নিয়ে বসে থাকি। এই তাতানকে নিয়ে একসময় আমি সারাটাদিন পার করতাম। আমার চোখের মণি এই তাতান। ভাবীর কথায় আমার ধ্যান ভাঙলো।
-‘এসেছিস? শুন। একটু কষ্ট করে তোকে কমলাপুর স্টেশন যেতে হবে। আবিরকে চিনিস তো? আমার চাচীসহ আজ ঢাকায় আসছে। তুই একটু ওদের রিসিভ করবি প্লিজ?’
-‘ওরা তোমার মেহমান তুমি রিসিভ করতে যাবে। আমি খামোখা কেন যাবো?’
তাতান আমার কন্ঠস্বর পেয়ে আমার দিকে তাকালো। আমার দিকে আসতে নিতেই ভাবী তাতানকে চোখ রাঙানি দিয়ে বসিয়ে রাখলো। ভাবী আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত ভাবে বললো,
-‘দেখ রথি, আমি এখন নেইলপালিশ দিচ্ছি। এছাড়া তাতানও আছে,ওকে একা রেখে আমি কী করে যাই? সাইফও অফিসে নয়তো তোকে ডাকার কোনো প্রয়োজন ছিলো না৷’
আমি এক্সপ্লেশন শুনে বিরক্তি ধরে গেলো। কিন্তু কী ভেবে রাজি হয়ে গেলাম।
-‘বেশ আমি যাবো। তবে শর্ত আছে।’
-‘এখন আবার কিসের শর্ত?’ বিরক্তি নিয়ে বললো ভাবী।
-‘তাতান যতদিন আছে ওকে আমার বাসায় আসতে দিতে হবে!’
ভাবী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। অতঃপর বললো,
-‘ঠিক আছে, এখন জলদি যা নয়তো দেরী হয়ে যাবে!’
আমি তাতানের দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিলাম। তাতানও প্রতিত্তরে হাসলো। ইশারায় ওকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম।
স্টেশনে নাশিদ এসেছিলো তার একটা কেসের জন্য ইনফরমেশন নিতে। কিন্তু অদূরে রথিকে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে পাশাপাশি, হেসে হেসে কথা বলে যেতে দেখে নাশিদ সেখানেই থমকে দাঁড়ালো। মনে হচ্ছে ভুল দেখছে। কিন্তু না, একদম সঠিক দেখছে সে। পরমুহূর্তেই মনে হলো ছেলেটি কে? রথির ঘনিষ্ঠ কেউ?
~চলবে।