#অচেনা_শহর 💖
#সিজন (২)
#লেখিকা:–তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:–[২১]
“রাহাত না হয় আমাকে বোকা বানিয়েছে কিন্তু আরেকজন আছে যে স্নেহাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আদ্র সে তোর থেকে ও বেশি চায় স্নেহাকে জন্য। সে তোদের কিছুতেই একসাথে থাকতে দেবেনা। আমাকে না হয় এখন সরাতে পারবি কিন্তু তার সাথে পারবি না তুই। স্নেহাকে তোর থেকে আলাদা করেই ছাড়বে সে।”
মাইশা ফুঁসে উঠে বলল।
রাহাতের সাহায্য নিয়ে একটা ছেলের ছবির সাথে স্নেহার কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে তৈরি করে ওই সব দেখিয়েছে আদ্রর মাকে। আর বলেছিলো স্নেহার অনেক ছেলের সাথে বাজে সম্পর্ক আছে। এসব করে টাকার জন্য কারণ ওর পরিবারের কেউ নেই এক অসুস্থ বাবা ছিলো সেও মরে গেছে। তাই নিজের জীবন আনন্দময় করতে টাকা হাতিয়ে সবাইকে ধোঁকা দিতো।
আরো অনেক খারাপ কথা বলে আদ্রর মাকে বিলিভ করিয়েছে। তাই তিনি স্নেহাটে দেখতে পারে না। এসব করতে ওর সঙ্গে নিয়েছিল রাহাতকে। কারন রাহাতের ব্যবহারে লেগেছিল ও স্নেহাকে ভালো বাসে। এটা স্বীকার ও করেছিলো তাই ভরসা করে রাহাত কে নিয়ে নিজের ষড়যন্ত্র করছিলো কিন্তু কে জানে এই রাহাত ওকে ধোঁকা দিবে।
রাগে ফুঁসছে মাইশা তখনই আদ্র ছুটে এসে ওর গলা চেপে ধরলো আচমকা কাজে মাইশা সহ রেস্টুরেন্টের সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে।
” কি বললি তুই আমার থেকে আমার স্নেহাকে আলাদা করবে।”
চোখ লাল করে দাঁতে দাঁত চেপে চিৎকার করে উঠল আদ্র।
মাইশা ভয়ার্ত চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে আদ্র হিংস্র রূপ নিয়ে আছে। নিজের হাত উঁচু করে আদ্রর হাত সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
আদ্র আবার ফুঁসে ওঠে বলল,, “কে বল? নাম বল তার? তাকে আমি খুন করে ফেলবো আমার স্নেহার দিকে নজর দেওয়ার ফল সে পাবে। স্নেহা শুধু আমার ভালোবাসা না ও আমার বউ আমার জীবন আমার আত্মা ওকে আমার থেকে আলাদা করার চেষ্টা করলে একেকটাকে পুঁতে ফেলবো আমি।”
রাহাত হতদম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। কি করবে বুঝতে পারছে না ওদিকে মাইশার চোখ উল্টে আসছে দম বন্ধ হয়ে আসছে। এতো শক্ত করে ধরেছে এখানে মেরে ফেলতে চায়। রাহাত দৌড়ে এসে আদ্র কে মাইশার থেকে আলাদা করতে লাগলো কি একা পারছে না রেস্টুরেন্টে এর কয়েকজন ছেলে এসে আদ্রকে থামালো সরিয়ে আনলো মাইশার থেকে। মাইশা ছাড়া পেয়ে গলায় হাত দিয়ে খুটখুট করে কেঁশে উঠলো।
একজন মহিলা এসে ওকে পানি দিতেই ঢকঢক করে পানি খেয়ে নিলো। চেয়ারে বসেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো আর একটু হলে ও আমাকে মেরেই ফেলতো আল্লাহ।
গলার হাত দিয়ে আদ্রর দিকে তাকালো এখনো রাগে ফুঁসছে আদ্র। রাহাত শক্ত করে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করছে যেন ছাড়া পেলেই আমাকে খুন করবে এমন ভাবে তাকাচ্ছে যে চোখ দিয়েই ভষ্স করবে। ভয়ে একটা ঢোক গিললো মাইশা সবাই ওই গাইয়া মেয়েটার মধ্যে কি পেয়েছে? এতো পাগল কেনো।
রাহাত হাতের ইশারায় ওকে চলে যেতে বলে। মাইশা আর দাঁড়ায় না দৌড়ে বেরিয়ে আসে এখানে থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত।
তুই ওকে যেতে কেন দিলি?
তো কি তোর হাতে খুন হওয়ার জন্য রেখে দিতাম।
হুম।
তুই কি পাগল হয়েছিস? এসব করে কি এখন স্নেহাকে রেখে জেলখানায় থাকতে চাস। যাতে মাইশার কথার সেই এসে স্নেহার সাথে সংসার পাততে পারে।
রাহাতের কথায় রেগে তাকালো ওরদিকে।
আমি কি সত্যি বলেছি নাকি খুন করলে এমনটা হবে তাই বললাম। আমার মতে ওইসব পরে জানতে পারবো আগে ওকে নিয়ে তোর আন্টির কাছে যাওয়া উচিত।
আদ্র শান্ত হয়ে কিছু ভাবলো তারপর হুম বললো।
________________
আমি সব কথা শুনে হতদম্ব হয়ে গেলাম। এতো কিছু হয়েছে আদ্র কথা শেষ করেই বারান্দায় চলে গেল আমি পেছনে এসে দেখলো ও সিগারেটে টান দিচ্ছে দৃষ্টিতে অন্ধকার বাইরে।
আমি ভেতরে চলে এলাম ভাইয়ার কাছে গেলাম ঘুমাচ্ছে তাই আবার রুমে চলে এলাম আসার সময় জাইনের রুমে হাসির আওয়াজ পেলাম একা একা হাসছে কেন বুঝলাম না।
আমার মাথায় ঘুরছে মাইশার কথা সে নাকি বলেছে কেউ আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে কে সে?
আদ্র এখন ও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে তাই আমি গিয়ে ওকে পেছন দাঁড়িয়ে কাঁধ হাত রাখলাম। ঘাড় বাঁকিয়ে আমার দিকে তাকালো তাকাতেই ভয় পেয়ে গেলাম আদ্রর চোখ মুখ লাল টকটকে হয়ে আছে। আমি দেখেই ভয় পেয়ে গেলাম। কাঁধে থেকে হাত সরিয়ে ফেললাম।
আদ্র মুখ থেকে সিগারেট এর গন্ধ আসছে যা আমি একদম সহ্য করতে পারিনা।আমি এক পা পিছিয়ে যেয়ে বললাম,,
আমতা আমতা করে বলল,, আদ্র আপনি ঘুমাবেন না।
আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে সিগারেট এ আরেক টান দিয়ে বাইরে ফেলে দিলো তারপর আমার দিকে তাকিয়ে সিগারেট এর ধোঁয়া আমার দিকে দিলো। আমি হকচকিয়ে কেশে উঠলাম,
কি করছেন এসব?
কাঁশতে কাঁশতে বললাম। আদ্র আমার একদম কাছে চলে এলো আমি ভয়ে পিছিয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গেলাম। আদ্রকে কি ভয়ংকর লাগছে দেখতে। আদ্র একদম আমার গা ঘেষে দাড়িয়ে পরলো। আদ্রকে এতো কাছে আসতে দেখে আমি চমকে উঠলাম। আমার সারা শরীর কেঁপে উঠলো।
আদ্র আমার ডান পাশে নিজের বাম হাত রেখে আমার দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে আছে। আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে আমি বড় চোখ করে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি আদ্র নিজের মাথাটা ঝুঁকে আমার মুখোমুখি হলো।
আদ্র আমার থেকে লম্বা অনেক তাই না ঝুকলে মুখোমুখি হতে পারতো না।
স্নেহা তোমার মনে আছে আগেও একবার তোমার মুখে আমি এই ধোঁয়া দিয়েছিলাম।
আদ্র গলার স্বর নামিয়ে কথা বলছে। আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম। আদ্রকে এতো কাছে দেখে আমি উত্তেজিত হয়ে পরছি। কেমন যেন লাগছে। আদ্রর নিঃশ্বাস আমার চোখে মুখে আছড়ে পড়ছে। আমার যেন দম বন্ধ হওয়া অনুভূতি হচ্ছে। আচমকা আদ্র নিজের হাত উঁচু করে আমার কপালে ছুঁয়ে দিলো। এবার আমার অবস্থা নাজেহাল। আমি বোধহয় দম বন্ধ হয়ে মরে যাব। সারা শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো আমি আদ্রর ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলাম।
কিন্তু তফাত কি জানো তখন এই তোমাকে আমি সহ্য করতে পারতাম না। অসহ্য লাগতো তোমায়। কিন্তু এখনই এই তোমাকে আমি সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি নিজেকে কল্পনা ও করতে পারিনা। তুমি আমার আত্মা সাথে মিশে আছো।
আদ্রর কথায় আমি চোখ মেলে তাকালাম আদ্র হাত সরিয়ে নিয়েছে ও আমার ছোট চুল কপালে থেকে সরিয়ে কানে গুঁজে দিয়েছে।আমি এক দৃষ্টিতে আদ্রর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। এই চোখে আমার জন্য এক সমুদ্র ভালোবাসা দেখতে পাই। এখন আদ্র চোখে রাগ নেই নিরব চাহনি দিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। কেন জানি আমার চোখ ছলছল করে উঠলো, আমি ঝাপসা চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি।
আদ্র আবার বলল, তোমাকে নাকি কেড়ে নেব আমার থেকে এটা সম্ভব বলো।এই আদ্র বেঁচে থাকতে কেউ তার থেকে তার মায়াবতী কে কেড়ে নিতে পারবে না। তুমি শুধু আমার এই আদ্রর। তোমার দিকে যে হাত বাড়াবে আমি তাকে খুন করে ফেলবো।
প্রথম কথা গুলো আদ্র শান্ত ভঙ্গিতে বললেও পরের কথা গুলো রেগে বলে। রাগে ওর কপালের রগ ফুলে উঠেছে। আমি বুঝতে পারছি সব ওই মাইশার কথা শুনে এমন করছে কিন্তু আদ্র কে তো শান্ত করতে হবে।
আমি কাঁপা কাঁপা দু হাত উঁচু করে আদ্রর গালে রাখলাম। আমার শরীর কাঁপছে তবুও বললাম,
আদ্র আপনি শান্ত হোন প্লিজ। আমি শুধু আপনার দেখুন আমি আপনার কাছেই আছি কেউ আমাকে নিতে পারবে না আর নিতে এলেই কি আমি যাব নাকি আমার এই বরকে ছেড়ে। শুধু আপনি না আমিও তো…
কেউ তোমাকে আমার কাছে থেকে নিতেই পারবে না স্নেহা। অন্তত আমি বেঁচে থাকতে না।
হুম।
আদ্রর গালে থেকে হাত সরিয়ে নিলাম। আদ্র নিজেই এবার আমার গালে হাত দিয়ে কপালে চুমু খেলো।#অচেনা_শহর💖
#সিজন(২)
#লেখিকা:–তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:–[২২]
মাইশা ফুঁসে নিজের পার্স বিছানায় ছুড়ে ফেলে বসে পরলো বিছানায়। ওর কপালে শনি আছে ও খুব ভালো করেই জানে। তখনি ওর ফোন বেজে উঠলো। ফোনের শব্দে চমকে দাঁড়িয়ে পরলো মাইশা ওর জম ফোন দিয়েছে।
না ধরলেও ওর বারোটা বাজিয়ে দিবে।
কাঁপা হাতে ফোন কানে নিলো সাথে সাথে ওপাশ থেকে কেউ ককর্শ গলায় বলল,
“তুই আদ্রর বাড়ি গিয়ে সব শিকার করেছিস?”
মাইশা আমতা আমতা করে বললো, হুম।
সাথে সাথে ওপাশের ব্যক্তি একটা বাজে ভাষা বলে হুংকার দিলো। যা শুনেই মাইশার জান যায় যায় অবস্থা।
আমি ইচ্ছে তে করি নি বাধ্য হতে হয়েছে। আমি না শিকার করলে আদ্র এতোক্ষণে আমাকে খুন করে ফেলতো। আমার কিছু করার ছিলো না রাজি না হয়ে।
তোর জন্য যদি আমি স্নেহাকে না পাই দেশে এসে তোকে আমিই পুঁতে ফেলবো।
আমার কথা বুঝিস না আমি কি ইচ্ছে করে এটা করবো। তুই যেমন স্নেহাকে ভালোবাসিস চাস আমিও তো আদ্রকে ভালোবাসি ওকে নিজের করে চায় কিন্তু….
তোর ফালতু বকবক শুনতে চায়না।আগেই বলেছিলাম ওই রাহাত পাল্টি খাবে ওর জন্য এতো সব হলো।আমার কথা ওকে বলে দিলে কি হতো ভাবতে পারছিস।
হুম বুঝতে পারিনি আসলে তখন আমার একজনকে প্রয়োজন ছিলো তাই ওকেই।
চুপপ ফোন রাখ আমি এসে যা করার করবো।
বলেই কল কেটে দিলো। মাইশা ফোন ঢিল মেরে বসে পরলো।ও আমাকে ধমক দেয় শুধু আদ্রকে পাবার জন্য ওর কথা শুনতে হচ্ছে না হলে মাইশা কারো ধমক শুনে না।
___________________
সোফার একপাশে আদ্রর বাবা গম্ভীর মুখ করে বসে আছে। আরেক পাশে আমি আমার পাশের আদ্রর মা বসে আমার হাত ধরে আছে। আদ্র দাঁড়িয়ে আছে। আমি আদ্রর দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছি।
“আমি কোন মুখে তোমার কাছে ক্ষমা চাইবো জানি না। আমার সেই মুখ নেই মা নিজেকে এতো ছোট লাগছে কি বলবো ওই মাইশা আমাকে এইভাবে নিজের জালে ফাসাবে আমি ভাবিনি।ওকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসতাম আদ্রর ফ্রেন্ড তাই ওর যাতায়াত অনেক দিনের তাই আমি ওর কথা বিশ্বাস করেছিলাম। আর শুধু মুখের কথা না ও আমাকে প্রমাণ দিয়েছিল তাইতো বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমি সব প্রমাণ পেয়ে তোমাকে মানতে পারিনি।”
বলেই আমার দিকে তাকালো আমি ছলছল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। উনি জ্বিভা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে আবার বলতে লাগলো।
আর আগে আমার হাত আরো শক্ত করে ধরে বলল,
” সব দেখে আমি উত্তেজিত হয়ে গেছিলাম।
আমি চাইনি আমার ছেলের জীবনে কোন খারাপ মেয়ে থাকুক। যার জন্য আমার ছেলের জীবনে কষ্ট আসে আনন্দ হারিয়ে যায়। আদ্রর কথা ভেবেই আমি এই অন্যায় করতে বাধ্য হয় শুধু মাত্র ওর জন্য। বলতে বলতে কেঁদে উঠলো।
প্রথমে কিন্তু আমি তোমাকে মেনে নিয়েছিলাম যখন আমার ছেলে তোমার একটা ছবি দেখিয়ে বলে সে তোমাকে ভালোবাসে। আমি খুশি মনেই তোমায় মেনে ছিলাম কারণ তোমাকে দেখে আমারও পছন্দ হয়েছিল সিদ্ধান্ত নিলাম তোমাকে ছেলের বউ করবো কিন্তু মাইশার ওই ছবি আর ওই ছেলেটা নিজে বলেছে তোমার সাথে ওর রিলেশন আছে তাই।
আদ্র বলে উঠলো, ওই সব ফ্রট ছিলো।
মা আদ্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
“তখন তো বুঝিনি এতো বড় চক্রান্ত। এখনো বুঝতে পারতাম না যদি নিজে এসে শিকার করতো। আমাকে ক্ষমা কর তোরা। স্নেহা মা আমাকে ক্ষমা করো আমি জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য তবুও একটা সুযোগ দাও।আমি ভালো শাশুড়ি হয়ে দেখাবো।”
ওনার চোখ দিয়ে পানি পরছে আমি ছলছল চোখে তাকিয়ে আছি।
কান্না পাচ্ছে খুব। কান্না কন্ঠে বললাম,
“এভাবে বলবেন না প্লিজ। আমি আপনার উপর কোন রেগে নেই তাই ক্ষমা চাইবেন না। ক্ষমা চেয়ে আমাকে লজ্জা দিবেনা। আর আমি ভালো শাশুড়ি চাই না।”
আমার কথা শুনে উনি লজ্জায় মাথা উঁচু তাকালো ওনার মুখটা কালো হয়ে গেছে।
কিছু বলতে যাবে আমি বললাম,
“আমার একটা মা চায়। যে আমাকে নিজের মেয়ের মতো আদর করবে আবার ভুল করলে কড়া গলায় শাসন করবে। আর খুব বেশি ভালোবাসবে আগলে রাখবে বুকের মাঝে। আমার একটা মা চাই।”
বলেই কেঁদে উঠলাম।
আমার কথা শুনে উনার চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো। চোখের জল আমাকে টেনে মুছে দিয়ে বলল,
“তোকে আমি কি করে এতো ভুল ভাবলাম।আর তুই তো আমার মেয়েই।”
বলেই কপালে চুমু খেল আমি উনার আদর খেয়ে চোখ বন্ধ করে আছি। মনে হচ্ছে নিজের মা আমায় আদর করছে।
ভুল বুঝাবুঝির এর পালা শেষ হলো।আমি আমার শাশুড়ির মার বুকে মাথা দিয়ে আছি।
“তাহলে ফিরে চল বাসায়।”
আদ্রর মা আদ্রর দিকে তাকিয়ে বলল।
আদ্র গম্ভীর হয়ে বলল, না সেটা সম্ভব না।
আদ্রর কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম। সবার মুখ কালো হয়ে গেল।
আদ্রর মা উঠে আদ্রর কাছে এসে বলল,
” কি হয়েছে তোর এখনো ক্ষমা করতে পারিস না আমার ভুলের এইভাবে খেসারত দিস না। তোদের জন্য আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। মাকে ক্ষমা করে দে চল বাসায়।”
“না বললাম তো।”
“তুই আমাকে কষ্ট দিবি একটুও ভালোবাসিস না তাই না।”
বলেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন। আমার ও খারাপ লাগছে আদ্র রাজি হচ্ছে না কেন? উনি তো বলেছিলেন সব ঠিক হয়ে গেলে আবার ফিরে যাবে তাহলে।
আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর হয়ে বলল,,
“স্নেহা যাও সবার জন্য চা নিয়ে আসো।”
আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে চলে গেলাম।
রান্না ঘরে এসে পানি গরম দিয়ে চা পাতি চিনি সব দিচ্ছি আর ভাবছি। আদ্রর আবার কি হলো উনি কি এখনো সবার থেকে আলাদা থাকতে চায়? এতে যে সবার কষ্ট মা কতো কষ্ট পাচ্ছিল সাথে আদ্র ও তো তাদের জন্য মন খারাপ করে বসে থাকে। আর আমি এইভাবে একা সংসার করতে পারবো না আমার তো সবাইকে চাই মা বাবা বোন সবাইকে একটা পরিবার চাই। তাদের সাথে খুনসুটি ভালোবাসা দিয়ে সংসার সাজাতে চায়। কিন্তু আদ্র না গেলে সে সব সম্ভব হবে না কখনো।
হঠাৎ পেটে কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলাম। ভাবনা থেকে বের হয়ে দেখি আদ্র আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে নিজের থুতনি দিয়ে আছে পেছনে থেকে। আচমকা আদ্রকে এতো কাছে দেখে আমার দম বন্ধ হয়ে এলো। থরথর করে কাঁপতে লাগলাম।
জড়ানো কন্ঠে বললাম,,
“আপনি এখানে কি করছেন?”
“দেখতে পাচ্ছ না কি করছি?”
“না ছারুন। এভাবে ধরেছেন কেন? উফ আমার শরীর কাঁপছে ছারুন।”
“উহু অনেক ছেড়েছি এখন থেকে শুধু ধরেই রাখবো।”
“আপনি কি পাগল হলেন বলেন তো? এই সময় এসব করছেন? ওদিকে মা কতো কষ্ট পাচ্ছে আপনি ওইভাবে না করলেন কেন? আমি তো যেতে চাই সবার সাথে থাকতে চাই। আপনি কেন না করলেন?”
বলতে বলতে আদ্রর হাত পেটের কাছে থেকে সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। আরো শক্ত করে ধরছে।
“না করছি তার কারণ আছে।”
“কি কারণ যার জন্য আপনাকে না করতে হলো?”
“আমার বউকে তারিয়ে দিয়েছিলো ওই বাড়ি থেকে। এতো সহজে কি আমি তাকে নিয়ে ওই বাড়ি যেতে পারি তার একটা সম্মান আছে না।”
“কি বলতে চাইছেন? সরাসরি বলেন বুঝতে পারছি না।”
তোমার মোটা মাথায় এতো কিছু ঢুকবে না। আমাদের আবার বিয়ে হবে বুঝেছো। হাতে মেহেদি দিয়ে আমার নাম লিখবে। আমার গায়ের হলুদ তোমার গায়ে লাগিয়ে গায়ে হলুদ হবে। তারপর তুমি লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে পরীর মত সেজে অপেক্ষা করবে আমার জন্য আমি বর ভেসে এসে তোমাকে নিয়ে যাব সম্মান এরসাথে আয়োজন করে। যা আগের বার করতে পারিনি এবার করবো সব।
বলতে আদ্র আমার কাঁধে নিজের ঠোঁট ছুয়ালো আদ্রর ছোঁয়ায় আমি কেঁপে কেঁপে উঠলাম। চোখ খিচে আদ্রর কথা শুনছি। যেন আমি কল্পনায় ভেসে গেছি আদ্রর বর বেসে আমার সামনে দাড়িয়ে আছি কা অপূর্ব লাগছে কতো সিগ্ধ লাগছে ঠোঁটের কোণে আদ্রর মিষ্টি হাসি হাসলে আদ্রর চোখ ছোট ছোট হয়ে যায় গোল গাল ফর্সা মুখে খোঁচা খোঁচা চাপ দাঁড়ি গুলো সাইজ করে কাটা। মাথায় সিল্ক খাড়া চুল কপালে এসে পরছে যা হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। কি মিষ্টি লাগছে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি।
“এই কি হলো কি ভাবছো তোমার চা পুরে গেল তো।”
আদ্রর কথায় সম্মতি পেয়ে সিটকে উঠলাম। আমার চমকানো দেখে আদ্র হা হা করে হেসে উঠলো। চুলার তাকিয়ে দেখি চা নামিয়ে রেখেছে আদ্র। আমি রেগে তাকালাম অসভ্য মিথ্যা বলল।
“আপনি আমাকে মিথ্যা বললেন?”
“না সত্যি ছিলো কিন্তু তুমি কি এতো ভাবছিলে বলো তো আমি ডেকে ও তোমার ধ্যান ভাঙতে পারলাম না।”
আদ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে আমি চমকে ঢোক গিললাম। এতোটা ভাবনায় বিভোর ছিলাম আমি।
“আবার কি হলো?”
“কিছু না।”
বলেই চা কাপে ঠেলে এলাম বাইরে আদ্র আমাকে আরো জিজ্ঞেস করেছিলো আমি না শুনার ভান করে চলে এসেছি।
~~চলবে~~#অচেনা_শহর💖
#সিজন(২)
#লেখিকা:–তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্ব:–[২৩]
সারা বাড়ি ফুল, ক্যান্ডেলা, বাতি দিয়ে সাজানো শুরু করে দিয়েছে। আদ্র একবার এ বাড়ি তো ও বাড়ি করছে। বাসা ঝলমল করছে আমি রুনা আপুর নাম্বার অনেক কষ্ট যোগার করে তাকে কল করলাম।
আমার আওয়াজ পেয়ে আপু অভিমান করে বসলো কতোদিন কথা হয়না।
সরি আপু আমি তোমার নাম্বার হারিয়ে ফেলেছিলাম তাই যোগাযোগ করতে পারি নি।
আমার নাম্বার কি করে হারাতে পারলি তুই। কতো মিস করেছি তোকে জানিস রানী কতোবার তোর সাথে কথা বলবে বলে।
ক্ষমা করে দাও আপু। রায়া কেমন আছে?
আলহামদুলিল্লাহ খুব দুষ্টু হয়েছে।
তাই ওর আমার কথা মনে আছে।
আছে তো তোর ছবি আছে না আমার ফোন সেটা দেখেই বলে স্নেহা আন্টি। তুই কোথায় নানান কথা জিজ্ঞেস করে?
কৌশিক ভাইয়ার কেমন আছে?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আদ্রর কি খবর?
ভালো। আপু তোমাদের ঢাকা আসতে হবে।
কেন?
আমাদের বিয়েতে আসবে না তুমি।
তোদের বিয়ে মানে? একবার না হয়েছিলো।
হুম সেটা তো সবার আড়ালে এখন সবাই মিলে অনুষ্ঠান করে হবে। তোমাদের কালকেই আসতে হবে।
কাল কি করে আমি কিছু বুঝছি না খুলে বল।
আসো তারপর সব বলবো কালকেই আসবা না হলে তোমার সাথে আড়ি।
আপু বিপাকে পড়ে গেল বলল ভাইয়ার সাথে কথা বলে জানাবে আমি সাফ সাফ বললাম আসতেই হবে না হলে আমি রাগ করে আর কথা বলবো না।
আপু আচ্ছা বলল। রায়া ও রানীর সাথে কথা বলে রেখে দিলাম। ভাইয়া নাকি দোকানে আছে গ্ৰামে গিয়ে দোকান করে এখন।
বিকেলে আদ্রকে নিয়ে আমি নিশাত দের বাসায় চলে এলাম। আদ্রকে এখনো জানানো হয়নি নিশাতদের সম্পর্কে। কাকার সাথে কথা বলেছি সে মানা করেছে বলতে তাই বলিনি। আদ্র কি ভাবে রিয়াক্ট করবে কে জানে।বাসায় এসে নিশাতকে পেলাম না কাকির সাথে কথা বললাম কাকি তো কেঁদে ফেললো। মানুষ খুব ভালো আমাকে মেয়ের মতো আগলে রেখেছিল আমিও কেঁদে উঠলাম। আদ্রর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে আদ্র তাকে পা ধরে সালাম করে। বিয়ের কথা আদ্র বলল আর কালকেই নিশাত কে নিয়ে চলে আসতে বললাম। অন্তরাদের বাসায় গিয়ে সবাইকে ইনভাইট করে অন্তরা আর অলিকে সাথে করে নিয়ে এলাম।
আমি আদ্রর সাথে সামনে পেছনে অন্তরা আর অলি।
আমি ভ্রু কুঁচকে একটু পর পর অন্তরার দিকে তাকাচ্ছি অলি অনেক কথা বলছে কিন্তু অন্তরা বলছে না মন খারাপ করে বসে আছে।
অন্তরা কি হয়েছে তোর মুখটা ওমন করে রেখেছিস কেন?
আমার কথায় আদ্র ও তাকালো অন্তরা দিকে।
আমার মনে অন্তরা হৃদয়ের জন্য এমন মুখ করে আছে। চলো তাকেও নিয়ে যাই। তাহলেই মনটা খারাপ থেকে ভালো হয়ে যাবে তাই না শালিকা।
অন্তরা মুখ বেকা করে বলল, আমার কিছু হয়নি।
আর তাকে কোথায় পাবেন সে দেশে থাকলে তো?
আদ্র ড্রাইভ করতে করতে বললো,,
কেন সে আবার আমার শালিকে একা রেখে কোথায় গেছে যে তার বিরহে মুখটা কালো করে বসে আছো?
এক সপ্তাহ হলো সে বিদেশে গিয়ে বসে আছে।
আমি বললাম,, কেন?
ওর বাবার ব্যবসার জন্য নাকি ওকে পাঠিয়েছে উনি একটু অসুস্থ তাই।
ওহ এই ব্যাপার তা আসবে কবে।
জানি না।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম,
জানিস না? কেন কথা হয় না বলে নি তোকে?
না যাওয়ার পর আর কথা হয়নি।
এক সপ্তাহ কথা না বলে আছিস?
হুম।
আহারে এই জন্য তো এমন শুখে কাতর হয়ে আছে। কেঁদো না শালিকা আসবে নি।
অন্তরা কড়া চোখে আদ্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
ভাই আপনি মজা করছেন কেন? আমি কাঁদছি কোথায়?
ও কাদছো না আমি ভাবলাম কেঁদে ভাসিয়ে সাগর বানিয়ে আমার গাড়ি ডুবিয়ে দিচ্ছো।
ভাইয়া
মৃদু চিৎকার করে।
আমি আর অলি হাসতেছি।
এতো হেসো না বউ এক্সিডেন্ট করে ফেলবো তো।
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে অন্তরার দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম আদ্রর কথা শুনে হাসি অফ হয়ে গেল। চোখ পাকিয়ে আদ্রর দিকে তাকিয়ে বললাম,
কি বললেন আপনি ? আমি হাসলে আপনার এক্সিডেন্ট কেন হবে?
তুমি এমন করে হাসলেই তো সব হবে আমি খুন হয়ে যাব।
কি বলতে চাইছেন?
সিম্পুল তুমি এমন মিষ্টি করে হাসলে আমার এই চোখ যে না চাইতেও গাড়ির চালানোতে মনোযোগ দিতে পারবে না চোখ তোমার দিকে স্থির হয়ে যাব।
তখন তো এক্সিডেন্ট ই হবে তাইনা।
আদ্রর কথা শুনে আমি লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেলাম।
পেছনে থেকে অন্তরা আর অলি হাসতেছি। আমি এবার আদ্রর এমন কথা শুনে আমি রাগী চোখে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলাম। ফাজিল লোক একটা। এইভাবে বলল কেন ওরা দুজন আছে সেটা কি উনি দেখতে পাননা।
এই ভাবে কেউ লজ্জা দেয়।
আমি লজ্জা বাইরের দিকে তাকিয়ে আছি। ফুসকার একটা দোকান দেখেই অলি চেঁচিয়ে উঠলো।
খাবে বলে আদ্র গাড়ি থামিয়ে ফেলল। সবাই মিলে ফুসকার দোকানে চলে এলাম।
অলি গপাগপ খাচ্ছে আদ্র এক প্লেট নিয়ে আমার মুখে তুলে দিলো আমি লজ্জা নিয়ে আদ্রর হাতে খাচ্ছি হঠাৎ চোখ পরলো অন্তরার দিকে খাচ্ছে না হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি একটা হাত তুলে আদ্রর মুখে দিয়ে অন্তরার জন্য নিয়ে গেলাম আর ফট করে মুখে পুরে দিলাম।
ওই এখন ও মন খারাপ করে আছিস কেন? ভাইয়া আসবে নি তাড়াতাড়ি হয়তো কাজে বেশি বিজি তাই ফোন করতে পারছে না এসে সারপ্রাইজ দিবে।
খা।
হুম।
আমি আদ্রর কাছে এসে প্লেট নিয়ে নিলাম।
কি হলো নিলে কেন?
আমি নিজের হাতে খেতে পারি আপনার খাইয়ে দিতে হবে না।
হবে আসো তো আর তুমি খেতে পারো কিনা জানতে চাইনি।তুমি আমাকে খাইয়ে দাও আমি তোমাকে।
উফ আপনার লজ্জা করে না আসে পাশের মানুষেরা কেমন করে তাকিয়ে আছে দেখুন।সবাই কি ভাবছে বলুন তো। আর দুইবার তো খেয়েছি আপনার হাতে আর না না হলে কিন্তু আমি আর খাব না।
মানুষের জন্য তুমি আমার ভালোবাসাটা উপলদ্ধি না করে ঠেলে দিচ্ছে ইজ নট ফেয়ার স্নেহা। আর
কে কি ভাববো আই ডোন্ট কেয়ার। আমি শুধু জানি তুমি আমার বউ।তাই আমার বউকে নিয়ে যা খুশি তাই করবো।
বলেই আমার হাত থেকে ফুসকার প্লেট নিয়ে নিলো সাথে আমার বাম হাত শক্ত করে ধরে নিজের কাছে নিয়ে গেল আমি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি আদ্রর দিকে। আল্লাহ আগেই তো ভালো ছিলো এখন লজ্জায় আমি আশেপাশে তাকাতে পারছি না মন চাইছে আদ্রর মাথা ফাটিয়ে দিতে।ডান হাত দিয়ে কামিজ এর কোনা শক্ত করে ধরে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললাম,,
আচ্ছা সরি ছারুন প্লিজ। আপনার হাতেই খাব। এভাবে ধরে রাখবে না আমি লজ্জায় মরেই যাব।
এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে।
তুমি সারা জীবন তেরাই রয়ে গেলে সোজা কথা মানতে চাও না আমি জানি তো কি করে মানাতে হয়। কেন জান এই ভাবেইতো ভালো সবাই এখন মজা নিচ্ছে দেখো।
ছাড়ুন না।
আমার অসহায় মুখ দিয়ে দেখে আদ্র ছেড়ে দিলো প্লেট ও আমার হাতে দিয়ে বলল,
তুমি খাও নিজের মতো।
আদ্র অন্য দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
রাগ করেছ মুখ দেখেই বুঝতে পারছি কিন্তু আমার তো লজ্জা করে সবার তাকানো দেখে। সেটা এই মানুষটি কে বুঝাবে কে?
এই ভাবে কি আমি খেতে পারবো একটা তুলে নিয়ে আদ্রর সামনে ধরলাম।
আদ্র গম্ভীর হয়ে বলল,
কি হলো আমাকে দিচ্ছ কেন?
আপনি খাবেন না।
না।
কেন?
এমনিই।
রাগ করেছেন?
রাগ করলেই তোমার কি?
আচ্ছা সরি খান প্লিজ না হলে আমি ও খাব না কিন্তু।
আচ্ছা না খেলে রেখে আসো।
তাও খাবেনই না।
না।
করতেই আমি আদ্রর মুখের ফুসকা পুরে দিলাম। আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।আমি মিটিমিটি হাসছি।
কি হলো খাবেন না?
আদ্র কথা বলতে পারছেনা না তাই খাচ্ছে।
তুমি খুব পাজি হয়েছো?
আগে খুব ভালো ছিলাম বুঝি।
একদম ই না আগে ঝগড়ুটে ছিলে! আর এখন…
এখন কি?
এখন আরো ঝগড়ুটে হচ্ছো।
বলেই ঠোঁটের কোনে দুষ্টু হাসি দিলো।
আমি রেগে ফুসকার প্লেট রেগে আদ্রর বাহুতে কিল ঘুষি মারতে লাগলাম।
~~চলবে~~
_________________
~~চলবে~~