অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে পর্বঃ ১৯ অন্তিম পর্ব।

5
4296

অন্তঃসন্তা_মেয়েকে_বিয়ে
পর্বঃ ১৯ অন্তিম পর্ব।
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
রিয়া মেয়েটা এসব শুনে আরো বেশি কাঁদতে লাগল পাশ থেকে।
বুঝতে বাকি রইলো না মেয়েটা রাজকে ভালোবাসে! এখন রাজ তো আমাকে কোনদিন গ্রহণ করবে না, সে তো আমাকে ডির্ভোস দিয়েছে! ভাবতেই আবারো চোখটা ছলছল করে ওঠলো।
মনে মনে ভাবলাম রাজ যার বুকেই থাকুক সো জন সুখে থাকে আর বেঁচে থাকে তাঁর সুখটা না হয় দূর থেকেই দেখবো।
এসব ভাবছি অার কাঁদছি। রিয়া মেয়েটার দিকেই চেয়ো থাকতে বড্ড মায়া লাগছে। মেয়েটা চোখ লাল করে ফেলছে।
.
হঠাৎ ডাক্তার রাজের রুম থেকে বের হয়ে আসলো! ডাক্তারের চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে!
.
আঙ্কেল কী হয়েছ ভাইয়ার?
.
মামনী, পেশেন্ট স্যালাইন একদম নেওয়া বাদ দিয়েছে।এখন অক্সিজেন নেওয়া ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। মামনি এতিম বাচ্চাদের স্বান্ত্বনা দেওয়ার বাসা হারিয়ে ফেললাম। কী বলে স্বান্ত্বনা দিবো রাজ যে আর বাঁচবে না মনে হচ্ছে। তোমরা আল্লাহকে ডাকো প্লিজ তিনি চাইলে সব করতে পারেন।
.
ডাক্তারের মুখে এমন কথা শুনে বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো। রিত্ত মনে হচ্ছে পাথরের মূর্তির মত হয়ে গেছে।
.
বাবা আমি কি নিয়ে বাঁচবো বলো আমার জীবনটাকেই যে আল্লাহ্ নিয়ে নিচ্ছে।
.
মা’রে আল্লাহর উপর ভরসা রাখই আল্লাহ্ সব ঠিক করে দিবে। এতোগুলো এতিম বাচ্চার চোখের জল কখনো বৃথা যাবে না।
.
এতিম বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। তাঁরা খুব করে কাঁদছে। মুখ দিয়ে তাঁদের কোন কথা বের হচ্ছে না।
.
হঠাৎ রিয়া মেয়েটা দৌঁড়ে রাজের পায়ের কাছে বসে অঝরে কাঁদতে লাগল। রিত্ত দৌঁড়ে গিয়ে বলতে লাগল ” রিয়া আপু আমি জানি তুমি ভাইয়াকে অনেক ভালবাসো ” ভাইয়াও তোমাকে ভালোবাসে জানি খুব। কিন্তু কি করবে আল্লাহর উপর কোন হাত নেই দোয়া কর ভাইয়া যেন আবারো আগের মতো সুস্হ হয়ে যায়। রিয়া মেয়েটা রিত্তকে জড়িয়ে ধরে কাদছে। চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে কিন্তু কোন শব্দ করছে না।
.
এদিকে রিত্তের মুখে ” ভাইয়াকে তুমি অনেক ভালোবাস, আর ভাইয়াও তোমাকে অনেক ভালোবাসে ” এমন কথাটা শুনে পায়ের নিচের মাটি সরে গেল মনে হচ্ছে। চোখের জল বাঁধা মানছে না। আমি কিছু ভাবতে পারছি না। রাজ শুধু আমার অন্য কেউ রাজের বুকে যাওয়ার আগে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। খুব কষ্ট হচ্ছে প্রাণটা বের হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ মনে পড়ল আজ আমার জন্যই আমার স্বামীর এই অবস্হা। আমার অবহেলা, ঘৃণা মিথ্যা প্রতিশোধের আগুন রাজকে প্রতিনিয়ত পুড়িয়েছে। খুব কষ্ট হচ্ছে এসব ভাবতে। মনে মনে স্হির করে নিলাম রাজের মেয়ে রাজতে দিয়ে, যেদিন রাজ বিয়ে করবে সেদিন গলায় দঁড়ি দিয়ে মরবো তবুও বেঁচে থাকতে রাজ অন্যের হবে তা দেখতে তো দূরের কথা শুনতেও পারবো না!আমি মরে যায় আমার জীবনটা যেন বেঁচে যায়।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
বাসায় এসে শুনলাম রাজের অবস্হা সিরিয়াস। সবাই কান্না -কাটি করছে। মা-বাবা আমার আড়ালে কাঁদছে আমি কষ্ট পাব বলে মা-বাবা কাঁদিনি। মা শুধু বললো” মা’রে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর রাজ বাবাটা যেন বেঁচে যায়”!
.
মা কথাটা বলে রুম থেকে চলে গেল! আমার মনে হচ্ছে রাজ হারিয়ে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে
পাথর চাঁপা দিয়ে রেখেছি! পাশের রুমে মা’রের কান্নার আওয়াজ ক্রমশ তিব্র হচ্ছে। মনের মাঝে অজানা ভয় কাজ করছে। না জানি আমার রাজের কী জানি কি হয়ে গেল!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
মা’কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম” মা কি হয়েছে কাঁদছো কেন?”
মা’রে আল্লাহকে ডাক রাজের অবস্হা আরো বেশি খারাপ তোর বাবা কিছুক্ষণ আগে বাসা থেকে বের হয়ে হসসপিটালে গিয়ে ফোনে সব বলল!
.
আম্মুর কথা শুনে মনে হচ্ছে কেউ কলিজাতে ছুরি চালিয়ে দিচ্ছে! আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। অযু করে পবিএ কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করে, কুরআনের উপর চুমু খেয়ে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম! কিছুক্ষণ এভাবে বুকের সাথে কুরআন শরীফটা জড়িয়ে রাখলাম।তারপর কুরআনটা রেখে মাঝরাতে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম।শুনেছি মাঝরাতে নামাযে দাঁড়িয়ে কাঁদলে আল্লাহ্ দোয়া কবুল করেন। তাই নামায শেষ করে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্না করে করে বলতে লাগলাম” হে রহমান- রাহীম এই মাঝরাতে সময় যখন ঘুমিয়ে তখন তোমার দরবারে দু’টি হাত তুলে ধরেছি! আল্লাহ্ তুমিতো অন্তযামী , তোমার বান্দার মনের খবর জান। আল্লাহ্ আমার স্বামী মৃত্যুশর্য্যার আল্লাহ্ আমার জীবন নিয়ে হলেও আমার স্বামীর সুস্হতা দান করো!! হে আল্লাহ্ তোমার কাছে এক অভাগী হাত তুলে ধরেছে মিসকিনের বেসে তুমি কবুল কর আল্লাহ্ কবুল কর আমার দোয়া। আমার সন্তানটাকে তাঁর বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত কর না। আল্লাহ আমার স্বামীকে ভালো করে দাও! এদিকে দেখ সকাল হয়ে গেছে। প্রতিদিনের চেয়ে আজকের সকালটা আলাদা। কথা সকালেই হাসপাতালের দিকে রওয়ানা দিলো!
.
এতিম বাচ্চারা কাঁদছে এখনো।একটা মেয়ের নাম আদিবা! যার বাবা জন্মের আগে মারা যায়। আর মা’টা আদিবাকে জন্ম দেওয়ার সময় মারা যায়। মেয়েটার বয়স ৭ রাজ মেয়েটাকে সব চেয়ে বেশি আদর করতো সব চেয়ে বেশি সেই মেয়েটা কাঁদছে। চোখ দুটি রক্তের মতো লাল হয়ে গেছে।
আদিবা অযু করে সবার সাথে কাঁদতে কাদঁতে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে বলতে লাগল” হে আল্লাহ্ তুমি সবাইকে মা দিয়েছ।বাবা দিয়েছ। আর আমাকে কিছুই দেওনি। শুনেছি মানুষের কাছে আমি যখন মায়ের গর্ভে তখন বাবা মারা যায়। যখন হাসপাতালে জন্ম নেয়! জন্ম নিয়ে মায়ের মুখটাও দেখতে পারিনি। হয়তো মুখটা সাদা কাফনে ঢেকে দিয়েছে। হে আল্লাহ্ আমি কি এমন অন্যায় করেছি, কিসের জন্য আমাকে বাবার আদর মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত করলে? জন্মের পর শুধু এতিম অনাথ নামটাই শুনেছি মানুষের কাছে তবুও তোমাকে বলিনি কেন আমার বাবা-মাকে কেঁড়ে নিলে। তবে আজ বলব কারণ বাবা- মাকে হারিয়ে একটা বাবার মতো বাবা পেয়েছিলাম যে বাবার আদর দিয়েছে। মায়ের মত মা পেয়েছিলাম যে মায়ের স্নেহ দিয়েছে। ভাইয়ের মতো ভাই পেয়েছিলাম যার সাথে খুনশুটি করেছি, বন্ধুর মতো বন্ধু পেয়েছি যার সাথে সব শেয়ার করতাম। হে আল্লাহ্ সেই মানুষটা আজ হসপিটালে শুয়ে আছে। আল্লাহ্ কোনদিন তোমার কাছে কিছু চায়নি! বলেনি মাকে দেখবো কখনো তোমাকে বলিনি বাবাকে এনে দাও তবে আজ চাইবো যে মানুষটা আমাদের মুখে খাবার তুলে দিত! আমাদের কান্নায় কান্না করতো তাকে তুমি নিয়ো না। ছোটরা নাকি মাসুম হয়, এতিমদের দোয়া নাকি কবুল হয়, আমার দোয়া কবুল করবে না তুমি? আমি ছোট্ট যে তোমাকে ঠিকমতো ডাকতে পারি না যে, কী করবো তুমি কী আমার ডাক শুনতে পাও দূর আকাশ থেকে।আমার রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দাও নইলে আমি খুব কাঁদবো। তুমি নি বাচ্চাদের কান্না সহ্য করতে পারো না! হে আল্লাহ্ মায়ের দুধটাও আমি খেতে পারিনি তাতেও তোমাকে কখনো বলিনি আমার মাকে এনে দাও, কিন্তু আজ আমি তোমার কাছে দুইহাত তুলে কাঁদছি রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দাও।আল্লাহ্ আমরা এতিম, এতোগুলো এতিম বাচ্চার কান্না তুমি শুনতে পাওনা। তুমি না মনের কথা বুঝতে পারো তবে কেন আমাদের রাজ ভাইয়াকে সুস্হ করে দিচ্ছ না। ওহ্ আল্লাহ্ আমরা এতিম বলে আমাদের কথা রাখবে না? জানো আল্লাহ্ এতিমদের কথা কেউ শুনতো না রাজ ভাইয়া ছাড়া, রাজ ভাইয়া মারা গেলে কে শুনবে? আমাদের রাজ ভাইয়াকে ভালো করে দাও! আদিবার কথা শুনে হাসপাতালের নার্সরা পর্যন্ত কেঁদে ফেলেছে। এতিম বাচ্চারা কাঁদছে। সাথে আমার হৃদয়ে মনে হচ্ছে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।চোখের পানি থামছেনা মনে মনে আল্লাহকে ডেকে যাচ্ছি।
.
হঠাৎ নার্স দৌঁড়ে ডাক্তার কে গিয়ে বললো এটা কি ভাবে সম্ভব কোমায় চলে যাওয়া রোগির জ্ঞান ফিরেছে। হার্ট বলছে সম্পূর্ণ সুস্হ, অবাক করা ঘটনা ঘটে গেছে।
.
ডাক্তার শুনে বিশ্বাস করতে পারছেনা। মৃত্যু যার নিশ্চিত ছিল তাঁর হার্টবির্ট স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো চলছে। এতিম বাচ্চাদের ডাক্তার গিয়ে বললো” সোনামণিরা তোমাদের আর কাঁদতে হবে না! তোমাদের ডাক আল্লাহ্ শুনেছে, তোমাদের অনুরোধ অবজ্ঞা করতে পারেনি। আল্লাহ্ স্বয়ং তার গায়েবি মদদ দ্বারা রাজকে সুস্হ করে দিয়েছে। ”
.
এতিম বাচ্চারা কথাটি শুনার সাথে সাথে তাঁদের মুখে ফুলের কলির মতো হাসি ফুটে ওঠলো! সবাই রাজের কাছে দৌঁড়ে গেল।
.
রাজের সুস্থ হওয়ার কথা শুনে নিজের অজান্তে চোখের কোণে আনন্দের অশ্রু জমা হয়েছে। রিত্ত দৌঁড়ে এসে আমাকে নিয়ে গেল! রিয়া মেয়েটাকে দেখলাম রাজের মাথার কাছে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে!

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

আদিবা রাজকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। সবার মুখে হাসি! কিন্তু রাজের মাথার কাছে রিয়াকে দেখে প্রাণ বের হয়ে আসছে। রাজকে বাসায় নিলে, আমিও সাথে যায়।
.
বিকেল বেলা রাজ রুমে বসে আছে! আমি দৌঁড়ে গিয়ে পায়ে ধরে বললাম” আমাকে ক্ষমা করে দাও, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না ‘।
.
কি করছেন পা ছাড়েন, ক্ষমা কেন চাচ্ছেন খুনীর চরিএহীনটার শাস্তি দিয়েছেন!
.
রাজের কথা শুনে এখন কথার আর বেশি কান্না করছে। শক্ত করে পা ধরে কথা বলতে লাগল” আমু সব জেনেছি, প্লিজ তোমার পায়ের নিচে একটু জায়গা দাও,কখনো বলবো না তোমার বুকে জায়গা দাও! আমাকে দূরে সরিয়ে দিয়োনা আমি বাঁচবো না”।
কথার মুখে এমন কথা শুনে কষ্ট হলেও কি করবো কিছু ভাবতে পারছিলাম নাহ্! তাই বললাম’ ক্ষমা আপনাকে তখনি করে দিয়েছি,আর হ্যাঁ আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে দিছি! আপনি আর এই বাড়ির বউ না বা আমার কেউ না।আমি চাইনা কোন বেগানা মেয়ে আমাদের বাসায় থাকুক! ওই রিয়া কোথায় গেলে। রিয়াকে ডাকদেই দৌঁড়ে এলো।
.
এদিকে আমার মুখে এমন কথা শুনে কাঁদতে লাগল।খুব কষ্ট হচ্ছে কথার চোখে জল দেখে। কিন্তু যে আমার কিছুই করার নেই!
.
কি হলো কাঁদছেন কেন? আমি অন্তঃসত্ত্বা না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম! আশা করি বুঝতে পেয়েছেন। জানেন আপনার ছায়াটা দেখলেও রাগে শরীর জ্বলে। বের হোন প্লিজ আমার বাসা থেকে!
.
কথা এমন কথা শুনে অারো বেশি কাঁদতে লাগল।
.
ভাইয়া ভাবীকো কি বলছো এসব?( রিত্ত)
.
চুপ করবি তুই! আর হ্যাঁ আপনি যাবেন কি? আমার কথাটা শুনে কথা বের হয়ে চলে গেল। কথা চলে যাওয়ার পর খুব কান্না পাচ্ছে আমি কীভাবে বলতে পারলাম নিজের ভালোবাসার মানুষকে এমন কথা বলতে?
.
ভাইয়া কাজটা কী ঠিক করলে?( রিত্ত)
কেন ঠিক করেনি কি আমি?
নাহ্! ঠিক করনি! তারপর রিত্ত হসপিটালের সব ঘটনা খুলে বলল। এর পর আর কথাকে ১৫ দিন দেখিনি!
.
এদিকে কথা বাড়িতে আসার পর সবসময় কাঁদতো! নামায পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতো! হঠাৎ একদিন প্রসব ব্যাথা ওঠে কথাকে হাসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়!
.
প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হলে, কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। কথার সাথে আমার রক্তের ম্যাচ ছিল! মা-বাবা বললেও কথাকে রক্ত দিতে যায়নি। বাসা থেকে বের হয়ে দূরে একজায়গায় বসে থাকি! পরে বাসায় এসে শুনি কথার মেয়ে হয়েছে। আর কোন জানি লোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
আমার কেমন জানি লাগতেছে। হঠাৎ ঠাস করে গালে চড় বসিয়ে দিল। চড় বসিয়ে দিয়ে বলতে লাগল” আমার আজ লজ্জা করছে, জানু মেয়েটা অপরাধ করেছে। তাই বলে মেয়েটাকে বাঁচানোর জন্য রক্তের প্রয়োজন ছিল কিন্তু তুই দিলিনা! জানিস তোর মতো সবাই না একলোক কথাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে।
.
বাবার কথা শুনি মুঁচকি হাসি দিলাম” আচ্ছা বাবা যে মেয়ে আমাকে মারতে চায় তাকে তুমি কীভাবে বাঁচাতে বলো! “কথাটা বলে রুমে চলে এসেছি।
.
দেখতে দেখতে একবছর চরে যায়। কথাকে অনেক অপমান করেছি তবুও মেয়েটা কান্নাকাটি করে। আর পারছিনা নিজের কাছেই খারাপ লাগে এসব দেখতে!
.
একদিন কথা শুয়ে আছে মেয়েকে নিয়ে, আর মেয়েকে আমার ফটো দেখিয়ে বলছে, মামনি এই যে তোমার আব্বু। মেয়েটাও কথা বলতে পারে অনেক।
.
হঠাৎ রিত্তের ফোন ” কথা আপু রাজ ভাইয়ার বিয়ে তুমি এসে ফিরাও! কথাটা বলে রিত্ত ফোন রেখে দেয়”।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
.
এদিকে রিত্তের মুখে আমার বিয়ের কথা শুনে মনে হচ্ছে কথার প্রাণটা কেউ বের করে নিচ্ছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। রাইসাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠে চলে আসে আমাদের বাসায়। বাসাটা নীল-লাল বাতিতে সাজানো! কথার আজ সবচেয়ে কষ্টের দিন কারণ আজ এই দিনেই মেয়েটা জন্মগ্রহণ করে আর মেয়েটার জন্মদিনেই তার বাবাটাকে হারাচ্ছে।
.
কথা দৌঁড়ে রুমে গিয়ে চমকে যায়! রুমটা হরেক রকম বেলুন দিয়ে সাজানো।রুমের প্রতিটা জায়গায় রাইসার ছবি। লেখা প্রথম জন্মবার্ষিকী কথা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেনা। দৌঁড়ে গিয়ে রাজকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরেঁ। কাঁদতে কাঁদতে রাজের শার্ট ভিজিয়ে ফেলে। মামনি বাবাইকে ওভাবে ধরে রাখছো কেন?
.
রাইসার কথা শুনো সবাই হেসে দেয়!রাজ কথাকে ছাঁড়িয়ে নিয়ে কেক কেটে রাইসার জন্মদিন পালন করে!
.
আর সবাই প্ল্যান করেই রাজের বিয়ের কথা বলে, কথাকে ডেকে নিয়ে আসে!
.
রাত বারোটা কথা রাইসাকে নিয়ে বাসর ঘরে বসে আছে! কিছুক্ষণ পর বাসর ঘরে ঢুকলাম। বিছানায় বসার আগে কথা আমাকে ছালাম করে নিলো!
.
কথার কপালে আলতো করে চুমু একেঁ দিলাম। বিছানার একপাশে দেখি রাইসা ঘুমাচ্ছে, রাইসার কপালে পাপ্পি দিয়ে। কথাকে ঠোঁটে যখনি ঠোঁট মিলাতে যাবো। কথা তখনি বলল” দাড়াও আগে বল রিয়া মেয়েটার সাথে কতদিনের সম্পর্ক তোমার? রিত্ত বলেছে তুমি নাকী ভালবাস রিয়াকে?কথাগুলো বলে কেঁদে দিলো কথা!
.
আমি হাসতে হাসতে বললাম! হ্যাঁ রিয়াকে ভালোবাসি খুব বোন হিসাবে, মেয়েটা কথা বলতে পারেনা তবে সব বুঝে! আর আমার বোন রিত্তের মতো রিয়াও আমার আরেক বোন। আর হ্যাঁ হসপিটালে যে লোকটা রক্ত দিয়েছিল সেটাও আমি! কু বুঝলা তুমি আমাকে অনেক কষ্ট দিছো তাই শোধ নিলাম!আমি আর কথা বলতে পারছিনা কারণ আমার ঠোঁট দুটিকে কথা তাঁর দখলে নিয়ে নিছে! মনে হচ্ছে অজানা কোন রহস্যে হারিয়ে যাচ্ছি!
.
আরে বাহ্ আপনারা এমন কেন রোমান্সটাও করতে দিবেন না! দাঁড়ান লাইট অফ করে দিচ্ছি!
# সমাপ্ত।
বিঃদ্রঃ জানিনা গল্পটা কেমন হয়েছে সেটা জানিনা! সবাে কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি হয়তো আপনাদের মনের মতো গল্পটা উপস্হাপন করতে পারিনি।তবে আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দিতে। গল্পটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যারা অনুপ্ররণা উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিবো না।তাঁদের জন্য অন্তরের অন্তর স্থল থেকে ভালবাসা
#ভালো থাকবেন সবাই।

5 COMMENTS

  1. Osadharon akta golpo chilo…..obosso ami golper sohorer niyomito pathika….cmnt korlam ai prothom bar…khob valo laglo…onno rokom akta story upohar dilen amdr writer…thank you so much🤗🤗

  2. খুব সুন্দর অন্য রকম একটি গল্প।এই প্রথম কমেন্ট করছি গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

  3. খুব সুন্দর অন্য রকম একটি গল্প।এই প্রথম কমেন্ট করছি গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here