#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-৩♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥
—- আপনিইইইইই……!
—- আরে একই প্রশ্ন তো আমারও! আপনি এই ফ্লাটে কি করছেন? নাকি এখানেও চোরের পিছুপিছু আমসত্ত্ব খুজতে চলে এসেছেন। দেখুন মিস ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন এখানে কোনো চোর বাটপার ঢুকতে পারে না। টাইড সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে।
নিশান্তের কথায় অন্বিতার বিস্ময় কেটে রাগান্বিত ভাব চলে এলো নিমিষেই। রাগের মাত্রা পাহাড় ছুইছুই হতেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিশান্তের দিকে আঙুল তুলে সে বললো,
—- এক্সকিউজ মি! আপনি আমায় ফলো করতে করতে বাড়ি পর্যন্ত চলে এসে এখন আউল ফাউল কথা বলে আমায় দোষারোপ করছেন? আপনার সাহস তো কম নয়। দিন দুপুরে একটা মেয়ের পিছু নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছেন!
অন্বিতার কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো নিশান্ত। বলে কি এই মেয়ে? এটা তার বাড়ি হলো কবে থেকে? বাবা কি তবে বোকার মতো একটা আস্ত রাক্ষুসির কাছে বাড়িটা বেঁচে দিলো? কই বাড়ি বিক্রির কোনো কথা তো আগে সে শুনে নি। তবে কি এই মানুষ রূপী রাক্ষুসি তাদের ফ্লাটটা গায়ের জোড়ে দখল করে নিলো? এসব আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতেই চোখের দৃষ্টি সরু করলো নিশান্ত। খুটিয়ে খুটিয়ে অন্বিতার পা থেকে মাথা অবদি পর্যবেক্ষণ করে নিয়ে ভ্রু কুঁচকালো সে। নাহ! মেয়ের পা তো উল্টো নয়, সোজাই আছে। তবে কি সে পেত্নি টেত্নি নয়? সে যদি মানুষই হয় তবে এখানে কেনো তার তো চোরের পেছনেই ছোটা উচিত ছিলো। সেভাবেই বোধহয় বেশ মানাতো তাকে।
ভাবনার মাঝেই হুশ ফিরলাও নিশান্তের। নিজের বোকাবোকা চিন্তার জন্য নিজেই নিজের গালে দু-তিনটে থাপ্পড় বসিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে তার। আপাতত নিজের এসব উল্টাপাল্টা চিন্তা সাইডে রেখে মূল কথায় আসা উচিৎ স্থির করে চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ আরোও খানিকটা প্রকট করলো নিশান্ত। ঝাঝালো গলায় সে জবাবস্বরূপ বলে উঠলো,
—- হেই ইউ! এটা আমাদের বাড়ি, আমাদের বাড়িতে এসে আমাকেই ধমকাচ্ছেন? মাথার সবকটা তারই কি এবার ছিঁড়ে গিয়েছে নাকি?
নিশান্তের কথায় হাতে রাখা টাওয়েল টা আনন্দ’র ওপর ছুঁড়ে মেরে দু হাতে কোমড় চেপে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে অন্বিতা। ঝগড়া করবার জন্য মনোবল শক্ত করে প্রস্তুতি নিয়ে একেবারে মাঠে নেমে পড়ে সে। কিন্তু নিশান্তেত বিপরীতে আর কিছু বলা হয়ে উঠলো না তার। অন্বিতাকে স্ট্যাচু তে পরিরণ করে, তোয়ালায় মোড়ানো সেই ছোট্ট বিড়ালছানাটিকে কোলে নিয়েই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এলো নূহা। এতোক্ষণ ভাইয়ার লম্বা শরীরের পেছনে তুচ্ছ সমতূল্য স্বরূপ ঢাকা পড়েছিলো সে। অন্বিতা-নিশান্ত কে এভাবে মুরগীর মতো ঝগড়া করতে দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় নূহা। মামলার জল বেশিদূর গড়িয়ে পড়ার আগেই সে এগিয়ে এসে অন্বিতার ওড়না টেনে ধরে ঠোঁট উল্টে বলে,
—- মিষ্টিপু, ওটা আমার ভাইয়া যার কথা তোমাকে বলেছিলাম, আর তুমি ভাইয়াকে কিভাবে চেনো মিষ্টিপু?
নূহার কথায় মুখটা গোলগাপ্পা ঢুকানোর আকার ধারণা করলো অন্বিতার। চোখেমুখে বিস্ময় ফুটিয়ে চমকে উঠে ভ্রু কুঁচকে সে বললো,
—- হোয়াট!!! এই তেঁতো স্বভাবের ছেলেটা তোমার মতো একটা মিষ্টি বাবুর ভাই? কিভাবে পসিবল!
অন্বিতার হকচকিয়ে উঠে বলা প্রলাপের বিপরীতে গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ভাবার ভান করে নূহা বললো,
—- আমারও কিন্তু একই প্রশ্ন! আমার মতো এত্তো কিউট একটা পরীর এত্তো পচ্চা একটা ভাইয়ু হলো কিভাবে!
নূহার কথায় রাগ ভুলে ফিক করে হেসে ফেললো অন্বিতা। নিজের ভাইকে অন্যের সামনে এভাবে মুখের ওপর অপমান করায় চোখ বড়বড় হয়ে এলো নিশান্তের। রক্তরাঙা চোখে বোনের দিকে তাকাতেই জিহ্বায় কামড়ে ধরে ফুসস করে এক ছুটে অন্বিতাদের ঘরে ঢুকে পড়লো নূহা। নূহা ঘরে ঢুকতেই ভেংচি কেটে নিশান্তের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলো অন্বিতা। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নূহার সাথে হাসি ঠাট্টায় মত্ত হয়ে লাফালাফিতে সঙ্গ দিলো সেও।
মুখের ওপর এভাবে দরজা লাগিয়ে দেওয়ায় রাগটা যেনো সাত আসমান পাড় করে গেলো নিশান্তের। মেজাজটা অতিশয় বিগড়ে গেলো তার। কিছু সময় আগেই যার মুখ দেখবে না বলে মনেপ্রাণে প্রার্থনা করলো আর এখন থেকে তার মুখ প্রতিটা দিনই দেখতে হবে ভেবে প্রচন্ড বিরক্ত সে।
এসব ভেবেই রেগেমেগে উত্তপ্ত শ্বাস ত্যাগ করে আর এক মুহুর্তে দেড়ি না করে হনহন করে নিচে নেমে গেলো নিশান্ত।
_______________
—- আম্মুউউউ! এসব কাদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছো তুমি?
ছেলের চিৎকারে রান্নাঘর থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেড়িয়ে এলেন আফসানা বেগম। শাড়ির আঁচল দিয়ে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘামগুলো মুছতে মুছতে উনি ব্যস্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলেন,
—- কি হয়েছে এভাবে চেঁচাচ্ছিস কেন?
মায়ের ভোলাভালা কথায় মেজাজটা আরোও বিগড়ে গেলো নিশান্তের। ফ্লোরে পা দিয়ে শব্দ করে বারি মেরে সে বললো,
—- ওই রাক্ষুসি মেয়েটাকে কোন দুঃখে বাড়ি ভারা দিয়েছো তোমরা বলতে পারো? মাথার সবকটা স্ক্রু ঢিলে, হাফ-মেন্টাল একটা মেয়ে! জাস্ট ডিজগাস্টিং!
দেখো আম্মু আমি ওই মেয়েটাকে কোনো ভাবেই টলারেট করতে পারবো না। তুমি ওদের আলাদা বাসায় ভাড়া নিয়ে উঠতে বলো, আই জাস্ট কান্ট বেয়ার হার!
ছেলের এমন কীর্তি কলাপে ভড়কে গেলেন আফসানা বেগম। যে ছেলে বোম্ব মারলেও চেচামেচি করে না, সারাদিন মুখে গম্ভীরতা এনে বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকে সে কিনা বাড়ি মাথায় তুলে চেচামেচি করছে তাও আবার অন্বিতার মতো এতো মিষ্টি একটা মেয়ের জন্য! ব্যাপারটা হজম করতে কঠিন হলেও সয়ে নিলেন আফসানা বেগম। এভাবে বাড়ির ভাড়াটে কে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করায় আবারও রেগে গিয়ে তিনি বললেন,
—- কাকে কি বলছিস সেই হুশ আছে? আজ বাবা ব্যস্ত থাকায় নাহয় মেয়েটাকে আনতে যেতে পারে নি। তুই তো যেতে পারতি! একে তো ফোন অফ করে বোনকে ভুলে ঘুরে বেড়িয়েছিস এখন যে তোর বোনকে বাসায় সুস্থতা সমেত নিয়ে এলো তাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা বকছিস? বলি অন্বিতার মাথায় সমস্যা নাকি তোর সেটা ভেবে দেখতো!
মায়ের বিপরীতে কি বলবে ভেবে পেলো না নিশান্ত। তার মাথায় তার কানে “অন্বিতা” শব্দটিই আলোড়ন করতে শুরু করে দিলো তৎক্ষণাৎ। তবে কি মেয়েটার নাম অন্বিতা!
অন্বিতার নামটা বার কয়েক নিজের মনে আওড়ে নিয়ে নিশান্ত আবারও ভাবতে শুরু করলো অদ্ভুত অদ্ভুত সব ভাবনা। তার মতে নামটা ভারী অদ্ভুত! আচ্ছা অন্বিতা’র অর্থ কি? অন্বিত মানে তো অধিকারী। তবে অধিকারীর ও বুঝি স্ত্রীলিঙ্গ রয়েছে? স্ট্রেইঞ্জ! এটা তো জানা ছিলো না তার।
এসব উদ্ভট সব চিন্তা করতে করতেই পা বাড়ালো সে নিজের ঘরের উদ্দেশ্যে। এতোক্ষণ ধরে নিশান্তের কান খেয়ে ফেলা তীব্র শব্দের ঢেউ সৃষ্টি করতে করতে চুপ করে গেলেন আফসানা বেগম। তার ছেলে এরকম রিয়াকশন হীন রোবটের মতো বিহেভ করে চলে গেলো কেনো? তবে কি সত্যি সত্যিই ছেলের মাথায় ব্যামো ধরেছে? কথাগুলো মনের কোণে উঁকি ঝুঁকি মারতেই কপালে হাত রেখে সোফায় ঠাস করে বসে পড়লেন তিনি। আনমনেই কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বলতে লাগলেন,
—- যাহ! যেই ভয় করছিলাম সেটাই কি তবে সত্যি হয়ে গেলো? আমার ছেলেটা কি তবে পড়াশুনা করতে করতে পাগলই হয়ে গেলো?
_______________
মুখ ফুলিয়ে নূহার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চেয়ে আছে আনন্দ। বোনকে বাইরের কোনো মেয়ের সাথে এভাবে হেসে হেসে খেলা করতে দেখায় চরম বিরক্ত সে। কই তার সাথে তো অন্বিতা এতো হেসে হেসে ক্রিকেট খেলে না। ব্যাডমিন্টন খেলতে গেলেও কাজের বাহানায় দু একবার র্যাকেট হাকিয়ে ছুট লাগায় সে। অথচ এখন দেখো, কোন এক বাইরের মেয়ের সাথে পুতুল খেলছে সে! এসব নানা ধরনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ ফুলিয়ে রেখেছে আনন্দ।
অন্বিতা বিড়াল ছানাটিকে একটা ছোট্ট বালিশের ওপর রাখছিলো এমন সময় আবারও দরজায় কলিং বেক বেজে উঠলো। অন্বিতা জানে আনন্দ কে যেতে বলায় কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে না, শুধু শুধু মুখের বুলির অপচয় হবে! সেই ভেবে দরজা খুলার উদ্দেশ্যে উঠতে নিলেই তার আগেই আনন্দ বড়বড় পায়ে দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে ছিটকিনি খুলে দিলো। দরজা খুলতেই বাইরে থেকে ভেসে এলো এক অপরূপ সুন্দরী প্রতিমা। বয়স হয়তো বা ৪০ অথবা তার থেকে কিছু বেশি। তবুও চেহারায় মাধুর্য যেনো পুঙ্খানুপুঙ্খ। বিন্দুমাত্র কমে নি তার রূপের জৌলুষ। অন্বিতা মুগ্ধ চোখে চেয়ে রইলো সেই অপরূপ মুখখানায়। না চাইতেও মার মুখটা বড্ড ভেসে আসছে তার সামনে। আজ যদি তার মা বেচে থাকতো তবে এইভাবেই হয়তো মিষ্টি হেসে ডেকে উঠতো তাকে। অন্বিতার ভাবনার মাঝেই আবারও ডেকে উঠলেন আফসানা বেগম,
—- অন্বিতা মা, তোমার বাবা কোথায়? বাবাকে বলো সবাই মিলে আমাদের বাসায় আসতে। আজ সকলের খাবারের ব্যবস্থা করেছি আমি। আজই সিফট হলে খাওয়া-দাওয়া নিশ্চয় করো নি। আর নূহা? সেই স্কুল থেকে এসে যে আপুকে বিরক্ত করছিস খাওয়া করতে হবে না?
নূহা ছুটে গিয়ে মার নিজের ছোট্ট ছোট্ট হাতে জড়িয়ে ধরলো। অন্বিতা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে চোখের কোণে জমা জলগুলো আড়াল করে মুছে নিয়ে স্মিত হেসে বললো,
—- না না আন্টি বিরক্ত করবে কেনো? ও তো ভারী মিষ্টি একটা মেয়ে। এই বয়সেই কত পাকা পাকা কথা বলতে পারে! কিন্তু আন্টি বাবা তো রান্না করছে। আমাদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করতে গেলেন কেনো?
অন্বিতার কথায় ভ্রু কুঁচকালেন আফসানা বেগম। অভিমানীর সুরে তিনি বললেন,
—- সেসব আমি মানবো না। আজ প্রথম দিন কোথায় একটু খাতিরযত্ন করার সুযোগ দেবে তা না! রান্না করতে মানা করো বাবাকে। বলো আমি খাবারের সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। তোমরা না খেলে এতোগুলা খাবার সব অপচয় হবে!
অন্বিতা বুঝলো কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। যেহেতু তাদের জন্যই এতোসব রান্না করেছেন আন্টি সেহেতু না গেলে বড্ড খারাপ দেখাবে ব্যাপারটা। তাই সে আফসানা বেগম কে সোফায় বসতে বলে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো। উদ্দেশ্য তার বাবাকে রান্না করা থামাতে বলা।
অন্বিতা যেতে মুচকি হাসলেন আফসানা বেগম। সোফায় বসতে বসতে মেতে উঠলেন আনন্দের সাথে খোশগল্পে।
____________________
খাবার টেবিলে গোল হয়ে বসে একে অপরের সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন আমজাদ হোসেন (অন্বিতার বাবা) ও রফিক সাহেব (নিশান্তের বাবা)। মাঝখান থেকে নীরবতা পালন করছে নিশান্ত-অন্বিতা। দুজনেই দুজনেই নিজ মনে পিষে ভর্তায় পরিণত করে বোধহয় গিলে নিয়ে তবেই ক্ষান্ত হবে। পাশে নূহা বাবাকে বলে আনিয়ে নেওয়া ক্যাটফুড একটা বাটিতে ঢেলে খেতে দিয়েছে তার বিল্লুকে। নিশান্তের হাজার বার মানা করার পরও কথা কানে তোলে নি নূহা। বাড়িতে রাখবে না ঠি আছে তবে একটু যে খাওয়াতে পারবে না এমনটা তো নয়। যেহেতু অন্বিতারাও তাদের বাসায়ই খেতে এসেছে সেই হিসেবে তার বিল্লুরও আসার যথাযথ অধিকার রয়েছে। সেই বলেই বিল্লুকে এনে খেতে দিয়েছে সে। তার পাশে বসেছে আনন্দ। এতোগুলো মানুষের ভীড়ে খুবই নগন্য বলে মনে হচ্ছে তার নিজেকে।
এর মধ্যেই একে একে সকল আইটেম পরিবেশন করলেন আফসানা বেগম। তাতে অল্পস্বল্প সাহায্য করেছে অন্বিতাও। খাবার পরিবেশন করা হয়ে গেলে আফসানা বেগমও তার স্বামীর পাশে চেয়ার টেনে বসে পড়লেন। খাবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আহার শুরু করলেন আমজাদ হোসেন। সাথে পাল্লা দিয়ে খাওয়া শুরু করলো সকলেই। নূহার জেদ আজ সে একা খাবে না তার মিষ্টিপুর হাতেই তুলে খাইয়ে নেবে সে। মেয়ের জেদের সামনে হার মেনে আফসানা বেগম মুখ কালো করলেন। অন্বিতা হেসে দিয়ে কোনো চিন্তা করতে নিষেধ করে পরম স্নেহে ভাতের লোকমা তুলে দিতে লাগলো নূহার মুখে।
খাওয়ার মাঝেই অন্বিতার পায়ে অনূভুত হলো অপর কারো পায়ের স্পর্শ। চমকে উঠে সন্দিহান দৃষ্টিতে সকলের দিকে চোখ বুলিয়ে নিলো সে। তবে কারোরই মুখের কোনো প্রতিক্রিয়া চোখে পড়লো না তার। যেহেতু তার একদম সামনেই চেয়ার টেনে বসেছে নিশান্ত সেই হিসেবে সন্দেহের জোড়টা সেদিকেই জোড়ালো হলো অন্বিতার। ব্যাটা তখন কিছু বলতে পারেনি দেখে খাওয়ার টেবিলে পা দিয়ে টরচার করছে? বাক্যটি মনে মনে বলে নিয়ে দৃষ্টি তীক্ষ্ণ করলো সে। প্রতিশোধ নিতেই দাঁতে দাঁত চেপে নিজের পায়ের সুচালো নখের আঁচড় কেটে দিলো সে নিশান্তের পায়ে। পায়ে হঠাৎ কোনো সূচালো ছুড়ির ন্যায় বস্তুর আঘাত অনুভব হতেই খাওয়া থামিয়ে দিলো নিশান্ত। পা জ্বলে উঠিতেই “আউউউ…..!” বলেই চেচিয়ে উঠলো সে।
.
.
.
চলবে……………..💕