এক ফ্রেমে তুমি আমি পর্ব ১৯+২০

#এক_ফ্রেমে_তুমি_আমি
#পর্বঃ১৯
#Arshi_Ayat

নিরবকে দেখে আয়রা অবাক হয়ে গেলো।এদিকে নিরবও অবাক।আয়রা ইশারায় জিগ্যেস করলো”আপনি এখানে যে?”

নিরব খুব সতর্ক ভাবে পাশে বসা ছেলেটাকে দেখিয়ে বুঝালো এটা ওর ভাই।আর ওর জন্যই এখানে মেয়ে দেখতে এসেছে।আয়রা বুঝে একটা হালকা হাসি দিলো।তারপর নিজেও ইশারায় বোঝালে আয়েশা যে তার বোন।

তারপর দু’পক্ষের ই কথা বলা শেষ হতেই আয়রা বলল”আমার একটু দুলাভাই এর সাথে ইম্পোর্টেন্ট কথা আছে।”

আয়রার কথা শুনে সবাই ওর দিকে ড্যাঁপ ড্যাঁপ করে তাকিয়ে আছে।সবসময় দেখা যায় মেয়ে আর ছেলে আলাদা কথা বলে কিন্তু এখানে মেয়ের বোন বলবে।ইরা চৌধুরী হেসে বলল”আয়রা একটু এমনই।দুষ্টামি করে বেশি।”

নিরবের মা ও হেসে বলল”আচ্ছা যাও কথা বলো।”

তারপর তিনি ওনার বড় ছেলকে উদ্দেশ্য করে বললেন”নিহান যাও কথা বলো।”

ছেলেটা টুপ করে উঠতেই নিরব আয়রার মা’কে বলল”আন্টি আমারও ভাবীর সাথে কিছু ইম্পোর্টেন্ট কথা আছে।”

নিরবের কথা শুনে সবাই একদফা হাসলো।ইরা চৌধুরী হাসতে হাসতে বললেন”যাও তোমাদের ইম্পোর্টেন্ট কথা শেষ করে আসো।”

আয়েশা আর নিরব ছাদের একমাথায় গেলো।আরেক মাথায় নিহান আর আয়রা গেলো।আয়রা এসেই বলল”তো দুলাভাই আপনার আগে কয়টা প্রেম ছিলো?”

“একটাও না।”

আয়রা ভ্রু উচিয়ে বলল”আপনি কি আসলেও পৃথিবীতে থাকেন?না মানে পৃথিবীতে একটাও প্রেম করে নি এমন ছেলেও আছে তা দেখে আমি আবেগে আপ্লুত।”

নিহান আয়রার কথায় হেসে দিয়ে বলল”সব ছেলে এক না।কেউ কেউ বিয়ের পর তার বউয়ের সাথে প্রেম করে।”

“বাহ!দুলাভাই সেই রোমান্টিক।আচ্ছা দুলাভাই আমার বোনকে কতোটুকু ভালোবাসবেন?”

“বলছি,আগে তুমি বলো বঙ্গোপসাগরে কতো কেজি পানি আছে।”

“জানি না।এর বিশালতা পরিমাণ করা যাবে না।”

“ঠিক তেমনই তোমার বোনকে আমি যতটা ভালোবাসবো তারও পরিমাণ করতে পারবো না।”

“ব্রিলিয়েন্ট আন্সার।আচ্ছা আপুকে কি বিয়ের পর জব করতে দিবেন?”

“ও চাইলে করবে না চাইলে করবে না।আমি ওর স্বাধীনতার ওপর কখনোই হস্তক্ষেপ করবো না।হ্যা যদি ওর কোনো কাজ আমার খারপ লাগে তাহলে বুঝিয়ে বলবো।”

“বুঝালে যদি না বোঝে?”

“আদর দিয়ে বোঝাবো।”

আয়রা নিহানের কথায় হেসে দিলো।তারপর বলল”আচ্ছা কার প্রায়োরিটি বেশি মায়ের নাকি বউয়ের?”

“মা হৃৎপিণ্ড হলে বউ অক্সিজেন।কোনটার প্রায়োরিটি কোনোটার চেয়ে কম না।”

আয়রা হালকা হেসে বলল”আর যাইহোক দুলাভাই আপনার সাথে কথায় পারা যাবে না।”

নিহান হেসে বলল”তুমিও কম যাও না।”

“আপনার শালিকা বলে কথা।আচ্ছা দুলাভাই আপনি যাতে আমার বোনকে ভালোভাবে ইম্প্রেস করতে পারেন সেজন্য আমি ওর পছন্দগুলো বলে দেই।ও সবথেকে বেশি জীলাপি পছন্দ করে।প্রিয় ফুল শাপলা।সাজতে পছন্দ করেনা।আপনার আটা ময়দার খরচ লাগবে না।তারপর ভালো গান গায়।স্কেচও আঁকতে পারে।কখনো রাগ উঠলে একটা শাড়ী গিফট করতে পারেন।দেখবেন সব রাগ শেষ।”

নিহান পূর্ণ হেসে বলল”যা বলছো এতেই তোমার বোনকে পটিয়ে ফেলবো।”

“আপনার ওপর আমার ভরসা আছে।আর যদি কোনো কিছু জানতে হয় তবে আমাকে কল করবেন।”

“ওকে শালিকা।আচ্ছা এবার তোমার পছন্দ বলো।বউয়ের সাথে সাথে শালিরও তো খেয়াল রাখতে হবে তাই না।”

আয়রা হেসে দিলো।এভাবে দুজনেই হাসাহাসি করছিলো।এদিকে নিরব এসেই আয়েশা বলল”ভাবী শোনো তোমাকে জিগ্যেস করার নেই আমার।তবে ভাইয়ার পছন্দগুলো বলে রাখি তোমার কাজে লাগবে।ভাই বিরিয়ানি খোর,ওর প্রিয় রং আসমানী।রজনীগন্ধা ফুল সব থেকে বেশী পছন্দ করে।আর ওর খেয়াল রেখো কারণ ও কষ্ট পেলেও কখনো প্রকাশ করে না।”

আয়েশা হেসে বলল”ধন্যবাদ দেবর সাহেব।আপনার ভাইয়ে খেয়াল আমি যাথাযথ ভাবে নেবো।”

কথাবার্তা শেষে চারজনই নিচে নেমে এলো।এরপর বিয়ের ডেট পাকা করা হলো।আগামী শুক্রবার বিয়ে।ওরা আর কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেলো।ওরা যাওয়ার পর আয়েশা আয়রা জিগ্যেস করলো”কি রে ও তোকে কি জিগ্যেস করলো?”

“বলবো না।আগে তুই বল নিরব ভাইয়া তোকে কি বলেছে।”

“বলবো না😒।আগে তুই বল।”

“আচ্ছা থাক তাহলে বলা লাগবে না।তুই তোর জামাইর থেকে শুনে নিস।”

বলেই আয়রা দৌড় দিলো।আয়েশা ভেংচি কেটে ঘরে চলে গেলো।আয়রা ছাদে এসে প্রথমে মিমকে ফোন দিলো।মিম রিসিভ করতেই আয়রা বলল”দোস্ত খুশীর খবর আছে।”

“কি খুশীর খবর?”

“আমার আপুর বিয়ে।তুই কালকেই চলে আয় হেব্বি মজা হবে।”

“মা আসতে দিবে না।” মিম মন খারাপ করে বলল।

“আচ্ছা তুই তোর মাকে ফোনটা দে।”

মিম ওর মাকে ফোনটা দিয়ে বলল ওর বান্ধবী ফোন দিয়েছে।ওর মা ফোন কানে দিতেই আয়রা বলল”আসসালামু আলাইকুম আন্টি।ভালো আছেন?”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম।হ্যা মা ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?”

“এইতো আন্টি ভালো আছি।আন্টি মিমকে কালকে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দিবেন?আমার বোনের বিয়ে।আর ও আমার সব থেকে কাছের বান্ধবী প্লিজ না করবেন না।”

“তোমার বোনের বিয়ে কবে?”

“সামনের শুক্রবার।”

“কিন্তু এখনো তো অনেক দেরি।তিন চার দিন আগে গেলে হয় না?”

“না আন্টি হয় না।প্লিজ প্লিজ প্লিজ আন্টি।”

“আচ্ছা ঠিকাছে মা ও কালই আসবে।”

“থ্যাংকিউ আন্টি।ইউ আর গ্রেট।আই লাভ ইউ।”

মিমের মা হেসে বলল”আই লাভ ইউ টু।”

তারপর আয়রা মিমের সাথে কথা বলে রিয়াকে ফোন দিলো।একই ভাবে রিয়ার ভাবীকেও রাজী করালো।আয়রার আজকে ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে একদিকে বোনের বিয়ে আরেকদিকে বান্ধবীরা আসবে।এতো আনন্দ কই রাখে!

এদিকে নিরবও বাসায় গিয়ে ওদের তিনজনকে কালকে চলে আসতে বলল।
.
.
.
.
.
সকাল থেকে আয়রা ওয়েট করছে ওদের জন্য কিন্তু ওদের আসার নাম নাই।একবার দরজার কাছে তো একবার ছাদে হাটাহাটি করছে।দুপুর একটার সময় মিম আসতেই আয়রা জড়িয়ে ধরে বলল”মিমু কেমন আছিস?”

“আলহামদুলিল্লাহ তুই?”

“আমিও আলহামদুলিল্লাহ।জানিস আপুর বিয়ে কার সাথে হবে?”

“কার সাথে?”

“তোর ভাস্বুরের সাথে।”

মিম চমকে বলল”কিহ!নিরবের ভাইয়ের সাথে?”

“হুম।”

মিম কিছু বলার আগেই পিছন থেকে আয়েশা বলল”দরজায় দাড়িয়েই সব বলবি নাকি?”

আয়রা মিমকে টেনে ঘরে নিয়ে এসে আয়েশার সামনে দাড়িয়ে বলল”আপুই এটা তোর ছোটজা।”

“মানে?” আয়েশা ভ্রুকচকে জিগ্যেস করলো।

“মানে নিরব ভাইয়ের সাথে ওর পিরিত চলছে।”

মিম লজ্জা পেয়ে হাসছে আর আয়েশা আয়রার কথা শুনে বলল”মিম আমার বুকে আসো।দুই জা আগে বন্ধুত্ব পাতায় নেই।”

তারপর আয়েশা মিমকে জড়িয়ে ধরলো।মিমও ধরলো।একটু পর রিয়াও এলো।তারপর সবাই একসাথে দুপুরের খাওয়া শেষ করে ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলো।হঠাৎ ছাদের দরজায় চোখ দিতেই দেখলো……

চলবে…
#এক_ফ্রেমে_তুমি_আমি
#পর্বঃ২০
৳#Arshi_Ayat

হঠাৎ ওরা ছাদের দরজায় চোখ দিতেই দেখলো নিহান দাড়িয়ে আছে।আয়রা নিহানকে দেখে দৌড়ে দরজার সামনে গিয়ে বলল”আসুন দুলাভাই।”

আয়রা নিহানকে নিয়ে ওদের কাছে এসে মিম আর রিয়াকে বলল”এই দেখ আমার হ্যান্ডসাম দুলাভাই।”

আয়রার কথাশুনে সবাই হেসে দিলো।নিহান লজ্জা পাচ্ছে।কিছু বলতেই পারছে না।ওর অবস্থা দেখে আয়েশা বলল”তোরা চুপ কর তো।”

আয়েশার কথা শুনে সবাই চুপ করলো।তারপর আয়েশা নিহানকে বলল”কিছু বলবেন?”

“হুম।আপনাকে নিয়ে কাল শপিংএ যেতে হবে।তাই সকালে তৈরি হয়ে থাকবেন।”

নিহানের কথা শেষ হতেই আয়রা বলে উঠলো”শুধু বউকে নিয়ে যাবেন তা হবে না।শালিদের ও নিতে হবে।”

নিহান হেসে বলল”আচ্ছা শালিরাও যাবে।”

“এই না হলে আমার দুলাভাই।আচ্ছা দুলাভাই আপনি আমাদের শপিং এ নিয়ে যাবেন তার বিনিময়ে তো আমরা আপনার একটা উপকার করতেই পারি।”

আয়রার কথা শুনে আয়েশা চোখ ছোটছোট করে বলল”কি উপকার করবি ওনার?”

“আরে দেখ না কি উপকার করি।” এই বলে বসা থেকে দাড়িয়ে মিম আর রিয়াকে বলল”তোরা কি বসে থাকবি নাকি উঠবি।ওদের একটু স্পেস দে।”

আয়রার কথা শুনে মিম আর রিয়া মুচকি হেসে উঠে গেলো।আয়েশা উত্তেজিত হয়ে বলল”এই কিসের স্পেস।সবাই এখানে বস।”

নিহান ওদের কান্ড দেখে কিছুই বলল না শুধু হাসছে।আয়রা,মিম আর রিয়া হাসতে হাসতে চলে গেলো।ওরা যেতেই আয়েশা বলল”আজব!!”

নিহান একটু কেশে বলল”আপনার পাশে কি বসতে পারি?”

“জ্বি বসুন।”

নিহান টুপ করে ওর পাশে বসলো।কিছুক্ষণ দুজনই চুপ ছিলো।একটুপর নিরবতা ভেঙে নিহান বলল”একটা রিকুয়েষ্ট করবো রাখবেন?”

“চেষ্টা করবো।”

“আপনি প্লিজ শপিং শেষে আমাদের বাড়িতে থাকবেন?”

“কিন্তু বিয়ের আগে ছেলের বাড়ি যাওয়াটা মানুষ ভালো চোখে দেখে না।”

“কে কি বলল তাতে আমার যায় আসে না।আপনি কি বললেন তাতে যায় আসে।দরকার হলে আপনি আপনার বোনদেরও নিয়ে যেতে পারেন।”

আয়েশা কিছু বলতে নিবে তার আগেই নিহান ওর আচমকা ওর হাত ধরে বলল”না বলবেন না প্লিজ।”

আয়েশা হেসে বলল”আচ্ছা ঠিকাছে।”

নিহান যে খুশী হয়েছে তা ওর চেহারাতেই স্পষ্ট।তারপর নিহান উঠে বলল”আচ্ছা আজ আসি।কাল সকালে নিতে আসবো।তৈরি থাকবেন।আর আপনার ফোনে কিছু এম এম এস দিয়েছি দয়া করে দেখবেন।”

এটা বলে একটা কিউট স্মাইল দিয়ে চলে গেলো।আয়েশা তাড়াতাড়ি ফোন চেক করতেই দেখলো।ওর কিছু ছবি।তাও এই ছবিগুলো রিসেন্ট তোলা না।ও যখন ভার্সিটিতে পড়তো তখনের।প্রায় দুবছর আগের ছবি।আয়েশা অবাক হয়ে গেলো।এই ছবিগুলো ওর কাছে এলো কি করে?তখনতো আয়েশা ওকে চিনতোই না।আয়েশা নিহানের নাম্বারে টেক্সট করলো”আচ্ছা আপনি এই ছবিগুলো পেলেন কোথায়?আপনি কি আমায় আগে থেকেই চিনেন?”

সঙ্গে সঙ্গেই রিপ্লাই এলো”সে গল্প বাসর রাতে শুনাবো।”

আয়েশা হাসলো।তারপর লিখলো”আচ্ছা জনাব।”

আয়েশা নিচে এসে ওদের ডেকে বলল”শোন কাল আমরা শপিং শেষে নিহানদের বাসায় থাকবো।ও প্রচুর রিকুয়েষ্ট করেছে।”

আয়েশার কথা শুনে রিয়া আর মিম হেব্বি খুশী হয়ে গেছে।কিন্তু মাঝখানে আয়রা বাগড়া দিয়ে বলল”আমি যাবো না।”

আয়রার কথা শুনে তিনজনই একসাথে বলে উঠলো”কেনো?”

“এ.এমনিতেই।তোমারা যাও আমি যাবো না।”

আয়েশা ওর মাথায় চাপড় মেরে বলল”তোর যাওয়া লাগবে না।তোরে চ্যাং দোলা করে নিয়ে যাবো।”

“আপুই প্লিজ।”

“নো প্লিজ।তুই যাবি মানে যাবি।” বলেই আয়েশা চলে গেলো।

আর আয়রা বিরক্তি নিয়ে মনে মনে বলল”ধ্যাত আবার ওই খবিশটার সাথে দেখা হবে।”
পিছন থেকে মিম এসে বলল”দোস্ত কালকে ঈদ লাগছে আমগো।”

“হ তোমগো তো লাগবোই।তোমগো আশিকতো ওই বাড়িতে।”

আয়রার কথায় পাত্তা না দিয়ে ওরা দিলবার গানে ডান্স দিচ্ছে।

২১.
সাজিদ সারা বাড়িতে নিরবকে খুঁজছে কিন্তু পাচ্ছে না।ছাদে এসে দেখে ও দাড়িয়ে দাড়িয়ে মিমের সাথে কথা বলছে।সাজিদ পিছন থেকে গাট্টা মেরে বলল”ফোন রাখ ইম্পর্টেন্ট কথা আছে।”

সাজিদের কথা শুনেও নিরব ফোন রাখছে না।সাজিদও ছাড়বার পাত্র না।ফোন না রাখা পর্যন্ত গাট্টা মেরেই যাচ্ছে।নিরব সাজিদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে ফোন রেখে দিলো।তারপর ওর কান মলে বলল”কি হইছে তোর?”

“দোস্ত তোদের বাড়িতে ওই মেয়েটা কে রে?”

“কোন মেয়েটা?” নিরব ভ্রু কুচকে বলল।

“ওই যে আজকে সকালে যে এলো নীল শাড়ি পরা।”

“ও,উনিতো নূর আপু।পুরো নাম নূরে আয়াত।”

“সুন্দর নাম।বাট তুই আপু বলছিস কেনো?মেয়েটাকে দেখতে তো আমাদের থেকে ছোট লাগে।”

“আমাদের থেকে ছোট লাগলেও আমাদের বড়ো।”

“কিইইই।সত্যি?”

“হুম আমাদের থেকে দুবছরের বড়।”

“কি বলিস তুই?কিভাবে সম্ভব?দেখলেতো মনে হয় দুবছরের ছোট।”

“মনে হলেও ও আমাদের বড়ো।”

“তাইলে এখন আমি কি করবো?”

“মানে?” নিরব ব্যাপারটা না বুঝতে পেরে বলল।

“মানে হলো তোর ওই নূর আপুকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।”

নিরব আৎকে উঠে বলল”কি বলছিস ভাই।এটা কিভাবে সম্ভব?ভাই তুই অন্য মেয়ের কথা বল আমি নিজেই ম্যানেজ করে দেবো।”

“আমার অন্য মেয়ে চাই না নূরকেই চাই।”

“একে তো ও তোর বড় তার ওপরে অনেক রাগী এগুলো শুনলে তোকে পুতে ফেলবে।”

“না দোস্ত ইশার পর ওই একমাত্র মেয়ে যাকে আমি এক দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি।

“ভাই তুইও মরবি লগে আমারেও মারবি।তুই জানিস নূর আপুর বিয়ে ঠিকা হয়ে আছে।একমাস পরেই ওনার বিয়ে।”

“হোয়াট।” সাজিদ চমকে বলে উঠলো।

“হুম দোস্ত।কিচ্ছু করার নাই।তুই নূর আপুর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল।”

সাজিদ আবার কিছু বলার আগেই নিরব ওর মুখ চেপে ধরে ইশারায় পিছনে দেখতে বলল।সাজিদ পিছনে ফিরে নূরকে দেখে ঢোক গিললো।নূর এদিকেই আসছে তাও আবার প্রচন্ড রেগে।সাজিদ আর নিরব দুজনই ভয় পাচ্ছে।নূর আবার সব শুনে নিলো না তো!!

চলবে….

(ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।আর সাজিদের জন্য কিছু বলে যান।)
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আর কিছু পর্বেই সাজিদ মিঙ্গেল হয়ে যাবে।😜)

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here