এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব -২১

#এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
#পর্ব_২১
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ইফাদের দিকে তাকিয়ে আছে চৈতালি।ভয়ে হাত-পা থরথর করে কাঁপছে।কথা গুলো গলায় এসে আঁটকে আসছে।আবার মাথা নিচু করে ফেললো।

–কিরে কোথায় গিয়েছিলি।ইফাদের সোজাসাপটা প্রশ্ন,মুখে গম্ভীর্য রেখেই প্রশ্ন করেছে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চৈতালির দিকে তাকিয়ে আছে।চোখের পলক ফেলছে না।চৈতালি কি বলতে চায়।তা শোনার জন্য ধুম ধরে বসে আছে।চৈতালি কাঁপা কাঁপা গলায় বলল।

–কলেজে গিয়েছিলাম ভাইয়া।

–তোর কলেজ বিকেল পর্যন্ত চলে।

–না।

–তাহলে এত সময় কোথায় ছিলি।

–কলেজ শেষ করে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম ভাইয়া।চৈতালির কথা শেষ হবার সাথে সাথে ইফাদ হুংকার দিয়ে উঠলো।ইফাদের ভয়াবহ হুংকারে চৈতালি আর তানহা দুজনেই চমকে উঠলো।এতটাই ভয়াবহ ছিল ইফাদের হুংকার।

–তোর কতবড় কলিজা হয়েছে।তুই আমার সামনে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছিস।এই তোকে এত বড় সাহস কে দিয়েছে।তোর কলিজা আমি টেনে ছিঁড়ব।তুমি খুব বড় কলিজা আলা হয়েছো তাই না।তোমার বড় কলিজা কিভাবে ছোট করতে হয়।তোমার ভাই কিন্তু ভালো করে জানে।আমি ভালোবাসতে-ও জানি।শাসন করতে-ও জানি।ভালোবাসি বলে তোর সব অন্যায় কাজগুলো মেনে নিব।তাহলে তোর ধারনা ভুল।

–ভাইয়া আমি আসলে আফরিনদের বাসায় গিয়েছিলাম।

–আম্মু তোমার মেয়েকে কিন্তু কানের নিচ বরাবর দিব।ননস্টপ আমার সামনে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে।আমি ওকে একদিন একটা ছেলের সাথে বাইকে করে যেতে দেখেছি।প্রশ্ন করবো,এর মধ্যে আমার এক্সিডেন্ট হয়ে যায়।মাথা থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল।তোমার মেয়েকে জিজ্ঞেস করো প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে না গিয়ে কোথায় যায়।আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে নিষেধ করো।ওকে কিন্তু আমি খুন করে ফেলবো।কলেজে নষ্টামি করতে যায়।এত টাকা খরচ করে পড়াশোনা করাচ্ছি।এসব করার জন্য।কলেজের স্যারকে বিরক্ত করে।স্যারের সাথে চলাফেরা করে।ও কি মনে করে,ও একাই চালাক ওর মতো চালাক আর কেউ নেই।আমাকে কয়েকজন আগেই কথাগুলো কানে দিয়েছিল।আমি বিশ্বাস করে নি’।ওর কাজকর্ম গুলো মানুষের কথা গুলোকেই সত্য প্রমাণ করে দিচ্ছে।দুই দিনের মেয়ে,মানুষ চিনে ও’।এখন ওর জীবন হাজার রকমের মানুষ আসবে।প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।প্রয়োজন শেষ হলে,ঠকিয়ে চলে যাবে।প্রাইভেট পড়া বাদ দিয়ে কোথায় যাস।

চৈতালি মাথা নিচু করে কান্না করছে।ভাইয়ের কথার ওপরে কথা বলার সাথে হচ্ছে না।পুরো শরীরে কাঁপুনি দিয়ে উঠছে।চৈতালির থেকে কোনো উওর না পেয়ে ইফাদ আবার বলে উঠলো।

–কয়দিন হলো নাকি কলেজের একটা টিচারকে বিরক্ত করছিস।কলেজের শিক্ষকটা-ও কেমন স্টুডেন্ট হয়ে টিচারকে বিরক্ত করে,গার্ডিয়ানকে ডাকে না।এসব করতে কলেজে যাস নাকি।এসব করতে হলে আমার বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে করবি।আমার বাসা থেকে এসব অসভ্যতামি করতে পারবি না।

ইফাদের কথা শুনে তানহা-ও ভয় পেয়ে গেল।চৈতালি যদি সত্যি কথা বলে দেয়।ইফাদ যদি তাকে ভুল বুঝে?কথায় আছে না।চোরের দশদিন সাধুর একদিন।

–আম্মু তুমি চৈতালিকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলে না।এই মেয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু করো।সাতদিনের মধ্যে এই মেয়েকে বিয়ে দিব।

–কেনো আমি তোকে আগেই বলেছিলাম।চৈতালিকে বিয়ে দিয়ে দেই।আমার কথা শুনিস নাই।এখন কেনো আমাকে বলছিস।দু’টো থাপ্পড় বসিয়ে দে।এই মেয়ে এত বেয়াদব হয়েছে কেনো?মান-সন্মান কিছু রাখবে না।কলঙ্ক লাগানোর আগেই বিয়ে দিয়ে দে।আমি জানতাম আমার মেয়ে সবার থেকে আলাদা।আমি খুব গর্ব করতাম চৈতালিকে নিয়ে,যেদিন তুই এক্সিডেন্ট করেছিলি।ও মেয়ে সারারাত ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।সেদিনই আমি বুঝে গিয়ে ছিলাম।মেয়ে আমার বিপথে চলে গিয়েছে।আমি তোকে জানাতে চেয়েছিলাম।তুই নিজ থেকে জেনে গিয়েছিস।এখন দেখ তোর আদরের বোন কিভাবে উচ্ছন্নে যাচ্ছে।

–এখনো মুখের সামনে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?তাড়াতাড়ি আমার মুখের সামনে থেকে সর।মাথা খারাপ হয়ে আছে।কিছু একটা করে দিব।আম্মু এই মেয়েকে আমার মুখের সামনে থেকে সরতে বলো।

–ভাইয়া স্যরি আমার ভুল হয়ে গেছে।আমাকে মাফ করে দাও।এমন ভুল আর কোনোদিন করবো না।

–তুই আমার মুখের সামনে থেকে সরবি।ইফাদ রেগে উঠে দাঁড়াল।রোকেয়া বেগম মেয়েকে রুম থেকে বের করে দিলো।ইফাদ জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।রোকেয়া বেগম ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল।

–রাগ করিস না বাবা।বাচ্চা মেয়ে বুঝে নাই।খালি বড়ই হয়েছে।ঠিক ভুল বুঝতে শিখে নাই।

–চৈতালি এতটা-ও ছোট নেই মা।আজ বড় ভাই মাথার ওপরে আছে তো’ তাই বুঝতে পারছে না।যেদিন আমার দু-চোখ বন্ধ হয়ে যাবে।সেদিন বুঝবে দুনিয়াটা কতটা কঠিন।তোমরা আমার রুম থেকে বেড়িয়ে যাও।আমার ভালো লাগছে না।আমাকে একা থাকতে দাও।রোকেয়া বেগম আর তানহা রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।ইফাদ সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দিলো।পুরো রুম অন্ধকার করে দিয়ে শুইয়ে পড়ল।

–স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যান।আমি আর এই বাসায় থাকবো না।ভাইয়া আমাকে আজকে অনেক বকেছে।আমাকে খুব দ্রুত বিয়ে দিয়ে দিবে।আমি আপনাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না স্যার।আপনি আমাকে আপনার কাছে নিয়ে চলুন।আমি আজকেই আপনাকে বিয়ে করবো।

চৈতালির কথা শুনে থতমত খেয়ে গেল আবির।কি বলে চৈতালিকে বুঝ দিবে ভেবে পাচ্ছে না।তবুও চৈতালিকে বোঝানোর চেষ্টা করল।

–পরিবারে থাকলে,এমন দু-এক কথা শুনতে হয়।এমন কথা আমি কত শুনেছি।ওরা তোমাকে ভালোর জন্যই বকেছে।তুমি না আমাকে বলেছিলে,তোমার পরিবার তোমাকে কতটা ভালোবাসে,তুমি তাদের কষ্ট দিতে পারবে না।তাহলে এখন এমন কথা বলছো কেনো?

–যে পরিবার আমার কথা ভাবে না।আমাকে কথা শোনাতে তাদের বুক কাপে না।আমি’ও সেই পরিবারের কথা ভাববো না।আপনি আমাকে নিয়ে চলুন।

–তুমি অন্ধ হয়ে গিয়েছো চৈতালি।রাগের মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নেই।মাথা ঠান্ডা হলে,আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিব।

তানহা চৈতালির কাছে ভরসার কারন হতে এসেছিল।এসে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেল।তারমানে তানহার সন্দেহই ঠিক।চৈতালি আবিরের সাথে রিলেশনে আছে।তানহা চৈতালির হাত থেকে ফোন কেঁড়ে নিয়ে বলল।

–চৈতালির কোনো সিদ্ধান্ত নেই।আমরা চৈতালির জন্য যেই সিদ্ধান্ত নিব।চৈতালিকে সেটাই গ্রহণ করতে হবে।আপনার লজ্জা করে না।এই বাচ্চা মেয়েটার মাথা খারাপ করে দিচ্ছেন।আপনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক।

–এই তানহা সাবধানে কথা বলবি।আমি তোর ননদকে বলেছিলাম।আমার পেছনে পেছনে ঘুরো।তোর ননদ ঘুরে আমি তোর ননদের পেছনে ঘুরি না।তাই তুই এভাবে আমার সাথে কথা বলতে পারিস না।তোর ননদ যদি আর একবার আমাকে ফোন দিয়েছে।তাহলে তোর ননদের খবর আছে।বলেই কল কেটে দিল আবির।

–চৈতালি আমি তোমাকে নিষেধ করেছিলাম।তুমি কেনো আবির ভাইয়ের আশেপাশে ঘুরো।তুমি জানো না আবির ভাই কতটা খারাপ।তুমি আর আবির ভাইয়ের সাথে কথা বলবে না।আর একবার যদি আবির ভাইয়ের সাথে কথা বলো।তাহলে তোমার ভাইয়াকে সবকিছু বলে দিব।

–ও ভাবি তুমি আমার সাথে এমন করছো কেনো?তুমি না আমাকে ভালোবাসো।তুমি ভাইয়াকে বুঝিয়ে বলো না।ভাইয়া যেনো আমাকে আর আবির স্যারকে মেনে নেয়।তুমিও তো’ ভাইয়াকে কতটা ভালোবাসো।তুমি তো’ ভালোবাসার মূল্য বুঝো।আমি আবির স্যারকে ছাড়া মরে যাব।বাঁচতে পারবো না।তুমি প্লিজ আবির স্যারকে আমার করে দাও।তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।গাধার মতো খাটবো তোমার সাথে।

–চৈতালি তুমি যেটাকে ভালোবাসা বলছো।এটা তোমার ভালোবাসা না আবেগ।প্রথম কাউকে ভালো লেগেছে তাই তোমার অনুভূতিটা আলাদা ভাবে কাজ করছে।তুমি আবির ভাইয়ার আশেপাশে কয়টা দিন যাবে না।দেখবে ঠিক হয়ে যাবে।আমার কথাটা মনে থাকবে তো’ তোমার।

চৈতালি মাথা নাড়িয়ে বোঝালো তার মনে থাকবে।চৈতালির মাথায় হাত বুলিয়ে চৈতালি চলে গেল।তানহা রাতের রান্না করার জন্য রান্না ঘরে গেল।রান্না শেষ করে,রোকেয়া বেগমের রুমে আসলো।

–আম্মা আসবো।

–আসো মা,অনুমতি নেওয়ার কি আছে।

–আম্মা কিছু মনে না করলে,আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই।

–তুমি কথা বলবে,আমি কি মনে করবো মা।মনে যা আছে বলে দাও।

–আবির ভাইয়া আছে না।

–হ্যাঁ তাই কি হয়েছে।

–চৈতালি আবির ভাইয়ার সাথে রিলেশনে আছে।আবির ভাই আগে অনেক ভালো ছিল।কিন্তু এখন একদম উশৃংখল হয়ে গিয়েছে।চৈতালির জীবন শেষ করে দিবে মা।আপনি দ্রুত চৈতালির বিয়ের ব্যবস্থা করুন।না হলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে।চৈতালি আমার বোন হয়।আমি বোন হয়ে নিজের বোনের ক্ষতি করতে পারি না।আবির আমার ভাই হয়েছে তো’ কি হয়েছে।আমি বোন হয়ে বলছি।আবির ভাই চৈতালির জন্য পারফেক্ট না।আমার কথা গুলো ভেবে দেখবেন।কিছু মনে নিবেন না।জল বেশিদূর গড়ানোর আগেই থামিয়ে দিন।

রোকেয়া বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে তানহা’কে কিছু বলতে যাবে।তার আগেই চৈতালি বলল।

–এভাবে আমার নামে মায়ের কাছে বিষ ঢালা হচ্ছে,আমার সাথে থেকে,আমার মনের কথা জেনে,আমার পেছনেই ছোবল মারলে ভাবি।

তানহা চৈতালির কাছে গেল।চৈতালি রেগে ড্রয়িং রুমের কাছে আসলো।তানহা চৈতালির পিছু পিছু আসলো।

–চৈতালি তুমি আমাকে ভুল বুঝছো।তুমি আমার বোন।আমি বোন হয়ে বোনের খারাপ চাইতে পারি না।তুমি আমার কথাটা বোঝার চেষ্টা করো।

–তুমি আমার নিজের বোন না।নিজের বোন হলে,আমার কথা ভাবতে স্বার্থপরের মতো পেছনে থেকে আঘাত করতে না।

–চৈতালি আবির ভাইয়া তোমার জন্য পারফেক্ট না।আবির ভাইয়া তোমাকে প্রয়োজনে ব্যবহার করছে।প্রয়োজনে শেষ হলে,ছুড়ে ফেলে দিবে।

–চৈতালি ভাবির সাথে এমন কথা বলছিস কেনো?

–পরের মেয়ের জন্য দরদ উথলে পড়ছে তাই না আম্মু।

–চৈতালি নিজের ভাষা সংযত কর।

চিৎকার-চেচামেচি শুনে ইফাদের ঘুম ভেঙে যায়।শরীরটা বেশ খারাপ লাগছিল।তাই ঘুমিয়ে পড়েছিল।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো আটটা বাজে।উঠে দরজা খুলে বাহিরে আসলো।

–আমার ভাষা ঠিকই আছে।ভাবি তোমার খুব আফসোস হচ্ছে তাই না।আবির স্যারের মতো ছেলে তোমাকে ভালোবাসতো’ তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো’।এখন সেই সুন্দর ছেলেটা আমার বর হবে।ভেবেই খুব হিংসা হচ্ছে।

–ছিঃ আমি এসব কল্পনা-ও করতে পারি না।তুমি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গিয়েছো।তোমার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

–মাথা আমার খারাপ হয় নাই।খারাপ তো’ তুমি।তা-না হলে বিয়ের দিন তোমার জামাই তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।

কথার আঘাত সবথেকে বড় আঘাত চৈতালি কথার আঘাত দিয়ে তানহাকে কাবু করতে চাইলো।চৈতালি বুঝে বুঝে তানহার দূর্বল জায়গায় আঘাত করে শুরু করেছে।তানহা রেগে বলল।

–চৈতালি,,আমি তোমার গুরুজন হই।আওয়াজ নিচু করে আমার সাথে কথা বলবে।

–যে,মেয়ের স্বামী তাকে ভালোবাসে না।দেখতে পারে না।বিয়ের দু’বছর কোনো খোঁজ খবর রাখে না।যে,মেয়ে এখনো নিজের স্বামীর মনে জায়গায় পায় নাই।সে,মেয়ের মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না।তুমি অন্যের ভালো সহ্য করতে পারো না।সেজন্য তোমার কপালে স্বামীর ভালোবাসা নেই।আবির স্যার আমাকে ভালোবাসছে।তোমার বরের থেকে আমার বর বেশি সুন্দর হবে,এটা তুমি সহ্য করতে পারছো না।

ইফাদ এতক্ষণ চুপচাপ সবকিছু দেখছিল।চৈতালির কথা শুনে চিৎকার দিয়ে উঠলো।

–চৈতালি সাবধান তুই কার সাথে এভাবে কথা বলছিস।তানহা তোর ভাবি হয়।ভাবির সাথে এটা তোর কেমন ব্যবহার।আজকে যদি তুই বোন না হয়ে,আমার ভাই হতি।তাহলে তোকে এখানেই পুঁতে ফেলতাম।

রোকেয়া বেগম চৈতালির উত্তরের আশা করলেন।চৈতালির দিকে এগিয়ে গিয়ে কষে মেয়ের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো।দুই হাত দিয়ে গাল চেপে ধরে বলল।

–তুই একটা বাহিরের ছেলের জন্য আমার বাড়ির বউয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করিস।বেহুদা মেয়ে তোকে আজ আমি মেরেই ফেলবো।বলেই কিছু একটা খুঁজতে লাগলো।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here