এক_রক্তিম_ভোর পর্ব ২৪

#এক_রক্তিম_ভোর
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_২৪

‘হ্যালো!’
‘মিস মাহি বলছেন?’

‘জি। আপনি কে?
‘আমাকে কি চিনবেন? ময়দা সুন্দরীরা তো মেক-আপ ছাড়া নিজেকেই চিনতে পারে না।’

‘সোহান?’ মাহি দাতে দাত চেপে বললো,
‘আমার কন্টাক্ট নাম্বার কোথায় পেলেন?’

‘ইচ্ছা থাকলে বাঘের চোখও পাওয়া যায়। আর একটা নাম্বার পাবো না!’

‘কেনো ফোন দিয়েছেন বলুন?’
‘আপনি কি এখন মেক-আপ করে করে আছেন?’

‘মি. সোহান আপনি কি ফাজলামো করতে কল দিয়েছেন?’
‘আহা! বলুন না? আপনি কি মেক-আপ করে আছেন এখন’

মাহি বিরক্তিতে উত্তর দিলো,
‘ভোর বেলা ঘুম ভাঙিয়ে বলছেন মেক-আপ করেছি কিনা? রাতে কি মেক-আপ করে ঘুমাই নাকি যে সকালেও মুখে মেক-আপ নিয়ে উঠবে?’

‘অহহ আচ্ছা ঘুমাচ্ছিলেন?’
মাহির বলতে ইচ্ছে হলো,’ না আপনার শ্রাদ্ধ করছিলাম।’

কিন্তু সেটা বলার আগেই সোহান আবার বললো,
‘আয়নার সামনে গিয়ে একটু কষ্ট করে দাড়াবেন প্লিজ!’

‘কেনো?’ মাহি বিস্মিত হলো।
‘একটু দাড়ান না?’ সোহান অনুরোধ করলো।

মাহি বিরক্তি ঠেলে বিছানা ছেড়ে আয়নার সামনে দাড়ালো।
‘হু দাঁড়িয়েছি এবার বলুন।’

‘আয়নাতে নিশ্চয়ই মেক-আপ ছাড়া কোনো পেত্নীকে দেখতে পাচ্ছেন। দেখলেন আমি দিনের আলোয় আপনাকে পেত্নী দর্শন করালাম। একটা থ্যাংকস দিলেও পারেন।’ ফোনের ওপাশ থেকে হো হো করে হাসির শব্দ এলো।

‘হোয়াট? আপনি এই কথা বলার জন্য আমাকে ঘুম থেকে ওঠালেন? আমি কি এতোটাই অসুন্দর নাকি? আপনি জানেন কত ছেলের ক্রাশ আমি?’

‘সেটা জেনে আমার কাজ নেই। আর আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমি আপনার সাথে ফাজলামো করার জন্যই কল দিয়েছিলাম। আসলে ঘুম থেকে উঠে কাজ পাচ্ছিলাম না। তাই একটা অকাজ করলাম। বাই।’

‘ইউ…’ মাহি কিছু বলার আগেই অপর পাশ থেকে ফোন কেটে গেলো।

_________

শাহেদ সাহেবকে যখন নাবিলাকে পছন্দ করার কথা জানানো হলো তিনি থম মেরে পুত্রের দিকে তাকিয়ে রইলেন। এমন কিছু মোটেও আশা করেননি বোধহয়। প্রয়াস বাবাকে মৌন দেখে ভরকে গেলো। নাবিলাকে অপছন্দ করার মতো কিছুই নেই। বরং নাবিলাকে আগা গোড়া প্রয়াস গড়ে তুলেছে সেটা শাহেদ সাহেবেরও জানা। কতবার নিজের ভার্সিটির এসাইনমেন্ট ফেলে রেখে নাবিলার পরিক্ষার জন্য রাত জেগে পড়িয়েছে। নাবিলার বোর্ড এক্সামের আগে নাবিলার মতো সেও নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। মোটিভেশন দিয়ে গেছে অনবরত।

তিনি নিজে একবার ভেবেও ছিলো ছেলেকে এই মেয়ের সাথেই বেধে দেবে। কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই নাবিলার বাগদান হয়ে যাওয়ায় সেসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন। আজ আবারো সেই কথা আসতে তিনি ঠিক কি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন ভেবে পেলেন না। প্রয়াসের কাছে বাবার অভিব্যক্তি বোধগম্য না হওয়ায় কিছুটা নিম্নস্বরে বললো,

‘তোমার কি আপত্তি আছে বাবা? নাবিলাকে মনি এবং দাদির পাশাপাশি আমিও বড় করেছি। তুমি ওর কোনো ত্রুটি পেলে সেটা পরোক্ষভাবে আমারও ত্রুটি। আমি ওর সাথেই বাকি জীবন কাটাতে চাই তোমাদের সম্মতির সাথে।’

‘আমি জানি সেটা। আমার কন্য সন্তান না থাকায় নাবিলাকে আমি মেয়ের মতো করেই দেখেছি। ও আমার বাড়ির বউ হলে আমার কোনো আপত্তি নেই।বরং তোমার এই সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। অপ্রত্যাশিত খুশিতে শুধু রিয়েক্ট করতে পারছিনা এই যা।’

‘থ্যাংক ইউ বাবা। আমি জানতাম তোমার আপত্তি থাকবে না। এবার কাকাই এবং মনিকে…’

‘তুমি চিন্তা করো না। বাকিটা আমি সামলে নেবো।’

এরপরের ঘটনাগুলো দ্রুতই ঘটে গেলো। শাহেদ সাহেব নাবিলার পরিবারকে জানাতেই প্রথমে একটু অবাক হয়েছিলো সায়মা বেগম এবং তারেক হোসেন। চোখের সামনেই যে একজন সুযোগ্য পাত্র উপস্থিত সেটা যেন এতক্ষনে খেয়াল এলো তাদের।নয়নতারা বেগম অবশ্য তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তিনি চুপ রইলেন। মেয়ের মৌন সম্মতি পেয়েও মায়ের গম্ভীরতার জন্য দোটানায় পড়ে গেলো দুই পরিবার। রোহানের পরিবার এর মাঝে যোগাযোগ করলে মানা করে দেওয়া হয়। রোহান একবার দেখা করতে চেয়েছিলো নাবিলার সাথে। প্রয়াস দেয়নি।

প্রয়াস ভেবেছিলো দাদি বোধহয় সবটা আচ করতে পেরেছিলেন আগেই এবং ওদের স্বল্পদিনের প্রেমে পরোক্ষভাবে সম্মতি দিয়ে গেছে। কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই চুপ হয়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হলো দুজনেই।

নয়নতারা বেগম সবে মাগরিবের নামাজ থেকে উঠেছেন। আজ নাতনিও তার সাথে নামাজ পড়েছে। বড় হওয়ার পর সচরাচর নাবিলা দাদির সাথে নামাজ পড়ে না। কিন্তু কোনো আবদার থাকলে সারাদিন দাদির আশে পাশে ঘুরঘুর করে। আজও ব্যতিক্রম নয়।

নয়নতারা বেগম বুঝেও চুপ রইলেন।
খাটে পা মেলে বসতেই প্রয়াস সাদা পাঞ্জাবি গায়ে হাজির। নামাজ পড়ে এসেছে। গুটিগুটি পায়ে নাবিলা দাদির কাছে এসে বসলো। প্রয়াসকেও ইশারা করলো বসতে। সেও এসে মেঝেতে হাটু গেড়ে বসলো। নয়নতারা বেগমের কোনো ভাবান্তর হলো না। তিনি মনোযোগ দিয়ে তসবিহ গুনে চলেছেন।

‘দাদি?’
প্রয়াস হালকা সুরে ডাকলো। কেমন একটা ভাঙা ভাঙা মনে হলো কন্ঠটা। তাই ঝেড়ে কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে আবার ডাকলো,
‘দাদি?’

‘হুম বলো। হঠাৎ এই সময় আমাকে মনে পড়লো দুজনের?’

‘কি যে বলো না দাদি! তোমাকে ভুলতে পারি নাকি যে মনে করতে হবে?’

‘হু বলো এবার কি জন্য আসা।’

‘আমি কি মানুষ হিসেবে দায়িত্ববান নই? তোমার ভরসার মানুষ নই?’

‘হবে না কেনো? অবশ্যই দায়িত্ববান। ভরসার মানুষও।’

‘তোমার সবথেকে আদরের মানুষটাকে আগলে রাখার জন্য কি আমি উপযুক্ত নই দাদি? আমাকে কি তার দায়িত্ব দেওয়া যায়না? আমি যদি কোনো গাফিলতি করি তবে তুমিতো আছোই শাসন করার জন্য। দেবে না আমাকে একটা সুযোগ?’

নয়নতারা বেগম হাতের তসবিহ টা নামিয়ে রেখে নাবিলাকে এক পলক দেখলেন। কাঙ্খিত কিছু শুনতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সেই চোখে মুখে। প্রয়াসেরও তাই। তিনি গম্ভীর কন্ঠে বললেন,

‘তা আমার কোন আদরের মানুষটাকে চাইছো তুমি?’

দাদির হেয়ালিতে নাবিলা নিভে গেলো কিছুটা। প্রয়াস ওনার হাত ধরে বললো,

‘তোমার নাতনিকে চাই দাদি।’

‘কেনো চাও?’

‘কারন আমি ওকে..’ প্রয়াস আটকে গিয়ে নাবিলার দিকে তাকালো। নাবিলা ওর দিকেই উত্তরের আশায়।

‘ওকে কি? অর্ধেক কথা কেনো বলো?’

‘আমি নাবিলাকে ভালোবাসি দাদি।’

নয়নতারা বেগম মুচকি হাসি দিলেন। নাবিলাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
‘আর তুমি?’

‘নাবিলা কাপাকাপা গলায় মাথা নুইয়ে বললো,
‘আমিও বাসি দাদি। আমিও ওকে ভালোবাসি।’

প্রয়াসের ঠোঁটে একটা তৃপ্তির হাসি খেলে গেলো। এই প্রথম ভালোবাসার কথা স্বীকার করলো দুজনে। নাবিলা দাদির সামনে লজ্জায় তাকাতে না পেরে থুতনি বুকে ঠেকেছে। গালে ফুটে উঠেছে লালাভ আভা। যেমনটা সূর্য প্রকৃতিতে একে দেয় গোধুলি বেলায়।

‘তো এই কথাটা স্বীকার করতে এতো সময় কেনো লাগলো? মানুষ প্রেমের শুরুতেই ভালোবাসি বলাবলি করে৷ সেখানে তোরা দুটোতে মুখে কুলুপ এটে একে অপরকে জ্বালানোর মতলবে ছিলি। আজ তোদের দাদু থাকলে দেখিয়ে দিতাম প্রেম কিভাবে করে।’

নয়নতারা বেগমের গলার স্বর বদলে গেলো মূহুর্তেই। তার গাম্ভীর্যের দেওয়াল ধসে সেখানে ফুটে উঠলো উৎফুল্লতা। প্রয়াস এবং নাবিলা বিস্মিত চোখে তাকালো।

নাবিলা বললো,
‘তারমানে তুমি আগে থেকেই সব জানতে?’

‘তো আমি কি তোর মায়ের মতো ঘাসে মুখ দিয়ে চলি? চুলে এমনি এমনি পাক ধরেনি। আমার এক একটা পাকা চুল এক একটা অভিজ্ঞতা। তোদের চোখমুখই বলে দেয় ভেতরে ভেতরে অনেককিছু চলছে।’

দাদির মুখে হাসি দেখে প্রয়াস এবং নাবিলা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। নাবিলা দাদিকে জড়িয়ে ধরে কাধে মুখ লুকালো।

‘হয়েছে হয়েছে। আর লজ্জা পেতে হবে না। এবার সংসারের জন্য প্রস্তুত হও দুজনে।’

____________

বিয়ের কথা শুনতেই জেসি চলে এসেছে প্রয়াসের বাড়ি। এই কয়দিন ও মায়ের সাথে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে। বাংলাদেশি সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়েছে। গ্রাম বাংলায় মিশে নিজেকে ভিনদেশি ভাবতেই পারছিলো না যেন। জেসির বলা বাংলায় বিদেশি টানও কমে গেছে। শুধু বাদামি চুল এবং গায়ের রঙ একটু অনুজ্জ্বল হলে সহজেই বাঙালি বলে চালিয়ে দেওয়া যেত।

এমিলি এবং অলিভারকে নিমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে। এমিলি জানিয়েছে সব ঠিক থাকলে বিয়ের দুই-একদিন আগেই পৌঁছাবে বাংলাদেশে। সে আরো জানিয়েছে অয়ন দুইবার অলিভারের সাথে কথা বলতে চেয়েছে কিন্তু এমিলি এড়িয়ে গেছে। সেজন্য অয়ন এখন এমিলির ওপর ক্ষিপ্ত। তবে সে এমিলির কিছুই করবে না বলে আশ্বাস দিলো প্রয়াসকে। হাজার হোক তার বাচ্চার মা এবং এক সময়ের ভালোবাসা ছিলো এমিলি।

প্রয়াস দিশাকে জানায় এমিলি এবং অলিভার আসছে ওদের বিয়েতে। দিশা চাইলে ওদের সাথে দেখা করতে পারে তবে পরিবারকে যেন কিছু না জানায়। দিশা তাতে সম্মতি জ্ঞাপন করে। অলিভারকে কোলে নেওয়ার, একটু আদর করার জন্য ওর মনটা বড্ড ছটফট করে। ছেলেটার মুখটা একদম ওর ভাইয়ের আদলে তৈরি হয়েছে।

কিছুদিনের ভালোবাসায় জড়িয়ে কেনো যে এমন ভুল সিদ্ধান্ত নেয়? মাঝখান দিয়ে একটা বাচ্চা বাবা মা থাকা সত্ত্বেও তাদের একসাথে পায়না। দিশা নিজেও কিছুটা অনুভব করতে পারে। ওর বাবা মা একসাথে থাকা সত্ত্বেও ওকে দেওয়ার মতো টাইম খুব একটা ছিলো বলে মনে হয়না। শুধু জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনে জাকজমকপূর্ন আয়োজনে তাদের একসাথে পাওয়া যায়। তবুও আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নিজের বিলাসিতা, জৌলুষ দেখাতেই সময় পার হয়ে যায়।

দিশার জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওর মা। সিদ্ধান্ত ওর মনমতো বা ওর পছন্দ হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করার কথা চিন্তা করেননি। সারাক্ষন এই পার্টি, সেই ইভেন্ট করেই কাটিয়েছে তিনি। আর বাবা? তিনি তো শুধু রাতে খাবার সময় সবাইকে এক টেবিলে বসাতেন এবং টুকটাক কথা বলে উঠে যেতেন। কখনো মাথায় হাত দিয়ে জিজ্ঞেস জানতে চাননি
‘মা। তুই খুশিতো?’

অথচ কখনো সময় না দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করলে তারা বলেছে সব ওদের খুশির জন্যই করে। আসল খুশি থাকা, ভালো থাকার মানে উপলব্ধি করতে পারেননি কখনো। হয়তো আর পারবেনও না।

___________

‘আমি শেষমেশ কিনা এরকম ভাবে প্রেমে পড়লাম!’
মাহি আক্ষেপের স্বরে বললো।

‘কার প্রেমে পড়লি আবার?’

‘কার আবার ওই বজ্জাত সোহানের। লোকটা সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মেরে আমার মন চুরি করে নিয়ে গেছে দোস্ত।’

নাবিলা হো হো করে হেসে উঠলো।
‘বিয়ের অনুষ্ঠানের পরও যোগাযোগ রেখেছিলি তারমানে?’

‘আমি কই রাখলাম! সেই তো তানজিলাকে পটিয়ে আমার কন্টাক্ট নাম্বার নিয়েছে। তারপর থেকে ফোনে ঝগড়া। দেখা করতে বললে সেখানেও ঝগড়া। এমনকি আমার স্বপ্নেও ঝগড়া করে যায়। কাল কল দেয়নি। তাতেই আমার কেমন যেন দমবন্ধ লাগছে। অথচ আমি সোহানকে সারাক্ষণ বলতাম আপনি না থাকলে আমি শান্তিতে থাকবো। এখন তো উল্টোটাই হচ্ছে। পরশু রাগ করে বলেছি লজ্জা থাকলে আর ফোন দেবেন না। এখন সে সত্যি সত্যিই লজ্জা ধারী হয়ে যাবে কে জানতো?’

নাবিলা বিজ্ঞের ন্যায় গাম্ভীর্য নিয়ে মাথা দোলালো। ভিডিও কলে কথা বলছে সে এবং মাহি। তানজিলার সাথে বিয়ের পর থেকে যোগাযোগ কমে গেছে। সে এখন সদ্য গড়া সংসার নিয়ে ব্যস্ত।

‘সোহান ভাইয়াকে কল দে তাহলেই তো হয়।’

‘আমি কেনো আগে ফোন দেবো? পরে আমাকে হ্যাংলা ভাববে। তাকে ফোন দিয়েছি বলে আবার অন্য কিছু ভাববে। আমি চাই সে আগে মনের কথা কনফেস করুক।’

‘হুম তাহলে আর কি? নিজের ইগোকে ধরে রাখতে হলে অপেক্ষা করা ছাড়া তোর গতি নেই। আর ইগো ভেঙে যদি কল দিস তাহলে হয়তো সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে। বলা তো যায়না আবার কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়।’

মাহির মুখ কাদোকাদো হয়ে গেছে। নাবিলা হেসে দিয়ে বললো,
‘অন্যকে এতো বুদ্ধি দিয়ে এখন নিজের বেলায় জ্ঞানশূন্য হয়ে বসে আছিস। একটু সময় নে। আজ যদি ফোন না দেয় তবে কাল নিজে থেকেই কল দিবি।’

নাবিলা কিছুটা থেমে মনে পড়ার ভঙ্গিতে বললো,
‘আচ্ছা! রোহান স্যারকে যে মানা করে দিয়েছি সম্বন্ধ নিয়ে, সেই ব্যাপারে সোহান কিছু বলেছে বা তোদের এই প্রসঙ্গে কথা হয়েছে?’

‘একবার হয়েছিলো। রোহান ভাইয়া তোকে খুব পছন্দ করেছিলো। এখন অন্য যায়গায় সম্বন্ধ দেখছেন। সেসব কথা বাদ দে। এবার তোর বিয়ে নিয়ে জম্পেশ সব প্লেনিং করতে হবে। কারন এরপর আর কোনো বান্ধবীর বিয়ে খেতে পারবো না। নিজের বিয়েতেও প্রান খুলে মজা করতে পারবো কিনা সন্দেহ। সব মজা তোর বিয়েতে করে নেব। প্রয়াস ভাইয়ার পকেট ফাকা করার একশো একটা উপায় বাতলাতে হবে।’

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here