গল্পঃ ডাক্তার_বউ পার্ট_৫_৬

গল্পঃ ডাক্তার_বউ
পার্ট_৫_৬
আমরা দুজন মিলে বাইক নিয়ে তাদের মাইক্রটাকে ফলো করছি।তারা একটা নির্জন এলাকায় একটা বাড়ির সামনে এসে থামলো আমরাও নির্দিষ্ট দুরুত্বে বাইক রেখে ঐ বাড়িটার দিকে যাচ্ছি।তারা বাড়িটার মাঝে প্রবেশ করে।আমরা দুজন দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করি।বাড়িটা অনেক পুরাতন তবে এখনো নিখুত ভাবে দাড়িয়ে আছে।
লোক দুইটা বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলে আমরাও চুপিচুপি তাদের পিছে পিছে বাড়িতে প্রবেশ করে।শুনশান নিরবতা।একদম ভুতুড়ে বাড়ির মতো।তবে এদের জন্য এমন বাড়িই পারফেক্ট লোকজন নাই।অনেকে ভুতের বাড়ি ভেবে এই বাড়ির মাঝে প্রবেশ ই করবেনা।
লোক দুইটা একটা রুমে প্রবেশ করে।আর তখন মেয়ের আত্নচিৎকার পাই।আমার তো তখন রক্ত মাথা থেকে পা পর্যন্ত ১ সেকেন্ডে ১ হাজার বার যাতায়াত করছে।আজকে এই দুইটা আমার হাতে মরবে।বলে আশেপাশে তাকাতে দেখি একটা রড পড়ে আছে।রডটা নিলাম।আমার বন্ধু নিলো একটা আরেকটা রড।লোক দুইটা যে রুমে প্রবেশ করেছে ঐ রুমে প্রবেশ করতেই চোখ বুজে নিয়েছি।
একটা মেয়ের ওপর দুইটা মানুষ তাদের পৈশাশিক আনন্দ করছে।পুরা উলঙ্গ অবস্থায় একটা মেয়ে আর বাকি দুটা একপাশে বাধা আছে।কিন্তু এদের মধ্য আরিয়া নেই।লোক দুইটা আমাদের দুজনকে দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে গেছে।আমার মাথায় তখন রক্ত চড়ে আছে তাই কিছু না ভেবে রড দিয়ে লোক দুটাকে ইচ্ছা মতো পিটাতে শুরু করছি।আরেকটু হলে তাদের মেরেই ফেলতাম।আমার বন্ধু আমাকে থামায়।আমি উলঙ্গ মেয়েকে তার কাপড় দিলাম সে তা পড়ে নিল।মেয়ে তিনটা আতঙ্কে আছে।কথা বলতে পারছেনা।
আমি লোক দুটাকে এক জায়গায় বসিয়ে বললাম
–তোরা এই মেয়ে তিনটাকে কোথায় পেলি??
–আজকেই এদের কিডন্যাপ করেছি?
–কেন করেছিস??বলে দিলাম আরেকটা বাড়ি।
–আমাদের এই কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
–বাধ্য করা হয় মানে। সবকিছু খুলে বল। বলে আরেকটা বাড়ি দিয়েছি।
–এত মারলে বলবো কি করে।
–তাড়াতি বল আবার দিলাম নয়ত।মাথাটা খারাপ হয়ে আছে তাড়াতাড়ি বল।
–আমাদের শহরে নতুন গ্যাং এসেছে।তারা ডাক্তার পড়ুয়া মেয়েকে কিডন্যাপ করে আফ্রিকাতে পাচার করে দেয়া হয়।কিন্তু তাদের লোক নাই এই শহরে।আর টিপুর কারনে কেউ তাদের সাথে কাজ করতে চায়না।তাই আমাদের পরিবারের প্রতি হুমকি দিয়ে এই কাজ করায়।
–তোদের জোর করে এই কাজ করানো হয়।তাহলে এই মেয়েটার সাথে এখন কি করতে যাচ্ছিলি?
–নেশাতে করে ফেলেছি।আর হবেনা আমরা একাজ ছেড়ে দেব মাফ করে দেন।
–তোরা এই তিনজন বাদে আর কাওকে কিডন্যাপ করিসনি??
–না এই শহরে শুধুই আমরা কাজ করে এই গ্রুপে।আর আজ দিনে এই তিনটার বেশি আর কাওকে কিডন্যাপ করিনি।
এদের কাছে তাহলে আরিয়া নেই।এদের কাছ থেকে আর কোন সাহায্য পাওয়া যাবেনা।তাই পুলিশকে ফোন করে।তাদের পুলিশের কাছে দিয়ে।মেয়ে তিনটাকে একটা হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।
রাত তখন দুটা।মেয়ে তিনটাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের জন্য ঔষধের ব্যবস্থা করছি।একজন অনেক ভয় পেয়েছে।একদম নির্বাক হয়ে আছে।আর পাগলের মতো আচারন করছে।
আরিয়াকে যদি এই গ্যাং না কিডন্যাপ করে তাহলে আরিয়া কোথায়??কি করছে এখন।কেমন আছে এখন।এসব ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে টুপ করে দুফোটা পানি কখন পড়েছে বুঝতে পারিনি।
মেয়ে তিনটার ঔষধের ব্যবস্থা করে। তাদের হাসপাতালে রেখে।বেড়িয়ে পড়লাম।আমার হাত পায়ে শক্তি পাচ্ছিনা।নির্বাকের মতো এদিকে সেদিকে আরিয়াকে খুজে বেড়াচ্ছি।
আরিয়াকে কোথায় পাবো জানিনা।কি অবস্থায় পাবো জানিনা।পাবো কিনা তাও জানিনা।কোনো প্রশ্নের গোলক ধাদায় ফেসে গেছি যার উত্তর শুধু না।
কোথায় খুজবো ভেবে পাচ্ছিনা।শুধু খুজেই যাচ্ছি।পৃথিবী মানুষরের সামনে এমন কিছু সময় আসে যখন তার অতীতের সব কথা মনে পড়ে যায়।তখন ভাবে এই কাজটা এভাবে করা ঠিক হয়নি ঐভাবে করা ঠিক ছিল।কিন্তু তখন ভাবনাটা সত্যি করা সম্ভব না কারন তা অতীত।
কিছু অতীত সময় থমকে দাড়ায়।যখন মানুষের জীবন থেকে কিছু মুল্যবান জিনিস হারিয়ে যায়।ছন্নছাড়া উলমাদের মতো সেই অতীতে যেতে চায় কিন্তু তা প্রকৃতিতে নেই।
আমি এখন একজন উলমাদের চেয়ে কম কিছু নয়।কারো কথা এখন শুনতে মন চাচ্ছেনা।চারিদিকি ছুটে বেড়াচ্ছি কোথায় গেলে আরিয়াকে পাবো।পুরো শহরের অলিগলির গুগল হয়েগেছি এক রাতে।কোন জায়গা বাদ দেইনি।এমন পরিস্থিতি মানুষের জীবনে যখন আসে তার বাকশক্তি চিন্তাধারা সবকিছু লোপ পায়।তার মাথায় শুধু একটা কথাই বারবার রিপিট করে ঐ জিনিসটা কোথায় পাবো।
আমার চোখে আরিয়ার চেহারা মাথায় আরিয়ার কথা।পিচ্চি আমাকে লিফট দাও তোমার সাইকেলে। এসব ভাবছি আর বাইক চালাচ্ছি।রাস্তা ফাকা।
একটা খোলা মাঠে এসে থামলাম।আমি আমার বন্ধুকে বললাম।
–তুই বাইক নিয়ে বাসায় যা।
–কেন তুই যাবিনা??
–না যাবনা।আরিয়াকে খুজতে হবে আমাকে।তুই যা।
–দেখ সাগর পুরারাত খুজেছি।রাতে খাবার ও খাসনি।তুই এবার বাড়ি চল।কাল আমরা সবাই মিলে আবার খুজবো।
–আরিয়াকে না পাওয়া পর্যন্ত আমি ঐ বাড়িতে যাবনা তুই যা।
–তুই চলতো।
আমার তখন কারো কেয়ার ভালো লাগছিলনা।আমার চোখে না ঘুমানো টেনশনের চেহারা পুরা রক্ত বর্ন।আমি ঐ চোখ নিয় আমার বন্ধুর দিকে তাকালাম আর বললাম
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

–তুই আমাকে জোর করতে আসিস না।আমার মধ্যে মানুষের মন নাই এখন।তোকে যা বলেছি তাই কর।না হলে তোর ও পিটাই শুরু করবো।
আমার বন্ধু হয়তো ভয় পেয়েছিল।আবার নাও পেতে পারে জানিনা।সে কিছু না বলে বাইক নিয়ে গেলো।আমি তখন এটা খোলা মাঠের মাঝে দাড়িয়ে।চারিদিকে আযানের প্রতিদ্ধনি।
আমার চিন্তা ধারায় যত প্রশ্ন আছে সবগুলোর উত্তর ছিল না।মানুষ জীবনে মৃত্যুর সামনে আর এমন পরিস্থিতি তে যেকোন কিছু করে ফলতে পারে।এই সময়টাতে মানুষে পুরো জীবন মনে পড়ে যায়।কিছু মুহুর্ত চোখের সামনে বাস্তবে হচ্ছে বলে মনে হয়।
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।আরিয়ার নিখোজের পিছে আমি দায়ি।তাকে কোথায় খুজবো?আমি কি বাসায় যাবো??তাদের বলতে পারবো আমি আরিয়াকে পাইনি??আমি একজন নিকর্মা।যার কারনে মেয়েটা নিখোজ।আমার চোখের সামনে গোলক ধাধা ঘুরপাক খাচ্ছে।যার প্রত্যেকটার উত্তর না।রাতে চিন্তা টেনশনে কান্নাটা হারিয়ে গেছিলো।কিন্তু এখন চোখ দিয়ে অঝর ধারায় বন্যা বইতে শুরু করেছে।আমার কোন চিন্তা কাজ করছেনা।
আরিয়া কোথায় তুমি।গগন ফাটাতো চিৎকার দিয়ে কাদতে ইচ্ছা করে।আমি মাটিতে বসে পড়লাম।
চলবে…….
লেখাঃ Sagor Islam Raj( ভালোবাসার কবি)

গল্পঃ ডাক্তার বউ
পার্ট ৬
আমি মাটিতে বসে পড়ে চিৎকার করে বলছি আরিয়া সব দোষ আমার।আমি যদি তোমার সাথে যেতাম তাহলে এমনটা হতোনা।কেন আমি তোমার ওপর রাগ করলাম।আর কেন তোমার সাথে গেলাম না।আমার নিজের প্রতি তখন ঘৃনা হচ্ছে।
হঠাৎ চোখটা বন্ধ হয়ে যায়।সারা রাত ঘুম নাই।কখন চোখটা বন্ধ হয়েগেছে বুঝতেই পারিনি।মাটিতে পড়ে গেলাম এত টুকুই মনে আছে।কারো ডাকে আমি চোখ মেলে তাকালাম।
–এই যে আপনি এই মাঠের মধে শুয়ে আছেন কেন??
আমি তার কথাতে উঠে বসলাম।আমাকে যে ডাকছে তার বয়স ১০ ১২ বছর হবে।মনে হয়।
–তোমার নাম কি বাবু??
–অনিক।আপনি এখানে এভাবে শুয়ে আছেন কেন??
—এমনিতেই।
–কারো সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে এসেছেন??
–না তো কেন??
–না এমনিতেই।
–তুমি অনেক বড় হয়েগেছ।
–হ্যা।আমার মা ও বলে।
–আচ্ছা।তাই।
–হা।
ছেলেটার সাথে কথা বলতে আমার বন্ধু বাইক নিয়ে হাজির।আমাকে নিতে এসেছে।ছেলেটার কথাতে যাদু আছে।তার সাথে যখন কথা বলছিলাম।তখন মনের সব ব্যাথা হারিয়ে গেছিল।কিন্তু যখন আমার বন্ধু আসলো তখন আবার পুরাতন কথা মনে পড়ে গেল।আমার মাথাতে তখন আবার চিনচিনে ব্যাথা শুরু হলো।
আমি বন্ধুর বাইকে করে আরিয়াকে খুজতে বের হলাম।পুরা সকাল আবার খুজলাম।কোথাও পেলাম না।হাল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই।বন্ধুর সাথে বাড়ির পথে ফিরতে লাগলাম।
বাড়িতে ফিরে মাথা নিচু করে ঢুকলাম।দেখি মা বাবা আরিয়ার বাবা মা ও বসে আছে।তারা আমাকে দেখে কেমন চমকে ওটার মতো আমার কাছে চলে এলো।
–তোর কিছু হয়নি তো বাবা??
–মায়ের কথাতে দেদে দিলাম।আমার কিছু হয়নি কিন্তু আরিয়াকে পাইনি।
আমি আরিয়ার মায়ের কাছে গেলাম।
–আন্টি আপনার মেয়েকে খুজে পাইনি আমাকে মাফ করে দিয়েন।আমার জন্য সব হয়েছে।
তাদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ছাদে চলে এলাম।সকালের আলোতে মানুষের কাছে পৃথিবি আনন্দময় হয়।আর আমার কাছে বিভিশিখাময়।আলো থাকা সত্তেও কেমন অন্ধকার আচ্ছন্যময় লাগছে।
ছাদে দাড়িয়ে এসব ভাবছি হঠাৎ কারো হাত আমার পিঠে অনুভব করলাম।পিছনে ফিরে দেখি আরিয়া দাড়িয়ে।আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিনা।যে আরিয়া আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তাই আরিয়ার হাতে চিমটি দিলাম।
–উহ।চিমটি দিচ্ছো কেন??
–স্বপ্ন না সত্যি তাই দেখছি।
–স্বপ্ন না সত্যি দেখতে মানুষ নিজের গায়ে চিমটি দেয়।আর তুমি আমার হাতে দিচ্ছো।
–কি জানি ভুলে গেছি।আপনি কি সত্যি আরিয়া??
–সত্যি।তোমার সামনে দাড়িয়ে আছি। এই দেখো বলে এক চড়।
চড়ের ব্যাথা অনুভব করলাম।তারমানে এটা সত্যি আরিয়া।
আমি দুইটা চড় দিছি।মেয়েটা কান্না করতে শুরু করছে।
–আমাকে এত জোরে মারলে??
–তো সোহাগ করবো??কাল দিন রাত কোথায় ছিলেন??আমার কতটা কষ্ট হয়েছে যানেন??
–আমারও মেলা কষ্ট লেগেছিল সকালে তোমার কথা শুনে।তাই ভাবলাম তুমি প্রতিশোধ নেয়ার আগে আমি নেই।
–কোথায় ছিলেন পুরা দিন রাত?
তোমার রুমে।
–আমার রুমে??
–তোমার রুমে ছিলাম।কেউ জানেনা।চুপিচুপি করেছি।বিকালে কলেজ থেকে এসে।
–আরেকটা চড় দিলাম।
–আবার মারলে কেন??
–আমাকে সারারাত দিন শহর ঘুরানোর জন্য।
–তোমার সাথে কোন কথা নাই।আমাকে শুধু মারছো।
–আরেকটা চোড় দিয়ে।আরিয়াকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধললাম।
জানিনা তখন মনের মধ্যে কেমন হচ্ছিল।মনে হচ্ছিল অনেক বড় কষ্টের মধ্যে থেকে বের হয়ে এলাম।আরিয়াকে সব সময় এভাবেই জড়িয়ে ধরে থাকি।
–এই ছোট।আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।ছাড়ো।
–ছাড়বনা।আবার যদি হারিয়ে যান।
–হারাবনা।ছাড়ো।
–মনে থাকে যেন।
–ঠিক আছে ছাড়ো।
আরিয়াকে ছেড়ে দিতেই আরিয়া সাইডে চলে যায়।তারপর হাফ ছাড়ে।
–তুমি তো আমাকে আরেকটু হলে মেরেই ফেলতে।
–মেরে ফেলার জন তো ধরিণি।
–আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
–সারা দিন রাতের কষ্টের সমাপ্তি সরুপ।
–অনেক কষ্ট হয়েছে না তোমার?
–আপনার জন্য এতো টুকু করাই যায়।
–আমি বুঝতে পারিনি যে তুমি সারা রাত বাহিরে থাকবে।তোমার ফোনে অনেকবার ফোন দিয়েছি।কিন্তু অফ বলছে।
–ফোনটা হারিয়ে গেছে।
–জানো আমিও সারারাত ঘুমাইনি।খাইনি।
–আপনার এমনটা করা উচিত হয়নি।
–কেন??
আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।
–আমার ছোট ভাইটা দেখি অনেক কষ্ট পেয়েছে।
ভাইয়া কথাটা শুনে মনে হচ্ছে সব আবেগ আমার বুকের ভেতর থেকে বেড়িয়ে ছাদ থেকে লাফ দিছে।ভালোলাগার বাত্তি নিভে অন্ধকার।মনে হচ্ছে তুলে এক আছ্ড় দেই।আমি ওর কোন জন্মের ভাই লাগি??
–ছোট ভাইয়া কি বিড়বিড় করছো।
–ভাবতেছি আপনাকে ছাদ থেকে ফেলে দেই
–কেন কেন??
–আমি আপনার কোন জন্মের ভাই লাগি??
–তুমি তো আমার আদরের ছোট ভাই।
–আপনার ভাই এর গুষ্টি কিলাই।
বলে ছাদ থেকে চলে এলাম।আরিয়া আমাকে পিছ থেকে ডেকেই যাচ্ছে।
চলবে….
লেখাঃ Sagor Islam Raj

#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here