গল্পঃ ডাক্তার_বউ পার্ট_৭_৮

গল্পঃ ডাক্তার_বউ
পার্ট_৭_৮
আমি আমার রুমে চলে এসেছি।এসে ভাবছি মনটা কতটা হালকা হয়ে গেছে।মনে হচ্ছে কোন পাথরের সমান চিন্তা মন থেকে নেমে গেল।জীবনে যতটা না কষ্ট টেয়েছি তার থেকে বেশি পেয়েছি এই একদিনে।মনে হচ্ছিল কোন বিভিশিখাময় স্বপ্ন দেখছিলাম
আরিয়াকে দেখার পর সেই স্বপ্ন থেকে বাস্তব জীবনে চলে এসেছি।মানুষের জীবনে কিছু কষ্ট থাকে যা তার মনে পাথরের মতো সব সময় আঘাত করতেই থাকে।সে যন্ত্রনা কখনো যায়না।হয়তো মুখের হাসির আড়ালে থাকে।
মনটা হালকা হয়ে গেছে।ঘুমে চোখটাও বুজে আসছে।তাই ঘুমিয়ে পড়লাম।হঠাৎ মনে হচ্ছে কানের মধ্যে কিছু প্রবেশ করছে।হাত দিচ্ছি তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।আবার এমন টা হচ্ছে।চোখ খুলে দেখি আরিয়া সামনে ঝুকে থেকে এই কাজ করছে।
আমি ভাবছি আমার সাথে যখন এমন করছে তখন আমিও করি।বলেই তাকে জোড়াই ধরেছি।আরিয়া হোক চকিয়ে উঠেছে।বুঝতে পারেনি আমি এমনটা করবো।অনেক ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।যখন দেখছে পারছেনা তখন।আমার হাতে দিল একটা কামড়।
–ওমা গো।এত জোরে কেউ কামড় দেয়??
হাতটা ছেড়ে দিতেই আরিয়া পর্যাপ্ত দুরুত্বে চলে গেছে।
–তুমি যেভাবে ধরেছো ছাড়া পেতে তো দিতেই হবে।
–তাই বলে এতো জোরে??
–তোমার বড় আপু দিছে না তাই রাগ করেনা ভাই।
—ওরে আমার বোন আসছে রে।
–ঐ ছোট সাবধান।জোরে কথা বলবানা।
–বললে কি করবেন??
–এমন কিছু করবো যে এলাকায় মুখ দেখাতে পারবেনা।
–আপনাকে করে ভয় পাই নাকি।
–পাওনা বাট পাবে খুব তাড়াতাড়ি।
–তাই না??
–হু তাই।
বলে মখ ভ্যাংচি কেটে দৌড়ে পালিয়ে গেল।আমি ভাবছি মেয়েটা কি করতে চায়?? যে তাকে আমি ভয় পাবো??
ভেবে পাচ্ছিনা।তাই অতো ভেবে কাজ নাই।কাল কলেজে যেতে হবে।তাই বেশি চিন্তা ভাবনা করতে হবেনা।আম্মু রাতের খাবার খেতে ডাকছে।
আমি খেতে গিয়ে দেখি বাবা মার সাথে খাবার টেবিলে আরিয়া বসে আছে।এই চিকনি চামেলি কি শান্তিমতো খেতেও দিবেনা??যেখানেই যাই সেখানেই ও।যাই হোক সব কিছু ভুলে খেতে বসলাম।
–এক দিনে শরীরের কি হাল বানিয়েছো??(বাবা)
–কই ঠিকি তো আছি
–আমার চোখ আছে।তোমার চোখ দিয়ে দেখলে কবেই টপকে যেতাম।
–তুমি আমাকে ইন্সাল্ট করছো একটা মাইয়ার সামনে।
–ঐ ছোট আমাকে মাইয়া বলবেনা বলবে বড় আপু।
–আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নাই।আপনি আমার কোন জন্মের আপু লাগেন??
–বর্তমান জন্মের??
–তাই?
–হ্যা।
–তাহলে আপনার বাবাকে বলেন আমাকে যেন টাকার ভাগ দেয়?
–দিবে তো টেনশন করোনা ছোট??
–অ্যা??টাকার ভাগ ও দিবে??
–একশবার দিবে।
আচ্ছা আমাকে টাকার ভাগ কেন দিবে??আর যাতে ভাই না বলে সেজন্য বললাম বাট মাইয়া এদিকেও আমার থেকে এক ধাপ এগিয়ে।ডাক্তারি পড়াতে কি এই সব শিখায় নাকি??
–তোমরা থামো।আর হ্যা কাল থেকে প্রতিদিন তুমি আরিয়াকে তার কলেজে পৌছে দিবে।
ভাত মুখে দিছি তখনি বাবা এই কথাটা বলছে।আর ভাতটা গলাতে বেধে গেছে।
–ঠিক মত্র খাবার ও খেতে পারোনা? এই নাও পানি খাও?(আরিয়া)
–ওনার এত বড় গাড়ি থাকতে আমি কেন নিয়ে যাবো??
–সেফটির জন্য দিনকাল এতো ভালোনা।(বাবা)
–আমি পারবনা/
–তুমি পারবেনা তোমার বাবা পারবে।
–বাবা পারবে যখন তখন তুমি প্রতিদিন নিয়ে যাও।
–আমার সাথে ফাজলামু করো??
–তুমিই তো বললে আমি না পারলে বাবা পারে।আর তুমি তো আমার বাবা।
–পড়াশোনা করাচ্ছি এজন্য?কি শিখাচ্ছে তোমাদের শিক্ষকেরা?
—-কি আবার পড়াশোনা।
–হায় আল্লাহ আমি কি ছেলে জন্ম দিছি প্রতিটা কথা ফাজলামু করে।
–তুমি এলাকার সব চেয়ে ভালো ছেলে জন্ম দিয়েছো বাবা।
—ভালো ছেলে যখন তখন যা বলেছি তাই করবে।না হলে কাল থেকে তোমার ভাত চাল হয়ে যাবে।
–আমার সাথে অন্যায় হচ্ছে।আমি পুলিশের কাছে যাবো।
–চুপ কর।তোর কথা অনেক খণ ধরে শুনছি।মুখেমুখে কথা বলা শু
শিখে গেছিস।চুপচাপ খেয়ে উঠে যা।(মা)
–ঠিক আছে।
আরিয়া খাচ্ছে আর হাসছে।সব চাল আরিয়ার।ও বাবাকে কি সব বুঝ দিয়েছে আল্লাহ ভালো জানে।খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম।এসে লম্বা একটা ঘুম দিয়েছি।স্বপ্নে দেখছি আমি আরিয়াকে নিয়ে যাইনি তাই বাবা আমাকে লাঠি নিয়ে পুরা শহর দোড়ানি দিচ্ছে।
স্বপ্নটা ভাঙতেই যেন হাপ ছেড়ে বাচলাম।যদি কাল আরিয়াকে না নিয়ে যাই তাহলে বাবা আমাকে সত্যি সত্যি পুরা শহর দৌড়ানি করাবেনা তো??আবার কাল একটা মেয়ের সাথে দেখা করার কথা আছে।বান্ধবি হয়।আর ও যদি দেখে তাহলে পুরা কলেজে আমার ইজ্জত পাংচার হয়ে যাবে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খাবার খেয়ে।কলেজের জন্য রেডি হয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে ভাবছি।আরিয়াকে নিয়ে গেলে যদি কেউ দেখে তাহলে পুরা কলেজে ইজ্জত থাকবেনা।আর না নিয়ে গেলে বাবা পুরা শহর ম্যারাথন দৌড়ানি দেয়াবে।যাই হোক দৌড়ানোর অভ্যাস আছে।কিন্তু এত বছরের ইজ্জত গেলে আর ফিরে পাবনা।আজকে এটকু সুন্দর গেটাপ নিয়ে বের হয়েছি।
কেউ যাতে দেখতে না পায় তাই চুপিচুপি গেট থেকে বের হয়ে যাচ্ছি।বুকটা ধুকপুক করছে।যদি কেউ দেখে তাহলে আরিয়াকে নিয়ে যেতে হবে।
আরিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হয়।তাই চিন্তাটা বেশি।আরিয়া দেখতে পেলে তো চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিবে।
আরিয়ার বাড়ির সামনে আসতেই কেমন শব্দ শুনলাম।তারপর দেখছি বৃষ্টি শুরু হয়েছে আকাশে তো রোদ আছে।মেঘ নেই।আবার বৃষ্টিটা শুধু আমার ওপরেই হচ্ছে।আমি কি রাতে মেঘ মামার সাথে গন্ডোগোল করছি।এসব ভাবতে ভাবতে ওপরে তাকিয়ে দেখি মেঘটা আর কেউ না আরিয়া।আমার দিকে দুইটা ফুটবলের সমান চোখ বের করে রাক্ষসীর মতো দাত কটমট করে তাকিয়ে আছে।আমার গলা শুকিয়ে গেছে।ঢোক চিপলাম মনে হচ্ছে গলার মধ্যে খরার মৌসুম চলছে।
চলবে….
লেখাঃ Sagor Islam Raj(ভালোবাসার কবি)

গল্পঃডাক্তার বউ
পার্ট ৮
আরিয়ার তাকানো দেখে মনে হচ্ছে আজকে আমি শেষ।তার দিকে তাকাতে পারছিনা ভয়ে রাগে কটমট করছে আরিয়া।
–চুরি করে সবার চোখ ফাকি দিয়ে একা একা চলে যাচ্ছো??
–চুরি করে যাব কেন??
–তা নয়তো কি??আমাকে নিয়ে যাবার ভয়ে এত সকাল সকাল সবার চোখ ফাকি দিয়ে যাচ্ছ।
–ফাকি কোথায় দিলাম??এই তো আপনার সামনে দাড়িয়ে আছি।
–আমি যদি তোমার ওপর পানি না দিতাম তাহলে কি হতো??
–আমি চলে যেতাম।
–তাহলে সেটা চুরি করা হতোনা??
–উহু।ওটা কলেজে যাওয়া হতো।
–ফাজিল ছেলে সব সময় ফাজলামু করবেনা??
–তাহলে কি করবো??
–আমার মাথা করবে।
–আপনার মাথা তো আপনার ঘাড়ের ওপর।
–চুপ একদম চুপ ফাজিল ছেলে।একদম কোথাও যাবেনা।আমি রেডি হবো তারপর তুমি ভিজা কাপড় চেন্জ করবে।
–আমার আজকে কলেজে তাড়াতাড়ি যাওয়া লাগবে।দরকার আছে।
–তোমার কলেজে যাওয়া লাগবেনা।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**
আমি আরিয়ার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালাম।বাট মুখের ধরন পালটালো বলে মনে হলোনা।আরিয়া রেডি হয়ে এসে আমাকে কাপড় চেন্জ করতে যেতে দিছে।তারপর রেডি হয়ে।আমার হেলিকপ্টার নিয়ে কলেজের দিকে যেতে লাগলাম।আমার হেলিকপ্টার টা কিন্তু সাইকেল।অন্য কিছু ভাবেন না আবার।
আরিয়াকে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে অনেক সুবিধা চিকনি চামেলি।বোঝায় যায়না সাইকেলে আছে না নাই।আরিয়ার কলেজের সামনে চলে এসেছি
–নামেন আপনার কলেজের সামনে চলে এসেছি।ইজ্জত তো পাংচার হয়ে গেছে।
–ইজ্জত আমি ধার দিবনি।আমার অনেক আছে।
–আপনি কিন্তু ফাজলামু করছেন?
–তোমার থেকে শিখেছি।
–আমি শিখিয়েছি?কবে কখন কিভাবে??
–প্রতিদিন তখন সেভাবে।
–ফাজিল মাইয়া কোথাকার।
বলে চলে এসেছি।আমার সাথে মাস্তানি মারে। দেখে নেব একদিন।কলেজে গিয়ে।ব্নধুদের সাথে আড্ডা দিলাম।
আজকের দিনটা আরিয়ার কাছে স্পেশাল।আজকে সাগরের বার্থ ডে।সেদিন তার মায়ের কাছ থেকে শুনুছে।ছেলেটা আসলেই পাগল।কিছু বুঝেনা।সব সময় উল্টা পাল্টা বুঝে।তাকে আজকে সারপ্রাইজ দিতে হবে।এমন ভাবে দিতে হবে যাতে বুঝতে না পারে।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় আরিয়ার ফোন।
–ছোট ভাই কোথাই আছো?
–যেখানেই থাকি তাতে আপনার কি??আপনাকে কলেজে পৌছে দেবার কথা দিয়েছি।
–শোন আমার একটু দরকার আছে।তুমি আমার কলেজের কাছে চলে এসো।
–পারবনা।
—পারবানা??ঠিক আছে তাহলে আমি ঐ রাস্তার মাঝ খানে গিয়ে দাড়িয়ে থাকবো।
–ব্ল্যাকমেইল করছেন??
–ছোট ভাইকে ব্ল্যাকমেইল করা যায়?
–তাহলে কি করছেন এটা?
–একটু ভয় দেখাচ্ছি।
–কোথায় যেতে হবে??
–আমার কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকো।
আমি আরিয়ার মেডিকেল কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছি।এখানে দাড়িয়ে থাকার আলাদা একটা ফিলিংস আছে।ডাক্তারি পড়া মেয়েরা দেখতে একটু সুন্দর বেশি হয়।আবার সাদা এপ্রোন পড়ে তখন তো হুর পরীর মতো লাগে।
না না আমি ভালো ছেলে এসব ভাবলে চলবেনা।কিন্তু চোখের আজকে কি হলো??খালি সুন্দরী মেয়েদের দিকে চোখ যায়।নির্ঘাত কোন অসুখ হয়েছে।ডাক্তার দেখাতে হবে।
একটু পর দেখি একটা সুইট কিউট বিউটিফুল ওসাম নাইচ ওয়াও হেবি একটা মেয়ে আমার দিকে হাত নাড়িয়ে ডাকছে।তখন বুকের ভিতর ধুকধুক করছে আর তোকে হেব্বি লাগছে গানটা শুনতে পাচ্ছিনা।
তুমি যদি ডাকো হুর পরী।তোমার জন্য আমি কি না করিতে পারী?
তুমি চাইলে পাড়ি দেব সাত সমুদ্র তের নদী।এটা তো একটা রাস্তা খানি।
বলেই তার দিকে যাচ্ছি।আর মেয়েটা দুই হাত বাড়িয়ে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।ও নো এতো ফিলিংস আমি কোথায় রাখবো??মনে হচ্ছে আসেপাসে কেউ নেই খালি আমি আর ডাক্তারনি টা।মনের মধ্যে লাড্ডু ফুটতেছে।
আমিও দুই হাত বাড়িয়ে তার কাছে যাচ্ছি।তাকে জোড়িয়ে ধরতে যতটুকু লাগে।তাকে জরিয়ে ধরবো এমন সময় মেয়েটা পাশ কাটিয়ে আরেকটা ছেলেকে জোরিয়ে ধরলো।তখন মনের মধ্যে সুনতে পাচ্ছি সুন্দরী তুমি কার তুমি কার।ওদের দিকে তাকি থাকে থাকতে কখন দেয়ালে সাথে ধাক্কা লেগেছি বুঝতেই পারিনি।
আরিয়া দেখি পাশেই দাড়িয়ে।হাসতে হাসতে মাটিতে বসে পড়েছে।
–এত হাসির কি আছে?একটু একসিডেন্ট হতেই পারে।
–একসিডেন্ট কেমন হয়?
–অজান্তে কিছু হলে তাকে একসিডেন্ট বলে।
–বাট এটা তো ইচ্ছা করে হয়েছে।
–অজান্তে হয়েছে।
–হয়েছে আর সাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবেনা।আমি সব দেখেছি।
–কি দেখছেন??
–দেখছি একটা লুইচ্চা ছেলে দুই হাত বাড়িয়ে একটা মেয়ের দিকে যাচ্ছিল মেয়েটা তাকে না ধরে অন্য কাওয়ে ধরেছে।
ইজ্জত পাংচার হয়ে গেছে একেবারে।এটাও দেখে নিয়েছে।এখন কি করি?
–কি হলো কথা বলছনা কেন??
–এমনি।
–তোমার এসব পরে দেখছি আগে আমার সাথে চলো দরকার আছে।
–কি দরকার??
–শুনে কি হবে??
–না বললে যাবনা।
–আন্টিকে ফোন দিয়ে বলবো তুমি কি করছো?
–ব্ল্যাকমেইল??
–না না সোজা মেইল।
–ঠিক আছে চলেন।
তারপর আমরা একটা শপিং মলে পৌছালাম।আরিয়া হয়তো কিছু কিনবে।তাই আসছে।আমি সেজন্য লেডিস কালেংশনের দিকে যাচ্ছি।
–সাগর ঐ দিকে কোথায় যাচ্ছো?
–কেন লেডিস কালেংশনে
–সেটা আমিও জানি ঐ দিকে মেয়েদের জিনিস।
–সেজন্য তো যাচ্ছি??
–তোমাকে যেতে বলেছি?
–না।
–তাহলে যাচ্ছো কেন??
–আপনি জিনিস নিবেন তাই।
–আমি বলছি আমি নিব??
–না।
—তাহলে??
–তাহলে কার জন্য নিবেন??
–চুপ থাকো আর পিছে পিছে আসো।
আমি তখন আরিয়ার পিছে পিছে যাচ্ছি।পরিচিত কেউ আমাকে দেখলে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে থাকছে।মনে হচ্ছে জীবনে আমাকে কখনো দেখেনি।
–এইটা কেমন হবে??
আমি আরিয়ার কথা শুনে তার দিকে তাকালাম।একটা শার্ট হাতে নিয়ে আমাকে জিগ্যেস করছে।কিন্তু শার্টা বড় মানুষের।তার ভাইটাও ছোট।তাহলে কার জন্য কিনছে??
–কি হলো বলো??
–কার জন্য??
–এতো প্রশ্ন কেন??
–এমনি।
–শার্টা কেমন??
–ভালোনা।
–আচ্ছা তুমি একটা শার্ট পছন্দ করে দাও।
–আচ্ছা।
তারপর একটা নীল রং এর পান্জাবী পছন্দ করে দিলাম।
—-শার্টের থেকে পান্জাবী টা ভালো লাগছে।
–তোমার তো অনেক সুন্দর পছন্দ।
–জানি।
–চলো
–আবার কোথায়??
–একটা শাড়ি কিনবো।
একটা নী রং এর শাড়ী কিন্তে ৩ ঘন্টা লাগিয়েছে।মেয়ে মানুষের সাথে কেউ শপিং এ আসে??মেয়ে মানুষের সাথে শপিং এ আসা মানে নিজের পায় কুড়াল মারা।
–আচ্ছা পান্জাবী টা কার জন্য?
–তোমার এত আগ্রহ কেন এটা জানার প্রতি?
–আগ্রহ হলে আমি কি করবো??
–আগ্রহ করা করা বন্ধ করে দাও।
–আগ্রহ নিজে থেকেই হয়।
–বেশি জ্ঞ্যন থাকা ভালোনা।
–আপনার থেকে কম আছে।
–ফাজিল ছেলে চুপ থাকতে পারোনা??
–আচ্ছা চুপ থাকবো বলেন পান্জাবী টা কার জন্য।
–আমার বিএফের জন্য।এবার চুপচাপ চলো বাড়ির দিকে।
বুকের বাম পাশটা তখন কেমন জানি চিনচিনে ব্যা করছিল।মনে হচ্ছিল ভারি কিছু মনের ওপর জমা হচ্ছে।আরিয়ার বিএফ আছে??
চলবে……
লেখাঃSagor Islam Raj(ভালোবাসার কবি)

#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here