ডাক্তার_বউ পার্ট_৯_১০

ডাক্তার_বউ
পার্ট_৯_১০
আরিয়ার পিছুপিছু মার্কেট থেকে বের হলাম।তখন মনের মধ্যে ভারি কিছু বেধে আছে মনে হচ্ছে বুকটা শরীরের চেয়ে ওজন বেশি হয়ে গেছে।মার্কেট থেকে বের হয়ে আরিয়াকে নিয়ে বাসায় আসলাম।তার সাথে কোন কথা বলিনি।ভালো লাগছিলনা কিছু।
ছেলেটা কত পাগল?শুধু বলেছি এগুলো বিএফের জন্য তখন থেকে মুখটা বাংলার পাঁচের মতো করে রেখেছে।কোন কথাও বলছেনা।না বলুক আমিও বলবনা।একবারে সারপ্রাইজ দিবো।যাতে চমকে যায়।
বাড়িতে এসে আরিয়াকে তার বাসায় নামিয়ে আমার বাসায় এসে রুমে ঢুকে শরীর টাকে এলিয়ে দিলাম।মনের পাশাপাশি শরীরের এনার্জি ও কাজ করছেনা।কিছু ভালো লাগছেনা তখন।শরীর টাকে রিফ্রেশ করতে বাথরুমে গোসল করতে গেলাম।
বাথ রুমের শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে তার নিচে বসে পড়লাম।মাথার ওপর পানি পড়ছে আমি নিচে বসে আছি।তখন চিৎকার করতে মন চাচ্ছে।কখন যে মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতেই পারিনি।তার বিএফ আছে আগে বললে কি হতো??যাই হোক সবারি একটা আলাদা জীবন আছে তার নিজের ইচ্ছা ভালোলাগাতে চলার অধিকার আছে এসব ভাবা বাদ দিয়ে তাকে মন থেকে ডিলিট করে দিবো।
সাগর বাসাতে নামিয় দিয়েই চলে গেল কোন কথা বললনা।ছেলাটার ম্থায় গোবর ছাড়া কিছু নাই।যাই হোক রাতে তাকে এমন সারপ্রাইজ দিব যে সে নিজেকেই ভুলে যাবে।
আরিয়ার মনে তখন আলাদা রকম ফিলিংকস কাজ করছে কিভাবে তাকে সারপ্রাইজ দিবে এটা ভাবতে ভাবতে।
গোসল শেষ করে।খাবার খেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে গেলাম। সেখানেও মন বসাতে পারছিনা।
–সাগর কি হয়েছে??
বন্ধুর কথাতে চমকে উঠছি অন্যদিকে মন ছিল তাই।
–কই কিছু হয়নি তো।
–কিছু তো হয়েছে।মন খারাপ করে আছিস।
–নারে কিছু হয়নি।
–সত্যি করে বল কি হয়েছে?
–আরিয়ার বিএফ আছে রে।
—-থাকতেই পারে তাতো তোর কি?
–কেন থাকবে?
–কেন থাকবেনা??
–আমি তাকে ভালোবাসি তাই।
–তুই তাকে বলেছিস??
–না।বলিনি।
—তাহলে মন খারাপ করে কি হবে।যদি বলতি তারপর যদি না করতো তাহলে এক কথা ছিল?
–তাহলে কি বলবো??
–এখন বলে কি হবে??
–তাও এক কথা।ওর তো বিএফ আছে।
–বিএফ থাকুক আর না থাকুক ও তোর বড় বোন লাগে।তোর সিনিয়র।
আরিয়ার কাছ থেকে ছোট ভাই শুনে।বিরক্ত ধরে গেছে।এরা আবার বড় বোন বানাই দিছে।
–সালা তোর একদিন কি আমার একদিন।বড় বোন লাগে আমার??
বলে একটা লাঠি নিয়ে তাড়ানি দিছি।
আগে তিনজন আমি তাদের পিছে পিছে।এলাকার সবাই হা করে দেখছে কি হচ্ছে এগুলো।
–তোদের আজ ধরতে পারলে খুন করে ফেলবো।
–আগে ধরে তো দেখা।
–আমার সাথে টক্কর নিসনা কইলাম।ম্যারাথন স্পেশালিষ্ট আমি।
–আমরা উসামা বল্টের কাছ থেকে এসেছি তোর স্পেশালিষ্ট হয়েও কাজ নাই।
আমার থেকে তারা অনেক আগে চলেগেছে।এখন যদি তাদের ধরতে না পারি পরে তাহলে তারা আমাকে ক্ষেপাতেই থাকবে।তখন কি হবে??আর এলাকার মেয়ে গুলাও দেখছে।যদি ধরতে না পারি তাহলে ইজ্জত পাংচার হয়ে যাবে।তখন কি করবে???এসব ভাবতেছি ঠিক তখনি মাথার মধ্যে ঝাক্কাস একটা বুদ্ধি চলে এসেছে।
–চোর চোর আমার টাকা চুরি করে পালাচ্ছে কেউ ধরো।
যখনি কথাটা বলেছি এলাকার বুইড়া থেকে শুরু করে সবাই তাদের পিছু নিছে। একজন দেখি চাইনিজ কুড়াল নিয়ে বার হয়েছে।মনে হচ্ছে আজ ধরতে পারলে তাদের কুচিকুচি করে কাটবে।
আমি সবার পিছে পড়ে গেছি।সবাই আগে আগে ছুটতেছে।
এক চাচার কথা।
বেটা দিনের বেলা চুরি করো।ধরতে পারলে হাত কেটে দেব।
আরেকজন বলে আমি ওদের সারাদিন বাজারের মধ্যে কান ধরিয়ে দাড় করিয় রাখবো।
আমি ওদের তিনজনের পিছনে দৌড়ানো বাদ দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি।এলাকার লোকেরাই তাদের সামলে নিবে।আমার সাথে মসকরা করার মজা এবার হাড়ে হাড়ে টের পাবে।
বাসায় এসে দেখি বাড়ি অন্ধকার।কওকে কোথাও দেখতে পাচ্ছিনা।
–মা ও মা।কোথায় তুমি??বাড়িতে আলো নাই কেন??
–এই তো বাবা আমি রুমে।লাইনের কোথাও সমস্যা হয়েছে।তাই সন্ধা থেকে আলো জ্বলছেনা।
–আচ্ছা আমি ঠিক করছি।
–নানা তোকে কিছু করতে হবেনা।আমি কারেন্ট লাইন ঠিক করা মানুষের কাছে খবর পাঠিয়েছি ওরা এসে ঠিক করে দিয়ে যাবে।
–ঠিক আছে। কিন্তু খুদা লাগছে খাবো কি করে??
একটু দাড়া মোমবাতি আনতেছি।
তারপর খেয়ে দেয়ে রুমে শুতে গেছি।অনেকখ হলো এখন লোক আসেনি।হয়তো কোন সমস্যা হয়েছে কাল ঠিক করে দিয়ে যাবে।আরিয়ার বিএফ আছে ভেবে ঘুম ও আসছেনা।।একটা মুভি দেখলাম।
হঠাৎ মনে হলো কিছু হাটার আওয়াজ পাচ্ছি।ঘড়িতে তখন ১১টা ৫৫ বাজে।এত রাতে বাড়িতে কে আসলো??মা বাবা তো ঘুমাচ্ছে।তাহলে কি চোর??
আমি তাড়াতাড়ি শব্দটা অনুসরন করছি দেখি ছাদের দিকে চলে গেল।আমিও ছাদের দিকে যাচ্ছি।হঠাৎ মনে হলে ছাদের দিক থেকে আবার কেউ আসছে।
কিছু চুরি করে ছাদ দিয়ে পালাচ্ছে না তো??মা কি করে।ছাদের গেট টা লাগাবেনা??কি কি যে চুরি করছে তার ঠিক নাই।আজ চোরের একদিন কি আমার একদিন।
ছাদের সিড়ির ওপর দেখি কেউ আসছে।চোরের আজ শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো।ইয়ালি বলে পিটাতে শুরু করেছি।কোন কথা নাই শুধু কিল ঘুষির শব্দ।দেখি ছাদের দরজা দিয়ে আরো কেউ আসছে। তখন তাকেও শুরু করেছি।চোরের শিক্ষা আজ হবে।মারের শব্দে আর চোরের চিৎকারে মা বাবা চলে এসেছে।হঠাৎ দেখি আলো জ্বলতেছে।
আর নিচে আমার বন্ধুরা পড়ে আছে।তাদের চোর মনে করে পিটিয়েছি।
–তোরা এখানে কি করে??
–মারার পর জিগ্যেস করছিস??আগে করতে কি হয়েছিল।
আমি তাদের উঠাতেই ওরা আমাকে ছাদে নিয়ে গেল।আর ছাদে আলোর ঝিকিমিকি ছড়াতে লাগলো।একটা পটকা আকাশের দিকে উঠে ফেটে গেল আর লিখা উঠলো Happy Birth Day
আমি তো চমকে গেছি।আমার জন্মদিন সেলিব্রেট করিনা তাই মনেও নেই কিন্তু আজ এসব দেখে অনেকটা চমকে গেছি।কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।আমি আমার বন্ধুদেরকে জোরিয়ে ধললাম।
–তোরা আমার জন্য এত কিছু করেছিস??
–কি দুঃখে তোর জন্য এসব করতে যাবো।
–তাহলে??
–পিছনে দেখ।ঐ করছে।
পিছনে তাকিয়ে দেখি নীল শাড়ি পড়ে আরিয়া দাড়িয়ে আছে।চোখে কাজল।একদম নীল পরীর মতো লাগছে।মনে হচ্ছে এভাবেই সব সময় তাকিয়ে থাকি।
–এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো ছোট ভাই??
চুচু করে তখ বেলুনের বাতাস বের হবার মতো আমার বাতাস ও বেরিয়ে যাচ্ছে।
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

–ছোট ভাই মন খারাপ কেন??তোমার জন্য এতো কিছু প্লানিং করে করেছি।আর মন খারাপ করে আছো।
–সব আপনার প্লাণিং??
–হ্যা।আমার ছোট ভাই।
–কয়বার বলছি আমাকে ছোট ভাই বলবেননা।
–বলবো একশবার বলবো।ছোট ভাই।
–হুর থাকেন আপনার ছোট ভাই নিয়ে আমি গেলাম।
–আরে আরে কই যাও।
–ঘুমাতে।
–আমরা এত কষ্ট করলাম আর তুমি এখন ঘুমাতে যাবে??
–ছোট ভাই ছোট ভাই না করলে থাকবো।
–ঠিক আছে এমন করবোনা ছোট ভাই।
–আবার??
—সরি সরি।এই নাও তোমার বার্থ ডে গিফট।
–পান্জাবী?? এটা আপনার বিফের জন্য কিনছিলেন যে??
–আরে ধুর বোকা। তোমাকে চুপ করাকে এমনি বলছি।
–তাই??
–হ্যা।এখন পান্জাবীটা জলদি পড়ে চলে এসো।
তারপর আমি পান্জাবী নিয়ে পড়তে আমার রুমের চলে এলাম।
চলবে……..
লেখাঃ Sagor Islam Raj(ভালোবাসার কবি)

গল্পঃডাক্তার বউ
পার্ট ১০
আমি পান্জাবী পড়ে ছাদে গেলাম।এতটুক সময়ে আরিয়ার বাবা মা ভাই চলে এসেছে।তিন বন্ধু আরিয়ার পরিবার আর আম্র বাবা মা একটা ছোট খাটো পার্টি।নীল পান্জাবী আমি আগে পড়িনি আজ প্রথম।তবে দেখতে ভালোই লাগছে মনে হয়।আমি ওখানে যেতে আরিয়া এসে পাশে দাড়ালো আর আমার বন্ধুরা হা করে তাকিয়ে আছে।মনে হচ্ছে তাদের মুখের মধ্যে ঢুকে যাই।
–দোস্ত তোদের হেবি লাগছে।
আমার ব্নধু বললো।
–ভালো জিনিস তো ভালো লাগবেই।
–তোর খালি উল্টা ভাবনা।
—কথা উল্টা ভাবা যায়?
–চুপকর এদিয়ে আয়।
তারপর কেক কেটে বার্থ ডে পালন করলাম।সেদিন রাতে অনেক মজা করেছি।অনেক সারপ্রাইজ ও হয়েছি।
আর তখনকার সবচেয়ে দেখার মতো ছিল আরিয়া।নীল শাড়ি চোখে কাজল একদম নীল পরীর মতো লাগছে।আমার কাছে রাতটা অনেক স্বরনীয় হয়ে থাকবে।আমি ভেবেছিলাম পান্জাবী টা অন্য কাওকে দিবে।বাট আমাকে দেয়ায় অনেক খুশি খুশি লাগছে।
পরেরদিন আমার এক বন্ধুর আত্তীয় মারা যায়।তার সাথে আমরা ৩ বন্ধু যাই।অনেক দুরের পথ। সেখানে গিয়ে লাশ কবর দিতে দিতে অনেক রাত হয়ে যায়।সেদিন আর বাসায় ফেরা সম্ভব না।সেরাত ওখানেই থেকে যাই।
আমাকে এখানে থাকতে একদম ভালো লাগছিল না।বাড়িতে থাকলে আরিয়ার সাথে ঝগড়া করলেও তাকে দেখতে পেতাম।আর এখন দেখতে পাচ্ছিনা।একদম মন বসছেনা এখানে।কেমন অস্থির লাগলে।প্রেমে পড়লে হয়তো এমনি ফিলিংস হয়।
তার কথা বারবার মনে হবে।অস্থির লাগবে।তাকে দেখতে মন চাইবে।মনে হবে তার সাথে একটু কথা বলতে পারলে হতো।আমারো এমন হচ্ছে।
–কি দোস্ত এত অস্থির কেন?
–কোথায় অস্থির।??
–বুঝতেই পারছি কেমন করছিস।কোনো কিছুতে মন বসাতে পারছিস না।
–এমনিতেই ভালো লাগছেনা।
–আরিয়াকে মনে পড়ছে??
–এখানে আরিয়ার কথা কেন আসলো।
–যাকে ভাবছিস যার জন্য অস্থির তার কথা তো আসবেই।
–তোর এতো ভাবতে হবেনা।তুই চুপচাপ থাক।
–হু।তোর সাথে কথা বলাই বেকার।
–তাহলে বলিসনা।
–হুট।
রাগ করে চলে গেল।কোন মতে রাত পার করছি।স্বপ্নেও আরিয়াকে দেখছি।এই রোগ যার হয়।তার যে কি সমস্যা।কোন মেডিসিন নাই।মরবেও না আবার সুস্থ থাকবেও না।মধ্য ব্যধি একটা।
পরের দিন বাসিয় আসবো।সেদিন ও একটা দরকারে আসা হলোনা দুই দিন অনেক কষ্টে কাটিয়েছি।মনে হচ্ছে ২ দিন ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেছে।তবে বাড়িতে ফিরছি।এতে অনেক আনন্দ লাগছে যে আরিয়াকে দেখতে পাবো।
–মুচকি হাসিস কেন?
আমার এক বন্ধুর কথায় তার দিকে তাকালাম।কথা ঘুরাতে বললাম
–কাল কার্টুন দেখছি সে কথা মনে পড়ছে।আর তাই হাসি পাচ্ছে।
–আচ্ছা আমরা কি ফিটার খাই?
–খেতেও পারিস চুপিচুপি
–তোর সব কথা তেড়ি করে নেয়া লাগে?
–কথা তো সোজা পথেই যায়।বিজ্ঞান তো সেটাই বলছে।
–আর্টের ছাত্র তুই বিজ্ঞানেরর কি বুঝিস।
–আরে তোর মতো উল্লুকে পরিচালনার বিজ্ঞান জানি।
–সাগর ভালো হবেনা।
–কি করবি?
–আরিয়াকে তোর অতীত বলে দেব?
–তো আমি কি করবো?
–ঠিক আছে বলবনি।
আমি তার কথা ভাবছি।অতীত জীবনে একটা পুলিশ সুপারের মেয়েকে পছন্দ করতাম।মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিল।কিন্তু জাদরেল ছিল জানতাম না।
একদিন সেজে গুজে একদম নায়ক সেজে প্রোপোজ করছি।তখন আমাকে তার বন্ধুদের সামনে কান ধরে উঠবস করাইছে।
এই কথা যদি আরিয়াকে বলে তাহলে ইজ্জত বলে আমার কিছু থাকবেনা।ইজ্জত ফালাফালা হয়ে যাবে।
–রিদয়?
–তোর আবার কি হলো?
–চকলেট খাবি?
–আমি ছোট নাই যে খাবো।
–তাহলে কি খাবি?
–আচ্ছা তুই হঠাৎ জামাই আদর করতে চাচ্ছিস নিজে থেকেই বাট কেন?
–তুই আমার কত ভালো বন্ধু।তোর মতো বন্ধু আর একটাও নাই।
আমার কথা শুনে হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে
–কার মুখে কোন কথা শুনছি?
–আমার মুখে শুনছিস।
–কিন্তু কেন??
–আরিয়াকে আমার অতীতের কথা বলিস না।
–ও এই ব্যাপার।তাই বলি কার মুখে কি কথা।
–আমার ইজ্জতটা রাখিস দোস্ত।
–পারবোনা।
–ঠিক আছে তাহলে আমিও সামিয়াকে বলবো তোকে একটা মেয়ে পাবলিক প্লেসে থাপরাইছিল।
–তোর মনে আছে??
–থাকবেনা কেন?কেন থাপরাইছে তাও মনে আছে।
–দোস্ত চুপকর এই কথা বললে সামিয়া আমাকে থাপরাবে।
–এক শর্তে বলবনা।
–কি শর্ত?
–তুই ারিয়াকে কিছু বলবিনা।আমি ও তাহলে সামিয়াকে কিছু বলবোনা।
–ঠিক আছে রাজি।
–ওকে।
তারপর নিশ্চিন্ত মনে বাড়িতে আসতেছি।বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে কেউ নাই।বেল দিয়ে দিয়ে দরজা খুলছেনা।আমি ফোন বের করে মাকো ফোন দিলাম
–মা কোথায় তুমি?আমি বাড়ির বাহিরে দাড়িয়ে আছি।
–আমি তোর বাবা আরিয়ার বাসায় আছি।
–ওখানে কেন?
–কারন আছে।তুই এখানে আয়।
–আচ্ছা।
ফোনটা রেখে আরিয়ার বাড়িতে গেলাম।আমার বাবা মা সহ আরিয়ার কয়েকজন আত্তীয় এসেছে দেখছি।সবার মুখ ভারি হয়ে আছে।মনে হচ্ছে বড় আকারের কিছু হয়েছে।
আমি গিয়ে মাকে ডেকে নিয়ে এক সাই ডে এলাম।
–কি হয়েছে মা??এত মানুষ কেন??আর সবাই এত চুপচাপ কেন??
মা যা বললো তা শুনে মাথাতে রক্ত উঠে গেছে।ঘটনা টা এমন।
আজ সকালে আরিয়া তার কলেজ যাবার পথে কিছু বখাটে ঝামেলা করে।আসার পথেও।আর সন্ধ্যার দিকে এসে আরিয়ার বাবা মাকে বলে গেছে সে আরিয়াকে বিয়ে করবে।না দিলে জোর করে দুলে নিয়ে গিয়ে করবে।তাই এত মানুষ।
আর সবাই এ ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিতে এত গুরুগম্ভীর ভাবে ভাবছে।
চলবে……
লেখা ঃ Sagor Islam Raj(ভালোবাসার কবি)

#আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তী পার্ট দিবো। আসা করি সবাই লাইক কমেন্ট করে সাথেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here