#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_10
সময় চলে যায়,,,,,,
কেটে গেছে অনেকটা সময়। সমাপ্ত আর আনন্দি দুজনেই কলেজের গন্ডি পেরিয়ে এখন ভার্সিটিতে পা দিয়েছে। এই দিনগুলোতে আনন্দি সর্বোচ্চ চেষ্টা করত নিজেকে সমাপ্তর থেকে দুরে রাখতে। নিজের আর সমাপ্তর সম্পর্কটা বন্ধুত্বের গন্ডিতেই রেখেছে আনন্দি।
তবে যদি সমাপ্ত একধাপ এগিয়ে আসে তবে দুইধাপ এগোতে একবারও ভাববে না আনন্দি।
কিন্তু এই দিনগুলোতে সমাপ্ত একটুও এগোনোর চেষ্টা করে নি। বরং আনন্দির দুরে থাকাতে যেন হাপ ছেড়ে বেঁচেছে ও।
আনন্দি বুঝতে পারে সমাপ্ত কি চায় তাই তো এডমিশান টেষ্টে শহরের বাইরের ভার্সিটিগুলোতে চান্স পাওয়ার চেষ্টা করেছে আনন্দি। আর নিজ শহরের ভর্সিটি গুলোতো যতোটা পেরেছে নিজে থেকেই খারাপ পরীক্ষা দিয়েছে যাতে চান্সটা না হয়।
হলোও তাই নিজ শহরের কোন ভার্সিটিতে চান্স হয় নি আনন্দির। বরং শহর থেকে বেশ অনেকটা দুরে একটা যেনতেন ভার্সিটিতে চান্স হয় আনন্দির।
এতে কোন আফসোস নেই আনন্দির। বরং সে যে ওই বাসা থেকে দুরে থাকতে পারবে এতেই শান্তি। দুরে থাকতে পারবে সমাপ্তর থেকেও।
আগে যতোটা ছোট আর অবুঝ ছিল বয়সের পরিক্রমায় তা আর নেই। এখন অনেক কিছু বুঝে আনন্দি। তাই তো নিজের সুখের কথা ভেবে অন্যকে কষ্টে রাখতে চায় না।
আনন্দির মনে হয় ও আশেপাশে থাকলে সমাপ্ত বিব্রত হয়। কলেজ জুরে হাজারটা মেয়ে বান্ধবী ছিল সমাপ্তর। আবশ্য সে সবের মধ্যে আনন্দিই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল এটা সবসময় শিকার করে সমাপ্ত। কিন্তু নিজের হাসবেন্ডকে শুধুমাত্র ফ্রেন্ড হিসেবে মেনে নিতেও পারে না আনন্দি।
ওদের বিবাদটা এই জায়গাতেই।
ভার্সিটিতে চান্স হওয়ার পর বাসা থেকে গিয়ে হোস্টেলে ওঠে আনন্দি। এতে অবশ্য বাসার সবাই অনেক আপত্তি করেছিল কিন্তু পরে হার মেনে নেয় আনন্দির সামনে। আনন্দির যুক্তির কাছে হেরে যায় সবাই। আনন্দি যেন সেই বাসা থেকে বেড়িয়ে একটুকরো মুক্তির স্বাদ নেয়।
এই সবের মধ্যে সমাপ্ত ছিল সব থেকে বেশী চুপ। শুধুমাত্র একদিন ছাদে আনন্দিকে একা পেয়ে বলেছিল,
– প্লিজ তুই যাস না এতোদুরে। এখানে কোন প্রাইভেট ভার্সিটিতে তোর ভর্তির ব্যবস্থা আমি করে দিব। তবুও এতোটা দুরে চলে যাস না।
আনন্দি মৃদু হেসে বলেছিল, কেন রে, মিস করবি আমায় আমি চলে গেলে?
সমাপ্ত কিছু না বলে ছাদ থেকে নেমে আসে। আনন্দি হালকা হেসে বলে, মানুষ কখনও দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বুঝে না রে। তুইও বুঝবি না।
এই ঘটনাটাই যেন আনন্দি চলে যেতে আরও ইন্ধন যোগায়। চলে যায় আনন্দি।
কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন ছুটিতে আনন্দি বাসায় আসে। বাসায় এসে আনন্দি নিজের আগের ঘরটার কোন আস্তিত্ব খুজে পায় না। আনন্দির ঘরটা এখন গেস্টরুমে পরিনত হয়েছে আর ওর জায়গা হয়েছে সমাপ্তর ঘরে। আনন্দি আসার আগেই ওর সব জিনিসপত্র সমাপ্তর ঘরে শিফট করা হয়েছে।
আনন্দির প্রচুর ইতোস্থত লাগে। সেই যে বাসর রাতের পরের দিন ওই ঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছিল তারপর আর থাকার জন্য কখনও ওই ঘরমুখো হয় নি আনন্দি। এতোদিন পর আবার সেই ঘরেই ওর থাকতে হবে।
মনে মনে ভাবে নিয়তি এতো নিষ্ঠুর কেন ওর সাথে?
সমাপ্ত রাতে বাসায় এসে আনন্দিকে দেখে বেশ খুশি হয়। খাওয়া-দাওয়া করে দুজনেই ঘরে এসে গল্প জুরে দেয়। জার্নি করে এসে আনন্দি বেশ ক্লান্ত ছিল, ঘুম নেমে আসছিল দুই চোখ জুরে। কিন্তু সমাপ্তকে এমন আগ্রহ নিয়ে গল্প করতে দেখে আনন্দি আর কিছু বলতে পারে নি। নিরবে সারা রাত সমাপ্তর গল্প শুনেছে।
ভোরের দিকে ঘুম আর আটকে রাখা যায় নি। গল্প শুনতে শুনতেই ঝিমোতে থাকে আনন্দি। সমাপ্ত আনন্দির কাছে এসে ওর ঘাড়ে হালকা ঝাকুনি দিয়ে বলে,
– কি রে ঘুম আসছে?
আনন্দি ঘুমে ঢুলুঢুলু আবস্থাতে কথা বলল, হুম।
ঘুমন্ত আনন্দির গলাটা শুনে চমকে ওঠে সমাপ্ত। এতো মিষ্ট একটা ভয়েস এর আগে কখনও শোনে নি সমাপ্ত। আনমনে বলে ওঠে, তুই যদি রেডিওতে আরজে হোস তাহলে তোর শো সেই হিট হবে। হাজার হাজার লোক তোর ভয়েস শুনে পাগল হয়ে যাবে।
আনন্দি ওভাবেই আবার বলে, হাজার হাজার লোককে তো না। আমি একজনকেই পাগল করতে চাই কিন্তু সে তো হয়ই না।
– হবে আলবাত হবে। তুই শুধু একবার এই ঘুম জড়ানো ভয়েসটা ওকে শুনাস। দেখবি তোর আগে পিছে ঘুরবে।
কথাটা শুনে আনন্দি যেন চকিতে ওঠে বসে। ঠিক হয়ে বসে ও সমাপ্তদিকে তাকিয়ে বলে, কি করে বললি ? আমার ভয়েস শুলে যে সে আমার আগে পিছে ঘুরবে তার প্রমাণ কি? তোরও কি আমার ভয়েস শুনে কোনরকম হয়েছে নাকি যে এরকম বলছিস?
সমাপ্ত কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে যায়। ধমকে ওঠে বলে, এই না তো ঘুম পাচ্ছিল। এখন এতো কথা বলিস কিভাবে? ঘুমা।
কথাটা বলে সমাপ্ত ওঠে ওয়াসরুমের দিকে যায়। আনন্দি আবারও গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়ে।
সমাপ্ত ওয়াসরুম থেকে এসে দেখে আনন্দি যেখানে বসে ছিল সেখানেই গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়েছে। নিঃশ্বাসগুলো বেশ ভারী হয়ে পড়ছে। সমাপ্ত বুঝল আনন্দি ঘুমিয়ে পড়েছে।
ও আনন্দিকে কোলে তুলে ঠিক যায়গায় শুইয়ে দেয়।
সমাপ্ত এসে আপর পাশে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পর আনন্দি হঠাৎ সরে এসে সমাপ্তর কোল ঘেসে শোয়। এটা যে ও ঘুমের ঘোরে করেছে তা সমাপ্ত বুঝতে পারে।
জেগে থাকলে তো একশো হাতের ভিতরেও ও কখনও আসে না। একটা নিদিষ্ট গন্ডির মধ্যে নিজেকে বেধে রাখে সবসময়।
হঠাৎ কি যেন হলো সমাপ্তর, ঝাপটে ধরল আনন্দিকে। দুইহাত আর দুই পা দিয়ে সাপের মতো পেচিয়ে ধরে আনন্দিকে। এমনভাবে পেঁচিয়ে ধরেছে যে দুজনে মধ্যে সামান্যতম বাতাস চলাচলেরও কোন সুযোগ নেয়।
সকালে আগে ঘুম ভাঙ্গে সমাপ্তর। দেখে আনন্দি সেইভাবেই গুটিসুটি হয়ে ঘুমিয়ে আছে ওর বুকে। একটা ছোট্ট বাচ্চার মতো গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে যেন এই জায়গাটাতে ওর পরম সুখ। সমাপ্তর বুকটা যেন ধক করে ওঠে। ও উঠে ওয়াসরুম চলে যায়।
আনন্দি ঘুম ভাঙ্গল বেশ দেরী করে। একে তো জার্নি করে এসেছে তাই ক্লান্ত ছিল তার উপর আবার সারা রাত জেগে সমাপ্ত গল্প শুনেছে। তাই ঘুম ভাঙ্গতে এতো দেরী।
বাড়ির কেউ অবশ্য ডাকে নি। কারন সমাপ্ত নিষেধ করেছে, ও যতক্ষণ খুশি ঘুমাক কেউ যেন না ডাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে সমাপ্তকে দেখতে পেল না আনন্দি। সমাপ্ত বেড়িয়ে গেছে আরও আগে। সারাটা দিন আর সমাপ্তর দেখা মিলবে না।
অনেকদিন পর বাড়ি ফিরে বেশ ভাল লাগছে আনন্দির। সবাই ওকে পেয়ে বেশ খুশি। মনোয়ারা বেগম তো সারাদিন আনন্দি কি খেতে পছন্দ করে তা রান্না করতেই ব্যস্ত। তার এক কথা,
মেয়েটা ওখানে কি খায় না খায়। কেমন যেন শুকিয়ে গেছে একেবারে। এখন বাড়ি এসেছে আমাকে আবারও খাইয়ে দাইয়ে ঠিক করতে হবে। কত করে বললাম যাস নে এতো দুরে। কে শোনে কার কথা। এই যে এখন না খেয়ে থেকে শরীরের এই আবস্থা এতে কি আবার কষ্ট হয় নাকি তার হয়। আমার ভালবাসাটা তো কেউ বোঝে না। সব কটা বড় হয়েছে আর একেকটা লায়েক হয়েছে।
আনন্দি মনোয়ারা বেগমের কথাশুনে মুচকি মুচকি মুচকি হাসে। তার বেশ আনন্দ লাগে মায়ের থেকে এভাবে বকা শুনতে। এতোদিন ওখানে এই জিনিসটা খুব মিস করেছে। আরও অনেক কিছু মিস করেছে সেসব আর না বলি।
তবে এতোদিন পর ফিরে এসে ও সমাপ্তর কাছে বেশ এটেশানও পেয়েছে। সমাপ্তও যেন সর্বদা আনন্দির সাথে লেপ্টে থাকে। সারা রাত ও এই সেই গল্প করেই কাটায় এতে আনন্দির যতো কষ্টই হোক না কেন।
পরে বলে, তোর কষ্ট হলে আমার কি রে? তুই কি কারও কষ্ট দেখেছিস? খুব তো ট্যাং ট্যাং করে চলে যাওয়া হয়েছে আবারও চলে গেলে আমি আমি আমার এতো কথা কাকে শোনাব? তাই কষ্ট করে হলেও তোকেই শুতে হবে।
এতেও আনন্দি মুচকি হাসে। এই কথাগুলোর মাঝেও ও ভালবাসা খুঁজে পায়।
দুই দিন পর~~~
আজ সমাপ্তর ফিরতে বেশ দেরী হয়। অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে তবুও সমাপ্ত ফেরে না। অবশেষে আনন্দিকে ঘুমাতে বলে সবাই ঘুমাতে চলে যায়। কারন এটা সমাপ্ত জন্য নতুন কিছুই না। সমাপ্ত এমনটা মাঝে মাঝেই করে। এটা আনন্দিও জানে।
কিন্তু তখনও আনন্দি জেগে অপেক্ষা করে সমাপ্তর জন্য। বারবার সমাপ্তকে ফোন করতে থাকে কিন্তু ফোনটা সুইচ অফ বলছে। এমনটা সমাপ্ত কখনও করে না।কখনও ফোন বন্ধ করে রাখে না সমাপ্ত।
তাহলে কি সমাপ্তর সাথে খারাপ কিছু হল। বারবার কু ডাকছে আনন্দির মন। খারাপ চিন্তায় মনটা ছেয়ে গেছে।
ঘড়িতে রাত তখন একটা। হঠাৎ কলিংবেলটা বেজে ওঠে।
আনন্দি দৌড়ে গিয়ে দড়জাটা খুলে দেয়। দেখে দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে সমাপ্ত।
আনন্দি দড়জাটা খুলে একটু সরে দাড়াতে সমাপ্ত বাড়ির মধ্যে ঢুকল।
সমাপ্ত হাটাটা বেশ অদ্ভুত লাগে আনন্দি কাছে। মনে হচ্ছে যেন ঠিক করে হাটতে পারছে না। বারবার টলছে।
সমাপ্ত টলতে টলতে ঘরে চলে যায়। আনন্দি দড়জাটা লাগিয়ে সমাপ্তর কাছে যায়। ওর মনে হয় হয়তো সমাপ্ত পায়ে কোন ব্যাথা পেয়েছে তাই অমন করে হাটছে।
আনন্দি সমাপ্তর পাটা নেড়ে চেড়ে দেখতে দেখতে বলে, কি হয়েছে তোমার? এমন করে হাটছ কেন? ব্যাথা পেয়েছ পায়ে?
সমাপ্ত বাচ্চাদের মতো করে তাকিয়ে আছে আনন্দির দিকে। আনন্দি মাথা তুলে সমাপ্তকে দেখে আবার বলে, ব্যাথা পাও নি?
সমাপ্ত বাচ্চাদের মতো করে মাথা নেড়ে না বলে।
আনন্দি ভারী চিন্তিত ভাবে সমাপ্তর একটু কাছে যেতেই একটা গন্ধ এসে নাকে লাগে। এটা কিসের গন্ধ তা আনন্দি জানে না তবুও সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে বেশ কড়া গলায় বলে, আর ইউ ড্রাংক?
আনন্দি আন্দাজে বলেছিল। কিন্তু সমাপ্ত আবারও ওর সেই বিখ্যাত হাসি দিয়ে দুইদিকে মাথা নাড়ায়। আনন্দি যেন আকাশ থেকে পরে। সমাপ্ত ড্রিংক করে এটা আনন্দি মেনে নিতে পারে না। আবারও কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বল, কবে থেকে কর এসব?
সমাপ্ত আবারও বাচ্চাদের মতো করে চোখ দুটো ছোট ছোট করে বাচ্চাদের মতো করে বলে, এর আগে কখনও খাই নি বিশ্বাস কর। আজকেই প্রথম, ওরা জোর করল তাই।
কথা গুলো বলতে বলতে সমাপ্ত এসে আনন্দিকে জড়িয়ে ধরে। এমন আচমকা জড়িয়ে ধরবে আনন্দি বুঝতে পারে নি। বেশ অবাক হয় আনন্দি। তারপর সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে বলে, আচ্ছা বিশ্বাস করলাম। এখন ছাড় আমাকে।
সমাপ্তর চোখ মুখে যেন হাসি ছড়িয়ে পড়ল। ওর চকচকে চোখ নিয়ে আনন্দির দিকে তাকিয়ে বলল, না ছাড়ব না।
– ছাড়বে না তো কি করবে? বেশ বিরক্তি নিয়ে বলল আনন্দি।
– আদর করব। এবার সমাপ্তর গলাটা বেশ গম্ভীর শোনাল।
সমাপ্তর কথা শুনে আনন্দির আবাক হওয়ার যেন সীমা থাকল না। মনে হল যেন দুটো বিট মিস করল। এ কি বলে সমাপ্ত। আনন্দি এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে নিজেকে ছোটানোর চেষ্টা করল। কিন্তু এতে লাভ কিছুই হলো না। সমাপ্ত আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরল আনন্দিকে।
সমাপ্ত আনন্দির আরও কাছে গিয়ে ওর খোপাটা খুলে দিল। তারপর ওর চুলের কাছে গিয়ে গন্ধ নিতে লাগল। সমাপ্তর নিঃশ্বাস পড়ছে আনন্দির ঘাড়ের উপর, শীতল নিঃশ্বাস।
মাঝে সমাপ্ত ফু দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে আনন্দির চুলগুলো। আনন্দির পুরো শরীরটা যেন অসাড় হয়ে আসছে। একটু আগে যে ছোটার জন্য লাফালাফি করছিল এখন আর বিন্দু মাত্র শক্তি পায় না আনন্দি।
সমাপ্ত হঠাৎ করে একটা চুমু খায় আনন্দির ঘাড়ে। এই একটা চুমুই যেন আনন্দিকে ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট ছিল। আনন্দি আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়ে সমাপ্তর গায়ে উপর। সমাপ্ত নিজের শক্ত দুটি হাত দিয়ে আগলে ধরে আনন্দিকে।
তারপর চকিতে আনন্দিকে কোলে তুলে নিয়ে এগিয়ে যায় বিছানার দিকে।
ওদের জীবনে প্রথম এমন একটি সুগন্ধী রাতের সুচনা হল। সেই রাতের ভোর কখন হবে তা কেউ জানে না।বরং না হলেই বোধ হয় ভাল।
ওরা দুজন দুজনের মাঝে হাড়িয়ে যেতে থাকল, হাড়িয়ে দিতে লাগল নিজেকে, আর খুজতে থাকল অন্যকে।
চলবে,,,
জাকিয়া সুলতানা