গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব ২২

#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_২২
.
.
🦋
” ওকে খেয়ে নেও দ্রুত নিশ্চয়ই তোমার খুব খিদে পেয়েছে?”

” হুম পেয়েছে তবে নুডুলসের না তোমার খিদে…”

” লুচ্চা বেডা চুপচাপ খেয়ে নেও ৷ নাহলে তোমার খবর আছে ৷”

স্মরণ আচমকা প্রাণোর হাত হ্যাচকা টান দিয়ে কোমড় ধরতে প্রাণো ব্যাথায় কুকড়ে ওঠে ৷ স্মরণ প্রাণোকে ছেড়ে দিয়ে পাশে বসিয়ে উদ্বিঘ্ন হয়ে জানতে চায় .” কি হয়েছে প্রাণ তুমি এভাবে কুকড়ে উঠলে কেন? কোথায় কষ্ট হচ্ছে বলো আমাকে..?”

” কোমড়ে…” দাঁতে দাঁত চেপে উওর দিলো দিলো প্রাণো৷

স্মরণ প্রাণোর জামা কোমড় থেকে খানিকটা সরাতে স্মরণ এর প্রচন্ড রাগ হয় নিজের প্রতি, রাগের মাথায় সে তার প্রাণ কে আঘাত করেছে ৷ কোমড়ে কয়েক জায়গায় ছিলে গেছে রক্ত বের হচ্ছে ৷ স্মরণ দ্রুত রক্ত পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে দিয়ে প্রাণোর সামনে হাটু গেড়ে প্রাণোর হাত দু’টো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলতে লাগলো,” আই এম স্যরি প্রাণ ৷ আমার জন্য তোমাকে কষ্ট পেতে হলো বাট ট্রাস্ট মি আমি এটা চাই নি কিন্তু রাগে মাথায় তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেললাম৷ প্রাণ তোমাকে খুজে না পেয়ে মনে হচ্ছিলো আমি মনে হয় মরে যাবো ৷ আই কান্ট .. আই কান্ট লিভ উইথ আউট ইউ প্রাণ৷ আই লাভ ইউ .. আই লাভ ইউ সো ম্যাচ ” কথা গুলো বলতে বলতে চোখের কোন বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে প্রাণো স্মরণের চোখের পানি মুছে দিয়ে স্মরণ কে বেডে বসিয়ে প্রাণো স্মরণের কোলে বসে গলা জড়িয়ে ধরে বলে..” ইউ নো ওয়াট মাই কিউট হাসবেন্ট এই প্রাণো তার স্বামীকে প্রচন্ড ভালোবাসে ৷ তাকে ছাড়া নিজেকে কল্পনাও করতে পারে না৷ এই প্রাণোর হৃদয়ের স্পন্দন শুধু তার নামই জপ করে৷ কারণ এই প্রাণো ভালোবাসে তার বদরাগী নাক উচু ঘাড়তেরা বরটাকে ….” এতোটুকু বলে প্রাণো স্মরণের নাকটা টেনে দেয়৷ সাথে সাথে স্মরণ হেসে ফেলে টুক করে প্রাণোর গালে চুমু খেয়ে বলে,” ভালোবাসি প্রাণ ভিষণ ভালোবাসি ৷”

” এখন ভালোবাসা সাইডে রেখে খেয়ে নেও প্লিজ নুডুলস টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো..””

” তাহলে খাইয়ে দেও”

প্রাণো মিষ্টি করে হেসে স্মরণের কোল থেকে নেমে নুডুলস নিয়ে স্মরণ কে খাইয়ে দিতে লাগলো৷

_________

” সাদমান প্রাণোকে এখনো বাড়ি ফেরেনি কেন? ফোন করেছিলাম ফোন বন্ধ বলছে এই সব কি হচ্ছে এই বাড়িতে বলতে পারো ?”

” বাবা প্রাণো ওর বান্ধবীদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করছে নেক্সট মান্থ ওর এক্সাম ৷ এই বিয়ে বিয়ে খেলা নিয়ে প্রাণো যথেষ্ট পড়াশুনায় পিছিয়ে গেছে তাই আমি বলেছি ঠিক মতো স্টাডি করতে৷ ”

” বেশ ভালো কথা তাহলে বাসায় ফোন করে তো বলতে পারতো?”

” ওহ বাবা বলতে ভুলে গেছি প্রাণোর ফোনটা নষ্ট হয়ে গেছে তাই তোমাকে ফোন করে জানাতে পারেনি৷”

” রাতে ফিরবে তো?”

” বাবা পড়াশুনা করতে করতে যদি রাত হয়ে যায় তাহলে ফিরবে না স্মিতার বাড়িতে থেকে যাবে৷ একে বাড়ে কাল সকালে ফিরবে৷”

” ঠিক আছে ৷ আর শোন সাদমান আমি প্রিয়া শশুর বাড়ির সবাই কে দাওয়াত করতে চাই আগামি শুক্রবার৷ ”

” বাবা ওনারা কি আসবে? তার বউভাতের অনুষ্ঠান পর্যন্ত করেনি তাহলে বুঝতেই পারছো প্রিয়াকে মেনে নেয়নি তারা৷”

” ওটা নিয়ে তুমি ভেবো না ৷ তোমাকে যা বলেছি তুমি তাই করবে ৷ ”

” ওকে বাবা ”

সাদমান নিজের মনে বিড়বিড় করতে করতে নিজের রুমে চলে গেল৷

_________

” কণা টিম রেডি তো?”(RV)

” একদম , প্রাণো যেভাবে বলেছিলো আমি ঠিক সেভাবে করেছি৷ কিন্তু আমার টেনশন হচ্ছে টিমে জয়েন করা নতুন মেয়েটা কে নিয়ে কি যেন নাম ও হ্যাঁ সিমি ৷ সিমি কি পারবে ওখানে লড়াই করতে?”

” প্রাণো যখন কোন সির্ধান্ত নিয়েছে নিশ্চয়ই ভেবে চিন্তে নিয়েছে? তোমার আমার উচিত প্রাণোর সির্ধান্ত কে সন্মান করা ৷ আফটার অল প্রাণো আমাদের টিমের হেড ও না থাকলে এই টিম কখনো গঠন হতো না৷”

” সে না হয় বুঝলাম কিন্তু প্রাণো আসতে এতো লেট কেন করছে? আমাদের বের হবার সময় হয়ে গেছে ৷ বরং আমি প্রাণোকে ফোন করি ৷” কণা প্রাণোকে ফোন করতে নিলে RV বাধ সাজে৷

” ওকে ফোন করে পাবে না কণা৷”

” কেন?”

” কারণ প্রাণোর ফোনটা অক্কা পেয়েছে তার হাসবেন্ট এর আছারে..”

” হাসবেন্ট অক্কা ফোন মানে কি ? আমি কিছু বুঝতে পারছি না RV ৷ একটু ক্লিয়ার করে বলো প্লিজ৷”

RV হাসতে হাসতে শুরু থেকে সবটা কণাকে বললো ৷ সবটা শুনে কণা হতবিহ্বল হয়ে RV দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,” প্রাণো ঠিক আছে তো? তোমার মুখে যা শুনলাম ওর বর মনে হয় অনেক রাগি! যেভাবে সবার সামনে দিয়ে তুলে নিয়ে গেল কি করবে ওর সাথে আল্লাহ জানে!”

” কিচ্ছু করবে না দেখো কারণ আমি দেখেছি ছেলেটার চোখে প্রাণোর জন্য চিন্তা রাগ অভিমানের পাশাপাশি অফুরন্ত ভালোবাসা ৷ এ ছেলে কখনো প্রাণোকে কষ্ট দিবে না আমি গ্যারান্টি সহকারে বলতে পারি৷”

” না দিলেই ভালো ৷ তো এখন তো প্রাণো বিয়ে করে নিলো ৷ এবার কি আমার প্রপোজাল টা এক্সেপ্ট করা যায়?”

RV কণার কথা শুনে ধিরে ধিরে কণার কাছে গিয়ে দাড়াতে কণা একটু ভয় পেয়ে পেছনে সরে যেতে নিলে RV কণাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে অন্য হাত কণা চুলে ভাজে রেখে আলতো করে কণা ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলে,” বিয়ের জন্য প্রস্তত হও কণা পাখি ৷ খুব দ্রুত তোমাকে এই রেহান মির্জার ভালোবাসার কঠুরিতে তোমাকে বন্দি করা হবে৷ তৈরি তো তুমি?”

আনন্দে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে RV তার ঠোঁট জোড়া দিয়ে পানিটা শুষে নিয়ে কণার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে বলে,” কণা পাখি আমি প্রাণো কে পছন্দ করতাম ঠিকি কিন্তু ভালো আমি তোমাকেই বেসেছি ৷ ভালোবাসা উপলব্ধি করেছি যখন তুমি হসপিটালের বেডে শুয়ে ছিলে অসুস্থ হয়ে৷ তখন মনে হয়েছিলো আমি তোমাকে হাড়িয়ে ফেলবো৷ বিশ্বাস করো কণাপাখি তখন নিজের ভেতর টা শূন্য মনে হচ্ছিলো ৷ ইচ্ছে করছিলো তোমাকে সারা জীবন এই বুকের ভেতর জড়িয়ে রাখতে ৷”

” তাহলে এই দুবছর কেন আমাকে পোড়ালে RV?”

” কারণ আগুনে পুড়িয়ে আমার তোমার ভালোবাসা আরো খাটি করতে চেয়েছিলাম৷”

” তুমি খুব খারাপ RV”

” আমি জানি তো আমি খারাপ আর এখন এই খারাপ মানুষটার সাথে তোমাকে চিরকাল থাকতে হবে৷”

” ভালোবাসি ”

” ভালোবাসি তোমায় কণাপাখি”

______________

স্মরণের ফোনে সময় দেখে প্রাণো চিন্তিত হয়ে পড়লো ৷ কারণ এখন তাকে বের হতে হবে ৷ সময় অনুযায়ী তার জন্য টিম অপেক্ষা করছে কিন্তু স্মরণকে কি বলে বের হবে? আর বের হবে বা কি করে? স্মরণ যদি টের পেয়ে যায় তখন? ভাবতে ভাবতে প্রাণো তার ব্যাগ চেক করে দু’পাতা ঘুমের ঔষধ পেলো৷ সাজিতের সাথে এঙ্গেজমেন্ট হওয়ার দিন প্রাণো ঔষধ গুলো কিনে ছিলো নিজের জন্য রাতে ভালো ঘুম হতো না বলে ৷ কিন্তু ঔষধ গুলো আর খাওয়া হইনি ব্যাগে পড়েছিলো৷ আজ তার এগুলো কাজে আসবে৷ স্মরণ বাইরে থেকে খাবার কেনার জন্য বেড়িয়েছে৷ ফোন টা বাড়িতে রেখে গেছে৷ প্রাণো বুদ্ধি করে RV কে মেসেজ করে জানিয়ে দেয় তাকে বাংলোর পেছনের রাস্তায় অপেক্ষা করতে৷ তারপর দ্রুত মেসেজ ডিলিট করে দিয়ে জায়গা মতো ফোন রেখে দেয়৷ RV মেসেজ পেয়ে দ্রুত বেড়িয়ে পড়ে৷

স্মরণ বাইরে থেকে ফিরে নিজের হাতে খাবার প্লেটে সাজিয়ে প্রাণোকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয় ৷ প্রাণো বুদ্ধি করে তিনটে ঘুমের ঔষধ কোকাকোলায় মিশিয়ে দেয়৷ স্মরণ সেই কোক খেয়ে ফেলে৷ প্রাণো ঘুমের ভান করে স্মরণ কে বলে,” আমার না ভিষন ঘুম পাচ্ছে তুমি ও ঘুমাবে তো?”

” জ্বি না ওয়াইফি আজ কোন ঘুম হবে না ৷ কারন আমি আমার ওয়াইফিকে আদর করবো৷” স্মরণ প্রাণোকে কিছু বলতে না দিয়ে কোলে তুলে নিয়ে বেড রুমে চলে গেল৷ প্রাণো অপেক্ষা করছে ঔষধ এর রিয়েকশন কখন দিবে তার…. স্মরণ প্রাণোকে বেডে শুইয়ে দিয়ে প্রাণোর কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে ফেললো৷ সারাদিন প্রাণোকে খুজে না পাওয়ার টেনশন ক্লান্তি আর সাথে ঘুমের ঔষধ এর রিয়েকশন সব মিলিয়ে স্মরণ প্রাণোকে জড়িয়ে ধরে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল৷ গলায় স্মরণের ভারি নিশ্বাস পড়তে প্রাণো বুঝতে পারলো স্মরণ ঘুমিয়ে পড়েছে৷ প্রাণো সাবধানতার সাথে নিজেকে স্মরণ এর বাধন থেকে মুক্ত করে বালিশ রেখে দিয়ে ওড়না গায়ে জড়িয়ে নিস্তব্ধ পায়ে হেটে বেড়িয়ে গেল৷

” দ্রুত এখান থেকে চলো RV”

প্রাণোর কথা শুনে দ্রুত গাড়ি স্টাট দেয় RV৷ কিছুদুর যাওয়ার পর RV প্রাণোকে প্রশ্ন করে,” প্রাণো তোমার আসতে দিলো তোমায়?”

” বর বর করো না RV ওর নাম স্মরণ ৷ ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ ৷”

” ওকে তা স্বরণ ভাইয়া কে কি বলে আসলে?”

” কিছুই বলে নি যাস্ট কোক এর বোতলে তিনটে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছি ৷ এখন ঘুমাচ্ছে স্মরণ কাল সকালের আগে ঘুম ভাঙবে না স্মরণের…”

RV অবাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে আছে প্রাণোর দিকে, প্রাণো এমন কিছু করতে পারে তার বিন্দুমাত্র ধারণা RV করতে পারেনি৷ কি সহজ সাবলিল ভাষায় কথাটা বলে দিলো৷

RV আবার সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে বললো,” স্মরণ ভাইয়ার কোন ক্ষতি হবে না তো ?”

” আমি আমার স্বামীর ক্ষতি হতে দিবো RV? পাওয়ারি ঘুমের ঔষধ দি নি আমি ওকে, ওগুলো হালকা পাওয়ারের ঔষধ ছিলো৷”

প্রাণোর কথা শুনে হাফ ছেড়ে বাচঁলো RV. কিছুক্ষণের মধ্যে অফিসে পৌছে প্রাণো দ্রুত চেন্জ করে নিয়ে আর্মস গুলো ঠিক ঠাক করে দেখে নিয়ে নিলো৷

” সবাই তৈরি তো? আর বুলেট প্রুফ জেকেট পড়েছেন সবাই?”

” ইয়েস ম্যাম” সবাই একসাথে বলে উঠলো ….

“RV গাড়ি বের করো ৷ ”

” ওকে..”

আরমান শেখ এর পুরোনো ফ্যাক্টরির সামনে দাড়িয়ে আছে প্রাণো আর তার টিম৷ সবাই জানে বিশিষ্ট শিল্পপতি আরমান শেখ এর এই ফ্যাক্টরি বন্ধ কিন্তু তারা এটা জানে না এই বন্ধ ফ্যাক্টরির ভিতরে কি অনৈতিক কাজ চলে৷ প্রাণো তার টিম নিয়ে খুব সাবধানে ফ্যাক্টোরির পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে আলাদা আলাদা হয়ে বড় বড় ড্রাম কাটুন এর পেছনে লুকিয়ে পড়লো ৷ সিমিকে প্রাণো তার সাথে রেখেছে যেহেতু সিমি দলে নতুন আর ওর সেইফটির দায়িত্ব যখন প্রাণোর তখন জান দিয়ে হলেও সে সিমিকে রক্ষা করবে৷ প্রাণো সিমি লক্ষ করছে অনেক গুলো বেডের উপর অল্প বয়সি মেয়েরা শুয়ে আছে ৷ চার জন ছেলে এক এক করে প্রত্যেকটা মেয়ের হাতে ইনজেকশন পুশ করে দিয়ে নিজেরা নিজেরা বলাবলি করতে লাগলো৷

” মেয়ে গুলোর শরীরে ড্রাগ ইনজেক্ট করে দিয়েছি ৷ এবার মেয়ে গুলোকে গাড়িতে তুলতে হবে৷ ”

” শুধু কি মেয়ে গুলোকে গাড়িতে তুলতে হবে? ওই যে দেখছিস কাটুন গুলো ওর ভিতরে হিরোইন কোকো আছে ৷ কোটি কোটি টাকার মাল ওগুলো তুলতে হবে৷”

” ইসস আমার না মাল গুলো একটু চেক করতে ইচ্ছে করছে৷”

” ভুলেও সে চিন্তা করিস না হাবু৷ বস যদি একবার জানতে পারে তাহলে এখানে তোকে আমাকে শেষ করে দিবে৷ বস নাকি তার সব টাকা এর পেছনে খরচ করেছে৷ আর এগুলো যদি ঠিক সময়ে লোক গুলোর হাতে না পৌছে দিতে পারি তাহলে বস তোকে আমাকে তো শেষ করবে সাথে সে লোক গুলো বস কেও ছাড়বে না৷ আর লোক গুলো বসকে ছাড়লেও বস শেষ হয়ে যাবে৷ ”

” ওহ তাহলে এই চিন্তা বাদ৷ কিন্তু বাকি লোক কোথায়? এতো গুলো মেয়েকে শুধু মাত্র চারজন ছেলে মিলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না৷”

” ঠিক বলছিস ৷ আচ্ছা আমি বাইরে থেকে আরো লোক ডেকে আনি ৷”

” আচ্ছা..”

এক জন বের হতে চার জনের সংখ্যা কমে তিন জন হলো৷ প্রাণো RV কে চোখের ইশারা করতে RV সাথে আরো দুজন পেছন থেকে ছেলে তিনটাকে অজ্ঞান করে ফেলে৷ প্রাণো তাদের দলের একজন কে বলে গাড়ি টা এদিকে নিয়ে আসতে ৷ প্রাণোর নির্দেশ মতো গাড়ি ভিতরে ঢুকাতে বাইরে থেকে দশ থেকে বার জন ছেলে ভিতরে ঢুকতে দেখে প্রাণো সবাইকে আড়ালে লুকিয়ে যেতে বলে৷ RV সহ বাকি দুজন লুকিয়ে পড়তে ছেলে গুলো তার দলের তিন জনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে ছুটে আসে ততোক্ষণে প্রাণো সহ তার টিম ছেলে গুলো কে ঘিরে ধরে পায়ে শুট করে দেয়৷

” তোমরা দ্রুত মেয়ে গুলোকে গাড়িতে তুলো আর RV ড্রাগ এর কাটুন গুলো ওদের গাড়িতে তুলে নেও৷”

সিমি অবাক হয়ে প্রাণোকে দেখছে ৷ প্রাণো মেয়ের গুলোর হাতের পালস চেক করে দেখে প্রত্যেকের পালস খুব ধিরে চলছে ড্রাগ নেওয়ার কারণে হয়তো? এটা ভেবে দ্রুত ওদের গাড়ি তে তুলতে বলে ছেলে গুলোর পান্ডার চুলের মুঠি ধরে বলে,” বল আর কোথায় কোথায় আরমান শেখের এই ২ নাম্বারি বিজনেস চলে বল?”

” ব,,বলবো না ৷ তোরা জানিস না তোরা কার লেজে পা দিয়েছিস৷”

” তোর বস জানে না সে কার দৃষ্টিতে পড়েছে ৷ আমার নজরে একবার যে পড়ে তাকে একমাত্র বাঁচানোর ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারোর নেই৷ ”

” কে তুই ?”

” কে আমি! তোর বসের মতো নিকৃষ্ট জানোয়ার ২ নাম্বার লোকদের জন্য জমদূত ৷ বলেদিস তোর বসকে তার জমদূত তার সম্রাজ্ঞ্য ধ্বংস করে দিয়েছে আজ যেভাবে তার সম্রাজ্ঞ্য ধ্বংস করলাম ঠিক তার সঙ্গি সাথী কেও ধ্বংস করতে আসছি ৷ ”

মেয়ে গুলো আর ড্রাগ এর কাটুন গুলো গাড়িতে তুলে দিয়ে RV বলে, ” কাজ শেষ চলো৷”

প্রাণো সিমি কে নিয়ে চলে আসতে নিলে আর একটি ছেলে পেছন থেকে প্রাণো কে শুট করতে নিলে প্রাণো পেছনে না তাকিয়ে রিভলবার ঘুড়িয়ে শুট করে দেয় ছেলেটির বুকে৷ মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছেলেটি৷ সিমি চোখের সামনে ছেলেটিকে মরতে দেখে নিজেই জ্ঞান হারালো…..
.
.
.
#চলবে………….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here