#গল্পঃ_চুক্তির_বউ_যখন_প্রেগন্যান্ট_পর্ব_০৮
অজানা ভালোবাসার গল্প।
লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।
এসব ভাবতে ভাবতে বাসার সামনে চলে আসে..? রিধি ওদেরকে নামিয়ে দিয়ে বাকিদের নিয়ে থানার দিকে চলে গেলো। এদিকে আকাশ আর মেঘ বাসায় ডুকতেই আকাশের মা মেঘকে জড়িয়ে ধরে বললো…….
মামনিঃ-কোথায় ছিলি সারাদিন জানিস কত টেনশনে ছিলাম.? এইভাবে কোনো কিছু না বলে কেউ বাসা থেকে বের হয়.? আর যদি কখনো এমন হয় তাহলে মায়ের হাতে মাইর খাবি…??
মেঘঃ-মা শুনুন আপনার হাতে মাইর খাওয়ার জন্য এমন ভুল আমি বারবার করতে রাজি…???
আকাশঃ- কি তুমি আবারো ওই গুন্ডাদের কাছে যেতে চাও। দেখলে তো কি হলো….??
মেঘঃ-কিছুই হতো না। আপনি কেনো তাদের ফাঁদে পা দিতে গেলেন…???
আকাশঃ-মেঘ আমি না গেলে ওরা তোমাকে মেরে ফেলতো…??
মেঘঃ-পাগল নাকি তামিম মারবে আমাকে.? এর আগেই তো ওর সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি..??
আকাশঃ-মানে কি ভাবে…??
মেঘঃ-আজ তামিম আমাকে ধরে নিয়ে গেলো কিভাবে?
গুন্ডা পাঠিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে গেছে তাইতো এটাই ভাবছেন তাইনা.? আরে তামিমের এতো বড় সাহস নেই আমার কিছু করার.? একটা সময় ও তো আমাকে ভালোবাসতো…..???
আকাশঃ-তাহলে তুমি ওখানে গেলে কিভাবে…??
মেঘঃ-সবটাই প্ল্যান ছিলো.? নিজে থেকেই ওর কাছে ধরা দিলাম.? যাতে ওকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারি…??
আকাশঃ-প্ল্যান মানে…???
এরই মধ্যে বাসায় রিধি চলে আসলো। আর এসেই আকাশকে বললো……
রিধিঃ-হ্যা স্যার প্ল্যান….???
আকাশঃ-আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না..??
মেঘঃ-দাঁড়ান বুঝিয়ে বলছি.? রিধি তুমি বলো…??
রিধিঃ-হুমমম….???
মামনিঃ-আকাশের বাবা আপনার বাবার কম্পানি দখল করার জন্য,আপনার বাবার সব সম্পত্তি দখল করার জন্য আপনার বাবা ম্যানেজারকে চুরির দায়ে কম্পানি থেকে বরখাস্ত করেন.? আর সে জন্যই তামিম ও তার বাবা আপনাকে মারার প্ল্যান করেছেন.? সেদিন মারতে পারেনি…?
|||
কারন সেদিন আপনার বাবা জেনে গিয়েছিলো? সেদিন আপনাদের গাড়ির ব্রেক ফেইল করানো হয়েছে, তাই আপনার বাবা আপনাকে বাঁচাতে নিজে ড্রাইভ কন্ট্রোল করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেন..???
আকাশঃ-আর তামিম এতদিন মেঘের নাম ব্যাবহার করে টাকা নিতো…???
রিধিঃ-হুমম স্যার। তামিম এটাতে শিওর ছিলো মেঘের ক্ষতির কথা বললে আপনি মেঘকে বাঁচাতে নিজের জীবন টাও দিয়ে দিবেন.? তাই ওর নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য মেঘকে ব্যাবহার করেছে.? ভাগ্য ভালো মেঘ তামিমের আসল রুপ জেনে গেছে.? নয়তো আজ সত্যি মেঘের বড় কোনো বিপদ হতো…???
আকাশঃ-তুমি ওখানে গেলে কিভাবে…??
রিধিঃ-আজকে তামিম মেঘকে কিডন্যাপ করবে এটা মেঘ আর আমার প্ল্যান? কারন তামিমকে ধরার আর কোনো ভালো উপায় ছিলো না…??
আকাশঃ-যদি মেঘের কোনো ক্ষতি হতো…??
রিধিঃ-আমি থাকতে মেঘের কোনো ক্ষতি হতে দিতাম না। মেঘকে কিডন্যাপ করার কিছুক্ষন আগে মেঘ কল করে আমাকে। তারপর নিজের ফোন নাম্বার কলিং এ রেখে দেয়..?
|||
আর আমি ওদের লোকেশন মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাই.?
তাই ওখানে যেতে কোনো অসুবিধা হয়নি.? আজ মেঘ নিজে যদি তামিমকে ধরতে হেল্প না করতো তাহলে তামিম দুই একদিনের মধ্যেই আপনার উপর এ্যাটাক করতো…???
আকাশঃ-থ্যাংক ইউ রিধি আজ তুমি না থাকলে আমরা কেউই বেঁচে ফিরতাম না…???
রিধিঃ-থ্যাংকস তো মেঘের প্রাপ্য.? সময় মতো কল না দিলে আমি ওখানে যেতে পারতাম না…?
আকাশঃ-তাহলে আমার সাথে ডিল ফাইনাল করতে যে আমেরিকা গেলে…??
রিধিঃ-তামিম আমেরিকা ছিলো.? ওকে ফলো করার জন্য ইচ্ছে করে একটা ডিল করা.? আর আপনাকে
প্রটেক্ট করা….???
আকাশঃ-আমার বুঝা হয়ে গেছে.? এবার একটু আড্ডা দেই.? টেনশন করতে করতে প্রাণের বারোটা বেজে গেছে…??
মেঘঃ-আপনাকে টেনশন করতে কে বলেছিলো..??
আকাশঃ-তুমি বুঝবে কিভাবে.? তুমি তো আর…??
পুরোটা বলার আগেই আকাশের মামনি বললো……..
মামনিঃ-হয়েছে আর টেনশন করতে হবে না.? আসল অপরাধীর সাজা তো হয়ে যাবে এইবার.? এখন আর টেনশন করতে হবে না.? মেঘ তুই একটু চা করে আনতে পারবি.? আজ সারাদিন ধরে তোর হাতের চা খুব মিচ করছি…..????
মেঘঃ-আচ্ছা মা আমি চা নিয়ে আসছি…???
এরপর মেঘ রান্না ঘরে গিয়ে সবার জন্য চা নিয়ে আসে।
সবাই চা খেতে খেতে বেশ আড্ডা দিচ্ছে.। আকাশ বার বার মেঘকে দেখছে, কিছু একটা বলতে চাইছে..। কিন্তু সবার সামনে চাইলেও বলতে পারছে না।
মেঘ সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে। তাই এখান থেকে উঠে রান্না ঘরে চলে যায়.? রান্না ঘরে গিয়ে ইচ্ছে করে অনেক গুলো রান্নার আয়জন শুরু করে.?
কিছু সময় পর রিধি চলে গেলো? আকাশের মা রিধিকে
অনেক রিকুয়েষ্ট করলো খাবার খেয়ে যেতে, কিন্তু রিধি জরুরী কাজে চলে যায়..?
এরপর সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে.? খাবার খেয়ে মেঘ আর তানহা ছাদে বসে বসে গল্প করছে। গল্প করতে করতে এক পর্যায় তানহা বলে উঠলো……….
তানহাঃ-এখন কি করবি কিছু ভাবলি…??
মেঘঃ-হুমমম..??
তানহাঃ-কি সিদ্ধান্ত নিলি..??
মেঘঃ-চলে যাবো…??
তানহাঃ-মেঘ..??
মেঘঃ-হ্যা রে চলে যাবো.? এগ্রিমেন্টের এক বছর পার হয়ে গেছে। কাল সকালে এই বাড়ি ছাড়তে হবে। আর
আর বিপদ বাড়িয়ে কি লাভ…??
তানহাঃ মেঘ তুই একটা বার স্যারের কথা চিন্তা
করবি না…???
মেঘঃ-উনার কথা চিন্তা করেই বলছি.? আর তাছাড়া এগ্রিমেন্টে এটাই লিখা ছিলো,এক বছর পর যে যার রাস্তা বেঁচে নিবে.? আমার খেয়ালই ছিলো না আজ একবছর পুর্ণ হতে যাচ্ছে…??
তানহাঃ-মেঘ তুই কি জানিস স্যার তোকে…??
মেঘঃ-আমাকে কি…??
তানহাঃ-মেঘ তুই আবারো ভুল করিস না, একটা বার স্যারের সাথে কথা বল…??
মেঘঃ-আমার কোনো কিছু বলার নেই…??
তানহাঃ-তোর নেই কিন্তু ওনার থাকতে পারে মেঘ…??
মেঘঃ-উনি যা বলার একবছর আগেই বলে দিয়েছেন.?
এখন আর নতুন করে কি বলবেন…??
তানহাঃ-তুই একটু এখানেই বসে থাক আমি আসছি..??
তানহা উঠে নিচে চলে গেলো,মেঘ বিড়বিড় করে কান্নায় ভেঙে পড়ে.? একটু পর তানহা মেঘের কাধে হাত রেখে পাশে বসে। আর মেঘ বলতে থাকে………
মেঘঃ-কিরে এসেছিস…??
তানহাঃ-হুমমম..??
এই কথা বলে তানহা মেঘের হাতে একটা ডাইরি দিলো আর বললো……
তানহাঃ-এটা ধর…??
মেঘঃ-কি এটা…??
তানহাঃ-দেখতেই পারছিস একটা ডাইরি….??
মেঘঃ-হ্যা তো এটা দিয়ে কি করবো..??
তানহাঃ-পড়বি এটা স্যারের ডাইরি…??
মেঘঃ-স্যারের ডাইরি আমি পড়তে যাবো কেনো..??
তানহাঃ-তোর এখনো অনেক কিছু অজানা মেঘ.? এটা পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবি…??
মেঘঃ-কিন্তু..??
তানহাঃ-কোনো কিন্তু না মেঘ.? তুই পড়..??
মেঘঃ-হুমমম..??
যারা চুপি চুপি গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট না করে কেটে পড়েন তাদেরকে বলছি.. গল্প লিখি আপনাদের জন্য আর সামান্য একটা লাইক কমেন্ট করতে পারবেন না আমার জন্য। আপনাদের লাইক কমেন্ট দেখলে গল্প লিখার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। আশাকরি সবাই লাইকএবং কমেন্ট করে সাথে থাকবেন। ভালো রিসপেন্স ফেলে পরের পর্ব আগামী কালকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ সবাইকে। ইতিঃ আব্দুল্লাহ আল শাহজালাল।
এই কথা বলে মেঘ আকাশের ডাইরিটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলো……..
||||👇👇
ডাইরির প্রথমেই লিখা ছিলো___আকাশের মেঘ♥♥
|||
মেঘ লেখাটা দেখে কিছুটা অবাক দৃষ্টিতে তানহার দিকে তাকালো.? তানহা ইশারা করে পরের পেজটা উল্টাতে বলে,মেঘ তানহার কথায় মাথা নেড়ে সায় দেয়। পেজের
দ্বিতীয় পাতায় উল্টিয়ে দেখে কিছু লিখা ছিলো…👇👇
|||
আমি লাইফে আজ প্রথম দিন অফিসে জয়িন করলাম। কম্পানিতে জয়িন করার পর জানতে পারলাম..আগের ম্যানেজার আঙ্কেলকে চাকরি থেকে বাতিল করা হয়েছে
|||
কিন্তু কেনো বাতিল করা হয়েছে কেউ কখনো আমাকে
জানায়নি বা আমারো জানার ইচ্ছে হয়নি.?
|||
আজ প্রথম অফিসে জয়িন করে বুঝতে পারলাম বাপি কতটা প্রেশারের মাঝে থাকতো। সারাদিন এতো এতো কাজ করেও বাসায় হাসি মুখে ফিরতো আর আমাদের সাথে আড্ডা দিতো.?
|||
আমার দুঃখ একটাই বাপিকে বুঝতে আমি দেরি করে ফেলেছি। আগে যদি বুঝে নিতে পারতাম তাহলে হয়তো এতো তাড়াতাড়ি বাপিকে হারাতাম না.?
|||
একটু একটু করে কম্পানির সব দায়িত্ব বুঝে নিলাম.?
নতুন একজন ম্যানেজার নিয়োগ করলাম..? দেখতে দেখতে কম্পানিটা বেশ উন্নত হতে লাগলো.?
|||
এরপর একটা করে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি পেপারে দিলাম.?
নতুন কর্মচারি লাগবে এইটা উল্লেখ করে..? এরপর কয়েক জনের ভাইবা নিয়ে সিলেক্ট করলাম…?
|||
আজ আবার নতুন কর্মচারির জয়নিং করার দিন। নতুন একজন জয়িন করলো তাও আবার একটা মেয়ে..?
|||
দেখতে একদম পরীর মতো..? টানা টানা চোখ,,মায়াবী মুখ..? বাঁকা ঠোঁটের হাসি লাজুক মুখের চাহনি একদম পরীর মতো দেখতে। যে একবার দেখবে সে প্রেমে পড়ে যাবে.? আমারও ঠিক তাই হয়েছে…??
|||
প্রথম দেখায় মেয়েটাকে আপন ভেবে নিয়েছিলাম। বাট জানতাম না___যেই মেয়েকে নিয়ে আমার মনের গহীনে অজানা একটা সুখের ঠিকানা গড়ে তুলেছি সে মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসে..??
|||
বাপিকে হারিয়ে পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম? কিন্তু ওকে দেখে পাগলামি গুলো থামানোর একটা মাধ্যম খুঁজে পেলাম..? কিন্তু যেই দিন জানতে পারলাম পরীটা অন্য কাউকে ভালোবাসে সেইদিন আবারো খুব কষ্ট অনুভব করলাম। বুকের ভেতর কেমন যেনো ব্যাথা হতে লাগলো.?
|||
মামনি আমার কষ্টগুলো মেনে নিতে পারছিলো না। বার
বার জানতে চাইতো তাই একদিন মামনিকে সব কিছু বলে দিলাম। মামনি আমাকে সব সময় বুঝাতো.বলতো আমার ভালোবাসা সত্যি হয় তাহলে একদিন সে আমার হবেই..?
|||
আর আমার নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস ছিলো.?
সেই বিশ্বাসটা হয়তো আমাকে বাঁচাতে শিখালো.?
এরপর থেকে মেঘ কখন অফিসে আসতো কখন কি করতো সবকিছুর নজর রাখতাম আমি..? এই রকম পাগল ছিলাম আমি ওর জন্য..? ও হ্যা পাগল আমি এখনো ওর জন্য.? মনের গহীনে আজও আমি ওকে অনুভব করি…???
কিন্তু সমস্যা তো বাধলো অন্য জায়গায়.? এমনটা হবে কখনো ভাবিনি কল্পনাও করিনি আমি..? কি থেকে কি হয়ে গেলো মুহুর্তের মধ্যে সব কিছু শেষ হয়ে গেলো…? আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না..? কি করা উচিৎ মাথায় ঢুকছে না..? অবশেষে একজনকে ফেলাম হেল্প করার জন্য.? যে আমাকে প্রতিটা মুহুর্তে হেল্প করেছে.। তাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই….? কিন্তু তবুও আমি তাকে ধন্যবাদ দিলাম..? তার মাধ্যমে আসল ঘটনা জানতে পারলাম..? হ্যা সে আর কেউ নয় তানহা..? একমাত্র তানহাই আমাকে সাহায্য করেছে…?
|||
মেঘ তানহার নামটা দেখে মাথা তুলে তানহার দিকে তাকালো তারপর আবার পড়া শুরু করলো….👇👇
তানহা বলেছিলো মেঘ নাকি তার খুব ভালো বন্ধু? আর তানহা ওর সম্পর্কে সব কিছু জানতো। যাই হোক আমি মেঘকে ভালোবাসি এটা তানহাকে মুখে না বললেও তানহা কিভাবে যেনো বুঝে গেলো..? আর তখন তানহা আমাকে এটাও বললো মেঘ নাকি অন্য একটা ছেলেকে ভালোবাসে।
|||
বেশ কিছুদিন পর জানতে পারলাম..মেঘ যে ছেলেটাকে
ভালোবাসে সে ছেলেটা অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাও ওকে না জানিয়ে.? খবরটা শুনে খুব কষ্ট হয়েছে ওর যা আমি অনুভব করতাম..??
কাউকে কতটা ভালোবাসলে তার দেওয়া কষ্টগুলো সহ্য করা যায় না সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি.? আর জানি বলেই ওকে সুখী দেখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু খটকা একটা জায়গায়..মেঘ যে আমাকে ভালোবাসে না…??
|||
দেখতে দেখতে কয়েক মাস কেটে গেলো.? আজ ওকে খুব কান্না করতে দেখলাম। কিন্তু এই ভাবে মেঘ কেনো কান্না করলো। মেঘ কি এখনো ভালোবাসার মানুষটার জন্য রাত জেগে কান্না করে। মেঘের কান্নার কারন জনতে তানহাকে ডেকে পাঠাই। তারপর তানহার কাছ থেকে জানতে পারি ওর কান্নার কারন টা কি…??
মেঘের মায়ের হার্টের ফুটো অপারেশন করতে অনেক টাকার দরকার৷ মেঘ একা সবকিছু সামলাতে পারবে না তাই কান্নায় ভেঙে পড়ে.? সত্যিই তো কি করার থাকতে পারে ওর। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে শত কষ্ট বুকে নিয়ে অফিসের সব কাজ সামলে নিতো?
আমিও সব সময় ওকে ইচ্ছে করেই কাজ বেশি দিতাম। সারাক্ষণ কাজের মাঝে ডুবিয়ে রাখতাম.যাতে করে সে স্বাভাবিক হতে পারে৷
|||
আমি জানতাম ওর মায়ের অপারেশন এর জন্য টাকা গুলো কাজ ছাড়া দিলে দান হিসেবে দেখবে..। ভাববে আমি তাকে করুনা করছি। কিন্তু সত্যি তো এটা আমি ওর মুখে একটু খানি হাসির ছোঁয়া দেখতে চাই..??
তখন ভাবলাম ওকে টাকা গুলো আমি দিবো কিন্তু টাকা গুলো এমনি এমনি নিবে না কি করবো এসব কথা ভাবতে লাগলাম…??
এরপর যখন ওকে বিয়ের কথা বলতে যাবো তখন ওর প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা হয়ে যায়.? আর সে আমায়
তার মনের কথা গুলো বলে..?
বেচারা অন্যদেশে গিয়ে নাকি অনুভব করেছে সে তার ভালোবাসার মানুষটাকে কতটা ভালোবাসে? তাই ওই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দেশে ফিরে এসেছে..?
|||
আমিও খুব বোকা সহজে তার কথা গুলো বিশ্বাস করে নিলাম।৷ কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র আমি নই। তাই আমি ওকে বলে দিলাম যে….আমি তাকে বিয়ে করবো আর সেটা আজকেই.? তখনই ও মেঘকে মারার হুমকি দেখায় আর অন্যান্য ভাবে ব্লেকমেইল করতে থাকে..??
একটা সময় আমরা দুজনেই একটা সিদ্ধান্ত নিলাম..?? আর সিদ্ধান্ত এটাই যে মেঘকে বিয়ে করে যদি ওর মনে এক বছরের মধ্যে আমার জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারি তাহলে সে আমার.? নয়তো তাকে তার অতীতের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে..?
এরপর বাধ্য হয়ে তাকে আমার বাসায় চুক্তির বউ করে আনি। আমি চাইনি ওকে কষ্ট দিতে কিন্তু আমি যে খুব অসহায় ছিলাম? ওই মুহুর্তে তার মাকে বাঁচানো ছিলো আমার একমাত্র লক্ষ.?
এরপর মেঘকে বউ করে নিয়ে আনলাম ঘরে। কিন্তু ওর মন থেকে ওর ভালোবাসার মানুষকে মুছে দিতে পারলাম না..? একটা মিথ্যে মায়াজালে বন্ধি ছিলো সেটাও বুঝাতে পারলাম না..??
|||
আজ ওর জীবন থেকে সবচেয়ে কাছের মানুষ হারিয়ে গেলো। ওর মা ওকে এভাবে ছেড়ে চলে যাবে আমি বা বাসার কেউ কল্পনাও করিনি। সেই দিন ওর কষ্ট গুলো সহ্য করতে পারছিলাম না ইচ্ছে করছে আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে বলি..মেঘকে কষ্ট দিওনা আল্লাহ ওর কষ্ট আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
সেদিন ওকে অনেক কষ্ট করে বুঝাই। মাকে হারিয়ে কেমন জেনো হয়ে গেছে মেয়েটা..? এরপর অনেক কষ্টের বিনিময়ে মেঘকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনলাম…??
|||
আজ ওকে ছেড়ে তিন মাসের জন্য আমেরিকা যাবো।
জানিনা এই তিনটা মাস আমার কিভাবে কাটবে। শুধু জানি আমি আমার মায়াবতী কে খুব মিছ করবো..??
এরপর আর কিছু লেখা নেই……????
________________________________
_________________________________________
________________________________________________
এরপর মেঘ কয়েকটা পেইজ উল্টিয়ে দেখলো আরও কিছু লেখা…..👇👇
আজ দেশে ফিরলাম? তিন মাসের কাজ দুই মাসে শেষ করলাম? একটা ডিল ফাইনাল করতে যাওয়া.? বাসায় এসে মেঘকে সারপ্রাইজ দিবো ভেবেছিলাম? কিন্তু মেঘ যে আমার জন্য বিরাট সারপ্রাইজ রাখবে আমার জানা ছিলো না। আজ ৩ বছর পর মামনিকে হাটতে দেখেছি আর সেটা শুধু মেঘের জন্য..??
দেশে ফিরে বার বার মেঘকে বলতে চেয়েছি..মেঘ আমি তোমাকে ভালোবাসি? কিন্তু কোথায় যেনো একটা বাধা
আমাকে আটকে দিতো। এই একটা চুক্তির জন্য মেঘকে
সত্যি কথাটা বলতে পারছি না। কিযে কষ্ট লাগে না বলা
কথা গুলো চেপে রাখতে সেটা শুধু আমি জানি…?
আজ আমার জন্মদিনে মেঘ আমার জন্য যে আয়োজন করলো। প্রথমে একটু কষ্ট লাগলেও ওর কথা গুলো শুনে নিজেকে খুব সুখী মনে হচ্ছিলো…??
পর্ব০৯ এর লিংক 👇👇
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=138866421326405&id=111134014099646
মনে হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ একমাত্র আমি.? কিন্তু ওর কথা দ্বারা এটা বুঝতে পারলাম ওর এই বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার খুব ইচ্ছে।
হয়তো মেঘ পারেনি আমাকে ভালোবাসতে। কিন্তু ও কি জানে..সে যদি এই বন্ধন ছেড়ে চলে যায় পরের দিন আমি মারা যাবো। ওকে ছাড়া বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি কি করবো এখন………………
মেঘ পেজ উল্টাচ্ছে কিন্তু তাতে আর কোনো কিছু লেখা
নেই। মেঘ ডাইরিটা জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো?
আর বলতে লাগলো……….
চলবে কি….??