#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্বঃ ১১
ভালোবাসা সত্যি বোধহয় অদ্ভুত হয়! অদ্ভুত কেনো? নিজের খেয়াল না রেখে ভালোবাসার মানুষটার খেয়াল রাখা। নিজে অসুস্থ হলে হেলাফেলা করা আর ভালোবাসার মানুষটার কিছু হলে রাতে জেগে তার পাশে বসে থাকা। ভালোবাসার মানুষটার জন্য পৃথিবীর সমস্ত সুখ এনে দিতে পারে তার পায়ের কাছে, শুধু এক চিলতে হাসির দেখার জন্য। অদ্ভুত তাই না? সত্যি অদ্ভুত! মায়া চৌধুরী সকাল থেকে ভালোবাসার সংজ্ঞা নিয়ে বসেছেন। তিনিও তার বরকে ভিশন ভালোবাসেন। তাদের বিয়ে প্রেম করে না হলেও, বিয়ের পর ভালোবাসার কমতি রাখেনি তার বরকে ভালোবাসতে। তার বরও তাকে ভিশন ভালোবাসেন। এত বছরের বিয়ে তার তারপরও ভালোবাসার নতুন নতুন সংজ্ঞা খোঁজার চেষ্টা করেন তিনি। তিনি তার ছেলের ভালোবাসার কী নাম বা সংজ্ঞা দিবেন বুঝতে পেরেছে না। মিরা শার্ট আর চিরকুট পাঠানো পর থেকে মিহান যতক্ষন বাড়িতে থাকে, ওগুলো দেখতে থাকে। চিরকুট টা কম করে হলেও হাজারবার পড়া হয়ে গেছে মিহানের। অপেক্ষার প্রহর গুনছে মিহান কখন এসে বলবে ” ভীতুরাম আমি এসে গেছি”। কখন শেষ হবে মিহানের প্রহর গোনা? এসব দীর্ঘশ্বাস ফেলল তিনি!
__________________________________________
মিহান হসপিটালে নিজের কেবিনে বসে পেশেন্টের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলছে। পেশেন্টকে বাড়ি নিয়ে কীভাবে দেখা শুনা করতে হবে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। ঝড়ের মত আচমকা এসে কেউ মিহানের গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়। মিহান গালে হাত দিয়ে চোখ ঘুরিয়ে তাকায়। একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়ে না হয়ে ছেলে হলে মিহান এতক্ষনে কী করতো নিজেও জানে না। মিহান দাঁতে দাঁত চেপে মেয়েটা দিকে তাকিয়ে বলে,
—” What the hell. এসবের মানে কী? আপনি কোন সাহসে আমাকে থাপ্পড় দেন? এসব কোন ধরনের অসভ্যতা? চেনা নেই জানা নেই হঠাৎ করে এসে আমার সাথে এসবের মানে কী? জানেন আমি আপনার কী করতে পারি? যেখানে আমার মম আর পাপা কখনো আমার গায়ে হাত তুলেনি সেখানে আপনি? এর মূল্য আপনাকে চোকাতেই হবে। আপনার এখানে কে ঢুকতে দিয়েছে?”
মেয়েটা মিহানের কথা শুনে বলে,
—” হয়েছে তোর বলা? না আর কিছু বলবি?”
এই মেয়ের সাহস দেখে মিহান অবাক হয়ে যাচ্ছে। একে তো তাকে থাপ্পড় দিলো বিনা কারনে আর এখন তুই তুকারি শুরু করে দিয়েছে। মিহান রেগে গিয়ে বলে,
—” আপনার সাহস হয় কী করে আমাকে তুই করে বলার?”
মেয়েটা মিহানের দিকে তাকিয়ে ঠোট বাঁকা করে বলে,
—” আমি আবার কবে তোকে তুমি বলে বলছি?”
—” মানে?”
—” আরে গাধা আমি তোর মিরা!”
মিহান হতবাক হয়ে গেছে একথা শুনে। এখন কী বলা উচিত, কী করা উচিত ভাবতে পারছে না। মিহানের মাথা কাজ করছে না। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে মিরার চোখের দিকে। অতিরিক্ত খুশিতে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। মিহান কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
—” মিরা!”
—” হ্যা রে ভীতুরাম আমি তোর মিরা।”
মিহান দুই কদম এগিয়ে এসে মিরার গালে এক হাত রেখে মোহনীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আচমকা মিহান মিরাকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মিরা মিহানের পিঠে এক হাত দিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,
—” তোর কেবিনে আমি ছাড়া আরো লোক আছে। ভুলে গেলি? ছাড় এবার।”
মিরার কথা শুনে ওকে ছেড়ে দিয়ে সরু চোখে ওর দিকে তাকিয়ে পরক্ষনে পেশেন্টের বাড়ির লোকের দিকে তাকিয়ে আরো কিছু কথা বলে তাদের সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। মিহান বাইরে গিয়ে বলে এসেছে কেবিনে যেনে কাউকে ঢুকতে না দেয়।
মিরা অনেকক্ষণ ধরে মিহানের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে মিহান নিজের চেয়ারে বসে এক দৃষ্টিতে মিরার দিকে তাকিয়ে আছে। মিরা কিছু জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর দেয় না। মিরা আড়চোখে মিহানের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে,
—” সেইদিন ডেনি ভাইয়া মিহানের ছবি দিয়েছিলো ফোনে, কিন্তু আমি সময় করে দেখতে পারিনি। ভীতুরাম তো দেখি আগের থেকেও বেশি হ্যান্ডসাম হয়েছে। হিরোদের মত দেখি বডিও বানিয়েছে। এখনো ভিতরটা আগের মতই আছে না কী বাইরের সাথে সাথে ভিতরটাও বদলে গেছে?”
মিহান এক মনে মিরাকে দেখে মনে মনে আওরাতে থাকে,
—” ছোটবেলার থেকে আরো বেশি কিউট হয়েছে বড় হয়ে। তুমি নিজে এসেছো আমার কাছে, এখন থেকে, এই মুহূর্তে থেকে তুমি শুধু আমার। আজ থেকে তুমি আমার ভালোবাসার মায়া জালে বন্দি। #না_চাইলেও_তুই_আমার। শুধু আমার।”
মিরা গলা জেড়ে জোরে বলে,
—” ঐ তখন থেকে অমন হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো? কিছু বলবি তো না কী?”
—” I Love You.”
মিরা ভ্রু কুঁচকে অবাক হয়ে বলে,
—” What?”
মিহান ঘোরে মধ্যে কথাটা বলে, মিরার কথা শুনে হকচকিয়ে উঠে বলে,
—” নাথিং! নাথিং! কেমন আছো তুমি? কবে দেশে এসেছো?”
মিরা ঠোঁটে হাসি টেনে বলে,
—” বাহ বাহ এতক্ষন তো কথাই বলছিলি না। আর এখন প্রশ্নের ঝড় তুলি দিলি?”
মিরা কথা শুনে মিহান মাথা চুলকাতে চুলকাতে মুচকি হেসে দেয়। মিরা চেয়ারে বেশ আরাম করে বসে বলে,
—” আমি ভালো আছি। দেশে এসেছি বেশি দিন হয়নি।”
মিহান নিজের চেয়ার থেকে উঠে পাশের কাঁচের জানালার গিয়ে বাম হাত ভর দিয়ে বলে,
—” তুমি আমাকে চিনলে কী করে? আর পার্সেল টা,,,,
মিহানের কথা শেষ হবার আগে মিরা হালকা হেসে বলে,
—” তোকে চেনা আমার জন্য বড় কোনো বেপার না। আর পার্সেল টা আমি পাঠিয়েছি।”
মিহান ডান হাত দিয়ে ভ্রু চুলকাতে চুলকাতে বিরবির করে বলে,
—” সত্যি তো গুন্ডির জন্য এসব কোনো ব্যাপার না।”
মিরা কিঞ্চিত কপাল ভাঁজ করে বলে,
—” তুই আসতে আসতে কী বলছিস?”
—” না তেমন কিছু না।”
এইটুকু বলে থামে মিহান। কী আর বলবে? কতকিছু গুছিয়ে রেখেছিলো মিরার সাথে দেখা হলে বলবে বলে, কত মান অভিমানের কথা। কিন্তু আজ সব গুলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আজ নিজের শান্ত রাখা বড় দায় হয়ে পড়েছে মিহানের জন্য। কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরে ব্যস্ত শহরে দিকে তাকিয়ে আছে। এত বছরের জমিয়ে রাখা কথা কী দিয়ে শুরু করবে ভাবছে মিহান। কী বলবে?
চলবে….
#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্বঃ ১২
মেঘের আড়ালে সূর্য লুকিয়ে পড়েছে। ঝিরিঝিরি ঠান্ডা বাতাস বইছে চারদিকে। মিরা আর মিহান রেস্টুরেন্টের বারান্দায় নিরিবিলি পরিবেশে বসে আছে। মাথার উপর খোলা আকাশের উপস্থিত, আর বারান্দায় দিয়ে ব্যস্ত শহরে লোকজনের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। মিহান কফি মগটা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। মিরা মিহিনের দিকে এক নজর তাকিয়ে পরে খোলা আকাশের শূন্যে তাকিয়ে বলে,
—” তুই এত বদলে গেলি কী করে ভীতুরাম?”
মিরার কথায় মিহান অবাক হয়ে বলে,
—” কোথায় আমি বদলে গেলাম?”
মিরা ছোট নিঃশ্বাস ফেলে মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” বদলাসনি বলছিস? তোর সাথে তিন ঘণ্টা যাবৎ বসে আছি। এক ঘন্টার বেশি সময় ছিলাম তোর হসপিটালে। এখন পর্যন্ত নিজে থেকে কিছু বলিসনি, আমি যা যা জিজ্ঞাসা করছি তুই শুধু তার উত্তর হা বা না দিয়েছি। এরপর তুই এই রেস্টুরেন্টে নিয়ে এলি। কফি অডার করে আবার চুপচাপ হয়ে গেলি। তুই তো আগে এমন ছিলিস না। আগের মত আমার সাথে কথার ফুলঝুরি খুলিস না। তারপরও তুই বলবি, বদলাসনি তুই?”
মিরার অভিমানের কথা শুনে মিহান মৃদু হেসে কফি মগে চুমুক দিয়ে বলে,
—” তুমি যা বলছো তা কিছু ঠিক আর কিছু ভুল। এত বছর পর তোমার সাথে দেখা হয়েছে, আমি ঠিক কী দিয়ে কথা বলা শুরু করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তাই চুপ করে ছিলাম।”
মিরা মিহানের শেষের কথা গুলো শুনে দাঁত কিরমির করে চেয়ার থেকে উঠে মিহানের চুল টানতে টানতে বলে,
—” তুই এই কারণে এতক্ষন আমার কথা বলিসনি? তুই না আমাকে তোর বেস্টফ্রেন্ড ভাবিস তাহলে এত ফর্মালিটিজ কী দরকার? বল আমাকে?”
—” সরি আর কখনো এমন করবো না। প্লিজ এবারে মত আমাকে ছেড়ে দেও। তুমি এমন করলে আমার মাথায় একটাও চুল থাকবে না।”
মিরা মিহানের চুল ছেড়ে দিয়ে বলে,
—” যা এভাবে মত ছেড়ে দিলাম। আর কখনো যদি এমন করিস তাহলে তোর কপালে কী যে তা তুইও জানিস না।”
মিহান চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
—” না! না! আর কখনো এমন করবো না।”
মিরা চেয়ারে বসতে বসতে বলে,
—” না করলেই ভালো।”
মিহান চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করতে করতে বিরবির করে বলে,
—” খোদা এ তো দেখি আগের থেকেও বেশি গুন্ডি হয়ে গেছে। একে আমি সামলাবো কী করে?”
__________________________________________
আমারো পরানো যাহা চায় তুমি তাই,
তুমি তাই গো আমারো পরানো যাহা চায়।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই,
কিছু নাই গো আমারো পরানো যাহা চায়!
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মিরার দাদি মিরার দাদার জামাকাপড় গোছাতে গোছাতে গুনগুনিয়ে গান গাইছে। গুটি পায়ে মায়ের বেডে এসে বসে মিরার ফুপি। এক নজর দেখে আবার নিজের কাজে মন দেয় মিরার দাদি। মিরার ফুপি নীলিমা তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” বাহ ছেলে, ছেলের বউ আসবে দেখে আজ গুনগুন করা হচ্ছে।”
দাদি হেসে বলে,
—” যেনো তুই খুশি না? সকাল থেকে তো ভাইয়া ভাবীর রুমে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সার্ভেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করিয়েছিস তার বেলায়?”
নীলিমা ভ্রু কুঁচকে বলে,
—” শোনো মা ভাইয়া ভাবীর বিয়ের পর থেকে ভাবী আমার বেস্টফ্রেন্ড। তার জন্য করবো না তো কার জন্য করবো? তোমার ছেলের জন্য কিছু করতে আমার বয়েই গেছে।”
দাদি শব্দ করে হেসে বলে,
—” দুই দিন পর তুই মেয়ের বিয়ে দিবি আর এখনো ভাইয়ের সাথে কোমর বেঁধে ঝগড়া করিস। লোকে কী বলবে?”
নীলিমা মৃদু হেসে বলে,
—” ছাড়ো সে সব কথা। শুনলাম মিরা না কী জানে না ভাইয়া ভাবী যে আজ সন্ধ্যায় আসবে?”
—” হ্যা! শুধু তোর বাবা, আমি, তুই আর তাওহীদ জানিস। নিলয় মিরাকে জানতে বারন করেছে। নিলয় আর নিতু এসে মিরাকে সারপ্রাইজ দেবে তাই।”
—” হঠাৎ করে যে ভাইয়া ভাবী দেশে আসছে সে সম্পর্কে কিছু বলেছে তোমায়?”
দাদি চোখ বড় বড় করে বলে,
—” এটাও তোকে বুঝিয়ে দিতে হবে? বৌমার বাবার সাথে বৌমার সম্পর্কে ঠিক হয়ে গেছে তাই দেশে আসছে ওদের সাথে দেখা করতে।”
নীলিমা মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে,
—” মা আমি কী তোমার মত ওতো বুঝি বলো?”
নীলিমার কথা শুনে দাদি হেসে দেয়।
__________________________________________
মিরা কফি শেষ চুমুক খেয়ে উঠে গিয়ে রেলিং এর পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। হাত ভাজ করে খোলা মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে তাকায় মিরা। মিহান নিজে থেকে অনেক কথা বলেছে মিরাকে। তার বেশিরভাগই কথা ছিলো ওদের ছোটবেলা নিয়ে। হঠাৎ করে কী মনে করে মিরা মিহানকে জিজ্ঞাসা করে,
—” তুই এখনো বিয়ে করিসনি কেনো?”
মিহান অস্পষ্ট সরে বলে,
—” বউই যদি কাছে না থাকে তাহলে কাকে বিয়ে করবো?”
মিরা পিছন ফিরে মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” কিছু বললি?”
—” না! বললাম যে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নেবো।”
মিরা রেলিংয়ে হেলান দিয়ে মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” তাহলে করেনে আমি দেশে থাকতে থাকতে।”
মিহান কপাল ভাজ করে জিজ্ঞাসা করে,
—” দেশে থাকতে থাকতে মানে?”
—” আরে আমি তো আর দুই তিনদিন দেশে আছি। তারপর তো আবার চলে যাবো লন্ডন।”
মিরার কথা শুনে মিহানের চোখ ক্রমশ লাল হতে শুরু করে। কী বললো মিরা? ও আবার চলে যাবে? না এবার কিছুতেই মিরাকে নিজের থেকে দূরে সরতে দিবে না মিহান। চোখ বন্ধ করে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে রাগ সামলানোর চেষ্টা করছে মিহান। নিজেকে কন্ট্রোল করে মিরাকে বলে,
—” অনেকক্ষণ তো হলো এসেছি চলো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি!”
—” তার দরকার হবে না আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি তুই যা।”
মিহান গম্ভীর হয়ে বলে,
—” ড্রাইভারকে ফোন করে বলে দেও গাড়ি এসে নিয়ে যাবে। এখন চলো আমার সাথে।”
মিহান টেবিলের উপর রাখা ওর ফোন নিয়ে, সানগ্লাস পরে মিরার হাত ধরে হাঁটতে শুরু করে। মিরা অবাক হয়ে একবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে আর একবার মিহানের দিকে তাকাচ্ছে। মিহান সেদিন না তাকিয়ে নিজের অ্যাটিটিউড নিয়ে মিরার হাত ধরে বেরিয়ে যায়।
মিরা মিহানের গাড়িতে উঠতে না উঠতে মিরা নানা ফোন করে, মিরাকে আজকে আবার ওদের বাড়ি যেতে বলে। মিরা অগত্যা মিহান কে ওর নানার বাড়ির এড্রেস দেয়। মিহান গাড়িতে তেমন কোনো কথা বলেনি। বেশকিছু পর মিহানের গাড়ি মিরার নানার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। মিরা মিহানকে বায় বলে গাড়ি থেকে নেমে যায়। মিহান মিরার যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। মিরা চোখের আড়াল হলে মিহান গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। মিহানের মিরার কথা গুলো বারবার মনে পড়ছে, মিরা আবার চলে যাবে। মিহান ড্রাইভ করতে করতে বাঁকা হেসে বলে,
—” তোমার লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করছি দাঁড়াও। শুধু দুইদিন অপেক্ষা করো, আমার খাঁচায় বন্দী হবার জন্য। তারপর দেখি তুমি কী করে আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবো।
চলবে….
কেমন লাগলো জানাবেন। হ্যাপি রিডিং। ধন্যবাদ। 💙