না চাইলেও তুই আমার পর্ব ১৩+১৪

#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্বঃ ১৩

সূর্য অস্ত গিয়েছে কিছু সময় হয়েছে। আবছা আবছা অন্ধকার নামছে চারদিকে। মিরা ফ্রেশ হয়ে নিচে যাচ্ছে। দুপুরে নানা বাড়ি এসে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়িছিলো মিরা। একটু আগে ঘুম থেকে উঠেছে মিরা। হল রুমে এসে দেখে হ্যান্ডসাম একটা ছেলে বসে আছে। নিশু, মিশু আর শুভ তার সাথে হাসাহাসি করছে। মিরাকে দেখে ওর নানু বলে,

—” ঘুম ভাঙ্গলো তো? আয় এদিকে আয়।”

মিরা মিষ্টি হেসে ওর নানুর পাশে বসে বলে,

—” আমি কখনো দুপুরে ঘুমাই না কিন্তু আজ চোখ টা লেগে গেছিলো বুঝতে পারিনি।”

—” তো কী হয়েছে? আমি তো তোর বয়সে সময় পেলেই ঘুমিয়ে নিতাম। আর তোরা আজকালকার ছেলেমেয়েরা ফোন, পার্টি এসব নিয়েই থাকিস।”

মিরা মজা করে বলে,

—” তাই না কী?”

—” তুই আমার সাথে মজা করছিস?”

মিরা অবাক হওয়ার ভান করে বলে,

—” কই না তো!”

মিরার কথা শুনে নিশু, মিশু মুখ টিপে হাসে। নানু মিরাকে বলে,

—” তোর মায়ের থেকেও বেশি পাকা তুই।”

মিরা ভাব নিয়ে বলে,

—” দেখতে হবে না কার মেয়ে!”

মিরার কথা শুনে নানু হেসে বলে,

—” হইছে আর বলতে হবে না। ঐ যে দেখছিস ছেলেটা তোর বড় মামার ছেলে, অভ্র। আর অভ্র এই তোর ফুপির একমাত্র মেয়ে মিরা।”

মিরা মুখ ফসকে বলে ফেলে,

—” এই সেই অভ্র ইডিয়েট?”

শুভ অবাক কন্ঠে বলে,

—” অভ্র ভাইয়াকে তুমি আগে থেকে চেনো আপু? আর ভাইয়াকে তুমি ইডিয়েট বললে কেনো?”

শুভর কথা শুনে অভ্র খুক খুক করে কাশতে শুরু করে। মিরা নিজেকে সামলে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে,

—” আরে না আমি কী করে আগে থেকে চিনবো। আজকেই তো প্রথম দেখা তাই না অভ্র ভাইয়া?”

অভ্র শুকনো গলায় ঢোক গিলে বলে,

—” হ্যা বোন আজকেই আমাদের প্রথম দেখা।”

মিশু সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলে,

—” তাহলে আপু ভাইয়াকে ইডিয়েট বললো কেনো?”

অভ্র বিরবির করে বলে,

—” এই মিশুটা না সবকিছুতে সন্দেহ করা লাগবে।”

মিরা মৃদু হেসে বলে,

—” তেমন কিছু না মিশু, আসলে আমি এখানে এসেছি পর থেকে অভ্র ভাইয়া কে তো দেখিনি তাই ইডিয়েট বলছি।”

নানু বসা থেকে উঠতে উঠতে বলে,

—” অভ্র তো অফিসের কাজে বিদেশে গেছিলো কিছুদিনের জন্য। আজ সকালে দেশে এসেছে। দেশে আসতে না আসতেই আবার অফিসে চলে গেছিলো তাই তোর সাথে দেখা হয়নি। তোরা আড্ডা দে আমি দেখে আসি চা বানানোর হয়েছে কী না?”

শুভ অভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে,

—” এতদিন বাইরে ছিলে মনের মত বা মনের মানুষ কাউকে পাইছো?”

অভ্র মিরার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বলে,

—” আরে না আমি এসব প্রেম, ভালোবাসার মধ্যে নেই তোরা তো জানিস।”

মিরা নিজের চুল নাড়াচাড়া করতে করতে অভ্রকে শুনিয়ে বলে,

যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে
তাকাতো সে অবহেলে দুচোখ মেলে।
হাজার কবিতা বেকার সবই তা
হাজার কবিতা বেকার সবই তা।
তার কথা কেউ বলে না
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা।
সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা!!

মিরার গানের লাইন শুনে অভ্র জোরে জোরে কাশতে শুরু করে। নিশু অভ্রর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

—” ভাইয়া তোমার কী হয়েছে? কাশছো কেনো এইভাবে? পানি খাবে?”

অভ্র কাশি থামিয়ে বলে,

—” কিছু হয়নি। তুই চিন্তা করিস না। আমি ঠিক আছি।”

শুভ বলে,

—” ছাড় তো তোর কথা। মিরা আপু তুমি বাংলা গান জানো?”

—” না জানার কী আছে!”

—” না মানে লন্ডনের মত শহরের তুমি ছোট থেকে বড় হয়েছো তাই।”

মিরা ভ্রু কুঁচকে বলে,

—” তো কী হয়েছে? আমাদের ভার্সিটিতে আমাদের একটা গ্ৰুপ আছে। সেই গ্ৰুপে সবাই বাংলা নাচ, গান করে। আর সেই গ্ৰুপের আমিও একজন মেম্বার।”

নিশু বলে,

—” আপু তোমার গানের গলা টা দারুন। গানটা সম্পূর্ণ গাও না প্লিজ।”

—” এখন না নিশু পরে শোনাবো।”

নিশু মন খারাপ করে বলে,

—” ঠিক আছে।”

মিরা অভ্রর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে পরে নিশুকে বলে,

—” তবে যাই বলো না কেনো নিশু গানটা শেষ লাইনটা খুব সুন্দর তাই না? সে প্রথম প্রেম আমার নীলা। অহহ সরি সরি নীলাঞ্জনা।”

অভ্র মিরার দিকে করুন চোখে তাকায় কিন্তু মিরা দেখেও না দেখার ভান করে উঠে চলে যায়। নীলা অভ্রকে আগেই বলেছিলো মিরা বড্ডো চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে আর দুষ্টুমিতে সকলের সেরা, কিন্তু মিরা যে নীলার বলার থেকেও বেশি দুষ্টু তা এতক্ষনে অভ্র বুঝে গেছে। না হলে সকলের সামনে অভ্রকে এইভাবে হার্ট অ্যাটাক করানোর মত অবস্থা করতে পারতো?

__________________________________________

মিহান দুপুরে বাড়ি এসে নিজের রুমে গেছে পর থেকে আর বের হয়নি। মিহানের মম, মায়া দুপুরে খাবার জন্য ডাকলে মিহান খাবে না বলে দেয়। মায়া চিন্তা হচ্ছে খুব মিহানের জন্য। হসপিটালে কিছু হয়েছে না কী অন্যকিছু তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। মিহানের পাপা অফিস থেকে এসেছে অনেকক্ষণ। মায়া অনু আর মিহানের পাপার জন্য স্ন্যাকস নিয়ে আসে হল রুমে। অনু সোফায় পা তুলে বসে ওর মমের দিকে তাকিয়ে বলে,

—” মম ভাইয়া কোথায়?”

—” দুপুরে পর নিজের রুমে আসে। কোনো কারনে বোধহয় মন খারাপ ওর।”

—” তোমরা বসো আমি ভাইয়াকে নিয়ে আছি।”

মিহানের পাপা সিড়ির দিকে তাকিয়ে বলে,

—” তোর আর যেতে হবে না মামনি। ঐ দেখ তোর ভাইয়া আসছে।”

অনু মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,

—” ভাইয়া তোর কী কিছু হয়েছে?”

মিহান সোফায় বসতে বসতে বলে,

—” কী হবে?”

—” না কিছু না।”

মম বলে,

—” কফি খাবি?”

—” হলে ভালো হয়।”

—” তুই বস আমি নিয়ে আসি।”

—” হুম।”

মিহানের মম চলে যায় মিহানের জন্য কফি আনতে। অনু ভালো করে বুঝতে পারছে ওর ভাইয়ের কিছু হয়েছে। চোখগুলো কেমন লাল লাল হয়ে আছে। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। কিন্তু কী হয়েছে? অনু তো কিছুই বুঝতে পারছে। এরমধ্যে মিহানের মম এসে মিহানকে কফি মগ দিয়ে ওর পাশে বসে বলে,

—” কী হয়েছে মিহান তোকে এমন লাগছে কেনো?”

মিহান এক চুমুক কফি খেয়ে ছোট নিঃশ্বাস ফেলে ওর মম আর পাপার দিকে তাকিয়ে বলে,

—” আমি বিয়ে করবো।”

অনু অবাক কন্ঠে বলে,

—” বিয়ে করবি মানে?”

পাপা বলে,

—” তোর মিরার কী হবে?”

মম অনু আর পাপার দিকে তাকিয়ে বলে,

—” এই তোমরা থামো তো। মিহান বলতো কী হয়েছে?”

মিহান একে একে সবকিছু খুলে বলে ওদের, মিরার সাথে দেখা হওয়া, ওর সাথে সময় কাটানো, সবকিছু খুলে বলে। সব শুনে মিহানের মম মুচকি হেসে বলে,

—” মিরার চলে যাবার কথা শুনে বুঝি আমার ছেলের মন খারাপ ছিলো?”

মিহান উত্তরে কিছু বলে না। অনু সরু চোখে মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,

—” ভাইয়া তো দেখি মিরা আপুর প্রেমে পুরো দেবদাস হয়ে গেছে।”

অনুর কথা শুনে সবাই শব্দ করে হাসে। মিহানের পাপা হাসি থামিয়ে বলে,

—” আমাকে দুই দিন সময় দেও। আমি দেখছি কী করা যায়।”

মিহান মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। আর অনু মিহানকে দেবদাস বলে খেপাতে শুরু করে।

#চলবে….
#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#লেখিকা_সারজীন_ইসলাম
#পর্বঃ ১৪

রাত বারোটার বেশি বাজে। মিরা গাড়ির সিটে গা এলিয়ে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এমন হুটহাট করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় এ নতুন কিছু নয়। মিহান ড্রাইভ করার মাঝে মধ্যে মিরার দিকে তাকায়। মিরা ঘুম ঘুম কন্ঠে বললো,

—” এমন পাগলামি কেনো করো? বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। রাত বারোটার বেশি বাজে এখন এই বৃষ্টির মধ্যে লং ড্রাইভে যাওয়ার কোনো মানে হয়?”

মিহান এক নজর মিরাকে দেখে আবার ড্রাইভ করতে করতে বলে,

—” তো কী করবো? সারাদিন হসপিটালে নিয়ে বিজি থাকি। তোমাকে তো সময় দিতে পারি না।”

—” তুমি আমাকে যথেষ্ট সময় দেও ভীতুরাম। সকালে ঘুম দিয়ে উঠে থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যথেষ্ট সময় দেও আমাকে।”

মিহান মিরার হাত নিজের কোলে রেখে, হাত ধরে বলে,

—” কী করবো বলো? তোমাকে যতই সময় দেই না কেনো, আমার মনে হয় আমি তোমাকে কম সময়‌ দিচ্ছি। দশটা না পাঁচটা একটা বউ বলে কথা।”

মিরা লজ্জায় হেসে বলে,

—” ইশ!”

মিহান এক পলক মিরার লজ্জা মাখা মুখ দেখে, ড্রাইভ করতে করতে বলে,

—” আমাদের বিয়ের পর থেকে এত কেনো লজ্জা পাও কথায় কথায় জান?”

মিরা লজ্জায় কিছু না বলে মিহানের ধরে থাকা হাতটা শক্ত করে ধরে মিরা। মিহান হাতটার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলে,

—” বিয়ের আগে কেমন গুন্ডামি করতে মনে আছে আর এখন পুরো লজ্জাবতী হয়ে গেছে।”

মিহানের কথা শুনে মিরা চোখ গরম করে মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,

—” তাহলে আমাকে বিয়ে করেছিলে কেনো?”

মিহান মুচকি হেসে বলে,

—” ভালোবাসি তাই!”

মিহানের কথা শুনে মিরা ঠোঁট ফুলিয়ে হেসে দেয়।

এলার্ম শব্দে মিহানের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ঘুম চোখে এলার্ম বন্ধ করে, আশেপাশে ভালো করে তাকায়। নিজেকে নিজের রুমে দেখে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে,

—” এই মিরা জান তো দেখি আমার ঘুমের মধ্যেও হানা দিয়েছে। উফ! কী রোমান্টিক মুহূর্ত ছিলো। বৃষ্টি, লং ড্রাইভ,,, এমন করে রোমান্টিক রোমান্টিক স্বপ্ন দেখলে তো আমি পাগল হয়ে যাবো। ওহ গড হেল্প মি।

__________________________________________

মিরা কারো কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে আর সে মিরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মিরা একটু নড়ে উঠে আবার তার কোমর জড়িয়ে ধরে ঘুমায়। তিনি মিরার কোমর জড়িয়ে ধরা দেখে মুচকি হেসে মিরার কপালে একটা চুমু দেয়। মিরা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে হাসি মুখে বলে,

—” মাম্মা তুমি? কিন্তু তুমি এখানে কী? তুমি আর পাপা তো লন্ডনে। মাম্মা আমি কী স্বপ্ন দেখছি?”

মিরার কথা শুনে ওর মাম্মা হেসে দিয়ে বলে,

—” না মা স্বপ্ন কেনো দেখবি? আমি আর তোর পাপা কাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছি।”

মিরা লাফ দিয়ে উঠে চোখ পরিষ্কার করে ওর মাম্মার দিকে তাকিয়ে বলে,

—” কাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছো মানে?”

—” এতে মানে কী আছে?”

মিরা মন খারাপ করে বলে,

—” তাই বলে আমাকে একবার জানবে না?”

মাম্মা মিরার গালে হাত দিয়ে বলে,

—” তোর পাপা তোকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলো তাই তোকে জানায়নি।”

মিরা মুখ বাঁকা করে বলে,

—” হুর।”

মিরার মাম্মা হেসে মিরার চুলগুলো ঠিক করে দিতে দিতে বলে,

—” যা ফ্রেশ হয়ে আয়। তোর পাপা তোর জন্য নিচে ওয়েট করছে।”

মিরা উঠে ওয়াশরুমের দিকে যেতে যেতে বলে,

—” পাপার সাথে অনেক দিন ঝগড়া করি না। আজ মন ভরে ঝগড়া করবো।”

মিরার কথা শুনে ওর মাম্মা হাসতে হাসতে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। কিচেনে মিরার নানু তার দুই বৌমার সাহায্যে জামাইয়ের জন্য রকমারি খাবার তৈরি করতেছে। এরমধ্যে মিরার মাম্মা কিচেনে আসে তার ঠোঁটের কোণে হাঁসি দেখে মিরার বড় মামী জিজ্ঞাসা করে,

—” কী গো নিতু এতো হাসছো কেনো একা একা?”

—” মিরা কথা শুনে হাসছি।”

নানু অবাক কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে,

—” কেনো ও আবার কী করছে?”

—” কিছু করেনি কিন্তু করবে।”

—” মানে?”

—” মানে হলো ও অনেকদিন ওর পাপার‌ সাথে ঝগড়া করেনি কিন্তু আজ ও ঝগড়া করবে ওর পাপার সাথে সেজন্য হাসছি।”

মিরার ছোট মামী হেসে দিয়ে বলে,

—” এ কেমন ঝগড়া যে আগে থেকেই বলে দেয়।”

—” তা তোমরাই দেখো কেমন ঝগড়া।”

বড় মামী বলে,

—” তবে যাই বলো না কেনো নিতু তোমার মেয়েটা কিন্তু সাংঘাতিক বিচ্ছু।”

নানু মৃদু হেসে বলে,

—” হবে না মা যেমন মেয়েও তেমন হয়েছে। তবে মিরা কিছু নিতুর উপর দিয়ে যায়।”

মিরার নানুর কথা শুনে সবাই শব্দ করে হেসে দেয়।

মিরা ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে মিরার পাপা আর নানা কথা বলছে। অন্য পাশের সোফায় নীলা, নিঝুম, অভ্র, শুভ, নিশু আর‌ মিশু মিলে কিছু একটা নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। মিরা ওদের দিকে না গিয়ে ওর পাশে গিয়ে বসে পড়ে। মিরার পাপা ওর কপালে চুমু দিয়ে বলে,

—” কী হয়েছে আমার মামনির? মন খারাপ?”

—” হুম খুব মন খারাপ। তোমরা বলো নি কেনো যে তোমরা আসছো?”

মিরার পাপা ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,

—” আমি তো সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম তাই বলেনি।”

মিরাও ওর পাপা কে জড়িয়ে ধরে বলে,

—” ইটস ওকে পাপা। আমার চকলেট কই?”

পাপা হেসে বলে,

—” তোর মাম্মার কাছে রাখা আছে।

—” ঠিক আছে।”

মিরার চোখ যায় অভ্রদের সোফার দিকে, ওরা কিছু একটা নিয়ে ফিসফিস করে কথা বলছে আর আড়চোখে মিরাকে দেখছে। কিন্তু মিরা সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ওর মাম্মার কাছে চলে যায়।

চলবে…..
কেমন লাগলো জানাবেন। হ্যাপি রিডিং। ধন্যবাদ। 💙

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here